• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo
‘দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়কে স্মার্ট মন্ত্রণালয় হিসেবে গড়ে তুলতে কাজ শুরু করেছি’
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী অধ্যক্ষ মো. মহিববুর রহমান মহিব বলেছেন, ৬৫ সনের ভয়াবহ বন্যায় আমি আমার ভাই, বোনকে হারিয়েছি। বাড়ি ঘর হারিয়েছি। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা দুর্যোগ প্রবণ এলাকার মানুষ হিসেবে আমাকে এই মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেয়ার পর থেকে আমি কাজ শুরু করেছি। আমি এই মন্ত্রণালয়কে এমনভাবে সাজাতে চাই যাতে এটি বাংলাদেশের একটি স্মার্ট মন্ত্রণালয় হিসেবে গড়ে ওঠে। আগামী বছরের বাজেটে দেশের দুর্যোগ প্রবণ এলাকায় চাহিদা অনুযায়ী ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণে যথাযথ বরাদ্দ দেওয়া হবে।  মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৫টায় কুয়াকাটা রাখাইন মহিলা মার্কেট মাঠে সিপিপি, দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে সিপিপি স্বেচ্ছাসেবকদের উদ্বুদ্ধকরণ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর হোসেনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, দেশের সমস্ত মুজিব কেল্লাকে শিক্ষার সাথে সম্পৃক্ত করে তুলতে ইতিমধ্যে আমি আমার মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছি। যাতে প্রতিটি মুজিব কেল্লা সর্বদা ব্যবহার হয়। প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে আমি আপনাদের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি আগামী দিনগুলোতে দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রমে আপনাদের সম্পৃক্ত করা হবে। যে সমস্ত স্বেচ্ছাসেবক অসহায়, দুস্থ রয়েছেন তাদের ঈদ, কোরবানিতে প্রনোদনার আওতায় নিয়ে আসা হবে। এছাড়া মৃত স্বেচ্ছাসেবক ও অসুস্থ সেচ্ছাসেবকদের সহায়তার পরিমাণ বৃদ্ধির জন্য আমরা চিন্তাভাবনা করছি। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, দুর্যোগ ও ত্রাণ অধিদপ্তরের মহা-পরিচালক মো. মিজানুর রহমান, দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব রবিউল ইসলাম, উপসচিব ফারুক হোসেন, কেয়ার বাংলাদেশের ডেপুটি কান্ট্রি ডিরেক্টর মিস্টার রামদাস, সিপিপি'র মহাসচিব কাজী শফিকুল আজম, আই ও এম এর কান্ট্রি ডিরেক্টর মিস্টার আব্দুস সাত্তার ইসোয়েভ, জাগো নারী ফাউন্ডেশন এর নির্বাহী পরিচালক হোসনেয়ারা হাসি, দুর্যোগ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব রবিউল ইসলাম এনডিসি, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী আলমগীর হোসেন প্রমূখ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সিপিপি'র পরিচালক প্রশাসন মো. আহমেদুল হক। এর আগে ৯ জন অসুস্থ স্বেচ্ছাসেবকদের আর্থিক প্রণোদনা এবং ১০ হাজার জেলেদের মাঝে জীবন রক্ষাকারী বয়া বিতরণ করা হয়। পরে অনুষ্ঠানের স্থলে সিপিবি স্বেচ্ছাসেবকদের উদ্যোগে মাঠ মহড়া ও রাখাইন শিল্পীদের অংশগ্রহণে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।
২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২৩:২৭

রোহিঙ্গা খাতে দেশের বার্ষিক খরচ ১২০ কোটি টাকা : দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী
বাংলাদেশে শরণার্থী হিসেবে বাস করা রোহিঙ্গাদের পেছনে প্রতি বছর সরকারের ১২০ কোটি টাকা খরচ হয়েছে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. মহিববুর রহমান। শুধু তাই নয়, শরণার্থীদের জনসংখ্যা বৃদ্ধি, মুদ্রাস্ফীতি এবং বিদেশি সাহায্য কমে আসার কারণে এই খরচ আরও বাড়ছে বলেও জানান তিনি।  সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার গুলশানে এজ গ্যালারি বে’স এজওয়াটারে ইন্টারন্যাশনাল রেস্কিউ কমিটি আয়োজিত আলোকচিত্র প্রদর্শনী 'থ্রু দ্য লেন্স অফ হোপ: রোহিঙ্গা ক্রাইসিস আনফোল্ডেড' শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব তথ্য দেন প্রতিমন্ত্রী।  মহিববুর রহমান বলেছেন, মিয়ানমার থেকে বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত ১০ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা নাগরিক গত সাত বছরেরও বেশি সময় ধরে আমাদের কক্সবাজার উপকূলে আশ্রয় নিয়ে আছে। ২০১৭ সালে বাংলাদেশ সরকার তাদের আশ্রয় দিয়েছে। আর এই উদারতা আমাদের অর্থনীতির জন্য বড় আকারের বোঝা হিসেবে পরিণত হতে বেশি সময় নেয়নি। এরপর তিনি বলেন, প্রতি বছর এই রোহিঙ্গা খাতে আমাদের খরচ হয়েছে প্রায় ১২০ কোটি টাকা। এছাড়াও শরণার্থীদের জনসংখ্যা বৃদ্ধি, মুদ্রাস্ফীতি এবং বিদেশি সাহায্য কমে আসার কারণে খরচের পরিমাণ প্রতিনিয়ত বাড়ছে।  শরণার্থীদের আগমনের কারণে স্থানীয় চাকরির বাজারেও প্রভাব পড়েছে উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, শ্রমিকের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় শ্রমের মূল্য কমেছে। ফলে স্থানীয় শ্রমিকদের কাজের সুযোগ কমে গেছে।  তিনি আরও বলেন, দীর্ঘদিন ধরে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের উপস্থিতি বাংলাদেশের অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, সামাজিক এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থার জন্য মারাত্মক চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এখন পর্যন্ত কোনও ধরনের সমাধান না আসায় এই সমস্যা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ফেলে দিয়েছে। শরণার্থীদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনের সিদ্ধান্ত এখনও অনিশ্চিত থাকায় বিভিন্ন ধরণের সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। যার মধ্যে মাদক ও মানবপাচারের মতো বিভিন্ন সীমান্ত অপরাধ রয়েছে। প্রতিমন্ত্রী বলেন, এই সমস্যার চূড়ান্ত সমাধান হলো নিরাপদে, স্বেচ্ছায় এবং স্থায়ীভাবে রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করা। আইআরসির এমন একটি আলোকচিত্র প্রদর্শনীর মাধ্যমে আমরা এক ধরনের ইতিবাচক পরিবর্তনের আশা করছি, যার মাধ্যমে জাতিসংঘের প্রতিনিধি, দাতা সংস্থা, ইউএসএইড এবং বিশ্বনেতারা সিদ্ধান্তমূলক পদক্ষেপ গ্রহণে সচেষ্ট হতে পারবেন।  অনুষ্ঠানে মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. কামরুল হাসান, ইউএসএইড-এর মিশন ডিরেক্টর রিড জে একিলম্যান, ইউএনএইচসিআর প্রতিনিধি এমএস সুম্বুল রিজভি, ইন্টারন্যাশনাল রেস্কিউ কমিটির কান্ট্রি ডিরেক্টর হাসিনা রহমানসহ বিভিন্ন দাতা সংস্থা, দূতাবাস, জাতিসংঘ, আইএনজিও এবং এনজিও প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০১:১৫

বজ্রপাতে মৃত্যুর সংখ্যা কমাতে দরকার জনসচেতনতা : দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. মহিবুর রহমান বলেছেন, বজ্রপাতে মৃত্যুর সংখ্যা কমানোর প্রথম পদক্ষেপ হচ্ছে জনসচেতনতা সৃষ্টি করা। রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদে এক প্রশ্নের লিখিত উত্তরে তিনি এ কথা বলেন। প্রতিমন্ত্রী বলেন, বজ্রপাতে মৃত্যুর সংখ্যা কমানোর নিমিত্ত জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় কর্তৃক জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন, ওয়ার্ড ও পৌরসভা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, বজ্রপাত থেকে রক্ষা পাওয়ার উপায়গুলো প্রচারের জন্য পোস্টার-ব্যানার প্রস্তুত করে জেলা, উপজেলা সদর, স্কুল, কলেজ, হাট বাজার ও জনসমাগম হয় এমন স্থানে লাগানো এবং মসজিদ, মন্দির ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের ইমাম-পুরোহিতদের মাধ্যমে প্রচার করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন, গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কার (কাবিখা) এবং গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ (টিআর) কর্মসূচির আওতায় গত ২০২১-২২ অর্থবছরে দেশের অধিক বজ্রপাত প্রবণ ১৫টি জেলায় ৩৩৫টি বজ্র নিরোধক দণ্ড স্থাপন করা হয়েছে। প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশের অধিক বজ্রপাতপ্রবণ ১৫ জেলায় প্রাণহানি রোধে ৬ হাজার ৭৯৩টি বজ্রনিরোধক দণ্ড স্থাপনের জন্য প্রকল্প গ্রহণ করে পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হয়েছে। প্রকল্পটি অনুমোদিত হলে বজ্রপাত থেকে সুরক্ষার জন্য ৬ হাজার ৭৯৩টি বজ্রনিরোধক দণ্ড স্থাপন করা হবে।
১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৭:৪২
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়