• ঢাকা বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
logo
ফিলিস্তিনের পতাকা দেখেই গেলেন লাথি মারতে, সঙ্গে সঙ্গে বিস্ফোরণ
ফিলিস্তিনের পতাকা দেখেই তাতে তেড়েফুঁড়ে লাথি মারতে যান ইসরায়েলি এক ব্যক্তি। কিন্তু লাথি মারতেই ঘটে যায় বিস্ফোরণ।  রোববার (২১ এপ্রিল) ফিলিস্তিনের অধিকৃত পশ্চিম তীরের মালাচেই হাশালোম চৌকির কাছে ৪৫৪ নং রুটে ঘটনাটি ঘটে। বিস্ফোরণে ওই ইসরায়েলি ব্যক্তি আহত হলেও তার আঘাত তেমন গুরুতর নয় বলে জানা গেছে।    ইসরায়েলভিত্তিক সংবাদমাধ্যম হারেৎজের বরাতে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে টাইমস অব ইসরায়েল। ঘটনার সময় ধারণ করা একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও ছড়িয়ে পড়েছে ইতোমধ্যে।   এতে দেখা গেছে, পশ্চিম তীরে একটি মহাসড়কের ধারে টিলার পাদদেশে ফিলিস্তিনের একটি পতাকা উড়ছিল। ওই রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় গাড়ি থামিয়ে নামেন ইসরায়েলের এক বেসামরিক নাগরিক। এরপর পতাকাটির দিকে হেঁটে গিয়ে সেটিতে লাথি দেন। সঙ্গে সঙ্গে পতাকার সঙ্গে যুক্ত বোমাটি বিস্ফোরিত হয়। এতে আহত হন ওই ব্যক্তি। ভিডিওটি তার গাড়িতে বসা কেউ একজন করেছেন। স্থানীয় জরুরি পরিষেবা বলছে, ভাগ্যগুণে ওই ইসরায়েলি বেঁচে গেছেন। তার আঘাত গুরুতর নয়। ঘটনাস্থলেই তার চিকিৎসা করা হয়েছিল। তবে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে চাইলে তিনি রাজি হচ্ছিলেন না। পতাকায় লাথির ঘটনার ভিডিও এক্সে প্রকাশ করেছে হারেৎজ। তাতে অনেকেই ওই ইসরায়েলির সমালোচনা করে মন্তব্য করেছেন। একজন লিখেছেন, ‘ফিলিস্তিনের এই পতাকা কেন আপনার কাছে ভীতিকর মনে হলো?’ আরেকজন লিখেছেন, ‘যেমন কর্ম তেমন ফল। ’ প্রসঙ্গত, গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে সাড়ে ছয় মাস ধরে ফিলিস্তিনের গাজায় নির্বিচার হামলা ও অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী।  এতে এখন পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন ৩৪ হাজারেরও বেশি নিরীহ ফিলিস্তিনি। সেইসঙ্গে আহত হয়েছেন অন্তত ৭৭ হাজার।   গাজার পাশাপাশি অধিকৃত পশ্চিম তীরেও নিয়মিত হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি সেনারা। সেখানে দখলদারদের হামলায় এখন পর্যন্ত ৪৮৫ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৪ হাজার ৮০০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি।  
২২ এপ্রিল ২০২৪, ১১:৩২

বিশাল তারকা বিস্ফোরণ ঘটতে চলেছে, জীবনে দেখা যাবে একবারই
আগামী সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে পৃথিবী থেকে ৩ হাজার আলোকবর্ষ দূরে একটি বিশাল বিস্ফোরণে রাতের আকাশ জ্বলে উঠবে, যা অপেশাদার জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের জীবনে একবার মহাকাশের এই বিস্ময়কর ঘটনার সাক্ষী হওয়ার সুযোগ দেবে। শনিবার (৬ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে বিবিসি। করোনা বোরিয়ালিস (টলেমির তালিকাভুক্ত) নক্ষত্রমণ্ডলের বাইনারি তারা সিস্টেম নর্দান ক্রাউন বা ‘উত্তর মুকুট’ সাধারণত খালি চোখে দেখা যাবে না। কিন্তু, প্রতি ৮০ বছর বা তার পরে এর দু’টি তারার মধ্যে শক্তির বিনিময় ঘটে। এটি একটি মারাত্মক আলিঙ্গনের মতো আবদ্ধ। যা পারমাণবিক বিস্ফোরণ ঘটায়। এই বিস্ফোরণ থেকে আলোর ঝলকানি মহাবিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে। সেই উজ্জ্বলতা হঠাৎ করেই আমাদের রাতের আকাশে কয়েক দিনের জন্য দৃশ্যমান হয়ে ওঠে। এটি অন্তত তৃতীয়বারের মতো হবে। যে মানুষ এই ঘটনাটি প্রথম প্রত্যক্ষ করেছেন তিনি হলেন আইরিশ পলিম্যাথ জন বার্মিংহাম। ১৮৬৬ সালে তিনি এটি আবিস্কার করেন। তারপর ১৯৪৬ সালে পুনরায় সেই উজ্জ্বলতা আবির্ভূত হয়েছিল। অ্যারিজোনা স্টেট ইউনিভার্সিটির একজন জ্যোতির্বিজ্ঞানী সুমনার স্টারফিল্ড এএফপি’কে বলেছেন, তিনি নোভার ‘আউটবার্স্ট’ দেখে খুব উত্তেজিত। সর্বোপরি, তিনি ‘ব্লেজ স্টার’ উজ্জ্বল তারকা হিসেবে পরিচিত ‘টি কোরোনেই বোরিয়ালিস’  নিয়েই কাজ করেছেন। স্টারফিল্ড বর্তমানে একটি বৈজ্ঞানিক গবেষণাপত্র শেষ করার জন্য তাড়াহুড়ো করছেন যা ভবিষ্যদ্বাণী করে যে, জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা পুনরাবৃত্ত নোভা সম্পর্কে  জানতে পারবেন, যখনই পরবর্তী পাঁচ মাসে এটি প্রদর্শিত হবে। স্টারফিল্ড ব্যাখ্যা করেছেন যে, মিল্কিওয়ে এবং আশেপাশের গ্যালাক্সিতে প্রায় ১০টি পুনরাবৃত্ত নোভা রয়েছে। তিনি বলেন, সাধারণ নোভা বিস্ফোরিত হয় ‘সম্ভবত প্রতি ১ লক্ষ বছরে।’ কিন্তু পুনরাবৃত্ত নোভাগুলো তাদের দুই নক্ষত্রের মধ্যে একটি অদ্ভুত সম্পর্কের কারণে মানুষের টাইমলাইনে তাদের বিস্ফোরণের পুনরাবৃত্তি করে। একটি হল একটি শীতল মৃতপ্রায় নক্ষত্র যাকে লাল দৈত্য (রেড জায়ান্ট) বলা হয়। যেটি তার হাইড্রোজেনের মাধ্যমে জ্বলে উঠেছে এবং ব্যাপকভাবে প্রসারিত হয়েছে। এর ভাগ্য যা প্রায় পাঁচ বিলিয়ন বছরে আমাদের নিজের সূর্যের পরিণতির মতোই অপেক্ষমান। অন্যটি একটি শ্বেত বামন, একটি নক্ষত্রের মৃত্যুর পরের পর্যায়ে, সমস্ত বায়ুমন্ডল উড়িয়ে দেওয়ার পরে এবং শুধুমাত্র অবিশ্বাস্যভাবে ঘনীভূত কেন্দ্রীয় অংশটি অবশিষ্ট থাকে। স্টারফিল্ড বলেন, তাদের আকারের বৈষম্য এতটাই বিশাল যে ‘টি কোরোনেই বোরিয়ালিস’ এর শ্বেত বামন তারাটির রেড জায়ান্ট প্রদক্ষিণ করতে ২২৭ দিন সময় লাগে। দুটি এত কাছাকাছি যে রেড জায়ান্ট নির্গত পদার্থ শ্বেত বামন তারার পৃষ্ঠে আছড়ে পড়ে এবং সেটি টেনে নেয়। স্টারফিল্ড বলেন,একবার মোটামুটি পৃথিবীর সমান ভর শ্বেত বামনের ওপর তৈরি হয়ে গেলে, যা প্রায় ৮০ বছর সময় নেয়। এতে একটি কিকস্টার্ট রানওয়ে থার্মোনিউক্লিয়ার প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। দ্রুত তাপ ও চাপ বৃদ্ধি পেয়ে বিষ্ফোরণ ঘটে। একজন অবসরপ্রাপ্ত জার্মান জ্যোতির্বিজ্ঞানী যিনি নোভা নিয়ে গবেষণা করেছেন, জোয়াকিম ক্রাউটার বলেছেন, এটি একটি ‘বড় বিস্ফোরণ এবং কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে তাপমাত্রা ১০০-২০০ মিলিয়ন ডিগ্রি সেলসিয়াসে’ শেষ হয়। ক্রাউটার এএফপি’কে বলেছেন, জমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপসহ অসংখ্য টেলিস্কোপ ক্যামেরা এখন টি করোনা বোরিয়ালিসের বিস্ফোরণের দিকে চোখ রাখছে। ক্রাউটার বলেন, কিন্তু এই বিরল ঘটনার সাক্ষী হতে আপনার এমন উন্নত প্রযুক্তির প্রয়োজন নেই। যখনই এটি ঘটবে ‘আপনাকে কেবল বাইরে যেতে হবে এবং করোনা বোরিয়ালিসের দিকে তাকাতে হবে। কিছু সৌভাগ্যবান আকাশ পর্যবেক্ষণকারীরা ইতোমধ্যেই সোমবার বছরের সবচেয়ে বড় জ্যোতির্বিদ্যার ঘটনার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। যখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি স্ট্রিপ জুড়ে একটি বিরল পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ ঘটবে। -বাসস।
০৬ এপ্রিল ২০২৪, ২০:০৬

গাজীপুরে সিলিন্ডার বিস্ফোরণ : মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৭
গাজীপুরের কালিয়াকৈরে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ কুদ্দুস খান (৪৫) নামে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা গেছেন। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ১৭ জনে।     শনিবার (৩০ মার্চ) ভোররাত সাড়ে চারটার দিকে জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটের আইসিইউতে মৃত্যু হয় কুদ্দুস খানের। নিহত কুদ্দুসের গ্রামের বাড়ি লালমনিরহাট জেলার কালিগঞ্জ থানার মো. সুরুজ আলী খানের সন্তান। বর্তমানে কালিয়াকৈর এলাকায় থাকতেন। বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক ডা. মো. তরিকুল ইসলাম জানান, রাত সাড়ে চারটার দিকে আইসিইউ’র ১৩ নম্বর বেডে কুদ্দুসের মৃত্যু হয়। তার শরীর ৮০ শতাংশ দগ্ধ ছিল। উল্লেখ্য, গত ১৩ মার্চ ইফতারের আগ মুহূর্তে গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার তেলিরচালা এলাকার একটি বাসায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে নারী-শিশুসহ অন্তত ৪০ জন দগ্ধ হয়। দগ্ধদের মধ্যে ৩২ জনকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছিল। প্রত্যক্ষদর্শীদের সূত্রে জানা যায়, বাড়িটি স্থানীয় কয়েকটি কারখানার শ্রমিকদের কাছে ভাড়া দেওয়া হয়েছিল। সেদিন সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে নতুন গ্যাস সিলিন্ডারের সংযোগ দেওয়ার সময় হঠাৎ আগুন ধরে যায়। এ সময় সিলিন্ডারটি রাস্তায় ছুড়ে ফেলে দেওয়া হয়। এতে রাস্তায় থাকা লোকজনও দগ্ধ হয়। 
৩০ মার্চ ২০২৪, ১১:১৮

নামাজ চলাকালে মসজিদে এসি বিস্ফোরণ
বরিশালের একটি মসজিদে নামাজ চলাকালে বিকট শব্দে এসি বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। তবে এ ঘটনায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) শহরের জামে এবায়দুল্লাহ মসজিদে জোহরের নামাজের সময় এ ঘটনা ঘটে। মুসল্লিরা জানায়, দুপুর দেড়টার দিকে আমরা জোহরের নামাজে দাঁড়িয়ে তারা দোতলায় বিস্ফোরণের বিকট শব্দ পান। এ সময় পুরো মসজিদ ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে যায়। তাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। তারা ছুটে গিয়ে দেখেন মসজিদের ইমামের থাকার কক্ষের এসি বিস্ফোরণে আগুন লেগে গেছে। এরপর ফায়ার সার্ভিস এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. সামসুল আলম জানান, এসি বিস্ফোরণে মসজিদের আর কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। ঘটনার সাথে সাথে মসজিদের বিদ্যুতের লাইন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। এ বিষয়ে বরিশাল ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার রবিউল আল আমিন জানান, আমাদের চারটি ইউনিট আগুন যেয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আমাদের ধারণা, বেশি সময় চলায় গরম হয়ে এসির কমপ্রেসর বিস্ফোরণ হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে।
২৯ মার্চ ২০২৪, ০০:৩৬

বরিশালে নামাজের সময় মসজিদের এসি বিস্ফোরণ
যোহরের নামাজ চলাকালীন বরিশালে জামে এবায়দুল্লাহ মসজিদে এসি বিস্ফোরণ হয়েছে। খবর পেয়ে বরিশাল ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। পরে দ্রুত আগুন আনে তারা। এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) দুপুর দেড়টার দিকে চকবাজার এলাকায় মসজিদের দ্বিতীয় তলায় এ ঘটনা ঘটে। মসজিদে নামাজ আদায় করতে আসা মুসল্লিরা জানান, দুপুর দেড়টার দিকে মসজিদে নামাজ শুরু হলে দ্বিতীয় রাকাতে সময় হঠাৎ মসজিদের দ্বিতীয় তলায় ইমামের রুমে থাকা এসি বিকট শব্দ হয়ে বিস্ফোরণ হয়। এ সময় মসজিদে কাল ধোয়ায় আচ্ছন্ন হয়। পরে মুসল্লিরা নামাজ ছেড়ে নিচে নেমে আসেন। এতে কোনো মুসল্লি হতাহত হয়নি। তবে সকলের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। বরিশাল ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার রবিউল আল আমিন জানান, খবর পেয়ে তাদের চারটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। প্রাথমিকভাবে মসজিদের মুসল্লিদের মাধ্যমে এসি বিস্ফোরণের ঘটনা জানতে পেরেছেন। বিষয়টি তদন্ত করে পরবর্তীতে মূল কারণ জানা যাবে।   
২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭:১৮

গাজীপুরে সিলিন্ডার বিস্ফোরণ : মৃত্যু বেড়ে ১৩
গাজীপুরের কালিয়াকৈরে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধদের মধ্যে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। তার নাম মশিউর রহমান (২২)। এ নিয়ে ওই ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ১৩ জনে। মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) রাতে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। এর আগে মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায়  ইয়াসিন আরাফাত (২১) নামে একজন মারা যান। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. তরিকুল ইসলাম। তিনি জানান, গাজিপুরের ঘটনায় সন্ধ্যার দিকে ইনস্টিটিউটের আইসিইউতে ইয়াসিন আরাফাত (২১) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। তার শরীরের ৬২ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। তিনি আইসিইউয়ের ১৫ নম্বর বেডে চিকিৎসাধীন ছিলেন। এই নিয়ে এই ঘটনায় নারী শিশুসহ মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১২ জনে। ইয়াসিন আরাফাত কালিয়াকৈরের তেলির চালা এলাকার বাসিন্দা। তিনি পেশায় পোশাককর্মী ছিলেন। বর্তমানে কোনাপাড়া তেলিরচালা এলাকায় মায়ের সঙ্গে থাকতেন। গত ১৩ মার্চ সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে কালিয়াকৈরের তেলিরচালা এলাকায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে অন্তত ৩৬ জন দগ্ধ হন। তাদের মধ্যে ৩২ জনকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। পরদিন ১৪ মার্চ এক সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন জানান, বিস্ফোরণের ঘটনায় দগ্ধ ৩২ জনের কেউই শঙ্কামুক্ত নন। দগ্ধদের মধ্যে অন্তত ১৬ জনের শরীরের ৮০ শতাংশ পুড়ে গেছে।
২০ মার্চ ২০২৪, ০৯:২৬

গাজীপুরে সিলিন্ডার বিস্ফোরণ : মৃত্যু বেড়ে ১২
গাজীপুর কালিয়াকৈরে এলাকায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে আগুনের ঘটনায় চিকিৎসাধীন আরও একজন মারা গেছেন। তার নাম ইয়াসিন আরাফাত (২১)। এতে করে এই ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১২ জনে। মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. তরিকুল ইসলাম। তিনি জানান, গাজিপুরের ঘটনায় সন্ধ্যার দিকে ইনস্টিটিউটের আইসিইউতে ইয়াসিন আরাফাত (২১) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। তার শরীরের ৬২ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। তিনি আইসিইউয়ের ১৫ নম্বর বেডে চিকিৎসাধীন ছিলেন। এই নিয়ে এই ঘটনায় নারী শিশুসহ মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১২ জনে। ইয়াসিন আরাফাত কালিয়াকৈরের তেলির চালা এলাকার বাসিন্দা। তিনি পেশায় পোশাককর্মী ছিলেন। বর্তমানে কোনাপাড়া তেলিরচালা এলাকায় মায়ের সঙ্গে থাকতেন। গত ১৩ মার্চ সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে কালিয়াকৈরের তেলিরচালা এলাকায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে অন্তত ৩৬ জন দগ্ধ হন। তাদের মধ্যে ৩২ জনকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। পরদিন ১৪ মার্চ এক সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন জানান, বিস্ফোরণের ঘটনায় দগ্ধ ৩২ জনের কেউই শঙ্কামুক্ত নন। দগ্ধদের মধ্যে অন্তত ১৬ জনের শরীরের ৮০ শতাংশ পুড়ে গেছে।
২০ মার্চ ২০২৪, ০১:৫৩

গাজীপুরে গ‍্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে নিহত বেড়ে ১১
গাজীপুরে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে ১১ জনের মৃত্যু হলো। সোমবার (১৮ মার্চ) সন্ধ্যা ৭টায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সবশেষ তাওহীদ নামে সাত বছর বয়সী এক শিশুর মৃত্যু হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করে বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. তরিকুল ইসলাম বলেন, তাওহীদের শরীরের ৮০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। বর্তমানে বার্ন ইনস্টিটিউটে ১৭ জন রোগী ভর্তি আছে। সবার অবস্থাই সংকটাপন্ন। এর আগে, একই ঘটনায় শনিবার তাওহীদের ছোট বোন তায়েবা (৩) মারা যায়। উল্লেখ্য, গত ১৩ মার্চ সন্ধ্যায় কালিয়াকৈর কোনাবাড়ী তেলিচালা এলাকায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে নারী ও শিশুসহ ৩৭ জন দগ্ধ হয়েছেন। এর মধ্যে ৩৪ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। জানা গেছে, তেলিরচালা এলাকার শফিকুল ইসলাম শফিক তার বাসার জন্য গ্যাস সিলিন্ডার আনেন। সেটি চুলার সঙ্গে লাগানোর সময় গ্যাস বের হতে থাকে। একপর্যায়ে এটিকে বাইরে রাস্তায় ফেলে দেন। সেখানে একটি মাটির চুলার আগুন সিলিন্ডারে লেগে বিস্ফোরণ ঘটে।  
১৮ মার্চ ২০২৪, ২২:৪২

গাজীপুরে গ্যাস সিলিন্ডারের আগুনে শিশুসহ দগ্ধ ৩৫
গাজীপুরের কালিয়াকৈরে রান্নার গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে নারী-শিশুসহ অন্তত ৩৫ জন দগ্ধ হয়েছেন। তাদের শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইন্সটিটিউটের জরুরি বিভাগে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।  বুধবার (১৩ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৫টায় উপজেলার মৌচাক তেলিরচালা টপস্টার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ফায়ার সার্ভিস ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, তেলিরচালা এলাকায় শফিক খান তার বাসার জন্য একটি গ্যাস সিলিন্ডার আনেন। পরে সিলিন্ডারটি চুলার সঙ্গে লাগানোর সময় গ্যাস বের হতে থাকে। তখন তিনি সিলিন্ডারটি বাইরে রাস্তায় ছুড়ে ফেলে দেন। এ সময় ওই স্থানে একটি মাটির চুলার আগুন থেকে সিলিন্ডারের গ্যাসে অগ্নিকাণ্ডের সৃষ্টি হয়। তখন রাস্তায় থাকা মানুষ অগ্নিদগ্ধ হন। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখান থেকে তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে গুরুত্বর অগ্নি দগ্ধ অবস্থায় ফারজানা (৩৩) মহিদুল (২২) নিরব (৭) নার্গিস (২৯) জহুরুল (৩৫) শিল্পি (১৯) নূরনবি(৭) শাপলা (২৪) সোলেমান (১০) আকাশ (২৬) কুটি মিয়া (৫৫) এনায়েত মিয়ার বাড়ির ভাড়াটিয়া কুদ্দুস (২৭) সুমন (২৪) মেতালেবসহ (২৯) ২৮ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো হয়। অন্যদের পরিচয় জানা যায়নি।   ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া জানান, গুরুতর অগ্নি দগ্ধ অবস্থায় ২৮ জনকে ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়েছে। কালিয়াকৈর মৌচাক পুলিশ ফাড়ির উপপরিদর্শক আসাদুজ্জামান অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাটি নিশ্চিত করেছেন।
১৩ মার্চ ২০২৪, ২২:৩০

কুড়িয়ে পাওয়া ককটেলে শিশুর কবজি বিচ্ছিন্ন
যশোরে কুড়িয়ে পাওয়া ককটেলকে বল ভেবে খেলা করার সময় বিস্ফোরণে আরজু (১০) নামের এক শিশুর কবজি বিচ্ছিন্ন হয়েছে। তার সঙ্গে থাকা মাইমুন মেহেদী (৪) নামের আরেক শিশুর নাভি হতে চোখ পর্যন্ত ক্ষতবিক্ষত হয়েছে। তাদেরকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) দুপুরে জেলার মনিরামপুর উপজেলার ফতেয়াবাদ গ্রামের পরিত্যক্ত একটি ঘরে এ ঘটনা ঘটে। জানা গেছে, ওই গ্রামের ওহিদুল ইসলামের বসতভিটায় চার কক্ষের একটি আধপাকা পরিত্যক্ত ঘরে প্রতিবেশী আসলাম হোসেন রান্নার জ্বালানি রাখতেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে আসলামের স্ত্রী নিজের ছেলে ও প্রতিবেশী বাবলুর ছেলেকে নিয়ে জ্বালানি রাখতে যান। শিশু দুটি একটি লাল স্কচটেপে মোড়ানো ছোট খেলনা সদৃশ বস্তু পায়। তারা বল মনে করে সেটি নিয়ে খেলার জন্য ছুড়ে মারে এতে আরজুর ডান হাতের কবজি বিচ্ছিন্ন হয় আর মেহেদীর নাভি হতে চোখ পর্যন্ত ক্ষতবিক্ষত হয়। এলাকাবাসী তাদেরকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। অবস্থা খারাপ দেখে চিকিৎসক তাদের যশোর সদর হাসপাতালে পাঠান। এরপর উন্নত চিকিৎসার জন্য খুমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মনিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেহেদী মাসুদ জানান, আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এসময় ওই পরিত্যক্ত ঘর থেকে ৯টি বোমা জব্দ করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় কোনো মামলা হয়নি।
০৭ মার্চ ২০২৪, ২৩:৪৭
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়