• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo
মন্ত্রীকে প্রথম রাতেই বিড়াল মারতে বললেন চুন্নু
বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ ও জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু বলেছেন, রাজনীতিকদের বিরুদ্ধে মামলা হলে পার পাওয়া যায় না, কিন্তু সরকারি কর্মকর্তারা দুর্নীতি করলে আইন লঙ্ঘন করে তাদের বাঁচানো হয়। তিনি বলেন, পূর্তমন্ত্রী এরই মধ্যে দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্সের ঘোষণা দিয়েছেন। মন্ত্রীকে বলবো দুর্নীতির বিরুদ্ধে এখনই ব্যবস্থা নেন। বিড়াল প্রথম রাতেই মারেন। রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদে অনির্ধারিত আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় তিনি একটি জাতীয় দৈনিকের এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন সংসদে পাঠ করে শোনান। যেখানে বিতর্কিত ঠিকাদার এস এম গোলাম কিবরিয়া ওরফে জি কে শামীমের প্রতিষ্ঠানের দুটো কাজের একই অনিয়মে দুই কর্মকর্তাকে আলাদা আলাদা শাস্তি দেওয়ার কথা বলা হয়। বিষয়টি সংসদে তুলে ধরে মুজিবুল হক বলেন, কাকে লঘু দণ্ড দিয়েছে সেটা বড় কথা না। এখানে কত বড় অনিয়ম করা হয়েছে সেটা কথা। টাকা বাজেয়াপ্ত না করে সমন্বয় করা আইনের চরম লঙ্ঘন। একজন কর্মকর্তাকে বাঁচানোর জন্য টাকাটা বাজেয়াপ্ত না করে সমস্ত আইন-কানুন লঙ্ঘন করে ১০ কোটি টাকা সমন্বয় করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, রাজনীতিকদের বিরুদ্ধে মামলা হলে পার পাওয়া যায় না। একজন সরকারি কর্মকর্তা ১০ কোটি টাকা অগ্রিম দিলো, পাবলিক প্রকিউরমেন্ট আইন, ২০০৬ এবং সরকারি ক্রয় বিধিমালার (পিপিআর) চরম লঙ্ঘন করে তাকে বাঁচানো হলো। চুন্নু বলেন, পূর্তমন্ত্রী এরই মধ্যে দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্সের ঘোষণা দিয়েছেন। তার দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলবো, একজন সচিব কী করে এত বড় দুর্নীতি উপেক্ষা করে মন্ত্রীর অনুমোদন ছাড়া এ কাজ করেছেন। এটা কনফার্ম দুর্নীতি। তিনি একটি ঘটনায় বেতন এক গ্রেড কমিয়েছেন, আরেক ঘটনায় প্রকৌশলীকে পদাবনতি করেছেন। এ খাতিরটা কেন? এ সরকারের আমলে এত বড় অন্যায় কাজ করে পার পেয়ে যাবে? এটা চেয়ে চেয়ে দেখবো, তা কী হয়? মন্ত্রীকে বলবো, এখনই ব্যবস্থা নেন। বিড়াল প্রথম রাতেই মারেন।  
১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২১:২৩

রেলের কালো বিড়াল নিয়ে যা জানালেন মন্ত্রী
নতুন সরকারের রেলমন্ত্রী মো. জিল্লুল হাকিম জানিয়েছেন, রেলে কালো বিড়াল আছে কিনা সেটা আমার জানা নেই, তবে রেলে দুর্নীতি আছে। বুধবার (১৭ জানুয়ারি) রেলভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন। রেলমন্ত্রী বলেন, আমি রেলের জমি বেহাত হওয়া নিয়ে উদ্বিগ্ন। রেলের যেসব জমি বেহাত হয়েছে সেসব জমি উদ্ধার করা চ্যালেঞ্জ। সব জায়গার সিন্ডিকেটগুলোকে ওভার কাম করতে হবে। তিনি বলেন, রেলের ‘লুজিং কনসার্ন’ হচ্ছে সবাই চেষ্টা করে লস না দেওয়ার জন্য। তবে আমরা চেষ্টা করব এটাকে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে। আমি দু’দিন বসেছি, বিস্তর সব বিষয় জানতে হবে তারপর বিস্তারিত বলতে পারব। জিল্লুল হাকিম জোর দিয়ে বলেন, রেলের প্রত্যেক কর্মকর্তা ও কর্মচারী যদি চায় তাহলে রেলকে লাভজনক করা কোনো বিষয় না। মন্ত্রণালয়ের উন্নতি একটা চ্যালেঞ্জ। এই চ্যালেঞ্জ আমি গ্রহণ করেছি। তিনি বলেন, কিছুদিনের মধ্যে সরকারি সব সংস্থার সঙ্গে বসে রেলের নিরাপত্তার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। টিকিট নিয়ে উন্নত কিছু করার থাকলে তাও করা হবে। যেখানে প্রয়োজন সেখানে ট্রেন দেওয়া হবে।
১৭ জানুয়ারি ২০২৪, ১৯:১১
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়