• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo
১০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে বেগুন
মাত্র কয়েক দিনের ব্যবধানে পাবনায় অস্বাভাবিকভাবে কমেছে বেগুনের দাম। কিছুদিন আগেই যেখানে ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে বেগুন, সেখানে এখন মাত্র ১০ টাকা কেজিতে বেগুন বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন সবজি বিক্রেতারা। মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) সকালে উপজেলার বরইচরা হাটে বেগুন ১০ টাকা কেজি দরে কেনাবেচা করতে দেখা যায়। নিম্নমানের বেগুন কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে মাত্র ৫ টাকায়। এর আগে রমজানের প্রথম দিন (১২ মার্চ) সকালে পাবনার ঈশ্বরদী বাজারে ৬০ টাকা কেজি দরে বেগুন বিক্রি হয়েছে। এ বিষয়ে কথা হয় বরইচরা হাটের কয়েকজন সবজি বিক্রেতার সঙ্গে। তারা বলেন, গেল রোববার (১৭ মার্চ) হাটে ব্যাপক সবজির আমদানি হয়েছে। বিশেষ করে বেগুন ও পাতা কপিতে হাট ভরপুর। বাজারের সবচেয়ে ভালো বেগুন বিক্রি হচ্ছে ১০ টাকা কেজিতে। আর একটু নিম্নমানের বেগুন ৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এক সবজি বিক্রেতা আক্ষেপ করে বলেন, এত বেশি বেগুনের আমদানি হয়েছে যে বেগুন কেনার ক্রেতাই পাওয়া যাচ্ছে না। যে যার মতো কমদামে বেগুন বিক্রি করছে। আমি ৪৫০ টাকা মণ বেগুন কিনে ৪০০ টাকা মণ বিক্রি করছি। কিছু তো করার নেই কাঁচামালের ব্যবসা এমনই হয়। অসময়ের বেগুন চাষে গত বছর রমজানে চাষিরা বেগুনের ভালো দাম পেয়েছিল। তাই এবারও অনেকেই বেগুন চাষ করেছে। কিন্তু এবার বেগুনের দাম তুলনামূলক অনেক কম। বেগুন চাষিদের এবার লোকসান গুনতে হবে। এ দিকে ঈশ্বরদীর বৃহৎ সবজির বাজারের আড়তদাররা বলছেন, ঈশ্বরদীতে প্রচুর সবজির আবাদ হয়। পাশাপাশি বেগুন, আলু ও কাঁচামরিচ, পেঁয়াজসহ বেশ কিছু সবজি ও মসলা জাতীয় পণ্য পাশের জেলা-উপজেলা থেকে আড়তে আনা হয়। প্রথম রমজানে বেগুনের যে দাম ছিল এখন তার চার ভাগের একভাগ দামও নেই। প্রথম দিন ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে বেগুন কেনাবেচা হয়েছে। গত দুই দিন ১০ থেকে ১৫ টাকা কেজি দরে বেগুন কেনাবেচা হচ্ছে। আড়তদাররা জানান, কাঁচামালের বাজার আমদানির ওপর নির্ভর করে। তবে ২ থেকে ৪দিনের মধ্যে বেগুনের দাম আবার বেড়েও যেতে পারে।
১৯ মার্চ ২০২৪, ১৩:৫৯

১০০ টাকার বেগুন বগুড়ায় বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকায়, মিলছে না ক্রেতা
বগুড়ার বাজারে আলু ছাড়া কমেছে অধিকাংশ শাকসবজির দাম। তবুও মিলছে না ক্রেতা। এতে চরম বিপাকে পড়েছেন সবজি ব্যবসায়ীরা।  রোজা শুরুর আগের দিনও রাজাবাজার ও ফতেহ আলী বাজারে ৫০ টাকা কেজি দরের বেগুনের দাম ওঠে ১০০ টাকায়। ৪০ টাকার শিম বিক্রি হয় ৮০ টাকায়। এভাবে টমেটো, গাজর, খিরা, শসা ও লেবুসহ প্রায় সব ধরনের শাকসবজি দ্বিগুণ দামে বিক্রি হয়। মাত্র কয়েক দিনের ব্যবধানে বেগুনের দর খুচরা বাজারে কেজিপ্রতি ২০ টাকায় নেমেছে। অন্য শাকসবজির দামও নেমেছে অর্ধেকে। এ দিকে রোজার আগের দিন থেকে শিম ১০০, গাজর ৪০, টমেটো ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়। লেবুর হালি ছিল সর্বনিম্ন ৪০ টাকা। শসার কেজি ১০০ টাকা, খিরা ৮০ টাকা।  সরেজমিনে কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা যায়, কয়েকদিনের ব্যবধানে শিমের দাম চাওয়া হচ্ছে ২০ থেকে ৩০ টাকা, গাজর ১৫ টাকা ও টমেটো ২৫ টাকা, শসা ও খিরা ৪০ টাকা। লেবুর হালি ২০-২৫ টাকা। এ বিষয়ে রাজাবাজারের একজন ব্যবসায়ী জানান, গত সোম থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সব ধরনের শাকসবজির দাম চড়া ছিল। শুক্রবার ধস নামে। ১০০ টাকা কেজির বেগুন ২০ টাকা হলেও ক্রেতা পাওয়া যাচ্ছে না।  দাম কমার বিষয়ে এ ব্যবসায়ী বলেন, আমদানি বেশি। সেই তুলনায় ক্রেতা নেই। এ কারণে কম দামেও পণ্য বিক্রি করা যাচ্ছে না। যেখানে দেশি নতুন পেঁয়াজের কেজি ছিল ৮০ টাকা। গতকাল থেকে সেই পেঁয়াজ ৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে আলুর দাম কেজিতে ছয় টাকা বেড়ে ৩৬ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কাঁচামরিচের দাম কমেছে অর্ধেক। রোজার এক দিন আগে ৪০ টাকা বেড়ে বিক্রি হয় ৮০ টাকা কেজি দরে। অথচ রোববার আবার আগের দামেই কাঁচামরিচ বিক্রি হয়। ফতেহ আলী বাজারের এক ব্যবসায়ী জানান, আলুর দাম তিন দিন আগেও কেজিপ্রতি ৩০ টাকা ছিল। শুক্রবার ৩৬ টাকায় বিক্রি হয়। মাঠে কৃষকের খেতে আলু নেই। এ কারণে সরবরাহ কমায় দাম বাড়ছে। কৃষি বিপণন বিভাগ বগুড়ার মাঠ ও বাজার পরিদর্শক আবু তাহের জানান, বেগুন, শিম, খিরা, শসা ও লেবুর দাম যেভাবে বেড়েছিল সেভাবেই কমেছে। বাজারে সরবরাহের তুলনায় ক্রেতা না থাকায় দাম কমেছে।
১৮ মার্চ ২০২৪, ১৪:৪৫

৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে বেগুন
মাত্র তিন দিনের ব্যবধানে ৬০ টাকা কেজি দরের বেগুন এখন বিক্রি হচ্ছে মাত্র ৫ টাকায়। শুক্রবার (১৫ মার্চ) সন্ধ্যায় পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার বরইচরা হাটে এই দামে বেগুন বিক্রি করতে দেখা যায়। অথচ রমজানের প্রথমদিন সকালে ঈশ্বরদী বাজারে ৬০ কেজি দরে বিক্রি হয়েছে এ সবজি। বরইচরা হাটের সবজি বিক্রেতা নাজির হোসেন জানান, আজকে বাজারে অনেক সবজি এসেছে। বিশেষ করে প্রচুর পরিমাণে বেগুন ও বাধাকপি এসেছে। এখন বাজারে সবচেয়ে ভালো বেগুন বিক্রি হচ্ছে ১০ টাকা কেজি দরে। আর একটু নিম্নমানের বেগুন পাঁচ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। হাটে সবজি কিনতে আসা আব্দুল মান্নান বলেন, বেগুনের দাম শুনে আমি নিজেই অবাক হয়ে গেছি। গতবছর রমজানে প্রতিকেজি বেগুন ৬০ থেকে ৯০ টাকায় কিনেছি। এবার হাটে এসে দেখি ৫-১০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। তাই এক কেজির পরিবর্তে দুই কেজি কিনেছি। আড়তদার আমজাদ হোসেন বলেন, ঈশ্বরদীতে প্রচুর সবজির আবাদ হয়। পাশাপাশি বেগুন, আলু, কাঁচামরিচ ও পেঁয়াজসহ বেশকিছু সবজি পাশের জেলা থেকেও আসে। প্রথম রমজানে বেগুনের যে দাম ছিল এখন তার চার ভাগের এক ভাগ দামও নেই। তবে কয়েকদিনের মধ্যে বেগুনের দাম আবার বেড়ে যেতে পারে। এদিকে বেগুনের দাম কম পাওয়ায় লোকসানের মুখে চাষিরা। মানিকনগর গ্রামের বেগুন চাষি আনিসুর রহমান বলেন, গতবছর রমজানে চাষিরা বেগুনের ভালো দাম পেয়েছিলেন। তাই এবারও অনেকেই বেগুন চাষ করেছেন। কিন্তু এবার বেগুনের দাম তুলনামূলক অনেক কম। তাই এবার আমাদের লোকসান গুনতে হবে।
১৫ মার্চ ২০২৪, ২১:৪২
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়