• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo
মহাকাশে ডিনার করতে গুণতে হবে যত টাকা
মহাকাশে রেস্তোরাঁ খুলতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের ‘স্পেসভিআইপি’ নামে একটি মহাকাশ পর্যটন সংস্থা। পৃথিবী থেকে রেস্তোরাঁটিতে গিয়ে ডিনার করতে চাইলে গুণতে হবে প্রায় ৫ কোটি ডলার। স্পেসভিআইপি জানায়, রেস্তোরাঁটি যেই মহাকাশযানে থাকবে, সেটি পৃথিবী থেকে ৯৮ হাজার ফুট উপর দিয়ে ভ্রমণ করবে। আপাতত রেস্তোরাঁটিতে ছয়জন অতিথির বসার টেবিল থাকছে। তারা ৬ ঘণ্টা মহাকাশ ভ্রমণ করবেন। আকাশে ভাসতে ভাসতে তারা রাতের খাবার খেতে পারবেন। এর জন্য মাথাপিছু খরচ হবে প্রায় ৫ কোটি ডলার। মহাকাশযানটি ফ্লোরিডার কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে ২০২৫ সালে যাত্রা শুরু করবে। ইতোমধ্যে রেস্তোরাঁর জন্য বিশ্বের অন্যতম খ্যাতনামা এক ড্যানিশ শেফকে নিয়োগ দিয়েছে সংস্থাটি। সবচেয়ে দারুণ ব্যাপার হলো মহাকাশযানে চড়ে ডিনার করতে যেতে যাত্রীদের বিশেষ কোনো প্রশিক্ষণ নিতে হবে না। এরইমধ্যে মহাকাশে ডিনার করার জন্য ব্যাপক চাহিদা দেখা যাচ্ছে বলে জানিয়েছে স্পেসভিআইপি। এর আগে, ২০২৩ সালে ফরাসি সংস্থা জেফাল্টোও স্বল্প মূল্যে এ ধরনের একটি ভ্রমণের ঘোষণা দিয়েছিল। যার খরচ নির্ধারণ করা হয়েছিল ১ লক্ষ ৩২ হাজার ডলার।
২৭ মার্চ ২০২৪, ১২:৩৮

মহাকাশে প্রথম মানব ইউরি গ্যাগারিনের ৯০তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন
ঢাকার রাশিয়ান হাউস বাংলাদেশ অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের সহযোগিতায় প্রথম মহাকাশচারী ইউরি গ্যাগারিনের ৯০তম জন্মবার্ষিকীর আয়োজন করেছে। ঢাকার রাশিয়ান হাউসের উদ্যোগে এই অনুষ্ঠানের জন্য শিশু-কিশোরদের জন্য রকেট এবং বিমানের মডেল তৈরির কর্মশালা, ম্যাজিক শোসহ ‘রাশিয়ার হিস্ট্রি ইন স্পেস’ চলচ্চিত্রটির প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করা হয়েছিল। ঢাকায় রাশিয়ান হাউসের পরিচালক ইউরি গ্যাগারিনের জীবন ও তার ঐতিহাসিক মহাকাশ অভিযান নিয়ে কথা বলেন। তিনি বাংলাদেশ অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন এবং অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারীদের অভিনন্দন ও ধন্যবাদ জানান। বাংলাদেশ অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি জিকরুল হাসান এবং চেয়ারম্যান মসহুরুল আমিন এই অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য ঢাকায় রাশিয়ান হাউসের পরিচালককে ধন্যবাদ জানান এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের অনুষ্ঠানে তাদের সম্পৃক্ততার কথা জানান। অনুষ্ঠানের শেষে ঢাকায় রাশিয়ান হাউসের পরিচালক পাভেল দ্ভইচেনকভ অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে সার্টিফিকেট তুলে দেন।
১২ মার্চ ২০২৪, ২৩:৩৪

কৃষ্ণগহ্বর খুঁজতে মহাকাশে পাড়ি দিল ভারত
ব্ল্যাক হোল বা কৃষ্ণগহ্বর খুঁজতে মহাকাশে পাড়ি দিলো ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোর স্যাটেলাইট এক্সপোস্যাট। এটি ভারতের প্রথম এক্স-রে পোলারিমিটার স্যাটেলাইট, যা বিশ্বে দ্বিতীয়। এ ধরনের কৃত্রিম উপগ্রহ এর আগে মহাকাশে পাঠিয়েছে শুধুমাত্র নাসা। মহাকাশে কৃষ্ণগহ্বরের সন্ধান এবং পর্যবেক্ষণ করবে এই স্যাটেলাইট। এছাড়াও উজ্জ্বলতম ৫০টি শক্তির উৎস পর্যবেক্ষণ ‘এক্সপোস্যাটের’ তালিকায় রয়েছে। মহাকাশের নিউট্রন স্টারগুলোকেও এই কৃত্রিম উপগ্রহের মাধ্যমে অধ্যয়ন করবেন বিজ্ঞানীরা। বছরের প্রথম দিনটিকেই এই কাজের জন্য বেছে নিয়েছে ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা। সোমবার (১ জানুয়ারি) ঠিক সকাল ৯টা ১০ মিনিটে শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান স্পেস রিসার্চ সেন্টার থেকে পোলার স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিক্‌ল বা পিএসএলভির পিঠে চেপে যাত্রা শুরু করেছে এক্সপোস্যাট। পিএসএলভি-র এটি ৬০তম মহাকাশ যাত্রা। ইসরোর পক্ষ থেকে সামাজিক মাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে এই সাফল্যের কথা জানানো হয়। আপাতত এক্সপোস্যাটকে রাখা হয়েছে পৃথিবী থেকে ৬৫০ কিলোমিটার দূরের কক্ষপথে। মহাকাশে এই কৃত্রিম উপগ্রহটির আয়ু পাঁচ বছর। পৃথিবীর ওপরে নিচু কক্ষপথেই প্রদক্ষিণ করবে এক্সপোস্যাট। ভূমি থেকে তার সর্বোচ্চ উচ্চতা হবে ৫০০ থেকে ৭০০ কিলোমিটার। এক্সপোস্যাটে রয়েছে দু’টি পেলোড- পোলিক্স (পোলারিমিটার ইনস্ট্রুমেন্ট ইন এক্স-রে) এবং এক্সস্পেক্ট (এক্স-রে স্পেকট্রোস্কোপি অ্যান্ড টাইমিং)। রমন রিসার্চ ইনস্টিটিউট এবং ইউআর রাও স্যাটেলাইট সেন্টার যৌথ ভাবে এই পেলোড তৈরি করেছে। মহাকাশে এক্স রশ্মির উৎস খুঁজবে এক্সপোস্যাট। এর মাধ্যমে কৃষ্ণগহ্বর সম্পর্কে গবেষণায় নতুন দিশা পেতে চলেছে ইসরো। কৃষ্ণগহ্বরের উপস্থিতি, সন্ধান, উৎস প্রভৃতি নানা তথ্য জোগাড় করবে এই স্যাটেলাইট। মহাকাশে যখন কোনও তারার ‘মৃত্যু’ হয় অর্থাৎ কোনও নক্ষত্র ধ্বংস হয় তখন সৃষ্টি হয় কৃষ্ণগহ্বর এবং নিউট্রন স্টার। বিশ্বব্রহ্মাণ্ডে সর্বোচ্চ মহাকর্ষীয় বলের অধিকারী ব্ল্যাক হোল। এছাড়া অনেকগুলো নিউট্রন কণা গাঢ় ঘনত্বে একত্রিত হয়ে তৈরি তারার নাম নিউট্রন স্টার। এ ধরনের নক্ষত্র অত্যন্ত ক্ষুদ্র আকারের হয়। সর্বসাকুল্যে নিউট্রন স্টারের ব্যাসার্ধ ৩০ কিলোমিটারের বেশি নয়। সেই নক্ষত্রগুলোকেও পর্যবেক্ষণ করবে এক্সপোস্যাট। এই মিশনে ২৫০ কোটি টাকা খরচ করেছে ইসরো। ইসরো চেয়ারম্যান এস সোমনাথ বলেন, ‘আরও এক সাফল্য পেলাম পিএসএলভি-তে। এক্সপোস্যাট স্যাটেলাইট নির্দিষ্ট কক্ষপথে বসিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমাদের সামনে আরও উত্তেজনাময় সময় অপেক্ষা করছে। মাত্রই বছর শুরু হলো। এ বছর আরও অনেক প্রকল্প রয়েছে। ২০২৪ গগনযানের বছর।
০১ জানুয়ারি ২০২৪, ১৩:০৩
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়