• ঢাকা বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ৪ বৈশাখ ১৪৩১
logo
কুমিল্লা সিটিতে ভোটার উপস্থিতি কম
কুমিল্লা সিটি করপোরেশন উপনির্বাচনে মেয়র পদে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। এ উপলক্ষ্যে সিটি করপোরেশন এলাকায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। বাস, ট্রাক, মাইক্রোবাস ও মোটরসাইকেল চলাচলে আরোপ করা হয়েছে নিষেধাজ্ঞা।  শনিবার (৯ মার্চ) সকাল ৮টায় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ শুরু হয়। ভোট চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। তবে সকাল থেকে কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি কম দেখা গেছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোটার উপস্থিতি বাড়বে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক তাহসিন বাহার (বাস প্রতীক), মহানগর আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা নূর উর রহমান মাহমুদ তানিম (হাতি প্রতীক), বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা ও দুইবারের সাবেক মেয়র মনিরুল হক সাক্কু (ঘড়ি প্রতীক) ও সাবেক স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা নিজাম উদ্দিন কায়সার (ঘোড়া প্রতীক)। নির্বাচনকালীন নিরাপত্তার জন্য ৯ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও আচরণবিধি প্রতিপালনে ২৭ জন ম্যাজিস্ট্রেট মাঠে দায়িত্ব পালন করছেন। ১২ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে, ২৭ টিমে ৯৩৯ র‌্যাব সদস্য, পুলিশের ২৭টি মোবাইল টিমে এক হাজার ৩৩৯ জন এবং নয়টি স্ট্রাইকিং ফোর্স মাঠে রয়েছে। প্রতিকেন্দ্রে চারজন অস্ত্রধারী পুলিশ, দুজন অস্ত্রধারী আনসার ও ১০ জন নারী ও পুরুষ আনসার ভিডিপি সদস্য থাকবে। গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রের জন্য একজন বেশি অস্ত্রধারী পুলিশ সদস্যা বেশি থাকবে। অর্থাৎ সাধারণ ভোটকেন্দ্রে ১৬ জন ও গুরুত্বপূর্ণ ভোটকেন্দ্রে ১৭ জন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য থাকবেন। এ সিটিতে পুরুষ ভোটার এক লাখ ১৮ হাজার ২৮২ জন ও নারী ভোটার এক লাখ ২৪ হাজার ২৭৮ জন এবং তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার দুজন রয়েছেন। ৬৪০টি ভোটকক্ষে দায়িত্ব পালন করবেন ১০৫ জন প্রিসাইডিং কর্মকর্তা, ৬৪০ জন সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা, এক হাজার ২৮০ জন পোলিং এজেন্ট কাজ করবেন। এ বিষয়ে কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ফরহাদ হোসেন বলেন, সকাল থেকে শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ চলছে। ২৭ ওয়ার্ডের কোথাও কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।
০৯ মার্চ ২০২৪, ১০:৫৯

দেশে মোট ভোটার ১২ কোটি সাড়ে ১৮ লাখ
দেশে মোট ভোটারের সংখ্যা প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। হালনাগাদের তথ্যানুযায়ী, বর্তমানে দেশে মোট ১২ কোটি ১৮ লাখ ৫০ হাজার ১৬০ জন ভোটার। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৬ কোটি ২১ লাখ ৪৪ হাজার ৫৮৭ জন। নারী ভোটার ৫ কোটি ৯৭ লাখ ৪ হাজার ৬৪১ জন। আর তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছেন ৯৩২ জন। শনিবার (২ মার্চ) বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের সামনে জাতীয় ভোটার দিবসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। সিইসি জানান, চূড়ান্ত তালিকায় পুরুষ ভোটার ৬ কোটি ২১ লাখ ৪৪ হাজার ৫৮৭ জন। নারী ৫ কোটি ৯৭ লাখ ৪ হাজার ৬৪১ জন এবং ৯৩২ জন হিজড়া ভোটার রয়েছেন। ভোটার তালিকা আইন অনুযায়ী, প্রতিবছর ২ জানুয়ারি খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। কিন্তু গত ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হওয়ায় যথাসময়ে খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করতে পারেনি কমিশন। এর আগে চলতি বছরের ২১ জানুয়ারি খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করে কমিশন। খসড়া তালিকায় মোট ভোটার সংখ্যা ছিল ১২ কোটি ১৭ লাখ ৭৫ হাজার ৪৫০ জন।
০২ মার্চ ২০২৪, ২০:৩৩

ভোটার টানতে ‘টিকটক জলসা’ করবে ইমরানের পিটিআই
আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে সাধারণ নির্বাচন। এরই মধ্যে নির্বাচন ঘিরে উত্তাপ বিরাজ করছে দেশটিতে। হামলা-সংঘর্ষের পাশাপাশি চলছে ধরপাকড়। এদিকে নির্বাচনের মাঠে বিরাজমান থাকতে গিয়ে প্রধান নেতা ও প্রতীক হারানোসহ বারবার বাধার সম্মুখীন হচ্ছে দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল তেহরিক-ই-ইনসাফ।  ইমরান কারাগারে থাকায় তাকে ছাড়াই ভোটের মাঠে নামছে দলটি। সভা-সমাবেশ করতে না পারায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের জনপ্রিয়তাই এখন সম্বল মনে করছে ইমরানসহ দলের অন্য নেতারা। এরই অংশ হিসেবে এবার ‘টিকটক জলসা’ আয়োজনের ঘোষণা দিয়েছে দলটি। এর আগে নির্বাচনি প্রচারণার অস্ত্র হিসেবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তারও (এআই) সহায়তা নিয়েছিল তারা। খবর ডনের।  শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এর (সাবেক টুইটার) একটি পোস্টে এ তথ্য দিয়েছে পিটিআই। শনিবার  (৩ ফেব্রুয়ারি) স্থানীয় সময় রাত ৮ টায় টিকটক জলসার আয়োজন করবে দলটি।  গতানুগতিক প্রচারণা চালাতে না পেরে পিটিআই এখন অভিনব কৌশলের ওপর নির্ভর করছে। পিটিআইয়ের সোশ্যাল মিডিয়া কৌশল পরিচালনাকারী মার্কিন-ভিত্তিক স্বেচ্ছাসেবক জিবরান ইলিয়াস বলেছেন, ‘ইমরান খানকে ছাড়া আমাদের কোনও রাজনৈতিক সমাবেশ পূর্ণ নয়, তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে সমস্ত উদ্ভাবনই এখন প্রয়োজনীয়।’ ইমরানের সমর্থকরা বলছেন, ২৪০ মিলিয়নের পারমাণবিক সশস্ত্র দেশে গণতন্ত্রের ভবিষ্যত ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। পিটিআই একটি রাজনৈতিক ও সামরিক সংস্থার সঙ্গে লড়াই করছেন, যা দীর্ঘদিন ধরে পাকিস্তানে আধিপত্য করে আসছে। জারকা সোহারওয়ার্দী তৈমুর নামে একজন পিটিআই সিনেটর বলেন, আমাদের প্রচারণা এখন শুধুমাত্র সোশ্যাল মিডিয়ায় চলছে। তবে, আশ্চর্যের বিষয় হল যে সেখানে আমাদের অনেক মানুষ অনুসরণ করছে। এখানেই আমরা অনেকটা এগিয়ে আছি।’
০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৬:১৯

দেশে হিজড়া ভোটার ৯২৪
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ বলেছেন, দেশে মোট ভোটার সংখ্যা বেড়ে ১২ কোটি ১৭ লাখ ৭৫ হাজার ৪৫০ জন। এদের মধ্যে পুরুষ ৬ কোটি ২০ লাখ ৯০ হাজার ১৩৭ জন, নারী ৫ কোটি ৯৬ লাখ ৮৪ হাজার ৩৮৯ জন এবং হিজড়া ৯২৪ জন। রোববার (২১ জানুয়ারি) এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান তিনি। অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, আগামী ২ মার্চ চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে। এটা খসড়া ভোটার তালিকা।  তিনি আরও বলেন, এবারের নির্বাচনের পর মোট ভোটার বেড়েছে ২০ লাখ ৮৬ হাজার ১৬১ জন। এর মধ্যে নারী ৭ লাখ ৬৫ হাজার ৬৯০ জন, পুরুষ ১৩ লাখ ২০ হাজার ৩৯৬ জন এবং হিজড়া ৭৫ জন। তিনি জানান, সর্বশেষ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দেশে ভোটার ছিল ১১ কোটি ৯৬ লাখ ৮৯ হাজার ২৮৯ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৬ কোটি ৭ লাখ ৬৯ হাজার ৭৪১ জন, নারী ৫ কোটি ৮৯ লাখ ১৮ হাজার ৬৯৯ জন এবং তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার ৮৪৯ জন।
২১ জানুয়ারি ২০২৪, ১৫:৪৬

ভোটার তালিকায় নাম না থাকায় ফেনীতে ১৩ আইনজীবীর মামলা
ফেনী জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে ভোটার তালিকায় নিজেদের নাম না থাকায় ১৩ আইনজীবী আদালতে মামলা করেছেন। বুধবার (১০ জানুয়ারি) বিকেলে সমিতির কার্যনির্বাহী পরিষদকে বিবাদী করে যুগ্ম জেলা জজ প্রথম আদালতের বিচারক বেলাল উদ্দিনের আদালতে মামলাটি করা হয়। মামলায় গোলাম সরওয়ার, মোহাম্মদ হানিফ মজুমদার, মিজানুর রহমান সেলিম, রায়হান উদ্দিন মামুন, এস এম আবুল মনসুর রানা, আবদুল আহাদ ভূঁইয়া, রবিউল হক ফরহাদ, আবদুল মালেক, সাইদুর রহমান রাব্বী, একরামুল হক ভূঁইয়া, সাইফুল্লাহ রাশেদ, শাহজালাল ভূঞা সবুজ ও আনোয়ারুল আজিম বাদী হিসেবে রয়েছেন। মামলায় উল্লেখ করা হয়, বাদী পক্ষ বার কাউন্সিলের অনুমোদনক্রমে জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্যপদ লাভ করেন। বিভিন্ন সময়ে ফেনী জেলা আইনজীবী সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটিতেও দায়িত্ব পালন করেছেন। গত বছরের ১২ জুলাই সমিতির সাধারণ সভায় তাদের আগামী নির্বাচনে ভোটার না করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। যা গঠনতন্ত্র বহির্ভূত। জানা গেছে, গত ২০ ডিসেম্বর নির্বাচনসংক্রান্ত তফসিল প্রকাশ করা হয়। ফেনী জেলা আইনজীবী সমিতির গঠনতন্ত্রের অনুচ্ছেদ ০৭ এর উপ-অনুচ্ছেদ (গ) এর বিধানমতে, ‘কারা ভোটার হইবেন। যে সকল বিজ্ঞ সদস্য অত্র সমিতির মাধ্যমে সনদ নবায়ন করেন, বার কাউন্সিলে যাবতীয় পাওনা অত্র সমিতির মাধ্যমে পরিশোধ করেন এবং অত্র সমিতির যাবতীয় পাওনা যথারীতি পরিশোধ করেন এবং জেলার দেওয়ানী ও ফৌজদারী আদালত সমূহে আইন পেশায় নিয়োজিত আছেন তারা ভোটার হিসাবে গণ্য হইবেন।  তবে, মাদার বার ফেনী হলেও যারা অন্য বারে যোগদান না করিয়া আইন পেশায় নিয়োজিত আছেন তারা ভোটার হবেন না। যে সকল সদস্য অন্য কোনো আইনজীবী সমিতির মাধ্যমে বার কাউন্সিলের পাওনা পরিশোধ করেন অর্থাৎ তাদের মাদার বার অন্য সমিতিতে কিন্তু ফেনী জেলা আইনজীবী সমিতি নিয়মিত পেশাগত দায়িত্ব পালন করেন, তারা জেলা আইনজীবী সমিতি ফেনীর ভোটার হওয়ার যোগ্য হবেন। এতে আরও উল্লেখ করা হয়, ভোটাধিকার বহাল রাখতে ২৭ নভেম্বর কার্যনির্বাহী কমিটির বরাবরে আবেদন করা হলে তা অগ্রাহ্য করে ২৬ ডিসেম্বর খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ হয়। পরবর্তীতে চলতি বছরের ১ জানুয়ারি চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করে ২০ জানুয়ারি ভোটগ্রহণের দিন ধার্য্য করা হয়। ফেনী জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি আবুল বশর চৌধুরী বলেন, বিষয়টি নিয়ে বৃহস্পতিবার আমরা সভা করেছি। কিন্তু কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারিনি। এ বিষয়ে রোববার সিদ্ধান্ত জানানো হবে।
১২ জানুয়ারি ২০২৪, ১৭:৪৮

কুয়াশা উপেক্ষা করে কেন্দ্রে কেন্দ্রে ভোটার
উত্তরের জনপদ দিনাজপুর। কয়েক দিন থেকেই শীতের প্রকোপ কিছুটা বেড়েছে। ভোর রাত থেকে সকাল পর্যন্ত ঘন কুয়াশাতে ঢেকে থাকছে চারপাশ। এর মধ্যেও ভোটাররা ভোট দিতে কেন্দ্রগুলোতে আসছেন। তবে পুরুষের তুলনায় নারী ভোটারের উপস্থিতি চোখে পড়ার মতো। দিনাজপুরের ৬টি আসনে ৮৩০টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ৫৯৯টি কেন্দ্র গুরুত্বপূর্ণ (ঝুঁকিপূর্ণ) ও ২৩১টি কেন্দ্রকে সাধারণ (ঝুঁকিমুক্ত) হিসেবে চিহ্নিত করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ভোটগ্রহণের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। ৬টি আসনে সব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠু ভোট নিশ্চিত করতে সেনা, বিজিবি, র‌্যাব-পুলিশ-আনসারসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রায় ১৫ হাজার সদস্য নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়াও নির্বাহী ও জুডিশিয়াল মিলে ৪৯ জন ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে ভোট পরিচালনার জন্য ইতোমধ্যে মাঠে রয়েছেন তারা। এর মধ্যে সেনাবাহিনীর সাত টিমের বিপুলসংখ্যক সেনাসদস্য ও ৩৩ প্লাটুন বিজিবি, ১৫টি টহল গাড়িতে ১০৫ জন র‌্যাব সদস্য ও ৯ হাজার ৯৬০ জন আনসার সদস্য ভোটকেন্দ্রে এবং স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে ১৬টি টিমে ১৩৬ জন আনসার সদস্য এবং ২ হাজার পুলিশ সদস্য মাঠে রয়েছেন বলে জেলা প্রশাসন, পুলিশ, র‌্যাব ও আনসার ভিডিপির কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেছেন। দিনাজপুর জেলার রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসন সূত্র জানিয়েছে, জেলার ছয়টি আসনে ২৫ লাখ ৯ হাজার ৩৯১ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। এর মধ্যে ১২ লাখ ৫৬ হাজার ৭৩৬ জন পুরুষ ও ১২ লাখ ৫২ হাজার ৬৩৫ জন মহিলা ভোটার। ভোট সুষ্ঠুভাবে গ্রহণের লক্ষ্যে ছয়টি আসনে ৮৩০টি কেন্দ্রে ৫ হাজার ৬৬১টি ভোট কক্ষ করা হয়েছে।
০৭ জানুয়ারি ২০২৪, ১১:০০

ফেনীতে ভোটগ্রহণ শুরু, কুয়াশা মাড়িয়ে আসছে ভোটার
সারাদেশের ন্যায় ফেনীতেও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। রোববার (৭ জানুয়ারি) সকাল ৮টায় ফেনী শহরের পিটিআই স্কুল কেন্দ্রে গিয়ে ভোটারদের সরব উপস্থিতি দেখা যায়। শীত সকালের কুয়াশাভেদ করে ভোটাররা আসতে শুরু করেছে।  ফেনীর তিনটি আসনে ১২ লাখ ৪৬ হাজার ১২৬ জন ভোটার রয়েছেন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৬ লাখ ৩৮ হাজার ২৮৫ জন, নারী ভোটার ৬ লাখ ২ হাজার ৪৭১ জন। ভোটারের জন্য ৩৯৯টি ভোটকেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। এর মধ্যে ৩৩৯টি সাধারণ আর ৬০টি অধিক গুরুত্বপূর্ণ অর্থাৎ ঝুঁকিপূর্ণ চিহ্নিত করা হয়েছে।  নির্বাচনী মাঠে ২৬ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, আনসার ভিডিপি ৪ হাজার ৮৬৮ জন, র‍্যাব ৮০ জন, বিজিবি ১০ প্লাটুন, সেনাবাহিনীর ৩৫০ জন, পুলিশের ১১৫০ সদস্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে নিয়োজিত রয়েছেন। এ ছাড়া ভোটগ্রহণে ৮ হাজার ১৬৮ জন কর্মকর্তা নিয়োজিত আছেন। ফেনী-১ আসনে ১১৫টি কেন্দ্রের মধ্যে ১০৭টি গুরুত্বপূর্ণ ভোটকেন্দ্র রয়েছে। এর মধ্যে পরশুরাম উপজেলায় ২৬টি, ছাগলনাইয়াতে ৫৪টি ও ফুলগাজীতে ২৭টি গুরুত্বপূর্ণ ভোটকেন্দ্র রয়েছে।  ফেনী-২ আসনে (সদর উপজেলা) ১৪০টি কেন্দ্রের মধ্যে ১৩৪টি গুরুত্বপূর্ণ ভোটকেন্দ্র রয়েছে। ফেনী-৩ আসনে ১৪৪টি কেন্দ্রের মধ্যে ৯৮টি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র রয়েছে। এর মধ্যে সোনাগাজী উপজেলার ৭২টি কেন্দ্রের সবগুলোই গুরুত্বপূর্ণ। এ ছাড়া দাগনভূঞা উপজেলার ২৬টি কেন্দ্র গুরুত্বপূর্ণ রয়েছে। এবার জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে ফেনী-১ আসনে ৬ জন প্রার্থী, ফেনী-২ আসনে ৮ জন প্রার্থী এবং ফেনী-৩ আসনে ১০ জন প্রার্থী রয়েছেন।
০৭ জানুয়ারি ২০২৪, ০৯:৪৫

ইসির স্মার্ট অ্যাপ / যেভাবে জানবেন ভোটার নম্বর ও কেন্দ্র
রাত পোহালেই সকাল ৮টা থেকে শুরু হবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। ভোট দিতে হলে জানতে হবে ভোটার নম্বর ও কেন্দ্রের নাম। এ কাজটি সহজ করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।  স্মার্ট ইলেকশন ম্যানেজমেন্ট বিডি নামে একটি অ্যাপ চালু করেছে ইসি। ভোটার নম্বর, কোন এলাকার ভোটার, ভোট কেন্দ্রের নাম ও ঠিকানা সংবলিত বিস্তারিত তথ্য এখন হাতের মুঠোয়। নির্বাচন কমিশনের নির্বাচন ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত অ্যাপে ভোট সম্পর্কিত সব তথ্যই রয়েছে। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের জন্য স্মার্ট ইলেকশন ম্যানেজমেন্ট বিডি অ্যাপটি গত নভেম্বরে উদ্বোধন করেছে নির্বাচন কমিশন। গুগল প্লে স্টোর ও অ্যাপলের অ্যাপ স্টোরে পাওয়া যাচ্ছে ইসির অ্যাপটি। স্মার্ট ইলেকশন ম্যানেজমেন্ট বিডি অ্যাপটিতে প্রবেশ করে প্রথম ভাষা নির্বাচন করতে হবে। এরপর ভোটার নিজের নম্বর জানতে চাইলে প্রথমে জন্মতারিখ ও জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর দিয়ে যাচাই করতে হবে। দেখা যাবে ভোটার নম্বর ও ভোটিং ক্রমিক নম্বর। এরপর ভোটকেন্দ্র সম্পর্কে জানতে চাইলে ওপরের দিকে ডান পাশের সাইড বারে ভোটার কেন্দ্র অপশনে গিয়ে আবার জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর ও জন্মতারিখ লিখতে হবে। সেখানে ভোটকেন্দ্রের তথ্য আসবে গুগল ম্যাপে ঠিকানাসহ। সংশ্লিষ্ট আসনে প্রার্থী কারা, সে তথ্যও আসবে। ভোটারের তথ্য ছাড়াও রয়েছে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন তথ্য ও নির্বাচনের ফলাফল নামে দুটি অপশন। সেখানে নির্বাচনের সরাসরি আপডেট জানা যাবে, নিবন্ধিত দল সম্পর্কেও জানা যাবে। ভোট হওয়ার পর ফলাফল অপশনে নির্বাচনের তথ্য জানা যাবে। সেখানে একাদশ সংসদ নির্বাচনের ফলাফল দেওয়া আছে।  ভোটের দিন দুই ঘণ্টা পরপর ভোটের প্রাপ্ত ফলাফল অ্যাপে হালনাগাদ করা হবে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
০৭ জানুয়ারি ২০২৪, ০৩:০০

তারকারা কে কোথাকার ভোটার
আগামীকাল ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে দেশজুড়ে ভোটের আমেজ শুরু হয়ে গেছে। এই নির্বাচন ঘিরে অন্য সবার মতো বিনোদন জগতের তারকাদের মাঝেও রয়েছে বাড়তি উচ্ছ্বাস। অনেকেই নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিয়েছেন। তারকারা কে, কোথাকার ভোটার তা নিয়ে রয়েছে ভক্তদের আগ্রহ।  সংবাদমাধ্যম অনুযায়ী, শাকিব খান ঢাকা-১৭ আসন এর ভোটার। তবে এবার নির্বাচনের আগে তিনি ওমরাহ হজ পালনে মক্কার উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করেছেন।    চিত্রনায়ক রিয়াজ থাকেন আরেক অভিজাত এলাকা বনানীতে। তার বসবাসের এলাকাটি পড়ে ‘ঢাকা ১৭’ আসনে। শুধু নির্বাচন ঘিরে নয়, সারা বছর রিয়াজ আওয়ামী লীগের পক্ষে সক্রিয়ভাবে কাজ করেন। নির্বাচনের দিন ভোট প্রদান শেষে সারাদেশের নির্বাচনী খোঁজখবর রাখবেন। ঢাকাই চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় চিত্রনায়ক ওমর সানি। বরিশালের ছেলে হলেও তিনি ঢাকার ভোটার। প্রিয়দর্শিনী মৌসুমীও একই এলাকার ভোটার।    এদিকে নায়ক সিয়াম আহমেদ ঢাকা-১৯ আসনের ভোটার। বাপ্পী নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের চাষাড়া এলাকার ভোটার। ইমন ঢাকা-১১ আসনের বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার ভোটার। সাইমন সাদিক কিশোরগঞ্জ-১ আসনের ভোটার। জায়েদ খান পিরোজপুর-১ আসনের ভোটার।  অন্যদিকে, জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান বারিধারা এলাকার বাসিন্দা। ঢাকা-১৭ আসনের ভোটার তিনি। চিত্রনায়িকা পূর্ণিমা ঢাকার খিলক্ষেত নিকুঞ্জ এলাকার ভোটার। সেই হিসেবে তিনি ‘ঢাকা ১৮’ আসনের ভোটার।   চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাস বাড্ডা এলাকার বাসিন্দা। এলাকাটি ঢাকা ১১ আসনে অন্তর্ভুক্ত। এই অভিনেত্রীকেও নৌকার প্রচারণায় অংশ নিতে দেখা গেছে।  নায়িকা নিপুণ থাকেন ঢাকার বনানীতে। এই এলাকাটিও পড়ে ঢাকা ১৭ আসনে। আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিতে দেখা গেছে নিপুণকে। চঞ্চল চৌধুরী ঢাকা-৮ আসনের ভোটার। শাহজাহানপুরের ভোটার চঞ্চল চৌধুরী দিনের শুরুতেই ভোট দেবেন, এমনটাই জানালেন। অভিনেতা জাহিদ হাসান ও সোহানা সাবা ঢাকা-১০ আসনের ভোটার। তারা দেশের সবাইকে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান। তাদের আসন থেকে নৌকা প্রতীকে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন চিত্রনায়ক ফেরদৌস।  ঢাকার মোহাম্মদপুরের বাসিন্দা কণ্ঠশিল্পী কোনাল। তিনি ঢাকা ১৩ আসনের ভোটার। কোনালের চাওয়া, সারাদেশে যেন সুষ্ঠু পরিবেশনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। তারকা দম্পতি অনন্ত জলিল-বর্ষাও থাকেন ঢাকার মোহাম্মদপুরে। সেদিক থেকে তারা দুজনে ঢাকা ১৩ আসনের ভোটার। 
০৬ জানুয়ারি ২০২৪, ২১:১৬

ঢাকার ভোটার কোথায় যায়? 
ঢাকায় দুই কোটির বেশি মানুষ বাস করে। এরমধ্যে দুই সিটি কর্পোরেশন এলাকায় প্রায় ৫৫লক্ষ ভোটার রয়েছে। তারপরেও প্রতিবছর ঢাকায় ভোট দিতে কেন্দ্রে যাওয়া মানুষের সংখ্যা অনেক কম থাকে। এর প্রধান তিনটি কারণের কথা বলছেন রাজনীতিবিদ ও বিশ্লেষকরা। তারা বলছেন, রাজধানী ঢাকার এতো মানুষ কিন্তু কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি কম থাকে কেন? সে প্রশ্নের জবাব পেতে হলে আগে বুঝতে হবে, ঢাকায় কারা থাকে? এরমধ্যে কতজন ঢাকার ভোটার।  ঢাকায় বেশিরভাগ মানুষ দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে কর্মসূত্রে ঢাকায় থাকে। যাদের অনেকেই এখানকার ভোটার না। নির্বাচন রবিবার এবং তার আগের দুইদিন সাপ্তাহিক ছুটি হওয়ায় তিনদিনের ছুটিতে বেশিরভাগ রাজধানী ছেড়েছে। ঢাকার মোহম্মদপুরের বাসিন্দা রবিন সিকদার রংপুরের ভোটার। ছুটি পাওয়া গেছে বলে ভোট দিতে পরিবারসহ রওনা দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘সচরাচর ভোট দিতে যাওয়া হয় না। এবার ছুটি পেয়েছি। আমার প্রার্থীও আছে। বন্ধু বান্ধব পরিবার নিয়ে একসাথে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছি।’ ঢাকার তিতুমীর কলেজের কর্মচারী দিলীপ কুমার বিশ্বাস থাকেন মহাখালীর আমতলীতে। তার বাড়ি কুমিল্লা-৮ আসনের বরুড়ায়। তিনিও ভোট দিতে এলাকায় যাবেন। ঢাকায় তার পরিবারের তিনটি ভোট রয়েছে।  বিশ্লেষকরা বলছেন, টানা তিনদিনের ছুটিতে রাজধানীবাসী গ্রামে চলে গেছে, নির্বাচন নিয়ে বিএনপির নেতিবাচক প্রচারণা ও ভোটকেন্দ্রে যেতে বাধাদান এবং হরতাল ডাকায় নিরাপত্তা শঙ্কার জায়গা থেকে ভোটের হার ঢাকায় কম থাকতে পারে। মিরপুর ১০ নম্বরের বাসিন্দা রেজানুর রহমান ফাঁকা রাস্তায় সকালের চা পান করছিলেন। ভোট দেবেন? এই প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘হরতালের মধ্যে কেন্দ্রে গিয়ে সুস্থভাবে বাসায় ফিরতে পারবো কিনা সেইটা ভাবছি। তারপরেও পরিস্থিতি বুঝে যাওয়ার ইচ্ছে আছে।’ তিনি বলেন, ‘ভোটে না এসে এভাবে হরতাল দিয়ে ভোট ঠেকানো কাপুরুষতার লক্ষণ।’  হকার সাইফুল বলেন, ‘ভোট দেওয়া আমার নাগরিক অধিকার, আমি সেটা জানি। কিন্তু পরিবারের কথাওতো ভাবতে হয়। কাজের চাপে মায়ের ওখানে যেতে পারি না। আমি ঢাকার ভোটার কিন্তু তাও ঢাকায় থাকতে পারছি না।’  ঢাকার আগারগাও এর নার্সারির কর্মী রাকিব শুক্রবার রাতে বাড়ি রওনা দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমার মেসের কেউ নেই। সবাই যার যার এলাকায় চলে গেছে। ঈদের পর এমন ছুটি কম পাওয়া যায়। ভোট দিতে যাব বললে মালিকও নিষেধ করে না। দুদিন ছুটি বাড়িয়ে নিয়ে ৫দিনের জন্য বাড়ি যাচ্ছি।’ এলাকার ভোট আর ঢাকার ভোটে অনেক পার্থক্য উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ঢাকায় ভোট বুঝা যায় না। আমি এখানকার ভোটার না। এখানে কে কী প্রচার করলো তাতে আমার কী আসে যায়। এলাকায় গিয়ে শেষ দিনে প্রচারটা ধরতে না পারলেও সবাই বেশ আড্ডা দেওয়া হবে। ভোট ভোট উৎসব।’ ঢাকায় কারা থাকেন আর তারা উৎসবের সময় কোথায় যায় উল্লেখ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাধবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক ড. জিয়া রহমান বলেন, ‘ঈদের সময় কোটি মোবাইল সিম ঢাকার বাইরে যায়। তাদের কয়জন ঢাকার থাকেন। এ প্রশ্নের উত্তর পেলেই বুঝতে পারবেন কেনো ঢাকায় ভোটকেন্দ্রে ভোটার তুলনামূলক কম থাকে। গণমাধ্যমগুলোতে দেখলাম লক্ষ লক্ষ মানুষ ঢাকা ছাড়ছে। তাদের মধ্যে অনেকে ঢাকার ভোটার। পরিবারের সঙ্গে ছুটি কাটাতে চলে যাচ্ছে। দুরকমেরই আছে, একদল ঢাকার ভোটারই নন আর আরেকদল ভোটার হলেও ছুটি কাটাতে ঢাকা ছেড়ে চলে যান ‘  
০৬ জানুয়ারি ২০২৪, ১৪:৫৪
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়