• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo
গোপালগঞ্জে বোমা হামলায় বাবা-ছেলে আহত
গোপালগঞ্জে বোমা হামলায় মাসুদ শেখ (৪০) ও তার ছেলে আবদুল রাশেদ (৪) আহত হয়েছে। আহতদের প্রথমে গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে পরে সেখানে তাদের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।  সোমবার (২৪ এপ্রিল) রাত ৯টায় গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার লতিফপুর ইউনিয়নের ঘোষেরচর উত্তরপাড়া মাসুদ শেখের বাড়ির সামনে এ ঘটনা ঘটে। আহত মাসুদ শেখ ওই গ্রামের মন্টু শেখের ছেলে। তিনি গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা প্রহরীর চাকরি করেন।   পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মাসুদ শেখ তার চার বছর বয়সী ছেলে আবদুল রাশেদকে মোটরসাইকেলে নিয়ে বাড়িতে ফিরছিলেন। রাত ৯টার দিকে বাড়ির সামনে মোটরসাইকেল রেখে ঘরের দরজা খোলার সময় ৫-৬ জন লোক তাদের লক্ষ্য করে বোমা ছুড়লে মাসুদ শেখ ও তার ছেলে গুরুতর আহত হয়।  বোমার বিস্ফোরণের শব্দে স্থানীয়রা ছুটে এসে গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে। পরে সেখানে তাদের শারীরিক অবস্থা অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।  আহত মাসুদ শেখের ভাবি ফরিদা বেগম বলেন, সন্ধ্যার পর আমরা ঘরে ভাত খাচ্ছিলাম। এ সময় লোডশেডিংয়ে অন্ধকার হয়ে যায়। বিকট শব্দে শুনে ঘর থেকে দৌঁড়ে বের হই। এসে দেখি মাসুদ ও তার ছেলে রক্তাক্ত অবস্থায়  রাস্তার ওপর পড়ে আছে। একটু পাশে তার মোটরসাইকেল পড়ে ছিল। মোটরসাইকেল থেকেও আগুনের ধোঁয়া বের হচ্ছিল। ঘরের দরজায় বড় ছিদ্র হয়েছে।  কে বা কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের শনাক্ত করে আইনের  আওতায় আনার দাবি জানান তিনি।   গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক কর্মকর্তা গাজী মো. আশিকুজ্জামান বলেন, রাত সাড়ে ৯টার দিকে জরুরি বিভাগে মাসুদ শেখ ও তার ছেলে আব্দুল রাশেদকে নিয়ে আসে। মাসুদ শেখের শরীরের বিভিন্ন স্থানে ক্ষত হয়েছে। বাম পায়ের লিগামেন্ট ছিঁড়ে গেছে, হাড় কেটে গেছে।  পেটে বড় ইনজুরি রয়েছে। আমার ধারণা, তার পেটের মধ্যে কিছু রয়েছে, অল্প সময়ের মধ্যে তাকে অপারেশন করে পেট থেকে সেটা বের করতে হবে। এ ছাড়া মাসুদের শরীরের ৩০ শতাংশ ও ছেলের শরীর ২৭ শতাংশ  পুড়ে গেছে। মাসুদের অবস্থা আশংকাজনক। তবে ছেলে আব্দুল রাশেদ শঙ্কামুক্ত। তাদের দুজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।  গোপালগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আনিচুর রহমান বলেন, মাসুদ শেখ তার ছেলেকে নিয়ে রাতে বাড়িতে ফিরছিলো। ওই সময় কে বা কারা বিস্ফোরক দ্রব্য নিক্ষেপ করে। এতে বাবা-ছেলে আহত হয়েছে এবং শরীরের বিভিন্ন অংশ পুড়ে গেছে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার লুৎফুল কবির চন্দন স্যারসহ আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এ ছাড়া গোপালগঞ্জ পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ ও পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন টিম কাজ করছে। তদন্ত শেষে প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
২৪ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:১২

রমনার বটমূলে বোমা হামলার ২৩ বছরেও হয়নি বিচার
২৩ বছর আগে রমনার বটমূলে পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠানে ভয়াবহ বোমা হামলার ঘটনা ঘটে। এতে ১০ জন নিহত এবং বহু মানুষ আহত হয়েছিলেন। চাঞ্চল্যকর এই বোমা হামলার এখনো বিচার হয়নি। ২০০১ সালের ১৪ এপ্রিল রমনার বটমূলে বোমা হামলার পর হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছিল। এর মধ্যে হত্যা মামলায় ২০১৪ সালের ২৩ জুন আটজনকে মৃত্যুদণ্ড ও ছয়জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়ে নিম্ন আদালত রায় ঘোষণা করে। আদালতে রায়ের পর আসামিদের মৃত্যুদণ্ড অনুমোদনের জন্য হাইকোর্টে ডেথ রেফারেন্স পাঠানো হয়। একইসঙ্গে কারাবন্দি আসামিরা আপিল করে। উভয় আবেদনের ওপর ২০১৭ সালের ৮ জানুয়ারি হাইকোর্ট বেঞ্চে শুনানি শুরু হয়। আদালত বদল হওয়ায় শুনানির অপেক্ষায় রয়েছে মামলাটি। ১০ বছরে অন্তত ৪০০ বার পিছিয়েছে শুনানি। এ বিষয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলেন, ওই বেঞ্চের একজন বিচারপতি আইনজীবী হিসেবে এই মামলায় কাজ করেছিলেন। তাই তিনি শুনানি করতে পারেননি। এ কারণে হয়ত কিছুটা সময় লেগেছে। তবে এবার তার বেঞ্চে শুনানি হবে। আমরা প্রস্তুত আছি।   অন্যদিকে বিস্ফোরক মামলাটি এখনো বিচারিক আদালতের গণ্ডি পার হতে পারেনি। কারণ হিসেবে সাক্ষী হাজির না হওয়ার কথা বলছে রাষ্ট্রপক্ষ।   আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট আব্দুলাহ আবু বলেন, সাক্ষীরা একবার সাক্ষ্য দিয়ে গেছেন। কিন্তু পরবর্তীকালে ওই সাক্ষীদের সহজেই পাওয়া যায়নি। দীর্ঘদিন হয়ে গেছে। তাই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বিচার কাজ শেষ হওয়া উচিত। ২০০১ সালের ১৪ এপ্রিল (পহেলা বৈশাখ ১৪০৮ বঙ্গাব্দ) ভোরে রমনার বটমূলে সাংস্কৃতিক সংগঠন ছায়ানটের বর্ষবরণ অনুষ্ঠানস্থলে দুটি বোমা পুঁতে রাখা হয় এবং পরে রিমোট কন্ট্রোলের সাহায্যে সেগুলোর বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠন হরকাতুল জিহাদের (হুজি) নৃশংস ওই বোমা হামলায় প্রাণ হারান ১০ জন। আহত হন আরও অনেকেই। এ ঘটনায় হুজি নেতা মুফতি হান্নানসহ ১৪ জনকে আসামি করে ওইদিনই রমনা থানার পুলিশ বাদী হয়ে হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে আলাদা দুটি মামলা করেন। ২০০৮ সালের ২৯ নভেম্বর শীর্ষ হুজি নেতা মুফতি আবদুল হান্নানসহ ১৪ জনকে অভিযুক্ত করে সিআইডির পরিদর্শক আবু হেনা মো. ইউসুফ আদালতে হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে আলাদা দুটি সম্পূরক চার্জশিট দাখিল করেন। ২০১৪ সালের ২৩ জুন ঢাকার দ্বিতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. রুহুল আমিন হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করেন। রায়ে আট জনের মৃত্যুদণ্ড এবং ছয় জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন বিচারক। বিস্ফোরক আইনে করা মামলায় ২০১৪ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক শাহেদ নূর উদ্দিন মামলার অন্যতম আসামি মুফতি হান্নানসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন। সাবেক ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরী হত্যা মামলায় ২০১৭ সালের ১২ এপ্রিল রাতে মুফতি হান্নানের ফাঁসি কার্যকর হয়। বর্তমানে মামলাটিতে মোট ১১ জন আসামি রয়েছেন। তারা হলেন- মাওলানা তাজউদ্দিন, জাহাঙ্গীর আলম বদর, মুফতি আব্দুল হাই, মুফতি শফিকুর রহমান, মাওলানা আবু বকর, হাফেজ সেলিম হাওলাদার, আরিফ হাসান সুমন, মাওলানা আকবর হোসাইন, মাওলানা শাহাদাৎ উল্লাহ জুয়েল, হাফেজ মাওলানা আবু তাহের, মাওলানা সাব্বির ও মাওলানা শওকত ওসমান। এর মধ্যে তাজউদ্দিন, আবদুল হাই ও জাহাঙ্গীর পলাতক।
১৪ এপ্রিল ২০২৪, ০২:২৯

বোমা ফাটালেন সুজন, হাথুরুর সঙ্গে দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে
কয়েক দিন ধরে গণমাধ্যমে ভেসে বেড়াচ্ছে একটি খবর। বাংলাদেশে আর ফিরছেন না হাথুরু! এমন খবরে গুঞ্জনের ডালপালা মেলা শুরু হয়েছে। সব মহলে এখন এ নিয়ে শুরু হয়েছে নানা জল্পনা-কল্পনা। শ্রীলঙ্কা ছাড়া বড় কোনো দলের হেড কোচের দায়িত্বে তিনি কখনোই ছিলেন না। অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলস ও ফ্র্যাঞ্চাইজি দল সিডনি থান্ডার্ডসের সহকারীর দায়িত্ব পেয়েছিলেন। ছিলেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের কোচ। ক্রিকেট বিশ্বে এর বাইরে তার নেই কোচিং অভিজ্ঞতা। এমন একজন কোচ বিসিবির পছন্দের তালিকায় কিভাবে শীর্ষে থাকেন, তা নিয়ে নানান মহলে বিভিন্ন সময় উঠেছে নানান প্রশ্ন। নিজের ক্রিকেট কোচিংয়ের দক্ষতা দেখিয়ে যত না আলোচনায় ছিলেন চণ্ডিকা, তার চেয়ে বেশিবার তিনি সংবাদের শিরোনাম হয়েছেন মাঠের বাইরের নানান ঘটনায়। দ্বিতীয় মেয়াদে বাংলাদেশে তার আগমনের খবরে উঠেছিল বিভিন্ন প্রশ্ন। কেন বিতর্কিত এই হাথুরুকে বিশাল অঙ্কের ডলার দিয়ে আবারও ডেকে আনা হচ্ছে বাংলাদেশে! সেই সময়টাতে বিসিবির ছিল নানান যুক্তি। তবে সেসব যুক্তির বাস্তবতা নিয়ে আছে নানান প্রশ্ন। বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলের ভরাডুবি আর মাঠের বাইরে হাথুরুর নানান কর্মকাণ্ড বিতর্কের পালে নতুন হাওয়া দিচ্ছিল।  বিশ্বকাপ ব্যর্থতায় গঠিত তদন্ত কমিটির রিপোর্টে হাথুরুকে নিয়ে কি উল্লেখ আছে, সেটি বিসিবি স্পষ্ট করে না জানালেও গুঞ্জন আছে কোচিং স্টাফ ও খেলোয়াড়দের সঙ্গে দুর্ব্যবহার আর দূরত্ব দিনে দিনে বাড়িয়েছেন হাথুরু।  সেসব গুঞ্জনের সত্যতা এতদিন না পাওয়া গেলেও এবার সে বিতর্কে নতুন করে আগুন জ্বালালেন সাবেক টাইগার অধিনায়ক ও বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলের টিম লিডার খালেদ মাহমুদ সুজন। গণমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাতকারে তিনি ক্ষোভের সঙ্গে জানিয়েছেন, তিনি আর বাংলাদেশ ক্রিকেটের সমাধান না! জাতীয় দলের কোনো বিষয়ে তার আগ্রহ নেই। এমনকি বিশ্বকাপে তিনি যে রোল প্লে করেছেন, সেটা তার সঙ্গে যায় না। বিশ্বকাপে তিনি সম্মান পাননি বলেও মন্তব্য করেছেন।  এসবের পেছনে তার অভিযোগের আঙ্গুল হাথুরুর দিকে। গণমাধ্যমে দেওয়া সেই সাক্ষাৎকারে সুজন স্পষ্ট বলেছেন, ‘কোচিং স্টাফরা কে কি বলেছে, তা সবাই জানে। একজন মানুষের সঙ্গে সবার সম্পর্ক খারাপ হতে পারে না’। সুজনের এমন মন্তব্যে স্পষ্ট বোঝা যায়, দলে একনায়কতন্ত্র চালিয়েছেন হাথুরু। ইচ্ছে মত দলকে নিজের মতো পরিচালনা করেছেন এই কোচ। যা কি না দলের জন্য বয়ে এনেছে দুর্যোগ! চট্টগ্রামে লঙ্কানদের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টের আগেই অস্ট্রেলিয়া চলে গেছেন হাথুরু। বিসিবির পক্ষ থেকে পারিবারিক কারণ উল্লেখ করা হলেও নেপথ্যে ভিন্ন গুঞ্জন। বিসিবির সঙ্গে দূরত্ব আর কোচের খবরদারি নিয়ন্ত্রণে বোর্ডের নানান পদক্ষেপ ভালোভাবে নেয়নি হাথুরুসিংহে। দলের সঙ্গে তার সম্পর্ক কতোটা খারাপ, তা খালেদ মাহমুদ সুজনের সেই সাক্ষাৎকার দেখলেই স্পষ্ট হয়ে যায়। তবে কি বাংলাদেশে শেষ হতে চলেছে হাথুরুর দ্বিতীয় অধ্যায়!  
১৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৬:২১

গাজা ও রাশিয়ায় পারমাণবিক বোমা ফেলার আহ্বান মার্কিন কংগ্রেসম্যানের 
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ও রাশিয়ায় পারমাণবিক বোমা ফেলে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের হিরোশিমা ও নাগাসাকির মতো অবস্থা তৈরির আহ্বান জানিয়েছেন টিম ওয়ালবার্গ নামে যুক্তরাষ্ট্রের রিপাবলিকান পার্টির এক কংগ্রেসম্যান। সম্প্রতি নিজের নির্বাচনী এলাকায় প্রচারণা সভায় এ ধরনের আহ্বান জানান তিনি। যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।  প্রতিবেদন অনুযায়ী, মিশিগানের রিপ্রেজেন্টেটিভ টিম ওয়ালবার্গ যুক্তরাষ্ট্রসহ ইসরায়েল ও ইউক্রেনের মিত্র রাষ্ট্রগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, গাজার অবস্থা নাগাসাকি ও হিরোশিমার মতো হওয়া উচিত। এই সমস্যা দ্রুত শেষ করুন। একই অবস্থা হওয়া উচিত রাশিয়ারও। এ সময় গাজায় ত্রাণসহায়তা পাঠানোর কঠোর বিরোধিতা করেন ওয়ালবার্গ। তিনি বলেন, ‘গাজায় ত্রাণসহায়তার জন্য আমাদের আর একটি পয়সাও ব্যয় করা উচিত নয়। এই পয়সা উল্টো ইসরায়েলের জন্য ব্যয় করা উচিত। কেননা, পৃথিবীর যেকোনো স্থানে, যেকোনো ইস্যুতে ইসরায়েল যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় মিত্র।’  উল্লেখ্য, টিম ওয়ালবার্গ নামে রিপাবলিকান পার্টির এই কংগ্রেসম্যান একজন ধর্মযাজক ছিলেন রাজনীতিতে আসার আগে। গণসংযোগকালে তার মুখে উচ্চারিত এই বক্তব্যের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে ছড়িয়ে পড়েছে ইতোমধ্যে। ওয়ালবার্গের এই বক্তব্যের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে প্রগতিশীল রাজনৈতিক মহলও। একজন সাবেক খ্রিষ্টান যাজক হয়ে তিনি কীভাবে এমন মন্তব্য করতে পারেন এই নিয়ে জোর সমালোচনা চলছে যুক্তরাষ্ট্রের সর্বত্র। বিবৃতি দিয়ে কংগ্রেসম্যানের এ বক্তব্যকে ‘গণহত্যার স্পষ্ট আহ্বান’ আখ্যা দিয়েছে কাউন্সিল অন আমেরিকান–ইসলামিক রিলেশনস (কাইর)। সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক দাউদ ওয়ালিদ ওই বিবৃতিতে বলেছেন, ‘সব আমেরিকানের উচিত ওয়ালবার্গের বক্তব্যের নিন্দা করা, যারা মানুষের জীবন এবং আন্তর্জাতিক আইনকে মূল্য দেয়।’  এদিকে ব্যাপক সমালোচনার মুখে নিজের বক্তব্য থেকে সরে আসার চেষ্টা করছেন টিম ওয়ালবার্গ। রোববার (৩১ মার্চ) এক বিবৃতিতে মার্কিন এ কংগ্রেসম্যান জানান, তার মন্তব্যকে ভুলভাবে উপস্থাপন করেছে মিডিয়া। তার দাবি, পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের পক্ষে কথা বলেননি তিনি। সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তিনি শুধু ইসরায়েল এবং ইউক্রেনের যত দ্রুত সম্ভব যুদ্ধে জয়ী হওয়ার প্রয়োজনীয়তা বোঝাতে একটি রূপক ব্যবহার করেছেন। ওয়ালবার্গ এরপর বলেন, ‘যত দ্রুত ইসরায়েল ও ইউক্রেন হামাস ও রাশিয়াকে পরাজিত করবে, তত বেশি নিরপরাধ মানুষের প্রাণ বাঁচবে।’ 
০১ এপ্রিল ২০২৪, ২০:৩০

বোমা বানাতে গিয়ে বিস্ফোরণে নিহত ১, আহত ২
মাদারীপুরের কালকিনিতে বোমা বানাতে গিয়ে বিস্ফোরণে মোদাসসের শিকদার (৪৫) নামের একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও দুজন। বুধবার (২৭ মার্চ) দুপুরে উপজেলার সিডিখান ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের নতুনচর দৌলতখান গ্রামের আড়িয়াল খাঁ নদের পাড়ে এ ঘটনা ঘটে। নিহত মোদাসসের শিকদার বরিশালের মুলাদী উপজেলার বাটামারা ইউনিয়নের চিঠিরচর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি পেশায় কৃষক ছিলেন। আহতরা হলেন একই এলাকার হারুন ঢালী ও দাদন ঢালী। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আড়িয়াল খাঁ নদের পাশে নতুনচর দৌলতখান এলাকায় বসে হাতবোমা বানাচ্ছিলেন কয়েকজন। এ সময় একটি বোমা বিস্ফোরণ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান মোদাসসের শিকদার। হারুন ঢালী ও দাদন ঢালী নামের আরও দুজন আহত হন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে মাদারীপুর মর্গে পাঠায় পুলিশ। মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আলাউল হাসান গণমাধ্যমকে বলেন, এ ঘটনায় এখনো কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। তদন্ত করা হচ্ছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত সবাইকে ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে।
২৭ মার্চ ২০২৪, ২১:৩০

বিপিএল নিয়ে বোমা ফাটালেন কোচ হাথুরুসিংহে
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) মান নিয়ে প্রশ্ন তোলা নতুন কোনো বিষয় নয়। যা নিয়ে ভক্ত-সমর্থকদের মনে আক্ষেপের শেষ নেই। এতে ব্যাপক সমালোচনার শিকার হয়েছেন বিপিএল গর্ভনিং কমিটি। এবার বিপিএল নিয়ে বোমা ফাটালেন টাইগার হেড কোচ হাথুরুসিংহে। বিপিএল শেষ করে শ্রীলঙ্কা সিরিজে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। তাই ছুটি শেষ করে ঢাকায় ফিরেছেন লঙ্কান হেড মাস্টার। এরপর জনপ্রিয় ক্রিকেট ওয়েবসাইট ক্রিকইনফোকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বিপিএল নিয়ে রীতিমত ক্ষোভ ঝেড়েছেন হাথুরু।  বাংলাদেশ কেন টি-টোয়েন্টিতে বিশ্বমানের দল হতে পারছে না? কোচ হিসেবে কেমন মাইন্ডসেট তৈরি করার চেষ্টা করছেন? এমন প্রশ্নের জবাবে হাথুরু বলেন, উপায় নেই তো! আমাদের একটা সঠিক টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট নেই। শুনতে খারাপ লাগবে, কিন্তু মাঝে মাঝে বিপিএল দেখতে গিয়ে আমি টিভি বন্ধ করে দেই। কিছু খেলোয়াড় তো কোনো ক্লাসেরই না। বিপিএলে ভালোমানের বিদেশি খেলোয়াড় আসছেন কম। যারাও আসছেন, পুরো টুর্নামেন্ট খেলছেন না। যার যখন ইচ্ছে হুট করে চলে যাচ্ছেন আরেক টুর্নামেন্টে। খেলোয়াড়দের আসা-যাওয়ার মধ্যেই দল সাজাতে হচ্ছে। ফলে স্থিতিশীলতা থাকছে না টুর্নামেন্টের। খেলোয়াড়দের ইচ্ছামতো আশার যাওয়ার ব্যাপারে আপত্তি জানিয়েছেন টাইগার কোচ। তিনি বলেন, এই সিস্টেম নিয়ে আমার ঘোর আপত্তি আছে। আইসিসির এটা দেখা উচিত। বোর্ডেরও আমাদের জন্য কিছু করা উচিত। নিয়মনীতি থাকা দরকার।  একজন খেলোয়াড় একটি টুর্নামেন্টে খেলছে, আবার খেলছে আরেক টুর্নামেন্টে। যেন সার্কাসের মতো। খেলোয়াড়রা সুযোগের কথা বলবে, এটা ঠিক নয়। এতে মানুষ আগ্রহ হারায়, আমি যেমন হারিয়েছি। বিপিএলে বিদেশি ক্রিকেটাররা সুযোগ পেলেও বাংলাদেশিদের মধ্যে হাতে গোনা কয়েকজন ছাড়া কেউ সুযোগ পায় না। তাই বিসিবিকে নতুন প্রস্তাব দেন। হাথুরু বলেন, আমাদের একটা টুর্নামেন্ট দরকার যেখানে আমাদের খেলোয়াড়রা কিছু করতে পারবে-ধরুন বাংলাদেশি ব্যাটার সেরা তিনের মধ্যে ব্যাট করলো, বোলাররা ডেথে বল করার সুযোগ পেলো। তা না হলে তারা এসব কোথায় শিখবে? তিনি আরও বলেন, আমার আদর্শ পরামর্শ হলো, বিপিএলের আগে আরেকটা টুর্নামেন্ট হোক। এখানে তো ফ্র্যাঞ্চাইজি যা চাচ্ছে, তাই করছে। আমাদের কয়েকজন সেরা খেলোয়াড়ও খেলতে পারছে না। তাহলে আপনি কিভাবে আশা করেন, আমরা অন্য দলগুলোর মতো হবো? আমি কঠিন এক যুদ্ধ করছি।
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:২৬

আ. লীগ নেতার বাড়িতে হামলা, গুলি ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগ
গাজীপুরের শ্রীপুর পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নূরে আলম মোল্লার বাড়িতে হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) ভোররাত ৩টায় শ্রীপুর দক্ষিণ ভাংগনাটি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর খবর পেয়ে শ্রীপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এবং নূরে আলম মোল্লা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। নূরে আলম মোল্লা জানান, গতকাল রাত ১২টায় আক্তারুজ্জামান নামে একজন ফোন করে তাকে মেরে ফেলার হুমকি দেন। ভোররাত পৌনে ৩টার দিকে তিনি বাইরে শব্দ শুনতে পান। দুর্বৃত্তরা ভোররাত ৩টা থেকে গুলি শুরু করে। প্রায় ১০ রাউন্ড গুলি ছোড়ে। পেট্রোল বোমা ছুড়ে বাসার বারান্দায় আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে বারান্দার কিছু অংশ পুড়ে যায়। তিনি আরও বলেন, তারা দুইটা মোটরসাইকেলে করে এসে গুলি, হামলা ও পেট্রোল বোমা মেরে ভাঙচুর করে। শ্রীপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রায়হান ঘটনাস্থলে এসে ৬ রাউন্ড গুলি নিয়ে গেছে। দুর্বৃত্তদের দেওয়া গুলি সিসিটিভি ফুটেজে স্পষ্ট দেখা গিয়েছে। এ সময় তারা বাড়ির গেটের সামনে পেট্রোল জাতীয় কিছু ফেলে রেখে যায়। সকালে বাড়ির আশপাশ থেকে আরও ৪ রাউন্ড গুলি ও অল্প পরিমাণ পেট্রোলসহ দুইটি পেপসির বোতল পাওয়া যায়। এ বিষয় অভিযুক্ত আকতার হোসেন খানকে কল দিলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ জামান জানান, খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে, বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে।
০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১১:০৫

গাজায় সপ্তাহে ৬ হাজার বোমা ফেলছে ইসরায়েল 
ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন চলছে টানা তিন মাসেরও বেশি সময় ধরে। হামাস উৎখাতের দোহাই দিয়ে প্রতি সপ্তাহে অবরুদ্ধ উপত্যকাটিতে অন্তত ৬ হাজার বোমা ফেলছে দখলদার রাষ্ট্রটির সেনারা। তাদের হাত থেকে রেহাই পাচ্ছে না কেউই, এমনকি নবজাতক শিশুও না। বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) এসব তথ্য তুলে ধরেছেন দক্ষিণ আফ্রিকার আইনজীবী আদিলা হাসিম। একই সঙ্গে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় গণহত্যার অভিপ্রায় নিয়ে ইসরায়েল এখনও হামলা চালিয়ে যাচ্ছে বলে দ্য হেগের বিচারকের সামনে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন তিনি। খবর মিডল ইস্ট আইয়ের।  দক্ষিণ আফ্রিকার এই আইনজীবী আদালতে বলেন, গণহত্যা কখনই আগে থেকে ঘোষণা করা হয় না, তবে এই আদালতের সামনে গত ১৩ সপ্তাহের যে প্রমাণ আছে, তাতে যুক্তিসঙ্গতভাবে ইসরায়েলের এই আগ্রাসন গণহত্যার অভিপ্রায় বলেই প্রতীয়মান হয়।   তিনি বলেন, গাজায় প্রতি সপ্তাহে ৬ হাজার বোমা ফেলছে ইসরায়েল। তাদের সেনাদের হাত থেকে  রেহাই পায়নি কেউ; এমনকি নবজাতক শিশুও নয়। জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থার প্রধানরা গাজাকে ইতোমধ্যে ‘শিশুদের কবরস্থান’ বলে অভিহিত করেছেন। এই আদালতের আদেশ ছাড়া অন্য কিছুই গাজাবাসীকে এই দুর্ভোগ থেকে রক্ষা করতে পারবে না। প্রসঙ্গত, গত মাসে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গাজায় গণহত্যার অভিযোগ তুলে মামলা করেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। সেখানে তারা বলেছিল, ফিলিস্তিনিদের জাতিগতভাবে ধ্বংস করার উদ্দেশ্যে যে কায়দায় হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল তা গণহত্যার শামিল। শুনানিতে দক্ষিণ আফ্রিকার আরেক আইনজীবী টেম্বেকা এনকুকাইতোবি বলেন, ইসরায়েলের গণহত্যামূলক বক্তব্যের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করার ক্ষেত্রে প্রিটোরিয়া একা নয়; জাতিসংঘের অন্তত ১৫ জন বিশেষ প্রতিবেদক এবং জাতিসংঘ ওয়ার্কিং গ্রুপের  ২১ জন সদস্য সতর্ক করেছেন যে, গাজায় যা ঘটছে তা গণহত্যাকেই প্রতিফলিত করে। তিনি বলেন, ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী যেভাবে আক্রমণ পরিচালনা করছে তাতে গণহত্যার অভিপ্রায় স্পষ্ট। এমনকি দেশটির রাজনৈতিক নেতা, সামরিক কমান্ডার এবং সরকারি পদে অধিষ্ঠিত ব্যক্তিরা পরিকল্পিতভাবে এবং স্পষ্ট ভাষায় তাদের গণহত্যার অভিপ্রায় ঘোষণা করেছেন। ইসরায়েলের সংসদের মধ্যে ‘গণহত্যামূলক বক্তব্য’ এখন সাধারণ ব্যাপার হয়ে উঠেছে; তাদের অনেক এমপি গাজাকে নিশ্চিহ্ন ও চূর্ণ করার আহ্বান জানিয়েছেন। দ্য হেগে বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হওয়া এই মামলার শুনানির প্রতিক্রিয়ায় ইসরায়েলের ক্ষমতাসীন লিকুদ পার্টির সদস্য নিসিম ভাতুরি বলেন, হেগে উপস্থিত হওয়া তার দেশের জন্য একটি সৌভাগ্যের ব্যাপার। গাজায় কোন নিরপরাধ মানুষ নেই। উল্লেখ্য, এই প্রথম জাতিসংঘের গণহত্যা কনভেনশনের অধীনে বিচারের সম্মুখীন হতে হচ্ছে ইসরায়েলকে। বৃহস্পতিবারের আদালতের কার্যক্রম চলাকালীন দক্ষিণ আফ্রিকার প্রতিনিধিত্বকারী আরেক আইনজীবী অধ্যাপক ম্যাক্স ডু প্লেসিস বলেন, ইসরায়েল ফিলিস্তিনি জনগণকে অর্ধ শতাব্দীরও বেশি সময় ধরে নিপীড়ন চালিয়ে যাচ্ছে।দুঃখজনক ব্যাপার, গণহত্যার মামলাগুলো প্রমাণ করা খুব কঠিন, সমাধান হতে কয়েক বছর সময় লাগতে পারে। তবে দ্রুত  ইসরায়েলকে এই হত্যা বন্ধ করার জন্য আদেশ দিতে আদালতে দাবি তুলেছে দক্ষিণ আফ্রিকা।  গত ৭ অক্টোবর থেকেই গাজায় ব্যাপক হামলা চালিয়ে যাচ্ছে দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ী, ভূখণ্ডটিতে ইসরায়েলি হামলায় নিহত ফিলিস্তিনিদের সংখ্যা  সাড়ে ২৩ হাজারের কাছাকাছি পৌঁছেছে। নিহতদের মধ্যে বেশিরভাগই নারী ও শিশু। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও প্রায় ৬০ হাজার মানুষ। ইসরায়েলের এই হামলা থেকে বাদ যাচ্ছে না গাজার কোনও অবকাঠামো।  ভূ-খণ্ডটির মসজিদ, গির্জা, স্কুল, হাসপাতাল, শরণার্থী শিবিরসহ বেসামরিক মানুষের বাড়ি-ঘর সব জায়গায় হামলা চালিয়ে যাচ্ছে তারা।
১২ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:৪১

বিজয় মিছিলে বোমা হামলা, স্বতন্ত্র প্রার্থীর আহত কর্মীর মৃত্যু
মাদারীপুরের কালকিনিতে স্বতন্ত্র প্রার্থীর বিজয় মিছিলে বোমা হামলার ঘটনায় এমারাত সরদার (৪০) নামে আহত এক ব্যক্তির চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) দুপুর ২টার দিকে তার মৃত্যু হয়। রাজধানীর একটি হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। এ ঘটনায় আরও দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এই ঘটনায় দোষীদের বিচার দাবি করেছেন নিহতের পরিবার। এমারাত সরদারের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকার প্রাইম জেনারেল হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক গোলাম মুস্তফা। তিনি ব‌লেন, আহত ব‌্যক্তি চি‌কিৎসাধীন অবস্থায় মারা গে‌ছে। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মাদারীপুর-৩ আসনে নৌকার প্রার্থী আবদুস সোবহান মিয়া গোলাপকে বিপুল ভোটে পরাজিত করে বিজয়ী হন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি স্বতন্ত্র প্রার্থী তাহমিনা বেগম। এরপর গত ৮ জানুয়ারি সকালে তাহমিনা বেগমের সমর্থক আলিনগর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান মিলন সরদারের নেতৃত্বে একটি বিজয় মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি ইউনিয়নের কালিগঞ্জ বাজার থেকে ফাঁসিয়াতলা বাজারের যাচ্ছিল। এ সময় পথে আলীনগর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান ও নৌকা প্রার্থীর সমর্থক শাহিদ পারভেজের কর্মীরা মিছিলে অতর্কিত হামলা চালান। এতে আহত হন কমপক্ষে ১০ জন। আহতদের উদ্ধার করে কালকিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাদের মধ্যে এমারত সরদারের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় জেলা সদর হাসপাতাল থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়। পরে ঢাকার প্রাইম জেনারেল হাসপাতালে বৃহস্পতিবার চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। এ ব্যাপারে মাদারীপুরের পুলিশ সুপার মো. মাসুদ আলম জানান, এ ঘটনায় এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে এবং হামলায় জড়িতদের ধরতে কাজ করছে পুলিশ।
১১ জানুয়ারি ২০২৪, ২০:৫১

জুরাইন থেকে ককটেল-পেট্রোল বোমা উদ্ধার, মিলল চাঞ্চল্যকর তথ্য
রাজধানীর গোপীবাগে ট্রেনে আগুনের ঘটনার পর জুরাইন রেলগেট-সংলগ্ন একটি বাড়ি থেকে ককটেল ও পেট্রোল বোমাসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। শনিবার (৬ জানুয়ারি) রাজধানীর টিকাটুলির র‌্যাব-৩ এর সদরদপ্তরে এক বিফ্রিংয়ে এই তথ্য জানানো হয়েছে। এর আগে শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) রাত ১টার দিকে জুরাইন রেলগেট-সংলগ্ন রেললাইনের পাশের একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় ককটেল ও পেট্রোল বোমা তৈরিতে ব্যবহৃত ৬টি টেপসহ ৩০টি ককটেল ও ২৮টি পেট্রোল বোমা উদ্ধার করা হয়েছে। গ্রেপ্তাররা হলেন-কিশোরগঞ্জ জেলার নিকলী থানার দাসপাড়া এলাকার মৃত জয়নাল আবেদীনের ছেলে মো. আবুল কাশেম (৩৫), একই জেলার নিকলী থানার শহরমোড় এলাকার মো. আব্দুল কাদেরের ছেলে মো. ফজলে রাব্বী (২৭) এবং নিকলী থানার কারপাশা এলাকার মৃত আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে মো. আলমগীর হোসেন (৩০)। র‌্যাব-৩ জানায়, গত ২৮ অক্টোবর বিরোধী দলের মহাসমাবেশের পর হরতাল ও অবরোধ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে নাশকতাকারীরা রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে গাড়িতে অগ্নিসংযোগ, ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে মানুষের মনে ভীতি সঞ্চারের চেষ্টা করে আসছে। আইনশৃঙ্খলার সার্বিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখা এবং জনগণের জানমাল রক্ষায় র‍্যাব নাশকতাকারীদের গ্রেপ্তারে বিভিন্ন অভিযান পরিচালনা করে আসছে। সৃষ্ট নাশকতা দমনে গাড়ি ও ট্রেনে অগ্নিসংযোগকারী এবং ককটেল প্রস্তুতকারীদের গ্রেপ্তারে র‍্যাব-৩ ইতোপূর্বেও উল্লেখযোগ্য অভিযান পরিচালনা করেছে। সর্বশেষ শুক্রবার রাতে র‍্যাবের একটি চৌকস আভিযানিক দল গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে রাজধানীর জুরাইন রেলগেট-সংলগ্ন রেললাইনের পাশের একটি বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করে। ওই অভিযানে ককটেল ও পেট্রোল বোমা প্রস্তুতকালে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে র‌্যাব জানায়, নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লা থানাধীন আলীগঞ্জ এলাকার আয়নাল নামের এক ব্যক্তি গ্রেপ্তারদের এই ককটেল ও পেট্রোল বোমা প্রস্তুত করার জন্য নির্দেশ প্রদান করে। এসব ককটেল ও পেট্রোল বোমা দিয়ে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি করার জন্য একটি দুষ্কৃতিকারী মহলের রাজধানীতে বড় ধরনের নাশকতা করার পরিকল্পনা ছিল। সেই পরিকল্পনা সফল করতে আয়নালের নির্দেশ অনুযায়ী গ্রেপ্তাররা রাজধানীর জুরাইন রেলগেইটের পাশের একটি বাড়ি ভাড়া করে সেখানে ককটেল ও পেট্রোল বোমা প্রস্তুত করছিল। র‌্যাব আরও জানায়, ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় নাশকতা করার জন্য এই ককটেল ও পেট্রোল বোমা প্রস্তুত করা হয়েছে। নির্বাচনের পূর্বে এসব ককটেল ও পেট্রোল বোমা রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে জনমনে আতঙ্ক, জানমালের ক্ষতিসাধন ও নির্বাচনকে বানচাল করার চেষ্টা চালানোর পরিকল্পনা ছিল।  এ ঘটনায় গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। এ ছাড়াও আয়নালসহ এ ঘটনায় যেসব নাশকতাকারীর সম্পৃক্ততা রয়েছে তাদের গ্রেপ্তারে গোয়েন্দা কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে বলেও জানিয়েছে র‌্যাব। উল্লেখ্য, শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) রাজধানীর গোপীবাগে ট্রেনে আগুনের ঘটনায় এখন পর্যন্ত চারজনের মৃত্যু হয়েছে। সেই সঙ্গে দগ্ধ কয়েকজন শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্ল্যাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন। ট্রেনে নাশকতার ওই ঘটনার পর রাতেই গোপীবাগের কাছাকাছি একটি বস্তিতে বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরকের সন্ধান পায় র‌্যাব। রাতেই বিষয়টি নিশ্চিত করেছিলেন র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
০৬ জানুয়ারি ২০২৪, ১৩:০৭
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়