• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
logo
দেশে ফিরছেন বিএনপি মহাসচিব
সিঙ্গাপুরে চিকিৎসা শেষে আজ দেশে ফিরছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এই তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, শনিবার (২৩ মার্চ) বিকেল ৬টার দিকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছাবেন মহাসচিব। শায়রুল কবির আরও বলেন, সিঙ্গাপুরে যাওয়ার পর সেখানে দুটি হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়েছেন তিনি। সেখানে তার বেশকিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা হয়েছে। এখন অনেকটাই ভালোর দিকে।  চিকিৎসার জন্য গত চার মার্চ দেশ ছাড়েন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তার সঙ্গে ছিলেন স্ত্রী রাহাত আরা বেগম। বিএনপি মহাসচিবের একান্ত সহকারী ইউনুস আলী জানান, প্রায় সাড়ে তিন মাস কারাগারে থাকার পর গত ১৫ ফেব্রুয়ারি জামিনে মুক্তি পান মির্জা ফখরুল। ২০১৫ সালে কারাবন্দি অবস্থায় বিএনপি মহাসচিবের ঘাড়ের ইন্টারনাল ক্যারোটিড আর্টারিতে ব্লক ধরা পড়ে। পরে কারামুক্তি পাওয়ার পর তিনি সিঙ্গাপুরে গিয়ে চিকিৎসা করান। এরপর প্রতিবছরই ফলোআপ চিকিৎসার জন্য তাকে সিঙ্গাপুরে যেতে হয়। সর্বশেষ ২০২৩ সালের ২৪ আগস্ট সিঙ্গাপুরে গিয়েছিলেন তিনি।
২৩ মার্চ ২০২৪, ১৫:৪৭

ফের সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব এনায়েত, সভাপতি রাঙ্গা
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির নতুন কমিটি গঠন করা হয়েছে। নতুন এ কমিটিতে চতুর্থবারের মতো মহাসচিব পদে নির্বাচিত হয়েছেন খন্দকার এনায়েত উল্যাহ। এ ছাড়া তৃতীয়বারের মতো সভাপতি পদে নির্বাচিত হয়েছেন মসিউর রহমান রাঙ্গা। কার্যকরী সভাপতি পদে নির্বাচিত হয়েছেন আলাউদ্দিন। মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সামদানী খন্দকারের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউটের অডিটরিয়ামে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির দ্বিবার্ষিক সাধারণ সভা ও কাউন্সিল অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সব জেলা থেকে প্রায় ৭৫০ জন কাউন্সিলর/ডেলিগেট উপস্থিত ছিলেন। সভায় প্রথম অধিবেশনে সাংগঠনিক বিষয়াদি নিয়ে আলোচনা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। দ্বিতীয় অধিবেশনে সমিতির দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন (২০২৪-২০২৫, ২০২৫-২০২৬) ও কাউন্সিল অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়। অধিবেশনে সর্বসম্মতিক্রমে মহাসচিব পদে খন্দকার এনায়েত উল্যাহ, সভাপতি পদে মসিউর রহমান রাঙ্গা, কার্যকরী সভাপতি পদে আলাউদ্দিনকে নির্বাচিত করে সমিতির সংবিধান মোতাবেক ১২১ সদস্য বিশিষ্ট কার্যকরী কমিটি গঠন করা হয়।
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৯:৪৯

শেখ হাসিনাকে আইটিইউ মহাসচিবের অভিনন্দন 
প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পুনরায় নির্বাচিত হওয়ায় শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন ইন্টারন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়নের (আইটিইউ) মহাসচিব ডোরেন বোগদান-মার্টিন। শেখ হাসিনাকে পাঠানো চিঠিতে তিনি লিখেছেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শেখ হাসিনা পুনর্নির্বাচিত হওয়ায় তাকে আন্তরিক অভিনন্দন জানান। ডোরেন বোগদান-মার্টিন আরও বলেন, গুরুত্বপূর্ণ এই পদে আপনার সাফল্যের জন্য আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাই এবং আগামী বছরগুলোতে বাংলাদেশের জনগণের সমৃদ্ধি, ঐক্য, প্রবৃদ্ধি এবং প্রতিটি সাফল্য কামনা করছি। তিনি উল্লেখ করেছেন, আইটিইউ বছরের পর বছর ধরে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) এবং জাতীয় সম্প্রচার কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে সার্বজনীন সংযোগ এবং একটি টেকসই ডিজিটাল দেশে রুপান্তর করার জন্য বাংলাদেশের সঙ্গে সহযোগিতা করেছে। আইটিইউ মহাসচিব বলেন, আমি আইসিটি’র মাধ্যমে টেকসই উন্নয়নের অগ্রগতিতে আপনার দেশের অব্যাহত প্রতিশ্রুতি এবং পদক্ষেপকে সাধুবাদ জানাই এবং আমি ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে আমাদের অব্যাহত সহযোগিতার প্রত্যাশা করছি। তিনি আরও বলেন, জেনেভাতে আমার অফিস এবং ব্যাংককে অবস্থিত এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের জন্য আইটিইউ আঞ্চলিক অফিসের মাধ্যমে আমি আপনাকে বাংলাদেশ ও আইটিইউ’র মধ্যে চমৎকার সম্পর্ক বজায় রাখতে আমার পূর্ণ সমর্থনের নিশ্চয়তা দিতে পারি। ডোরেন বোগদান-মার্টিন বলেন, আমরা আপনার দেশকে টেলিকমিউনিকেশন এবং আইটি ক্ষেত্রে যেকোনো উপায়ে সহায়তা করার জন্য বরাবরের মতো প্রস্তুত এবং ভবিষ্যতেও অব্যাহত সফল সহযোগিতার জন্য অপেক্ষায় আছি। সূত্র : বাসস
০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৭:১১

চিঠি নিয়ে বিএনপির সন্দেহ দূর করল জাতিসংঘ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নতুন সরকার গঠনের পরে তাকে অভিনন্দন জানিয়ে পাঠানো জাতিসংঘের চিঠি নিয়ে বিএনপির সন্দেহ দূর করলো জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেসের মুখপাত্র।  যে চিঠি নিয়ে বিএনপি সন্দেহ প্রকাশ করেছে সে চিঠি তারাই পাঠিয়েছেন বলে ব্রিফিং তিনি জানিয়েছেন। বিশ্লেষকরা বলছেন, জাতিসংঘের মতো সংস্থার চিঠি নিয়ে এ ধরনের সন্দেহ প্রকাশ করে বক্তব্য দিয়ে নিজেদের দৈন্যতা প্রকাশ করেছে বিএনপি। মহাসচিবের চিঠি পাঠানোর কথা স্বীকারের মধ্য দিয়ে বিএনপির রাজনীতি আবারও প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে।  টানা চতুর্থ মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়ে গত ১৮ জানুয়ারি চিঠি লেখেন জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস। অথচ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয়ী হওয়া আওয়ামী লীগ সরকারকে স্বাগত জানিয়ে, জাতিসংঘের দেয়া চিঠির সত্যতা নিয়ে ২০ জানুয়ারি প্রশ্ন তোলেন বিএনপি নেতারা। তাদের দাবি, চিঠির ভাষায় নানা অসংঙ্গতি রয়েছে। এসব অসংঙ্গতির জবাব চায় দলটি।  সোমবার (২২ জানুয়ারি) জাতিসংঘের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এক সাংবাদিক জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিককে প্রশ্ন করেন এবং শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়ে জাতিসংঘের দেওয়া চিঠির বিষয়ে জানতে চান। জবাবে স্টিফেন ডুজারিক বলেন, তিনি (জাতিসংঘ মহাসচিব) প্রধানমন্ত্রীর কাছে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন, যেমনটা বিভিন্ন দেশের সরকারপ্রধান বা রাষ্ট্রপ্রধানরা পুনর্নির্বাচিত হলে মহাসচিব (চিঠি) পাঠিয়ে থাকেন। জাতিসংঘের মতো একটি সংস্থার চিঠি নিয়ে বাংলাদেশ সরকার মিথ্যাচার করবে এটা ভাবাই বিএনপির রাজনৈতিক দৈন্যতা উল্লেখ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. জিয়া রহমান বলেন, ‘তারা পাবলিক পরিসরে এধরনের দাবি কীভাবে করলো। জাতিসংঘের মতো সংস্থার চিঠি কি ছেলেখেলা, চাইলেই এটা পাওয়া যায়।’ তিনি আরও বলেন, ‘এধরনের বক্তব্য দেওয়ার জন্য বিএনপি নেতাদের প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়া উচিত। মিথ্যা তথ্য দিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করার অধিকার কোন রাজনৈতিক দলেরই নেই।’   এদিকে নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর জেনারেল (অব) আবদুর রশীদ বলেন, ‘বিএনপি যদি মনে করে জাতিসংঘের চিঠি নিয়ে তাদের সন্দেহ বিষয়ে একটা উড়ো কথা বলবে এবং সেটা জাতিসংঘের নজরে আসবে না সেটা ভুল। ফলে এধরনের অদায়িত্বশীল আচরণের জন্য তাদেরকে মাশুল গুণতে হবে। জনগণের কাছে এখন সব তথ্য অনেক বেশি থাকে। তারা মিথ্যা ও সত্য তথ্য মিলিয়ে দেখার সুযোগ পায়। সেহেতু যা খুশি বক্তব্য না দিয়ে তাদের উচিত গঠনমূলক রাজনীতির পথে আসা।’
২৩ জানুয়ারি ২০২৪, ১৫:০৫

প্রধানমন্ত্রীকে কমনওয়েলথ মহাসচিবের অভিনন্দন
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পুনর্নির্বাচিত হওয়ায় শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন কমনওয়েলথ মহাসচিব প্যাট্রিসিয়া স্কটল্যান্ড। প্রধানমন্ত্রীকে পাঠানো একটি অভিনন্দন বার্তায় তিনি লিখেছেন, কমনওয়েলথ সচিবালয় আপনার গুরুত্বপূর্ণ কাজ চালিয়ে যাওয়ার জন্য বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আপনাকে সমর্থন দিতে প্রস্তুত রয়েছে। ‘গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আপনার পুনর্নির্বাচিত হওয়ার পর আপনাকে লিখতে পেরে আমি আনন্দিত।’ এ কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, নতুন মেয়াদে দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি আমার উষ্ণ অভিনন্দন এবং শুভেচ্ছা গ্রহণ করুন। বাংলাদেশ কমনওয়েলথ পরিবারের একটি মূল্যবান সদস্য উল্লেখ করে প্যাট্রিসিয়া স্কটল্যান্ড বলেন, আমাদের বৈচিত্র্যময় দেশগুলো শান্তি, গণতন্ত্র এবং টেকসই উন্নয়নসহ আমাদের সনদে প্রতিফলিত অভিন্ন মূল্যবোধের দ্বারা আবদ্ধ। তিনি উল্লেখ করেন, কমনওয়েলথে বাংলাদেশের সক্রিয় অংশগ্রহণ এবং নেতৃত্ব তার সদস্যদের দ্বারা ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হয়। এরমধ্যে রয়েছে সমুদ্রের স্টুয়ার্ডশিপ এবং জলবায়ু পরিবর্তন, ডিজিটাল উদ্ভাবন, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, যুব, লিঙ্গসমতা এবং মানসিক স্বাস্থ্যের বিষয়গুলো। চিঠিতে আরও বলা হয়, আমরা আপনার পঞ্চম মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী পদে দায়িত্বে থাকাকালীন অগ্রাধিকারের সম্পূর্ণ পরিসীমা অর্জনে বাংলাদেশকে সমর্থন দেওয়ার জন্য এই সহযোগিতা অব্যাহত রাখার এবং গড়ে তোলার অপেক্ষায় আছি। কমনওয়েলথ মহাসচিব বলেন, স্বাধীনতা, গণতন্ত্র ও উন্নয়নের জন্য বাংলাদেশের ঐতিহাসিক যাত্রা সম্পর্কে তিনি সচেতন। তিনি বলেন, দায়িত্ব গ্রহণের পর আপনি যে দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরেছেন তাতে আমি উৎসাহিত হয়েছি, যা স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার নীতির ওপর জোর দিয়েছে। এ প্রসঙ্গে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ‘সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারো সঙ্গে বৈরিতা নয়’ নীতির কথাও স্মরণ করেন। তিনি বলেন, এই মূল্যবোধগুলো আমাদের কমনওয়েলথ সনদে প্রতিফলিত হয়েছে, যা সহনশীলতা, শ্রদ্ধা বোঝার এবং টেকসই উন্নয়নের অনেক দিক অর্জনের আহ্বান জানায়। মহাসচিব জানান, জ্যামাইকার সাবেক প্রধানমন্ত্রী ব্রুস গোল্ডিংয়ের নেতৃত্বে বাংলাদেশের নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য কমনওয়েলথ একটি স্বাধীন বিশেষজ্ঞ পর্যবেক্ষকদল পাঠাতে পেরে তিনি আনন্দিত। তিনি বলেন, টিমের প্রতিবেদন ও সুপারিশগুলো নিয়ে আপনার সঙ্গে আলোচনার সুযোগের অপেক্ষায় আছি। প্যাট্রিসিয়া স্কটল্যান্ড বলেন, আমি আপনাকে লন্ডনের মার্লবোরো হাউসে স্বাগত জানাতে এবং সামোয়াতে ২০২৪ সালের ২১ অক্টোবর অনুষ্ঠেয় সপ্তাহব্যাপী পরবর্তী কমনওয়েলথ সরকার প্রধানদের বৈঠকে (সিএইচওজিএম) আপনার সঙ্গে দেখার অপেক্ষায় রয়েছি। সূত্র : বাসস
২০ জানুয়ারি ২০২৪, ১৭:২৬

চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ক্ষমতাসীনদের কাছ থেকে জাতীয় পার্টি কোনো টাকা নেয়নি বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু।  সোমবার (১৫ জানুয়ারি) দুপুরে জাপা চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে তিনি বলেন, আমি চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলছি বাংলাদেশের কোনো মানুষ যদি বলতে পারে আমি বা চেয়ারম্যান কারও কাছ থেকে দলের জন্য বা পার্টিকে দেওয়ার জন্য টাকা নিয়েছি তাহলে আমি পদত্যাগ করব। মুজিবুল হক চুন্নু আরও বলেন, অনেকের ধারণা আওয়ামী লীগ আমাদের শত শত কোটি টাকা দিয়েছে, সেই টাকা কেন প্রার্থীদের দেওয়া হয়নি? আরে আমাদের শতকোটি টাকা কে দেবে? সরকার আমাকে কেন টাকা দেবে? সরকার যদি আমাকে টাকা দেয় তাহলে সেটি কি জানার বাকি থাকবে? আরও পড়ুন : ভোগ্যপণ্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে দ্রুত ব্যবস্থার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর   তিনি বলেন, দু’একজন ছাড়া বাকিদের আসল ব্যথা আমরা শতকোটি টাকা পেয়েছি, তাদের দেই নাই। অথচ, ইলেকশন ঠিকমত হয় নাই, তারা পাস করে নাই এইটা আসল ব্যথা না।  জাপার মহাসচিব বলেন, নির্বাচনের সফলতা-ব্যর্থতার দায় জাপা চেয়ারম্যান ও মহাসচিবের ওপর আসে। সেই দায়ভার নিতেও আমরা রাজি ছিলাম। তার মানে এই না, পাবলিকলি তারা এই ধরনের কথা বলবে। এর আগে, রোববার নির্বাচনে ভরাডুবি, অনিয়মসহ নানা অভিযোগে জাপার পরাজিত প্রার্থীরা বিশেষ সভা করেন। সেখানে তারা ক্ষমতাসীনদের কাছ থেকে হাইকমান্ড টাকা নিয়েছে বলে অভিযোগ করেন। একইসঙ্গে নির্বাচনে ভরাডুবির জন্য জি এম কাদের এবং চুন্নুকে দায়ী করে ক্ষোভ ঝেড়েছেন তারা।  জাপার পরাজিত প্রার্থীদের দাবি, তৃণমূলের নেতাদের মতামতের বিরুদ্ধে নির্বাচনে অংশ নিয়ে জি এম কাদের বেঈমান করেছেন। লাঙলের প্রার্থীদের মাথা বিক্রি করে সরকারের কাছ থেকে টাকা পেয়েছেন। সেই টাকার হিসাব চান তারা। আরও পড়ুন : সশস্ত্রবাহিনী বিভাগে নিজ কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী   পরাজিত প্রার্থীদের সভার বিষয়ে মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, তাদের সভায় খুব বেশি প্রার্থী ছিল না। অল্প সংখ্যক ছিল। তার মধ্যে কিছু আছে যারা জীবনে ৫০০ ভোটও পাবে না। তারা ভোট করতে চেয়েছে, আমরা খালি রাখি নাই।
১৫ জানুয়ারি ২০২৪, ১৭:৪৯

কর্মীসংখ্যা থেকেও কম ভোট পেয়েছেন বিএনএম মহাসচিব
চাঁদপুর-৪ (ফরিদগঞ্জ) আসনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন বিএনএম মহাসচিব ড. মো. শাহজাহান ভোট পেয়েছেন ১ হাজার ৭৪। আর নির্বাচনে তার কর্মীর সংখ্যা ছিল ২ হাজারেরও বেশি। কর্মী সংখ্যার ভোটও পাননি তিনি। একই সঙ্গে খোয়ালেন জামানতও। একসময় বিএনপির রাজনীতিতে সক্রিয় থাকা মো. শাহজাহান বিএনএম গঠন করে নিজ এলাকায় ফিরলেও তার দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নেন পুরোনো দলের নেতাকর্মীরা এবং এলাকার সাধারণ মানুষ।  রোববার (৭ জানুয়ারি) পাওয়া নির্বাচনী ফলাফল থেকে জানা গেছে এসব তথ্য। এ আসনে ৩৬ হাজার ৪৬৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন নৌকা প্রতীকের সাংবাদিক মুহম্মদ সফিকুর রহমান। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন ড. শামছুল হক ভূঁইয়া। তিনি ভোট পেয়েছেন ৩৫ হাজার ৪২৫। বিজয়ী প্রার্থীর সঙ্গে ব্যবধান ছিলো ১০৪৩ ভোট। এ আসনে ১১৮টি কেন্দ্রে মোট ভোটার ছিল ৩ লাখ ৬৯ হাজার ১২৯ জন। এ আসনে এবারের নির্বাচনে প্রার্থী ছিলেন মোট ৮ জন। বিএনএম মহাসচিব ড. মো. শাহজাহানের কয়েকজন কর্মীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কেন্দ্র পরিচালনায় বিএনএম মহাসচিবের কর্মী কাজ করে দুই হাজারের বেশি। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের অনেক কারাবন্দি নেতাকর্মীকে জেল থেকে জামিনে ছাড়িয়ে নেন তিনি। ভোটের আগে নানা প্রতিশ্রুতি দিয়েও মন জয়ের চেষ্টা করেন ভোটারদের। কিন্তু কোনো কাজ হয়নি। তবে নিজের অবস্থান টের পেয়ে নির্বাচনের একদিন আগে সংবাদ সম্মেলন করে কালোটাকা আর পেশিশক্তির ধুয়া তোলেন তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর বিরুদ্ধে।
০৮ জানুয়ারি ২০২৪, ১৫:৫৭
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়