• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১
logo
পাকিস্তানে ভারী বৃষ্টি-বজ্রপাতে ৩৯ জনের মৃত্যু
পাকিস্তানে ভারী বৃষ্টি এবং বজ্রপাতে কমপক্ষে ৩৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। দেশটির দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে কয়েকদিন ধরেই ব্যাপক বৃষ্টিপাত হচ্ছে। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ফসল কাটার সময় বেশ কয়েকজন কৃষক বজ্রপাতে প্রাণ হারিয়েছেন। আকস্মিক বন্যায় বিদ্যুৎ সরবরাহ এবং পরিবহন চলাচল ব্যাহত হয়েছে। বেশ কিছু ফুটেজে দেখা গেছে বৃষ্টির পানিতে কৃষিজমি ডুবে গেছে। পাকিস্তানের জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে এখন সেখানে প্রাকৃতিক দুর্যোগও বাড়ছে। শুধু পাকিস্তান নয়, বিশ্বের বেশির ভাগ দেশেই এখন জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব প্রকোট হয়ে দাঁড়িয়েছে।   এর আগে ২০২২ সালে পাকিস্তানের এক তৃতীয়াংশ অঞ্চলে নজিরবিহীন বন্যায় ১ হাজার ৭০০ জনের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়। এ ছাড়া আহত হয় আরও কয়েক হাজার মানুষ। এতে কয়েক লাখ মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েন এবং কয়েক মাস ধরে বিশুদ্ধ খাবার পানির অভাব দেখা দেয়। সে বছর খাইবার পাখতুনখোয়া এবং বেলুচিস্তান প্রদেশের কিছু অঞ্চল বন্যায় বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। চলতি বছরের বন্যা এবং বজ্রপাতেও সেসব এলাকা আবারও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আগামী কয়েকদিনে আরও বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে পাকিস্তানের জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ। একই সঙ্গে ভূমিধস এবং আকস্মিক বন্যা পরিস্থিতির বিষয়েও সতর্ক করা হয়েছে। বার্তা সংস্থা এএফপির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, পাকিস্তানের সবচেয়ে জনবহুল প্রদেশ পাঞ্জাবে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার থেকে রোববারের মধ্যে সেখানে বজ্রপাতে ২১ জন প্রাণ হারিয়েছে। এছাড়া পশ্চিম বেলুচিস্তান প্রদেশে কমপক্ষে আটজনের মৃত্যু হয়েছে। সেখানে জরুরি অবস্থা জারি করেছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। এছাড়া সোম এবং মঙ্গলবার প্রদেশের সব স্কুল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। বালুচ শহরের মিউনিসিপ্যাল কমিটির চেয়ারম্যান নুর আহমেদ পাকিস্তানের সংবাদপত্র ডনকে বলেছেন, পাসনিকে এই মুহূর্তে একটি বড় হ্রদের মতো দেখাচ্ছে।  এদিকে পাকিস্তানের প্রতিবেশী দেশ আফগানিস্তানেও ভারী বন্যার খবর পাওয়া গেছে। আফগান কর্তৃপক্ষ রোববার জানিয়েছে, সেখানে অন্তত ৩৩ জন নিহত হয়েছেন এবং শত শত ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়েছে। জাতিসংঘের গ্লোবাল ক্লাইমেট রিস্ক ইনডেক্স অনুসারে, পাকিস্তানে জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ পঞ্চম দেশ হিসাবেও স্থান পেয়েছে। সূত্র : বিবিসি
১৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৪:০৪

মৌসুমের শুরুতে যেখানে সর্বোচ্চ ভারী বৃষ্টিপাতের রেকর্ড
কিশোরগঞ্জের হাওর বেষ্টিত নিকলীতে রোববার দেশের সবচেয়ে ভারী বৃষ্টিপাত ৬৩ মিলিমিটার রেকর্ড করা হয়েছে। এ সময় ঝড়ো হাওয়ার সঙ্গে আংশিক শিলাবৃষ্টি হয়। শনিবার (২৩ মার্চ) সন্ধ্যা ৬টার পর থেকে রোববার সকাল ৬টা পর্যন্ত নিকলী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র এই বৃষ্টিপাত রেকর্ড করে। আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, রোববার দেশের সবচেয়ে ভারী বৃষ্টিপাত হয় নিকলীতে। সেখানে ৬৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত পরিমাপ করা হয়। ১০ মিলিমিটার পর্যন্ত হালকা, ১০ থেকে ২২ মিলিমিটার মাঝারি, ২৩ থেকে ৪৩ মাঝারি ধরনের ভারী, ৪৪ থেকে ৮৮ মিলিমিটার ভারী ও তার বেশি বৃষ্টি হলে অতিভারী বৃষ্টিপাত ধরা হয়। নিকলী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের সিনিয়র পর্যবেক্ষক আক্তার ফারুক বলেন, শনিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে রোববার সকাল ৬টা পর্যন্ত নিকলীতে ৬৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। রোববার আকাশ মেঘলা রয়েছে। বছরের শুরুতেই ভারী বৃষ্টি হয়েছে।
২৪ মার্চ ২০২৪, ২৩:৫৫

ভারী বৃষ্টিতে সৌদিতে স্কুল বন্ধ, বন্যার সতর্কতা
মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সৌদি আরবে ভারী বৃষ্টিতে স্কুল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এ ছাড়া আকস্মিক বন্যার আশঙ্কায় সতর্কতা জারি করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) গালফ নিউজের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদ ও জেদ্দাসহ বেশ কয়েকটি শহরে প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়েছে। এর ফলে রিয়াদ, কাসিম, হাফর আল বাতিনসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় স্কুল ও বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।  সৌদির জাতীয় আবহাওয়া কেন্দ্র (এনসিএম) বৃষ্টির কারণে বেশ কয়েকটি এলাকা বিশেষত তাবুকের উত্তরাঞ্চলে রেড অ্যালার্ট জারি করেছে। সতর্কবার্তায় ঝড় ও শিলাবৃষ্টিসহ আকস্মিক বন্যার আশঙ্কা করা হয়েছে। ইতোমধ্যে তাবুকে এসব আঘাত হেনেছে বলেও প্রতিবেদনে বলা হয়। দেশটির আবহাওয়া বিভাগ এক পূর্বাভাসে জানায়, মক্কা, মদিনা, তাবুকসহ উত্তর ও উপকূলীয় অঞ্চলে তীব্র বাতাসের সঙ্গে বালুঝড় ও শিলাবৃষ্টি এবং ভারি বজ্রঝড় হতে পারে।  এ সময়ে স্থানীয়দের নিরাপদ স্থানে থাকার পাশাপাশি বন্যার ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা এড়িয়ে চলার অনুরোধ করা হয়েছে। এ ছাড়া দেশটির বেশিরভাগ অঞ্চলে বুধবার পর্যন্ত বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানানো হয়েছে।
২০ মার্চ ২০২৪, ১১:১৯

ভারী অস্ত্র নিয়ে জাহাজের দায়িত্বে নতুন দস্যুদল
ভারী অস্ত্র নিয়ে সোমালিয়ান জলদস্যুদের আরেকটি দল বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহর দায়িত্ব নিয়েছে। নতুন দলটির হাতে জাহাজটি বুঝিয়ে দিয়ে আগের দলটি জাহাজ ছেড়ে গেছে। সোমালিয়ান সময় দুপুর ১টার দিকে এ হস্তান্তর প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়।  বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে গণমাধ্যমকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক জিম্মি নাবিক এই তথ্য জানান। তিনি জানান, জাহাজটি এই মুহূর্তে সোমালিয়ার গারাকাড উপকূল থেকে ২০ মাইল দূরে নোঙর করা আছে। নোঙর করার পর ১৯ জনের একটি নতুন দল জাহাজের নিয়ন্ত্রণ নেয়। অন্যদিকে জাহাজ হাইজ্যাকে নেতৃত্ব দেওয়া ৫০ জনের বেশি সংখ্যার দলটি জাহাজ ছেড়ে যায়। জিম্মি নাবিক বলেন, এখন যেসব দস্যুদল জাহাজটির দায়িত্ব নিয়েছে ওদের সবার হাতে ভারী অস্ত্র রয়েছে। তবে তারা নাবিকদের সঙ্গে কোনো খারাপ আচরণ করেনি। রাতে সেহেরি দিয়েছিল, আশা করা যাচ্ছে ইফতারও দেবে। বাংলাদেশি জাহাজের নাবিকরা আশা করছেন, এই পর্যায়ে দস্যুরা হয়তো জাহাজের মালিকপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করবে। তাই দেশের গণমাধ্যমকে কোনো অতি উৎসাহী নিউজ না করার অনুরোধ জানান এই নাবিক। এদিকে উদ্ধার করতে আসা জাহাজটি বুধবার বিকেল থেকে বাংলাদেশি জাহাজটিকে অনুসরণ করছিল। ধারণা করা হচ্ছে, আরব আমিরাত বা অন্য কোনো আরব দেশের হবে এটি। বৃহস্পতিবার রাতে বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ’র নাবিকদের উদ্ধারে ওই জাহাজটি অভিযান চালায়। এ সময় দুপক্ষের মধ্যে গুলিবিনিময় হয়। তবে দস্যুরা জিম্মিদের হত্যার হুমকি দিলে উদ্ধারকারী জাহাজটি পিছিয়ে যায়। এর আগে, ভারত মহাসাগরে এমভি আবদুল্লাহ নামের বাংলাদেশি জাহাজটি মঙ্গলবার (১২ মার্চ) দুপুরে জলদস্যুদের কবলে পড়ে। ৫৫ হাজার টন কয়লা নিয়ে আরব আমিরাতে যাওয়ার পথে সোমালিয়ার জলদস্যুরা জাহাজটির নিয়ন্ত্রণ নেয়। এরপর জাহাজে থাকা ২৩ বাংলাদেশি নাবিককে জিম্মি করে।
১৪ মার্চ ২০২৪, ১৯:৩৪

টেকনাফ সীমান্তে ভারী গোলাগুলি, মিয়ানমারে উড়ছে কালো ধোঁয়া  
কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্তে নাফ নদীর ওপার মিয়ানমার থেকে ভারী গোলাগুলির শব্দ পাওয়া গেছে। শনিবার (২ মার্চ) ভোর থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত টেকনাফের হ্নীলা ও হোয়াইক্যং ইউনিয়নের সীমান্তে মিয়ানমারে গোলাগুলি ও মর্টার শেলের শব্দ পাওয়া যায়। এতে আতঙ্কের মধ্যে আছেন সীমান্ত এলাকার হাজারো মানুষ। টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাশেদ মোহাম্মদ আলী বলেন, সকাল থেকে থেমে থেমে ভারী মর্টারশেলের শব্দ শোনা যাচ্ছে। এছাড়া নাফ নদীর ওপারে সকাল থেকে আগুনের কালো ধোঁয়াও দেখা যাচ্ছে। স্থানীয়রা জানান, হোয়াইক্যং ও হ্নীলা সীমান্তের পূর্বে মিয়ানমার কুমিরহালি, নাইচদং, কোয়াংচিগং, শিলখালী, নাফপুরা গ্রাম গুলোতে চলছে মিয়ানমারের জান্তা বাহিনী ও আরাকান আর্মির সংঘর্ষ। টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং থেকে শাহপরীর দ্বীপ পর্যন্ত ৫৪ কিলোমিটার নাফ নদীতে বিজিবি ও কোস্ট গার্ডের সদস্যরা টহল বৃদ্ধি করেছে।     হ্নীলা সীমান্তের বাসিন্দা মো. ইলিয়াছ বলেন, সকাল থেকে ভারী গোলার শব্দ পাওয়া যাচ্ছে। এখন আবার নতুন করে সেখানে আগুন দেখা যাচ্ছে। এতে আমরা সীমান্তের লোকজন ভয়ের মধ্যে আছি। হ্নীলা আদর্শ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি তারেক মাহমুদ রনি বলেন, সকালে বিকট শব্দ শুনে ভয়ে ছিলাম। এ রকম শব্দ খুব কম শোনা যায়। যেন মনে হচ্ছে বাড়ির পাশে এসে বোমা পড়েছে। মিয়ানমারে চলমান যুদ্ধে আমাদের ওপর খুব বাজেভাবে প্রভাব পড়েছে। টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আদনান চৌধুরী বলেন, মিয়ানমারের অভ্যন্তরে চলমান সংঘাতে সীমান্তে সার্বক্ষণিক খোঁজ খবর রাখা হচ্ছে। ওপারে সংঘাতময় পরিস্থিতির কারণে বিজিবি, কোস্ট গার্ড ও পুলিশের টহল বাড়ানোর পাশাপাশি সীমান্তে বসবাসরতদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। এদিকে এখনও মিয়ানমার থেকে অনুপ্রবেশের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে রোহিঙ্গারা। সম্প্রতি নাফ নদী সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করলে চারশ রোহিঙ্গাকে ফেরত পাঠিয়েছে বিজিবির কোস্ট গার্ড সদস্যরা। এ বিষয়ে কোস্ট গার্ড চট্টগ্রাম পূর্বজোনের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট তাহসিন রহমান বলেন, ওপারের চলমান যুদ্ধের পরিস্থিতিতে নাফনদী দিয়ে সীমান্তে অনুপ্রবেশের আশঙ্কা থেকে আমরা (কোস্ট গার্ড) নাফনদীতে টহল জোরদার রেখেছি। নতুন করে কাউকে ঢুকতে দেওয়া হবে না।
০২ মার্চ ২০২৪, ১৯:২৪

স্বজনদের আহাজারিতে ভারী ঢাকা মেডিকেল এলাকা
রাজধানীর বেইলি রোডে আগুনে আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হচ্ছে। হাসপাতালের জরুরি বিভাগের পর্যবেক্ষণ কক্ষে আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসা চলছে। কক্ষের বাইরে দগ্ধদের স্বজনদের আহাজারি করতে দেখা গেছে। এ এক হৃদয় বিদারক দৃশ্য। দ্রুতবেগে ছুটছে একের পর এক অ্যাম্বুলেন্স৷ আহতদের নিয়ে ফিরছে হাসপাতালে। সবাই চিন্তিত, সবার চোখে পানি। চারদিকে মানুষের কান্নার শব্দ ভেসে আসছে। শুক্রবার (১ মার্চ) ভোর ৫টা ২০ মিনিটে সরেজমিনে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মর্গ ও জরুরি বিভাগের সামনে দেখা যায়,  রদেহ নিতে স্বজনরা অপেক্ষা করছেন। এসময় অনেকেই কান্নায় ভেঙে পড়ছেন। হাসপাতালের জরুরি বিভাগের পাশেই অস্থায়ী তথ্য ও সেবাকেন্দ্র খোলা হয়েছে।স্বজনরা পূর্ণ ঠিকানাসহ অন্যান্য কাগজপত্র জমা দিয়ে মরদেহ বুঝে নেওয়ার অপেক্ষা করছেন। বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯টা ৫০ মিনিটের দিকে বেইলি রোডের একটি বহুতল ভবনের দ্বিতীয় তলায় আগুন লাগে। ফায়ার সার্ভিসের ১৩টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে। সর্বশেষ রাজধানীর বেইলি রোডের কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্টে লাগা আগুনে নারী, পুরুষ ও শিশুসহ ৪৪ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। গণমাধ্যমকে ৪৩ জনের মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। তিনি বলেন আগুনের ঘটনা পর্যবেক্ষণ করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত ২টার দিকে সাংবাদিকদের এই তথ্য জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। আর পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল ফারুক সাংবাদিকদের জানান, এই অগ্নিকাণ্ডে রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে আরও একজন মারা গেছেন।
০১ মার্চ ২০২৪, ১২:০৫

ভারী অস্ত্র লুট, ক্যাম্পে আতঙ্ক
মিয়ানমারের ওপারে গোলাগুলিতে টিকে থাকতে না পেরে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা বিজিপি ও রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের কাছ থেকে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গারা ভারী অস্ত্র কেড়ে নিচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এমনকি সীমান্তের ওপারে গিয়ে অস্ত্র ও ইয়াবা লুটের অভিযোগও উঠেছে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে।  সম্প্রতি ভারী অস্ত্র হাতে তাদের কয়েকজনের ছবি ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। দ্রুত এসব অস্ত্র উদ্ধার করা না গেলে সীমান্তে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতির আশঙ্কা করছেন বিশ্লেষকরা। স্থানীয়রা জানান, গত ৬ ফেব্রুয়ারি অস্ত্রসহ পালিয়ে আসার সময় ২৩ রোহিঙ্গাকে আটক করে বিজিবির হাতে তুলে দেন স্থানীয়রা। আরও কিছু রোহিঙ্গার কাছ থেকে বেশ কয়েকটি একে-৪৭ রাইফেল, নাইন এমএম পিস্তল, প্রচুর গুলি লুট করেন স্থানীয় রোহিঙ্গারা। পরে দুটি একে-৪৭ রাইফেল বিজিবির কাছে তুলে দেওয়া হলেও বাকি অস্ত্রগুলো রোহিঙ্গা অপরাধীদের কাছে রয়ে গেছে। সূত্রের বরাতে জানা যায়, ২০১৭ সালের আগস্টে রোহিঙ্গারা পালিয়ে আসার পর থেকে হেলাল পালংখালী ইউনিয়নের পুঠিবনিয়া ও সফিউল্লাহ কাটা এলাকায় রাজত্ব কায়েম করে রেখেছেন। বর্তমানে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের শীর্ষ ইয়াবা ব্যবসায়ী নবী হোসেন গ্রুপের সহযোগী হিসেবেও কাজ করছেন। পালিয়ে আসা নবী হোসেন গ্রুপের সদস্যদের নিরাপদে ক্যাম্পে প্রবেশের সুযোগ করে দিয়ে অন্যদের কাছ থেকে অস্ত্র কেড়ে নিয়েছেন হেলাল।  এ বিষয়ে পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম গফুর উদ্দিন বলেন, ভয়ংকর পরিস্থিতির মধ্যে আমার কাছেও অস্ত্র লুটের খবর এসেছে। সেদিন ২৩ জনকে আটক করা হলেও অনেকে বিভিন্নভাবে ক্যাম্পে প্রবেশ করেছেন। কিন্তু সঠিক তথ্য না পেলে কোনো মন্তব্য করা যাবে না। অস্ত্র মজুতের তথ্য সঠিক হলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি চরম অবনতি ঘটতে পারে। এ প্রসঙ্গে উখিয়া থানার ওসি শামীম হোসেন বলেন, বাংলাদেশে পালিয়ে আসা কিছু রোহিঙ্গার কাছ থেকে অস্ত্র কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। সেগুলো বিজিবির কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এরপরও যদি কেউ অস্ত্র বা গুলি জমা রাখেন, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এমনকি কোনো ব্যক্তির কাছে যদি একটি গুলির খোসাও পাওয়া যায় তারপরও ছাড় দেওয়া হবে না।
১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৬:৫৮

ঠান্ডায় বাচ্চাকে ঘুমানোর সময় ভারী কিছু চাপা দিচ্ছেন, যা বলছেন চিকিৎসকরা
শীতের এবার কোনও ঠিকঠিকানা নেই। তাপমাত্রা কখন কি অবস্থায় থাকবে তা বোঝার যেনো কোন সুযোগই নেই। কখনও এক ধাক্কায় চারদিকে জমে যাওয়ার মতো ঠান্ডা, কখনও আবার এমন আবহাওয়া, গরম কালকেও হার মানায়। এ আবহাওয়ায় শিশুদের অবস্থা বেশ কাহিল। সর্দি-জ্বর লেগেই আছে। এমন সময় একেবারে সদ্যোজাত শিশুদের যত্নের সময় নানা রকম চিন্তায় থাকেন অভিভাবকরা। গোসল করানো থেকে গরম-জামা পরানো, নানা বিষয় নিয়েই বাড়ির বড়দের মনে থাকে বিভিন্ন চিন্তা। অনেক অভিভাবক জানেন না শিশুকে ঘুম পাড়ানোর নিরাপদ উপায় কী হতে পারে। অনেকেই আবার নানা রকম ভুলও করেন যা সদ্যোজাত শিশুদের জন্য অনেক বিপদেরও কারণ হতে পারে।  জেনে নিন বিষয়গুলো-  >> অনেকেই সর্দি-কাশিতে ওষুধ না দিয়ে গরম তেল মালিশ করেন। অভিভাবকদের অনেকেরই ধারণা, বুকে-পিঠে তেল মালিশ করে দিলে বুঝি সর্দি উঠে যাবে। না, তা একেবারেই নয়। এতে সর্দি কাশি ভালো হওয়ার ক্ষেত্রে কোনও উপকার হয় না। >> যারা সরিষের তেল মাখাতে চান বাচ্চাকে, তাদের মনে রাখতে হবে, সব তেল শিশু শরীরের উপযুক্ত নয়। একবার বাচ্চার র‍্যাশ হয়ে গেলে কষ্ট কিন্তু কমার বদলে বেড়ে যাবে। >> প্রতিদিন গোসল করাতে না চাইলেও অল্টারনেটিভ দিনে শরীর স্পঞ্জ করা প্রয়োজন। একদম সদ্য জন্মানো শিশুকে প্রতিদিন গোসল করান অনেকেই। তবে নতুন মায়েরা সবসময় দক্ষভাবে সদ্যোজাতকে গোসল করাতে পারেন না। হালকা গরম পানি দিয়ে শিশুর গা স্পঞ্জ করা যেতে পারে।  >> লেপ-কম্বল চাপা দেওয়া যায় সদ্যোজাতকে? উত্তর হবে না। এতে খেয়াল না রাখলে যে কোন বিপদ ঘটতে পারে। কম্বল চাপা দিলে যদি বাচ্চার কষ্ট হয়, তাহলে সে তো মুখ ফুটে বলতে পারবে না। বরং লেপ, কম্বলের ভারে মৃত্যুর ঘটনাও ঘটে যেতে পারে। যাকে বলে সিট (SID : Sudden Infant Deaths)।  >> শিশুকে লেয়ারে পোশাক পরাতে হবে। অর্থাৎ বিশাল একটা মোটা কিছু না পরিয়ে একাধিক পোশাক স্তরে স্তরে পরানো যেতে পারে তাপমাত্রা অনুসারে। তাহলে কতটা ঠান্ডা পড়ল, তা ভেবেই বাচ্চাকে ভীষণ ভারী কিছু পোশাক বা জামার ওপর জামা পরিয়ে দেবেন না। >> যিনি শিশুর যত্ন করছেন তিনিই বুঝে নেবেন শিশুর কি শীত লাগছে নাকি মোটা মোটা জামাকাপড়ের নিচে সে ঘেমে গিয়েছে। তা বুঝে জামা পরাতে হবে বা খুলে দিতে হবে। 
৩১ জানুয়ারি ২০২৪, ১৬:০৯
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়