• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo
জেল থেকে তাড়াতাড়ি বের হওয়ায় যুবককে কুপিয়ে হত্যা
 রাজধানীর মিরপুরের পল্লবীতে জেল থেকে তাড়াতাড়ি বের হওয়ায় পাভেল নামের এক যুবককে কুপিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে।  মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) এ ঘটনায় ৬ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ৫ থেকে ৬ জনকে আসামি করে পল্লবী থানায় বাদী হয়ে মামলা করেছেন নিহতের মা পারুল বেগম।  মামলার আসামিরা হলেন- মো. হাবিব, মো. হানিফ, মো. আনিছ, মো. রায়হান বাবু, মো. মিলন, মো. জহির ও অজ্ঞাত আরও ৫ থেকে ৬ জন।  মামলাসূত্রে জানা গেছে, ভাড়ায় মোটরসাইকেল চালক পাভেল তার পরিবারের সঙ্গে ১২ বছর ধরে বাড্ডা এলাকায় বসবাস করতেন। মামলার আসামিরা পাভেলের পূর্ব পরিচিত ও তারা একসঙ্গে চলাফেরা করতেন। মামলার আসামিরা বাড্ডা এলাকায় মারামারি, চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসা পরিচালনা, মাদক বিক্রয়সহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজ করতেন। পাভেল তাদের (আসামিদের) এসব কর্মকাণ্ডের বিরোধিতা করায় আসামিদের সঙ্গে তার মারামারির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসে পাভেলের বিরুদ্ধে রাজধানীর বাড্ডা থানায় বাদী হয়ে একটি মামলা করেন হাবিব। এই মামলায় পাভেল ১৮ দিন জেল খেটে জামিনে বের হন।  পাভেল তাড়াতাড়ি জেল থেকে জামিনে বের হওয়ায় তার ওপর ক্ষিপ্ত হন হাবিব। তাকে (পাভেল) কাছে পেলে উচিত শিক্ষা দেবেন- এই মর্মে বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখিয়ে এলাকায় প্রচার করেন হাবিব। এতে হাবিবের ভয়ে বিভিন্ন এলাকায় পালিয়ে থাকতেন পাভেল। গত ১৪ এপ্রিল পাভেল বাসা থেকে বের হলে মামলার  প্রধান আসামি হাবিব তাকে মোটরসাইকেলে করে বাড্ডা থেকে মিরপুরের পল্লবী এলাকায় নিয়েন আসে। ওই দিন রাতে মামলার আসামিরা পাভেলকে পল্লবীর ১২ নম্বর  স্বপ্ননগর আবাসিক এলাকা-১ এর পেছনে টেকেরবাড়ি নামক স্থানে গণপূর্তের পুকুরের উত্তর পাড়ে নিয়ে যান। আসামিরা পাভেলের শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারাল অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়িভাবে কুপিয়ে হত্যা করে। পাভেলের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ছোট-বড় মিলিয়ে ৪৫টি ধারাল অস্ত্রের ক্ষত পেয়েছে পুলিশ। ডিএমপির পল্লবী জোনের এসি শাহিদ বলেন, পাভেল ও মামলার আসামিরা সবাই বাড্ডা এলাকার হলেও ঘটনাটি পল্লবী এলাকায় ঘটেছে। মামলার প্রধান আসামি হাবিবসহ অন্যরা আমাদের নজরদারিতে আছে। যেকোনো সময় তাদের গ্রেপ্তার করা হবে।  
১৬ এপ্রিল ২০২৪, ২৩:০৮

যে কারণে জেল থেকে বের হয়েই স্ত্রীকে হত্যা করল স্বামী 
গাজীপুরের শ্রীপুরে স্ত্রী শরিফা খাতুনকে (২২) নির্যাতনের মামলায় কারাভোগ শেষে জেল থেকে বের হয়ে স্ত্রীকে গলাটিপে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামী আরাফাত শুভর (২৫) বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য স্বামী ও শাশুড়ি ইয়াসমিন খাতুনকে থানায় নিয়ে গেছে পুলিশ।  সোমবার (১৫ এপ্রিল) সকাল ৮টায় শ্রীপুরের তেলিহাটি ইউনিয়নের তালতলী পূর্বপাড়া (মুরগি বাজার) স্বামীর বাড়ি থেকে পুলিশ ওই গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করে।  বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকবর আলী খান। গৃহবধূ শরিফা খাতুন শ্রীপুর উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের টেংরা (সুতা পাড়া) গ্রামের শফিকুল ইসলামের মেয়ে এবং একই ইউনিয়নের আরাফাত শুভর স্ত্রী।  স্বামী আরাফাত শুভ একই ইউনয়নের তালতলী পূর্বপাড়া (মুরগি বাজার) গ্রামের শাহজাহানের ছেলে। তিনি পেশায় প্রাইভেটকার চালক। তাদের ঘরে ইসরাত আক্তার নামে আড়াই বছরের একটি মেয়ে রয়েছে। গৃহবধূর মামা ওমর ফারুক বলেন, ‘শুভ ও শরিফা খালাতো ভাই বোন। প্রায় সাড়ে তিন বছর আগে তারা একে অপরকে ভালোবেসে বিয়ে করেছিল। বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই শুভ তার স্ত্রীকে নির্যাতন শুরু করেন। নির্যাতনের বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মীমাংসা না হওয়ায় স্ত্রী শরিফা স্বামীর বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করেন। পরে ওই মামলায় স্বামী শুভ কারাভোগ শেষে সম্প্রতি জেল থেকে জামিনে বের হয়ে আসেন। রোববার (১৪ এপ্রিল) রাতে তাদের ঘরে ঝগড়ার আওয়াজ শুনতে পাই। সকালে শুনি আমার ভাগনি মারা গেছে। মৃত্যুর বিষয়টি জানতে পেরে তার স্বামী ও শাশুড়ি পালিয়ে যেতে চাইলে এলাকাবাসী তাদের আটক করে পুলিশে খবর দেয়।’ স্থানীয়রা জানান, ওই গ্রহবধূর স্বামী আরাফাত শুভ নারী লোভী ও জুয়া খেলার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। এসব অনৈতিক কাজে বাধা দেওয়ায় স্ত্রীর সঙ্গে তার ঝগড়া লেগেই থাকতো। শ্রীপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সাখাওয়াত হোসেন জানান, গৃহবধূর মৃত্যুর খবর শুনে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করেছে। এলাকাবাসী গৃহবধূর স্বামী ও শাশুড়িকে আটক করলে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদেরকে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পর মৃত্যুর সঠিক কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।
১৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:২৪

মোটরসাইকেলে ঘুরতে বের হয়ে প্রাণ গেল দুই বন্ধুর
টাঙ্গাইলের মধুপুরে মোটরসাইকেল নিয়ে ঘুরতে বের হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন দুই বন্ধু।  শনিবার (১৩ এপ্রিল) বিকেলে উপজেলার কাকরাইদ এলাকায় মোটরসাইকেল-প্রাইভেটকারের মুখোমুখি সংঘর্ষে তাদের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় আহত হয়েছে আরেক বন্ধু। তাৎক্ষণিক হতাহতদের পরিচয় পাওয়া যায়নি। মধুপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোল্লা আজিজুর রহমান জানান, তিন বন্ধু মোটরসাইকেল নিয়ে ঘুরতে বের হন। কাকরাইদ এলাকায় আসলে বিপরীত দিক থেকে আসা ময়মনসিংহগামী একটি প্রাইভেটকারের সঙ্গে মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলে একজন নিহত হন। আহত আহত হন দুইজন। তাদের উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।  তিনি আরও জানান, হাসপাতালে নেওয়ার পথে আরেক জনের মৃত্যু হয়। অপরজনের অবস্থাও আশংকাজনক।  
১৩ এপ্রিল ২০২৪, ২১:০৯

ঈদে ঘুরতে বের হয়ে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ৩ জনের মৃত্যু
নেত্রকোণার কলমাকান্দায় ঈদে ঘুরতে বের হয়ে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ৩ যুবকের মৃত্যু হয়েছে।  বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) বিকেলে সীমান্ত সড়কের লেংগুড়া ইউনিয়নের চেংগ্নী বাজার সংলগ্ন এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।  নিহতরা হলেন কলমাকান্দার নাজিরপুর ইউনিয়নের কবির মিয়ার ছেলে হৃদয় মিয়া (২৪), আমতলা গ্রামের মো. জয়নাল মিয়ার ছেলে হালিম মিয়া (২২), হাটশিরা শিবনগর গ্রামের মজিবুর মিয়ার ছেলে নবী হোসেন (৩৫)।  স্থানীয়দের বরাতে পুলিশ জানায়, আজ ঈদের নামাজ শেষে ওই তিন যুবক মোটরসাইকেলে করে কলমাকান্দা ও দুর্গাপুর উপজেলার সীমান্ত সড়কে ঘুরতে যান। দুপুর ৩টার দিকে কলমাকান্দার রংছাতি ইউনিয়নের পাতলা বন এলাকায় পাহাড় দেখে ফেরার পথে চেংগ্নী বাজার এলাকায় সড়কের বাঁক ঘুরতে গিয়ে চালক মোটরসাইকেলটির নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন। এতে মোটরসাইকেল নিয়ে তিনজনই সড়কের নিচে পড়ে যান।  পুলিশ আরও জানায়, পরে স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধার করে দুর্গাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক ৩ জনকেই মৃত ঘোষণা করেন।   ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন কলমাকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ লুৎফুল হক। তিনি বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শনসহ ৩ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতের স্বজনরা ময়নাতদন্ত ছাড়া মরদেহ নিয়ে যেতে আবেদন করেছেন। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে পরামর্শ করে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
১১ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:৫৫

ঈদের শপিংয়ে বের হন ১১ বন্ধু, লাশ হয়ে ফিরলেন ৩ জন
ঈদের বাজার করতে ট্রেনের ইঞ্জিনের সামনে বসে কুমিল্লার থেকে চট্টগ্রামে যাচ্ছিলেন ১১ জন বন্ধু। ট্রেন চলাচলের সময় রেল ক্রসিংয়ে গেট না ফেলায় ট্রাকের সঙ্গে সংঘর্ষে প্রাণ গেল ৩ বন্ধুর। শুক্রবার (৫ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের ফেনীর ফাজিলপুর রেলস্টেশন ও মুহুরিগঞ্জ রেলস্টেশনের মধ্যবর্তী স্থানে এ দুর্ঘটনাটি ঘটে।   এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৬ জন নিহতের খবর পাওয়া গেছে। তাদের মধ্যে তিনজন হলেন চৌদ্দগ্রাম উপজেলার চিওড়া ইউনিয়নের শাকতলা গ্রামের তিন বন্ধু। তারা হলেন- ওই গ্রামের নুরুল হকের ছেলে দিল মোহাম্মদ (২৩), রুহুল আমিনের ছেলে মোহাম্ম রিপাত (১৭) ও মোহাম্মদ ইয়াসিনের ছেলে মো. সাজ্জাদ (১৮)।   শাকতলা গ্রামের বাসিন্দা আবদুল মালেক জানান, ১১ জন বন্ধু একসঙ্গে ঈদের বাজার করার জন্য চট্টগ্রাম যাচ্ছিলেন। দুর্ঘটনায় ৩ জন মারা যাওয়ার পর অন্য বন্ধুরা তাদের লাশ নিজ গ্রামে নিয়ে যায়। লাশগুলো গ্রামে পৌঁছার পর পুরো গ্রামে শোকের ছায়া নেমে আসে। পরিবারগুলো শোকে হতবিহ্বল হয়ে যায়। বিকেলে তাদের লাশ গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। চিওড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু তাহের বলেন, বন্ধুরা মিলে ঈদের শপিং করার উদ্দেশ্যে তারা চট্টগ্রামে যাচ্ছিলেন। পথে দুর্ঘটনায় তিন বন্ধুর মৃত্যু হয়েছে। বিকেলে শাকতলা আজিজিয়া মাদ্রাসার মাঠে জানাজা শেষে পাশাপাশি কবরে তাদের দাফন সম্পন্ন হয়েছে।   এ দুর্ঘটনায় নিহত বাকি ৩ জনের মধ্যে দুজন হলেন বাবা-ছেলে। তারা হলেন- কুমিল্লার লাকসাম উপজেলার মনোহর পুর গ্রামের আমিন হোসেনের ছেলে আবুল খায়ের মিয়া (৪০) ও তার ছেলে আশিক (১৪)। আশিক ও তার বাবা আবুল খায়ের ট্রেনের ইঞ্জিনে বসে চট্টগ্রাম যাচ্ছিলেন। এমন সময় এ দুর্ঘটনা ঘটে। আবুল খায়ের ঘটনাস্থলেই মারা যান। আর গুরুতর আহত অবস্থায় আশিককে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়। ফেনী রেলস্টেশন মাস্টার মোহাম্মদ হারুন জানান, দুর্ঘটনার পর ওই ট্রেনটি পুনরায় পেছনের দিকে ফাজিলপুর স্টেশনে নিয়ে আসা হয়। সেটি বেলা সাড়ে ১১টার পর আবার চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায় যায়। ফেনীর পুলিশ সুপার জাকির হাসান জানান, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে তিনি সকালে ঘটনাস্থল পরির্দশন করেন। এ ঘটনায় আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।   
০৫ এপ্রিল ২০২৪, ২৩:১০

কৃষককে অফিস থেকে বের করে দেওয়ায় দুই কর্মকর্তাকে বদলি
ধান নিয়ে পরামর্শের জন্য মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলা কৃষি অফিসে গেলে কৃষক ফজলুর রহমানকে বের করে দেওয়ার ঘটনায় অভিযুক্ত দুই কর্মকর্তাকে বদলি করা হয়েছে। উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা সালাহউদ্দিন সুজনকে মানিকগঞ্জ থেকে দিনাজপুর অঞ্চলে এবং শিবালয় উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রাজিয়া তরফদারকে ফরিদপুরের সালথায় বদলি করা হয়। বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) রাত ১০টার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক রবিআহ নূর আহমেদ। তিনি বলেন, শিবালয় উপজেলা কৃষি অফিসের উপসহকারী কর্মকর্তাকে দিনাজপুরে এবং কৃষি কর্মকর্তা রাজিয়া তরফদারকেও ফরিদপুরের সালথা উপজেলায় বদলি করা হয়েছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অফিস আদেশে জানা যায়, মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার কৃষি অফিসের উপসহকারী কর্মকর্তা মো. সালাহউদ্দিন সুজনকে দিনাজপুর অঞ্চলের অধীনে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালকের কার্যালয়ে পদায়ন করা হয়েছে। আগামী ৩ এপ্রিলের মধ্যে তিনি দায়িত্বভার হস্তান্তর করবেন, অন্যথায় ৪ এপ্রিল থেকে তাৎক্ষণিক অবমুক্ত (স্ট্যান্ড রিলিস) বলে গণ্য করা হবে। অপরদিকে কৃষি অধিদপ্তরের আরেক অফিস আদেশ থেকে জানা যায়, শিবালয় উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রাজিয়া তরফদারকে মানিকগঞ্জ থেকে ফরিদপুরের সালথা উপজেলায় বদলি করা হয়েছে। আগামী ১৬ এপ্রিল তিনি তার দায়িত্বভার হস্তান্তর করবেন। অন্যথায় ১৭ এপ্রিল থেকে তাৎক্ষণিক অবমুক্ত (স্ট্যান্ড রিলিস) বলে গণ্য হবে। প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলা কৃষি অফিসে ক্ষতিগ্রস্ত একগুচ্ছ ধান নিয়ে পরামর্শ নিতে যান কৃষক ফজলুর রহমান। কৃষি অফিসে দায়িত্বরত কৃষি কর্মকর্তার ওই কৃষকের সঙ্গে খারাপ আচরণ করে। ওই কৃষককে অফিস থেকে বের করে দেন। বিভিন্ন গণমাধ্যমে এ নিয়ে সংবাদ প্রকাশ হলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নজরে আসে। পরে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক (উদ্ভিদ সংরক্ষণ) মো. শহিদুল আমিন এবং অতিরিক্ত উপ-পরিচালক (উদ্যান) মো. মামুন ইয়াকুবকে নিয়ে দুই সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
০৫ এপ্রিল ২০২৪, ০১:৩৩

কৃষককে বের করে দেওয়ার ঘটনায় কর্মকর্তাকে শোকজ
মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলায় কৃষক ফজলুর রহমানকে কৃষি অফিস থেকে বের করে দেওয়ার ঘটনায় দুই সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।  বুধবার (৩ এপ্রিল) প্রতিবেদন জমা দিয়েছে তদন্ত কমিটি। এ ছাড়া ভুক্তভোগী ওই কৃষকের অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাকে কারণ দর্শানোর (শোকজ) নোটিশ দেওয়া হয়েছে। বিকেল পৌনে ৫টার দিকে মানিকগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক রবিআহ নূর আহমেদ বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন। এর আগে মঙ্গলবার শিবালয় উপজেলা কৃষি অফিসে এক গুচ্ছ ধান নিয়ে পরামর্শ নিতে যান কৃষক ফজলুর রহমান। কৃষি অফিসে দায়িত্বরত কৃষি কর্মকর্তা ওই কৃষকের সঙ্গে খারাপ আচরণ করা এবং কৃষককে অফিস থেকে বের করে দেওয়ার ঘটনায় বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নজরে আসে। পরে তাদের নির্দেশে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপপরিচালক (উদ্ভিদ সংরক্ষণ) মো. শহিদুল আমিন এবং অতিরিক্ত উপপরিচালক (উদ্যান) মো. মামুন ইয়াকুবকে নিয়ে দুই সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তারা আজ সকাল থেকে ঘটনাস্থল গিয়ে কাজ করেছেন। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক রবিআহ নূর আহমেদ বলেন, শিবালয় উপজেলা কৃষি অফিসের ঘটনায় আজকে জেলার দুইজন অফিসার এবং উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রাজিয়া তরফদার ভুক্তভোগী ওই কৃষকের সঙ্গে কথা বলেছেন। এ সময় তার ক্ষতিগ্রস্ত ধানের খেতও পরিদর্শন করেন। তিনি আরও বলেন, তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের পাঠানো হয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দেওয়া সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। প্রসঙ্গত, বোরোখেতে পোকার আক্রমণ হওয়ায় গতকাল মঙ্গলবার সকালে শিবালয় উপজেলার উথলী ইউনিয়নের গহেরপুর গ্রামের কৃষক ফজুলুর রহমান পরামর্শের জন্য একগুচ্ছ ধান হাতে কৃষি অফিসে যান। এ সময় তিনি ধানগুলো ছবি তোলার কথা বলেন এবং জেলার উপপরিচালকের ফোন নম্বর চান। একই সঙ্গে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা মাঠে যান না বলে অভিযোগ করলে তেলে-বেগুনে জ্বলে ওঠেন উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সালাউদ্দিন সুজন। পরে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা সালাউদ্দিন সুজন ওই কৃষককে বলেন, ‘আমি কি আপনার কামলা দিই? আপনি কি দেশের প্রেসিডেন্ট হয়ে গেছেন? আপনি বললেই মাঠে যেতে হবে? যা পারেন করেন গা। আপনি বেরিয়ে যান। যদি বয়স্ক লোক না হতেন তাহলে আপনাকে দেখে দিতাম।’ একপর্যায়ে তাকে অফিস থেকে বের করে দেওয়া হয়। ঘটনা জানার পর দুই সাংবাদিক ভুক্তভোগী কৃষককে সঙ্গে নিয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রাজিয়া তরফদারের কাছে গেলে তিনিও সাংবাদিকদের সামনেই কৃষকের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন। সাংবাদিকরা এর প্রতিবাদ করলে তাদের সঙ্গেও অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন কৃষি কর্মকর্তা রাজিয়া তরফদার।
০৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৬:০৮

বুয়েটে জঙ্গিরা সক্রিয় কি না খুঁজে বের করতে হবে : পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বুয়েটে যে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছিল। ওই ঘটনার বিচারও হয়েছে। কিন্তু প্রগতিশীল রাজনীতি বন্ধের আড়ালে সেখানে নিষিদ্ধ জঙ্গিগোষ্ঠী সক্রিয় হয়েছে কি না সেটি খুঁজে বের করতে হবে। সোমবার (১ এপ্রিল) বিকেলে জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন। ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বুয়েটে সাধারণ ছাত্ররা যে আন্দোলন করছেন সেটিকে সম্মান জানাই। কিন্তু সাধারণ শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সুযোগ নিয়ে একটি শ্রেণি বুয়েটকে জঙ্গিবাদের আখড়ায় পরিণত করতে চায়, সেই আশঙ্কা করা হচ্ছে। এটি কিছুতেই মেনে নেওয়া যায় না। বুয়েটে জঙ্গিবাদ ঢুকেছে কি না সেটিও দেখা দরকার। তিনি বলেন, বিরাজনীতিকরণের নামে বুয়েটকে জঙ্গিবাদের আখড়া বানাতে পারি না। বুয়েট থেকে দেশের অনেক বরেণ্য রাজনীতিবিদ পাস করেছেন। কিন্তু একটি গোষ্ঠী নির্বাচন বয়কট করেছিল এবং পরে বিদেশিদের মুখের দিকে তাকিয়েছিল যে কিছু হয় কি না। কিন্তু বিশ্বনেতারা প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানানোর ফলে তাদের সেই আশা পূরণ হয়নি। তারাই বুয়েটকে বিরাজনীতিকরণের মাধ্যমে পুরো দেশকে বিরাজনীতিকরণ করতে চায়। ‘ক্যাম্পাসের বাইরে রাজনীতি করার অপরাধে বুয়েট ছাত্রকে ক্যাম্পাস থেকে বহিষ্কার করার ঘটনা ঘটেছে- এটি কোন ধরনের সিদ্ধান্ত, সেটি নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে উল্লেখ করেন মন্ত্রী। সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এবং সংসদ সদস্য ও চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমেদ। ভারতের নয়াদিল্লিতে নিযুক্ত বাংলাদেশ হাইকমিশনের মিনিস্টার (প্রেস) শাবান মাহমুদ, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সভাপতি ওমর ফারুক, সম্পাদক ফোরামের আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম রতন, বাচসাস সাধারণ সম্পাদক রিমন মাহফুজ প্রমুখ এতে অংশ নেন।
০১ এপ্রিল ২০২৪, ২০:৪২

অস্ত্রোপচারে বের হলো পায়ুপথে ঢুকে পড়া কুঁচিয়া
সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অবিশ্বাস্য ও দুর্লভ এক অপারেশন সম্পন্ন হয়েছে গত ২৪ মার্চ। যা এ যাবৎকালের স্বরণীয় ঘটনা হিসেবে বলছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। রোগীর পেট থেকে অপারেশন করে জীবন্ত মাছ বের করেছেন হাসপাতালের ডাক্তাররা। ওসমানী মেডিকেল সূত্রে জানা যায়, মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা মিতিঙ্গগা চা বাগানের উপজাতি বাসিন্ধা ধনমুন্ডার ছেলে সম্ররামুন্ডা (৫৫)। তিনি একজন রেজিস্ট্রার কার্ডধারী জেলে। কাদার মধ্যে মাছ ধরতে গিয়ে তার পায়ুপথ দিয়ে ২৫ ইঞ্চি কুঁচিয়া মাছ (জেল ফিস) প্রবেশ করে পেটে। দুই দিন পর সিলেট ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালে অস্ত্রোপচার করে সেই মাছ জ্যান্ত বের করা হয়। সম্ররামুন্ডা বিভিন্ন জায়গা থেকে মাছ ধরে স্থানীয়দের কাছে বিক্রি করেন। গত ২৩ মার্চ মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলার স্থানীয় হাওরে মাছ ধরতে গেলে হঠাৎ কোমর সমান কাদায় আটকে যান। তখন তার দুই হাতে থাকা দুটি কুঁচিয়া মাছের একটি পানিতে পড়ে যায় এবং আরেকটি কাদায় পড়ে। কাদাতে পড়ে যাওয়া মাছ ধরতে গিয়ে তিনি অনুভব করেন তার পায়ু পথে কি যেন ডুকছে। তবে সেটিকে গুরুত্ব দেননি তিনি। পরে সম্ররা মুন্ডা সেখান থেকে উঠে বাড়িতে আসার পর তার পেটে প্রচুর ব্যথা অনুভব হয়। তার ছেলে জানান তার বাবা সম্ররামুন্ডা হাফ প্যান্ট পরে মাছ শিকারে গিয়েছিলেন। কাদায় আটকে পায়ু পথে মাছ ঢুকলেও তিনি বাড়িতে এসে এ ব্যাপারে কাউকেই কিছু বলেননি। তবে এক পর্যায়ে পেটে তীব্র ব্যথা শুরু হলে ২৪ মার্চ রোববারে স্থানীয় হাসপাতালে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। ওসমানীর চিকিৎসকগণ তার ব্যথার কথা শুনে এক্সরের মাধ্যমে পেটের ভিতর লম্বা আকৃতির একটি বস্তু দেখতে পান। কর্তব্যরত ডাক্তাররা সিনিয়দের সঙ্গে আলাপ করে সম্ররা মুন্ডাকে সন্ধায় অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যান। সেখানে প্রফেসর জানে আলমের নেতৃত্বে ৪ জন চিকিৎসক ২ ঘণ্টা অপারেশন চালিয়ে পেটের ভিতর থেকে একটি জীবন্ত কুঁচিয়া (জেল ফিস) মাছ বের করেন। এ ঘটনায় ডাক্তারা বিস্মিত হন। পরে পেটের ভিতর থেকে কুচিয়া মাছ বের করার ঘটনা জনসাধারণের মধ্যে জানাজানি হলে সিলেট জুড়ে তোলপাড় শুরু হয়। রোববার রাতে সিওমেকের সার্জারি ইউনিট-২ প্রধান অধ্যাপক ডা. কাজী জানে আলমের নেতৃত্বে অস্ত্রোপচার করে ওই রোগীর পেট থেকে মাছটি বের করা হয়। অস্ত্রোপচারে অংশগ্রহণ করেন সার্জারি ইউনিট-২ এর সহকারী রেজিস্ট্রার ডা. রাশেদুল ইসলাম ও ডা. তৌফিক আজিজ শাকুর।  এ ব্যাপারে ওসমানী মেডিকেলের উপপরিচালক ডা. সৌমিত্র চক্রবর্তী  জানান, সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে অস্ত্রোপচার করে তার পেট থেকে জ্যান্ত ২৫ ইঞ্চি কুঁচিয়া মাছ (জেল ফিস) উদ্ধার করা হয়েছে। এটা একটা অপ্রত্যাশিত ও কঠিন অপারেশন ছিল যা আমাদের টিম ভালোভাবে সম্পন্ন করেছে। রোগী পুরোপুরি সুস্থ আছেন। বর্তমানে সম্ররা মুন্ডা ওসমানী মেডিকেলের ১১নং ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন আছেন বলে জানান তিনি। যদি রোগী অপারেশনে আসতে দেরি করতেন তাহলে তার মারা যাওয়ার আশংকা ছিল।  
২৭ মার্চ ২০২৪, ০০:৫৫

ঘানি টেনে তেল বের করা সেই দুদু মিয়া পেলেন গরু সহায়তা
বগুড়া সারিয়াকান্দির ভেলাবাড়ী ইউনিয়নের ছাইহাটা গ্রামের বৃদ্ধ দুদু মিয়াকে (৬২) গরু সহযোগিতা প্রদান করা হয়েছে।  মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) বিকেলে এ সহায়তা প্রদান করেছেন অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা কর্নেল জগলুল আহসান।  তিনি এ উপজেলার নারচী ইউনিয়নের বাঁশগাড়ি গ্রামের বাসিন্দা। দুদু মিয়া ও তার স্ত্রী হালিমা বেগম দীর্ঘ ৯ বছর ধরে নিজেদের কাঁধে জোয়াল নিয়ে তেলের ঘানি টেনে সরিষা থেকে তেল বের করে অনেক কষ্টে সংসার চালাতেন। এ বিষয়ে গত ১৪ মার্চ আরটিভিতে সরাসরি ভিডিও চিত্র প্রকাশ করা হয়। দুদু মিয়ার আগে ছিল গোয়ালভরা গরু এবং বসতভিটাসহ বেশ কিছু কৃষিজমি। বেশ কয়েকবছর আগে তিনি বাঙালি নদী ভাঙনের শিকার হন। সামান্য জমি কিনে ছাইহাটা গ্রামে বসবাস শুরু করেন। গত কয়েকবছর আগে তার একমাত্র নাতনির দুরারোগ্য রোগের চিকিৎসার জন্য তিনি তার এ ভিটেমাটিও বিক্রি করেন। বিক্রি করেন তার তেলের ঘানি টানা সবগুলো গরু। পরে তিনি নিজেই গরুর বদলে তেলের ঘানির জোয়াল কাঁধে নেন। সারাদিন যা তেল পান তা বাজার বা গ্রামে বিক্রি করে চলতো তার সংসার। এ কাজে তার স্ত্রী হালিমা বেগম তাকে সহযোগিতা করতেন। তিনিও কাঁধে জোয়াল নিয়ে তেলের ঘানি টানতেন। এ বিষয়ে গণমাধ্যমের সংবাদে অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা কর্নেল জগলুল আহসান তাকে একটি গরু কিনে দিয়েছেন এবং তেলের ঘানিটি মেরামত করতে নগদ অর্থ প্রদান করেছেন। বৃদ্ধ দুদু মিয়া বলেন, ‘গরুডা পায়া হামি খুবই খুশি হছি। আল্লাহ যেন কর্নেল সাহেবের ভালোই করেন। আজ থেকে হামার ঘার থেকে জোয়াল নামল। হামার চির ভোগান্তির অবসান হলো। আর হামার নিজের কাঁধে জোয়াল টানা নাগবি নে।’ অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা কর্নেল জগলুল আহসান বলেন, বৃদ্ধ দুদু মিয়াকে এ সহযোগিতা প্রদান করতে পারায় আমিও খুবই খুশি। এতে তার চির কষ্টের অবসান হয়েছে। বেশ কয়েকবছর ধরেই আমি গ্রামের অসহায় মানুষদের সহযোগিতা করার চেষ্টা করছি।
২০ মার্চ ২০২৪, ১৪:৫৫
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়