• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
logo
ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিস্ফোরণের ঘটনায় মামলা
নোয়াখালীর হাতিয়ার ভাসানচার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সিলেন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরের দিকে রোহিঙ্গা নাগরিক ছৈয়দ নুর বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন।  মামলায় একমাত্র আসামি করা হয়েছে সফি আলম (২৪) নামে এক রোহিঙ্গা নাগরিককে। সে ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মো. তৈয়বের ছেলে এবং ৮১নং ক্লাস্টারের বাসিন্দা ছিল।                                                                                                                                                  মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ভাসানচর আশ্রয়ন প্রকল্প-৩ এর ৮১নং ক্লাস্টারের বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা সফি আলম (২৪)। শনিবার ২৪ ফেব্রুয়ারি তার পরিবারে এনজিও থেকে এলপিজি গ্যাস পাওয়ার কথা ছিল। এজন্য ওই দিন সকাল সাড়ে ৮টার সফি আলম তার পরিবারে ব্যবহৃত গ্যাস সিলিন্ডারে কিছু গ্যাস অবশিষ্ট থেকে যাওয়ায়, নতুন গ্যাস সিলিন্ডার পাওয়ার আশায় রুমের বাহিরে বারান্দায় তাদের ব্যবহৃত সিলিন্ডার থেকে গ্যাস ছেড়ে দেয়। একই সময়ে ক্লাস্টার নং-৮১, পাশের রুম নং-ই/৭-এর আবদুস শুক্কুরের স্ত্রী আমিনা খাতুন এবং অপর পাশে রুম নং-ই/০৫-এর আব্দুল হাকিমের মেয়ে শমসিদা গ্যাসের চুলায় রান্না করছিলেন।  মামলার এজাহারে আরও বলা হয়েছে, সফি আলম ব্যবহৃত গ্যাস সিলিন্ডার থেকে গ্যাস ছেড়ে দেওয়ায় গ্যাস বায়ুর সঙ্গে মিশে ক্লাস্টারের বিভিন্ন রুমে ছড়িয়ে পড়ে এবং রান্নার আগুনের সঙ্গে মিশে রুম নং-৩,৫,৬,৭,৮ সহ বারান্দায় ও রুমে আগুন লেগে যায়। ফলে রোহিঙ্গা শিশু রবি আলম (৫), সোহেল (৫), রাসলে (৪), মুবাসিরা (৩) রশমিদা (৩) ও আমনো আক্তার (২৬) জুবায়দা (২৩) বশির উল্লাহ (১৭) সফি আলম (২৪) সহ আরো কয়কেজন অগ্নিদগ্ধ হয়। খবর পেয়ে পুলিশসহ স্থানীয় লোকজন আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।  নোয়াখালীর পুলিশ সুপার (এসপি) আসাদুজ্জামান মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, সফি আলম সাবধান না থেকে অবহেলা ও তাচ্ছিল্য করার কারণে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চার শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১০:৪৮

ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিস্ফোরণ : আরও ১ শিশুর মৃত্যু
নোয়াখালীর হাতিয়ার ভাসানচরের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ আরও এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে দুজন।   নিহত মোবাশ্বেরা (৩) ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সফি আলমের মেয়ে। বিস্ফোরণে তার শরীরের ৬০ শতাংশ পুড়েছিল।    সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বাকিরা হলেন, জোবায়দা (২২), রশমিদা (৫), রবি আলম (৫), আমেনা খাতুন (২৪) ও সোহেল (৫)। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিস্ফোরণের ঘটনায় দগ্ধ ৯ জনের মধ্যে ৭ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাদের মধ্যে রাসেল (৪) নামে এক শিশুকে গত শনিবার সন্ধ্যার দিকে মৃত ঘোষণা করা হয়েছে। সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টার দিকে মোবাশ্বেরা নামে আরও এক শিশু চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। বাকি ৫ জনকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। আহতদের মধ্যে রোসমিনার ৫০ শতাংশ, রবি আলমের ৪৫ শতাংশ, আমেনা খাতুনের ৮ শতাংশ সোহেলের ৫২ শতাংশ ও জোবায়দার ২৫ শতাংশ দগ্ধ হয়। আহতদের মধ্যে আমেনা খাতুন ছাড়া বাকি সবারই শ্বাসনালী দগ্ধ হয়েছে। তাই তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক।  উল্লেখ্য, শনিবার সকালে হাতিয়া উপজেলার ভাসানচরে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ৮১ নম্বর ক্লাস্টারে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে ৫ শিশুসহ ৯ জন দগ্ধ হয়। আহতদের প্রথমে নোয়াখালীর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক ৭ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চমেক হাসপাতালে প্রেরণ করে।
২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৫:৪৩

ভাসানচর পৌঁছাল আরও ১৫২৭ রোহিঙ্গা 
স্থানান্তর প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে ২৩তম ধাপে কক্সবাজারের টেকনাফ ও উখিয়ার বিভিন্ন রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবির থেকে আরও ১৫২৭ জন রোহিঙ্গা নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পৌঁছেছে। একই বহরে ৬৪০ জন পুরাতন রোহিঙ্গাও ছিল। বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৩টার দিকে নৌবাহিনীর ৪টি জাহাজে করে তাদের ভাসানচরে নিয়ে আসা হয়।   এ নিয়ে ভাসানচর আশ্রয়ণ কেন্দ্রে রোহিঙ্গা নাগরিকের সংখ্যা ‌দাঁড়াল ৩৩ হাজার ৫২৭। এর আগে, গতকাল মঙ্গলবার বিকেলের দিকে স্বেচ্ছায় ভাসানচরে যেতে ইচ্ছুক রোহিঙ্গাদের বিভিন্ন আশ্রয় শিবির থেকে বাসে করে কক্সবাজারের উখিয়া ডিগ্রি কলেজের মাঠে জড়ো করা হয়। সেখান থেকে রাত ১০টার দিকে তারা চট্টগ্রাম পৌঁছায়। আরআরআরসি কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ২২ দফায় কক্সবাজারের বিভিন্ন আশ্রয়শিবির থেকে ভাসানচরে স্থানান্তর করা হয়েছে ৩২ হাজার রোহিঙ্গাকে। ভাসানচরের আশ্রয়ণ শিবিরে মোট এক লাখ রোহিঙ্গাকে সরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা আছে সরকারের। ভাসানচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাওসার আলম ভূঁইয়া জানান, নতুন রোহিঙ্গাদের নৌবাহিনীর পেঙ্গুইন, তিমি, ডলফিন, টুনা জাহাজে নিয়ে আসা হয়। এরপর নৌবাহিনীর পন্টুন-সংলগ্ন হ্যালিপ্যাডে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সেখান থেকে গাড়ির মাধ্যমে বিভিন্ন ক্লাস্টারে বসবাসের জন্য হস্তান্তর করা হয়।
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৯:৩৪
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়