• ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo
টাকার হিসাব জানার অধিকার জনগণের আছে: ব্যারিস্টার সুমন
জনপ্রতিনিধিরা যত টাকা বরাদ্দ পান, তার হিসাব জানার অধিকার জনগণের আছে বলে জানিয়েছেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।  শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) বিকেলে রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দির বহরপুর রেলস্টেশন সংলগ্ন ঐতিহ্যবাহী বহরপুর রেলওয়ে মাঠে ব্যারিস্টার সুমন একাডেমি বনাম মাগুরা জেলা ফুটবল একাদশের প্রীতি ম্যাচে অংশ নেওয়ার আগে এ কথা বলেন হবিগঞ্জ-৪ আসনের এ সংসদ সদস্য। তিনি বলেছেন, জনপ্রতিনিধি হিসেবে আমি যে টাকা বরাদ্দ পাই, তা আমার বাবার টাকা না। ফলে জনগণের জানার অধিকার আছে। তাই জনগণকে তাদের টাকার হিসাব জানিয়ে নিজের দায়িত্ব পালন করতে চাই।   ব্যারিস্টার সুমন বলেন, ‘আমি এমপি হওয়ার আগে ৪৯টি সেতু নির্মাণ করেছি। আর এমপি হওয়ার পর মাত্র আড়াই মাসে ১৫টি সেতু বানানোর কাজ শেষ করেছি। এর আগে আপনারা জানতেন না একজন এমপি কত টাকা বেতন পায়। আমি সেটা সম্পূর্ণ উন্মুক্ত করে দিয়ে বলেছি এক লাখ ৭২ হাজার টাকা বেতন পেয়েছি।’  তিনি বলেন, ‘গত আড়াই মাসে আমি ২৫ কোটি টাকা বরাদ্দ পেয়েছি। টিআর-কাবিখায় দুই কোটি এবং মসজিদ-মাদরাসার জন্য আরও দুই কোটি টাকার বরাদ্দ পেয়েছি। আমার ৪৪ বছর বয়সে শুনি নাই কোনো এমপি তার এলাকায় কত টাকা বরাদ্দ পেয়েছেন। যে যাই বলুক না কেন, জনগণের টাকার হিসাব আমি জনগণকে জানাতে চাই।’ একজন এমপি চাইলে তার এলাকায় অনেক উন্নয়ন করতে পারেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘মাত্র আড়াই মাসে আমি আমার এলাকাকে যে স্থানে নিয়ে এসেছি, চ্যালেঞ্জ করে বলতে পারি আগামী একবছর পর আমার এলাকায় এলে আপনারা এলাকার প্রেমে পড়ে যাবেন। আমি হয়তো অনেকের মনে জায়গা করে নিতে পারবো না। তবে আমার কাজকর্ম কোনোভাবেই ঠেকায় রাখতে পারবেন না।’ সুমন বলেন, ‘যার চুরি করার ইচ্ছা সে-ই তথ্য লুকায়। কিন্তু আমি সব প্রকাশ করি।’ এরপর ফুটবল প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এই ৩৯ ডিগ্রি তাপমাত্রার মধ্যে শুধু ফুটবলকে ফিরিয়ে আনা ও যুবসমাজকে মাদক থেকে দূরে রাখতে আজ বালিয়াকান্দিতে এসেছি। ফুটবলের সুদিন ফিরে না এলে বর্তমান প্রজন্মকে রাজনীতি দিয়ে বাঁচাতে পারবেন না। দেশে শুধু অবকাঠামো উন্নয়ন করলে হবে না, এ জাতি ও মানুষেরও উন্নয়ন করতে হবে। অন্যথায় বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়া যাবে না। আমি আমার যোগ্যতা অনুযায়ী সারাদেশের দায়িত্ব ফুটবলের মাধ্যমে পালন করতে চাই।’ ব্যারিস্টার সুমন একাডেমি ও মাগুরা জেলা ফুটবল একাদশের মধ্যকার প্রীতি ফুটবল ম্যাচটি দেখতে মাঠে জড়ো হন হাজার হাজার ফুটবলপ্রেমী। এসময় নীলফামারী-৩ আসনের এমপি সাদ্দাম হোসেন পাভেল, বহরপুর বিএনবিএস আন্তঃজেলা ফুটবল টুর্নামেন্ট পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজদসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন। খেলায় ২-১ গোলে পরাজিত হয় ব্যারিস্টার সুমন একাডেমি।  
১৬ ঘণ্টা আগে

বন্ধুর স্ত্রীকে শাড়ি উপহার দিয়ে সমালোচনার মুখে ব্যারিস্টার সুমন
ত্রাণভাণ্ডারের শাড়ি দুই বন্ধুর স্ত্রীকে উপহার দিয়ে সমালোচনার মুখে পড়েছেন হবিগঞ্জ-৪ (চুনারুঘাট ও মাধবপুর) আসনের সংসদ সদস্য সৈয়দ সায়েদুল হক ওরফে ব্যারিস্টার সুমন। জানা গেছে,  ঈদুল ফিতর উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে ৪০০টি শাড়ি, ৪৮টি থ্রি-পিসসহ বিভিন্ন ধরনের পোশাক বরাদ্দ পান হবিগঞ্জ-৪ (চুনারুঘাট-মাধবপুর) আসনের সংসদ সদস্য সৈয়দ সায়েদুল হক। যা ছিল তার নির্বাচনি এলাকার গরিব ও দুস্থদের মধ্যে বিতরণের জন্য।  সেখান থেকে সুমন তার এসএসসি-৯৫ ব্যাচের আহম্মদাবাদ ইউনিয়নের গাদি শাইল গ্রামের পশু চিকিৎসক আব্দুল মুকতি ও গেরারুক গ্রামের মো. সানু মিয়ার স্ত্রীকে শাড়ি দেন। এরপর তার বন্ধু সানু আহমেদ ও আব্দুল মুকতি এ শাড়ি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছেন, যা সমালোচনার ঝড় তুলেছে। সানু আহমেদ তার পোস্টে লিখেছেন, ব্যারিস্টার সুমনের দেওয়া আমার বউয়ের জন্য যাকাতের সুতি শাড়ি, যার বাজার মূল্য প্রায় ২৮০ টাকা। পিএস সোহাগের কারসাজি। আমার বউ এসব শাড়ি পরে না। আগামীকাল একজন অসহায় মানুষ দেখে শাড়িটি দিয়ে দিব। আর দুলালের কথায় কেন ৯৫ বন্ধু শুনতে হবে!? অপর বন্ধু আব্দুল মুকতি লিখেছেন, ঈদের আগের রাত ১২টার সময় আমার বউয়ের জন্যে শাড়িটি পাঠাইছে ব্যারিস্টার সুমন, উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী রায়হানের মাধ্যমে। তবে ব্যারিস্টার সুমন হয়তো জানে না, সেটা নিখুঁত পরিচালনা করেছে পিএস সোহাগ। বাড়িতে নিয়ে খুলে দেখি, এটা যাকাতের শাড়ি, ততক্ষণাৎ ফেরত পাঠানোর কোনো ব্যবস্থা না না-পেয়ে, যাদের জন্য যাকাত খাওয়া প্রযোজ্য এমন একজন অসহায় মহিলাকে দান করে দিলাম। যারা আমার পোস্টে নেগেটিভ কমেন্ট করেছেন, তাদের কাছে বলছি, চোখের পানি আর বুক ফাটা কান্না কি এমনি এমনি আসে!? এরপর ওই পোস্টে নানা ধরনের মন্তব্য শুরু হয়। শফিকুর রহমান সাপু নামে একজন ফেসবুক ব্যবহারকারী মন্তব্যের ঘরে লিখেছেন, শুরুতেই এ অবস্থা না জানি ৫ বছরে কি হবে।  রিপন আমিন লিখেছেন, আপনি যথেষ্ট স্বাবলম্বী। যাকাতের শাড়ি কেন আপনার বউ পাবে? আপনিই বা কেন নিতে যাবেন? আপনার কি ভাবির জন্য শাড়ি কেনার তৌফিক নেই। দামী শাড়ি হলে বিষয়টা সোস্যাল মিডিয়ায় না এনে নীরবে ভাবিকে গিফট করতেন। এখানে দু’জনই সমান অপরাধী। আপনি কেন নিলেন? সোহাগ ভাই কেন দিলেন?। হযরত আলী নামে এক মন্তব্য করেছেন, দুই নাম্বারি চলছে। আলী আক্কাস নামে আরেক ব্যক্তি মন্তব্য করেন, সরকারি শাড়ি নিজের মানুষ মনে করে দিয়েছেন সুমন ভাই।  এ বিষয়ে ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক গণমাধ্যমে বলেন, প্রধানমন্ত্রীর উপহার পেয়ে গত ২০ বছর আমার আসনের কোনো সংসদ সদস্য তা প্রকাশ করেননি। এবার প্রথম আমি এই তালিকা জনগণের মধ্যে ফেসবুকের মাধ্যমে প্রকাশ করি। প্রধানমন্ত্রীর এ উপহার আমার দুই উপজেলায় বিতরণের জন্য যাদের দায়িত্ব দেই, তাদের একজন উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করতে চান। তিনি তার এক বন্ধুর স্ত্রীকে এ শাড়ি বিলি করেন। আবার তারাই একই শাড়ি অন্যজনকে দিয়ে ফেসবুকে এ প্রচারণা চালান। প্রকৃত বিষয় হচ্ছে, একটা পক্ষ আছে, যারা আমার ত্রুটি খুঁজে বেড়ায়। এ পক্ষই এখন এ শাড়ি নিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে।
১৮ এপ্রিল ২০২৪, ২৩:৩৬

ঈদের চতুর্থ দিন আরটিভিতে যা দেখবেন
রোববার, ১৪ এপ্রিল ২০২৪, ১ বৈশাখ ১৪৩১। একনজরে জেনে নিন আরটিভির আজকের আয়োজন- সকাল ১০টা ১০মিনিটে বাংলা ছায়াছবি ‘সমাধী’। অভিনয় করেছেন শাকিব খান, শাবনূর প্রমুখ। দুপুর ২টা ১০মিনিটে বাংলা ছায়াছবি ‘জর্জ ব্যারিস্টার পুলিশ কমিশনার’। অভিনয় করেছেন শাকিব খান, অপু বিশ্বাস প্রমুখ। বিকেল ৫টা ৩০মিনিটে বিশেষ নৃত্যানুষ্ঠান ‘বিয়ের সানাই’। প্রযোজক- রাজু আহসান, আরজু আহমেদ ও সাজ্জাদ চৌধুরী। বিকেল ৬টায় টক শো ‘ঈদ কার্ণিভাল’। অতিথি- জায়েদ খান। উপস্থাপনায়- ইমতু রাতিশ। প্রযোজক দিপু হাজরা। সন্ধ্যা ৭টায় ৭ পর্বের ধারাবাহিক নাটক ‘তিন অক্ষরে নাম যার’। রচনা ও পরিচালনা- হারুন রুশো। অভিনয় করেছেন- চাষী আলম, সালহা খানম নাদিয়া, মুকিত জাকারিয়া, তানজিম হাসান অনিক, আব্দুল্লাহ রানা, মনিরা আক্তার মিঠু প্রমুখ। রাত ৭টা ৩০মিনিটে একক নাটক ‘আপনারা আমাকে শুনুন’। পরিচালক- সাইদুর ইমন। অভিনয় করেছেন জিয়াউল ফারুক অপূর্ব, কেয়া পায়েল প্রমুখ। রাত ৮টা ৩০মিনিটে একক নাটক ‘স্কুল বয়েজ’। পরিচালনা- জুবায়ের ইবনে বকর। অভিনয় করেছেন মারজুক রাসেল, চাষী আলম, অনিক, নিলাঞ্জনা নীলা প্রমুখ। রাত ৯ টা ৩০মিনিটে একক নাটক  ‘এসাইনমেন্ট’। পরিচালনা: ইফতেখার আহমেদ ফাহমি; অভিনয় করেছেন ইয়াশ রোহান, সামিরা খান মাহি প্রমুখ। রাত ১১ টায় একক নাটক ‘হ্যাপি ওয়েডিং’। রচনা ও পরিচালনা- মেহেদী হাসান হৃদয়।  অভিনয় করেছেন- মুশফিক আর ফারহান, ফারিন খান প্রমুখ।  রাত ১১ টা ৫৫মিনিটে  ঈদ স্পেশাল লাইভ ‘কালার্স অফ মিউজিক’। ১২ টায় নিউজ ‘টপটেন’।
১৪ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:৪৭

দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে বারের দায়িত্ব নিচ্ছেন ব্যারিস্টার খোকন
পুনর্নিবাচনের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে নেওয়া দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করেই সুপ্রিম কোর্ট বারের দায়িত্বভার গ্রহণ করতে যাচ্ছেন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের নীল প্যানেল থেকে সভাপতি পদে নির্বাচিত ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন। বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে সুপ্রিম কোর্টের দক্ষিণ (১ নম্বর হল রুমে) হলে নবনির্বাচিত সভাপতি মাহবুব উদ্দিন খোকন ও তার সমর্থকরা এক মতবিনিময় সভায় এ সিদ্ধান্ত জানান। পরে ব্যারিস্টার খোকন নিজে সংবাদ সম্মেলন করে বারের দায়িত্বভার গ্রহণ করছেন বলে জানান। মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো. গিয়াস উদ্দিন, অ্যাডভোকেট মহসিন রশিদ, অ্যাডভোকেট শাহ আহমেদ বাদল, সাবেক সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট ওয়ালি উর রহমান খান, সাবেক সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম মেহেদী, অ্যাডভোকেট গোলাম মোস্তফা ও অ্যাডভোকেট এবিএম রফিকুল হক তালুকদার রাজা। এর আগে বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত প্যানেলের নতুন বিজয়ী সভাপতি ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকনসহ চারজনকে দায়িত্ব গ্রহণ থেকে বিরত থাকতে গত ২৭ মার্চ চিঠি দিয়েছিল জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম। ফোরামের সভাপতি জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ও সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ জে মোহাম্মদ আলী ও মহাসচিব ব্যারিস্টার কায়সার কামাল স্বাক্ষরিত ওই চিঠির অনুলিপিটি দলের মহাসচিব ও সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিবের (দপ্তরের দায়িত্বে নিয়োজিত) কাছে পাঠানো হয়। গত ৬ ও ৭ মার্চ দুই দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত এবারের বার নির্বাচনে ১৪টি পদের বিপরীতে সভাপতিসহ চারটি পদে বিজয়ী হয় বিএনপি-জামায়াতপন্থি জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য নীল প্যানেল। অন্যদিকে সম্পাদকসহ ১০টি পদে জয় পায় আওয়ামী লীগপন্থি বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ সাদা প্যানেল। নির্বাচনে বিএনপির নেতৃত্বাধীন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য প্যানেল থেকে (নীল প্যানেল হিসেবে পরিচিত) সভাপতি পদে বিজয়ী হন এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন। এছাড়া সদস্য পদে নির্বাচিত হন সৈয়দ ফজলে এলাহী, ফাতিমা আক্তার ও মো. শফিকুল ইসলাম শফিক। মাহবুব উদ্দিন খোকনসহ এই চারজনকে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের পাঠানো ২৭ মার্চের চিঠিতে বলা হয়, বিগত দুই বছরের মতো এবারের নির্বাচনেও ক্ষমতাসীনরা নজিরবিহীনভাবে ভোট জালিয়াতি, কারচুপি ও মনগড়া ফলাফল ঘোষণা করেছে। এমনকি সম্পাদক পদে আওয়ামী লীগ দলীয় দুজন প্রার্থী প্রথমে নাহিদ সুলতানা যুথী ও পরে শাহ মঞ্জুরুল হককে তথাকথিত বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। ক্ষমতাসীন দলের বহিরাগত সন্ত্রাসীরা নির্বাচনের অব্যবহিত পরে সমিতির অডিটোরিয়ামে হামলা চালিয়ে আইনজীবীদের মারধর ও ব্যালট পেপার ছিনতাই করে নিয়ে যায়। ওই ঘটনা আওয়ামী লীগের দুজন সম্পাদক পদপ্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘটিত হলেও সরকারের একজন বেতনভুক্ত আইন কর্মকর্তা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য প্যানেলের সম্পাদক প্রার্থী ও আরও তিনজন আইনজীবী ফোরামের নেতাকে আসামি করে শাহবাগ থানায় একটি মিথ্যা ও হয়রানিমূলক ফৌজদারি মামলা দায়ের করে। চিঠিতে আরও উল্লেখ করা হয়, এ মামলায় ওসমান চৌধুরী, সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী ব্যারিস্টার মো. রুহুল কুদ্দুসকে (কাজল) গ্রেফতার করে রিমান্ডে নেওয়া হয়। তারা দুই সপ্তাহের মতো কারাভোগ করেছেন। তাদের কারাগারে রেখে গত ১০ মার্চ লুট হয়ে যাওয়া ব্যালট পেপার গণনার নাটক সাজিয়ে তথাকথিত ফলাফল ঘোষণা করা হয়। যে নির্বাচনে আমাদের পুরো প্যানেলেরই বিজয় সুনিশ্চিত ছিল, সেখানে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ভোট ডাকাতি জায়েজ করতে আপনাদের নামকাওয়াস্তে বিজয়ী দেখানো হয়েছে। চিঠিতে এরপর বলা হয়, এমন পরিস্থিতিতে ২৪ মার্চ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সিনিয়র কেন্দ্রীয় নেতা, উপদেষ্টামণ্ডলী ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এবং সম্পাদকদের এক যৌথসভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি নির্বাচনের পর গত ৯ মার্চ ঘোষিত ফলাফল প্রত্যাখ্যান করে পুনর্নির্বাচনের দাবিতে ন্যায়সংগত যৌক্তিক আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে আপনাদের (খোকনসহ চারজন) এ মর্মে জানানো যাচ্ছে যে, আপনারা বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ২০২৪-২৫ এর মেয়াদকালের দায়িত্ব গ্রহণ থেকে বিরত থাকবেন। দলের দায়িত্বশীল নেতা হিসেবে দলীয় এ সিদ্ধান্ত যথাযথভাবে পালন করবেন।  
০৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:৪২

সুপ্রিম কোর্ট বার নির্বাচনে মারামারি / জামিন পেলেন ব্যারিস্টার কাজল 
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির (বার) ২০২৪-২৫ সালের নির্বাচনে ভোট গণনাকে কেন্দ্র করে হট্টগোল, হাতাহাতি ও মারামারির ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় বিএনপি সমর্থিত প্যানেলের সম্পাদক প্রার্থী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজলকে জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। বুধবার (২০ মার্চ) বিচারপতি মো. রেজাউল হকের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ তার জামিন মঞ্জুর করে আদেশ দেন। গত ৮ মার্চ রাতে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ২০২৪-২৫ সালের নির্বাচনে ভোট গণনাকে কেন্দ্র করে হট্টগোল, হাতাহাতি ও মারামারির ঘটনায় রাজধানীর শাহবাগ থানায় মামলা দায়ের করা হয়। মামলায় স্বতন্ত্র সম্পাদক প্রার্থী অ্যাডভোকেট নাহিদ সুলতানা যুথি, বিএনপির প্যানেলের সম্পাদক প্রার্থী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজলসহ ২০ জনকে আসামি করা হয়। সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুর রহমান চৌধুরী সাইফ তাকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ এনে এ মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর রাতেই ব্যারিস্টার ওসমান চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে ৯ মার্চ সন্ধ্যায় রাজধানীর পল্টনে অবস্থিত নিজ চেম্বার থেকে সিআইডির হাতে আটক হন ব্যারিস্টার কাজল। এরপর তাকে শাহবাগ থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে সিআইডি। এরপর চার দিনের রিমান্ড শেষে ১৪ মার্চ ব্যারিস্টার কাজলকে আদালতে হাজির করে মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য কারাগারে আটক রাখার আবেদন জানায় পুলিশ। শুনানি শেষে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুর রহমান। মামলার অন্য আসামিরা হলেন— অ্যাডভোকেট মো. জাকির হোসেন ওরফে মাসুদ (৫৫), অ্যাডভোকেট শাকিলা রৌশন, অ্যাডভোকেট কাজী বশির আহম্মেদ, ব্যারিস্টার উসমান, অ্যাডভোকেট আরিফ, অ্যাডভোকেট সুমন, অ্যাডভোকেট তুষার, রবিউল, ব্যারিস্টার চৌধুরী মৌসুমী ফাতেমা (কবিতা), সাইদুর রহমান জুয়েল (৪০), অলিউর, যুবলীগ নেতা জয়দেব নন্দী, মাইন উদ্দিন রানা, মশিউর রহমান সুমন, কামাল হোসেন, আসলাম রাইয়ান, অ্যাডভোকেট তরিকুল ও অ্যাডভোকেট সোহাগ। এ ছাড়া মামলায় ৩০-৪০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।  
২০ মার্চ ২০২৪, ১৫:৩৯

চার দিনের রিমান্ডে ব্যারিস্টার কাজল
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচন ঘিরে মারামারির মামলায় বিএনপি সমর্থিত প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজলের চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। রোববার (১০ মার্চ) মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাকে সাত দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করে পুলিশ। শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ নুরুল হুদা চৌধুরীর আদালত চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। আদালতে শাহবাগ থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা উপপরিদর্শক নিজাম উদ্দিন ফকির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে, শনিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর পল্টনের তোপখানা রোডে নিজ চেম্বার থেকে ব্যারিস্টার কাজলকে আটক করে সিআইডি। পরে তাকে শাহবাগ থানায় হস্তান্তর করা হয়। গত ৭ মার্চ বিকেলে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ভোটগ্রহণ শেষে গণনাকে কেন্দ্র করে হট্টগোল ও মারধরের ঘটনা ঘটে। পরে শুক্রবার (৮ মার্চ) রাতে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে ২০ জনকে আসামি করে রাজধানীর শাহবাগ থানায় মামলা করেন সহকারি অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুর রহমান চৌধুরী সাইফ। এ ছাড়া মামলায় ৩০ থেকে ৪০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে। মামলায় প্রধান আসামি করা হয় যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামসের (পরশ) স্ত্রী আইনজীবী নাহিদ সুলতানাকে (যুথী)। দুই নম্বর আসামি ছিলেন ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল। এই মামলায় পূর্বে গ্রেপ্তার হওয়া পাঁচ আইনজীবীর তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। তারা হলেন- অ্যাডভোকেট কাজী বশির আহমেদ, অ্যাডভোকেট তুষার, অ্যাডভোকেট তরিকুল, অ্যাডভোকেট এনামুল হক সুমন ও ব্যারিস্টার ওসমান চৌধুরী।
১০ মার্চ ২০২৪, ১৭:০৭

ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল গ্রেপ্তার
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে সহিংসতার ঘটনায় করা মামলায় বিএনপির সমর্থিত প্রার্থী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজলকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার (৯ মার্চ) সন্ধ্যায় রাজধানীর পল্টনের তোপখানা রোডে নিজ চেম্বার থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। সিআইডি সদরদপ্তরের পুলিশ সুপার (মিডিয়া) আজাদ রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এই মামলায় এখন পর্যন্ত ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হলো।  এর আগে, ভোটগ্রহণ শেষে ৭ মার্চ বিকেলে গণনাকে কেন্দ্র করে হট্টগোল ও মারধরের ঘটনা ঘটে। পরে শুক্রবার (৮ মার্চ) রাতে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে ২০ জনকে আসামি করে রাজধানীর শাহবাগ থানায় মামলা করেন সহকারি অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুর রহমান চৌধুরী সাইফ। এ ছাড়া মামলায় ৩০ থেকে ৪০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে। মামলায় প্রধান আসামি করা হয় যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামসের (পরশ) স্ত্রী আইনজীবী নাহিদ সুলতানাকে (যুথী)। দুই নম্বর আসামি ছিলেন ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল। প্রধান আসামি নাহিদ সুলতানাকে খুঁজছে পুলিশ।  এদিকে, গ্রেপ্তার পাঁচ আইনজীবীকে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। তারা হলেন অ্যাডভোকেট কাজী বশির আহমেদ, অ্যাডভোকেট তুষার, অ্যাডভোকেট তরিকুল, অ্যাডভোকেট এনামুল হক সুমন ও ব্যারিস্টার ওসমান চৌধুরী।
০৯ মার্চ ২০২৪, ২১:১০

সেবা করতে না পারলে এমপি পদ ছেড়ে দেব : ব্যারিস্টার সুমন
হবিগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন বলেছেন, আমি নিজেকে এমপি মনে করি না।আমি আপনাদের বা জনগণের শ্রমিক। যদি আপনাদের সেবা করতে না পারি, তাহলে এমপি পদ ছেড়ে দেব। শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার লাল চান্দ চা বাগানের চা-শ্রমিকদের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের জিআর চাল বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। ব্যারিস্টার সুমন বলেন, সব নেতাদের জনগণের পাশে থাকতে হবে। নাহলে নেতৃত্বে থাকতে দেবেন না। ভোটের আগে আমি বলেছিলাম আপনারা আমার জন্য শুধু একদিন ৭ ঘণ্টা ভোটকেন্দ্রে থাকবেন, আমি আগামী পাঁচ বছর আপনাদের পাহারাদার হয়ে থাকব।   তিনি বলেন, আগে মন্ত্রী, এমপি, চেয়ারম্যানরা ত্রাণের চাল চুরি করত, গম চুরি করত। কিন্তু এখন আর এসব হবে না। আমারা সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি কেউ দুর্নীতি করব না, কাউকে করতেও দেব না। ব্যারিস্টার সুমন বলেন, একজন চা-শ্রমিকও না খেয়ে থাকবে না। প্রয়োজনে আমি আমার খাবার দিয়ে দেব।  এ সময় চুনারুঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নীলিমা রায়হানার সভাপতিত্বে ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ২ হাজার শ্রমিকদের মাঝে ১০ কেজি করে চাল বিতরণ করা হয়। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চুনারুঘাট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ আব্দুল কাদির লস্কর, শানখলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম প্রমুখ।
১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২৩:১৬

আমি ফেসবুকের এমপি, সংসদে ব্যারিস্টার সুমন
স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন বলেছেন, আমি ফেসবুকের এমপি, শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশের ফসল। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে ডিজিটাল বাংলাদেশের ফসল হিসেবে তুলেছেন। মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের বৈঠক শুরু হয়। ব্যারিস্টার সুমন বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে যখন দেখা হয়, তিনি আমাকে বলেছিলেন- তুমি তো ফেসবুকের মধ্য দিয়ে এমপি হয়ে গিয়েছ। আমি একটা জিনিস পরিষ্কার করতে চাই, আমি ফেসবুককে ব্যবহার করে (এমপি) হয়েছি। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশটাকে ডিজিটাল বাংলাদেশে রূপান্তর করেছেন, সেটির প্রোডাক্ট হচ্ছে ফেসবুক। ডিজিটাল বাংলাদেশ না করলে আমি ফেসবুকে ৭ মিলিয়ন ফলোয়ার তৈরি করতে পারতাম না। এই বিবেচনায় আমি ফেসবুকের এমপি। কিন্তু আমাকে ফসল হিসেবে তুলেছেন শেখ হাসিনা। ব্যারিস্টার সুমন আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সামনের দিকের আসনে বসা স্বতন্ত্র ও বিরোধী সদস্যদের সবকিছুই তিনি দেখতে পান। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর পেছনে যারা বসেন, তারাই ক্ষমতার উৎস। তাদেরকেও একটু চেক করার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে আহ্বান জানান তিনি। এসময় সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হাসতে দেখা গেছে। তিনি বলেন, যারা স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য রয়েছেন, তাদেরকে অনেকে জিজ্ঞাসা করেন- সংসদে অবস্থান কী। নিজের ব্যক্তিগত অবস্থান তুলে ধরে বলেন, সরকারের বিরোধিতা করবেন, কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের পক্ষ ও বঙ্গবন্ধুর ব্যাপারে স্বতন্ত্রদের অবস্থান হবে এক ও অভিন্ন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমলে দেশের উন্নয়ন কাজের ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, উন্নয়ন তিনি করেছেন বাংলাদেশের ইতিহাসে তা হয়নি। হৃদয়ে যদি দেশপ্রেম থাকে, টাকা কোনও সমস্যা না, এটা প্রমাণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। চাইলেই এদেশকে বহুদূর নিয়ে যাওয়া সম্ভব। সরকারের উন্নয়নের প্রশংসা করে সুমন বলেন, এত সফলতার মধ্যেও কিছু সমস্যা আছে। দ্রব্যমূল্যের অবস্থা খুবই খারাপ। ব্যাংকগুলোর অবস্থা খুব খারাপ। টাকা পাচার কোনোভাবে রোধ করা যাচ্ছে না। এই স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য বলেন, সৌভাগ্য কি দুর্ভাগ্য জানি না, প্রধানমন্ত্রীর একেবারে সামনেই পড়েছে আমার সিট। তিনি সব দেখতে পান। নড়াচড়ার কোনও সুযোগ নাই। সব বিরোধী দল এবং স্বতন্ত্ররা প্রধানমন্ত্রীর চোখের সামনে পড়ে গেছে। আমরা সংসদের বাইরেও নড়তে পারবো না, ভেতরেও নড়তে পারতেছি না। তবে ভয় পাই প্রধানমন্ত্রীর পেছনে যারা বসছেন, তারা তো সকল ক্ষমতার উৎস। তাদের হয়তো প্রধানমন্ত্রী সবসময় চোখে দেখতে পান না। তবে তার বিশ্বাস প্রধানমন্ত্রী আমাদের (স্বতন্ত্রদের) যেভাবে দেখবেন, তার পেছনে যারা আছেন, তাদেরকেও যদি একটু চেক করেন।
০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৫:৪২

‘২৭ লাখ টাকা খরচ করেছি, সরকারি কম্বল ছাড়া কিছুই পাইনি’
হবিগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন বলেছেন, সংসদ সদস্য হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত সাড়ে ২৭ লাখ টাকা খরচ করেছি। কিন্তু সরকারি বরাদ্দের ১ হাজার ১০০ কম্বল ছাড়া কিছুই পাইনি। শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে হবিগঞ্জের চুনারুঘাটের ডিসিপি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে তারুণ্যের সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। ব্যারিস্টার সুমন বলেন, আমি এখনো ব্যারিস্টারির ইনকাম দিয়ে চলছি। তবে এখন সংসদ সদস্য হওয়ায় লাভ হয়েছে। আগে কোনো মক্কেল এলে ব্যারিস্টার বলে ৫০ হাজার দিত, এখন এমপি বলে ১ লাখ দেয়। তিনি আরও বলেন, আমি নতুন মানুষ, ফেসবুকে কথা বলি। প্রধানমন্ত্রীও বলেছেন- ‘তুমিতো ফেসবুকের এমপি’। আমাকে আপনারা ফেসবুকের এমপি বলেন। এটাও কিন্তু নেত্রীর কারণেই। আসলে আমি প্রোডাক্ট অব শেখ হাসিনা। কারণ উনি যদি দেশকে ডিজিটাল করতেন, তাহলে আমি ৫-৮ মিলিয়ন ফলোয়ার নিয়ে বিপ্লব ঘটাতে পারতাম না। হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোছা. জিলুফা সুলতানার সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।  এ ছাড়া বিশেষ অতিথি ছিলেন হবিগঞ্জ-৩ (হবিগঞ্জ সদর-লাখাই-শায়েস্তাগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য মো. আবু জাহির ও  হবিগঞ্জ-২ (বানিয়াচং-আজমিরীগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য ময়েজ উদ্দিন শরীফ।
০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২১:৩৫
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়