• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo
মই বসিয়ে মহাসড়ক পার করানো সেই যুবক আটক
নারায়ণগঞ্জের শিমরাইলে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে মই বসিয়ে টাকার বিনিময়ে পথচারীদের ডিভাইডার পার করা সেই যুবককে আটক করেছে পুলিশ। রোববার (১৭ মার্চ) রাতে তাকে আটক করে কাঁচপুর হাইওয়ে থানা। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন কাঁচপুর হাইওয়ে থানার শিমরাইল ক্যাম্পের টিআই এ কে এম শরফুদ্দিন। তিনি বলেন, মই দিয়ে যাত্রী ও পথচারী পারাপার করানো সেই যুবককে আমরা আটক করেছি। ওই যুবকের নাম মো. রবিউল (২৬)। তার বিরুদ্ধে মামলা হবে। সে পাঁচ টাকার বিনিময়ে যাত্রীদের জীবন ঝুঁকিতে ফেলে সড়ক পারাপার করেছে। রোববার (১৭ মার্চ) বিকালে মই বেয়ে মহাসড়ক পার হওয়ার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। ভিডিওতে দেখা গেছে, সড়ক ডিভাইডারের পাশে হেলান দিয়ে মই রাখা হয়েছে। সেই মই বেয়ে পার হচ্ছেন পথচারীরা। এর বিনিময়ে টাকা নিচ্ছেন এক যুবক। পাঁচ টাকার বিনিময়ে এভাবে মই দিয়ে যাত্রী ও পথচারী পারাপার করছিলেন ওই যুবক। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত বছরের মাঝামাঝি সময়ে দূরপাল্লার যানবাহনগুলো সরাসরি যেন ঢাকায় যেতে পারে, সে জন্য চার লেনের ঢাকামুখী সড়কের সিদ্ধিরগঞ্জের কাঁচপুর ব্রিজ থেকে কুয়েত প্লাজা এলাকা পর্যন্ত উঁচু ডিভাইডার দিয়ে দুই লেন বিভক্ত করা হয়। সেইসঙ্গে আঞ্চলিক যানবাহন চলাচলের জন্য আরও দুই লেন রাখা হয়। দূরপাল্লার লেন থেকে আঞ্চলিক লেনে যাত্রীদের চলাচলের জন্য সড়ক ও জনপদ (সওজ) কার্যালয়ের সামনে একটি গেট ছিল। সেখানে দূরপাল্লার যানবাহনগুলো শিমরাইল মোড়ের যাত্রীদের নামিয়ে দেওয়া হতো। কিন্তু গত দুই মাস ধরে তা বন্ধ করে রেখেছে সওজ কর্তৃপক্ষ। তবে দূরপাল্লার যানবাহন একই স্থানে এখনও যাত্রী নামিয়ে দিচ্ছে। ফলে যাত্রীরা ঝুঁকি নিয়ে এভাবে সড়ক পারাপার হচ্ছেন। আর সেই সুযোগটাই কাজে লাগাচ্ছেন কিছু অসাধু পরিবহন শ্রমিক। তারা ডিভাইডারের দুই পাশে মই দিয়ে টাকার বিনিময়ে যাত্রীদের পার করে দিচ্ছেন।
১৭ মার্চ ২০২৪, ২২:৩৯

শ্রীপুরে ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার, প্রতিবাদে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ
গাজীপুরের শ্রীপুরের মাওনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম খোকনকে (৫০) গ্রেপ্তার করেছে শ্রীপুর থানা পুলিশ। প্রতিবাদে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের কয়েকটি স্থানে আগুন জ্বালিয়ে অবরোধ ও বিক্ষোভ করে চেয়ারম্যান সমর্থকেরা।  বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) দিবগত রাত পৌণে ১১টার দিকে নির্মাণ কাজে বাধা ও ভয়ভীতিসহ টাকা দাবি করার মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ্ জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম খোকন উপজেলার মাওনা ইউনিয়নের সিংগারদিঘী গ্রামের ইদ্রিস আলীর ছেলে। তিনি মাওনা ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান। শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ্ জামান জানান, রাজধানীর ভাটারা থানা এলাকার জামাল হাওলাদারের ছেলে জহিরুল ইসলাম (৩১)। তিনি মাওনা ইউনিয়নের চকপাড়া (মেডিকেল মোড়) এলাকার ফরচুন ক্যাবলস ইন্ডাষ্ট্রিজ লিমিটেড কারখানায় ব্যবস্থাপক (ম্যানেজার) পদে কর্মরত। মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টায় আসামী ও তার সহযোগীরা কারখানার সীমানা প্রাচীর (বাউন্ডারী ওয়াল) নির্মাণ কাজে বাধা ও ভয়ভীতিসহ ২০ লাখ টাকা দাবি করে। এ ঘটনায় বুধবার থানায় মামলা দায়ের করেন ওই ব্যবস্থাপক জহিরুল ইসলাম। ওই মামলায় চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম খোকনকে প্রধান আসামী করে আরও দুই সহযোগীর নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ১০/১২ জনকে আসামী করা হয়। পুলিশ ওইদিন রাত পৌণে ১১টার দিকে চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম খোকনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।   মামলার অপর আসামীরা হলেন সিংগারদিঘী গ্রামের আবু বক্কর সিদ্দিকের ছেলে বায়েজিদ (৩০), মৃত আব্দুল মোতালেবের ছেলে তাজউদ্দিন (৫০)।   চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম খোকনকে গ্রেপ্তারের খবর ছড়িয়ে পড়লে প্রতিবাদে রাতেই তার সমর্থকেরা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের কয়েকটি স্থানে আগুন জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ করে।     জাহাঙ্গীর আলমের খোকনের ছেলে মিজানুর রহমান রায়হান অভিযোগ করে বলেন, আমার বাবাকে মিথ্যা সাজানো মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি চক্রান্তের শিকার। মামলার বাদী জহিরুল ইসলাম এজাহারে উল্লেখ করেন ঘটনার দিন আসামীরা তার কাছে ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। এক পর্যায়ে আসামীরা তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে কিল, ঘুষি, লাথি মেরে মাটিতে ফেলে দেয়। আসামীরা তার গলা চেপে ধরে শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টা করে এবং তার দুই পা ধরে টেনে নিয়ে তাদের ব্যবহৃত প্রাইভেটকারে উঠিয়ে মাওনা ইউনিয়ন পরিষদের ভিতরে নিয়ে একটি কক্ষে তালাবদ্ধ করে আটক করে রাখে। খবর পেয়ে শ্রীপুর থানা পুলিশ তাকে উদ্ধার করে।
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১০:১১

পঞ্চগড়-১ / আ.লীগ ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মীর মধ্যে হাতাহাতি, মহাসড়ক অবরোধ
পঞ্চগড়-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মী ও তেঁতুলিয়া উপজেলার শালবাহান ইউপি চেয়ারম্যান আশরাফুল আলমের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনায় পঞ্চগড়-তেঁতুলিয়া মহাসড়ক আধাঘণ্টা অবরোধ করে রাখেন চেয়ারম্যানের সমর্থকসহ বিক্ষুব্ধরা। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার আগে তেঁতুলিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফজলে রাব্বীসহ পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। আরও পড়ুন : ডগ স্কোয়াড দিয়ে ট্রেনে বিজিবির তল্লাশি   পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, পঞ্চগড়-১ আসনে আওয়ামী প্রার্থী নাঈমুজ্জামান ভূঁইয়ার সমর্থক ও  স্বতন্ত্র প্রার্থী আনোয়ার সাদাতের সমর্থক ইউপি চেয়ারম্যান আশরাফুলের সঙ্গে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে উভয়পক্ষের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে ইউপি চেয়ারম্যানের সমর্থকসহ বিক্ষুব্ধরা মহাসড়ক অবরোধ করেন। এ নিয়ে তেঁতুলিয়ার মাঝিপাড়ায় আওয়ামী প্রার্থীর কর্মী-সমর্থক ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। আরও পড়ুন : ভোট দিতে বাধা দিলে প্রতিহত করা হবে : কাদের   তেঁতুলিয়া মডেল থানা পুলিশের ওসি সুজয় কুমার রায় বলেন, শালবাহান রোড এলাকায় ট্রাক ও নৌকা প্রতীকের লোকজনের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরে কিছু লোক সড়ক অবরোধ করলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মধ্যস্থতায় অবরোধ তুলে নেওয়া হয়। সহকারী রিটার্নিং অফিসার ও তেঁতুলিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফজলে রাব্বী বলেন, অবরোধের খবরে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করা হয়েছে। দু’পক্ষই মৌখিকভাবে পরস্পরের ওপর হামলার অভিযোগ করেছেন।
০৫ জানুয়ারি ২০২৪, ১৪:৫০
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়