• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo
নওগাঁয় ১৩২ স্থানের মাটি সংগ্রহ করে শহীদদের শ্রদ্ধা
২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস উপলক্ষে নওগাঁয় ১৩২টি গণহত্যার স্থানের মাটি সংগ্রহ করে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়েছে। সোমবার (২৫ মার্চ) সকালে স্থানীয় সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন একুশে পরিষদের আয়োজনে শহরের মুক্তির মোড়ে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিস্তম্ভের পাশে এ শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। সেখানে ১৩২টি স্থানের মাটি সংগ্রহ করে আলাদা আলাদা পাত্রে রেখে গোলাপ ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়। পরে সেখানে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বক্তব্য রাখেন সংগঠনটির সভাপতি অ্যাডভোকেট ডিএম আব্দুল বারি, সাধারণ সম্পাদক এম এম রাসেলসহ সংগঠনের অন্যান্য সদস্যবৃন্দরা। সময় সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক ও মাটি সংগ্রহের অন্যতম এম এম রাসেল বলেন, এখন পর্যন্ত জেলায় জরিপ করে দেখা গেছে, ১৩২টি স্থানে গণহত্যা চালানো হয়েছে। এ গণহত্যার তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ, শহীদদের নাম, তাদের ঠিকানা, পেশা, বয়স এগুলো সংগ্রহ করতে প্রায় ১১ বছর ধরে কাজ করা হয়েছে। আমাদের তথ্যমতে, ১৩২টি গণকবর রয়েছে এ জেলায়। সেসব স্থান থেকে মাটি সংগ্রহ করা হয়েছে। শহীদদের এই রক্তস্নাত মাটি সংগ্রহ করতে সময় লেগেছে ২ মাসের মতো। আজকে এই ১৩২টি স্থানের মাটিগুলো আলাদা আলাদা পাত্রে রেখে দিয়ে সেখানে একটি করে গোলাপ দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়। সংগঠনটির সভাপতি অ্যাডভোকেট ডি এম আব্দুল বারি বলেন, যাদের জন্য আমরা স্বাধীন দেশ ও মুক্ত স্বদেশ পেয়েছি তাদেরকে এ ব্যতিক্রমী আয়োজনের মধ্য দিয়ে স্মরণ করা হয়েছে। যাতে করে নতুন প্রজন্মকে গণহত্যা সম্পর্কে আমরা জানাতে পারি।
২৫ মার্চ ২০২৪, ২০:৫৯

সন্দ্বীপে রাতের আঁধারে কাটা হচ্ছে খাসজমির মাটি 
সন্দ্বীপের রাতের আঁধারে খাসজমির মাটি কেটে বিক্রি করছে প্রভাবশালী সিন্ডিকেট। সন্দ্বীপ উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, রাত ১০ টার পর থেকে ভোর পর্যন্ত আইন অমান্য করে এস্কেভেটর দিয়ে বেড়িবাঁধ এর বাহির থেকে ও ফসলি জমির থেকে মাটি কাটা হচ্ছে। উপজেলার প্রতিটি এলাকায় সিন্ডিকেট করে মাটি কাটার মহোৎসব চলছে। পরিবেশ আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় একাধিক চক্র দেদারছে রাতে মাটি কেটে বিক্রি করলেও তেমন কোনো আইনি পদক্ষেপ নেই সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের। স্থানীয় প্রশাসন মাঝে মধ্যে দু’য়েকটি স্থানে অভিযান চালিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে জরিমানা আদায় করলেও তা আমলে নিচ্ছেন না মাটি ব্যবসায়ীরা। এসব অভিযান আর জরিমানা তার গায়ে মাখছে না। এতে চুনোপুঁটিরা আইনের আওতায় আসলেও অধিকাংশ মাটিখেকো রাঘববোয়ালরা ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যাচ্ছে। গত ১৮ মার্চ উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট (ভূমি) সৈয়দ মুরাদ ইসলাম অবৈধ মাটি কাটার দায়ে ২টি ট্রাক জব্দ করে ২ লাখ টাকা জরিমানা করেছেন বলে জানান।  তিনি বলেন, অবৈধ মাটি কাটা বন্ধে অভিযান পরিচালনা করে ট্রাক মালিকদের জরিমানার আওতায় আনা হচ্ছে। তবুও থামছে না মাটি কাটা।  ২০-৩০ ফুট গভীর করে মাটি কাটার ফলে ধীরে ধীরে ফসলি জমি পুকুরে পরিণত হচ্ছে। সন্দ্বীপের বিভিন্নপ্রান্তে  এভাবে লাগামহীন মাটিকাটা হলে পুনরায় ভাঙ্গন শুরু হতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। পরিবেশ ও মানবতাবাদী আইজীবী অ্যাডভোকেট আকবর মাহমুদ বাবর বলেন, মৃত্তিকার (মাটি) এভাবে ক্ষতি করা মারাত্নক ধরনের অপরাধ। আইন প্রয়োগকারী সংস্থাসহ সন্দ্বীপের প্রশাসন দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।  উপজেলার রহমতপুর, মগধরা, আজিমপুরসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের সরকারি খাস জমি ও ব্যক্তিমালিকানাধীন জমি  মাটি কেটে বিক্রি করা হচ্ছে। মাটি ব্যবসায়ীরা রাতের সময়কে উত্তম সময় হিসেবে বেছে নিয়েছে। পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৯৫-এর ৬ (খ) ধারা অনুযায়ী কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান, সরকারি বা আধাসরকারি বা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের মালিকানাধীন বা দখলাধীন বা ব্যক্তি মালিকানাধীন জমি ও পাহাড়, ফসলি জমি এবং টিলা কর্তন বা বিলুপ্ত করা নিষিদ্ধ থাকলেও মাটিখোকে সিন্ডিকেটরা তা মানছে না। এ বিষয়ে সন্দ্বীপ অধিকার আন্দোলনের সভাপতি হাসানুজ্জামান সন্দ্বীপি বলেন, বালিমহাল ও মাটিব্যবস্থাপনা আইন অতিক্রম করে দিনে রাতে মাটিকাটছে একটি চক্র। কাঁচা-রাস্তাগুলো ধ্বংস করে ও রোজাদারদের ঘুম হারাম করার পরও কেউ যেন দেখার নেই। উপজেলা প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। মাটিকাটা বন্ধে আমরা আন্দোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছি। অধিকাংশ এলাকায় প্রকাশ্যে রাতে ও দিনে দেদারছে মাটি মাটলেও রহস্যজনক কারণে ওইসব স্থানে কোনো অভিযান পরিচালনা করা হয় না। জনস্রোতি আছে মাটি ব্যবসায়ীরা এসব করছেন প্রশাসনকে ম্যানেজ করে।   এ বিষয়ে সন্দ্বীপ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কবির হোসেন পিপিএম বলেন, মাটি কাটার জন্য এখন আর কেউ বলে কয়ে কাটে না। আমরা যতটুকু পারছি ব্যবস্থা নিচ্ছি।  এ ব্যাপারে সন্দ্বীপ উপজেলা নির্বাহী অফিসার রিগ্যান চাকমা বলেন, সরকারি খাসজমির মাটি কাটা সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ। তবে ব্যক্তি নিজের জমিতে থেকে কী পরিমাণ মাটি কেটে নিজের প্রয়োজনে ব্যবহার করতে পারবে সেটা আইনে পরিষ্কারভাবে বলা আছে। কিন্তু কোনো অবস্থায়ও সে মাটি বিক্রি করা যাবে না। তিনি সদ্য যোগদান করেছেন উল্লেখ করে বলেন, সার্বিক বিষয়ে জেনে তিনি সরকারি খাসজমি ও বেড়িবাঁধের বাইরের জমি থেকে মাটি কাটা ও বিক্রির বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করবেন।
২২ মার্চ ২০২৪, ১২:২৮

১৭ কবরের মাটি সরানো, এলাকায় চাঞ্চল্য
পাবনা জেলার আমিনপুর থানাধীন খাশ আমিনপুর কবরস্থান থেকে ১৭টি কঙ্কাল চুরির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে, ঘটনাস্থলে ভিড় জমিয়েছেন প্রায় কয়েক হাজার উৎসুক জনতা।  মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) সকালে স্থানীয় ব্যক্তিরা হঠাৎ কবরস্থান জিয়ারত করতে এসে দেখতে পান ১৭টি কবরে মরদেহ নেই। চুরি হওয়া এক লাশের স্বজন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এটা ভাবতেই অবাক লাগছে। মহাসড়কের পাশে এ কবরস্থান থেকে কঙ্কাল চুরি কোনো সাধারণ ঘটনা নয়। আমাদের দাবি পুলিশ দ্রুত এ ঘটনা উদঘাটন করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেবে। এ দিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সঠিক তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন আমিনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুনুর রশিদ। ওসি হারুনুর রশিদ বলেন, সকালে স্থানীয়রা কবরস্থানে গেলে এ ঘটনা সম্পর্কে আমাকে অবহিত করেন। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। ওসি আরও বলেন, কবরগুলোর ওপরের মাটি সরানো। সেখানে কোনো মরদেহ নেই। কিন্তু চুরি হয়েছে কি না এটা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। বিভিন্ন সময়ে কঙ্কালগুলো হারিয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বিস্তারিত তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
১৯ মার্চ ২০২৪, ১২:৫৮

মাটি খুঁড়ে মিলল ১৫ পবিত্র কোরআন শরিফ
ঝিনাইদহের শৈলকুপায় আবাসন প্রকল্পের কাজ করার সময় মাটি খুঁড়ে ১৫টি পবিত্র কোরআন উদ্ধার করা হয়েছে।  মঙ্গলবার (৫ মার্চ) উপজেলার দুধসর গ্রামের আবাসন প্রকল্পের কাজ করার সময় পবিত্র কোরআনগুলো পাওয়া যায়।  স্থানীয়রা জানান, আবাসন প্রকল্পের নতুন ঘর নির্মাণের কাজ চলছিল। প্রকল্পের আওতায় নতুন ঘর নির্মাণের জন্য পুরাতন ঘরগুলো ভেঙে মাটি সরানো হচ্ছিল। মাটির খোঁড়ার সময় কয়েকটি কাপড়ে মোড়ানো ব্যাগ পাওয়া যায়। পরে কৌতূহলবশত এসব খুলে দেখেন স্থানীয়রা। দেখা যায় ওই ব্যাগগুলোতে ছিল ১৫টি পবিত্র কোরআন শরিফ। পরে তারা স্থানীয় মসজিদের ইমামকে খবর দিলে তিনি এসে পবিত্র কোরআনগুলো মসজিদে রেখে দেন। স্থানীয় মসজিদের ইমাম জানান, উদ্ধার করা পবিত্র কোরআনগুলো অনেক পুরাতন। তবে ১৫টি কোরআনের মধ্যে ১৪টি ভালো রয়েছে। শৈলকুপা ইউএনও শেখ মেহেদী ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ১৫টি কোরআন উদ্ধারের খবর শুনে ওই এলাকায় যায়। এ সময় কোরআনগুলো স্থানীয় মসজিদেসহ আশপাশের মসজিদে পড়ার জন্য বলা হয়।
০৯ মার্চ ২০২৪, ১২:৩৪

মাটি খুঁড়তে গিয়ে চাপা পড়ে শ্রমিক নিহত
রংপুরের পীরগাছায় সেপটিক ট্যাংকের গর্ত খোঁড়ার সময় ধসে সাইফুল ইসলাম (৪০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (৪ মার্চ) দুপুরে উপজেলার ছাওলা ইউনিয়নের মাস্টার পাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত সাইফুল ইসলাম একই উপজেলার তাম্বুলপুর ইউনিয়নের কানিপাড়া গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে। প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, মাস্টার পাড়া গ্রামের সাইদুল ইসলামের বাড়িতে সেপটিক ট্যাংকের গর্ত খুঁড়তে পাঁচজন শ্রমিক কাজ করছিলেন। প্রায় ২০ ফিট খননের পর আকস্মিক বালু ধসে সাইফুল ইসলাম নিচে চাপা পড়েন। বিষয়টি ফায়ার সার্ভিসকে জানানো হলে তারা এসে দীর্ঘসময় চেষ্টা করেও সাইফুলকে জীবিত উদ্ধার করতে পারেনি। একপর্যায়ে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় স্কেভেটর দিয়ে মাটি সরিয়ে সাইফুলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা আব্দুল মান্নান বলেন, বালু ভরাট করা একটি জায়গায় সেপটিক ট্যাংকের গর্ত খোঁড়ার সময় ধসে যায়। এতে চাপা পড়ে সাইফুলের মৃত্যু হয়। পীরগাছা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুশান্ত কুমার সরকার জানান, মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় কোনো অভিযোগ না থাকায় স্বজনদের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে।
০৫ মার্চ ২০২৪, ১৫:২০

মাটি খুঁড়তে গিয়ে বেরিয়ে এলো অবিস্ফোরিত মর্টারশেল
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় মাটি খোঁড়ার সময় মুক্তিযুদ্ধে ব্যবহৃত একটি অবিস্ফোরিত মর্টারশেল উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার (৪ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার উত্তর ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী চাঁনপুর গ্রামের হাসেম মিয়ার বাড়ি থেকে ওই মর্টারশেলটি উদ্ধার করা হয়। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন আখাউড়া উত্তর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান। জানা যায়, উপজেলার সীমান্তবর্তী চাঁনপুর আশ্রয়ণ প্রকল্পের পশ্চিম পাশে হাসেম মিয়ার বাড়িতে মাটিকাটার কাজ করছিলেন শ্রমিকরা। এ সময় মাটির নিচ থেকে বড় আকারের একটি মর্টারশেল বেরিয়ে আসে। বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়। পরে পুলিশ সেটিকে নিজেদের হেফাজতে নেয়। আখাউড়া থানার ওসি নূরে আলম জানান, এটি ১৯৭১ সালের যুদ্ধে ব্যবহার হয়েছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে। ওই সময় শেলটি অবিস্ফোরিত থাকে। পুলিশ শেলটিকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে নিরাপদ স্থানে রেখেছে। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে কুমিল্লা সেনানিবাসের বোমা বিস্ফোরক দলকে খবর দেওয়া হয়েছে।
০৪ মার্চ ২০২৪, ১৯:৫২

পায়ের নিচে মাটি দিয়ে অনন্ত জলিলের উচ্চতা বাড়ানোর চেষ্টা
পরনে সাদা স্যান্ডো গেঞ্জি, শর্ট প্যান্ট। তাকিয়ে আছে আকাশের দিকে। এমনই এক লুকে দেখা গেল ঢাকাই চলচ্চিত্রের প্রযোজক ও আলোচিত অভিনেতা অনন্ত জলিলকে। মূলত বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে নৌ-সেক্টর পরিচালিত সফলতম গেরিলা অপারেশন নিয়ে নির্মিতব্য ছবি ‘অপারেশন জ্যাকপট’-এর একটি শুটিংয়ে এমন লুকে ধরা দিয়েছেন অনন্ত জলিল।  রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি)  সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‘অপারেশন জ্যাকপট’ ছবির শুটিংয়ের বেশ কয়েকটি স্থির চিত্র ভাইরাল হয়। যেখানে ট্রেনিং নিতে দেখা গিয়েছে অনন্ত জলিলকে। তার সঙ্গে আরও ছিলেন অভিনেতা ইমন, জনসহ আরও অনেকেই। তবে অন্য অভিনেতাদের সঙ্গে উচ্চতা মিল করতে অনন্ত জলিলকে দেখা গিয়েছে পায়ের নিচে মাটি দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে।  গেল বছরে ছবিটির প্রথম লটের শুটিং শুরু হয় এফডিসিতে।  ছবিটি পরিচালনা করবেন বাংলাদেশের দেলোয়ার জাহান ঝন্টু ও কলকাতার রাজীব কুমার। প্রথম লটের শুটিং শেষে গাজীপুরের বিভিন্ন স্পটসহ দেশের চার সমুদ্রবন্দর ও ভারত এবং ফ্রান্সের কিছু লোকশন কিছু শুটিং হবে।  প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে নৌ-সেক্টর পরিচালিত সফলতম গেরিলা অপারেশন ছিল ‘অপারেশন জ্যাকপট’। সেটাই বড় আয়োজনে তুলে ধরা হচ্ছে রুপালি পর্দায়। এই ছবিতে ভিন্নরূপে দেখা যাবে আলোচিত অভিনেতা অনন্ত জলিলকে। এ ছাড়াও ছবিটিতে আরও অভিনয় করছেন ইলিয়াস কাঞ্চন, কাজী হায়াত, ওমর সানী, মিশা সওদাগর, অমিত হাসান, নীরব, ইমন, নাদের চৌধুরী, শহীদুল ইসলাম সাচ্চু, ড্যানি সিডাক, খোরশেদ আলম খসরুসহ অনেকে। 
১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২০:৫৩

মাটি খুঁড়ে মিলল অর্ধকোটি টাকার সোনা
চট্টগ্রামে বাসা থেকে ৫১ ভরি স্বর্ণ চুরি হওয়ার আট দিন পর চোরচক্রের ছয় সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় চুরি হওয়া ৫১ ভরি স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়। বর্তমান বাজার দর হিসেবে যার মূল্য প্রায় অর্ধকোটি টাকা। শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) এক সংবাদ সম্মেলনে ৫১ ভরি সোনা উদ্ধারের কথা জানিয়েছেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) মোস্তাফিজুর রহমান। এর আগে শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে এই সোনা চুরিতে জড়িত থাকার অভিযোগে ৬ আসামিকে গ্রেপ্তারের কথা জানিয়েছে সদরঘাট থানা পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে একটি দেশীয় পাইপ গান, ৪টি ধারালো ছোরা ও ২টি তালা ভাঙার সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, মো. আরিফ হোসেন, মো. শরীফ, মেহেদি হাসান রুবেল, মো. সাইদুল ইসলাম রিগ্যান, মো. হান্নান ও মো. রিয়াদ হোসেন। পুলিশ জানায়, গত শুক্রবার বিকেলে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ডাকাতির প্রস্তুতির সময় ৬ জনকে অস্ত্রসহ আটক করে পুলিশ। পরে তাদের জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে মেহেদি হাসান জানায়, কিছুদিন আগে নগরের মেহেদিবাগ এলাকা থেকে বেশ কিছু সোনা চুরি করেছিল, যা আগ্রাবাদ এলাকায় একটি খালি মাঠের ঝোঁপের আড়ালে মাটির নিচে লুকিয়ে রাখা হয়েছে। পরে পুলিশ এসব সোনা উদ্ধার করে। সিএমপি উপপুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) মোস্তাফিজুর রহমান জানান, গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে নগরের বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। গ্রেপ্তার ৬ আসামির মধ্যে দুজন চোরাই হওয়া সোনার বিষয়ে জানায়। তাদের স্বীকারোক্তি অনুসারে তাদের নিয়ে সোনা উদ্ধারের অভিযানে ডবলমুরিং থানার বারেক বিল্ডিং মোড় এলাকার কনকর্ড গ্রুপের খালি জায়গায় থাকা ঝোঁপের মধ্যে মাটির নিচ থেকে প্রায় ৫১ ভরি স্বর্ণালংকার উদ্ধার করা হয়।
১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১১:২৬

বিদ্যালয়ের পুকুর পাড়ের মাটি ও গাছ কাটার অভিযোগ স্থানীয়দের বিরুদ্ধে
রাতের আঁধারে গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার আমরাইদ ইয়াকুব আলী সিকদার উচ্চবিদ্যালয়ের পুকুর পাড়ের মাটি ও গাছ কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ৪ জনের বিরুদ্ধে কাপাসিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বরাবর অভিযোগ দিয়েছে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। আমরাইদ ইয়াকুব আলী সিকদার উচ্চবিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শহিদুল হক জানান, গত ২৪ জানুয়ারি ভোর রাতে আমরাইদ গ্রামের হান্নান সরকারের ছেলে রিপন সরকার, আনোয়ার হোসেন সরকারের ছেলে মাসুদ সরকার, মাহবুব সরকারের ছেলে সুজা সরকার, আক্কাছের ছেলে মোস্তফা বিদ্যালয়ের পূর্ব পাশে পুকুর পাড়ের ১০ ফুট গভীর ও ৪০ ফুট প্রস্থ’ করে এক্সেভেটর দিয়ে মাটি কেটে বিক্রি করে দেয়। একই সঙ্গে ১৫০টি আকাশি গাছ ও ১৮০টি বাঁশ কেটে নেয়। এতে বিদ্যালয়ের ১০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়। নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় কৃষকেরা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে কাপাসিয়ার লালচে রঙের এঁটেল মাটি চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে। ফসলি কৃষি জমিতে খননযন্ত্র (ভেক্যু) বসিয়ে মাটি কেটে বিক্রি করছে। অন্যের ফসলি জমির ওপর দিয়ে মাটি ভর্তি ট্রাক চলাচলের জন্য বানানো হয়েছে রাস্তা। এর ফলে কৃষি জমির শ্রেণি পরিবর্তন হয়ে নালা জমিতে পরিণত হচ্ছে। নির্বিচারে যেভাবে ফসলি জমির মাটি কেটে বিক্রি করা হচ্ছে, তাতে আগামী কয়েক বছরের মধ্যে ফসলি জমি আশঙ্কাজনক হারে কমে যাবে। এতে কমে ফসল উৎপাদন। অবৈধভাবে মাটি কাটায় ঝুঁকিতে পড়ছে স্থানীয় রাস্তাঘাট ও ঘরবাড়ি। উপজেলার লোহাদী গ্রামের মোস্তফা মিয়া বলেন, আমার বাড়ির পাশের জমির মালিক মাটি বিক্রি করেছেন। এই মাটি নেওয়ার জন্য আমাদের গ্রামের রাস্তা ব্যবহার করেছে ভেক্যু ও ডাম্প ট্রাক। মাটি ব্যবসায়ীরা আমাদের বলেন, মাটি নিলে রাস্তা হবে। এতে চলাচলে সুবিধা হবে। এসব বলে রাস্তার পাশে কিছু গাছ কেটেছে মাটি ব্যবসায়ীরা। আমরাইদ ইয়াকুব আলী সিকদার উচ্চবিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক জাহিদ হাসান বলেন, বিদ্যালয়ের পুকুর পাড় থেকে মাটি ও গাছ গাছালি কেটে নেওয়ার ঘটনায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে অভিযোগ দিয়েছি। তাছাড়া আমি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মাটি কেটে নেওয়ার ছবি ও ভিডিও প্রকাশ করেছি। প্রায় চল্লিশ বছর আগে থেকে ওই জায়গাটি বিদ্যালয়ের সম্পত্তি এবং ১৯৮০ সালে পুকুর নির্মাণ করেছিল বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। কাপাসিয়া উপজেলার গিয়াসপুর গ্রামের সেলিম মেম্বার এসব মাটি খরিদ করে কেটে নিয়েছে বলে জানতে পারি। পরে সেলিম মেম্বার নিজেই আমাকে বলেছে সে অভিযুক্তদের কাছ থেকে মাটি ক্রয় করেছে বলেও তিনি জানান। আমরাইদ ইয়াকুব আলী সিকদার উচ্চবিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা (ম্যানেজিং) কমিটির সভাপতি ইকবাল সরকার জানান, আমি আইনগত ব্যবস্থা নিয়েছি। মাটি ক্রেতা হাজী তাজ উদ্দীন মাস্টারের ছেলে সেলিম মিয়া বলেন, আমি কাপাসিয়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে মাটি ক্রয় করে অন্যত্র বিক্রি করি। মাটি বিক্রেতারা অন্যায়ভাবে সরকারি স্কুলের মাটি বিক্রি করেছে তা আমার জানা ছিলো না। তিনি বলেন, মাটি এখনও আমার জিম্মায় রয়েছে। কাপাসিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকী বলেন, যেকোনো জমির শ্রেণি পরিবর্তন করতে অনুমোদন লাগে। এ ছাড়া ছোট সড়ক দিয়ে ডাম্প ট্রাক চলাচল করার নিষেধাজ্ঞাও রয়েছে। কৃষিজমি থেকে যারাই মাটি কাটার সঙ্গে জড়িত থাকুক না কেন, তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
২৮ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:৪৪

কৃষি জমি থেকে মাটি উত্তোলন, ২ লাখ টাকা জরিমানা 
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কৃষি জমি থেকে মাটি উত্তোলন করে বিক্রি করার অপরাধে ৪ জনকে দুই লাখ টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।  মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) দুপুরে সদর উপজেলার মজলিশপুর ইউনিয়নের মৈন্দ গ্রামে এই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোশারফ হোসেন।  ভ্রাম্যমাণ আদালতে দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, মজলিশপুর ইউনিয়নের মৈন্দ গ্রামের আব্দুস সাত্তারের ছেলে এলেম ভূঁইয়া, মৃত আব্দুল হাসীসের ছেলে আব্দুল আওয়াল, আকরাম আলীর ছেলে সফিকুল ইসলাম ও ঢাকার সাভারের রফিকুল সরকারের ছেলে আসিফ।  নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোশারফ হোসেন জানান, বালু মহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন ২০১০ এর ৭ক ধারা লঙ্ঘন করে অবৈধভাবে কৃষি জমি থেকে মাটি কর্তন করে কৃষি জমি বিনষ্ট করা হচ্ছিল। তাই আইনের ১৫ (১) ধারায় চার জনকে আটক করা হয় এবং তাদেরকে ২ লাখ টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়। এছাড়া ভেকু মেশিন জব্দ করা হয় এবং রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করা হয়।
২৩ জানুয়ারি ২০২৪, ২৩:৫৩
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়