• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo
প্রাথমিকে ২৫ ও মাধ্যমিকে ৫১ শতাংশ পারিবারিক শিক্ষা ব্যয় বেড়েছে
২০২২ সালের তুলনায় ২০২৩ সালের প্রথম ছয় মাসে দেশে পারিবারিক শিক্ষা ব্যয় প্রাথমিক স্তরে বার্ষিক ২৫ শতাংশ এবং মাধ্যমিক স্তরে ৫১ শতাংশ বেড়েছে। গণসাক্ষরতা অভিযান পরিচালিত ‘বাংলাদেশে বিদ্যালয় শিক্ষা মহামারী উত্তর টেকসই পুনরুত্থান’ শীর্ষক এক গবেষণা প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। শনিবার (৩০ মার্চ) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে এই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। প্রতিবেদনের তথ্য তুলে ধরেন গণসাক্ষরতা অভিযানের উপপরিচালক ও গবেষক দলের সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান। গবেষণার তথ্য বলছে, ২০২২ সালে দেশে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একজন শিশুর শিক্ষার জন্য বার্ষিক পারিবারিক গড় ব্যয় ছিল ১৩ হাজার ৮৮২ টাকা, যেখানে গ্রাম ও শহরে কিছু ভিন্নতা রয়েছে। একই সময়ে মাধ্যমিক স্তরের একজন শিক্ষার্থীর জন্য পারিবারিক ব্যয় ছিল ২৭ হাজার ৩৪০ টাকা। উভয় স্তরেই প্রধানত ব্যয় হয়েছে প্রাইভেট টিউটরের বেতন ও গাইডবই বা নোটবই বাবদ। ২০২৩ সালের প্রথম ৬ মাসে পারিবারিক শিক্ষা ব্যয় ২০২২ সালের তুলনায় প্রাথমিক স্তরে বার্ষিক ২৫ শতাংশ এবং মাধ্যমিক স্তরে ৫১ শতাংশ বেড়েছে। গবেষণার সুপারিশে বলা হয়, প্রাইভেট টিউটরিং, কোচিং, বাণিজ্যিক গাইডবই এবং বিভিন্ন স্কুল ফি-র ক্রমবর্ধমান খরচ পরিবারগুলোর ওপর উল্লেখযোগ্য চাপ সৃষ্টি করেছে, যা বৈষম্য এবং শিক্ষাবঞ্চিত হওয়ার ঝুঁকি বাড়িয়ে দিয়েছে। এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা এবং পরিবারের ওপর অর্থনৈতিক বোঝা কমানোর লক্ষ্যে শিক্ষায় ন্যায়সঙ্গত সুযোগের জন্য পরিকল্পিত পদক্ষেপ নিতে হবে। এডুকেশন ওয়াচের চেয়ারপারসন ও জাতীয় শিক্ষানীতি-২০১০ প্রণয়ন কমিটির কো-চেয়ারম্যান কাজী খলীকুজ্জমান আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে গণসাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধুরী, গবেষণা দলের প্রধান ও ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক মনজুর আহমদ, গবেষণার পর্যালোচক আহমদ মোশতাক রাজা চৌধুরী, গবেষক দলের সদস্য সৈয়দ শাহাদাত হোসাইন, মো. আহসান হাবিব বক্তব্য রাখেন।
৩০ মার্চ ২০২৪, ২১:৫৮

বুর্জ খলিফায় প্রদর্শিত হবে শাকিবের সিনেমার ট্রেলার, ব্যয় হতে পারে যত টাকা
ঢালিপাড়ায় বেশ কিছুদিন ধরেই আলোচিত হচ্ছে দুবাইয়ের বুর্জ খলিফায় প্রদর্শিত হবে শাকিব খানের ‘রাজকুমার’ সিনেমার ট্রেলার। আগামী ২৮ মার্চ এই চিত্রনায়কের জন্মদিন উপলক্ষে ট্রেলারটি দেখানো হবে আকাশচুম্বী এই ভবনে। পাশাপাশি জন্মদিনের শুভেচ্ছাও জানানো হবে শাকিবকে।  বুধবার (২০ মার্চ) রাজধানীর একটি অভিজাত হোটলে ভার্সেটাইল মিডিয়ার তরফে আয়োজিত হয় ‘ইফতার উইথ টিম রাজকুমার’। আর সেখানেই এমন ঘোষণা দেন সিনেমার প্রযোজক আরশাদ আদনান।  অন্যদিকে শাকিবের ‘দরদ’ সিনোমর নির্মাতা অনন্য মামুনও একই ঘোষণা দিয়ে রেখেছেন। তিনিও সিনেমাটির প্রচারণা চালাতে চান বুর্জ খলিফায়।   তবে বুর্জ খলিফায় যে কোনো সিনেমা কিংবা বিজ্ঞাপন প্রচারণার জন্য কত টাকা ব্যয় হয়? এমন প্রশ্ন ঘোরপাক খায় অনেকের মনেই।  বিভিন্ন আন্তজার্তিক পোর্টাল ও মাধ্যম হতে জানা গেছে, ১৬৩ তলা বুর্জ খলিফায় একটি বিজ্ঞাপন বা বার্তা দেওয়ার জন্য খরচ হয় আমিরাতি দিরহাম আড়াই লক্ষ থেকে প্রায় এক মিলিয়ন আমিরাতি দিরহাম পর্যন্ত। যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৭০ লাখ টাকা থেকে শুরু করে প্রায় তিন কোটি টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে। বিভিন্ন বিজ্ঞাপন কিংবা সিনেমা প্রচারের খরচের হিসাব নির্ধারণ করে ‘বুর্জ খলিফা ইন ইমার’। সময় এবং দিনের হিসাব করে এই টাকা নিয়ে থাকে  তারা। তবে সাপ্তাহিক ছুটির দিনে এক পরিমাণ অর্থ এবং ছুটির দিন বাদে, ভিন্ন পরিমাণ অর্থ নেয় সংস্থাটি। আর সময়ের হিসাবে এক থেকে তিন মিনিটের কোনো বিজ্ঞাপন বা বার্তা প্রদর্শনের জন্য, এর সমপরিমাণ অর্থ নেয় তারা।   জানা গেছে, ছুটির দিন বাদে, এক থেকে তিন মিনিটের ভিডিও বার্তার জন্য আমিরাতি দিরহাম আড়াই লাখ দিরহাম নিয়ে থাকে। যা বাংলাদেশি টাকাতে প্রায় ৭০ লাখ টাকা। কিন্তু সপ্তাহের ছুটির দিনে সাড়ে তিন লাখ আমিরাতি দিরহাম নেয়। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় এক কোটি টাকা। সিনেমা, বিজ্ঞাপন কিংবা কোনো বার্তার পুরো প্রদর্শনগুলো পরিচালনা করে দুবাইভিত্তিক মার্কেটিং এজেন্সি ‘মুলেন লো মেনা’। শুধু তাই নয়, লাইভ হওয়ার চার সপ্তাহ আগে অর্থসহ সকল কিছু জমা দিতে হয় তাদের কাছে। পরে সেসব এটির মালিক ‘ইমার প্রপার্টিজ’ দ্বারা অনুমোদন করিয়ে নেয় তারা। এই ভিডিও প্রচারের সময়, ডিসপ্লেতে কোনো মিউজিক যোগ করলে সে ক্ষেত্রে আলাদা কোনো অর্থ দিতে হয় না তাদেরকে।
২২ মার্চ ২০২৪, ১২:২৭

রিটার্নে জীবনযাত্রার ব্যয় বাধ্যতামূলক না করার প্রস্তাব
আয়কর রিটার্নে করদাতাদের জীবনযাত্রার ব্যয় বিবরণ বাধ্যতামূলক না করার প্রস্তাব দিয়েছে ঢাকা চেম্বার অ্যান্ড কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ (ডিসিসিআই)। পাশাপাশি আয়কর আদায় বাড়াতে অটোমেশন করাসহ বেশ কিছু পণ্যে শুল্ক ছাড় চেয়েছে সংগঠনটি। বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে (এনবিআর) অনুষ্ঠিত প্রাক বাজেট আলোচনায় এ দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি। সভায় এসময় উপস্থিত ছিলেন এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিমের সভাপতিত্বে এনবিআর ও সংগঠনটির শীর্ষ কর্মকর্তারা। সংগঠনের নেতারা বলছেন, আয়করের সংজ্ঞা অনুযায়ী, যা আয় বলে গণ্য হবে সেই আয়ের ক্ষেত্রে ব্যক্তি করদাতার জীবনযাপন সংশ্লিষ্ট ব্যয়কে রিটার্ন ভিত্তিতেই কর প্রদান করা হবে। পাশাপাশি ব্যয় বিয়োজনের সুযোগ নেই। তাই ব্যক্তি করদাতাদের জীবনের সংশ্লিষ্ট ব্যয়কে দাখিলে বাধ্যতামূলক করা হলে করদাতারা রিটার্ন প্রদানে নিরুৎসাহিত হবে। তারা আরও বলছেন, করদাতারা যেহেতু শতভাগ ক্যাশ-লেস পদ্ধতির আওতায় আসেনি, সে কারণে তাদের পক্ষে এ সকল ব্যয় হিসাব রাখা কঠিন। এছাড়া সংগঠনটি ন্যাশনাল সিঙ্গেল উইন্ডোর পুরোপুরি বাস্তবায়ন, সম্পূর্ণ অনলাইনভিত্তিক মূসক কার্যক্রম পরিচালনা করা, করদাতাদের অতিরিক্ত কর ফেরত প্রদান, বিদেশি ঋণের সুদ পরিশোধের ক্ষেত্রে উৎসে কর বাতিল, কর জাল বাড়াতে এনবিআরকে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৩:০৪

দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সিন্ডিকেট উচ্ছেদ ও সরকারি ব্যয় কমাতে হবে (ভিডিও)
বাজারে বর্তমান উচ্চ মূল্যস্ফীতির লাগাম টানার লক্ষ্যে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের দ্বিতীয়ার্ধের মুদ্রানীতি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে টাকাকে আরও মূল্যবান করতে নীতি সুদ হার ৭ দশমিক ৭৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৮ শতাংশ নির্ধারণ করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।  তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ঘোষিত মুদ্রানীতি মূল্যস্ফীতি কমাতে তেমন অবদান রাখবে না বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা। তারা বলছেন, বাজারে কার্যকরভাবে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে আনতে একচেটিয়া বাজার ব্যবস্থা ও সিন্ডিকেট উচ্ছেদের পাশাপাশি সরকারি ব্যয় কমাতে হবে। নীতি সুদ হার মাত্র ২৫ পয়েন্ট বৃদ্ধি করে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ কি সম্ভব? এই প্রশ্নের জবাবে অর্থনীতিবিদ সায়েম আমীর ফয়সাল বলেন, আমেরিকার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সুদের হার তারা কম করে হলেও ১০০ বেসিস পয়েন্ট প্রতিমাসে বৃদ্ধি করেছিল। এখন আপনি যদি প্রশ্ন করেন যে, বাংলাদেশের সঙ্গে আসলে ২৫ পয়েন্ট বাস্তবসম্মত হবে কি না? তাহলে আমি মনে করি তা গ্রহণযোগ্য কোনো পরিবর্তন আনবে না। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, টাকার মান নিয়ন্ত্রয়ণে কেন্দ্রীয় ব্যাংক যতই পলিসি নিক; সরকারি ব্যয় কাটছাঁট আর সিন্ডিকেট নির্মূল করা না গেলে, তা কোনো কাজেই আসবে না। অর্থনীতিবিদ ড. আবু আহমেদ বলেন, সরকারি ব্যয় কাটছাঁট করতে হবে। বাজার ব্যবস্থাপনা যদি কিছু লোকের হাতে চলে যায় এবং তারা যদি সরবরাহ নিয়ন্ত্রণ করতে থাকে তাহলে বাংলাদেশ ব্যাংকের এসব মুদ্রানীতি কোনো কাজে আসবে না। এদিকে আইএমএফের ক্রলিং পেগ নীতি মেনে ডলারের বিনিময় হার আরও বাজারভিত্তিক করার ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছে বিশ্লেষকরা। আর্থিক খাতে সুশাসন নিশ্চিত এবং মুদ্রানীতির কঠোর প্রয়োগের মাধ্যমে দ্রব্যমূল্যে স্বস্তির পাশাপাশি অর্থনীতিতেও ইতিবাচক পরিবর্তন সম্ভব বলে মনে করেন অর্থনীতিবিদরা। এ বিষয়ে অর্থনীতিবিদ সায়েম আমীর ফয়সাল বলেন, যতোই আমরা পলিসি ঘোষণা করি না কেন, যদি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে আমাদের কঠোর পদক্ষেপ না থাকে তাহলে আকাঙ্ক্ষার জায়গায় পৌঁছাতে পারব না।
২২ জানুয়ারি ২০২৪, ১৭:০৪

সংসদ নির্বাচনে যত টাকা ব্যয় হচ্ছে
আগামী ৭ জানুয়ারি দেশে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এই নির্বাচন আয়োজনে সব মিলিয়ে দুই হাজার কোটি টাকা খরচ হতে পারে। যা এ যাবতকালের সব নির্বাচনের ব্যয়ের চেয়ে বেশি। শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) নির্বাচন কমিশন (ইসি) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। জানা গেছে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনে ইসির প্রস্তাব অনুযায়ী প্রাথমিকভাবে প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকা খরচের কথা বলা হলেও শেষ পর্যন্ত নির্বাচনের ব্যয় দুই হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যেতে পারে। এরমধ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চাহিদা অনুযায়ী সম্ভাব্য ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ২২৫ কোটি ৬২ লাখ টাকা। আর নির্বাচন পরিচালনা খাতে সম্ভাব্য ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ৫০ কোটি ৬০ লাখ টাকা। ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ জানান, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ইতিহাসে এবারই প্রথম প্রিসাইডিং-পোলিং অফিসারসহ নির্বাচনের কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তাদের দুই দিনের সম্মানী ভাতা দেওয়া হবে। এ ছাড়া নির্বাচনে প্রয়োজনীয় অন্যান্য উপকরণের দাম বাড়ার কারণে স্বাভাবিকভাবেই এবার ব্যয় বাড়ছে। তিনি বলেন, নির্বাচন পরিচালনা ও আইনশৃঙ্খলা খাত মিলিয়ে ব্যয় বেড়ে ২ হাজার থেকে ২ হাজার ২০০ কোটি টাকায় দাঁড়াতে পারে। এর আগে, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনে ৭০০ কোটি টাকা বরাদ্দ থাকলেও পরে তা বাড়ানো হয়েছিল। তার আগে, দশম সংসদ নির্বাচনে প্রায় ২৬৪ কোটি ৬৮ লাখ টাকা, নবম সংসদ নির্বাচনে ১৬৫ কোটি টাকা, অষ্টম সংসদ নির্বাচনে ৭২ কোটি ৭১ লাখ টাকা, সপ্তম সংসদ নির্বাচনে ১১ কোটি ৪৭ লাখ টাকা, ষষ্ঠ সংসদ নির্বাচনে ৩৭ কোটি টাকা, পঞ্চম সংসদ নির্বাচনে ২৪ কোটি ৩৭ লাখ টাকা, চতুর্থ সংসদ নির্বাচনে ৫ কোটি ১৫ লাখ টাকা, তৃতীয় সংসদ নির্বাচনে ৫ কোটি ১৬ লাখ টাকা, দ্বিতীয় সংসদ নির্বাচনে ২ কোটি ৫২ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছিল। আর ১৯৭৩ সালের ৭ মার্চ দেশের প্রথম সংসদ নির্বাচনে মোট ৮১ লাখ ৩৬ হাজার টাকা ব্যয় হয়।
০৫ জানুয়ারি ২০২৪, ১৯:৪৬
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়