• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
logo

‘১৩০০ ভবন চিহ্নিত করেছিলাম, কিন্তু ভাঙা সম্ভব হয়নি’
সাবেক গণপূর্তমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, ১ হাজার ৩০০ ভবনকে ঝুঁকিপূর্ণ চিহ্নিত করেছিলাম। কারণ ওইসব ভবন মন্ত্রণালয় অনুমোদিত নকশা অনুযায়ী তৈরি করা হয়নি। কিন্তু সেই ভবনগুলো ভাঙা সম্ভব হয়নি। শনিবার (২ মার্চ) জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনা ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে গত বৃহস্পতিবার রাতে বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজে ঘটা ভয়াবহ আগুনের ঘটনার প্রসঙ্গ টেনে তিনি এসব কথা বলেন। সাবেক গণপূর্তমন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনার হাতে দায়মুক্তির সংস্কৃতি ধ্বংস হয়েছে, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। বড় বড় অপরাধীদের বিচার হয়েছে। সেক্ষেত্রে দায়মুক্তির সংস্কৃতি থেকে আমরা বেরিয়ে এসেছি। কিন্তু কিছু কিছু জায়গায় আরও কঠিন পদক্ষেপ নেওয়া দরকার। শ ম রেজাউল করিম বলেন, বনানীর এফআর টাওয়ারে আগুন লাগার পরে গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ে কাজ করেছিলাম। তদন্ত করে ৬২ জনের বিরুদ্ধে রিপোর্ট দিয়েছিলাম। দুর্ভাগ্য সর্বোচ্চ পর্যায়ের কমিটি রিপোর্ট দেওয়ার পরও সবার বিরুদ্ধে মামলা হয়নি। তারপর চার্জশিট দেওয়ার সময় অনেককে বাদ দেওয়া হয়েছে। এখানেই শেষ নয় আজকে পর্যন্ত সে মামলার অভিযোগ গঠন হয়নি। সরকার দলের এ সংসদ সদস্য বলেন, নারায়ণগঞ্জে ফ্যাক্টরিতে ৫২ জন লোককে পুড়িয়ে হত্যা করা হলো (২০২১ সালে)। সে মামলার আসামিরা জেলে গেছে, সে বিচার আজ পর্যন্ত শুরু হয়নি। এ রকম অনেক ঘটনা আছে। এ জাতীয় অপরাধের সঙ্গে যারা জড়িত, প্রয়োজনে আইন পরিবর্তন করে স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল করে তাদের বিচার করতে হবে। নাহলে অন্যদের কাছে একটা মেসেজ যাবে না। এর আগে সংসদের বৈঠকের শুরুতে বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডে হতাহতের ঘটনায় জাতীয় সংসদে শোক প্রকাশ করা হয়। এ সময় স্পিকার শিরিন শারমিন চৌধুরী গভীর শোক এবং নিহতের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন। প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে বনানীর এফআর টাওয়ারে আগুনে ২৭ জনের মৃত্যু হয়। সে সময় গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী ছিলেন শ ম রেজাউল করিম। গত বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর বেইলি রোডে আগুনে ৪৬ জনের মৃত্যু হয়।
০২ মার্চ ২০২৪, ২৩:২৩

মাহির সংসার ভাঙা নিয়ে যা বললেন প্রথম স্বামী অপু
ঢাকাই ছবির নায়িকা মাহিয়া মাহির সঙ্গে রকিব সরকারের সংসার ভাঙার খবরে বেশ আলোচনা তৈরি হয়েছে শোবিজ অঙ্গনে। শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) রাতে হঠাৎই এক ভিডিও বার্তায় নিজের বিচ্ছেদের খবর জানান মাহি।  অভিনেত্রী জানান, রাকিব সরকারের সঙ্গে আর এক ছাদের নিচে থাকা হচ্ছে না তার। বর্তমানে দুজনেই আলাদা থাকছেন। খুব শিগগিরই বিচ্ছেদের পথে হাটবেন এই জুটি। মাহির বিচ্ছেদের খবর জানতে পেরেছেন তার প্রাক্তন স্বামী পারভেজ মাহমুদ অপুও। এ বিষয়ে তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, আমি জানতাম না তার বিচ্ছেদের খবর। তবে শুক্রবার রাতে অনেকেই আমাকে ফোন দেন, জানান মাহির বিচ্ছেদের খবর। এখন তো আমার এখানে কিছু করার নেই। তার সঙ্গে আমার কোন ধরনের কোন যোগাযোগ নেই। মাহির সঙ্গে বিচ্ছেদের পর নতুন করে আর সংসার জীবনে পা দেননি অপু। তবে জানালেন, খুব শিগগিরই বিয়ে করতে চলেছেন তিনি। এ বিষয়ে অপুর ভাষ্য, নতুন করে জীবন শুরু করতে চাচ্ছি। খুব দ্রুতই বিয়ে করব। সিলেটের মেয়ে ছাড়া আর বিয়ে করব না। সম্পর্কে জড়িয়ে বিয়ের কথা তো প্রশ্নেই আসে না। পারিবারিক সিদ্ধান্তে বিয়ে করব। আমি মনে করি পারিবারিকভাবেই ভালো। পরিবার মেয়ে খুঁজছে। এখন মেয়ে যত দ্রুত পাওয়া যায়, পেলেই বিয়ে। আমিও দ্রুত শুভ কাজটি সম্পন্ন করতে চাই। এর আগে শুক্রবার দিবাগত রাতে নিজের ফেসবুকে এক ভিডিও বার্তায় মাহি বলেন, আমরা দুজন (রাকিব-মাহি) মিলেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমাদের মধ্যে কিছু বিষয় নিয়ে সমস্যা রয়েছে। তবে রকিব খুব ভালো মানুষ। তাকে আমি সম্মান করি। অনেক কেয়ারিং সে। খুব দ্রুতই আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে বিচ্ছেদে যাচ্ছি। কবে আর কীভাবে হবে সেটাও দুজন মিলেই ঠিক করব। এরপর তিনি বলেন, আপনারা আমার ছেলে ফারিশের জন্য দোয়া করবেন। যেন ওকে ভালো মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে পারি। উল্লেখ্য, ২০২১ সালে রাজনীতিবিদ ও ব্যবসায়ী কামরুজ্জামান সরকার রকিবকে বিয়ে করেন মাহিয়া মাহি। এটি মাহি ও রকিবের দ্বিতীয় বিয়ে ছিল। এর আগেও ২০১৬ সালের ২৪ মে সিলেটের ব্যবসায়ী পারভেজ মাহমুদ অপুকে বিয়ে করেছিলেন মাহি। এর কয়েক বছর পরেই ২০২০ সালে মে মাসে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে পারভেজ মাহমুদ অপুর সঙ্গে বিচ্ছেদের কথা জানান মাহি।
১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:৫৬

‘অবৈধ’ বলে ভাঙা হলো মসজিদ-মাদরাসা, সংঘর্ষে নিহত ৫
কিছুদিন আগেই ভারতের নয়াদিল্লিতে ভেঙে ফেলা হয়েছে কয়েক শতাব্দী প্রাচীন একটি মসজিদ। ওই ঘটনার রেশ না কাটতেই এবার উত্তরাখণ্ডে একটি মসজিদ ও মাদরাসা ভাঙার খবর পাওয়া গেছে। মসজিদ ভেঙে ফেলা ঠেকাতে গিয়ে পাঁচজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও অনেকে।  বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) ভারতের উত্তরাখণ্ডের উত্তরাঞ্চলীয় রাজ্যের হালদওয়ানি শহরের পৌর কর্তৃপক্ষ ভবনগুলোকে বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। তারা বলছেন, মসজিদ এবং মাদরাসা অবৈধভাবে নির্মাণ করা হয়েছে।  আদালতের আদেশের পর বিপুল সংখ্যক পুলিশসহ সরকারি কর্মকর্তাদের একটি দল ওই এলাকায় একটি মাদরাসা এবং সংলগ্ন মসজিদটি ভেঙে ফেলার কাজ শুরু করলে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয় গণমাধ্যমের খবর বলছে, বিক্ষুব্ধ জনতা কর্মকর্তাদের দিকে পাথর নিক্ষেপ করে এবং জবাবে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে। একপর্যায়ে থানার বাইরে গাড়িতে আগুন দেয়ায় সহিংসতা বেড়ে যায় এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়। জ্যেষ্ঠ পুলিশ সুপার প্রহ্লাদ মীনা বলেছেন, আদালতের নির্দেশ মেনে ওই মাদরাসা ও মসজিদ ভাঙা হয়েছে। নৈনিতাল জেলার ম্যাজিস্ট্রেট বন্দনা সিং বলেন, এটিকে সাম্প্রদায়িকতার সঙ্গে তুলনা করা ঠিক হবে না। তিনি আরও বলেন, সরকারি নির্দেশনা অনুসারে এগুলো ভেঙে ফেলা হয়েছে। কারণ অনুমতি ছাড়াই এই মসজিদ ও মাদরাসা নির্মাণ করা হয়।  স্থানীয়রা বলছেন, হালদওয়ানি বানফুলপুরের মসজিদ এবং মাদ্রাসাটি দুই যুগের পুরনো। এগুলো উদ্দেশ্য প্রণোদিভাবে ভেঙে ফেলা হয়েছে।  উত্তরাখণ্ডের পুলিশের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা শুক্রবার দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেন, মসজিদ ভেঙে ফেলার সময় পুলিশের সঙ্গে স্থানীয় মুসলিমদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে পাঁচজন নিহত হয়। তবে তাদের পরিচয় জানা যায়নি।   
০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৯:৪৩
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়