• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo
ঈদের দিন বাংলা মদ খেয়ে তিন বন্ধুর মৃত্যু
নওগাঁর মান্দায় বাংলা মদ খেয়ে তিন বন্ধুর মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সন্ধ্যায় উপজেলার পাকুরিয়া গ্ৰামে এ ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন, উপজেলার প্রসাদপুর ইউনিয়নের দারিয়াপুর গ্ৰামের আলী নেকবর আলীর ছেলে নিশাত (১৭), ভারশোঁ ইউনিয়নের পাকুরিয়া গ্ৰামের আক্কাসের ছেলে শারিকুল ইসলাম পিন্টু (১৮) এবং একই গ্ৰামের আব্দুর রশিদের ছেলে আশিক (১৮)। তারা সবাই মান্দার উত্তরা কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র বলে জানা যায়।  স্থানীয়দের বরাত দিয়ে মান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাম্মেল হক কাজী জানান, বিকেলে পাকুরিয়া গ্রামে বন্ধুরা মিলে বাংলা মদ পান করেন। এদের মধ্যে ওই তিনজন অসুস্থ হয়ে পড়ে। এরপর নিশাত ও শারিকুলকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করে। আর আশিক ঘটনাস্থলে মারা যায়। ওসি আরও বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে অতিরিক্ত বাংলা মদ পানে তাদের মৃত্যু হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নওগাঁ সদর হাসপাতালে পাঠানো হবে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলেই তাদের মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।    
১১ এপ্রিল ২০২৪, ২২:২০

ভারতীয় ভাইবোনকে জোরকরে মদ খাওয়ানোর চেষ্টা, অতঃপর...
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দরের কাস্টমসে ভারতীয় দুই যাত্রীকে জোর করে মদ খাওয়ানোর চেষ্টার ঘটনায় কাস্টমসের সিপাহী মো. রুবেলকে তাৎক্ষণিক বদলি করা হয়েছে। ভারতীয় দুই যাত্রী সম্পর্কে ভাইবোন বলে জানা গেছে।  বৃহস্পতিবার আখাউড়া শুল্ক স্টেশন থেকে তাকে কুমিল্লা কাস্টমস কমিশনার কার্যালয়ে ন্যস্ত করা হয়।  শুক্রবার (৫ এপ্রিল) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আখাউড়া স্থলবন্দরের রাজস্ব কর্মকর্তা আব্দুল কাইয়ুম তালুকদার । তিনি বলেন, ‘সেদিনের ঘটনাটি ছিল অনাকাঙ্ক্ষিত। বিদেশি পাসপোর্টধারী যাত্রীরা সঙ্গে একটি করে মদের বোতল নিতে পারবেন এমন নিয়ম রয়েছে। ভারতীয় ওই যাত্রীদের ব্যাগ তল্লাশি করে দুটি মদের বোতল পাওয়া যায়। সম্পর্কে ওই যাত্রীরা ভাইবোন ছিলেন। বিষয়টি নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়।’ ওই ভুক্তভোগীরা হলেন ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলার জোগেন্দ্রনগর এলাকার সঞ্জিত সাহা ও তার বোন ঐশী সাহা। জানা যায়, বুধবার দুপুরে ওই দুই ভাইবোন তাদের আরেক আত্মীয় বৈধভাবে বাংলাদেশে প্রবেশ করেন। এ সময় তাদের ব্যাগ তল্লাশি করে একটি মদের বোতল পাওয়া যায়। এটি নিতে হলে তাদেরকে এক হাজার টাকা দিতে হবে জানানো হয়। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী সঞ্জিত সাহা বলেন, ‘নিয়ম মেনেই এক বোতল মদ এনেছিলাম আমরা। কিন্তু কাস্টমসের একজন বলছিল এটা নিতে হলে এক হাজার টাকা দিতে হবে। এ ছাড়া নেওয়া যাবে না। এতে রাজি না হওয়ায় আমার বোন ঐশী সাহাকে জোর করে মদ খাইয়ে দিতে চায়। আমাকেও খেতে বলে। আমি বাংলাদেশ সরকারের কাছে এ ঘটনার বিচার চাই। পরে এমন আচরণের বিষয়টি আখাউড়া স্থলবন্দরের রাজস্ব কর্মকর্তার মাধ্যমে তাৎক্ষণিকভাবে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করার পর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ তাকে প্রত্যাহার করেন।’
০৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১:৪৪

সন্দ্বীপে বিদেশি মদসহ অটোরিকশাচালক গ্রেপ্তার 
চট্টগ্রামের সন্দ্বীপে বিদেশি মদসহ আবু তাহের (৩৮) নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।  সোমবার দিবাগত রাত ১টার দিকে থানা পুলিশের বিশেষ অভিযানে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাহের হারামিয়া ৮ নম্বর ওয়ার্ডের রুহুল আমিনের ছেলে। সে পেশায় একজন অটোরিকশাচালক।  সন্দ্বীপ থানার অফিসার ইনচার্জ মো. কবির হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, থানা পুলিশের বিশেষ অভিযানে এনাম নাহার মোড়ের পাশে এক বাড়ি থেকে ২৩ বোতল ভারতীয় মদ উদ্ধার করা হয়। এ সময় আবু তাহের নামে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ঘটনায় সন্দ্বীপ থানায় মাদকদ্রব্য আইনে মামলা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, গ্রেপ্তারকৃত আসামির স্বীকারোক্তিতে মো. ফয়সাল নামে আরও একজনকে আসামি করা হয়েছে। আসামি ফয়সাল হারামিয়া ৮ নম্বর ওয়ার্ডস্থ সেলিমের নতুন বাড়ির সেলিমের পুত্র। অভিযান পরিচালনা করেন এসআই রমজান আলী।
০২ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:৫০

বিনাশুল্কে মদ আমদানির তথ্যটি ভিত্তিহীন (ভিডিও)
বাংলাদেশে মদ আমদানি হয় বিনাশুল্কে এবং খেজুর আমদানি করতে হয় শুল্ক দিয়ে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হওয়ার পাশাপাশি বিএনপি নেতা মির্জা আব্বাসের দেওয়া এমন বক্তব্য একেবারেই সঠিক নয়। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড-এনবিআরের তথ্যে, দেশে মদ আমদানিতে কর পরিশোধ করতে হয় ৫৯৬ দশমিক ২ শতাংশ। এর মধ্যে সম্পূরক শুল্কই ৩৫০ শতাংশ। এদিকে খেজুরের আমদানিতে কর দিতে হয় ৪৩ শতাংশ। ফেসবুকে গত দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে ঘুরে বেড়ানো ভাইরাল পোস্ট হলো- ‘দেশে খেজুর আমদানি হয় ২০৮ শতাংশ শুল্ক দিয়ে, আর মদ আমদানি হয় বিনাশুল্কে’। এমন তথ্যকে আমলে নিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস গত ২০ মার্চ রাজধানীতে আয়োজিত ইফতার মাহফিলে বলেন একই কথা।  তিনি বলেন, বাংলাদেশ ৯০ ভাগ মুসলমানের দেশ। এ দেশে মদ আমদানি হয় বিনা শুল্কে, আর খেজুর আমদানি হয় শুল্ক দিয়ে। এ বিষয়ে অনুসন্ধানে এনবিআর এবং কাস্টমসের ওয়েবসাইটে দেওয়া তথ্য যাচাই করে আরটিভি। এতে দেখা যায়, মদ ও খেজুর এ দুটি পণ্য আমদানিতে কাস্টমসে পরিশোধ করতে হয় নির্দিষ্ট পরিমাণ শুল্ক। যাতে খেজুরের চেয়ে মদ আমদানিতে শুল্ক দিতে হয় বহুগুণ বেশি। ২ লিটারের বেশি অ্যালকোহল জাতীয় পানীয় আমদানিতে মোট কর পরিশোধ করতে হয় ৫৯৬ দশমিক ২ শতাংশ। এর মধ্যে সম্পূরক শুল্ক সাড়ে তিন শ’ শতাংশ। ২৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক, নিয়ন্ত্রক শুল্ক ৩ শতাংশ এবং ১৫ শতাংশ ভ্যাটের পাশাপাশি ৫ শতাংশ করে অগ্রিম কর ও অগ্রিম আয়কর দিতে হয়। অর্থাৎ ১০০ টাকার মদ আমদানিতে শুধু কর দিতে হয় প্রায় ৬০০ টাকা। অবশ্য, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমতি নিয়ে বিদেশি কূটনীতিক ছাড়াও বিশেষ সুবিধাভোগী বিদেশি নাগরিক কূটনৈতিক বন্ডেড ওয়্যারহাউস থেকে শুল্কমুক্ত সুবিধায় মদ কিনতে পারেন। এদিকে খেজুর আমদানিতে মোট কর পরিশোধ করতে হয় ৪৩ শতাংশ। এর মধ্যে আমদানি শুল্ক ১৫ শতাংশ যা গত মাসেও ছিল ২৫ শতাংশ। এ ছাড়া নিয়ন্ত্রক শুল্ক, ভ্যাট, অগ্রিম কর ও আয়কর পরিশোধ করতে হয় সাধারণ নিয়মেই। এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান ড. আব্দুল মজিদের মতে, আমদানি শুল্ক ফাঁকি রোধে এনবিআরকে তৎপর থাকতে হবে। তিনি বলেন, শুল্ক ফাঁকি রোধ করা যার কাজ ছিল তিনি তা করছেন কি না এটার দেখার বিষয়। ব্রিটিশদের একটা কথা গুরুত্বপূর্ণ। তা হলো- চোর তো চুরি করবেই। কিন্তু গৃহস্থকে সজাগ থাকতে হবে।
২৫ মার্চ ২০২৪, ০৯:১২

মদ কোম্পানির লোগো ছাড়া খেলতে নেমে প্রশংসায় ভাসছেন মোস্তাফিজ
ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) ১৭তম আসরের উদ্বোধনী ম্যাচে চার উইকেট শিকার করে চেন্নাইকে জয় এনে দিতে বিশেষ অবদান রাখেন মোস্তাফিজুর রহমান। এ ছাড়াও আরও একটি কারণে প্রশংসায় ভাসছেন এই টাইগার পেসার। শুক্রবার (২২ মার্চ) চেন্নাইয়ের এমএ চিদাম্বরম স্টেডিয়ামে জার্সিতে অ্যালকোহল কোম্পানির লোগো ছাড়াই মাঠে নামেন ফিজ। ম্যাচে চেন্নাইয়ের একাদশে থাকা অন্যান্য ক্রিকেটারদের জার্সির হাতায় সেই মদ ব্র্যান্ডের লোগো থাকলেও সেটি দেখা যায়নি কাটার মাস্টারের জার্সিতে। যা নিয়ে রীতিমতো প্রশংসায় ভাসছেন বাংলাদেশি এই মুসলিম ক্রিকেটার। ক্রিকেট বিশ্বে এরকম ঘটনা নতুন কিছু নয়। যে কাতারে ছিলেন হাশিম আমলা, মইন আলীসহ বিশ্বের নামকরা সব মুসলিম ক্রিকেটার। এবার সেই খাতায় নিজের নাম লেখালেন বাংলাদেশের মোস্তাফিজুর রহমান। ম্যাচে যারা বাঁহাতি রয়েছে তাদের জার্সির ডান হাতায় দেখা গেছে সেই লোগো। একইভাবে সিএসকের উইকেট কিপার ব্যাটার ধোনির বামহাতে ছিল সেই লোগো। কারণ, ধোনি ডানহাতি ব্যাটার। তাই, সে অনুযায়ী ফিজের ডান হাতেই অ্যালকোহল কোম্পানির সেই লোগো থাকার কথা ছিল। গুঞ্জন আছে, জার্সিতে মদের ব্র্যান্ডের লোগো ছাড়া মাঠে নামার এ ঘটনায় জরিমানার মুখোমুখি হতে পারেন ফিজ। যদিও এ বিষয়ে তিনি সিএসকের ম্যানেজমেন্ট এর কাছ থেকে অনুমতি নিয়েছিলেন কিনা সে বিষয়ে এখনও কিছু জানা যায়নি। অনুমতি থাকলে, লোগো না লাগানোর কারণে এই নির্দিষ্ট স্পন্সরের অর্থ পাবেন না তিনি।  উদ্বোধনী ম্যাচে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে ১২০ ফ্যান্টাসি পয়েন্ট নিজের করে নিয়েছেন কাটার মাস্টার। ফলে, ফ্যান্টাসি প্লেয়ার অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার ওঠে তার হাতে। আর ৪ ওভারে ২৯ রানের খরচায় বেঙ্গালুরুর মূল্যবান ৪টি উইকেট নেয়ায় ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কারও জিতে নেন ফিজ। 
২৩ মার্চ ২০২৪, ১৯:৪৭

কালিয়াকৈরে মদ পান করে ২ জনের মৃত্যু
গাজীপুরের কালিয়াকৈরে হরিণহাটি গ্রামে অতিরিক্ত মদপানে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠাচ্ছে।  শুক্রবার (২ মার্চ) দিবাগত রাতে উপজেলার পল্লীবিদ্যুৎ সরকার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। মৃতরা হলেন, জয়পুরহাটের পাঁচবিবি থানার পূর্ব বালিঘাটা গ্রামের আজিবর রহমানের ছেলে হেলাল উদ্দিন (৪২), দিনাজপুরের বিরামপুর থানার ঘরের পাড় শিমুতলী গ্রামের তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে কাদেরুল (২৮)। তাদের মধ্যে হেলাল পেশায় কসাই ও কাদেরুল স্থানীয় একটি বেকারির শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন। তারা দুজনই গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার হরিণহাটি গ্রামের দুলাল উদ্দিন সরকারের বাড়ির ভাড়াটিয়া। স্থানীয় ও স্বজনদের বরাত দিয়ে জানা যায়, গত শুক্রবার দিবাগত রাতে দেশীয় মদ (বাংলা মদ) পান করে অসুস্থ হয়ে মারা যান হেলাল উদ্দিন ও কাদেরুল। পরে তারা অসুস্থ হয়ে পড়লে রাতেই তাদের চিকিৎসার জন্য টাঙ্গাইলের মির্জাপুর থানার কুমুদিনী হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়। ওই হাসপাতালেই রাত ১টার দিকে হেলাল উদ্দিন ও দেড়টার দিকে কাদেরুকে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের কুমুদিনী হাসপাতালের ডিজিএম (অপারেশন) অনিমেষ ভৌমিক লিটন বলেন, আমি বিষয়টি জেনেছি। দুইজনই এখানে আসার আগেই মারা গিয়েছিল। তাদের জরুরি বিভাগে আনার পরে মৃত ঘোষণা করা হয়।  কালিয়াকৈর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএফএম নাসিম বলেন, দুইজন লোক মারা গেছে। তাদের আত্মীয়-স্বজনরা বলছেন বিষক্রিয়ায় মারা গেচ্ছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, তারা মদপান করে বিষক্রিয়ায় মারা গেছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে, ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। এ ঘটনায় থানায় অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।  
০২ মার্চ ২০২৪, ১৫:৩৩

মদ পান করায় যুবলীগ নেতা বহিষ্কার
যশোরে ‘মদ্যপ’ অবস্থায় গ্রেপ্তার হয়ে যুবলীগ থেকে বহিষ্কার হয়েছেন যশোর পৌরসভার কাউন্সিলর জাহিদ হোসেন মিলন ওরফে টাক মিলন। বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) রাতে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এদিন রাতেই যুবলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে তাকে বহিষ্কারের বিষয়টি জানানো হয়।  জানা গেছে, কাউন্সিলর জাহিদ হোসেন মিলন যশোর পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও জেলা যুবলীগের প্রচার সম্পাদক। যশোর কোতোয়ালি থানায় তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। বুধবার রাতে যশোর শহরের পালবাড়ি মোড়ে নিজের ব্যক্তিগত কার্যালয় থেকে মিলনসহ ৪ জনকে ‘মদ্যপ’ অবস্থায়  গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এ ঘটনায় রাতেই যশোর কোতোয়ালি থানায় মামলা করা হয়। ওই মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়। গ্রেপ্তার অপর ৩ জন হলেন- শেখ দস্তগীর হোসেন (৪৪), শফিকুল ইসলাম (৩৭) ও মারুফুজ্জামান (৩৯)। জেলা পুলিশ ও গোয়েন্দা সূত্রে জানা যায়, এদিন রাতে পৌনে ৮টার দিকে পুলিশ জানতে পারে শহরের পালবাড়ি এলাকার একটি ভবনে কিছু উচ্ছৃঙ্খল ব্যক্তি মদ্যপ অবস্থায় নিজেদের মধ্যে গোলযোগ করছেন। এরপর পুলিশ সেখানে হাজির হয়ে পৌর কাউন্সিলর মিলনসহ তিন জনকে গ্রেপ্তার করে। যুবলীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শামীম আল সাইফুল সোহাগ মিলনের বহিষ্কারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। যুবলীগের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘যুবলীগ একটি সুশৃঙ্খল সংগঠন। এ সংগঠনের ভাবমূর্তি বজায় রাখার দায়িত্ব সবার। জেলা যুবলীগের প্রচার সম্পাদক জাহিদ হোসেন মিলনের গঠনতন্ত্র পরিপন্থী ও শৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকাণ্ডের প্রমাণ রয়েছে। যা সংগঠনের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন ও শৃঙ্খলা বিনষ্ট করেছে। এ কারণে যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশের নির্দেশে জাহিদ হোসেন মিলনকে সংগঠন থেকে সাময়িক অব্যাহতি দেওয়া হলো। তবে বিজ্ঞপ্তিতে গঠনতন্ত্র পরিপন্থী ও শৃঙ্খলা বিরোধী কর্মকাণ্ডের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে বলা হলেও সুনির্দিষ্টভাবে কোনো অভিযোগের কথা উল্লেখ করা হয়নি। এ বিষয়ে জেলা যুবলীগের সভাপতি মোস্তফা ফরিদ আহমেদ চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম চাকলাদার রেন্টু কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে যুবলীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শামীম আল সাইফুল সোহাগ বলেন, সংগঠনের শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে যশোর জেলা যুবলীগের প্রচার সম্পাদক পদ থেকে জাহিদ হোসেন মিলনকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৭:৫৮

মদ খেলে কি ৪০ দিন শরীর নাপাক থাকে?
মদ নাপাক এবং মদ্যপান সরাসরি কোরআনে ঘোষিত অকাট্য হারাম কাজ। আনন্দ-ফুর্তি, উদযাপনের অংশ হিসেবেও অনেকে মদ পান করেন এবং একে স্বাভাবিক ব্যাপার মনে করেন। কিন্তু এতে শারীরিক বিভিন্ন ক্ষতির পাশাপাশি ধর্মীয় বিধি-নিষেধের ব্যাপারটি বেমালুম ভুলে যান। অথচ পবিত্র কোরআনে মদ পানকে শয়তানের কর্ম বলে আখ্যা দেওয়া হয়েছে। ইরশাদ হয়েছে,  یٰۤاَیُّهَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡۤا اِنَّمَا الۡخَمۡرُ وَ الۡمَیۡسِرُ وَ الۡاَنۡصَابُ وَ الۡاَزۡلَامُ رِجۡسٌ مِّنۡ عَمَلِ الشَّیۡطٰنِ فَاجۡتَنِبُوۡهُ لَعَلَّکُمۡ تُفۡلِحُوۡنَ اِنَّمَا یُرِیۡدُ الشَّیۡطٰنُ اَنۡ یُّوۡقِعَ بَیۡنَکُمُ الۡعَدَاوَۃَ وَ الۡبَغۡضَآءَ فِی الۡخَمۡرِ وَ الۡمَیۡسِرِ وَ یَصُدَّکُمۡ عَنۡ ذِکۡرِ اللّٰهِ وَ عَنِ الصَّلٰوۃِ ۚ فَهَلۡ اَنۡتُمۡ مُّنۡتَهُوۡنَ হে মুমিনগণ, মদ, জুয়া, প্রতিমা-বেদী ও ভাগ্যনির্ধারক তীরসমূহ নাপাক শয়তানের কর্ম। সুতরাং তোমরা তা পরিহার কর, যাতে তোমরা সফলকাম হও। শয়তান মদ ও জুয়ার মাধ্যমে তোমাদের মধ্যে শত্রুতা ও বিদ্বেষ সঞ্চার করতে চায়। আর (চায়) আল্লাহর স্মরণ ও সালাত থেকে তোমাদের বাধা দিতে। অতএব, তোমরা কি বিরত হবে না? (সুরা মায়েদা: ৯০-৯১) ইবনে ওমর (রা.) থেকে বর্ণিত রাসুল (সা.) বলেছেন, لَعَنَ اللَّهُ الْخَمْرَ وَشَارِبَهَا وَسَاقِيَهَا وَبَائِعَهَا وَمُبْتَاعَهَا وَعَاصِرَهَا وَمُعْتَصِرَهَا وَحَامِلَهَا وَالْمَحْمُولَةَ إِلَيْهِ ‏ আল্লাহর লানত মদের ওপর, মদ পানকারীর ওপর, যে পান করায় তার ওপর, যে বিক্রি করে তার ওপর, যে ক্রয় করে তার ওপর, যে মদ তৈরি করে, যার নির্দেশে তৈরি করে, যে ব্যক্তি বহন করে এবং যার জন্য বহন করে তাদের সবার ওপর। (সুনানে আবু দাউদ) রাসুলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, যে ব্যক্তি মদ পান করে ৪০ দিন পর্যন্ত তার নামাজ কবুল হয় না। হ্যাঁ, সে যদি তওবা করে আল্লাহ তাআলা তার তওবা কবুল করেন। (সুনানে তিরমিজী, হাদিস: ১৮৬২, ইমাম তিরমিজী এই হাদিসকে হাসান বলেছেন)   এ হাদিসের উদ্দেশ্য মদ্যপান কত গর্হিত গোনাহ তা বোঝানো এবং মানুষকে সাবধান করা। অনেকের মধ্যে একটা ভুল ধারণা প্রচলিত রয়েছে যে, মদ খেলে ৪০ দিন শরীর নাপাক থাকে এবং নামাজ পড়লে নামাজ শুদ্ধ হয় না। এ ধারণা সঠিক নয়। মদ নাপাক ও মদ্যপান গর্হিত হারাম কাজ হলেও, শয়তানের ধোঁকায় পড়ে কখনও মদ খেয়ে ফেললে সেজন্য নামাজ বাদ দেওয়া যাবে না। নামাজ পড়তে হবে এবং মদ খাওয়ার গর্হিত গুনাহের জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করতে হবে।
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৫:০৫

মদ পানে গ্রামপুলিশের মৃত্যু
দিনাজপুরের বিরামপুরে অতিরিক্ত মদ পানে মনজুরুল ইসলাম (৫৫) নামের এক গ্রামপুলিশের সদস্যের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।  শনিবার ভোরে বিনাইল ইউনিয়নের দেশমা বাজারের পাশ থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে বিরামপুর থানা পুলিশ।  নিহত মনজুরুল ইসলাম ওই ইউনিয়নের গঙ্গাদাশপুর এলাকার নছির ফকিরের ছেল। বিরামপুর থানার অফিসার ইনচার্জ সুব্রত কুমার সরকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।  স্থানীয় বিনাইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির বাদশা পরিবারের বরাত দিয়ে বলেন, বেশ কিছুদিন ধরে গ্রামপুলিশ মনজুরুল ইসলাম আদিবাসী গ্রামে গিয়ে দেশি মদ পান করে আসছিলেন। শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) রাতেও পরিবারের সবার অজান্তে আদিবাসী গ্রামে গিয়ে অতিরিক্ত মদ পান করেন তিনি। পরে ওই গ্রামের পাশে রাস্তার পাশেই বসে থাকা অবস্থায় ভোরের দিকে তিনি মারা যান। সকালে খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে। বিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুব্রত কুমার সরকার বলেন, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য দিনাজপুরের এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে। তদন্তের রিপোট আসলে প্রকৃত ঘটনা সর্ম্পকে জানা যাবে।   
১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৪:২৭

মদ বিক্রির সময় সাবেক ছাত্রলীগ নেতা গ্রেপ্তার
গাজীপুরের শ্রীপুরে বিপুল পরিমাণ ভারতীয় মদ বিক্রির সময় মাওনা পিয়ার আলী কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাইফ শাহরিয়ার অভিসহ তার ৬ সহযোগীকে গ্রেপ্তার করেছে গাজীপুর জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে সাড়ে ৭ লাখ টাকা মূল্যের ভারতের বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ১২৫ বোতল মদ উদ্ধার করা হয়। শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টায় মাওনা ইউনিয়নের পাথারপাড় এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। সোমবার (২৯ জানুয়ারি) বেলা ১১টায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গাজীপুর জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- গাজীপুরের শ্রীপুরের মাওনা পিয়ার আলী কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও শ্রীপুর পৌরসভার কেওয়া পশ্চিম খণ্ড (প্রশিকা মোড়) এলাকার ইকবাল হোসেনের ছেলে সাইফ শাহরিয়ার অভি (২৬), একই কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাবেক কর্মী শ্রীপুর পৌরসভার কেওয়া পশ্চিম খণ্ড (চেয়ারম্যান বাড়ীর মোড়) এলাকার নয়নের ছেলে আশরাফুল (২৩), শ্রীপুরের মাওনা ইউনিয়নের বারতোপা গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে আসাদুল ইসলাম রনি (২৬), নেত্রকোণার পূর্বধলা উপজেলার নারায়ন ডহর গ্রামের ফজলুল হকের ছেলে রেজাউল করিম (২৬), একই জেলার দুর্গাপুর উপজেলার বারমারি (লক্ষীপুর) গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে শহীদ মিয়া (২৫) এবং ময়মনসিংহের কোতোয়ালি থানার চরকালিবাড়ী গ্রামের মোস্তফার ছেলে লিমন মিয়া (২৩)।   গাজীপুর জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মেহেদী হাসান জানান, নেত্রকোণার রেজাউল করিমের মাধ্যমে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা সাইফ শাহরিয়ার অভি দুর্গাপুর উপজেলার সীমান্ত এলাকা থেকে ড্রাম ট্রাকে বালি নিয়ে মাওনায় শ্রীপুরের মাওনায় (পাথারপাড়) নিয়ে আসেন। গোপন সূত্রে গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ জানতে পারে ওই ট্রাকের বালির মধ্যে ড্রামে ভরা বিদেশি মদ রয়েছে। এমন খবরে গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ সেখানে অভিযান চালিয়ে পিয়ার আলী কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাইফ শাহরিয়ার অভিসহ তার ৬ সহযোগীকে ভারতের বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ১২৫ বোতল মদসহ গ্রেপ্তার করে। তাদের মধ্যে সাইফ শাহরিয়ার অভি ও রেজাউল করিমকে ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করে রোববার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক গাজীপুর জেলা ছাত্রলীগের নির্ভরযোগ্য সূত্র নিশ্চিত করেছে কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাইফ শাহরিয়ার অভি বর্তমানে যুবলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। তাদের একজন জানান, মাদকসহ কোনো অনৈতিক কাজের সঙ্গে ছাত্রলীগের কোনো আপস নেই। যদি কেউ অপরাধ করে থাকে তাহলে দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী তার বিচার হবে। গাজীপুর জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন জানান, গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে শ্রীপুর থানায় মাদকদ্রব্য আইনে নিয়মিত মামলা রুজু হয়েছে। তাদের মধ্যে দুজনকে ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
২৯ জানুয়ারি ২০২৪, ১৫:১৭
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়