• ঢাকা বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
logo
কার্গোর ধাক্কায় ভাঙল ব্রিজ
বরগুনার পাথরঘাটায় বালুবাহী কার্গোর ধাক্কায় হলতা নদীর ওপর নির্মিত লোহার ব্রিজটি ভেঙে যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।  শনিবার (২৩ মার্চ) সকাল ১০টার দিকে উপজেলার হলতা নদীর ওপর নির্মিত লোহার ব্রিজটির মাঝের অংশ ভেঙে এ যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। দুর্ঘটনার পর কার্গোর (বাল্কহেডের) চালক ও সহকারীরা সাঁতরে তীরে ওঠেন। এ দুর্ঘটনায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। তবে সেতুর ভাঙা অংশ কার্গোর ওপর পড়ায় নৌযানটি ডুবে গেছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ব্রিজটি আগে থেকেই জরাজীর্ণ ছিল। এলজিইডি জোড়াতালি দিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক রেখেছিল। শনিবার বালুবাহী কার্গোর ধাক্কা লেগে ব্রিজের মাঝের অংশ ভেঙে পড়ে। এ সময় কার্গোটি ব্রিজের নিচে আটকে যায়। এতে শিক্ষার্থীসহ দুই পাড়ের বাসিন্দাদের পারাপার বন্ধ হয়ে যায়। স্থানীয় বাসিন্দা নাঈম তালুকদার জানান, কার্গো চালকের অসতর্কতায় এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। এখন প্রায় দুই কিলোমিটার পথ ঘুরে স্কুলে আসতে শিক্ষার্থীসহ স্থানীয় লোকজনকে ভোগান্তির শিকার হতে হবে।  ব্রিজটি ভেঙে পড়ায় দুই পারের বাসিন্দারা চরম দুর্ভোগে পড়েছে। আটকে থাকা কার্গোটির চালক-শ্রমিকরা পালিয়ে গেছেন। তবে ঘটনার পর এলজিইডি বা উপজেলা প্রশাসনের কাউকে ঘটনাস্থলে আসতে দেখা যায়নি।  পাথরঘাটা উপজেলা প্রকৌশলী চন্দন কুমার চক্রবর্তী বলেন, ফান্ড না থাকায় দ্রুত কোনো ব্যবস্থা নেওয়া যাচ্ছে না। ব্রিজটির ক্ষয়ক্ষতি দেখে প্রাক্কলন তৈরি করে বরাদ্দের জন্য উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের বরাবর প্রেরণ করা হবে। বরাদ্দ পেলে দ্রুত সংস্কার করা যাবে। এ বিষয়ে পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রোকনুজ্জামান খান বলেন, ব্রিজটি কোন সংস্থা করেছে খোঁজখবর নিয়ে দ্রুত সংস্কারে পদক্ষেপ নেওযা হবে। মালবাহী কার্গোর ধাক্কায় ক্ষতিগ্রস্ত হলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  
২৪ মার্চ ২০২৪, ০৮:৫৫

খুলে দেওয়া হলো পোস্তগোলা ব্রিজ
রাজধানীর পোস্তগোলা সেতুর (বুড়িগঙ্গা-১) সংস্কার কাজ টানা ১৫ দিন পরে শেষ হওয়ায় শনিবার (৯ মার্চ) খুলে দেওয়া হয়েছে সেতুটি। ভোর ৬টা থেকে সেতু দিয়ে সব ধরনের যানবাহন চলাচল করতে পারছে।         সেতু চালুর বিষয়ে ডিএমপির ট্রাফিক পুলিশের লালবাগ বিভাগের উপকমিশনার আসমা সিদ্দিকা মিলি গণমাধ্যমকে জানান, পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী শনিবার ৯ মার্চ থেকে বুড়িগঙ্গা সেতু-১ (পোস্তগোলা সেতু) চালু হয়েছে। এতদিন এই পথ ব্যবহারকারীদের যানজটে পড়তে হয়। আশা করা হচ্ছে, এবার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে, কমবে ভোগান্তি। গত ২২ ফেব্রুয়ারি এ কাজ শুরু হয়। যার পরিপ্রেক্ষিতে সেদিনই যানবাহনকে বিকল্প পথ ব্যবহার করতে অনুরোধ জানায় সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদপ্তর। এর মধ্যে ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে ৮ মার্চ পর্যন্ত ভারী যান চলাচল নিষেধ ছিল। আর বাস ও হালকা যানবাহনের জন্য পাঁচ দিন বন্ধ ছিল সেতু। সড়ক ও জনপথ বিভাগের কেরানীগঞ্জ সড়ক সার্কেলের উপ-সহকারী প্রকৌশলী চৌধুরী সাজ্জাদ আরেফিন বলেন, পোস্তগোলা সেতুর রুটিন সংস্কারের অংশ হিসেবে রেট্রোফিটিং ও দুটি গার্ডার মেরামত শুরু হয়েছে গত ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে। এই সংস্কার কাজ শেষ হয়েছে ৮ মার্চ।    ২০২০ সালের ২৯ জুন বুড়িগঙ্গা নদীর সদরঘাট এলাকায় ময়ূর-২ লঞ্চের ধাক্কায় ডুবে যাওয়া লঞ্চ মর্নিং বার্ডকে উদ্ধার করতে আসে উদ্ধারকারী জাহাজ প্রত্যয়। এ সময় পোস্তগোলা সেতু পার হওয়ার সময় সেতুতে ধাক্কা দেয় ও আটকে যায় জাহাজটি। এতে সেতুর নিচের পাটাতন ও বিম ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এরপর থেকে কয়েক দফায় সংস্কার করে সেতুতে যানবাহন চলাচল করতে দেওয়া হচ্ছে।
০৯ মার্চ ২০২৪, ১০:৩৫

রাস্তা নেই, তবুও নির্মাণ হলো ব্রিজ
লক্ষ্মীপুরে সরকারি বরাদ্দের টাকায় এমন একটি ব্রিজ নির্মাণ করা হয়েছে, যার একপাশে রাস্তা থাকলেও অন্য পাশে বিশাল ক্ষেত। অভিযোগ উঠেছে, স্থানীয় ইউপি সদস্য নিজে ব্রিজের অপরপ্রান্তে বাড়ি করবেন বলে ব্যক্তিস্বার্থে ব্রিজটি করেছেন। সরেজমিনে লক্ষ্মীপুরের সদর উপজেলার মান্দারী ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের রতনপুর এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, রাস্তা ছাড়াই ব্রিজটি তৈরি করা সম্পন্ন হয়েছে। ব্রিজের এক পাশে মান্দারী-দত্তপাড়া সড়ক থাকলেও অন্য পাশে বিশাল ক্ষেত। আরে সেখানে বাড়ি করার উদ্দেশ্যে সীমানা দিয়ে রাখছেন ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মাহবুবুর রহমান রাজু। সূত্রমতে,  ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে মান্দারী স্কুল রোড হারুনের বাড়ির পাশে ব্রিজ নির্মাণে ৫ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল। সেই টাকা দিয়েই ব্রিজটি নির্মাণ করেছেন ইউপি সদস্য। নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় কয়েকজন অভিযোগ করে বলেন, আমাদের গ্রামের অনেক স্থানে বাঁশের সাঁকো দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে পারাপার করতে হচ্ছে। কিন্তু ইউপি সদস্য রাজুর সেদিকে লক্ষ্য নেই। যেখানে ব্রিজ নির্মাণ করা হয়েছে, সেটির অপর প্রান্তে খালের পাশে তার জমি রয়েছে। সেখানে তিনি বাড়ি করবেন। এজন্যই তিনি সরকারি বরাদ্দের টাকায় ব্রিজ নির্মাণ করেছেন। এর সুফল জনগণ পাবে না। এ বিষয়ে ইউপি সদস্য মাহবুবুর রহমান রাজু বলেন, আমিতো কাজ করেছি। অনেকে কাজ না করেই বিল উত্তোলন করেন। তাদের নিয়ে কোনো সংবাদ হয় না। এখন আমারটা নিয়ে এত মাতামাতি কেন। কাজের আগেই আমি বিল পেয়ে গেছি। পিআইও আমাকে বিল দিয়ে দিয়েছেন। তাই নিউজ করে কোন লাভ নেই। সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোশারফ হোসেন বলেন, আমরা চেষ্টা করেছি ব্রিজটির প্রকল্প পরিবর্তন করার জন্য। কিন্তু বরাদ্দটি সাবেক সংসদ সদস্য একেএম শাহজাহান কামালের ছিল। উনি মারা গেছেন। তার স্বাক্ষর ছাড়া পরিবর্তনের সুযোগ নেই। আর কাজ না করে বিল নেওয়ারও সুযোগ নেই।
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২৩:৪৪

ব্রিজ ভেঙে ট্রাক খালে, ভোগান্তিতে পর্যটকসহ ৫ গ্রামের মানুষ
পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার লতাচাপলী ইউনিয়নের মম্বিপাড়া ও পৌরগোজা গ্রামের মাঝ দিয়ে বড়হরপাড়া খালের ওপর নির্মিত আয়রণ ব্রিজটির (সাধুর ব্রিজ নামে পরিচিতি) সম্পূর্ণ ভেঙে খালের ভেতর পড়ে গেছে।  রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে মালবাহী ট্রাক পার হতে গিয়ে ব্রিজটি ভেঙে যায়। ব্রিজটি ভেঙে যাওয়ায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছে পর্যটকসহ পাঁচ গ্রামের মানুষ। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ২০০৫ সালে সেতুটি নির্মাণ করা হয়েছে। পুরনো এই ব্রিজ নড়বড়ে হয়ে পড়েছে প্রায় দুই বছর আগে। তবুও সংস্কার করা হয়নি। গত বছর হঠাৎ একদিন ব্রিজটি কিছু অংশ ভেঙে পড়ে। এই ব্রিজ দিয়ে প্রতিদিন লতাচাপলী ইউনিয়নের মম্বিপাড়া, নতুন বাজার, বড়হরপাড়া, পৌরঘোজা এবং স্কুল-কলেজের ছাত্র-ছাত্রীসহ ৫ থেকে ৭ গ্রামের মানুষ চলাচল করে। কুয়াকাটায় আগত পর্যটকরা মিশ্রিপারা বৌদ্ধ মন্দির দেখতে যাওয়ার একমাত্র সহজ পথ ছিল এটি। ৮০ ফুট দৈর্ঘ্য ও ১০ ফুট চওড়া ব্রিজের সম্পূর্ণ অংশ ভেঙে খালে পড়ে আছে।  স্থানীয় গ্রাম্য ডা. শুকদেব সৈদ্যাল বলেন, এক বছর ধরেই আমরা এই ভাঙা ব্রিজ পার হয়ে যাওয়া আসা করি। তবে ব্রিজটি সম্পূর্ণ ভাঙার কারণে এখন যাতায়াতে অনেক সমস্যা হবে। ছাত্র-ছাত্রী স্কুলে যেতে অনেক সমস্যা হবে। চরম ভোগান্তিতে পড়বে অসুস্থ রোগীরা। কলাপাড়া এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলী সাদিকুর রহমান জানান, ব্রিজটি অপসারণ করে ওই খালের ওপর একটি নতুন সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হবে। কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, সরেজমিন পরিদর্শন করে দ্রুত ব্যবস্হা নেওয়া হবে।
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৭:০৪

ফুটওভার ব্রিজ রেখে প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে মহাসড়ক পারাপার
কুমিল্লা দাউদকান্দির গৌরীপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স উপজেলার একটি গুরুত্বপূর্ণ হাসপাতাল, উপজেলার হতদরিদ্র শত শত রোগী আসে এই হাসপাতালে। উপজেলার মাঝখান দিয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক। হাসপাতালে আসা যাওয়া করতে গেলে রোগীদের ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে পারাপার করতে হয়। সরকার যদিও পথচারীদের পারাপারের জন্য ফুটওভার ব্রিজ স্থাপন করে দিয়েছে, কিন্তু বয়সের ভার নুয়ে পড়া এবং  অসুস্থ রোগীরা  অনেক ব্রিজ দিয়ে পারাপার হতে পারে না।  অনেক রোগীর ফুট ওভারব্রীজ ব্যবহারে অনীহা দেখা যায়।  আবার হাসপাতালের উল্টোদিকে ফার্মেসি থাকায় রোগীরা  হাসপাতালে ডাক্তার দেখিয়ে ঔষধ নিতে  রাস্তা পার হতে হয় । ফুটওভার ব্রিজটি গৌরীপুর বাসস্ট্যান্ডের একপাশে হওয়া  হাসপাতালে যেতে রোগীরা সেটা ব্যবহার করেন না।  ফলে প্রায় ঘটে যাচ্ছে দুর্ঘটনা ঝরে যাচ্ছে অনাকাঙ্খিত প্রাণ।  মানুষ যেন এভাবে পারাপার না হতে পারে সে জন্য সড়ক বিভাজনকে উচু করে দেয় কর্তৃপক্ষ। কিন্তু এই উচু সড়ক ডিভাইডার আটকাতে পারছে না পথচারিকে।  অল্প সময়ে যাতায়াতের জন্য উচু ডিভাইডার ভেঙে রাস্তা পারাপার হচ্ছে পথচারীরা। মহাড়কের এই ডিভাইডার পার হওয়া সহজ কথা না। জনগন বেশ কায়দা করসত করে মহাসড়ক পারাপার হয়।  এত কষ্ট করে আসার কী দরকার ছিল? ফুটওভার ব্রিজ কেন ব্যবহার করলেন না?- জানতে চাইলে মধ্যবয়সী এক নারী বললেন, ‘আমার গোড়ালিতে ব্যাথা’।  এভাবে চলতে গেলে তো ঝুঁকি থাকে- এমন মন্তব্যের জবাবে ওই নারী বলেন, ‘শুনেছি অনেক জায়গায় জেব্রা ক্রসিং আছে, আন্ডার পাস আছে। এখানেও সেটা হলে আমাদের জন্য খুবই ভালো হয়।’ পথচারী দেলোয়ার হোসেন বলেন,  ‘দিনে অনেকবারই রাস্তার এপার থেকে ওপারে যাওয়া লাগে। সময় বাঁচাতে আমরা ফুটওভারব্রিজ ব্যবহার করি না। শর্টকাট পারাপারের জায়গা পেয়েছি তাই সহজেই পার হয়ে যাই। ঝুঁকি রয়েছে কিন্তু জরুরি মুহূর্তে সেটা মনে থাকে না।’ পথচারীদের বেশিরভাগই সময় হাসপাতালে যেতে কিংবা ওষধের ফার্মাসিতে যেতে সময় বাঁচাতেই এভাবে চলাচল করতে দেখা যাচ্ছে। কেউ কেউ আবার বলছেন, সিড়ি ভাঙতে কষ্ট হয়। এ জন্য আন্ডারপাস কিংবা জেব্রা ক্রসিং থাকলে আমাদের চলাচলে সুবিধা হয়। পথচারীদের এই সামান্য ‘কষ্ট বাঁচানোর চেষ্টা’র কারণে সড়কে যান চলাচল বিঘ্নিত হয়। পাশাপাশি প্রাণঘাতি দুর্ঘটনাও ঘটে নানা সময়। কিন্তু যেন ভ্রুক্ষেপ নেই কারও। এর আগে, পথচারীদের এই প্রবণতা ঠেকাতে নানা সময় জরিমানার আরোপ করেও সুফল মেলেনি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন পদক্ষেপে কিছুদিন শৃঙ্খলা থাকলেও পরে আবার বিশৃঙ্খল পরিস্থিতিতে ফিরে যায় পথচারীরা। পুলিশ প্রায়ই  ঘটা করে পথচারীদেরকে ফুটওভার ব্রিজ ব্যবহার উদ্বুদ্ধ করে। স্থানীয় লোকজন বলেন, গৌরীপুর স্বাস্থ্য কেন্দ্রের সামনের এই  জায়গাটিতে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে।  এখানে উচু ডিভাইডার রাখা হয়েছিল, জনস্বার্থে পকেট করা হয়েছিল, দুর্ঘটনা এড়াতে আবারও তা বন্ধ করে দেওয়া হয়। কিন্তু কিছু অসাধু ব্যবসায়ী তাদের ব্যক্তিগত স্বার্থে উঁচু ডিভাইডারটি ভেঙে পথচারী পারাপারের জন্য সুযোগ করে দেয়। ফলে আবারো ঝুঁকির মুখে পড়েছে সাধারণ মানুষ। এই পরিস্থিতিতে এলাকাবাসীর দাবি ফুটওভার ব্রিজটি ব্যবহারের জন্য বাধ্য করতে হবে। ফুটওভার ব্রিজের আশেপাশের আধা কিলোমিটার জায়গা কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে দেওয়া হলে মানুষ ব্রিজে ওঠতে হবে।
১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৭:৫৭

নদীতে ব্রিজ তৈরিতে কম পিলার চান নৌ প্রতিমন্ত্রী
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, নদীতে ব্রিজ তৈরির ক্ষেত্রে যাতে কম পিলার থাকে সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। নদীর কথা চিন্তা করে জাহাজগুলোর হাইট নির্ধারণ করতে হবে। ব্রিজের হাইটের চেয়ে নদীতে পিলারের কারণে সিলট্রেশন হয়ে যাচ্ছে। বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) ঢাকায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে ‘ডিটারমিনেশন অব স্ট্যান্ডার্ড হাই ওয়াটার লেভেল, স্ট্যান্ডার্ড লো ওয়াটার লেভেল এবং রি-ক্লাশিফিকেশন অব ইনল্যান্ড ওয়াটারওয়েজ ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক সমীক্ষা প্রকল্পের ফলাফল চূড়ান্ত করার লক্ষ্যে এক কর্মশালায় তিনি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) এবং ইনস্টিটিউট অব ওয়াটার মডেলিং (আইডব্লিউএম) যৌথভাবে এ কর্মশালার আয়োজন করে। খালিদ মাহমুদ বলেন, নদীকে রক্ষা করার দায়িত্ব শুধু নৌপরিবহন বা পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের নয়; নদীকে রক্ষা করার দায়িত্ব প্রতিটি মানুষের। এ বিষয়ে সমন্বয় দরকার। দেশে প্রতিনিয়ত ডেভেলপমেন্টের কারণে নদীগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। আমাদেরকে বর্তমান বাস্তবতা নিয়ে ভাবতে হবে। প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর সর্বপ্রথম ২০১০ সনে নদ-নদীর ওপর পরিকল্পিতভাবে সেতু ও কালভার্ট নির্মাণের উদ্দেশ্যে একটি বিধিমালা জারি করা হয়। প্রয়োজনের প্রেক্ষিতে ২০১৮ সনে ওই বিধিমালায় একটি সংযোজনীও যুক্ত করা হয়। এর আগে ৪০ বছরে এরকম বিধিমালা কেন হয়নি? নদীকে খাল, খালের উপর কালভার্ট দিয়ে নদীকে সংকুচিত করা হয়েছে। এখন কালভার্টের নিচে নালাও নাই। তুরাগ, বালু, শীতলক্ষা নদী দখল হয়ে যাচ্ছে। আমরা পানির প্রবাহ নিশ্চিত করতে কাজ করছি। দু-তিন বছরে জলাবদ্ধতা হচ্ছে না; এটা ভালো দিক। খালিদ মাহমুদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মাল্টিমোডাল যোগাযোগ ব্যবস্থার কথা বলেছেন। তিনি ১৯৯৬ সালে ঢাকার চারপাশে রেল, রোড ও নৌপথে যোগাযোগের কথা বলেছেন। যোগাযোগকে মাল্টিমোডাল করতে হবে। রেল, রোড ও  নৌপথ যাতে থাকে সে ব্যবস্থা রাখতে হবে। বঙ্গবন্ধু সেতুতে প্রথমে রেল সংযোগের বিষয় ছিল না। পরে প্রধানমন্ত্রীর সঠিক নির্দেশনার আলোকে রেললাইন সংযোগ দেওয়া হয়েছে। রেল, সড়ক ও নৌপথ গুরুত্বপূর্ণ। ‘বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন- নদীর নাব্যতা ফিরিয়ে আনতে হবে।’ বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমডোর আরিফ আহমেদ মোস্তফার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোস্তফা কামাল, বিআইডব্লিউটিএ’র সদস্য প্রকৌশল মোহাম্মদ মনোয়ার উজ জামান। আইডব্লিউএম-এর নদী ও পানি বিশেষজ্ঞ ফারহানা আখতার কামাল সমীক্ষা প্রকল্পের ফলাফল উপস্থাপন করেন।
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৮:৪৬

তুরাগে সেনাবাহিনীর ভাসমান ব্রিজ
গাজীপুরের টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীরে শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) বাদ ফজর থেকে বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব শুরু হচ্ছে। আখেরি মোনাজাতের মধ্যদিয়ে এ পর্ব শেষ হবে রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি)। এরই মধ্যে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ইজতেমাস্থলে আসতে শুরু করেছেন ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা।  সেখানে মুসল্লিদের যাতায়াতের সুবিধার্থে তুরাগ নদের উপর ৫টি ভাসমান ব্রিজ স্থাপন করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। এ ছাড়া ওজু ও খাবার পানির জন্য দুটি ওয়াটার ব্রাউজার সার্বক্ষণিক পানি সরবরাহ করবে। বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। আইএসপিআর জানায়, সেনাবাহিনীর ১৪ স্বতন্ত্র ইঞ্জিনিয়ার ব্রিগেডের সার্বিক তত্ত্বাবধানে সেনাসদস্যরা ইজতেমা এলাকায় ক্যাম্প স্থাপন করে এসব জনকল্যাণমূলক কাজ সম্পন্ন করছেন। এর পাশাপাশি ইজতেমা এলাকায় একটি বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট প্রস্তুত রাখা হয়েছে। চারদিন বিরতি দিয়ে বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব শুরু হবে শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি)। আখেরি মোনাজাতের মধ্যদিয়ে বিশ্ব ইজতেমার এ পর্ব শেষ হবে রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি)।
০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২৩:২৫

বিশ্ব ইজতেমায় সেনাবাহিনীর ভাসমান ব্রিজ ও ওয়াটার বাউজার স্থাপন  
বিশ্ব ইজতেমায় মুসল্লিদের নিরাপদে যাতায়াতের সুবিধার জন্য তুরাগ নদীর ওপর ৫টি ভাসমান ব্রিজ নির্মাণ করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। এ ছাড়া আগত মুসল্লিদের অজু ও খাবার পানির জন্য সেনাবাহিনীর ২টি ওয়াটার বাউজার সার্বক্ষণিক পানি সরবরাহ করবে। বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর (আইএসপিআর) এক সংবাদবিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।  এতে আরও বলা হয়, সেনাবাহিনীর ১৪ স্বতন্ত্র ইঞ্জিনিয়ার ব্রিগেডের সার্বিক তত্ত্বাবধানে সেনাসদস্যরা ইজতেমা এলাকায় ক্যাম্প স্থাপন করে এসব জনকল্যাণমূলক কাজ সম্পন্ন করছেন। এর পাশাপাশি ইজতেমা এলাকায় নিরাপত্তার স্বার্থে ১৪ স্বতন্ত্র ইঞ্জিনিয়ার ব্রিগেড কর্তৃক একটি বোম্ব ডিসপোজাল টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে। আইএসপিআর জানায়, যে কোনো জাতীয় প্রয়োজনে সেনাবাহিনী সবসময় দেশের সাধারণ মানুষের পাশে থেকে তাদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে জনকল্যাণমূলক কাজ করে আসছে। তারই ধারাবাহিকতায় প্রতিবছরের মতো এবারও সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে বিশ্ব ইজতেমা এলাকায় ভাসমান ব্রিজ ও ওয়াটার বাউজার স্থাপন করা হয়।
০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৯:২১

সিদ্ধিরগঞ্জে ব্রিজ ভেঙে খালের পানিতে পথচারীরা
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের সিদ্ধিরগঞ্জে হিরাঝিল আবাসিক এলাকার কাসসাফ শপিং সেন্টার সংলগ্ন ডিএনডি খালের ঝুঁকিপূর্ণ ব্রিজটি ভেঙে পড়েছে। এ সময় ব্রিজে থাকা কয়েকজন পথচারী খালের পানিতে পড়ে যান। এতে বড় ধরনের কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। বুধবার (১৭ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ৯টায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ব্রিজটি ভেঙেপড়া অবস্থায় ৩-৪ জন পথচারী পারাপার হচ্ছিলেন। এমতাবস্থায় হঠাৎ মাঝখান থেকে পড়ে যান তারা। তবে সঙ্গে সঙ্গে উঠে আসতে পারেন। এলাকাবাসী অভিযোগ করে বলেন, পূর্বেও ব্রিজটি একবার ভেঙে পড়েছিল। তখন তাৎক্ষণিকভাবে এই ওয়ার্ডের কাউন্সিলরের উদ্যোগে তা কাঠ দিয়ে সংস্করণ করা হয়। তবে সংস্কার করা হলেও সেটি অনেক ঝুঁকিপূর্ণ ছিল। এর ফলে সাধারণ মানুষ দীর্ঘদিন ধরে এতে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় চলাচল করছিলেন। ব্রিজ ভেঙে পড়ার বিষয়ে নাসিক ১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আনোয়ার ইসলাম বলেন, অতি দ্রুত ব্রিজটি সিটি করপোরেশনের মাধ্যমে সংস্কার করা হবে। এর পূর্বে আমি নিজ অর্থায়নে সাময়িকভাবে সংস্কার করে দিয়েছিলাম।
১৮ জানুয়ারি ২০২৪, ০৭:০১
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়