• ঢাকা বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
logo
ভাষানটেকে বিস্ফোরণ / দগ্ধ শিশু লামিয়াও বেঁচে রইল না
রাজধানীর ভাষানটেকে গ্যাস সিলিন্ডার লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে দগ্ধ আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (১৬ এপ্রিল) সকালে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন সবশেষ শিশু লামিয়ার (৭) মৃত্যু হয়। এ নিয়ে চারজনের মৃত্যু হলো। বিষয়টি নিশ্চিত করেন বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক ডা. তরিকুল ইসলাম জানান, শরীরের ৫৫ ভাগ পুড়ে যাওয়ায় শুরু থেকেই লামিয়ার অবস্থা ছিল সংকটাপন্ন। এর আগে, লামিয়ার মা সূর্য বানু, বাবা লিটন মিয়া ও নানি মেহেরুন্নেছা চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। একই ঘটনায় এখনও হাসপাতালে ভর্তি লামিয়ার বড় বোন লিজা (১৮) ও ভাই সুজন (৮)। তারাও শঙ্কামুক্ত নন। উল্লেখ্য, গত ১২ এপ্রিল ভোর ৪টার দিকে মিরপুরের ভাসানটেক এলাকার একটি বাসায় গ্যাস সিলিন্ডার লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে একই পরিবারের ছয়জন দগ্ধ হন। দগ্ধরা হলেন মেহরুন্নেছা (৬৫), সূর্য বানু (৩০), লিজা (১৮), লামিয়া (৭), সুজন (৯) ও মো. লিটন (৫২)। এরমধ্যে মেহরুন্নেসার ৪৭ শতাংশ, সূর্য বানু ৮২ শতাংশ, লামিয়া ৫৫ শতাংশ, মো. লিটন ৬৭ শতাংশ, লিজার ৩০ শতাংশ এবং সুজনের ৪৩ শতাংশ দগ্ধ হয়।
১৯ এপ্রিল ২০২৪, ১২:০১

সখীপুরে প্রবাসীর স্ত্রীর একসঙ্গে ৬ সন্তান জন্ম, বেঁচে নেই কেউ
টাঙ্গাইলের সখীপুরে একই মায়ের গর্ভে ৬ সন্তানের জন্ম হয়েছে।  বুধবার (১১ এপ্রিল) উপজেলার বহুরিয়া ইউনিয়নের কালমেঘা কড়ইচালা এমন বিরল ঘটনাটি ঘটে।  সখীপুরে এমন ঘটনা এটিই প্রথম।  প্রবাসী ফরহাদ মিয়ার মামা উদয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাজাহান মিয়া জানান, আমার ভাগ্নের স্ত্রী সুমনা আক্তার (২৬) প্রায় ৫ মাস যাবৎ অন্তঃসত্ত্বা। ঈদের দিন হঠাৎ আনুমানিক সকাল ১০টার দিকে প্রচন্ড পেটে ব্যথা অনুভব করলে দ্রুত সখীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করি। সুমনার অবস্থা অবনতি হলে, তাকে দ্রুত মির্জাপুর কুমুদিনী হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।  তিনি আরও জানান, কুমুদিনী হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাক্তারি পরীক্ষা শেষে সুমনার পেটে ৬ বাচ্চার বিষয়টি নিশ্চিত হন। পরে নরমাল ডেলিভারিতে ৪টি মেয়ে ও ২টি ছেলে প্রসব করানো হয়। ওই প্রবাসীর স্ত্রীর গর্ভে ৬ সন্তান কেউই বেঁচে নেই। প্রবাসীর স্ত্রীর অবস্থা এখনও সংকটাপন্ন। এ বিষয়ে বহুরিয়া ইউনিয়নের ইউপি সদস্য আফজাল হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এই দম্পতির আগে কোনো সন্তানাদি ছিল না। এমন ঘটনায় পরিবারে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
১১ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:১৩

সেতু থেকে খাদে পড়ে ৪৫ বাসযাত্রীর মৃত্যু, অলৌকিকভাবে বেঁচে গেল শিশু 
দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু পার হওয়ার সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ১৬৫ ফুট গভীর খাদে পড়ে গেছে যাত্রীবাহী একটি বাস। ৪৫ জনের প্রাণহানি হয়েছে এতে। তবে ভয়াবহ এই দুর্ঘটনায় অলৌকিকভাবে বেঁচে গেছে একটি শিশু। খবর বিবিসির।  শুক্রবার (২৯ মার্চ) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দক্ষিণ আফ্রিকায় একটি বাস সেতু থেকে প্রায় ৫০ মিটার (১৬৫ ফুট) গভীর খাদে পড়ে যাওয়ার পর ৪৫ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। অবশ্য বৃহস্পতিবারের এ ঘটনায় আট বছর বয়সী এক মেয়ে শিশুকে একমাত্র জীবিত অবস্থায় পাওয়া গেছে এবং গুরুতর আহত অবস্থায় পরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, দুর্ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ আফ্রিকার উত্তর-পূর্ব লিম্পোপো প্রদেশে। জোহানেসবার্গের প্রায় ৩০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ঘটনাস্থলটি। দুর্ঘটনার শিকার সবাই ছিলেন তীর্থযাত্রী এবং তারা বতসোয়ানার রাজধানী গ্যাবোরোন থেকে মোরিয়া শহরে ইস্টার সার্ভিসে যাচ্ছিলেন।  জানা গেছে, বাসটি পথিমধ্যে জোহানেসবার্গের প্রায় ৩০০ কিলোমিটার (১৯০ মাইল) উত্তরে মোকোপানে এবং মার্কেনের মধ্যে অবস্থিত মামামতলাকালা পর্বত গিরিপথের একটি সেতু পার হওয়ার সময় হঠাৎ নিয়ন্ত্রণ হারায়। এ অবস্থায় সেতুর ব্যারিয়ারে ধাক্কা দিয়ে ছিটকে ১৬৫ ফুট গভীর খাদে পড়ে যায় যাত্রীবাহী বাসটি। খাদে আছড়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে আগুনও ধরে যায় বাসটিতে।  খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়েছেন দেশটির পরিবহন মন্ত্রী সিন্দিসিওয়ে চিকুঙ্গা। একই সঙ্গে মর্মান্তিক এ দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, দক্ষিণ আফ্রিকার সরকার মৃতদেহ ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করবে এবং দুর্ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখতে পূর্ণ তদন্ত করবে। এ সময় ইস্টার উইকএন্ড উপলক্ষে রাস্তায় মানুষের ভিড় বৃদ্ধি পাওয়ায় আরও বেশি সতর্কতার সঙ্গে দায়িত্বশীলভাবে গাড়ি চালানোর জন্য অনুরোধ করেন মন্ত্রী।
২৯ মার্চ ২০২৪, ১২:৩১

ট্রেনের নিচে পড়েও অলৌকিকভাবে বেঁচে গেল কিশোরী 
নরসিংদীতে ট্রেনের নিচে পড়ে গেলেও অলৌকিকভাবে বেঁচে গেছে এক কিশোরী। ট্রেন আসতে দেখে ওই কিশোরী রেললাইনে শুয়ে পড়ে। এ অবস্থায় ট্রেনটি তার ওপর দিয়েই চলে যায়। ট্রেন চলে যাওয়ার পর সে অক্ষত অবস্থায় উঠে বসে।  শনিবার (২৩ মার্চ) বিকেল ৫টার দিকে নরসিংদী রেলওয়ে স্টেশন ও আরশীনগর রেলক্রসিংয়ের মধ্যবর্তী স্থানে এ ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীরা তাকে ঘিরে ধরার পরও আনুমানিক ১৪ বছর বয়সী ওই কিশোরী তার নিজের নাম জানায়নি। শুধু জানায়, সদর উপজেলার চিনিশপুর ইউনিয়নের টাওয়াদী গ্রামের গাবগাছতলা এলাকার হালিম মিয়ার মেয়ে সে।   ওই কিশোরীর শরীরের কয়েক জায়গায় ছিলে যায়। তাকে উদ্ধার করা লোকজন এমনটি করার কারণ জানতে চাইলে, শুধু বাবার নাম এবং ঠিকানা জানানোর পর সে চুপ হয়ে যায়। পরে তাকে নরসিংদী সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেন তারা। নরসিংদী সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) মাহমুদুল কবির বাসার জানান, ট্রেনের নিচে শুয়ে পড়ে বেঁচে যাওয়া কিশোরী মেয়েটিকে সাড়ে ৫টার দিকে আমাদের হাসপাতালে আনা হয়েছিল। তার হাত-পায়ের কয়েক জায়গা ছিলে গিয়েছিল।  নরসিংদী রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপপরিদর্শক নাজিউর রহমান বলেন, নোয়াখালীগামী উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনের নিচে আত্মহত্যা করার জন্যই শুয়ে পড়েছিল ওই কিশোরী। তবে ভাগ্যক্রমে সে বেঁচে গেছে। রেলপুলিশ ও স্থানীয়রা তাকে হাসপাতালে নিলে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
২৪ মার্চ ২০২৪, ০৮:৫৮

‘বুড়িগঙ্গায় জলজ প্রাণী বেঁচে থাকার সুযোগ নেই’
ঢাকার বুড়িগঙ্গা নদীতে জলজ প্রাণী বেঁচে থাকার সুযোগ নেই। জলজ প্রাণী বেঁচে থাকার জন্য দ্রবীভূত অক্সিজেন (ডিও) ৪ মিলিগ্রাম/লিটার থাকা প্রয়োজন। কিন্তু বুড়িগঙ্গা নদীতে সদরঘাট টার্মিনাল থেকে শ্যামপুর বিআইডব্লিউটিএ টার্মিনাল পর্যন্ত দ্রবীভূত অক্সিজেন (ডিও) মাত্র ০.১৪ থেকে ০.৭২ মিলিগ্রাম/লিটার। বলে জানিয়েছে পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন আন্দোলন (পরিজা) ও মানবাধিকার উন্নয়ন কেন্দ্র। বিশ্ব পানি দিবস উপলক্ষে শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে পরিজা ও মানবাধিকার উন্নয়ন কেন্দ্রের যৌথ উদ্যোগে প্রতিবেদন প্রকাশ ও গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে জানানে হয়, পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি মিঠা পানি নদীবেষ্টিত শহর ঢাকা। এই বিশাল মিঠা পানির জলাধার ইতোমধ্যে ব্যবহার অযোগ্য হয়ে পড়েছে। তাছাড়া অভিন্ন নদীর পানি উজান থেকে প্রত্যাহার করায় ধীরে ধীরে উত্তরাঞ্চল মরুকরণের দিকে যাচ্ছে এবং দক্ষিণাঞ্চলের নদীগুলোতে লবণাক্ততা বাড়ছে। এমন পরিস্থিতি চলতে থাকলে ২০৫০ সাল নাগাদ পানির কারণে মারাত্মক পরিবেশ বিপর্যয় নেমে আসবে। প্রতিবেদনে বলা হয়, বুড়িগঙ্গা নদীর পরিবেশ জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকিস্বরূপ। এতে কোনো জলজ প্রাণী বেঁচে থাকার সুযোগ নেই। অপরিশোধিত শিল্পকারখানায় বর্জ্য ও পয় : বর্জ্য, নৌযানের বর্জ্য, কঠিন বর্জ্য নদীতে ফেলার কারণে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। পরিজার সভাপতি প্রকৌশলী মো. আবদুস সোবহানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ফেরদৌস আহমেদ উজ্জ্বলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক ছিলেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ও ডাকসুর সাবেক জি এস ডা. মোস্তাক হোসেন। বক্তারা বলেন, জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী বিশ্বে বর্তমানে ২.২ বিলিয়ন মানুষ বিশুদ্ধ পানীয় জল থেকে বঞ্চিত এবং এদের সংখ্যা প্রতিনিয়ত বাড়ছে। ২০৫০ সাল নাগাদ বিশ্ব জনসংখ্যা ২ বিলিয়ন বৃদ্ধি পাবে এবং বিশ্বব্যাপী পানির চাহিদা ৩০ শতাংশ বেড়ে যাবে। বর্তমানে বিশ্বে কৃষি খাতে ৭০ শতাংশ (যার বেশির ভাগই সেচ কাজে), শিল্প খাতে ২০ শতাংশ (বিশেষ করে জ্বালানি ও উৎপাদনে), গৃহস্থালি কাজে ১০ শতাংশ (যার এক শতাংশেরও কম সুপেয় পানি) হিসাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। এ দেশে ছোট বড় ৪০৫টি নদী রয়েছে। এরমধ্যে অভিন্ন নদীর সংখ্যা ৫৭টি। ৫৪টি ভারতের এবং ৩টি মিয়ানমারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। দেশের নদীগুলোর ৪৮টি সীমান্ত নদী, ১৫৭টি বারোমাসি নদী, ২৪৮টি মৌসুমী নদী। মানুষের অত্যাচারে নদীগুলো আজ মৃতপ্রায়। উজানে পানি প্রত্যাহারের কারণে উত্তরাঞ্চলের নদীগুলো শুল্ক বালুচরে পরিণত হয়েছে এবং দক্ষিণাঞ্চলের নদীগুলোতে লবণাক্ততা বেড়েই চলেছে। দখল, ভরাট, আর বর্জ্যে নদীগুলো এখন নিস্তব্ধ স্রোতহীন এবং দূষণের ভারে পানি ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে জীববৈচিত্র শূন্য হয়ে পড়ছে। ফলে পরিবেশ, প্রতিবেশ, অর্থনীতি, জনস্বাস্থ্য ও জীবন-জীবিকা মারাত্মক হুমকির সম্মুখীন। ডা. মোস্তাক হোসেন বলেন, নিরাপদ পানি অভাবে মানব শরীরের কিডনি, লিভার, হার্টসহ নানান অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বিকল হয়ে যেতে পারে। নিরাপদ পানির অভাবে ঢাকা শহরের অধিকাংশ মানুষ পেটের সমস্যাসহ নানান সমস্যায় ভুগে থাকেন। ঢাকা শহরের লক্ষ লক্ষ প্রান্তিক মানুষ পানির ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত দাবি করে পরিজার সাধারণ সম্পাদক ফেরদৌস আহমেদ উজ্জল বলেন, সকালবেলায় বস্তির মানুষেরা এক কলসি পানির জন্য এই শহরে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করে; যা তাদের জীবন জীবিকাকে চ্যালেঞ্জের মধ্যে ফেলছে। সরকারকে এই প্রান্তিক মানুষের কথা ভেবে উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। একটি রোডম্যাপ করে দেশব্যাপী পানির অধিকারের জন্য আন্দোলন গড়ে তুলতে আহ্বান জানান মানবাধিকার উন্নয়ন কেন্দ্রের সদস্য সচিব মাহবুল হক।
২৩ মার্চ ২০২৪, ১৫:৪৭

জিম্মি জাহাজের ফাইটারের বার্তা / ‘এখনও অক্ষত আছি, বেঁচে ফিরলে দেখা হবে’
জলদস্যুদের হাতে জিম্মি ‘এমভি আবদুল্লাহ’ জাহাজের ফাইটার হিসেবে কর্মরত আহমেদ মো. সালেহ (৪৮) তার স্ত্রী তানিয়া আক্তারকে অডিওবার্তায় বলেছেন, ‘একটু আগে সাহরি খেয়েছি। এখনও অক্ষত আছি, বেঁচে ফিরলে দেখা হবে।’ বুধবার (১৩ মার্চ) আহমেদ মো. সালেহের স্ত্রী তানিয়া আক্তার জানান, ‘আমার স্বামীসহ সবার মোবাইল ফোন জলদস্যুরা নিয়ে গেছে। তারা সাহরি খেতে দিয়েছে। আমার স্বামী আমাকে অডিওবার্তায় বলেছেন, একটু আগে সাহরি খেয়েছি। এখনও অক্ষত আছি, বেঁচে ফিরলে দেখা হবে। আর যোগাযোগ করতে পারব কি না, জানি না। আমার মেয়েদের দিকে নজর রাখিও। আমার জন্য দোয়া কইরো।’  এর আগে, ভারত মহাসাগরে এমভি আবদুল্লাহ নামের বাংলাদেশি জাহাজটি মঙ্গলবার (১২ মার্চ) দুপুরে জলদস্যুদের কবলে পড়ে। ৫৫ হাজার টন কয়লা নিয়ে আরব আমিরাতে যাওয়ার পথে সোমালিয়ার জলদস্যুরা জাহাজটির নিয়ন্ত্রণ নেয়। এরপর জাহাজে থাকা ২৩ বাংলাদেশি নাবিককে জিম্মি করে। জানা গেছে, নাবিকদের ছাড়তে ‘৫০ লাখ’ মার্কিন ডলার চেয়েছে সোমালিয়ার জলদস্যুরা। মুক্তিপণ না পেলে বাংলাদেশি নাবিকদের মেরে ফেলা হবে বলে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। জাহাজটি প্রধান কর্মকর্তা (চিফ অফিসার) মো. আতিক উল্লাহ খান তার স্ত্রীকে পাঠানো সর্বশেষ এক অডিও বার্তায় বলেন, আমাদের কাছ থেকে মোবাইল নিয়ে নিচ্ছে। টাকা না দিলে তারা একে একে আমাদের সবাইকে মেরে ফেলবে। তাদের যত তাড়াতাড়ি টাকা দেবে, তত তাড়াতাড়ি ছাড়বে বলেছে। এই বার্তাটা সবদিকে পৌঁছে দিও। দেশের শীর্ষ শিল্প গ্রুপ কেএসআরএমের মালিকানাধীন এসআর শিপিংয়ের জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ। ২০১৬ সালে তৈরি জাহাজটির দৈর্ঘ্য ১৮৯ দশমিক ৯৩ মিটার এবং প্রস্ত ৩২ দশমিক ২৬ মিটার। প্রথমে জাহাজটির নাম ছিল ‘গোল্ডেন হক’। পরে বাংলাদেশের কেএসআরএম গ্রুপের বহরে যুক্ত হওয়ার পর এর নাম হয় ‘এমভি আবদুল্লাহ’। এটি একটি বাল্ক কেরিয়ার।
১৪ মার্চ ২০২৪, ১০:৩৩

জিম্মি জাহাজ থেকে নাবিক / ‘আমাদের জন্য দোয়া করিস, বেঁচে ফিরলে দেখা হবে’
  ভারত মহাসাগরে জলদস্যুদের কবলে পড়া পণ্যবাহী জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ থেকে পরিবারকে বার্তা পাঠিয়েছেন এক নাবিক। পরিবারের কাছে পাঠানো মেসেঞ্জারের ওই বার্তায় তিনি লিখেন, ‘আমাদের জন্য দোয়া করিস। সোমালিয়ার জলদস্যুরা আক্রমণ করেছে। আমাদের এক জায়গায় বন্দি করে রেখেছে। যদি কোনো দিন বেঁচে আসি দেখা হবে, ইনশাআল্লাহ।’ জলদুস্যদের আক্রমণের শিকার এমভি আবদুল্লাহ জাহাজে থাকা ২৩ নাবিক ও ক্রুকে জাহাজের মধ্যে একটি রুমে বন্দি করে রাখা হয়েছে বলে জানা গেছে। বাংলাদেশের পতাকাবাহী জাহাজ ‘এম ভি আবদুল্লাহ’ মঙ্গলবার (মার্চ ১২) দুপুর ১টার দিকে জলদস্যুদের কবলে পড়ে। জাহাজটি আফ্রিকার মোজাম্বিক থেকে কয়লা নিয়ে মধ্যপ্রাচ্যের সংযুক্ত আরব আমিরাতে যাওয়ার কথা ছিল। এ বিষয়ে কেএসআরএম গ্রুপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মেহেরুল করিম সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, জাহাজটি ভারত মহাসাগরে জলদস্যুদের কবলে পড়ে। জাহাজের ২৩ জন নাবিক নিরাপদে আছেন জানালেও তাদের সঙ্গে যোগাযোগ হয়নি বলে জানিয়েছেন তিনি। ‘এম ভি আবদুল্লাহ’ নামের এ জাহাজটি আগে ‘গোল্ডেন হক’ নামে পরিচিত ছিল। ২০১৬ সালে তৈরি ১৯০ মিটার লম্বা এই জাহাজটি গত বছর কেএসআরএম গ্রুপের বহরে যুক্ত হয়। এরপর সাধারণ পণ্য পরিবহন করে আসছিল জাহাজটি। দেশে এখন নিবন্ধিত সমুদ্রগামী জাহাজের সংখ্যা ৫২। এগুলোর মধ্যে ২৩টি কেএসআরএম গ্রুপের। এক দশকে সরকারি ও বেসরকারি খাতের মধ্যে জাহাজ পরিচালনা ব্যবসায় নেতৃত্ব দিচ্ছে এ গ্রুপটি। এর আগে, ২০১১ সালের মার্চে সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাতে জিম্মি হয় বাংলাদেশি ২৫ নাবিক এবং প্রধান প্রকৌশলীর স্ত্রী। নানাভাবে চেষ্টার পর ১০০ দিনের মাথায় জলদস্যুদের কবল থেকে উদ্ধার করা হয় তাদের।
১৩ মার্চ ২০২৪, ০৯:০১

বেঁচে থাকলেও অভিনয় আর করতে পারব না : সামান্থা
দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রির জনপ্রিয় অভিনেত্রী সামান্থা রুথ প্রভু। বলিউডেও তার বিচরণ রয়েছে। ক্যারিয়ারে এখন পর্যন্ত অসংখ্য হিট সিনেমা উপহার দিয়েছেন তিনি। লাস্যময়ী হাসি আর অভিনয় গুণে জায়গা করে নিয়েছেন দর্শকহৃদয়ে। মাঝে ‘মায়োসাইটিস’ রোগে আক্রান্ত হওয়ার কারণে দীর্ঘদিন ক্যামেরা থেকে দূরে ছিলেন সামান্থা।      সম্প্রতি ভারতীয় গণমাধ্যমের এক সাক্ষাৎকারে নিজের অসুস্থতা ও সেসময়ের নানান বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন সামান্থা। এসময় তিনি বলেন, ‘মায়োসাইটিস’ থেকে পুনরুদ্ধারের জন্য কাজ থেকে বিরতি নেওয়া ছিল তার জীবনের ‘কঠিন সিদ্ধান্ত’। পরে অবশ্য অভিনেত্রী জানান— কঠিন নয়, এটা তার সেরা সিদ্ধান্ত ছিল।  সামান্থা বলেন, সেটি ছিল আমার জীবনের সেরা সিদ্ধান্ত। সেসময় অনেকেই বলেছিল যে, আমি ফুরিয়ে গেছি। আর ঘুরে দাঁড়াতে পারব না। এমনকি বেঁচে থাকলেও অভিনয় করতে পারব না। কিন্তু আমার তীব্র আত্মবিশ্বাসই আমাকে ফিরিয়েছে। জানা গেছে, ২০২২ সাল থেকে ‘মায়োসাইটিস’ নামক বিরল রোগের সঙ্গে লড়াই করছেন সামান্থা। এখন তার শারিরীক অবস্থা কিছুটা ভালো হলেও অটো ইমিউন রোগ ধরা পড়ার পর দীর্ঘদিন হাসপাতালেও ভর্তি থাকতে হয়েছে তাকে। যার ফলে রুপালি পর্দা থেকে বিরতি নেওয়ার পাশাপাশি মোটা অংকের টাকাও গুনতে হয়েছে এই অভিনেত্রীকে। বর্তমানে জীবনের সব বাধা-বিপত্তি পেরিয়ে কাজে মন দিয়েছেন সামান্থা। ‘দ্য ফ্যামিলি ম্যান’ সিরিজে অভিনয়ের জন্য দর্শকদের ব্যাপক প্রশংসাও কুড়িয়েছেন তিনি। বিজয় দেবেরাকোন্ডার সঙ্গে ‘খুশি’ সিনেমাতেও প্রশংসিত হয়েছে তার কাজ। গেল বছরের মাঝামাঝি চিকিৎসার জন্য অভিনয় থেকে বিরতি নেওয়ার ঘোষণা করেছিলেন সামান্থা। তবে ধীরে ধীরে রুপালি পর্দায় ফিরছেন তিনি। আপাতত মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে সামান্থা অভিনীত সিনেমা ‘সিটাডেল’।  সূত্র : ফেমিনা ইন্ডিয়া  
০৯ মার্চ ২০২৪, ১০:৫৭

সংস্কৃতির মধ্য দিয়ে আমাদের বেঁচে থাকতে হবে : নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ভাওয়াইয়া গানের অন্যতম ছন্দ হাকাও গাড়ি এবং গাড়িয়াল ভাই। আগামী প্রজন্ম এসব গাড়ি বা গাড়িয়াল ভাইকে চিনতে পারবে না। ভাওয়াইয়া গানের বৃহৎ অংশ কুড়িগ্রাম অঞ্চলের হলেও বর্তমানে কুড়িগ্রামের ঐতিহ্য প্রকৃতি, নদী-নালা। সেগুলো হারিয়ে যাচ্ছে। যোগাযোগ ব্যবস্থার অনেক উন্নতি হয়েছে। পৃথিবীর সাথে পুরোপুরি যুক্ত হয়ে গেছে। এখানকার বড় বড় নদী শুকিয়ে যাচ্ছে। মনের মধ্যে প্রেম আসছে না, ভাব আসছে না। ভাওয়াইয়া গানকে ধরে রাখতে হবে। এটা আমাদের সংস্কৃতির একটি পরিচয়। এই পরিচয় থেকে সরে যাওয়া যাবে না। অনেক চ্যালেঞ্জ আছে। পরিচয় ধরে রাখার জন্য এত কষ্ট করার কথা না। প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা সংস্কৃতি বান্ধব। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামকে দেশে নিয়ে এসেছিলেন। রবীন্দ্রনাথ কুষ্টিয়ায় না আসলে লালন সম্পর্কে জানতে পারতেন না। এতটা সমৃদ্ধ হতে পারতেন না-এটা রবীন্দ্রনাথের নিজের কথা। আমাদের সমৃদ্ধ সংস্কৃতি রয়েছে। সংস্কৃতির মধ্য দিয়ে আমাদের বেঁচে থাকতে হবে। আমাদের দেশে অবকাঠামোর অনেক উন্নয়ন হয়েছে। এবার মানুষ কাঠামোর উন্নয়ন দরকার। মানুষ কাঠামো উন্নয়নের জন্য সংস্কৃতির কোন বিকল্প নাই। প্রতিমন্ত্রী ঢাকায় ইস্কাটনস্থ সুইড বাংলাদেশ মিলনায়তনে ‘ভাওয়াইয়া সংরক্ষণ ও গবেষণা পরিষদ’ আয়োজিত ‘ভালবাসি ভাওয়াইয়া গান’ শীর্ষক সঙ্গীত সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। ভাওয়াইয়া গানের অন্যতম প্রাণপুরুষ বীর মুক্তিযোদ্ধা স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের কণ্ঠশিল্পী বাবু রথীন্দ্রনাথ রায়কে সম্বর্ধনা দেয়া হয়। সুইড বাংলাদেশের মেন্টর জওয়াহেরুল ইসলাম মামুন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সুপ্রীম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকার, ভূমি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. কফিলউদ্দিন, ভাওয়াইয়া সংরক্ষণ ও গবেষণা পরিষদের সভাপতি এবং বাংলাদেশ টেলিভিশনের গীতিকার, সুরকার ও সঙ্গীত পরিচালক বকুল চন্দ্র মহন্ত এবং সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মো. এজানুর রহমান। প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমাদের মানব কাঠামোর উন্নয়নের জন্য সাহিত্য ও সংস্কৃতি চর্চা খুবই জরুরি। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পরিবার একটি সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়াবান্ধব পরিবার। প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার সরকার সংস্কৃতি বিকাশের লক্ষ্যে জেলায় জেলায় শিল্পকলা একাডেমি করেছে। উপজেলা পর্যায়ে শিল্পকলা একাডেমীর অবকাঠামো নির্মিত হচ্ছে। গতরাতে বেলি রোডে অগ্নিকাণ্ডে নিহতদের স্মরণে অনুষ্ঠানে এক মিনিট দাঁড়িয়ে নীরবতা পালন করা হয়। বাংলাদেশ টেলিভিশনের গীতিকার, সুরকার ও সঙ্গীত পরিচালক বকুল চন্দ্র মহন্তের ৩২টি একক গান নিয়ে প্রায় ৫০ জন প্রথিতযশা ভাওয়াইয়া শিল্পীর অংশগ্রহণে ‘ভালবাসি ভাওয়াইয়া গান’ শিরোনামে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।
০১ মার্চ ২০২৪, ২৩:৪৩

অগ্নিকাণ্ডের লোমহর্ষক বর্ণনা দিলেন লাফ দিয়ে বেঁচে ফেরা দুইজন
রাজধানীর বেইলি রোডের গ্রিন কজি কটেজে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া আগুনে দগ্ধ হয়ে বেশ কয়েকজন বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এর মধ্যে দুইজন অগ্নিকাণ্ডের সময় ভবনটিতে যা ঘটছিল তার বর্ণনা দিয়েছেন। শুক্রবার (১ মার্চ) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বেডে শুয়ে গণমাধ্যমে ঘটনার বর্ণনা দেন আগুন থেকে বেঁচে ফেরা কামরুল হাসান ও জুবায়ের। তারা দুজনেই ভবনটির দুটি রেস্টুরেন্টে কাজ করতেন। তারা জানান, আগুন লাগার কিছুক্ষণের মধ্যে পুরো ভবন ধোঁয়ায় অন্ধকার হয়ে যায়। ধোঁয়ায় লোকজনের শ্বাস বন্ধ হয়ে যাচ্ছিল। বাঁচার জন্য লোকজন এদিক-ওদিক ছুটোছুটি করতে থাকেন। অনেকে গ্লাস ভেঙে গ্রিল ধরে নামেন। আবার অনেকে প্রাণ বাঁচাতে ভবন থেকে লাফ দেন। আগুন লাগা ভবনটির নিচতলায় অবস্থিত ‘মেজবানি খানা’ রেস্টুরেন্টের কর্মী কামরুল হাসান। আগুন থেকে প্রাণ বাঁচাতে রেস্টুরেন্টের কিচেনে ফাঁকা জায়গা দিয়ে নিচে লাফ দেন তিনি। বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল চিকিৎসা নিচ্ছেন। কামরুল হাসান বলেন, প্রথমে একটা শব্দ পেয়ে বাইরের দিকে তাকিয়ে গেটের সামনে আগুন দেখতে পাই। কিছুক্ষণের মধ্যেই পুরো বিল্ডিংয়ে ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়ে। আমরা গেট দিয়ে বের হতে না পেরে ওপরের দিকে উঠতে থাকি, কিন্তু সিঁড়িতে ৫ তলা পর্যন্ত গিয়ে আটকে যাই। সেখানে অনেক লোক অবস্থান করছিল। প্রচুর লোকের কারণে আমরা আর উপরে উঠতে পারিনি। ওই ফ্লোরে একটা রেস্টুরেন্ট ছিল। আমরা কিছু মানুষ তখন সেখানে আশ্রয় নিই। কিন্তু ধোঁয়ায় লোকজন অসুস্থ হয়ে পড়ছিল, নিশ্বাস বন্ধ হয়ে যায় যায় অবস্থা। যে যার মতো এদিক-ওদিক দৌড়াদৌড়ি করতে থাকে। এসময় রেস্টুরেন্টের কিচেনে একটু ফাঁকা দেখতে পেয়ে, সেটি দিয়ে আমি নিচে লাফ দেই। তারপর আর আমার কোনো হুঁশ ছিল না। তিনি বলেন, আমি ওখানে ১ বছর ধরে কাজ করি। লিফট আর সিঁড়ি ছাড়া ভবনটি থেকে নামার জন্য জরুরি কোনো ব্যবস্থা ছিল না।  অন্যদিকে ভবনটির তিনতলায় অবস্থিত খানাস রেস্টুরেন্টের কর্মী জুবায়ের অগ্নিকাণ্ডের সময় ছাদ থেকে লাফ দিয়ে প্রাণে বেঁচেছেন। তবে আহত হয়ে বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন তিনি। জুবায়ের বলেন, ঘটনার সময় আমি খাবার তৈরির কাজ করছিলাম। পরে আমাদের ক্যাশিয়ার এসে বলেন নিচে আগুন লাগছে। সবাই উপরে আসেন। আমি বের হয়ে নিচে নামতে গেলে দেখি সবাই উপরে উঠে আসছে। আর নিচ থেকে সিঁড়ি দিয়ে কালো ধোঁয়া উপরে উঠছে। পরে দৌড়ে ছাদে যাই।  সেখানে অনেকের দেখাদেখি আমিও ছাদ থেকে লাফ দেই। তারপর আর কিছু মনে নাই। আমাকে হাসপাতালে নিয়ে আসে। কাচঘেরা বদ্ধ ভবনে বাতাস আসা-যাওয়ার মতো কোনো অবস্থা ছিল না। ফলে ধোঁয়ায় পুরো ভবন অন্ধকার হয়ে যায়। আর ভবনটির রেস্টুরেন্টগুলোতে ব্যবহৃত গ্যাস সিলিন্ডার নিচে থাকে বলে জানান তিনি।
০১ মার্চ ২০২৪, ২২:১২
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়