• ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo
দলের ব্যাটিং ব্যর্থতা নিয়ে যা বললেন মিরাজ
সিলেট টেস্টে হারের দ্বারপ্রান্তে রয়েছে বাংলাদেশ। যার জন্য দায়ী কেবল ব্যাটিং ব্যর্থতা। তৃতীয় দিন শেষে লঙ্কানদের থেকে ৪৬৪ রানে পিছিয়ে রয়েছে টাইগারা। হাতে দুদিন সময় থাকলেও পাঁচ উইকেটে এই লক্ষ্য ভেদ করতে হবে শান্ত-মিরাজদের।  এই ম্যাচে বাংলাদেশকে ৫১১ রানের লক্ষ্য দিয়েছে শ্রীলঙ্কা। তৃতীয় দিনের শেষ সময়ে ব্যাটিংয়ে নেমে মাত্র ৪৭ রানেই পাঁচ উইকেট হারিয়ে বসে বাংলাদেশ। ম্যাচ শেষে দলের এমন বাজে ব্যাটিং নিয়ে কথা বলেছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। রোববার (২৪ মার্চ) সংবাদ সম্মেলনে আসেন মিরাজ। এসময় দলের ব্যাটারদের ব্যর্থতার কারণ জানতে চাইলে এই অলরাউন্ডার বলেন, এটার ব্যাখ্যা আসলে যে প্লেয়ার খেলে সে ভালো বলতে পারবে। পরিস্থিতি অনুযায়ী সেই মোমেন্টে কী চিন্তা করছে।  ‘আমার কাছে মনে হয় শেষ দিকে এটা কঠিন অবশ্যই। আমাদের চ্যালেঞ্জটা নিতে হবে। তারপরও ভালো খেলার চেষ্টা করব আমরা যারা আছি। মুমিনুল ভাই রান করতে পারলে ভালো, আমি যদি ব্যাটিং করি ভালো একটা অবস্থানে যদি নিতে পারি, তাহলে আমাদের জন্য ভালো হবে।’ তিনি বলেন, টেস্ট ক্রিকেট আমরা অনেক দিন ধরে খেলছি। প্রস্তুতি সবাই আলাদাভাবে নিচ্ছে। সবাই সবসময় জানে আমাদের কন্ডিশন সম্পর্কে। আর আলাদা করে যা বললেন টেস্ট ক্রিকেটে সবসময় ব্যাটারদের দায়িত্ব নিতে হয়, তখন খেলাটা আরও বড় হয়।  ‘আমরা যখন ওদেরকে প্রথম সেশনে ৫ উইকেট নিয়ে ফেলেছিলাম তখন অনেকেই চিন্তা করেছিল ওদেরকে ১০০ রানের ভেতরে অলআউট করে দেব। তারপর কিন্তু ওরা জুটি গড়েছে। দুইজনে দুইটা ১০০ মেরেছে। টেস্ট ক্রিকেটটাই কিন্তু এরকম। উপরে যদি কেউ ভালো না খেলে কিন্তু পরে যদি ২ জন ২টা ১০০ মারে বা ১৫০ মারে তাহলে কিন্তু হয়ে যায়।’ ব্যাটারদের স্কিল বাড়ানো নিয়ে মিরাজ আরও বলেন, আমাদের আরও স্কিল বাড়াতে হবে। আমাদের অনেক জায়গায় ঘাটতি আছে। আমাদের হয়ত শট খেলার প্রবণতা একটু বেশি হচ্ছে। যে বলটা ছাড়তে পারি সেটা হয়ত খেলে দিচ্ছি তখন হয়ত আউট হয়ে যাচ্ছি। টেস্ট ক্রিকেটে আরও উন্নতি করতে হবে প্লেয়ারদের।  
২৪ মার্চ ২০২৪, ২১:৫২

‘নিজেদের ব্যর্থতা আড়াল করতে বিএনপির দিকে আঙুল তোলে আ.লীগ’
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, অযথা বিতর্ক সৃষ্টি করে নিজেদের ব্যর্থতা আড়াল করতে বিএনপির দিকে অভিযোগের আঙুল তোলে আ.লীগ। তার দাবি ডামি সরকার সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে বাজার স্থিতিশীল রাখতে সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছে। মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। রুহুল কবির রিজভী বলেন, আওয়ামী বাজার সিন্ডিকেটের পৃষ্ঠপোষক হচ্ছে ডামি সরকারের ডামি মন্ত্রীরা। অথচ ডামি প্রধানমন্ত্রী নির্লজ্জভাবে বিএনপির ওপর দায়ভার চাপিয়ে দেওয়ার পর নেত্রীর অনুসরণে ওবায়দুল কাদের এবং হাছান মাহমুদ একই সুরে গান গাইছে। সরকারের কাজ অভিযোগ তোলা নয়। বাজার সিন্ডিকেট করে যারা জনজীবন দুর্বিষহ পরিস্থিতি তৈরি করেছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া। তিনি বলেন, সিয়াম সাধনার এই মাসে দেশের জনগণ একটু স্বস্তি চায়, কিন্তু প্রতিদিন রকেট গতিতে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বেড়েই চলছে। প্রতিবছর রমজানকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের কতিপয় চিহ্নিত অসাধু আমদানিকারক ও ব্যবসায়ী নানা ছুতায় ভোক্তার পকেট কেটে ফতুর করে দিচ্ছে। মানুষ এখন সঞ্চয় ভেঙে খাচ্ছে। রিজভী বলেন, গতকাল পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ তার বাসভবনে এক মতবিনিময় সভায় বলেছেন—২০০৮ সালের নির্বাচনে বিপুল ভোটে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর বিএনপি হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে তারাই ষড়যন্ত্র করে বিডিআর বিদ্রোহ ঘটিয়েছিল। কিন্তু সেদিন পিলখানায় কি ঘটেছিল, কারা ঘটিয়েছিল, কেন ঘটেছিল, ঘটনার নেপথ্যের নায়ক কারা, কারা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে—সবকিছুই হাছান মাহমুদ স্বীকার না করলেও দেশ—বিদেশের গণমাধ্যমে সত্য ঘটনা গতকালও প্রকাশিত হয়েছে। রিজভী বলেন, গতকালও পিলখানার সেনা কর্মকর্তাদের হত্যা নিয়ে বিডিআররের সাবেক ডিজি লে. জে. (অব.) মইনুল ইসলাম গণমাধ্যমে যে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন তা দেখে কি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মাথা খারাপ হয়ে গেছে? সাবেক ডিজি পরিস্কারভাবে বলেছেন, একটি রাজনৈতিক দলের নেতারা বিদ্রোহীদের সঙ্গে জড়িত ছিল ও বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনার সময় বাইরে তারা জয় বাংলা স্লোগান দিয়েছে। তিনি আরও বলেন, ইতিহাস সাক্ষী, সেনাবাহিনীকে দুর্বল করে রাখা আওয়ামী ষড়যন্ত্র নতুন নয়। সেনাবাহিনীকে দুর্বল করে রাখতে স্বাধীনতাত্তোর বাংলাদেশে সেনাবাহিনীর প্যারালাল রক্ষীবাহিনী তৈরি করা হয়েছিল। দেশকে তাবেদার রাষ্ট্রে পরিণত করতে আওয়ামী লীগ এবং তাদের দেশি-বিদেশি দোসররা সেনা কর্মকর্তা এবং সেনা সদস্যদের মুখোমুখি করে দিয়ে দেশে গৃহযুদ্ধ পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছিল।
২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৩:৩৮
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়