• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo
জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী (ভিডিও)
মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোমবার (২৫ মার্চ) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় ভাষণ শুরু করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর ভাষণটি বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতারের পাশাপাশি বেসরকারি টেলিভিশন এবং রেডিও স্টেশনগুলো একযোগে সম্প্রচার করছে। গত ৭ জানুয়ারি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়ী হয়ে টানা চতুর্থ মেয়াদে সরকারপ্রধানের দায়িত্ব নেওয়ার পর স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে এটাই প্রধানমন্ত্রীর প্রথম ভাষণ। ভাষণের শুরুতে স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে দেশের অভ্যন্তরে এবং দেশের বাইরে বসবাসকারী বাংলাদেশের সকল নাগরিককে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও পবিত্র রমজানের মোবারকবাদ জানান সরকারপ্রধান।  এ সময় সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান এবং জাতীয় চার নেতাকে স্মরণ করেন শেখ হাসিনা। শ্রদ্ধা জানান মুক্তিযুদ্ধের ৩০ লাখ শহীদ এবং দুই লাখ নির্যাতিত মা-বোনকে।  
২৫ মার্চ ২০২৪, ১৯:৪৩

সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী
মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে সোমবার (২৫ মার্চ) সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোমবার (২৫ মার্চ) প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতারের পাশাপাশি বেসরকারি টেলিভিশন এবং রেডিও স্টেশনগুলো তার এই ভাষণ একযোগে সম্প্রচার করবে। আজ ভয়াল ২৫ মার্চ, জাতীয় গণহত্যা দিবস। বাঙালি জাতির জীবনে ১৯৭১ সালের এইদিন শেষে এক বিভীষিকাময় ভয়াল কালরাত নেমে এসেছিল। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ওইদিন মধ্যরাতে বর্বর তাদের পূর্ব পরিকল্পিত 'অপারেশন সার্চ লাইট'র নীলনকশা অনুযায়ী বাঙালি জাতির কণ্ঠ চিরতরে স্তব্ধ করে দেওয়ার ঘৃণ্য লক্ষ্যে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে নিরস্ত্র বাঙালিদের ওপর অত্যাধুনিক অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে। তারপর নয় মাসের সশস্ত্র যুদ্ধের মধ্য দিয়ে এসেছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতা। 
২৫ মার্চ ২০২৪, ১১:৪৫

মস্কোর রেড স্কয়ারে ভাষণ দিলেন পুতিন
নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয়ের পর মস্কোর রেড স্কয়ারে ভাষণ দিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ইউক্রেইনের ক্রাইমিয়া উপদ্বীপ দখলের দশম বর্ষপূর্তিতে রেড স্কয়ারে জড়ো হয়েছে হাজার হাজার মানুষ। প্রেসিডেন্ট পুতিন বলেছেন, আপন দেশের সৈকতে ফিরে এসেছে এই উপদ্বীপ। রুশ বাহিনীর দখল করা দনবাস এবং ইউক্রেইনের অন্যান্য অংশকেও ‘নতুন রাশিয়ার’ অংশ বলে বর্ণনা করেছেন পুতিন। উপস্থিত লোকজন এ সময় রাশিয়া, রাশিয়া ধ্বনিতে স্লোগান দেয়। পুতিনের সংক্ষিপ্ত ভাষণের পর জাতীয় সংগীত গওয়া হয়। এরপর পুতিন উপস্থিত জনতাকে নির্বাচনে জয় এনে দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ জানান। এরপর শুরু হয় কনসার্ট। কনসার্ট শেষ হয় দেশাত্মবোধক গান এবং কবিতার মধ্য দিয়ে। পুতিন ভাষণে বলেন, ক্রাইমিয়া হচ্ছে, সর্বোপরি এর জনতা। সেভাস্তোপোল এবং ক্রাইমিয়ার জনগণ আমাদের গর্ব। রেড স্কয়ারের সমাবেশে তিনি জানান, রোস্তভ থেকে অধিকৃত দোনেৎস্ক, মারিউপোল এবং বারদিয়ানস্ক পর্যন্ত রেলওয়ে লাইন দক্ষিণ এবং পূর্ব ইউক্রেইনে নতুন করে চালু করা হয়েছে। এখন সেটি ক্রাইমিয়ার বন্দরনগরী সেভাস্তোপোল পর্যন্ত বাড়ানো হবে। ক্রাইমিয়া ১০ বছর আগে রাশিয়া দখল করে নিলেও উপদ্বীপটি আন্তর্জাতিকভাবে ইউক্রেইনের অংশ হিসাবে স্বীকৃত। পুতিন তার ভাষণে রাশিয়ার রেস্তোভ-অন-ডন থেকে ক্রাইমিয়ায় নতুন রেলওয়ে চালুর ঘোষণা দেন। ২০১৪ সালে ক্রাইমিয়া দখল করে রাশিয়া। রাশিয়ার মূল ভূখন্ড থেকে ক্রাইমিয়া পর্যন্ত একটি সেতু চালু হয় ২০১৮ সালে। কিনতু ইউক্রেইন যুদ্ধ শুরুর পর থেকে সেতুটি বারবার হামলার শিকার হয়েছে। এই রেলওয়ে হবে সেই সেতুরই বিকল্প পথ। রেড স্কয়ারে জনতার উদ্দেশে পুতিন বলেন, আমরা এভাবেই একসঙ্গে হাতে হাত ধরে এগিয়ে যাব। এটি কথায় নয় কাজে করে দেখানো হবে। এতে সত্যিই মজবুত হব আমরা।
১৯ মার্চ ২০২৪, ০২:৪৬

মুক্তিযুদ্ধে বিজয় এনে দিয়েছে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ : প্রধানমন্ত্রী
বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ মুক্তিযুদ্ধে বিজয় এনে দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ঐতিহাসিক ৭ মার্চের আলোচনাসভায় তিনি এ কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ভাষণে সেসময় মানুষকে যেভাবে উদ্বুদ্ধ করেছে। আজকে এই ভাষণ শুধু আমাদের না, আন্তর্জাতিকভাবেও স্বীকৃতি পেয়েছে। তিনি বলেন, সত্তরের নির্বাচনের পর যখন ইয়াহিয়া খান ক্ষমতা দিলো না। ২৫ মার্চ যখন গণহত্যা শুরু করল। পরদিন ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ঘোষণা দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তাকে গ্রেপ্তার করে পাকিস্তানে বন্দি করে রাখা হলো। এরপরই আমাদের মুক্তিযুদ্ধ এবং বিজয়। বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ শুধু মানুষকে মুক্তিযুদ্ধে উদ্বুদ্ধ করেনি, শুধু গেরিলা যুদ্ধের প্রস্তুতি দেয়নি, একটা যুদ্ধের বিজয় এনে দিয়েছে। তিনি বলেন, ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে যেভাবে হত্যা করা হলো। পাকিস্তানিরা বলতো বাংলাদেশ স্বাধীন হলে কিছু করতে পারবে না। বাংলাদেশ তাদের কাছে বোঝা ছিল, স্বাধীন হয়ে ভালই হয়েছে- এ ধরনের কথা তারা বলেছে। কিন্তু স্বাধীনতার মাত্র ৩ বছর ৭ মাসের মধ্যে একটা যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশ গড়ে তুলে নিয়ে বাংলাদেশকে যখন বঙ্গবন্ধু স্বল্পোন্নত দেশে উন্নীত করলেন। এরপর যখন দেশকে অর্থনৈতিক উন্নয়নের পথে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন, সেটাই স্বাধীনতাবিরোধীদের সহ্য হয়নি। দুর্ভাগ্যের বিষয় যে, পাকিস্তানিরা তাকে হত্যা করতে পারেনি। কিন্তু যারা আমাদের দেশের, যারা দিনরাত আমাদের বাড়িতে আসা-যাওয়া করত, তাদেরই দেখলাম ঘাতকরূপে। 
০৭ মার্চ ২০২৪, ১৭:৫৩

‘বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ বাঙালি জাতির শত শত বছরের স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষার বহিঃপ্রকাশ’
অস্ট্রেলিয়ায় বাংলাদেশের হাইকমিশনার এম. আল্লামা সিদ্দীকী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ভাষণের মাধ্যমে বাঙালি জাতির শত শত বছরের স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষার বহিঃপ্রকাশ ঘটে। বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) বাংলাদেশ হাইকমিশন আয়োজিত ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উদযাপন উপলক্ষে আলোচনাসভায় তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় হাইকমিশনার বলেন, বঙ্গবন্ধু অসাধারণ কণ্ঠস্বর ও কথা বলার শক্তির মাধ্যমে বাঙালির আকাঙ্ক্ষার মূর্ত রূপ দেন। সে সময় এ ভাষণ দেশের কয়েক কোটি লোককে মাসের পর মাস উজ্জীবিত রেখেছিল। বঙ্গবন্ধুর এ ভাষণ বাঙালির কণ্ঠে, হৃদয়ে ও মস্তিষ্কে অনুরণিত হয়। ৭ মার্চের ভাষণ সমগ্র জাতির অনুপ্রেরণার উৎস হিসেবে মুক্তিযুদ্ধকালে পথ দেখায়।  আল্লামা সিদ্দীকী বলেন, বঙ্গবন্ধুর মহৎ কর্মকাণ্ড থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে তা আমাদের মানবিক গুণাবলীর উন্নয়নসহ দেশের উন্নয়নে কাজে লাগাতে হবে। এ ছাড়া আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন ক্যানবেরায় বাংলাদেশ হাইকমিশনার মিনিস্টার ড. দেওয়ান শাহরিয়ার ফিরোজ। সকালে ক্যানবেরায় বাংলাদেশ হাইকমিশন প্রাঙ্গণে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে দিবসের কার্যক্রম শুরু করেন বাংলাদেশের হাইকমিশনার এম আল্লামা সিদ্দীকী। এ সময় ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়। এ ছাড়া বাংলাদেশ হাইকমিশনে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণের ভিডিওচিত্র প্রদর্শন করা হয়। এসব অনুষ্ঠানে প্রবাসী বাংলাদেশিসহ হাইকমিশনার কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
০৭ মার্চ ২০২৪, ১১:১১

৭ মার্চের ভাষণ পরাধীনতার শৃঙ্খল মুক্তির মহাকাব্য : রাষ্ট্রপতি
‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চেরঐতিহাসিক ভাষণ বাঙালির জন্য পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে মুক্তির মহাকাব্য’ বলে মন্তব্য করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। ‘ঐতিহাসিক ৭ মার্চ’ উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ পৃথিবীর কালজয়ী ভাষণগুলোর অন্যতম। একটি ভাষণ কীভাবে গোটা জাতিকে জাগিয়ে তোলে, স্বাধীনতার জন্য মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে উৎসাহিত করে, বঙ্গবন্ধুর এই ভাষণ তার অনন্য উদাহরণ। বাংলার মানুষের সাথে বঙ্গবন্ধুর আত্মার সম্পর্ক ছিলো। তাই, তার ভাষণে মূলত মানুষের মনে কথাগুলো ফুটে উঠেছিল।  রাষ্ট্রপতি বলেন, পুরো বাঙালি জাতি সেদিন মন্ত্রমুগ্ধের মতো অবগাহন করেছিল রাজনীতির মহাকবি বঙ্গবন্ধুর অমর কবিতা। মাত্র ১৮ মিনিটের এই মহাকাব্যে ধ্বনিত হয়েছিল বাঙালি জাতির মুক্তির মহামন্ত্র। বঙ্গবন্ধুর শাণিত ও প্রদীপ্ত উচ্চারণে কেঁপে উঠেছিল পাকিস্তানি স্বৈরশাসকের মসনদ। মূলত ৭ মার্চের ভাষণেই নিপীড়িত-নির্যাতিত বাঙালি জাতি খুঁজে  পেয়েছিল শোষণমুক্তির কাক্সিক্ষত পথ।  ৭ মার্চ বাঙালি জাতির মুক্তিসংগ্রাম ও স্বাধীনতার ইতিহাসে একটি অবিস্মরণীয় দিন উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি এ উপলক্ষ্যে স্বাধীনতার মহান স্থপতি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন। রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘অনন্য বাগ্মিতা ও রাজনৈতিক প্রজ্ঞায় ভাস্বর ওই ভাষণে বাঙালির আবেগ, স্বপ্ন ও আকাক্সক্ষাকে একসূত্রে গেঁথে বঙ্গবন্ধু বজ্রকণ্ঠে ঘোষণা করেন, ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।’ ঐতিহাসিক সেই ভাষণের ধারাবাহিকতায় ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ বঙ্গবন্ধু ঘোষণা করেন বাঙালি জাতির বহুকাঙ্খিত স্বাধীনতা। দীর্ঘ ন’মাস সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে আমরা অর্জন করি স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ।’ মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, স্বাধীনতা বাঙালির শ্রেষ্ঠ অর্জন। তবে তা একদিনে অর্জিত হয়নি। মহান ভাষা আন্দোলন থেকে ১৯৭১ এর চূড়ান্ত বিজয় অর্জনের দীর্ঘ বন্ধুর পথে বঙ্গবন্ধুর অপরিসীম সাহস, সীমাহীন ত্যাগ-তিতিক্ষা, বলিষ্ঠ  নেতৃত্ব এবং সঠিক দিকনির্দেশনা জাতিকে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছে দেয়। ১৯৭০ এর সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করলেও পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী ক্ষমতা হস্তান্তরে টালবাহানা শুরু করে। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে ১ মার্চ থেকে শুরু হয় অসহযোগ আন্দোলন। এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে রেসকোর্স ময়দানে লাখো জনতার উদ্দেশ্যে এক ঐতিহাসিক ভাষণ প্রদান করেন।
০৭ মার্চ ২০২৪, ১০:২৪

নিরঙ্কুশ জয় দাবি করে ভাষণ দিলেন ইমরান খান!
কারাগার থেকে অনুমোদন নিয়ে এআই (কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সহায়তায় বানানো) ভাষণে বিজয় উদযাপনের আহ্বান জানিয়েছেন পাকিস্তানের কারাবন্দি সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও প্রধান বিরোধী দল তেহরিক-ই-ইনসাফের চেয়ারম্যান ইমরান খান। শুক্রবার দিবাগত রাতে (১০ ফেব্রুয়ারি) ইমরানের এক্স (সাবেক টুইটার) অ্যাকাউন্ট থেকে পোস্ট করা এক ভাষণে তিনি এ আহ্বান জানান। আল জাজিরার লাইভ প্রতিবেদনে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। ভাষণে ইমরান খান বলেন, পাকিস্তানের নির্বাচনে জনগণ ভোটের শক্তি দেখিয়েছেন। আমার প্রিয় পাকিস্তানি ভাই-বোনেরা, আপনাদের ওপর আমার পূর্ণ ভরসা ছিল। আমার বিশ্বাস ছিল আপনারা ভোট দিতে ঘর থেকে বের হবেন, আপনারা আমার বিশ্বাসের মর্যাদা রেখেছেন। আর আপনাদের দেওয়া জবাব সবাইকে হয়রান করে ফেলেছে। তিনি বলেন,  আপনাদের ভোটের কারণে লন্ডন পরিকল্পনা ভেস্তে গেছে। দুই বছর ধরে চালানো চরম নিপীড়ন এবং অন্যায় আচরণের বিরুদ্ধে আমরা ভোট দিয়েছি। আপনারা ভোটের শক্তি দেখিয়েছেন, এখন এর হেফাজত করতে হবে। নওয়াজ শরীফের জয়ের আগেই বিজয়ী ভাষণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এটা কোনো পাকিস্তানি মেনে নেবে না। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমেও তার বেওকুফের মতো আচরণের সমালোচনা চলছে। তিনি দাবি করেন, নির্বাচনে জয় পাবে পিটিআই সমর্থিতরা। দেশবাসীকে ধন্যবাদ দিয়ে বিজয় উল্লাস এবং শোকরানা নামাজ আদায়েরও আহ্বান জানান তিনি। এর আগে, নির্বাচনে পিছিয়ে থেকেও শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) পাকিস্তানের তিন বারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও মুসলিম লীগের (পিএমএল-এন) নেতা নওয়াজ শরিফ বিজয়ী ভাষণ দেন।     কাতার ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রকাশিত ফলাফলে ফলাফলে দেখা গেছে, ২৪৪ আসনের মধ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ৯৮টি আসনে জয় পেয়েছেন। যার অধিকাংশই ইমরান খানের পিটিআই সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থী। এ ছাড়া নওয়াজ শরীফের পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজ (পয়স্বিনী-এন) ৬৯টি আসন, বিলাওয়ালের পাকিস্তান পিপলস পার্টি ৫১টি আসনে জয় পেয়েছে। আর ২৫টি আসনে জিতেছেন অন্য প্রার্থীরা। ভোট স্থগিত হয়েছে ১টি কেন্দ্রের।
১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৭:১৪

নতুন সংসদ শুরু মঙ্গলবার, ভাষণ দেবেন রাষ্ট্রপতি
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়ী এমপিদের নিয়ে প্রথম সংসদ অধিবেশন বসতে যাচ্ছে আগামীকাল মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি)। প্রথম অধিবেশনের আগে রেওয়াজ অনুযায়ী ভাষণ দেবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। সংসদ সচিবালয় জানায়, সোমবার (২৯ জানুয়ারি) একাদশ সংসদের মেয়াদ শেষ হয়েছে। মঙ্গলবার থেকে অধিবেশনের মাধ্যমে দ্বাদশ সংসদের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হতে যাচ্ছে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ ২২৩টি আসন পেয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে। অন্যদিকে, মাত্র ১১টি আসন নিয়ে সংসদে বিরোধী দলের ভূমিকা পালন করবে জাতীয় পার্টি এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী ৬২ জন আওয়ামী লীগের পাশেই থাকবে বলে জানা গেছে।  মঙ্গলবার বিকেল ৩টায় ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট মো. শামসুল হক টুকুর সভাপতিত্বে এই সংসদের প্রথম অধিবেশন বসবে। অধিবেশনের শুরুতে স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এরপর শোক প্রস্তাব উত্থাপন করা হবে। পরে সংসদে ভাষণ দেবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। তিনি সরকারের সফলতা ও আগামীতে করণীয় বিষয়ে দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য রাখবেন। পরে ওই ভাষণের উপর আনিত ধন্যবাদ প্রস্তাব নিয়ে পুরো অধিবেশনে সরকার ও বিরোধী দলের সদস্যরা আলোচনা করবেন। এই অধিবেশনে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিল পাস হতে পারে। ইতোমধ্যে অধিবেশনকে সামনে রেখে সংসদ ভবন এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। প্রথম দিনে দর্শনার্থীদের প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। সংসদ ভবন এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। অধিবেশনকে কেন্দ্র করে সংসদ ভবনজুড়ে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। অধিবেশনকে সামনে রেখে ইতোমধ্যে প্রয়োজনীয় সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। এদিকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়া আওয়ামী লীগ সরকারি দল এবং মাত্র ১১টি আসন নিয়ে বিরোধী দলের ভূমিকা পালন করতে চায় জাতীয় পার্টি। আসন সংখ্যা কম হলেও সংসদে কার্যকর বিরোধী দলের ভূমিকা পালনের আগ্রহ প্রকাশ করেছেন জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্যরা। দলটির সঙ্গে থাকছে তাদের থেকে প্রায় ৬গুণ বেশি ৬২টি আসনে নির্বাচিত স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যরা। উল্লেখ্য, গত ৭ জানুয়ারি দেশে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে ২৯৯টি আসনের ফলাফলে ২২৩টিতে জয় পায় আওয়ামী লীগ। এ ছাড়া জাতীয় পার্টি ১১টি আসনে জয় পেয়েছে। জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ), বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি ও কল্যাণ পার্টি একটি করে আসন পেয়েছে। আর ৬২টি আসনে জয়ী হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। এরপর ৯ জানুয়ারি নির্বাচনের ফলাফলের গেজেট প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। পরদিন ১০ জানুয়ারি শপথ নেন নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যরা। একদিন পর ১১ জানুয়ারি শপথ নেন নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যরা। এর মধ্য দিয়ে টানা চতুর্থ মেয়াদে সরকার গঠন করে আওয়ামী লীগ। আর আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা পঞ্চম মেয়াদে সরকারপ্রধানের দায়িত্ব নেন।
২৯ জানুয়ারি ২০২৪, ২১:০৭

জাতির উদ্দেশে সিইসির ভাষণ শুরু
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিচ্ছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। শনিবার (৬ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টায় তার ভাষণ শুরু হয়। সিইসির ভাষণ বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতারে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়। জানা গেছে, ভাষণে সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল ৭ জানুয়ারি ভোটারদের ভোট দিতে ও প্রার্থীদের নির্বাচনের পরিবেশ সুন্দর রাখতে আহ্বান জানাবেন। এর আগে, সবশেষ গত ১৫ নভেম্বর জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল। ওই ভাষণে তিনি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন। তফসিল অনুযায়ী, শুক্রবার সকাল ৮টায় ভোটের প্রচার-প্রচারণা শেষ হয়েছে। আগামী ৭ জানুয়ারি ভোট হবে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে গত ২৯ ডিসেম্বর থেকে সারাদেশে মাঠে নেমেছে পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি, ব্যাটালিয়ন আনসার, এপিবিএন এবং কোস্টগার্ড। এ ছাড়া ৩ জানুয়ারি থেকে মাঠে নেমেছে সশস্ত্র বাহিনী। নির্বাচন সুষ্ঠু করতে সাড়ে সাত লাখের বেশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। যা গত একাদশ সংসদ নির্বাচনের চেয়ে এক লাখ ৩০ হাজার বেশি। এবার ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলোতে পুলিশের বাড়তি ফোর্স মোতায়েন রয়েছে।
০৬ জানুয়ারি ২০২৪, ১৯:২০

সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন সিইসি
আজ সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা এ তথ্য জানান। বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতারে সিইসির ভাষণ সম্প্রচার করা হবে। নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কর্মকর্তারা জানান, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ আগামী রোববার (৭ জানুয়ারি) অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে নির্বাচন কমিশন। সিইসি ভাষণে জাতিকে সংসদ নির্বাচনে ভোটারদের ভোট দেওয়াসহ সুষ্ঠু নির্বাচনে সহায়তা করতে প্রার্থীদের আহ্বান জানাবেন। এর আগে, গত ১৫ নভেম্বর জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার। ওই ভাষণে তিনি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন। ওইদিন আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন থেকে তার ভাষণ বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতারে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মোট ভোটার ১১ কোটি ৯৬ লাখ। এর মধ্যে নতুন ভোটার এক কোটি ৫৪ লাখ ৫২ হাজার। মোট ভোটারের মধ্যে পুরুষ ৬ কোটি ৭৬ লাখ ও নারী ৫ কোটি ৮৯ লাখ। আর ট্রান্সজেন্ডার ভোটার ৮৪৯ জন। আগামীকাল ৭ জানুয়ারি সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ব্যালট পেপারের মাধ্যমে চলবে ভোটগ্রহণ।
০৬ জানুয়ারি ২০২৪, ১১:৩২
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়