• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo
পরিচয়ে লেখক, আদতে ভয়ঙ্কর শিশু পর্নোগ্রাফার
তিনি একজন শিশুসাহিত্যিক ও চিত্রগ্রাহকও বটে। বেশির ভাগ কাজ করেন পথশিশুদের নিয়ে। টিপু কিবরিয়া নামে পরিচিত এ শিশুসাহিত্যিক জড়িয়ে পড়েছেন জঘন্য এক অপরাধে। শিশু পর্নোগ্রাফি তৈরি ও বিদেশে বিক্রির অভিযোগে এক সহযোগীসহ গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাকে।  এ সময় এক শিশুকেও উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়াও শিশু পর্নোগ্রাফির কনটেন্ট ও পর্নোগ্রাফি তৈরির সরঞ্জাম জব্দের কথা জানিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট। গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর খিলগাঁও থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করে সিটিটিসির স্পেশাল অ্যাকশন গ্রুপ বিভাগের এন্টি ইলিগ্যাল আর্মস রিকোভারি টিম। তারা হলেন টি আই এম ফখরুজ্জামান ওরফে টিপু কিবরিয়া ও মো. কামরুল ইসলাম ওরফে সাগর।  বুধবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোড ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানিয়েছেন ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার মো. আসাদুজ্জামান। তিনি বলেন, গ্রেপ্তারকৃত ফকরুজ্জামান এক সময়কার খুব জনপ্রিয় শিশু সাহিত্যিক। তিনি টিপু কিবরিয়া নামে পরিচিত। টিপু কিবরিয়া জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৮৭ সালে বাংলায় স্নাতক এবং ১৯৮৮ সালে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৯১ সালে সেবা প্রকাশনীর মাসিক ‘কিশোর পত্রিকা’য় সহকারী সম্পাদক পদে যোগদানের মাধ্যমে কর্মজীবনে প্রবেশ করেন। তিনি ফ্রিল্যান্স আলোকচিত্রী হিসেবে কাজ করার পাশাপাশি শিশু সাহিত্য রচনা করতেন। তার অর্ধশতাধিক বই রয়েছে।  পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, ২০০৫ সাল থেকে শিশু পর্নোগ্রাফি উৎপাদন ও বিতরণের সঙ্গে জড়ান টিপু কিবরিয়া। দীর্ঘদিন এই অপরাধের সঙ্গে জড়িত থাকার পর ২০১৪ সালে সিআইডির কাছে গ্রেপ্তার হন এবং তার নামে পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা হয়। ২০২১ সালে জেল থেকে মুক্তি পেয়ে পুনরায় সাহিত্য নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েন টিপু কিবরিয়া। ‘একশো এক’ নামে একটি কবিতার বই প্রকাশ করে। একই সাথে, সাহিত্য চর্চার আড়ালে পুনরায় শিশু পর্নোগ্রাফির সেই পুরোনো পথেই হাঁটতে শুরু করেন টিপু কিবরিয়া। জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তিনি ছিন্নমূল ছেলে পথশিশুদের ব্যবহার করে পর্নোগ্রাফি কন্টেন্ট বানান। ঢাকা শহরের বিভিন্ন জায়গা থেকে সাংবাদিক বেশে পথশিশুদের অর্থের লোভ দেখিয়ে বাসায় ডেকে নিজের ক্যামেরার সাহায্যে বিভিন্ন অঙ্গভঙ্গির নগ্ন ছবি, শরীরের বিভিন্ন গোপনাঙ্গের ছবি তোলেন এবং ভিডিও করেন। নিজের বাসা ছাড়াও বিভিন্ন পার্কের নির্জন ঝোপঝাড়ে এই ছিন্নমূল শিশুদের একই প্রক্রিয়ায় অশ্লীল ছবি ও ভিডিও ধারণ করেন। শিশুদের সংগ্রহ করার জন্য তার কয়েকজন সহযোগী রয়েছে। যাদের মধ্যে একজন সহযোগীকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিকভাবে তার ব্যবহৃত ডিভাইসগুলো থেকে প্রায় ২০ জন পথশিশুর ছবি ভিকটিম হিসেবে শনাক্ত করা গেছে। তার ব্যবহৃত ক্যামেরা, পিসি ও ক্লাউড স্টোরেজ থেকে পর্নোগ্রাফির উদ্দেশ্যে তোলা প্রায় ২৫শ’ শিশুর স্থিরচিত্র ও প্রায় এক হাজার ভিডিও কনটেন্টের সন্ধান পাওয়া গেছে। তার ডেস্কটপে অসংখ্য ছিন্নমূল ছেলে পথশিশুদের প্রচুর অশ্লীল ছবি ও ভিডিও পাওয়া গেছে। তিনি এসব কনটেন্ট বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিকৃত রুচির গ্রাহকের কাছে বিক্রি করতেন। অভিযান পরিচালনার সময় তার বাসায় তার ব্যবহৃত ডেস্কটপটি পরীক্ষা করে দেখা যায়, তিনি MEGA এবং Totanota নামক দুইটি এনক্রিপ্টেড অ্যাপসের মাধ্যমে তার ক্রেতাদের সাথে যোগাযোগ করেন। এ পর্যন্ত প্রাথমিকভাবে ইতালি, অস্ট্রেলিয়া ও জর্মানির নাগরিকসহ প্রায় ২০-২৫ টি Totanota ও MEGA আইডি শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে। যারা এসব আইডি দিয়ে মূলহোতা টিপু কিবরিয়ার সাথে শিশু পর্নোগ্রাফির বিভিন্ন কনটেন্টের জন্য যোগাযোগ করত। এ ছাড়া তার ব্যবহৃত ক্যামেরা, পিসি ও ক্লাউড স্টোরেজ থেকে প্রাথমিকভাবে প্রায় ২৫শ’ শিশু পর্নোগ্রাফির উদ্দেশ্যে তোলা স্থির চিত্র ও প্রায় এক হাজার ভিডিও কনটেন্টের সন্ধান পাওয়া গেছে। তার ডেস্কটপে অসংখ্য ছিন্নমূল ছেলে পথশিশুদের প্রচুর অশ্লীল ছবি ও ভিডিও পাওয়া গিয়েছে।
২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৬:২৩

শীতে গরম পানিতে গোসলে ভয়ঙ্কর বিপদ
শীতের তীব্রতা কিছুটা কমলেও ঠান্ডা কমেনি। গত কয়েক দিন কুয়াশার দাপটও ছিল দেখার মতো। দেশের বিভিন্ন জেলার মানুষ টানা পাঁচ থেকে সাতদিন ধরে পাননি সূর্যের দেখা। রাজধানীতে কিছুটা সময়ের জন্য রোদের দেখা মিললেও দিনের অধিকাংশ সময়ই ছিল মেঘাচ্ছন্ন আকাশ। মূলত, দমকা হাওয়া বা বৃষ্টি না হলে ঘন কুয়াশা সরবে না। আর কুয়াশা না সরলে রোদ এসে শীতের দাপটও কমাতে পারবে না। এমনতাবস্থায় শীতকাতুড়ে আর ঠান্ডাজনিত রোগ যাদের পিছু ছাড়ে না তাদের জন্য গোসল একটি বাড়তি বিড়ম্বনা। শীতে গোসল কষ্ট থেকে বাঁচতে গরম পানিতে আস্থা প্রায় সবার। তবে এটি যে শরীরে বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে, তা হয়তো জানেন না অনেকেই। চর্মবিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, গরম পানি দিয়ে গোসল শরীরের জন্য কখনই ভালো কিছু বয়ে আনে না। নিয়মিত কেউ গরম পানিতে গোসল করতে মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। তারা জানান, গরম পানি দিয়ে নিয়মিত গোসল ত্বকের ফলিকলগুলোকে নষ্ট করে দেয়। পানি কুসুম গরম না হয়ে একটু বেশি গরম হয়ে গেলে তা আরও বিপজ্জনক। মাথায় অতিরিক্ত গরম পানির ব্যবহারে চুল ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ ছাড়া মস্তিস্কের ওপরে চাপ সৃষ্টি হয়।  রক্তচাপও বাড়িয়ে দেয়।   তারা জানান, অতিরিক্ত গরম পানি ব্যবহার করলে মুখে ব্রন হয়। অ্যাসিডিটির সমস্যা যাদেরও তাদেরকে গরম পানি পরিহার করতে পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। হৃদরোগবিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, যারা হার্টের সমস্যায় ভুগছেন তাদের গরম পানি দিয়ে গোসল করা ঝুঁকিপূর্ণ। কারণ গরম পানি কার্ডিওভাসকুলার সিস্টেমের ওপর প্রভাব ফেলে। এ ছাড়া গরম পানি দিয়ে গোসল করলে মানসিক বিষণ্নতায় ভোগা ব্যক্তিদের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। এসব কারণেই মাথায় ঠান্ডা পানির ব্যবহার করতে ও গরম পানি দিয়ে গোসলে অভ্যাস না করতে পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে ৪-৫ ডিগ্রি তাপমাত্রায় ঠান্ডা পানি দিয়ে গোসল করা কঠিন। এ ক্ষেত্রে টনসিল, সর্দি, কাশি প্রভৃতি বিভিন্ন শারীরিক উপসর্গ দেখা দেয়।   সেজন্য অতিরিক্ত গরমও নয় আবার ঠান্ডাও নয় প্রত্যেককে কুসুম গরম পানিতে গোসল করার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। এতে শরীরের রক্ত চলাচলের বৃদ্ধি ঘটে এবং অনিদ্রাজনিত সমস্যা দূর হয়। শীতকালীন সর্দি-কাশি উপসর্গ থেকেও রক্ষা পাওয়া যায়।  
২১ জানুয়ারি ২০২৪, ২২:৪৬
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়