• ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo
‘৮ হাজার ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার সনদ বাতিল’
৮ হাজার ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার সনদ বাতিল করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। বুধবার (১৭ এপ্রিল) সকালে মেহেরপুরের ঐতিহাসিক মুজিবনগর আম্রকাননে মুজিবনগর দিবসের অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী বলেন, ইতোমধ্যে ৮ হাজার ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার সনদ বাতিল করা হয়েছে। এ ছাড়া কেউ যদি ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার বিষয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য দিতে পারে, তাহলে সঙ্গে সঙ্গে সেই মুক্তিযোদ্ধার সনদও বাতিল করা হবে। শিগগিরই  মুজিবনগর মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিসৌধের নির্মাণকাজ শুরু করা হবে। এর আগে মুজিবনগর স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন মন্ত্রী।  মুজিবনগরের উন্নয়নের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিকে অম্লান করে রাখার জন্য মুজিবনগরকে আন্তর্জাতিক মানের করার জন্য প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনসাপেক্ষে দ্রুততম সময়ের মধ্যে মুজিবনগর মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিকেন্দ্রের নির্মাণকাজ শুরু হবে।  এ দিকে সকাল সাড়ে ৯টায় ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবসে মুজিবনগর স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেছেন আওয়ামী লীগ নেতা ও মন্ত্রিপরিষদের সদস্যরা।  বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফর উল্লাহ, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী সিমিন হোসেন রিমি পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করেন।  এরপরে আম্রকাননে জাঁকজমকপূর্ণ কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ পুলিশ, বিজিবি, আনসার, বিএনসিসি ও ছাত্রছাত্রীদের একাধিক দল কুচকাওয়াজ প্রদর্শন করেন।  সকাল ১০টায় শেখ হাসিনা মঞ্চে শুরু হয়েছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভা। সেখানে বক্তৃতা করছেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা। 
১৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:৪৫

ঈদের নামাজ শেষে সাকিবকে দেখে ভুয়া ভুয়া স্লোগান
সাবেক অধিনায়ক ও সংসদ সদস্য সাকিব আল হাসানের পরিবার এখন বেশির ভাগ সময় দেশের বাইরেই বসবাস করছে। সাকিবের স্ত্রী ও তিন সন্তান আমেরিকাতেই থিতু হয়েছেন।  যে কারণে সাকিবও নিয়মিত সেখানে যাতায়াত করেন। ঘরের মাঠে শ্রীলঙ্কার সঙ্গে টেস্ট সিরিজ শেষে ওমরাহ করতে সৌদি আরবে গিয়েছিলেন বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার। এরপর নিউইয়র্কে পাড়ি জমান তিনি। সম্প্রতি নিউইয়র্কের কাছে লং আইল্যান্ডে একটি বাড়িও কিনেছেন সাকিব। বুধবার (১০ এপ্রিল) সেখানে ঈদ উদযাপন করেছে মুসলিম সম্প্রদায়। সেখানকার জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টারে সবচেয়ে বড় ঈদ জামাত হয়। সেখানে সবার সঙ্গে ঈদের নামাজ আদায় করেন সাকিব। তবে এদিন তাকে অস্বস্তিতে সময় কাটাতে দেখা গেছে। কিছুটা নিজেকে গুটিয়ে রেখেছিলেন তিনি। প্রথমে কালো জ্যাকেট ও মাস্কে ক্যামেরা থেকে নিজেকে আড়াল করার চেষ্টা করেন সাকিব। তবে কোনভাবেই বিষয়টি সম্ভব না হওয়ায় মাথা নিচু করে থাকার চেষ্টা করেন তিনি। এ সময়ে নিউইয়র্কে ঈদের নামাজে তাকে দেখে ভুয়া ভুয়া স্লোগান দেন সেখানে উপস্থিত সমর্থকরা। এর আগে, বিপিএলের ঢাকা পর্বের পর সিলেট পর্বেও তাকে গ্যালারিতে থাকা দর্শকদের মুখ থেকে ভুয়া-ভুয়া স্লোগান শুনতে হয়েছে। এমন বিব্রতকর পরিস্থিতিতেও নিজেকে সামলে নেন তিনি। কোন প্রতিক্রিয়া না দেখিয়ে দ্রুত স্থান ত্যাগ করেন তিনি। বিব্রত হওয়ার পরও বেশ শান্তই ছিলেন সাকিব। নামাজ শেষে দ্রুতই এলাকা ছেড়ে চলে যান সাকিব। এ ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওতে প্রত্যক্ষদর্শীকে বলতে শোনা যায়, জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টারে (JMC) ঈদের নামাজ এবং সংবাদ সংগ্রহ করতে যাই। খুতবা শুরু হওয়ার আগে যথারীতি স্থানীয় নেতৃবৃন্দ সংক্ষিপ্ত বক্তব্যের শেষে হঠাৎ করে একজনকে বলতে শুনা যায়, অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান এখানে আছেন, নামাজ পড়বেন। ঠিক তখনই পিছন থেকে অনেকেই ভুয়া ভুয়া বলে উঠেন। আমি তখন ঈদের দিন হিসেবে পজিটিভলি সেই দৃশ্য রেকর্ড করিনি। হঠাৎ করে লক্ষ্য করলাম একজন (ভাই) সেলফি তুলার জন্য সাকিবের কাছে এসে সেলফি তুলেন। একপর্যায়ে সাকিব ওই লোকের ওপর খেপে যান, তখন আমি দেখে বিষয়টি আঁচ করতে পেরে কুইক ক্যামেরা ওপেন করে দৃশটি ভিডিও শুট করলাম।  আরও বলতে শোনা যায়, পাশাপাশি আরও অনেক সাংবাদিক ছিলেন, তখন একপর্যায়ে তিনি (সাকিব) দোয়া না করেই মাঠ ত্যাগ করেন। আমি তখন জিজ্ঞেস করলাম, সাকিব (ভাই) কি হয়েছে, দোয়া করেই চলে যাচ্ছিলেন কেন একটু যদি বলতেন। তিনি কিছু না বলাতে আবার আমি জিজ্ঞেস করলাম (ভাই); কিছু একটু বলেন কেন এই ঘটনাটি ঘটেছে? আসলে যারা তার প্রিয় তারকার পাশে দাড়িয়ে একটা ছবি তুলতে আগ্রহ প্রকাশ করেন এবং অনেকেই লাইনে দাড়িয়ে থাকেন। কিন্তু তারা একবারও চিন্তা করেন না যে আমি আজকে সেলিব্রিটি হয়েছি সেইসব ভক্তদের কারণে। একবারও ভাবেন না যে আমি সাকিব হয়েছি; তাদের কারণে যারা কি না; আমার নাম ধরে চিৎকার দিয়ে উল্লাস করে। তারপরেও আমি সাকিবের প্রতি পজিটিভ যদি তিনি তার রিয়েকশন বা তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়াকে ধৈর্যের সঙ্গে মোকাবিলা করতে পারেন।  
১১ এপ্রিল ২০২৪, ১৬:১৮

স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে মেসেজ, ভুয়া রাষ্ট্রপতি গ্রেপ্তার
একটি অপরিচিত নম্বর থেকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেনের মোবাইলে দুই নার্সকে বদলির সুপারিশ করা হয়। মন্ত্রী মেসেজগুলো ডিবিপ্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদের কাছে পাঠান। পরবর্তীতে ডিবি তদন্ত করে দেখে সেগুলো ভুয়া। এরপর অভিযান চালিয়ে পাবনার সুজানগর থেকে সিরাজ নামের ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে ডিবি। বুধবার (৩ এপ্রিল) এসব তথ্য জানান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। ডিবিপ্রধান বলেন, যে দুই নার্সকে বদলির জন্য রাষ্ট্রপতি পরিচয় দিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেনের মোবাইলে মেসেজ পাঠানো হয় তারা সিলেট এম.এ.জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স মোসা. নবীনা খাতুন ও মোসা. পারভীন আক্তার। স্বাস্থ্যমন্ত্রী মেসেজ দুটি আমার কাছে পাঠালে আমরা বিষয়টি তদন্ত করে দেখি। রাষ্ট্রপতির মোবাইল থেকে অথবা রাষ্ট্রপতির কার্যালয় থেকে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর মোবাইলে কোনো মেসেজ দেওয়া হয়নি। অর্থাৎ নার্সের বদলির সুপারিশের মেসেজটি ভুয়া। তদন্তের এক পর্যায়ে দেশের বিভিন্ন জেলায় অভিযান চালিয়ে প্রতারক সিরাজকে গ্রেপ্তার করা হয়।  তিনি বলেন, সিরাজ একাধিক এমপির ভুয়া ডিও লেটার দিয়ে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে বদলির জন্য তদবির করেছেন। সিরাজ অষ্টম শ্রেণি পাস হলেও তিনি প্রতারণার বিষয়টি ভালোভাবে লব্ধ করেছেন। তিনি তিনটি বিয়ে করেছেন। এর মধ্যে একজন নার্স, একজন শিক্ষক রয়েছেন। ৮ মাস আগে তিনি আরেকটি বিয়ে করেছেন। রাষ্ট্রপতি ছাড়াও সিরাজ বিভিন্ন এমপি ও মন্ত্রীদের নাম ভাঙিয়ে প্রতারণা করেছেন।  হারুন অর রশীদ বলেন , সিম কেনার পর ট্রু-কলারে নম্বর সেভ করতেন রাষ্ট্রপতির নামে। তদবিরের জন্য যে সিম দিয়ে সিরাজ তদবিরের জন্য মেসেজ দিতেন সেই সিমটি পানিতে ফেলে দিতেন। এরপর তিনি থানায় জিডি করেন তার সিম হারিয়ে গেছে। নতুন সিম কিনে আবার একইভাবে প্রতারণা করতেন। সিম পানিতে ফেলে জিডি করার অর্থ হলো, পুলিশ তাকে ধরলে তিনি বলতেন তার সিম হারিয়ে গেছে, তাই জিডিও করেছেন। তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। সিরাজ রাষ্ট্রপতির নাম কেন ব্যবহার করলেন? জবাবে হারুন অর রশীদ বলেন, এ বিষয়ে জানতে রিমান্ডে এনে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।  এর আগেও প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, এপিএস-২, মন্ত্রী, এমপি এবং বড় বড় ব্যবসায়ী পরিচয়ে প্রতারণাকারী চক্রের অনেক সদস্যকে ডিবি সাইবার আইনের আওতায় নিয়ে এসেছিল বলে জানান হারুন অর রশীদ।
০৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:৫৮

ভুয়া ডিগ্রি-অভিজ্ঞতায় বিসিএস কর্মকর্তা, অতঃপর...
ভুয়া ডক্টরেট ডিগ্রি ও অভিজ্ঞতার সনদ ব্যবহার করে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) থেকে নিয়োগ পেয়েও শেষ রক্ষা হয়নি সহযোগী অধ্যাপক এস এম আলমগীর কবীরের। বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে সংস্থাটির সহকারী পরিচালক মো. সহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে ওই সহযোগী অধ্যাপকের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। মামলার এজহার সূত্রে জানা যায়, পিএসসি থেকে ২০০৬ সালে অভিযুক্ত এস এম আলমগীর কবীর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের আওতাধীন বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের ১০ শতাংশ কোটায় সহযোগী অধ্যাপক (রাষ্ট্রবিজ্ঞান) পদে নিয়োগ পান। পিএসসির ওই নিয়োগ চারটি শর্ত ছিল। সেগুলো হচ্ছে- ১. প্রার্থীদের ডক্টরেট ডিগ্রিসহ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে দ্বিতীয় শ্রেণির স্নাতকোত্তর ডিগ্রি বা দ্বিতীয় শ্রেণির সম্মান ডিগ্রিসহ কলেজ যা বিশ্ববিদ্যালয়ে ন্যূনতম ৮ বছরের শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা। ২. প্রার্থী যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হতে শিক্ষাগত যোগ্যতা অর্জন করেছেন সেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান কর্তৃক চরিত্রগত সনদ। ৩. প্রার্থী যেসব সরকারি/বেসরকারি কলেজ/শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষকতা করেছেন সে সব কলেজ/শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ডিগ্রি কলেজ/অথবা বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের হতে হবে এবং তার অর্জিত শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা ডিগ্রি পর্যায়ের অভিজ্ঞতার সনদে তা অবশ্যই উল্লেখ থাকতে হবে। ৪. অভিজ্ঞতার সনদে কলেজটি ডিগ্রি কলেজ/বিশ্ববিদ্যালয় এবং অর্জিত অভিজ্ঞতা ডিগ্রি পর্যায়ের না থাকলে এবং অভিজ্ঞতার সনদ জমা না দিয়ে যোগদানপত্র জমা দিলে প্রার্থিতা বাতিল হবে। তবে দুর্নীতি দমন কমিশনের অনুসন্ধান বলছে, এস এম আলগীর কবীরের আবেদনের সঙ্গে মালয়েশিয়ার কামডেন ইউনিভার্সিটির পিএইচডি ডিগ্রি সংযুক্ত করেছেন কিন্তু দেশটিতে ওই নামের কোন রেজিস্ট্রার্ড শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নেই। সেই সঙ্গে সহযোগী অধ্যাপক পদে চাকরির আবেদনের জন্য ন্যূনতম ৮ বছরের শিক্ষকতার অভিজ্ঞতার মধ্যে ২ বছর ৩ মাস ১১ দিনের ঘাটতি ছিল। এই হিসাবে এস এম আলগীর কবীর চাকরির আবেদনে ডক্টরেট ডিগ্রি ও অভিজ্ঞতায় প্রতারণা করেছেন। তিনি বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের প্রভাষক রাষ্ট্রবিজ্ঞান পদ থেকে প্রেষণে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর এপিএস এবং পরবর্তীতে তৃতীয় সচিব হিসেবে মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ হাই কমিশন কর্মকালীন সরকারি কর্মচারী হয়ে জাল-জালিয়াতির আশ্রয় নিয়েছেন। এসব জাল-জালিয়াতি ও প্রতারণার আশ্রয় নেওয়ায় ১৮৬০ সালের দণ্ডবিধির ৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১ ধারা ও  ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় এস এম আলগীর কবীরের বিরুদ্ধে মামলাটি করা হয়েছে।
২১ মার্চ ২০২৪, ১৯:৫৪

চাঁদাবাজির সময় ভুয়া ডিবি পুলিশ আটক
দিনাজপুরের বিরামপুরে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে চাঁদাবাজি করার সময় দবিরুল ইসলাম (৩৮) নামে একজন ভুয়া ডিবি পুলিশকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে এলাকাবাসী।  শুক্রবার (১৫ মার্চ) রাত সাড়ে ৮ টার দিকে উপজেলার পলিপ্রয়াগপুর ইউনিয়নের দূর্গাপুর গ্রামের নরেন সরেনের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।  আটক দবিরুল ইসলাম উপজেলা জোতবানী ইউনিয়নের কেটরা হাট এলাকার রফিতুল্লাহর ছেলে। নরেন সরেনের ছেলে মানিক সরেন বলেন, রাত সাড়ে ৮ দিকে দু'টি মোটরসাইকেলে ৬জন আমাদের বাড়ির সামনে আসেন। হঠাৎ করে বাড়িতে ঢুকে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে হাতে হ্যান্ডকাপ পরানোর চেষ্টা করে এবং ভয় দেখিয়ে চাঁদা দাবি করেন। বাড়ির মালিক চন্দনা হেমরম বলেন, আমরা সবাই ভাগিনার জন্য বউ দেখতে গিয়েছিলাম। রাতে বাড়িতে আসলে হঠাৎ করে বাড়িত ঢুকে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে হাতে হ্যান্ডকাপ পরানোর চেষ্টা করে। পরে বাড়িতে বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালায় এবং চাঁদা দাবি করেন। তাদের আচরণ সন্দেহজনক হলে স্থানীয় মেম্বারকে গোপনে খবর দেওয়া হয়। তারা পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। স্থানীয়রা দবিরুল ইসলামকে ধাওয়া করে বোরো ধানের জমি থেকে তাকে আটক করে।   পলিপ্রয়াগপুর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য পলাশ কুমার মন্ডল বলেন, আমাকে ফোন করে জানানো হয় গ্রামের নরেনের বাসায় পুলিশ এসেছে। তাদের আটক করেছে। এখানে আসা মাত্রই আটক দবিরুল ইসলাম বলে উঠে যে স্যার স্যার আরও পেয়েছি স্যার। আমি ওর্য়াড সদস্য পরিচয় দিলে তার সঙ্গে থাকা বাকিরা মোটরসাইকেল নিয়ে পালিয়ে যায়। দবিরুল ইসলামও পালানোর চেষ্টা করে। পরে স্থানীয়রা তাকে আটক করে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে তাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। বিরামপুর থানার অফিসার ইনর্চাজ ওসি সুব্রত কুমার সরকার বলেন, রাতেই পুলিশ গিয়ে জনতার হাতে আটক এক ব্যক্তিকে উদ্ধার করে। এ ঘটনায় বাড়ির মালিক চন্দনা হেমরন বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন।
১৬ মার্চ ২০২৪, ১৪:২৬

রাজধানীতে ৫ ভুয়া ডিবি গ্রেপ্তার, ছিল চাঁদরাত পর্যন্ত ডাকাতির পরিকল্পনা
রমজান মাস ঘিরে রাজধানী জুড়ে ডাকাতির পরিকল্পনা গ্রহণ করেছিল একটি চক্র। এ জন্য রাজধানীর মগবাজারে একটি হোটেলও ভাড়া নিয়েছিল তারা। চাঁদরাত পর্যন্ত ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ডাকাতি করবে বলে বড় পরিকল্পনা ছিল তাদের। সম্প্রতি রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে এই চক্রের ৫ জন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি। এ সময় ডাকাতির ১২ লাখ টাকা উদ্ধারসহ তাদের কাছ থেকে জব্দ করা হয় পাঁচটি মোবাইল, ডিবির জ্যাকেট, হ্যান্ডকাপ, খেলনা পিস্তল, স্প্রিং স্টিক, ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত একটি মাইক্রোবাস, একটি মোটরসাইকেল ও পুলিশ লেখা নেভি ব্লু  ব্যাগ। গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের নাম দ্বীন ইসলাম, মো. সবুজ, সিফাত ইসলাম রাজী, মাজারুল ইসলাম ও আব্দুস সালাম হাওলাদার বলে জানা গেছে। বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) এসব তথ্য নিশ্চিত করেন ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার ও গোয়েন্দা প্রধান হারুন অর রশীদ।  তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বা ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে ডাকাতি করার সময় অনেক আসামিকে এর আগে গ্রেপ্তার করেছি। চলতি মাসেও ডিবি পরিচয়ে একটি কোম্পানির ৭১ লাখ টাকা ডাকাতি করা হয়। ওই ডাকাতির ঘটনায় জড়িত পাঁচ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছি। ডিবিপ্রধান বলেন, শাহাদাত হোসেন নামে একজন ক্লায়েন্টের ৭১ লাখ টাকা ব্যাংকে জমা দিতে ৬ মার্চ সকাল ৯টা ৫৫ মিনিটে বাসা থেকে বের হন। মতিঝিলের একটি প্রতিষ্ঠানের ওই জেনারেল ম্যানেজার সেই টাকা নিয়ে রিকশায় করে ইসলামী ব্যাংকে যাচ্ছিলেন। ফকিরাপুলের ক্যাফে সুগন্ধা হোটেলের সামনে এলে তাকে আটকানো হয়। যারা আটকায়, তাদের শরীরে পরা ছিল ডিবি পুলিশের জ্যাকেট, হাতে ওয়াকিটকি, স্প্রিং লাঠি ও হ্যান্ডকাপ। তারা ডিবি পরিচয়ে শাহাদাতকে রিকশা থেকে নামিয়ে একটি সাদা রঙের হাইস গাড়িতে উঠিয়ে নিয়ে যায়। এরপর গাড়িতে বসিয়ে গামছা দিয়ে চোখ-মুখ ও বেল্ট খুলে হাত বেঁধে ফেলে ডাকাত দল। একপর্যায়ে জোর করে কাঁধে থাকা ব্যাগভর্তি ৭১ লাখ টাকা, মোবাইল ও মানিব্যাগ নিয়ে নেয়। এরপর ভুক্তভোগীকে গাড়ির সিটের নিচে শুইয়ে দিয়ে বুকের ওপর পা রাখে ডাকাত দল। চিৎকার করলে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়। প্রায় ঘণ্টাখানেক পর গাড়ির গতি কমিয়ে শাহাদাতকে গাড়ি থেকে ফেলে দেয় তারা। ঘটনার দুদিন পর রাজধানীর মতিঝিল থানায় মামলা করেন ওই ভুক্তভোগী। ওই মামলা তদন্ত করতে গিয়ে ভুয়া ডিবি পুলিশ পরিচয়ে সংঘবদ্ধ এই ডাকাত দলের সন্ধান পায় ডিবির সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম (উত্তর) বিভাগের ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন টিম। এরপর অভিযান চালিয়ে এদের গ্রেপ্তার করা হয়। হারুন অর রশীদ বলেন, গ্রেপ্তার সিফাত ইসলাম রাজী ও মাজারুল ইসলাম ব্যবসায়ীদের অর্থ হস্তান্তরকারী ব্যক্তিদের টার্গেট করতো। এরপর অর্থ উত্তোলনের স্থান, জমা দেওয়ার স্থান পর্যবেক্ষণ করতো। এ দুজন টার্গেট করা ব্যক্তির তথ্য সংগ্রহ করে দ্বীন ইসলাম ও অন্য আসামিদের সরবরাহ করতো। ডিবিপ্রধান বলেন, নিদিষ্ট তারিখে টার্গেট করা ব্যক্তির যাত্রাপথে প্রাইভেট কার নিয়ে অবস্থান করে তারা। পরে সেই ব্যক্তি সেখানে এলে দ্বীন ইসলাম, সবুজ, সিফাত ইসলাম রাজী, মাজারুল ইসলাম, আব্দুস সালাম মিলে গতিরোধ করে ওই ব্যক্তিকে জোর করে গাড়িতে তোলে। পরে গাড়িটি ভুক্তভোগীকে নিয়ে ঢাকা ও আশপাশ এলাকায় ঘোরাঘুরি করে নির্জন স্থানে ফেলে রেখে যায়। এরপর দ্বীন ইসলাম ডাকাতির ৩০ শতাংশ এবং বাকি ২০ শতাংশ টাকা অন্যরা নেয়। আর অজ্ঞাতনামাদের মধ্যে ৫০ শতাংশ ডাকাতির অর্থ ভাগ করে দেওয়া হয়। শুধু ব্যাংক কেন্দ্রিক টার্গেট করে ডাকাতিই নয়, হানি ট্র্যাপেও সিদ্ধহস্ত ছিল এই চক্রটি। হারুন বলেন, তারা প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী বা ধনাঢ্য ব্যক্তিদের অপহরণ করে সুন্দরী তরুণীদের দিয়ে ছবি বা ভিডিও করে ব্ল্যাকমেলের মাধ্যমে মুক্তিপণ আদায় করতো। কখনও কখনও তারা সিএনজিচালিত অটোচালকদেরও ছাড় দিতো না। ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকার বিনিময়ে ছিনতাই করা সিএনজি ছেড়ে দিতো। কখনও কখনও সোনা ব্যবসায়ীদেরও টার্গেট করে মুক্তিপণ আদায় করতো তারা।  
১৫ মার্চ ২০২৪, ০৩:১০

‘সাকিব-তামিম যদি ভুয়া হয় আমাদের মাটির ভিতরে চলে যাওয়া উচিত’
চলতি বিপিএলে ‘ভুয়া ভুয়া’ স্লোগানটি ট্রেড মার্ক হয়ে দাঁড়িয়েছে। যার কারণে তামিম-সাকিব লড়াই বাড়তি গুরুত্ব পেয়েছে দর্শকদের কাছে। তবে টাইগার ক্রিকেটের সব থেকে বড় দুই তারকাকে ভুয়া বলাটা কোনোভাবেই মানতে পারেনি মুশফিকুর রহমান। এ নিয়ে মুখ খুলেছেন তিনি। টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় কোয়ালিফাইয়ারে সাকিবের রংপুরকে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছে তামিমের বরিশাল। ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলেনে মুশফিকুর রহিমের দিকে তেড়ে আসে এই দুজনকে নিয়ে লড়াইকে কিভাবে দেখেন বিষয়টি। জবাবে তিনি বলেন, দুজনে দুই দিক থেকে বাংলাদেশের লিজেন্ড ক্রিকেটার। তাদেরকে নিয়ে যুদ্ধ দূরের কথা তাদের নিয়ে কথা বলাটা অনৈতিক। তারা যতটুকু বাংলাদেশের জন্য দিয়েছে এবং আরও দিবে। যারা কথা বলেন, ইভেন ভুয়া-ভুয়া বলেন, সাকিব আর তামিম যদি ভুয়া হয় তাহলে আমাদের মাটির ভেতরে ঢুকে যাওয়া উচিত।’ দুজনের লড়াই নিয়ে মুশফিক বলেন, সত্যি কথা বলতে এরকম বড় ম্যাচে যদি একজন লাইম লাইট নিয়ে থাকে সবচেয়ে রিলাক্স থাকা যায়। দুইজন দুজনের যুদ্ধ করবে, আমরা আমাদের মতো থাকবো। সত্যি কথা। দুজনই অনেক রিলাক্স ছিল, দুজনে ছিল দুজনের মতো, তারা দুজনে জানে তারা কত বড় কন্ট্রিবিউটর (অবদান রাখেন) তাদের নিজেদের টিমের জন্য। আগামী শুক্রবার ফাইনালে কুমিল্লার বিপক্ষে লড়াই করবে বরিশাল।
২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৮:৩৫

চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে টাকা আত্মসাৎ, ভুয়া পুলিশ গ্রেপ্তার 
নোয়াখালীর সদর উপজেলায় পুলিশ পরিচয়ে চাকরির প্রলোভনে টাকা আত্মসাতের দায়ে মো. সোহাগ (৪৫) নামে এক ভুয়া পুলিশকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।   শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টার দিকে জেলা শহর মাইজদীর হাসপাতাল রোড এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।    গ্রেপ্তার মোহাম্মদ সোহাগ (৪৫) সদর উপজেলার নোয়ান্নই ইউনিয়নের সালেহপুর গ্রামের ডিলারের নতুন বাড়ির মৃত ইদ্রিস পাটোয়ারীর ছেলে।   পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তারকৃত আসামি সোহাগ নিজেকে পুলিশ সদস্য পরিচয় দিয়ে স্থানীয় মো. ফরহাদ হোসেন, মো.আবুল হাশেম, ফজর বানু লাভলী, মো. তারেক ও সাইফুল ইসলামের থেকে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাকরি দেওয়ার নাম করে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। ভুক্তভোগীরা এ বিষয়ে পুলিশের কাছে মৌখিকভাবে অভিযোগ করে। পরবর্তীতে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে।   নোয়াখালীল পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান এসব তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, এ ঘটনায় সুধারাম মডেল থানায় মামলা রুজু প্রক্রিয়াধীন। ওই মামলায় রোববার দুপুরের আসামিকে নোয়াখালী চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হবে।  
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:২৬

ডিগ্রি ছাড়াই নামের আগে ডাক্তার, দেখতেন রোগী (ভিডিও)
সাইনবোর্ড আর এপ্রোন পরেই হয়ে গেছেন চিকিৎসক, সনদ বা ডিগ্রি ছাড়াই দেখছেন রোগী। শুধু তাই নয়, বেসরকারি কিছু ক্লিনিক চাকরিও দিচ্ছে তাদের। রাজধানীজুড়ে এমন বেশ কিছু ভুয়া চিকিৎসকের সন্ধান পেয়েছে আরটিভি। যাদের কেউ কেউ কলেজের গণ্ডি না পেরিয়েই হয়ে গেছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক। যাদের কাছে গিয়ে রোগমুক্তির পরিবর্তে জীবন সঙ্কটে পড়ছেন সাধারণ মানুষ। রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর আলম ফার্মাসিতে চিকিৎসক পরিচয়ে নিয়মিত রোগী দেখেন মো. আলম। তবে টিভি ক্যামেরা নিয়ে প্রবেশ করতেই পাল্টে যায় পরিস্থিতি। মো. আলম স্বীকার করেন, এইচএসসি পাস করেই নিজেকে চিকিৎসক পরিচয় দেন তিনি। যাত্রাবাড়ীর মাতুয়াইলে এসএমসি হাসপাতালের চিকিৎসক সুদর্শনও ডিগ্রি ছাড়াই চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছেন। সাংবাদিক দেখে মুহূর্তেই চিকিৎসক পরিচয় পাল্টে নিজেকে মেডিকেল এসিসটেন্ট দাবি করেন সুদর্শন। যদিও সেই সনদও দেখাতে পারেননি তিনি।  শ্যামলীতে আমার বাংলাদেশ হাসপাতালে এক রোগীর অপারেশন করেন মোহাম্মদ আনোয়ার নামে এক ব্যক্তি। রোগীর স্বজনরা পরে জানতে পারেন তিনি চিকিৎসকই নন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি আনোয়ারকে তারাও চেনেন না। অথচ এখানেই চিকিৎসা দিতেন তিনি। একই অভিযোগ, পঙ্গু হাসপাতালের টেকনিশিয়ান সেলিমের বিরুদ্ধেও। তিনিও নিজেকে চিকিৎসক পরিচয় দিয়ে রোগী দেখেন। মোহাম্মদপুরে পিপলস ডায়াগনস্টিক সেন্টারেও নাকি রোগি দেখেন তিনি। তবে অনেক চেষ্টাতেও তার সঙ্গে দেখা করা যায়নি, ফোনেও কথা বলতে চাননি। পঙ্গু হাসপাতালের পরিচালক ডা. কাজী শামীম উজ্জামান বলেন, ঘটনা সত্যি হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  চিকিৎসক পরিচয়ে এমন প্রতারণার ভুরি-ভুরি উদাহরণ রাজধানীজুড়ে। যাদের কবলে পড়ে জীবন সঙ্কটে পড়ছেন বহু মানুষ। মানুষের জীবন-মৃত্যুকে পুঁজি করে যারা প্রতারণা করছে তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত অভিযান শুরুর তাগিদ জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের।
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৬:৩৬

এবার ভুয়া ভুয়া ধ্বনিতে বইমেলা থেকে বিতাড়িত হিরো আলম
মুশতাক-তিশা দম্পতি ও ড. সাবরিনার পর এবার অমর একুশে বইমেলা প্রাঙ্গণ থেকে আলোচিত ইউটিউবর আশরাফুল হোসেন আলমকে (হিরো আলম) বিতাড়িত করা হয়েছে। বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৪টার দিকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান থেকে তাকে ‘ভুয়া ভুয়া’, ‘ছিঃছিঃ’ ধ্বনি দিয়ে মেলা প্রাঙ্গণ থেকে বের হয়ে যেতে বাধ্য করে মেলার দর্শনার্থীরা। জানা গেছে, বইমেলার একুশতম দিনে ‘দৃষ্টিভঙ্গি বদলান, আমরা সমাজকে বদলে দিব’ বইয়ের লেখক হিরো আলম মেলায় আসেন। যখন বইটি হাতে নিয়ে পাঠকদের বই কিনতে উৎসাহিত করছিলেন হিরো আলম, তখন একদল দর্শনার্থী তাদের দুয়োধ্বনি দিয়ে তাড়া করেন। এ সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহয়তায় তিনি মেলা প্রাঙ্গণ থেকে বের হয়ে যান। প্রসঙ্গত, গত কয়েক দিন আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচিত মুস্তাক-তিশা, সাবরিনাকে একইভাবে বের করে দেয় সাধারণ দর্শনার্থী ও পাঠকেরা।  
২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৭:৪৫
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়