• ঢাকা বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
logo
তীব্র তাপদাহে পুড়ছে দেশ, বিপর্যস্ত জনজীবন
তীব্র তাপদাহে পুড়ছে দেশ। দিনদিন তাপমাত্রার পারদ ওপরের দিকে উঠছে। প্রখর তাপে বিপর্যস্ত জনজীবন। গরম ও অস্বস্তিতে হাঁসফাঁস করছে সাধারণ মানুষ। সবচেয়ে বেশি কষ্ট পাচ্ছে খেটে খাওয়া শ্রমজীবীরা। তাপদাহের ভেতরেই তাদের বের হতে হচ্ছে। নাভিশ্বাস উঠেছে খেটে খাওয়া মানুষের। অনেকেই প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে যাচ্ছেন না। আগামী ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। প্রচণ্ড গরমের কারণে অনলাইনে ক্লাস নেয়ার ঘোষণা দিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ও বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। রৌদ্রের প্রখর তাপে বিভন্ন জেলায় ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। মানুষের পাশাপাশি হিটস্ট্রোকে বিভিন্ন পশুপাখি মারা যাচ্ছে। বেড়েছে ডায়রিয়া, জ্বরসহ বিভিন্ন রোগ। সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে শিশু ও বয়স্করা। গরম সহ্য করেত না পেরে অনেকেই  আক্রান্ত হচ্ছেন  হিট স্ট্রোকে। রোববার (২১ এপ্রিল) ছয় জেলায় হিট স্ট্রোকে ছয়জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।  রাজধানীর মগবাজারে রাস্তার পাশে শরবত পান করছিলেন রিক্সাচালক কালাম মিয়া। তিনি আরটিভি নিউজকে বলেন, অনেক কষ্ট হচ্ছে। কি আর করার। আমরা গরীব মানুষ। পেটের দায়ে বের হচ্ছি। ঘরে খাবার থাকলে, এই গরমে বাইরে বের হতাম না। মালিবাগ মোড়ে ভ্যানে হরেক রকম পণ্য বিক্রি করছিলেন বরিশালের খালেক আকন। পরিবার নিয়ে থাকেন মালিবাগ চৌধুরীপাড়ায়। তিনি আরটিভি নিউজকে বলেন, এত গরম এর আগে কখনোও অনুভব করিনি। দেখতেইতো পারছেন ঘেমে জামা আর শরীর একাকার। কপাল থেকে ঘাম ঝরছে। ঈদের পর বিক্রি কম। মানুষ এখনও গ্রামে আছে। সব মানুষ ঢাকায় ঢুকলে মনে হয় গরম আরও বেশি লাগতো। রোববার (২১ এপ্রিল) বিকেল ৩টা পর্যন্ত চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিন ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৮ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিকে দেশের দুই জেলার ওপর দিয়ে ৮০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ের পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। রোববার (২১ এপ্রিল) রাতে দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দর সমূহের জন্য দেওয়া পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া এবং সিলেট জেলা সমূহের ওপর দিয়ে সোমবার (২২ এপ্রিল) সকাল ৯টার মধ্যে পশ্চিম অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৮০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দর সমূহকে ২ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। এদিকে, রোববার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, পাবনা ও চুয়াডাঙ্গা জেলার ওপর দিয়ে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। রাজশাহী, টাঙ্গাইল, যশোর ও কুষ্টিয়া জেলার ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। শ্রীমঙ্গল ও চাঁদপুর জেলাসহ ঢাকা, রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের অবশিষ্টাংশ এবং রংপুর, ময়মনসিংহ ও বরিশাল বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তিবিরাজ করতে পারে। এ ছাড়া একই সময়ে ময়মনসিংহ, সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে।
২২ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৩৫

টাঙ্গাইলে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি, বিপর্যস্ত জনজীবন
টাঙ্গাইলে সপ্তাহব্যাপী দাবদাহে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে জনজীবন।  শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) দুপুর ৩টায় তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করেছে টাঙ্গাইল আবহাওয়া অফিস। এটিই জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বলে নিশ্চিত করেছেন অফিসের উচ্চ পর্যবেক্ষক জামাল হোসাইন।  তিনি জানান, আজ দুপুর ৩টায় তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। তবে আরও বাড়বে। সন্ধ্যা ৬টায় সর্বশেষ তাপমাত্রা মাপা হবে। আরও দুইদিন এ দাবদাহ অব্যাহত থাকবে বলেও জানান এ আবহাওয়াবিদ। এদিকে গরম আর প্রখর রোদে ব্যহত হচ্ছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। সকালে লোকজন বাইরে বের হয়ে আসলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সমাগম কম দেখা যাচ্ছে। বাইরে আসা লোকজন গরম সইতে না পেরে চায়ের দোকান ও গাছপালার নিচে আশ্রয় নিচ্ছে। সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন শ্রমজীবী খেটে খাওয়া মানুষ। চাহিদার তুলনায় কম বিদ্যুৎ সরবরাহ থাকায় দুর্ভোগ বেড়েছে আরও কয়েক গুণ।   অন্যদিকে তাপদাহে চাপ বেড়েছে হাসপাতালগুলোতে। গরমে নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন শিশু, বৃদ্ধ ও শ্রমজীবীরা। এমন পরিস্থিতিতে বেশি করে বিশুদ্ধ পানি, খাবার স্যালাইন ও তরল খাদ্য গ্রহণের পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা।
১৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:৪২

যশোরে তীব্র তাপপ্রবাহ, বিপর্যস্ত জনজীবন
যশোরে লাগাতার গরমে চরম দুর্ভোগে জনজীবন। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষ। এ অবস্থায় বেড়েছে ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা। খুব প্রয়োজন না হলে বাইরে না বেরোনোর পরামর্শ দিয়েছেন ডাক্তাররা। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) যশোর বিমানবন্দর মতিউর রহমান ঘাঁটিস্থ আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৪০ শতাংশ। দুপুর ৩টা নাগাদ তাপমাত্রা ৪০ থেকে ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস হতে পারে। বৃহস্পতিবার যশোরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪০ দশমিক চার ডিগ্রি সেলসিয়াস।  এদিকে যশোরে লাগাতার তাপদাহের কারণে জেলা প্রশাসন স্বাস্থ্য সম্পর্কিত জরুরি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের বিষয়ে ভাবছে। যশোরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবরাউল হাছান মজুমদার বলেন, যশোর ও চুয়াডাঙ্গায় গতকাল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। আজকের অবস্থাও সেদিকে যাচ্ছে। এ অবস্থায় বেশি সংখ্যক মানুষের কাছে আমরা দ্রুত কিছু স্বাস্থ্য সম্পর্কিত সতর্কতা বার্তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করতে যাচ্ছি। লোকজন যেন এই রোদে ঘর থেকে বের না হয়। প্রচুর পরিমাণে পানি পান করে ইত্যাদি।
১৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:৩১

বৃষ্টি-বন্যায় বিপর্যস্ত ওমান-আরব আমিরাত
মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ওমানে ভারী বৃষ্টিতে কমপক্ষে ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া ভারী বৃষ্টিপাত ও এর জেরে সৃষ্ট আকস্মিক বন্যায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই)। দেশটিতে ভ্রমণ ও চলাচলও ব্যাপকভাবে ব্যহত হচ্ছে। এখনও এ দুর্যোগের ধকল কাটিয়ে উঠতে পারেনি দেশ দুটি। দেখা গেছে, ব্যাপক ঝড়-বৃষ্টিতে রানওয়েতে পানি ঢুকে যাওয়ায় বুধবার (১৭ এপ্রিল) পর্যন্ত অধিকাংশ বিমানবন্দর থেকে কোনো ফ্লাইট পরিচালনা করা যায়নি। বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) থেকে সীমিত আকারে শুরু হয়েছে ফ্লাইট পরিষেবা। গুরুত্বপূর্ণ কিছু সড়ক-মহাসড়কও চলাচলের উপযোগী করতে কাজ শুরু করেছে আমিরাতের দুর্যোগ মোকাবিলা দপ্তর। সেসব সড়কে জমে থাকা পানি সরাতে ওয়াটার পাম্প ব্যবহার করছেন দুর্যোগ মোকাবিলা দপ্তরের কর্মীরা। সোমবার (১৫ এপ্রিল) রাত থেকে মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) রাত পর্যন্ত মুষলধারে বর্ষণ হয় মধ্যপ্রাচ্যের উপসাগরীয় অঞ্চলের দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাতে। দেশটির আবহাওয়া দপ্তরের রেকর্ড অনুযায়ী, সোম-মঙ্গলবার রাতে পুরো আমিরাতে ২৪৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে, যা গড়ে দেশটির দুই বছরের মোট বৃষ্টিপাতের সমান। গত ৭৫ বছরে এমন প্রবল বর্ষণ আমিরাতে দেখা যায়নি বলেও উল্লেখ করেছে আবহাওয়া দপ্তর। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ছবি ও ফুটেজ গুলোতে দেখা গেছে, রাজধানী আবুধাবি, বাণিজ্যিক কেন্দ্র দুবাই, শারজাহসহ বিভিন্ন অঞলের সড়ক পানিতে ডুবে গেছে, গ্যারেজ, দপ্তর এবং অ্যাপার্টমেন্ট-বাড়িঘর, শপিং মলগুলোর নিচ তলায় ঢুকে পড়েছে বন্যার পানি। চলাচলে অনুপযোগী হওয়ায় আমিরাতের অধিকাংশ সড়ক ও হাইওয়ে বন্ধ রাখা হয়েছে। সড়ক যোগাযোগ নেটওয়ার্কের বিশৃঙ্খল অবস্থা এখনও কাটেনি। বৃষ্টি পরবর্তী দুবাইয়ের যেসব ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়েছে, সেগুলোতে দেখা যাচ্ছে— রাস্তাগুলোতে কোমর সমান পানিতে ডুবে আছে বাস ও গাড়িগুলো। রোববার (১৪ এপ্রিল) উপসাগরীয় অঞ্চলের অপর দেশ ওমানে প্রবল ঝড়-বৃষ্টি শুরু হয়। ব্যাপক এই প্রাকৃতিক দুর্যোগে দেশটিতে ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে। তার পরের দিন সোমবার রাত থেকে ঝড়-বৃষ্টি শুরু হয় আমিরাতে। দুবাইয়ের কেন্দ্রীয় ও প্রাদেশিক (এমিরেত) সরকার এক নির্দেশনায় সড়ক থেকে পানি না সরা পর্যন্ত চাকরিজীবী এবং শিক্ষার্থীদের বাড়িতে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। তবে জরুরি পরিষেবা কর্মীদের এই নির্দেশনার বাইরে রাখা হয়েছে। আমিরাতের জনগণ ব্যাপকভাবে ইন্টারনেট ও অনলাইন পরিষেবার ওপর নির্ভরশীল। বৃষ্টির কারণে এই পরিষেবা ব্যাপকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিল। বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) থেকে ফের স্বাভাবিক হওয়া শুরু হয়েছে ইন্টারনেট-অনলাইন। মধ্যপ্রাচ্যের মরু আবহাওয়ার দেশ আমিরাতে বছরের অধিকাংশ সময়ে আবহাওয়া গরম ও শুষ্ক থাকে। গ্রীষ্মকালে দেশটিতে তাপামাত্রার পারদ অনেক সময় ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্তও ওঠে। সেখানে সোম-মঙ্গলবার রাতে যে পরিমাণ বর্ষণ হয়েছে, তা দেশটির জলবায়ুর ইতিহাসে বিরল ঘটনা। আমিরাতের জলবায়ু বিশেষজ্ঞদের মতে, সাম্প্রতিক জলবায়ু পরিবর্তন ও বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি এই দুর্যোগের প্রধান কারণ। এদিকে, ওমানে মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) ঘোষিত মৃতের সংখ্যার মধ্যে অন্তত নয়জন স্কুলছাত্রী এবং তাদের ড্রাইভার রয়েছেন। মূলত তাদেরকে বহনকারী গাড়িটি গত রোববার সামাদ আ’শানে বন্যার পানিতে ভেসে যায়। দেশটির ন্যাশনাল কমিটি ফর ইমার্জেন্সি ম্যানেজমেন্ট জানিয়েছে, উদ্ধারকারী দল এখনও নিখোঁজ দুই ব্যক্তিকে খুঁজছে। এদিকে বেশ কয়েকটি প্রদেশের খারাপ আবহাওয়ার কারণে মঙ্গলবার সরকারি ও বেসরকারি খাতের প্রশাসনিক কর্মীদের ছুটি ঘোষণা করে সরকার। এছাড়া একই কারণে দেশটির অন্যান্য অংশে দূরে থেকেই কাজের সুযোগও এদিন দেওয়া হয়েছিল। এমনকি বাসিন্দাদেরও আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে বলা হয়েছিল যদি তারা মনে করে যে, তারা বিপদে পড়েছে বা কর্তৃপক্ষ তা করতে নির্দেশ দেয়। রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, বন্যাকবলিত এলাকা থেকে নাগরিকদের বের করে আনার জন্য সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত আশ শারকিয়াহ উত্তর প্রদেশে পুলিশ ও সৈন্যদের মোতায়েন করা হয়েছে। সূত্র : আল জাজিরা
১৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৮:৫৮

ঝড়-বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত আরব আমিরাত, সতর্কতা জারি
ঝড়-বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাত, এতে ব্যাপক দুর্ভোগে পড়েছেন বাসিন্দারা। ইতোমধ্যে বাসিন্দাদের সতর্ক করছে দেশটির পুলিশ।  শনিবার (৯ মার্চ) সকাল থেকেই আবুধাবি, দুবাই, শারজাহ, আজমান, রাস আল খাইমাহ, ফুজাইরাহসহ সব জায়গায় অঝোরে ঝরেছে বৃষ্টি। এ খবর জানিয়েছে আল আরাবিয়া। দেশটির জাতীয় জরুরি বিভাগের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এদিন সকালে দেশটির আকাশ পুরো মেঘে আচ্ছন্ন হওয়ার পরপরই নামে অতিবৃষ্টি। সেই সঙ্গে প্রচুর পরিমাণে বজ্রপাত হয়েছে আল আইন ও আজমানে। রোববার (১০ মার্চ) দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া খারাপ থাকবে। এ সময়ের মধ্যে ব্যাপক বৃষ্টি, বজ্রপাত এবং শিলাবৃষ্টি হতে পারে। দেশটির পুলিশের পক্ষ থেকে  বাসিন্দাদের আবহাওয়া সতর্কবার্তা পাঠিয়ে শুক্রবার রাত ১০টার দিকে মোবাইল ফোনে এসএমএস পাঠানো হয়েছিলো।   এতে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার মধ্যে বাসিন্দাদের সমুদ্র সৈকতে যাওয়া থেকে বিরত থাকা, নৌযানে চলাচল না করা, বন্যা প্রবণ এলাকায় ঘুরতে না যাওয়া এবং গাড়ি চালাতে সতর্কতা আরোপের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।  গত সপ্তাহে দেশটির আবহাওয়া দপ্তর বৃষ্টির ব্যাপারে সতর্কতা দিয়েছিল। গত মাসেও আরব আমিরাতে ভয়াবহ বৃষ্টি এবং বজ্রপাত হয়। 
০৯ মার্চ ২০২৪, ২০:০৬

তীব্র শৈত্যপ্রবাহে বিপর্যস্ত দিনাজপুর, সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৫.৭ 
টানা শৈত্যপ্রবাহ আর ঘন কুয়াশায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে দিনাজপুর।  সোমবার (২৯ জানুয়ারি) দিনাজপুরে সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৫ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।  এটি আজ সারাদেশের মধ্যে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। এ সময় এ অঞ্চলে বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৮৮ শতাংশ।  এ দিকে গতকাল রোববার মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।  তাপমাত্রার হিসেবে দিনাজপুরে গতকাল রোববার ও আজ সোমবার তীব্র শৈত্যপ্রবাহ বিরাজ করছে। কিন্তু তীব্র শৈত্যপ্রবাহ আর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বিরাজ করলেও সোমবার সকাল থেকে দেখা মিলেছে সূর্যের। এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন জেলা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান। তিনি বলেন, আজ সোমবার দিনাজপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৫ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতা ছিল ৮৮ ভাগ। এটি দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। সূর্যের দেখা মিললেও বাতাস বইছে।
২৯ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:২২

মেহেরপুরে শীতে বিপর্যস্ত জীবন, তাপমাত্রা ৮.৩ ডিগ্রি 
তীব্র শীতে কাঁপছে মেহেরপুর। অব্যহত রয়েছে মৃদু শৈতপ্রবাহ। গতকালের চেয়ে কমেছে তাপপাত্রা।  শনিবার (২৭ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় চুয়াডাঙ্গা-মেহেরপুর অঞ্চলে সর্বনিম্ন ৮ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তামপাত্রা রেকর্ড করেছে চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিস।  এদিকে শৈতপ্রবাহের কবলে শীতের তীব্রতা বাড়িয়ে দিয়েছে। এতে স্কুল কলেজগামী ছাত্রছাত্রী আর কর্মীজীবী মানুষের কষ্টের যেন সীমা নেই। সকাল ৯টা পর্যন্ত মেলেনি সূর্যের দেখা। প্রচণ্ড ঠান্ডায় সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছে ছিন্নমূল ও শ্রমজীবী মানুষ। প্রতিদিনের আয়ে ভাটা পড়েছে তাদের। ফলে পরিবার পরিজন নিয়ে খুব কষ্টে দিনপাত করতে হচ্ছে। প্রচণ্ড ঠান্ডার কারণে কোল্ড ইঞ্জুরি ও ছত্রাকের আক্রমণ দেখা দিয়েছে মাঠ ফসলে। বিভিন্ন ধরনের ছত্রাকনাশক প্রয়োগ করেও সমাধান মিলছে না বলে অভিযোগ কৃষকদের।
২৭ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:১৪

দিনাজপুরে শীতে বিপর্যস্ত জনজীবন, তাপমাত্রা ৭.৩ ডিগ্রি
দিনাজপুরে তীব্র শীত ও ঘন কুয়াশার কারণে দুর্ভোগ বেড়েছে জনজীবনে। সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষ।  শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) সকালে জেলায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৭ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। চলতি মৌসুমে এটিই জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।  এদিকে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া খুব বেশি মানুষ ঘর থেকে বের হচ্ছেন না। শীতের সকালে ছিন্নমূল আর গ্রামীণ মানুষ খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে। সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষজন।  দিনাজপুর আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান গণমাধ্যমকে বলেন, জেলায় বর্তমানে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বইছে। শুক্রবার সকাল ৬টায় জেলায় এ মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৭ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।
২৬ জানুয়ারি ২০২৪, ০৯:২২

টানা শৈত্যপ্রবাহে কুড়িগ্রামের জনজীবন বিপর্যস্ত
কুড়িগ্রামে কয়েক দিনের টানা শীতের প্রভাবে মানুষের দুর্ভোগ কমছে না। মাঘের এ হাড় কাঁপানো শীতে নাজেহাল হয়ে পড়েছে জেলাবাসী। ঘন কুয়াশা ও হিমেল হাওয়ায় স্থবির হয়ে পড়েছে জনজীবন। বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার অফিস জানায়, সকাল ৬টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং পরে তা আরও কমে সকাল ৯টায় দাঁড়ায় ৯ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। ফলে জেলায় আজও মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বইছে। কিন্তু দুপুরের পর সূর্যের দেখা মিললে মানুষের মধ্যে কিছুটা স্বস্তি দেখা যায়। তবে রোদের উত্তাপ তেমন না থাকায় ঠান্ডা রয়েই গেছে। এদিকে বৃহস্পতিবারও মৃদু শৈত্যপ্রবাহের কারণে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ফের বন্ধ ঘোষণা করে জেলা প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা বিভাগ।  অন্যদিকে, প্রচণ্ড ঠান্ডায় বিঘিন্ত হচ্ছে চলতি বোরো মৌসুমের আবাদের প্রস্তুতি। কৃষকরা বোরো বীজতলা নিয়ে শংকিত রয়েছেন। জেলার ৯ উপজেলার অনেক এলাকায় দীর্ঘ ৬ দিন যাবত ঘন কুয়াশা ও শৈত্যপ্রবাহসহ ঠান্ডার কারণে বীজতলায় হলুদ বর্ণ ধারণ করেছে। এ ছাড়াও আলু খেতের গাছের গোঁড়ায় লেট ব্লাইট রোগের আক্রমণ হওয়ায় গোড়া পচন ধরে গিয়ে চিন্তায় ফেলেছে কৃষকদের।  সদরের কাঁঠালাবাড়ি এলাকার আলু চাষি আব্দুর রহিম জানান, শীতের ঘন কুয়াশা ও হিমের কারণে আলুর গোড়া পচনে ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। তবে আমরা চেষ্টা করছি কীভাবে এ রোগ থেকে খেত রক্ষা করা যায়। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক বিপ্লব কুমার মোহন্ত জানান, আমরা কৃষকদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ প্রদান করছি। এদিকে অতিরিক্ত ঠান্ডার প্রকোপে নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া অনেক মানুষ প্রচণ্ড কুয়াশা ও শীতকে উপেক্ষা করে জমিতে কাজে যাচ্ছেন। টানা শৈত্যপ্রবাহে ঘরে কয়েক দিন ধরে থাকায় ও কাজে যেতে না পেরে পরিবার পরিজন নিয়ে বিপাকে পড়েছে এসব মানুষ। উপায়ন্তর না দেখে তারা জমিতে কাজ করতে যাচ্ছেন। শীতার্ত মানুষের জন্য জেলা প্রশাসন থেকে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হলেও প্রয়োজনের তুলনায় তা অনেক কম বলে অভিযোগ শীতার্ত মানুষের। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাঈদুল আরীফ জানান, ইতোমধ্যে সরকারিভাবে ৬৫ হাজার কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। শিশুদের জন্য আলাদা শীতের কাপড়সহ শুকনো খাবারও দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, বেসরকারিভাবেও অনেকেই শীতবস্ত্র বিতরণ করছেন। সম্প্রতি ৪টি সংসদীয় আসনে নির্বাচিত এমপিদের বরাদ্দ একহাজার করে ৪ হাজার কম্বল এসেছে। তা তাদের পরামর্শ ও নির্দেশনা মোতাবেক ৯ উপজেলায় বণ্টন করা হবে বলেও জানান তিনি।
২৫ জানুয়ারি ২০২৪, ১৬:৫৮

কনকনে শীতে বিপর্যস্ত সিরাজগঞ্জ, সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ
ঘন কুয়াশা ও হিমশীতল বাতাস আর কনকনে শীতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে সিরাজগঞ্জের মানুষের জনজীবন। মঙ্গলবার সকাল থেকে সিরাজগঞ্জের আকাশে রোদের দেখা মিললেও বুধবার (২৪ জানুয়ারি) কুয়াশার চাদরে ঢাকা রয়েছে পুরো সিরাজগঞ্জ। যার ফলে বেড়েছে শীতের তীব্রতা। তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নামায় সিরাজগঞ্জের মোট ১৬৭১টি প্রাথমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও মোট ৫৮৪টি মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আগামী ২৫ জানুয়ারি পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। বুধবার (২৪ জানুয়ারি) সকাল ৬টা ও ৯টায় সিরাজগঞ্জের বাঘাবাড়ি প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া অফিসের তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা মঙ্গলবার ছিল ৬ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।  সিরাজগঞ্জ শহরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, ঘন কুয়াশার সঙ্গে উত্তরের হিমেল বাতাসে মানুষের ভোগান্তি বেড়েছে। বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষ। আজ ভোর থেকেই কুয়াশায় ঢাকা পড়ে আছে সিরাজগঞ্জের পথঘাট। দশ হাত পর পর কোনো কিছু দেখা যাচ্ছে না। সড়কগুলোতে দুর্ঘটনা এড়াতে হেডলাইট জ্বালিয়ে যানবাহগুলো চলাচল করছে। সকাল ১০টা পর্যন্ত কুয়াশার কারণে সূর্যের মুখ দেখা যায়নি। এ কারণে কনকন শীতে শীতে জবুথবু থাকতে হচ্ছে। সবচেয়ে ভোগান্তি পোহাচ্ছেন শ্রমজীবী মানুষরা। বাঘাবাড়ি প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোস্তফা কামাল বলেন, সকাল ৬টা ও ৯টায় এখানে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তাপমাত্রা আট থেকে দশের মধ্যে থাকলে তাকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ ধরা হয়। ফলে আজ মৃদু শৈত্যপ্রবাহ চলছে।  তিনি বলেন, আকাশে সূর্য থাকলেও কুয়াশার কারণে সূর্যের দেখা মিলছে না। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সূর্যের দেখা মিললেও মিলতে পারে।  তাড়াশ কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, আজ সকালে এখানে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা গতকালের চেয়ে অনেকটা বেশি। তবে যেহেতু রোদের দেখা মিলছে না এবং চারপাশ কুয়াশাচ্ছন্ন রয়েছে তাই শীত বেশি অনুভূত হচ্ছে।  মাসজুড়েই এমন শীত অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানান এ কর্মকর্তা।  সিরাজগঞ্জের জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত) মো. আফসার আলী বলেন, জেলায় কয়েকদিন হলোই তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস এর নিচে রয়েছে। এতে ছোট ছেলেমেয়েদের খুব কষ্ট হয়। যেহেতু তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নিচে নামলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার নির্দেশনা আছে তাই জেলার মাধ্যমিক স্তরের সর্বমোট ৫৮৪টি (দাখিল মাদরাসাসহ) শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ক্লাস আগামী ২৫ জানুয়ারি পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। এতে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরাও স্বস্তিতে রয়েছেন। 
২৪ জানুয়ারি ২০২৪, ১৪:১০
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়