• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo
‘শেখ হাসিনা মানুষের চোখের ও মনের ভাষা বুঝতে পারেন’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মানুষের চোখের ভাষা ও মনের ভাষা বুঝতে পারেন। আর বিএনপি সেটা বোঝে না বলেই রাজনীতিতে জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে। রোববার (১০ মার্চ) দুপুরে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। ওবায়দুর কাদের বলেন, প্রমাণ হয়েছে শেখ হাসিনার হাতেই বাংলাদেশের গণতন্ত্র নিরাপদ। তার হাতেই বাংলাদেশের উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি। পথ হারাবে না বাংলাদেশ। নির্বাচন নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিবেদনের বিষয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে সুরেই কিছুটা সুর মিলিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। কিন্তু আমাদের দেখতে হবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁ কি বলছেন? তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে চিঠি দিয়েছেন। সেখানে তারা বাংলাদেশের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করতে আগ্রহী। ময়মনসিংহ ও কুমিল্লা সিটি নির্বাচনসহ স্থানীয় সরকার নির্বাচন নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়েছে জানিয়েছে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, এসব নির্বাচনে গড়ে ৬০ শতাংশ ভোট পড়েছে। ভোট শান্তিপূর্ণ, সুষ্ঠু হয়েছে। ওবায়দুল কাদের বলেন, এই নির্বাচনে বিএনপি নেতারা অংশ নিয়েছেন। কিছু নেতা জয়লাভও করেছেন। এরপর বিএনপির মুখে নির্বাচন নিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে কোনো কথা বলার যৌক্তিকতা থাকে না। সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, এস এম কামাল হোসেন, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, আফজাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়াসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।
১০ মার্চ ২০২৪, ১৬:১৫

প্যারিসে ভাষা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ‘পাঠশালা’র যাত্রা
প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে ফরাসি ভাষা শিক্ষাদানের প্রত্যয় জানিয়ে ‘পাঠশালা’র যাত্রা শুরু হয়েছে।  শনিবার (১মার্চ) আনুষ্ঠানিকভাবে ফিতা ও কেক কেটে পাঠশালার উদ্বোধন করা হয়। প্রতিষ্ঠানের পৃষ্টপোষক আব্দুল্লাহ আল হাসানের সভাপতিত্বে ও  হাসান আহমদের পরিচালনায় উদ্বোধনী সভার শুরুতে কোরআন তেলাওয়াত করেন রায়হান উদ্দিন।  প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান উবায়দুল্লাহ কয়েছ জানান, পাঠশালাটি ফ্রান্সে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের কাছে আস্থার প্রতিষ্ঠান হবে।  এ ছাড়া অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ এসোসিয়েশনের সভাপতি সালেহ আহমদ চৌধুরী, ফ্রান্স আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সুব্রত ভট্রাচার্য শুভ, বিডি ফার্ণিচারের সত্বাধিকারী মিয়া মাসুদ, বাংলা অটো ইকুলের পরিচালক হোসেন সালাম রহমান, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় ধর্ম বিষয়ক সদস্য আলী হোসেন, কবি ও ছড়াকার লুকমান আহমদ আপনসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন। এ সময় বক্তারা বলেন, ফ্রান্সে বসবাস করতে হলে ফ্রেঞ্চ ভাষা শিক্ষার বিকল্প কিছুই নেই। ফ্রান্সে নিয়মিত হওয়া থেকে শুরু করে জাতীয়তা অর্জন সব ক্ষেত্রেই এখন ফরাসি ভাষা পড়া ও লেখার বাধ্যতামূলক আইন জারি করা হচ্ছে।
০৩ মার্চ ২০২৪, ২০:৪৩

ফিনল্যান্ডে চালু হলো বাংলা শেখার ‘সাপ্তাহিক বাংলা স্কুল’
বিশ্বের প্রায়ই সব দেশে রয়েছে বাংলাদেশির পদচারণা। অনেকে প্রবাস জীবন শেষে নিজ মাতৃভূমিতে ফিরলেও কেউ কেউ স্থায়ীভাবে ভীনদেশে বসবাস গড়ে তুলেছেন। আর সেই দেশগুলোতে বেড়ে উঠছে বাংলাদেশের পরবর্তী প্রজন্ম। তেমনি ফিনল্যান্ডেও দিন দিন বাড়ছে বাঙালির সংখ্যা। তারই ধারাবাহিকতায় এই প্রথম ফিনল্যান্ডে গড়ে উঠেছে ইলম একাডেমি বাংলা উইকেন্ট স্কুল। যেখানে লোকাল ফিনিস ভাষার পাশাপাশি সপ্তাহে দু’দিন বাংলা ও আরবি ভাষা শিক্ষার সুযোগ পাচ্ছে বাঙালি শিশু-কিশোররা। ভাষা দিবস উপলক্ষে রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) ইলম আয়োজন করে বাংলা ভাষার এক প্রতিযোগিতামূলক অনুষ্ঠান। ইলম একাডেমি স্কুলের পরিচালক মোহাম্মদ জান্নাতুন নাইমের সভাপতিত্বে ও দারুল আমান ইসলামিক সেন্টারের তত্ত্বাবধানে পুরো অনুষ্ঠান পরিচালিত হয়।  স্থানীয় একটি হলরুমে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়। এরপর শিশু-কিশোররা চিত্রাংকন, বাংলা হাতের লিখা, বই পড়া, কবিতা আবৃত্তি ও বিষয় ভিত্তিক বক্তৃতা ও অন্যান্য প্রতিযোগিতায় আয়োজন করে। অনুষ্ঠান শেষে বিজয়ীদের পুরস্কার প্রদান করা হয়।  সাপ্তাহিক এই স্কুল খোলা থাকে প্রতি শনি ও রোববার। খরচও নামমাত্র ২০ ইউরো। ২০২০ সালের শুরুতে ১০ জন শিক্ষাথী এবং ২ জন শিক্ষক চালু করলেও বর্তমানে এই সাপ্তাহিক স্কুলে রয়েছে ১৫ জন শিক্ষক এবং প্রায় অধশতাধিক ছাত্র-ছাত্রী। প্রবাসে এমন বাংলা ও আরবি লেখাপড়ার সুযোগ পেয়ে খুশি এখনকার বাঙালি কমিউনিটির শিশু-কিশোররা। ভিনদেশেও সন্তানদের বাংলা ও আরবি পড়াতে পেরে উচ্ছ্বসিত অভিভাবকরাও।  
২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২৩:১৮

হারিয়ে যাচ্ছে ‘খাড়িয়া ভাষা’, জানেন শুধু ২ নারী
বাংলাদেশের অতি বিপন্ন ভাষার মধ্যে একটি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর মাতৃভাষা খাড়িয়া। চা বাগান শ্রমিকদের তেমনি এক জাতিসত্তা হলো ‘খাড়িয়া’। ঐতিহ্যগতভাবে তাদের ভাষার নাম ‘খাড়িয়া ভাষা’। আর এই ভাষা মাত্র দুজন মানুষের মুখে এখন টিকে আছে। সত্তরোর্ধ্ব বয়সের চা শ্রমিক এই দুই বোনের মৃত্যুর সঙ্গে বাংলাদেশ থেকে হারিয়ে যাবে এই ভাষা। বন্ধ হয়ে যাবে একটি সভ্যতা, সাংস্কৃতিক সম্পদের প্রবেশ পথ।  বাংলাদেশে নিজস্ব ভাষার অস্থিত্ব রয়েছে ৪৩টি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর। এরমধ্যে বম, কোল, চাক, শো, খাসি, কোড়া, পাংখুয়া, খাড়িয়া, সৌরা, কোডা, মুন্ডারি, মালতো, কন্দ, খুমি, রেংমিতচা, খিয়াং, লালেং বা পাত্র ও লুসাই ভাষাগুলো বিপন্ন ভাষা হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে বৈজ্ঞানিক ভাষা সমীক্ষায়। ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর এ ভাষাগুলো ব্যবহার করা লোকের সংখ্যা খুবই কম। এসব ভাষাভাষী লোকেরা নিশ্চিহ্ন হয়ে গেলে ভাষাটি বিলুপ্ত হয়ে যাবে। চা শিল্পাঞ্চলে রয়েছে বহু ভাষাভাষির লোকজন, রয়েছেন বেশ ক’টি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর মানুষ। তাদের মধ্যে চা বাগানগুলোতে অনেক জাত-পাত রয়েছে যারা নিজেদের ভাষা ছাড়া অন্য ভাষায় কথা বলতে, লিখতে বা পড়তে পারেন না। চা বাগান শ্রমিকদের তেমনি এক জাতিসত্তা হলো ‘খাড়িয়া’। ঐতিহ্যগতভাবে তাদের ভাষার নাম ‘খাড়িয়া ভাষা’। এ ভাষাটি এক সময় বাংলাদেশের চা শিল্পাঞ্চলে কর্মরত অসংখ্য খাড়িয়া শ্রমিকের প্রাণের ভাষা ছিল। কিন্তু কালের বিবর্তনে দেশের চা বাগান থেকে ভাষাটি হারিয়ে যেতে বসেছে। তবে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর খাড়িয়া ভাষা এখন টিকে আছে দুইজনের মুখে। তারা দুই বোন ভেরোনিকা কেরকেটা ও খ্রিস্টিনা কেরকেটা। এ দুই বোন ছাড়া দেশে আর কেউ এ ভাষায় কথা বলতে, পড়তে বা লিখতে পারেন না। এমনকি তাদের পরিবারের কোনো সদস্যেরও ভাষাটি সম্পর্কে জ্ঞান নেই। দেশে মাত্র এই দুই নারী ঐতিহ্যবাহী ‘খাড়িয়া’ ভাষায় কথা বলতে পারেন। মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলের ব্যাচরা চা বাগানের শ্রমিক ভেরোনিকা ও খ্রিস্টিনাই শেষ ব্যক্তি; যাদের সঙ্গে বাংলাদেশ থেকে হারিয়ে যাবে তাদের মাতৃভাষা খাড়িয়া। ‘বীর তেলেঙ্গা খাড়িয়া ল্যাঙ্গুয়েজ সেন্টার’ নামের খাড়িয়া ভাষা শিক্ষা সংগঠনের অন্যতম উদ্যোক্তা পিওস নানোয়ার বলেন, ‘আমি নব্বইয়ের দশকে স্কুল শিক্ষার্থী থাকাবস্থায় দাদির কাছ থেকে প্রথম কিছু খাড়িয়া শব্দ শিখেছিলাম। আমাদের ঐতিহ্যবাহী এ ভাষাটি টিকিয়ে রাখতে ২০১৭ সালে আমাদের বর্মাছড়া বাগানস্থ উত্তরণ যুব সংঘের মাধ্যমে আমরা গঠন করি ‘বীর তেলেঙ্গা খাড়িয়া ল্যাঙ্গুয়েজ সেন্টার’ নামের একটি খাড়িয়া ভাষা শিক্ষা কেন্দ্র।  প্রাথমিকভাবে ভেরোনিকা কেরকেটা ও খ্রিস্টিনা কেরকেটার মাধ্যমে কিছু শিশুকে খাড়িয়া ভাষা সম্পর্কে ধারণা দেবার চেষ্টা চলে। মূলত মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল ও কমলগঞ্জ উপজেলা এবং হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার চা বাগানগুলোর ৪১টি শ্রমিক কলোনিতে খাড়িয়া জাতিগোষ্ঠীর বাস। সরকারিভাবে ২০১৯ সালে তৈরি করা ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর তালিকায় খাড়িয়াকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এরপর ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে আমরা দেশের চা বাগানগুলোর ওই ৪১টি শ্রমিক পাড়ায় চষে বেড়িয়ে হাজারের মতো খাড়িয়া জনগোষ্ঠীর সন্ধান পাই এবং তাদের নাম তালিকাবদ্ধ করি। অনুসন্ধানে ভেরোনিকা কেরকেটা ও খ্রিস্টিনা কেরকেটা ছাড়া আর কোথাও খাড়িয়া ভাষায় কথা বলার মতো কাউকে পাইনি। খাড়িয়া জনগোষ্ঠীর নব প্রজন্ম মিশ্রণ বাংলায় কথা বলে অভ্যস্ততা লাভ করেছেন। আমাদের সংগঠনের পক্ষ থেকে তৎকালীন সময়ে তরুণ প্রজন্মকে খাড়িয়া ভাষা রক্ষায় ভাষাটি শেখানোর চিন্তা-ভাবনা করি। কিন্তু দেশে খাড়িয়া জনগোষ্ঠীর নিজস্ব কোন বর্ণমালা না থাকায় আমাদের প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়। শ্রীমঙ্গল রাজঘাট ইউপি চেয়ারম্যান বিজয় বুনাজি বলেন, আমাদের দেশের চা বাগানগুলোর মধ্যে অধিকাংশই ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর বহু ভাষাভাষি মানুষের বসবাস। চা বাগানগুলোর অনেকগুলো ভাষা সংরক্ষণ ও পরিচর্যার অভাবে আজ বিপন্ন। খাড়িয়া ভাষায় কথা বলেন মাত্র দুইজন। বাকি খাড়িয়া জনগোষ্ঠী সাদ্রিবাংলা, দেশোয়ালী ও খাড়িয়া ভাষার সংমিশ্রণে এক ধরণের ভাষায় কথা বলেন। প্রকৃত খাড়িয়া ভাষা দুই বোনের মৃত্যুর পর হারিয়ে যাবে। এটি সংরক্ষণে যথাযথ কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ আবশ্যক। ভেরোনিকা কেরকেটা বলেন, প্রায় পাঁচ বছর আগেও এ দেশে আমি, আমার স্বামী ও ছোট বোন এই তিনজন খাড়িয়া ভাষায় কথা বলতে পারতাম। ২০১৯ সালে আমার স্বামী আব্রাহাম সোরেং অসুস্থ হয়ে মৃত্যুবরণ করলে ভাষাটি নিয়ে টিকে আছি আমি ও আমার ছোট বোন খ্রিস্টিনা কেরকেটা। মাঝে-মধ্যে তার সঙ্গে দেখা হলে আমরা নিজেদের খাড়িয়া ভাষায় টুকটাক কথা বলি। আমাদের ছেলে-মেয়ে, নাতি-নাতনি কেউ এ ভাষা না জানায় তারা কেউই এ ভাষায় কথা বলতে পারে না, দুই-একটি শব্দ জানে মাত্র। শেষ বয়সে এসে মনে চায় নিজেদের ভাষায় প্রাণখুলে কথা বলি। তবে আর কেউ খাড়িয়া ভাষাটি না জানা, না বুঝায় তাদের সঙ্গে প্রাণখুলে গল্প করা সম্ভব হয় না। শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আবু তালেব বলেন, খাড়িয়া ভাষা বর্তমানে বিলুপ্তির পথে। কারণ এই ভাষায় এখন কথার বলার মত লোক নেই। এই ভাষায় শুধুমাত্র দুই বোন কথা বলতে পারেন। বর্মাছড়ার এই দুই বোনের মৃত্যুর পর দেশ থেকে খাড়িয়া ভাষা বিলুপ্ত হয়ে যাবে। তবে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর মানুষের ভাষা সংরক্ষণে নানা উদ্যোগ গ্রহণ করছে উপজেলা প্রশাসন।
২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৮:০৪

ভাষা আন্দোলন থেকে মুক্তিযুদ্ধ, বঙ্গবন্ধুই নেতৃত্বে ছিলেন : এমপি মোরশেদ আলম
‘ভাষা থেকেই স্বাধীনতা, সেই ৫২’র ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে মুক্তিযুদ্ধ পর্যন্ত প্রতিটি আন্দোলনই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের নেতৃত্বে হয়েছিল। শুধু তাই নয় জাতিসঙ্ঘে বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা বাংলায় ভাষণ দিয়ে এ ভাষাকে আরও মর্যাদাশীল করে তুলেছেন’ বলে মন্তব্য করেছেন নোয়াখালী-২ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ মোরশেদ আলম। বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সেনবাগে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের আলোচনাসভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।  এর আগে তিনি দিবসের প্রথম প্রহরে উপজেলার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার ও বঙ্গবন্ধু ম্যুরালে ফুলেল শ্রদ্ধা জানান। পরে উপজেলার ছাতারপাইয়া বহুমুখী উচ্চবিদ্যালয়ের আয়োজনে তৃতীয়বারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন। একই দিন বিকেলে উপজেলার আছিরা খাতুন উচ্চবিদ্যালয়ের আয়োজনে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন ও বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন এবং বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় বিজয়ী শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন। এ সময় অন্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জিসান বিন মাজেদ, বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায় মো. আশরাফুল, সেনবাগ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বাহার উল্যাহ বাহার, বেঙ্গল গ্রুপ ও আরটিভির পরিচালক সাইফুল আলম দিপুসহ অনেকে।
২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৩:১১

ইতালিতে পালিত হয়েছে ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ২০২৪’
ইতালির রোমস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস যথাযোগ্য মর্যাদায় ‘শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস-২০২৪’ পালন করেছে। দিবসের বিশেষ কর্মসূচির অংশ হিসেবে দূতাবাস চত্বরে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করা হয়। বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টায় দূতাবাসের আয়োজনে দূতাবাস প্রাংগণে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানের শুরুতেই ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধে সব শহীদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। রাষ্ট্রদূত মো. মনিরুল ইসলাম তার বক্তব্যে মাতৃভাষার অস্তিত্ব রক্ষা ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে আত্মত্যাগকারী শহীদদের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা, শ্রদ্ধা ও সম্মান প্রকাশ করেন। তিনি উল্লেখ করেন যে, ভাষা সংগ্রামের পথ ধরেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দিকনির্দেশনায় বাংলাদেশের গৌরবময় স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে। ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ হিসেবে স্বীকৃতির পরিপ্রেক্ষিতে এ দিবস পৃথিবীর সব দেশের ভাষা ও সংস্কৃতির প্রতি সম্মান প্রদর্শনের মাধ্যমে সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতির বার্তা ছড়িয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে অনন্য ভূমিকা রাখছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।  এ ছাড়াও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে সকাল ৯টায় ইতালির রাজধানী রোমে অবস্থিত আইজাক রবিন পার্কে স্থাপিত স্থায়ী শহীদ মিনারে বাংলাদেশ দূতাবাস, রোম-এর উদ্যোগে পুষ্পাঞ্জলী অর্পণের আয়োজন করা হয়। ভাষা শহীদদের সম্মানে ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসকে মহিমান্বিত করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রয়াসে ইতালীয় সরকারের সহায়তায় রবিন পার্কে ২০১১ সালে শহীদ মিনার স্থাপন করা হয়। প্রথমেই রাষ্ট্রদূতের নেতৃত্বে দূতাবাসের সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারী পুষ্পার্ঘ অর্পণ করে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। ইতালিস্থ বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠন এবং বিপুলসংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশীরাও একে একে দলবদ্ধভাবে শৃংখলার সঙ্গে এ সময় ফুল দিয়ে তাদের শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এ সময় রাষ্ট্রদূত তার সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে সকলের সামনে দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরেন এবং সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। অনুষ্ঠানে দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়। অনুষ্ঠানের পরবর্তী পর্যায়ে দিবসটি উপলক্ষে চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর নির্মিত বিশেষ প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন করা হয়। ভাষা শহিদদের রুহের মাগফেরাত ও দেশের অব্যাহত শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে মোনাজাতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।
২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১১:১১

‘ভাষা আন্দোলন দমিয়ে রাখতে বঙ্গবন্ধুকে কারান্তরীণ রাখা হয়’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় জানিয়েছেন, ভাষা আন্দোলনের গতিবেগ দমিয়ে রাখতে পাকিস্তান সরকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে কারান্তরীণ রাখে। শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় তার ভেরিফাইড ফেইসবুক পেইজে এ নিয়ে একটি লেখা পোস্ট দেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় লিখেছেন, ভাষা আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়ার ফলে বঙ্গবন্ধুসহ ২৪ নেতাকে জননিরাপত্তা আইনে গ্রেপ্তার করা হয়।     ভাষা আন্দোলন পাকিস্তানের শাসকগোষ্ঠীর দুঃশাসন ও শোষণের শৃঙ্খল ভেঙে বাঙালি জাতিসত্তা বিনির্মাণের প্রথম সোপান উল্লেখ করে সজীব ওয়াজেদ লিখেছেন, “ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শৃঙ্খল থেকে মুক্ত হতে না হতেই পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী আমাদের মুখের ভাষা বাংলা কেড়ে নিতে চায়। মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ ঘোষণা দিলেন উর্দুই হবে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা। এই ঘোষণার বিরুদ্ধে সর্বপ্রথম জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাংলার ছাত্রসমাজ ঐক্যবদ্ধভাবে সোচ্চার হয়ে ওঠে। বিক্ষোভে ফেটে পড়ে পূর্ববাংলার ছাত্র-জনতা। "১৯৪৮ সালের ১১ মার্চ রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে সর্বাত্মক সাধারণ ধর্মঘট ও হরতালের আহ্বান করা হয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এই হরতাল কর্মসূচির নেতৃত্ব দেন। যার ফলে তার ওপর পুলিশি নির্যাতন চালানো হয় এবং ওই দিনই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। বঙ্গবন্ধুর গ্রেফতারের পর ছাত্রলীগের নেতৃত্বে সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা পরিষদ গঠন করা হয়। সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় ১৯৪৯ সালের এপ্রিল মাসে রাষ্ট্রভাষা আন্দোলন তীব্র আকার ধারণ করে। এই আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়ার ফলে বঙ্গবন্ধুসহ ২৪ জন নেতাকে জননিরাপত্তা আইনে গ্রেপ্তার করা হয়।" ফুল দিয়ে শহীদ মিনারে একুশের শ্রদ্ধা জানানোর একটি ছবি পোস্ট করে বঙ্গবন্ধু দৌহিত্র সজীব ওয়াজেদ লেখেন, “১৯৫২ সালের জানুয়ারি মাসে বঙ্গবন্ধু আটক থাকা অবস্থায় গোপনে বৈঠক করে ২১ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রভাষা দিবস পালন ও সর্বদলীয় সংগ্রাম পরিষদ গঠনের নির্দেশনা দেন। পাশাপাশি ১৯৫২ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি বঙ্গবন্ধু জেল হাসপাতালে থেকে নেতাদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে ২১ ফেব্রুয়ারি হরতাল ডেকে গণপরিষদ ঘেরাও করার পরামর্শ দেন। "বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা প্রতিষ্ঠার দাবিতে এই আন্দোলন দমনের লক্ষে পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী ২১ ফেব্রুয়ারি ১৪৪ ধারা জারি করে। কিন্তু বাঙালি জাতীয়তাবোধে উজ্জীবিত সংঘবদ্ধ ছাত্র-জনতাকে কোনোভাবেই দাবিয়ে রাখা যায়নি। ‘রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই’ স্লোগানে প্রকম্পিত হয়ে ওঠে বাংলার আকাশ-বাতাস। ঢাকার রাজপথ রঞ্জিত হয় রফিক, শফিক, সালাম, বরকত, জব্বারসহ নাম না জানা অগণিত শহীদের রক্তে। ভাষা আন্দোলনের গতিবেগ দমিয়ে রাখতে পাকিস্তান সরকার বঙ্গবন্ধুকে কারান্তরীণ রাখে। সজীব ওয়াজেদ ওই সময়ের ঘটনাপ্রবাহের দিকে দৃষ্টিপাত করে লিখেছেন, তবে জেলে অবস্থানকালেই বঙ্গবন্ধু রাষ্ট্রভাষা বাংলার প্রতিষ্ঠা ও রাজবন্দিদের মুক্তির দাবিতে ১৮ ফেব্রুয়ারি থেকে এক সপ্তাহের অনশন করেছিলেন। “মায়ের ভাষার অধিকার ও রাষ্ট্রভাষা প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম ছিল বীর বাঙালি জাতির লড়াই-সংগ্রাম আর বীরত্বের গৌরবগাঁথা অধ্যায়। শহীদের রক্তে রঞ্জিত অমর একুশে ফেব্রুয়ারি বাঙালি জাতির আত্মপ্রতিষ্ঠা, আত্মবিকাশ ও আত্ম-বিশ্লেষণের দিন। পোস্টের শেষে সেই অমর গান ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি…আমি কি ভুলিতে পারি…?’ লিখে ভাষা শহীদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানান তিনি।
২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৩:২১

উজবেকিস্তানে ভাষা আন্দোলনের গল্প শোনালেন রাষ্ট্রদূত
উজবেকিস্তানে মহান ভাষা আন্দোলনের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট ও তাৎপর্যের গল্প শোনালেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম। বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষ্যে উজবেকিস্তান স্টেট ইউনিভার্সিটিতে এক অনুষ্ঠানে বাংলা ভাষার অধিকার ও মর্যাদা রক্ষায় সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বলিষ্ঠ নেতৃত্ব ও অবদানের কথাও জানান তিনি। দূতাবাস থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ মনিরুল মহান ভাষা আন্দোলনের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট ও তাৎপর্যের ওপর আলোচনা করেন। উজবেকিস্তানে নিযুক্ত ভারত, তুরস্ক ও মালয়েশিয়ার রাষ্ট্রদূতসহ কূটনীতিক, অধ্যাপক, গবেষক, সাংবাদিক ও শিক্ষার্থী মিলিয়ে তিন শতাধিক দর্শক অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন উজবেকিস্তান স্টেট ইউনিভার্সিটি অব ওয়ার্ল্ড ল্যাঙ্গুয়েজের ভারপ্রাপ্ত রেক্টর প্রফেসর ড. মুহাম্মদ চুতপুলেটভ ও উজবেকিস্তানে নিযুক্ত ইউনেস্কো প্রতিনিধি মিস সারা নাশাদ। এ সময় উজবেকিস্তানের স্বনামধন্য শিল্পীরা ও উজবেকিস্তান স্টেট ইউনিভার্সিটি অব ওয়ার্ল্ড ল্যাঙ্গুয়েজের শিক্ষার্থীরা বাংলাদেশ, ভারত, চীন, তুরস্ক, রাশিয়া, উজবেকিস্তান ও ফ্রান্সের ঐতিহ্যবাহী, জনপ্রিয় সঙ্গীত ও নৃত্য মঞ্চস্থ করেন।
২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৭:০১

ভাষা শহীদদের প্রতি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যের শ্রদ্ধা নিবেদন
মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ভাষা আন্দোলনে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. মশিউর রহমান। বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) প্রত্যুষে উপাচার্যের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্তরের শিক্ষক, কর্মকর্তা, শিক্ষার্থী ও কর্মচারী শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। এ সময় উপাচার্যের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকোত্তর শিক্ষা প্রশিক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্রের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বিন কাশেম, স্নাতকপূর্ব শিক্ষা বিষয়ক স্কুলের ডিন অধ্যাপক ড. মো. নাসির উদ্দিন, কারিকুলাম উন্নয়ন ও মূল্যায়ন কেন্দ্রের ডিন অধ্যাপক ড. মো. মনিরুজ্জামান শাহীন, রেজিস্ট্রার মোল্লা মাহফুজ আল-হোসেনসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন দপ্তরের বিভাগীয় প্রধান, শিক্ষক, কর্মকর্তা, শিক্ষার্থী ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ও অন-ক্যাম্পাস প্রোগ্রামের শিক্ষার্থীরাও শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানায়।  গাজীপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ক্যাম্পাসে স্মৃতির মিনারেও ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়। এর বাইরেও বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজগুলো ও আঞ্চলিক কেন্দ্রগুলোতে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে একই কর্মসূচি পালন করা হয়। প্রত্যুষে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের গাজীপুর ক্যাম্পাস, ঢাকার ধানমন্ডিতে নগর কার্যালয়, বঙ্গবন্ধু মুক্তিযুদ্ধ বাংলাদেশ গবেষণা ইনস্টিটিউট এবং আঞ্চলিক কেন্দ্রগুলোতে জাতীয় পতাকা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা অর্ধনমিত করা হয় এবং কালো পতাকা পূর্ণ উত্তোলন করা হয়। এদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা, শিক্ষার্থী ও কর্মচারীবৃন্দ কালো ব্যাজ ধারণ করেন।  
২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২০:১৯

ভাষা শহীদের স্মরণে লাখো মোমবাতি প্রজ্বলন
একুশে ফেব্রুয়ারি বাঙালির ভাষা আন্দোলনের গৌরব উজ্জ্বল শোকের দিন। বাংলাকে রাষ্ট্র ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি আদায়ে ১৯৫২ সালের এদিন বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়েছিলেন বাংলার দামাল ছেলেরা। যাদের রক্তের বিনিময়ে বাংলা রাষ্ট্র ভাষার হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছিল তাদের স্মরণে প্রতিবারের মতো এবারও লাখো মোমবাতি প্রজ্বলন করলো নড়াইলবাসী। বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় নড়াইল সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজের কুড়িরডোব মাঠে এ ব্যতিক্রমী আয়োজনের মধ্য দিয়ে ভাষা সৈনিকদের স্মরণ করা হয়। জানা গেছে, ভাষা শহীদদের স্মরণে নড়াইল একুশ উদযাপন পর্ষদের আয়োজনে ১৯৯৭ সালে এ ব্যতিক্রমী আয়োজনের শুরু হয়। প্রথমবার ১০ হাজার মোমবাতি জ্বালিয়ে ভাষা শহীদদের স্মরণ করা হলেও বছর বছর এর পরিধি বেড়েছে। প্রতি বছরের মত মোমবাতির আলোয় দৃষ্টিনন্দন হয়ে ওঠে চারিদিক। আর এই আলো ছড়িয়ে পড়বে চারদিক এই প্রত্যাশা আয়োজকদের। প্রদীপ প্রজ্বলনের মধ্য দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নের অঙ্গীকারসহ সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ মুক্ত দেশ গড়ার প্রত্যয় করেন আয়োজকরা। সন্ধ্যার পরপরই মোমবাতির আলোতে আলোকিত হয়ে উঠে বিশালাকৃতির এ মাঠ। মোমবাতির আলোর মাধ্যমে শহীদ মিনার, জাতীয় স্মৃতিসৌধ, বাংলা বর্ণমালা, আলপনা ও পাখিসহ গ্রাম-বাংলার নানান ঐতিহ্য তুলে ধরা হয়। বিশাল এই আয়োজন দেখতে প্রতিবারের ন্যায় এ বছরও দুর-দূরান্ত থেকে হাজারো মানুষ নড়াইল সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজ খেলার মাঠে এসে মোমবাতি প্রজ্বলন উপভোগ করেন। সন্ধ্যায় কুরিরডোব মাঠের লাখো মোমবাতি একসঙ্গে জ্বলে উঠে, সেই সঙ্গে ‘আমার ভায়ের রক্ত রাঙ্গানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি’ এই গানের মধ্য দিয়ে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের গণসংগীত শুরু হয়।  মোমবাতি প্রজ্বলন দেখতে আসা নড়াইল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণীর ছাত্র ফারদিন শাহরিয়ার খান জানায়, অনেক মোমবাতি এক সঙ্গে জ্বালিয়ে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন ও ভাষা শহীদদের স্মরণ করতে দেখে খুব ভালো লেগেছে।  বিভিন্ন শ্রেণী পেশার একাধিক নারী জানান, নিজে আনন্দ উপভোগ করতে এবং বাচ্চাদের আনন্দ দিতে ও ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে মোমবাতি প্রজ্বলন অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছি।    কর্মসূচির উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আশফাকুল হক চৌধুরী। এসময় পুলিশ সুপার মোহা: মেহেদী হাসান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) শাশ্বতী শীল, নড়াইল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিন আক্তার, সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ওমর ফারুক নড়াইল পৌরসভার মেয়র আঞ্জুমান আরা, এসএম সুলতান ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান মিকু, নাট্য ব্যক্তিত্ব কচি খন্দকার, সাধারণ সম্পাদক শরিফুল আলম লিটুসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন। 
২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৯:৫৯
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়