• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo
ফরিদপুরে মন্দিরে অগ্নিকাণ্ডে এলাকা রণক্ষেত্র, ২ ভাই নিহত
ফরিদপুরের মধুখালী মন্দিরের কালী প্রতিমায় আগুন লাগার ঘটনাকে কেন্দ্র করে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের হামলায় সহোদর দুই নির্মাণশ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনায় আরও ৫ জন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ২ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) উপজেলার ডুমাইন ইউনিয়নের পঞ্চপল্লী গ্রামের বারোয়ারী মন্দিরে আগুনের ঘটনা ঘটে। এরপর এই আগুন দেওয়ার অভিযোগে মন্দিরের পাশের স্কুলে নির্মাণকাজে নিয়োজিত শ্রমিকদের ওপর হামলা চালান স্থানীয়রা। নিহত শ্রমিকরা হলেন- মধুখালী উপজেলার নওপাড়া ইউনিয়নের চোপেরঘাট গ্রামের শাহজাহান খানের ছেলে আশরাফুল (২১) ও আরশাদুল (১৫)।  জানা গেছে, হিন্দু অধ্যুষিত পঞ্চপল্লী গ্রামের ওই বারোয়ারি মন্দিরের কালী প্রতিমায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় স্থানীয় লোকজন বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। তারা মন্দির থেকে ২০ গজ দূরের পঞ্চপল্লী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ওয়াশরুম নির্মাণকাজে নিয়োজিত মুসলিম সাত শ্রমিককে সন্দেহ করে স্কুলের শ্রেণিকক্ষে অবরুদ্ধ করে মারপিট করে। খবর পেয়ে মধুখালী থানা পুলিশ ও উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা ঘটনা স্থলে গেলে হামলাকারীরা তাদেরও অবরুদ্ধ করে রাখে, এবং হতাহতদের উদ্ধারে বাধা দেয়। পরে ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার ফরিদপুর, রাজবাড়ী ও মাগুরা জেলা থেকে অতিরিক্ত পুলিশ ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রায় ৫ ঘণ্টা পর তাদের উদ্ধার করে মধুখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং ৪ জনকে ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুইজন মারা যান। আহত আরও দুজনের অবস্থাও আশঙ্কাজনক। সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ডুমাইন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান তপন সাংবাদিকদের জানান, মাগরিবের নামাজ শেষে ১ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার অজিত বাবুর ফোন পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে দেখতে পান হাজার হাজার জনতা। তিনি জনগণকে শান্ত করার চেষ্টা করেন, কিন্তু পরিস্থিতি বেগতিক থাকায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ প্রশাসনকে ফোনে অবহিত করেন। পরবর্তীতে তারা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।  জেলার সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি-মধুখালী সার্কেল) মিজানুর রহমান বলেন, একটি মন্দিরে কে বা কারা আগুন দিয়েছে। বিক্ষুব্ধ লোকজন নির্মাণ শ্রমিকদের ওপর হামলা করেছে, মারপিট করেছে। এতে দুই ভাই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। পুলিশ সুপার জানান, শত শত মানুষ এই হামলায় অংশ নেওয়ায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বিপুল সংখ্যক শটগানের ফাঁকা গুলি বর্ষণ করা হয়েছে। বিক্ষুব্ধদের ছোড়া ইটপাটকেলের আঘাতে পুলিশের বেশ কয়েকজন সদস্য আহত হলেও ঠিক কতজন সদস্য আহত হয়েছেন তা তাৎক্ষণিকভাবে জানাতে পারিনি। এই ঘটনায় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। পরিস্থিতি বর্তমানে পুলিশের নিয়ন্ত্রণ রয়েছে। পরিস্থিতি সম্পূর্ণ স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন থাকবে। জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান তালুকদার জানান, তিন প্লাটুন বিজিবি মোতায়েনের জন্য বলা হয়েছে। তারা শুক্রবার সকাল থেকে দায়িত্ব পালন করবেন। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতেই বিজিবি মোতায়েন করা হচ্ছে।
১৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৪:২৮

সালমান খানের বাড়ির সামনে গুলি, যা জানালেন তার ভাই
বলিউড সুপারস্টার সালমান খানের বাড়ির বাইরে চার রাউন্ড গুলি ছুড়ে পালিয়ে যান অজ্ঞাতনামা দুই দুর্বৃত্ত। রোববার (১৪ এপ্রিল) ভোর ৫টার দিকে মুম্বাইয়ের বান্দ্রা এলাকায় গ্যালাক্সি অ্যাপার্টমেন্টের সামনে এ ঘটনা ঘটে। তারপর থেকে নড়েচড়ে বসে মুম্বাই পুলিশ। জোরদার করে ভাইজানের বাড়ির নিরাপত্তা।  তবে বিষয়টি নিয়ে সালমান খান এখনও কোনো মন্তব্য না করলেও এবার তার পরিবারের হয়ে সোমবার (১৫ এপ্রিল) মুখ খুললেন তার ভাই আরবাজ খান।  ইনস্টাগ্রামে একটি পোস্ট দিয়ে আরবাজ লিখেছেন, ‘সেলিম খানের বাড়ির সাম্প্রতিক এ ঘটনাটি খুবই বিরক্তিকর ও উদ্বেগজনক। এ ঘটনায় আমাদের পরিবার বিস্ময়াহত। দুঃখজনকভাবে এখন অনেকেই নিজেকে আমাদের পরিবারের কাছের মানুষ দাবি করে মুখপাত্র হিসেবে সংবাদমাধ্যমে নানা কথা বলছেন এবং বিষয়টিকে ‘সস্তা প্রচার’ আখ্যা দিতে চাইছেন।’  একইসাথে ওই পোস্টে তিনি আরও উল্লেখ করেছেন, ‘যারা দাবি করছেন তাদের পরিবার বিষয়টাকে পাত্তা দিতে চাইছে না, সেটা ঠিক নয়।’ পাশাপাশি  তাদের পরিবারের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত  সংবাদমাধ্যমকে কোনো বিবৃতি দেওয়া হয়নি বলেও তিনি লেখেন। সাথে এও উল্লেখ করেন, ‘পরিবারের সদস্যরা আপাতত পুলিশকে তদন্তে সহযোগিতা করছেন। আর তাদের সুরক্ষার বিষয়ে ভরসা রাখছেন পুলিশের ওপর। ’ ইনস্টগ্রামের ওই পোস্ট পাশে থাকার জন্য অনুরাগীদের ধন্যবাদও জানান আরবাজ খান। 
১৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:৪৭

পুকুরের মাছ ধরা নিয়ে ভাইয়ের হাতে ভাই খুন 
গোপালগঞ্জে পুকুরের মাছ ধরা নিয়ে মাহিন মীনা (৪০) নামে এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে হত্যা করেছে আপন চাচাতো ভাইয়েরা। বুধবার (১০ এপ্রিল) বেলা ১১টার দিকে সদর উপজেলার জালালাবাদ ইউনিয়নের ঘ্যানাশুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।  নিহত মাহিন মীনা ওই গ্রামের মৃত আবুল বাশার ওরফে বাসু মীনার ছেলে।  স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মাহিন ঢাকায় একটি টাইলসের দোকানে কাজ করতেন। ঈদ করতে স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে মঙ্গলবার গ্রামের বাড়িতে আসেন। এ দিন সকালে তার আপন চাচাতো ভাই নজরুল ইসলাম মীনা ও নূরুল ইসলাম সৌখিনসহ বেশ কয়েকজন তাদের যৌথ পুকুরে জাল ফেলে মাছ ধরে নিচ্ছিল। মাহিন তাদেরকে নিষেধ করলে কথা কাটাকাটি ও একপর্যায়ে চাচাতো ভাইয়েরা দা দিয়ে কুপিয়ে তার মাথা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে মারাত্মক জখম করে। পরে পরিবারের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।  ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন গোপালগঞ্জ সদর থানার ওসি মোহাম্মদ আনিচুর রহমান। তিনি বলেন, ঘটনার পর থেকে মাহিনের চাচাতো ভাইয়েরা বাড়িতে তালা ঝুলিয়ে পালিয়েছে। মাহিনের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
১০ এপ্রিল ২০২৪, ১৮:০৮

ভাই হত্যার বিচার চাইলেন শাহনূর
ঢাকাই সিনেমার নায়িকা শাহনূর ভাই হত্যার বিচার চেয়ে ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়েছেন। তার দাবি আসামিরা দিব্যি ঘুরে বেড়াচ্ছে। তিনি সহযোগিতা পাচ্ছেন না।    শাহনূর পোস্টে লেখেন, আমার আপন খালাতো ভাই আলিফ হত্যার সঠিক বিচার আমরা পাইনি। বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনী এবং শ্রদ্ধেয় সাংবাদিক ভাইয়েরা কেউ সহযোগিতা করতে পারেননি। আসামিরা দিব্যি বাইরে ঘুরে বেড়াচ্ছে, তারা ধরাছোঁয়ার বাইরেই আছে। এটা আমাদের সমাজের এবং জাতির কাছে লজ্জাজনক ব্যাপার। প্রসঙ্গত, ২০২২ সালে শাহানূরের খালাতো ভাই আলিফকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয়। সেসময় বিচারের দাবিতে শাহনূর একাধিক পোস্ট করেন।  শাহনূর চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন। আগামী ১৯ এপ্রিল সংগঠনটির দ্বিবার্ষিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। মিশা-ডিপজলের প্যানেল থেকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তিনি। 
০১ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:৪৭

ভাই হত্যার অভিযোগে ট্রান্সকমের সিইও’র বিরুদ্ধে বোনের মামলা
নিজের ভাইকে হত্যার অভিযোগে এবার ট্রান্সকম গ্রুপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) সিমিন রহমানের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন তারই ছোট বোন শাযরেহ হক।  বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) দিনগত রাত ১২টা ৫ মিনিটে গুলশান থানায় মামলাটি করেন তিনি।  মামলায় সিমিন রহমানের ছেলে যারাইফ আয়াত হোসেনসহ আরও ১০ জনের নাম উল্লেখ করা হয়।  মামলার অন্য আসামিরা হলেন মো. ফখরুজ্জামান ভূঁইয়া (৬০), মো. কামরুল হাসান (৬১), সেলিনা সুলতানা (৪৫), কেএইচ মো. শাহাদত হোসেন (৫০), ডা. মুরাদ (৫০), ডা. মো. মুজাহিদুল ইসলাম (৫৫), মো. জাহিদ হোসেন (৫৫), রফিক (৫৫) ও মিরাজুল (৪০)। বিষয়টি নিশ্চিত করে গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাজহারুল ইসলাম বলেন, শাযরেহ হকের অভিযোগ তার ভাই আরশাদ ওয়ালিউর রহমান অসুস্থ ছিলেন না। আসামিরা চক্রান্ত করে তাকে হত্যা করেছেন। এর আগে, কোম্পানির সম্পত্তি ও শেয়ার-সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে গত ফেব্রুয়ারিতে বড় বোন, মা এবং ট্রান্সকমের আট কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তিনটি মামলা করেন শাযরেহ হক। পরে ট্রান্সকম গ্রুপের পাঁচ কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
২৩ মার্চ ২০২৪, ১৯:২১

জমি নিয়ে বিরোধ, বড় ভাইয়ের হাতে ছোট ভাই খুন
দীর্ঘদিনের জমি নিয়ে বিরোধের জেরে বড় ভাইয়ের মারধরে ছোট ভাই কহেল উদ্দিন (৬০) নিহত হয়েছেন। সোমবার (১১ মার্চ) ভোরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান তিনি।  নিহত কহেল উদ্দিন মুন্সী মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার জামির্ত্তা ইউনিয়নের মধুরচর গ্রামের মৃত ইন্তাজ উদ্দিন মুন্সীর ছেলে। স্থানীয়রা জানান, নিহত কহেল মুন্সী ও তার বড় ভাই ইসলাম মুন্সীর মধ্যে দীর্ঘদিন যাবৎ জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। গত রোববার দুপুরে কহেল মুন্সী ও তার প্রবাসফেরত ছেলে শাহানুর বসতবাড়ির সীমানা পরিষ্কার করতে যান। এ নিয়ে বাগবিতণ্ডার একপর্যায়ে বড় ভাই ইসলাম মুন্সী (৬৫), তার ছেলে হৃদয় (২৪), স্ত্রী কুলসুম (৫৫), মেয়ে রোজিনা (২৮) ও নাতনি কণক (১৮) লাঠিসোঁটা নিয়ে কহেল মুন্সী ও তার ছেলে শাহানুরকে মারধর করে। সেই সঙ্গে অসুস্থ স্ত্রী সাফিয়া খাতুনকেও প্রহার করেন তারা। এতে কহেল মুন্সীসহ তার পরিবারের তিনজনই মারাত্মক আহত হন। স্থানীয়রা আরও জানান, আহতদের মধ্যে কহেল মুন্সী ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান। অপর আহতরা এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন। নিহত কহেল মুন্সীর মেয়ে রওশন আরা বলেন, দিন-দুপুরে আমাদের পরিবারের ওপর হামলা করা হয়েছে। আমি আমার বাবার হত্যাকারীদের ফাঁসি চাই। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন সিংগাইর থানার ওসি মো. জিয়ারুল ইসলাম। তিনি বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। অভিযুক্তদের কাউকে পাওয়া যায়নি। মামলার প্রস্তুতি চলছে।
১১ মার্চ ২০২৪, ১৮:৩৭

বড় ভাইয়ের পিস্তলের গুলিতে ছোট ভাই খুন
পটুয়াখালীর বাউফলে বড় ভাই মো. সজিব হোসেনের (২১) অবৈধ পিস্তলের গুলিতে প্রতিবন্ধী ছোট ভাই সাব্বির হোসেন (১৬) মারা গেছেন।  সোমবার (১১ মার্চ) দুপুরে মো. সজিব হোসেনকে আটক করে পুলিশ। সাব্বির হোসেন উপজেলার সূর্যমনি ইউনিয়নের সূর্যমনি গ্রামের বাবুল সরদারের ছেলে।  আর আটককৃত মো. সজিব হোসেন বাউফল নবারুণ সার্ভে ইনস্টিটিউটের পঞ্চম বর্ষের ছাত্র। স্থানীয়রা জানান, রোববার বেলা সাড়ে ১১টায় সজিব হোসেন একটি পুরোনো পিস্তল নিয়ে নড়াচড়া করতে গিয়ে ট্রিগারে চাপ লেগে গুলি বের হয়। সেই গুলি তার প্রতিবন্ধী ছোট ভাই সাব্বিরের কপালের বাম পাশে চোখের ওপরে গিয়ে লাগে। এরপর স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে বাউফল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।  স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. নুরজাহান জানান, সাব্বিরকে আহত অবস্থায় জরুরি বিভাগে আনা হয়। তখন রোগীর অবস্থা আশঙ্কাজনক ছিল। তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। সাব্বিরের পরিবার জানায়, রোববার বিকেলের দিকে সাব্বিরকে নিয়ে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পৌঁছানোর পর জরুরি বিভাগের চিকিৎসক গুলিবিদ্ধ হওয়ার বিষয়টি জানতে পেরে তাকে ঢাকা নিউরোসায়েন্স হাসাপাতালে রেফার্ড করেন। সেখান থেকে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হলে রাত ১টার দিকে সাব্বির মারা যান। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন বাউফল থানার ওসি (তদন্ত) আতিকুল ইসলাম। তিনি জানান, পুলিশ সুপারের নির্দেশে ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাব্বিরের বড় ভাই সজিবকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। সাব্বিরের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে নেওয়ার প্রস্তুতি চলছে।
১১ মার্চ ২০২৪, ১৭:৩০

সিনেমাটি দেখে মনে হয়েছে অপুর ছোট ভাই জয় : অমিত হাসান
ঢাকাই চলচ্চিত্রে নায়ক ও খলনায়ক দুই জায়গাতেই যিনি সমান দক্ষতার পরিচয় দিয়ে আসছেন তিনি অমিত হাসান। ১৯৮৬ সালে নতুন মুখের সন্ধানের মাধ্যমে চলচ্চিত্রে অমিত হাসানের সম্পৃক্ততা।১৯৯০ সালের ৫ জানুয়ারি ছটকু আহমেদ পরিচালিত ‘চেতনা’ ছবিতে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে চলচ্চিত্রের পর্দায় তার অভিষেক ঘটে। তবে একক নায়ক হিসেবে অমিত হাসানের অভিষেক ঘটে মনোয়ার খোকন পরিচালিত ‘জ্যোতি’ ছবির মাধ্যমে। এরপর অমিত হাসান শেষ ঠিকানা, উজান ভাটি, তুমি শুধু তুমি, বিদ্রোহী প্রেমিক, জিদ্দী, ভালোবাসার ঘরসহ অসংখ্য ছবিতে অভিনয় করেন।  তিনি আরও বলেন, আমরা যেভাবে মূলধারার সিনেমা করে আসছি, সেভাবে সিনেমা বানাতে হবে। এখন কী বলব, রোশানের প্রথম সিনেমা ‘রক্ত’। জাজের দারুণ একটা ছবি। কলকাতার সঙ্গে যৌথ প্রযোজনায়। পরীমনি ছিল। কী ছিল না সিনেমায়? কিন্তু সিনেমাটি চলল না। আবার বাপ্পী জাজের সিনেমা করছে। বাইরেও সিনেমা করছে। কেউ কি বলতে পারবে বাপ্পীর ওই সিনেমাটি লাইমলাইটে গেছে? ইমন, নিরবের কোন সিনেমা আছে, যেটা দিয়ে কাঁপায়া দিয়েছে। কেউ বলতে পারবে তাদের সিনেমা হেভি ব্যবসাসফল হয়েছে। ইদানীং অপু বিশ্বাস জয়কে নিয়ে সিনেমা করছে। তাদের জুটি কি দর্শক গ্রহণ করেছে? আমার দৃষ্টিতে পর্দায় দর্শক তাদের পছন্দ করেন না। কারণ, জয় অপুর চেয়ে অনেক ছোট। তাদের সিনেমাটি দেখে মনে হয়েছে অপুর ছোট ভাই জয়। প্রসঙ্গত, প্রসঙ্গত, শাহীন সুমন পরিচালিত ‘ভালোবাসার রং’ ছবিতে তিনি প্রথম নেগেটিভ চরিত্রে অভিনয় করেন। বর্তমানে একই ধরনের চরিত্রে তাকে অভিনয় করতে দেখা যাচ্ছে। বর্তমানে ‘যন্ত্রণা’, ‘কিশোরী’ ‘বিট্রে’  ‘অপারেশন জ্যাকপট’  সহ বেশ কিছু সিনেমার কাজ নিয়ে ব্যস্ত। এদিকে শোনা যাচ্ছে শিল্পী সমিতির নির্বাচনে সভাপতি প্রার্থী হচ্ছেন।   
০৯ মার্চ ২০২৪, ২৩:১২

বাবা-মায়ের স্বপ্ন পূরণে যে কাণ্ড করলেন ৫ ভাই
বাবা-মাকে সঙ্গে নিয়ে হেলিকপ্টারে চড়ে বিয়ে করতে এলেন বর। আবার বিয়ে শেষে স্ত্রীকে নিয়ে হেলিকপ্টারে চড়ে নিজ বাড়িতে চলেও গেলেন। এই হেলিকপ্টার বরযাত্রী এবং আত্মীয়-স্বজনের চেয়ে উৎসুক জনগণই ছিল বেশি। ঘটনাটি গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার। শুক্রবার (৮ মার্চ) দুপুর ২টায় কোটালীপাড়া উপজেলার দিঘলীয়া গ্রামের এগারো বাড়ির মাঠে অবতরণ করে একটি হেলিকপ্টার। এখান থেকে এই হেলিকপ্টারে বর সেজে বাবা-মাকে নিয়ে পার্শ্ববর্তী মান্দ্রা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এসে নামেন বর মোরছালিন হাওলাদার (২৫)।  মোরছালিন হাওলাদার কোটালীপাড়া উপজেলার দিঘলীয়া গ্রামের সিদ্দিক হাওলাদারের ছোট ছেলে। প্রবাসী মোরছালিনের সঙ্গে একই গ্রামের ব্যবসায়ী কালাম শেখের মেয়ে ফারিয়া খাতুনের বিয়ে হয়। এই বিয়েতে ফারিয়া খাতুনের বাবা ব্যবসায়ী কালাম শেখ আত্মীয়-স্বজনসহ প্রায় হাজার খানেক অতিথিকে দাওয়াত করেছিলেন। মাংস, পোলাও, মাছ, ফিন্নি, দই, মিষ্টিসহ ছিল খাবারের নানা আয়োজন।  বর মোরছালিন হাওলাদারের বড় ভাই আবুল হোসেন হাওলাদার বলেন, আমরা ৫ ভাই মালয়েশিয়া থাকি। এই ৫ ভাইয়ের মধ্যে মোরছালিন সবার ছোট। বাবা-মায়ের ইচ্ছা ছিল তাদের ছোট ছেলের বউকে হেলিকপ্টারে করে বাড়িতে নিয়ে আসবে। তাই আমরা ৫ ভাই মিলে এই হেলিকপ্টারের ব্যবস্থা করেছি। বর মোরছালিন হাওলাদার বলেন, বাবা-মায়ের স্বপ্ন পূরণের জন্য আমরা ৫ ভাই মিলে ২ লাখ ২০ হাজার টাকা দিয়ে ৩ ঘণ্টার জন্য একটি হেলিকপ্টার ভাড়া করেছি। এই হেলিকপ্টারে আমার বাবা-মাকে সঙ্গে নিয়ে আমি কনের বাড়িতে এসেছি। এ জন্য আমার বাবা-মা, আত্মীয়-স্বজন সবাই খুশি। কনের বাবা কালাম শেখ বলেন, একই এলাকায় আমি আমার মেয়ে ফারিয়া খাতুনকে বিয়ে দিয়েছি। আমার জামাই তার বাবা-মাকে সঙ্গে নিয়ে হেলিকপ্টারে চড়ে আমাদের এখানে আসে। এই হেলিকপ্টার ওঠা-নামা দেখার জন্য এলাকার শত শত মানুষ ভিড় করেছিল। আমি আমার মেয়ে-জামাইয়ের জন্য সবার কাছে দোয়া চাই।
০৯ মার্চ ২০২৪, ১১:৩৪

ঘুমন্ত ছোট ভাইকে হত্যা করলো বড় ভাই
নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে ঘুমন্ত ছোট ভাইকে জবাই করে হত্যা করেছে বড় ভাই মেহেদী হাসান। মেহেদী হাসান মানসিক রোগী ছিলেন। মঙ্গলবার (৫ মার্চ) সকালে কিশোরগঞ্জ উপজেলার কুঠিপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।  নিহত ছোট ভাই আওকত হোসেন ওই এলাকার মৃত আব্দুল জলিলের ছেলে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন স্থানীয় ইউপি সদস্য খগেন্দ্রনাথ রায়। স্থানীয়দের বরাতে পুলিশ জানায়, বছরখানেক ধরে মানসিক রোগে ভুগছিলেন মেহেদী হাসান। তিনি চিকিৎসাধীন ছিলেন। মানসিক সমস্যার কারণে স্বামী-স্ত্রী আলাদা থাকতেন। মায়ের অনুরোধে ছোট ভাই আওকত হোসেন জুয়েল বড় ভাইয়ের সঙ্গে ঘুমাতেন। মঙ্গলবার ভোরে ঘুমন্ত অবস্থায় ছোট ভাইকে জবাই করে এবং মাথায় কুপিয়ে হত্যা করে নিহতের বুকের ওপর বসে থাকেন বড় ভাই। পরে বিষ পান করে নিজে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন মেহেদী হাসান। সকালে রক্তাক্ত অবস্থায় ছোট ভাইয়ের নিথর দেহ দেখতে পান পরিবারের অন্য সদস্যরা। তাদের চিৎকারে ছুটে আসেন প্রতিবেশীরা।  এ সময় স্থানীয় ইউপি সদস্য বিষয়টি কিশোরগঞ্জ থানা পুলিশকে অবগত করেন। পরে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে নিয়ে যান।  এ সময় অভিযুক্ত বড় ভাইকে আটক করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়।
০৫ মার্চ ২০২৪, ১৮:৩৩
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়