• ঢাকা বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
logo
পরী-বুবলীর ভার্চুয়াল যুদ্ধে এবার অপুর পদার্পণ
নায়িকা শবনম বুবলীর সন্তান শেহজাদ খান বীরের জন্মদিন আজ (২১ মার্চ)। ছেলের জন্মদিন উপলক্ষে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও প্রকাশ করেছেন তিনি। প্রায় ৫ মিনিটের সেই ভিডিওতে ছেলেকে নিয়ে আবেগঘন বার্তা দিতে দেখা গেছে তাকে। এদিকে বুবলীর সেই ভিডিও প্রকাশের পরেই নিজের ফেসবুকে তাকে খোঁচা দিয়ে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন পরীমণি। তবে পুরো স্ট্যাটাসে কোথাও বুবলীর নাম মেনশন না করলেও পরোক্ষভাবেই তাকেই নিশানায় রেখেছেন তিনি। পরীমণির দাবি, তাকে ‘কপি’ করেই বানানো হয়েছে বুবলীর প্রকাশিত সেই ভিডিওটি। বুবলীকে খোঁচা দিয়ে ফেসবুকের স্ট্যাটাসে পরীমণি লেখেন, আপা গো আপা! পুরাটাই কপি মারলেন! কথা, মিউজিক লাইন, ভয়েস টোন ডেলিভারি থেকে সব! কিন্তু আবেগ তো কপি করা যায় না আপা! বুবলীও চুপ থাকেননি। পরীমণির সেই খোঁচার কড়া জবাব দিয়েছেন এই চিত্রনায়িকাও। বুবলীও এক স্ট্যাটাসে লিখেছেন, পাশের দেশে টলিউড বা বলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে শেষ কয়েক বছর ধরে মিল থাকছে অধিকাংশ বিয়েতে। যেখানে বিয়ের ড্রেসের কালার, অ্যারেঞ্জমেন্ট, বর-কনের আসা থেকে শুরু করে অনেক প্রেজেন্টেশনেই মিল থাকছে। পৃথিবীতে অনেক সিনেমা আছে যার গল্প অন্য গল্পের সঙ্গে অনেক মিলে যায়। কাছাকাছি মেলে, একদম মেলে, এরকম বহু বহু জিনিস হচ্ছে দুনিয়াতে। বুবলীর ওই স্ট্যাটাসের পর ফের খেপেছেন পরীমণি। তিনি বুবলীর স্ট্যাটাসের পেক্ষিতে তার ফেসবুকে লেখেন, হিহিহি একটি শিক্ষিত বকরি (ছাগল) গরুর রচনা! কী লিখতে কী লিখতেছে বেচারি। চিপায় আটকাইলে মানুষ আবল-তাবল লজিক দিতে থাকে বুঝলাম। কিন্তু তাই বলে এই রকম আউলা বাউলা কী কী সব লিখল ভাই! তিনি লেখেন, পরে কখনও নিজে পড়ে নিজেই বুঝবে না যে কি লিখছিল। আমি শিওর। বুবলী-পরীমণির এমন সাইবার যুদ্ধের ফলে ইতোমধ্যে দুইভাগে ভাগ হয়ে গেছে দুই নায়িকার ভক্তরা।  পরী-বুবলীর এই ‘সামাজিক লড়াই’য়ে এবার যোগ দিলেন অপু বিশ্বাসও। নীরবতা ভেঙে দিলেন স্ট্যাটাস। নিজের একটি ছবি পোস্ট করে তিনি ফেসবুকে লেখেন, উফ কি সুন্দর ওয়েদার। বলার ভাষা নেই, আবেগ নেই, মিউজিক নেই, শুধু ছবিটাই আছে। এই স্ট্যাটাস বুঝতে বাকি নেই কারও। কেউ কেউ বলছেন, বুবলীকে খোঁচা দিলেন অপু! এরকম বহু মন্তব্যই দেখা যাচ্ছে সোশ্যালে। সেইসঙ্গে অপুর পোস্টটি শেয়ার করছেন অনেকেই। 
২১ মার্চ ২০২৪, ২১:৩৮

যুবদলের ভার্চুয়াল মিটিংয়েই সিদ্ধান্ত হয় ট্রেনে অগ্নিসংযোগের
রাজধানীর গোপীবাগে বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা, যেখানে দগ্ধ হয়ে প্রাণ হারায় দুই শিশুসহ চারজন। ভোটের ঠিক দুদিন আগে নাশকতার এ ঘটনায় তদন্ত চলছে জোরেশোরে। এরই মধ্যে অগ্নিসংযোগের এ ঘটনায় বিএনপি ও যুবদলের সম্পৃক্ততার তথ্য নিশ্চিত হয়েছে ডিবি পুলিশ। তাদের তথ্যমতে, ঘটনার আগের রাতেই যুবদলের এক ভার্চুয়াল মিটিংয়ে সিদ্ধান্ত হয় ট্রেনে আগুন লাগানোর।    বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবদলের আহ্বায়ক খন্দকার এনামুল হক এনামের সভাপতিত্বে ভার্চুয়ালি এই মিটিংটি হয়। ১৭ মিনিটের ওই মিটিংয়ে ট্রেনে আগুন দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। একজনকে দায়িত্ব দেওয়া হয় আগুন দেওয়ার জন্য। সে অনুযায়ী শুক্রবার রাতে বেনাপোল এক্সপ্রেসে আগুন দেওয়া হয়। গ্রেপ্তারের পর ট্রেনে আগুন দেওয়ার পরিকল্পনার বিষয়ে ডিবির জিজ্ঞাসাবাদে এ তথ্য জানান যুবদল নেতা কাজী মনসুর। জিজ্ঞাসাবাদে মনসুরের দেওয়া বক্তব্যের একটি ভিডিও গণমাধ্যমকে দিয়েছে ডিবি পুলিশ।  এর আগে রাজধানীর গোপীবাগে বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ নবী উল্লাহ নবী ও যুবদল নেতা কাজী মনসুরসহ ৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।  ট্রেনের আগুনের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৪ জন নিহত হয়েছেন। দ্বগ্ধ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন ৮ জন। তাদের অবস্থাও শঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক। জিজ্ঞাসাবাদে কাজী মনসুর ডিবিকে জানান, তারা গতকাল একটি ভার্চুয়াল মিটিং করেন। মিটিংয়ে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবদলের আহ্বায়ক খন্দকার এনামুল হক এনাম, যুবদল নেতা রবিউল ইসলাম নয়নসহ আরও অনেকে ছিলেন। প্রায় ১৭ মিনিট ধরে মিটিংটি চলে। মিটিংয়ে দুটি সিদ্ধান্ত হয়েছে। প্রথম সিদ্ধান্ত হলো ভোটকেন্দ্রে ককটেল বিস্ফোরণ করা যাতে ভোটাররা ভয়ে সেখানে না আসেন। দ্বিতীয় সিদ্ধান্ত হয় ট্রেনে আগুন দেওয়ার। মিটিংয়ে যুবদল নেতা রবিউল ইসলাম নয়ন জিজ্ঞাসা করেন ট্রেনে আগুন দিতে পারবে কে? উপস্থিত অন্য কেউ কিছু না বললেও একজন রাজি হন। মিটিংয়ে রবিউল ইসলাম নয়ন বলেন, কিশোরগঞ্জ থেকে আসা কোনো ট্রেন ঢাকায় ঢোকার পর কিংবা নারায়ণগঞ্জ রুটের ট্রেনে আগুন দিতে হবে। এরপর রাজি হওয়া ব্যক্তিকে আগুনের দায়িত্ব দেওয়া হয়। শনিবার (৬ জানুয়ারি) ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে আগুনের পরিকল্পনা হিসেবে বিএনপির নেতারা ভিডিও কনফারেন্স করেন। কনফারেন্সে প্রথমে আসেন মহানগর দক্ষিণ যুবদলের আহ্বায়ক খন্দকার এনাম। এরপর আসেন সদস্য সচিব রবিউল ইসলাম নয়ন, যুগ্ম আহ্বায়ক এম এ গাফফার, ইকবাল হোসেন বাবলু, একজন দপ্তর সম্পাদক ও কাজী মনসুর। যুবদলের এই নেতাকর্মীরা ভিডিও কনফারেন্সে এসে ময়মনসিংহ থেকে ঢাকাগামী ট্রেনে বিশেষ করে নরসিংদীর কাছে সুবিধাজনক স্থানে অগ্নিসংযোগ করার কথা বলেন। আরেকটি স্থানও তারা নির্ধারণ করেন। কমলাপুর থেকে নারায়ণগঞ্জ লাইনের আপ-ডাউনে সুবিধাজনক স্থানে। সেখানে যাত্রীবাহী ট্রেনে আগুন লাগিয়ে জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে মিডিয়ার দৃষ্টি আকর্ষণ করার পরিকল্পনা করেন তারা।
০৬ জানুয়ারি ২০২৪, ১৭:০৮
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়