• ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo
এসির টেম্পারেচার যত হলে স্বাস্থ্যের জন্য ভালো, হবে বিদ্যুৎ বিলেরও সাশ্রয়
বাহিরের এই তাপদাহে ঘরে ফিরে এসির হাওয়ায় ঠান্ডা হতে অনেকেই ১৬ ডিগ্রির সর্বনিম্ন তাপমাত্রায় এয়ার কন্ডিশনার চালু করে। এটি করলে তাৎক্ষণিক শীতলতা পাওয়া যায়। আসলে এই অভ্যাস সম্পূর্ণ ভুল। এতে বিদ্যুতের বিল বেশি আসে এবং ঘরে বসে থাকা মানুষের স্বাস্থ্যের জন্যও ক্ষতিকর। ব্যুরো অফ এনার্জি এফিসিয়েনসি (BEE), ২৪ ডিগ্রি তাপমাত্রা ঘরে বসে থাকা মানুষের জন্য একেবারে সঠিক। এতে স্বাস্থ্যের ওপর কোনও খারাপ প্রভাব পড়ে না এবং বিদ্যুৎ বিলও সাশ্রয় হয়। ব্যুরো অফ এনার্জি এফিসিয়েনসি (BEE), কেউ দীর্ঘ সময় ধরে ১৬ বা ১৮ ডিগ্রি তাপমাত্রায় এসি চালালে সেটি স্বাস্থ্যের ক্ষতি করতে শুরু করে।  ১৬ ডিগ্রিতে কি ঘর দ্রুত ঠান্ডা হয়? কিন্তু এই ধারণা সম্পূর্ণ সঠিক নয়। আপনি যদি ১৬ ডিগ্রিতে এসি চালান, তাহলে আপনি অবশ্যই একটু ভালো ঠান্ডা অনুভব করবেন, কিন্তু এতে সুবিধার চেয়ে অসুবিধা বেশি। ২৪ থেকে ২৭ ডিগ্রিতে এসি চালালেও একই সময়ে রুম ঠান্ডা হবে। কিন্তু ১৬ বা ১৮ ডিগ্রিতে এসি চালালে কম্প্রেসারটি বেশি লোড হয় এবং বেশি বিদ্যুৎ খরচ করে। এসির তাপমাত্রা এক ডিগ্রি বাড়ানোর ফলে তিন থেকে চার শতাংশ কম বিদ্যুৎ খরচ হয়। একটানা দীর্ঘ সময় এসি ব্যবহার করবেন না। প্রয়োজন না হলে এসি বন্ধ রাখুন।
১৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩:১৩

পাকিস্তানে বিদ্যুৎ গ্রাহকদের গুনতে হচ্ছে অতিরিক্ত ১২৫ বিলিয়ন রুপি
পাকিস্তানে বিদ্যুৎ খাতে ত্রৈমাসিক ও মাসিক সমন্বয়ের জন্য গ্রাহকরা আগামী তিন মাসে (এপ্রিল থেকে জুন) অতিরিক্ত ১২৫ বিলিয়ন রুপি পরিশোধ করবেন। ন্যাশনাল ইলেকট্রিক পাওয়ার রেগুলেটরি অথরিটি (নেপ্রা) ২০২৩-২৪ অর্থবছরের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিক সমন্বয় করতে বৃহস্পতিবার ‘ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি’ এবং ‘কে-ইলেক্ট্রিকের’ গ্রাহকদের জন্য প্রতি ইউনিটে ২.৭৪৯২ রুপি শুল্ক বাড়ানোর অনুমোদন দিয়েছে। ইতোমধ্যে নেপ্রা ফেব্রুয়ারি মাসের জন্য মাসিক জ্বালানি চার্জ সামঞ্জস্যের কারণ হিসেবে ‘ডিসকোস’ পিটিশনে প্রতি ইউনিটে ৪.৯৯ রুপি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়ে রেখেছে। সেটি কার্যকর হলে ‘ডিসকোসের’ ভোক্তাদের প্রতি ইউনিটে ৪.৯৯ দিতে হবে। এছাড়া ত্রৈমাসিক সমন্বয়ের জন্য প্রতি ইউনিটে অতিরিক্ত ২.৭৪ রুপি কেটে রাখা হবে। এর মানে এপ্রিল মাসে ত্রৈমাসিক ও মাসিক সমন্বয়ের জন্য ডিস্কোর গ্রাহকদের কাঁধে প্রতি ইউনিটে অতিরিক্ত ৭.৭৪ রুপির বোঝা পড়বে এবং মে ও জুন মাসে ইউনিট প্রতি অতিরিক্ত ২.৭৪ রুপি গুনতে হবে। একইভাবে কে-ইলেক্ট্রিকের গ্রাহকদের এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত তিন মাসের জন্য ২০২৩-২৪ অর্থবছরের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিক সমন্বয়ে ইউনিট প্রতি অতিরিক্ত ২.৭৫ রুপি দিতে হবে। কিউটিএ’র প্রভাবে ডিসকোস ও কেই এর গ্রাহকদের অতিরিক্ত ৮৫.২ বিলিয়ন রুপি গুনতে হবে। ফেব্রুয়ারির এফসি’র জন্য দিতে হবে অতিরিক্ত আরো ৪০ বিলিয়ন রুপি।
১১ এপ্রিল ২০২৪, ২৩:৫৭

পিরোজপুরে ঝড়ের তাণ্ডব : ২ দিন পরও স্বাভাবিক হয়নি বিদ্যুৎ সরবরাহ
পিরোজপুরে হঠাৎ করে আঘাত হানা কালবৈশাখী ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় এখনও স্বাভাবিক হয়নি বিদ্যুৎ সরবরাহ। স্বল্প পরিসরে পিরোজপুর শহরে রাতে বিদ্যুৎ লাইন চালু করা গেলেও অধিকাংশ এলাকায় রয়েছে বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন। অন্যদিকে ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত শতাধিক পরিবারকে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে জেলা প্রশাসন।  রোববার (৭ এপ্রিল) সকাল সোয়া ১০টার দিকে হঠাৎ করেই আকাশ কালো মেঘে ছেঁয়ে যায়। কিছুক্ষণ পরই শুরু হয় ঝড়। আর মুহূর্তের মধ্যেই লণ্ডভণ্ড হয়ে যায় পিরোজপুর সদর উপজেলার পৌরএলাকা এবং শারিকতলা ইউনিয়ন। এর প্রভাব পড়ে পার্শ্ববর্তী কাউখালী ও ইন্দুরকানী উপজেলায়ও। সদর উপজেলার দক্ষিণ মরিচাল গ্রামে ঘরের ওপর গাছ পড়ে চাপা পড়ে মারা যান এক নারী এবং একই এলাকায় পানিতে পড়ে মারা যান আরেক বৃদ্ধ। এ ছাড়া আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন কমপক্ষে ১৫ জন। অন্যদিকে ঝড়ে গাছে থাকা আম, লিচুসহ অন্যান্য ফলের গুটি এবং গাছে থাকা কলার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।  তবে ঝড়ের পর থেকেই বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে পিরোজপুর সদর, কাউখালী, ইন্দুরকানী ও ভান্ডারিয়া উপজেলা। তবে জেলা ও উপজেলা শহরগুলোতে স্বল্প পরিসরে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা সম্ভব হলেও অধিকাংশ এলাকা রয়েছে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন। এ ছাড়া প্রধান সড়কগুলো থেকে ঝড়ে ভেঙে পড়া গাছ অপসারণ করা সম্ভব হলেও গ্রামাঞ্চলের অনেক রাস্তাঘাট এখনও যান চলাচলের জন্য পুরোপুরি উপযোগী হয়নি। এতে করে মারাত্মক ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ মানুষ।  এদিকে সোমবার (৮ এপ্রিল) প্রাথমিকভাবে ক্ষতির পরিমাণ নিরুপণ করে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে বলে জানান অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মাধবী রায়।  তিনি বলেন, ক্ষতিগ্রস্তদের তাৎক্ষণিকভাবে সহযোগিতা করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া আজ সন্ধ্যার মধ্যে অধিকাংশ এলাকাতে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক করা সম্ভব হবে বলেও আশা করা যাচ্ছে।
০৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:১৬

বিদ্যুৎ খাতে সহযোগিতা বাড়াতে ভারত ও নেপালকে প্রস্তাব পাঠিয়েছে বাংলাদেশ 
ক্রমবর্ধমান বিদ্যুতের চাহিদা মেটাতে এ খাতে আঞ্চলিক সহযোগিতার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছে সরকার। সেই লক্ষ্যে বিদ্যুৎ খাতে পারস্পারিক সহযোগিতা বাড়াতে চুক্তি সম্পাদনের জন্য প্রতিবেশী ভারত ও নেপালের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে ইতোমধ্যে।  শনিবার (৩০ মার্চ) ঢাকায় অবস্থিত নেপাল দূতাবাসে ‘প্রি-ইভেন্ট সেমিনার অন দ্য থার্ড নেপাল ইনভেস্টমেন্ট সামিট ২০২৪’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ তথ্য দিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। আঞ্চলিক সহযোগিতার মাধ্যমে সীমানা অতিক্রম করে লাভজনক অংশীদারত্ব গড়ে তোলা সম্ভব উল্লেখ করে তিনি এ সময় বলেছেন, যৌথ প্রয়াসের মাধ্যমে আমাদের এই অঞ্চলের সম্ভাবনা দ্রুতই কাজে লাগানো যাবে। টেকসই উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির জন্য প্রতিবেশী দেশগুলোর একত্রে কাজ করা অপরিহার্য। প্রতিমন্ত্রী এরপর বলেন, বিদ্যুৎ খাতে সহযোগিতা বাড়ানোর জন্য বাংলাদেশ-ভারত-নেপালের ত্রিপক্ষীয় চুক্তি আবশ্যক। আলোচনা চলছে, বাংলাদেশের পক্ষ থেকে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের জন্য প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে ভারত ও নেপালের কাছে। বর্তমানে ভারত থেকে প্রায় ২ হাজার ৬৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করা হচ্ছে জানিয়ে নসরুল হামিদ বলেন, ভারত থেকে বাংলাদেশ প্রথম বিদ্যুৎ আমদানি করে। এখন প্রায় ২ হাজার ৬৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করা হচ্ছে। ভারতীয় গ্রিড ব্যবহার করে বাংলাদেশের ভেড়ামারায় এইচভিডিসি সাব-স্টেশনের অব্যবহৃত সক্ষমতার মাধ্যমে নেপাল থেকে ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানির প্রক্রিয়া প্রায় চূড়ান্ত। নেপালের ন্যাশনাল ইলেকট্রিক অথরিটি (এনইএ) এবং বাংলাদেশের বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) মাঝে ট্যারিফ নির্ধারণ প্রায় সম্পন্ন হয়েছে। তিনি বলেন, নেপাল ও ভারতে বিদ্যুৎ বিক্রির সুযোগ রেখে নেপালের সুঙ্কোশি-৩ প্রকল্পে বিনিয়োগ করবে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড। ইতোমধ্যে ফিজিবিলিটি স্টাডি সম্পন্ন হয়েছে। দুই পক্ষের মধ্যে আরও এগিয়ে যাওয়ার আলোচনা চলমান রয়েছে। জিএমআর প্রকল্পে ভারতীয় কোম্পানির যৌথ বিনিয়োগের মাধ্যমে উৎপাদিত বিদ্যুৎ বাংলাদেশে আমদানির বিষয়টি প্রায় চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। এছাড়া নেপাল ও বাংলাদেশের মধ্যে সঞ্চালন লাইন তৈরি করা গেলে বিদ্যুৎ আমদানির সঙ্গে রপ্তানিও করা যাবে বলে মনে করেন প্রতিমন্ত্রী। নেপালের বিদ্যুৎ খাতে উন্নয়নের জন্য বাংলাদেশ পাওয়ার ম্যানেজমেন্ট ইনস্টিটিউট তাদের প্রকৌশলীদের মানসম্পন্ন প্রশিক্ষণ দিতে পারে উল্লেখ করে নসরুল হামিদ আরও বলেন, সোলার পাওয়ার প্লান্ট ও সোলার হোম সিস্টেম স্থাপনে বাংলাদেশ নেপালকে সহযোগিতা করতে পারে। বাংলাদেশের বেসরকারি বিনিয়োগকারীরা নেপালের বিদ্যুৎ খাতে বিনিয়োগ করতে ইচ্ছুক। তাদের উৎসাহিত করতে নেপালের বিশেষ প্রণোদনা ঘোষণা করা উচিত। প্রতিক্রিয়ায় বাংলাদেশে নিযুক্ত নেপালের রাষ্ট্রদূত ঘনশ্যাম ভান্ডারি এ সময় বলেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে নেপালে বিনিয়োগের পরিবেশ আরও উদার ও ব্যবসাবান্ধব করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদার নেপালের অগ্রাধিকার তালিকায় রয়েছে। বিশেষ করে বিদ্যুৎ খাতে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় প্রথমবারের মতো এই দুই দেশ পরিবেশবান্ধব জলবিদ্যুৎ বাণিজ্যের পথে অনেক দূর এগিয়ে গেছে। এ সময় অন্যদের মধ্যে নেপাল ইনভেস্টমেন্ট বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সুশীল ভাটও বক্তব্য রাখেন।  
৩১ মার্চ ২০২৪, ০৮:৫৬

সরকারি বিদ্যুৎ কোম্পানিতে চাকরি, বেতন (গ্রেড-৪)
জনবল নিয়োগে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে ইলেকট্রিসিটি জেনারেশন কোম্পানি অব বাংলাদেশ লিমিটেড (ইজিসিবি)। এ প্রতিষ্ঠানে ক্রেন অপারেটর (গ্রেড-৪) পদে একাধিক কর্মী নিয়োগ দেওয়া হবে। আগ্রহীদের ডাকযোগে/সরাসরি বা কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে আবেদনপত্র পাঠাতে হবে।  যা যা প্রয়োজন : পদের নাম : ক্রেন অপারেটর (গ্রেড-৪) পদসংখ্যা : ২টি যোগ্যতা: যেকোনো শিক্ষা বোর্ড/ইনস্টিটিউট থেকে এসএসসি বা সমমান পাস। ক্রেন/হেভি ভেহিকেল চালনায় কমপক্ষে ৩ বছরের অভিজ্ঞতাসহ বৈধ ড্রাইভিং/অপারেটিং লাইসেন্সধারী হতে হবে। বয়স : ১৮ থেকে ৪৮ বছর। ইজিসিবিতে কর্মরতদের ক্ষেত্রে বয়সসীমা ১০ বছর পর্যন্ত শিথিলযোগ্য। কর্মস্থল : ইজিসিবির অধীন যেকোনো এলাকায় বিদ্যুৎকেন্দ্র, স্থাপনা বা প্রকল্পে কাজ করতে হবে। এ ছাড়া ইজিসিবির কোনো দপ্তরে সংযুক্ত করলে সেখানে কাজ করতে হবে চাকরির ধরন : প্রাথমিকভাবে তিন বছরের চুক্তিতে নিয়োগ করা হবে। সন্তোষজনক কর্মসম্পাদনের ভিত্তিতে চাকরির চুক্তি পর্যায়ক্রমে ৬০ বছর বয়স পর্যন্ত নবায়নযোগ্য। মূল বেতন: ১৫ হাজার ৫০০ টাকা সুযোগ-সুবিধা : বাড়িভাড়া ভাতাসহ অন্যান্য সুবিধা বিধি অনুযায়ী দেওয়া হবে। আবেদন যেভাবে: আগ্রহী প্রার্থীদের নিজ নাম, পিতা/স্বামীর নাম, মাতার নাম, জন্মতারিখ, ১৯ মার্চ, ২০২৪ তারিখে বয়স, জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর, স্থায়ী ঠিকানা, বর্তমান ঠিকানা, শিক্ষাগত যোগ্যতা, ধর্ম, জাতীয়তা, বৈবাহিক অবস্থা, অভিজ্ঞতা (প্রতিষ্ঠানের নাম ও কর্মকালসহ), বিশেষ কোটায় আবেদন করলে তা উল্লেখ করে মহাব্যবস্থাপক (এইচআরএম), করপোরেট অফিস, ইলেকট্রিসিটি জেনারেশন কোম্পানি অব বাংলাদেশ (ইজিসিবি) লিমিটেড, ইউনিক হাইটস (লেভেল-১৫ ও ১৬), ১১৭ কাজী নজরুল ইসলাম অ্যাভিনিউ, ইস্কাটন গার্ডেন, ঢাকা-১২১৭ বরাবর আবেদন করতে হবে। আবেদনপত্রের সঙ্গে সব শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ, মার্কশিট/ট্রান্সক্রিপ্ট, বৈধ ড্রাইভিং/অপারেটিং লাইসেন্স, প্রশিক্ষণ, অভিজ্ঞতা ও অন্যান্য কার্যক্রমসংক্রান্ত সনদ, জাতীয় পরিচয়পত্র (যদি থাকে), স্থায়ী ঠিকানার সপক্ষে নিজ নিজ এলাকার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান/পৌরসভার মেয়র/সিটি করপোরেশনের কমিশনার কর্তৃক প্রদত্ত নাগরিকত্ব সনদের সত্যায়িত অনুলিপি, তিন কপি পাসপোর্ট সাইজের রঙিন সত্যায়িত ছবি সংযুক্ত করতে হবে। এ ছাড়া ১০ টাকা মূল্যের ডাকটিকিটযুক্ত বর্তমান ঠিকানাসহ ফেরত খামও পাঠাতে হবে। নিয়োগসংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য এই লিংকে জানা যাবে। আবেদন ফি: ইলেকট্রিসিটি জেনারেশন কোম্পানি অব বাংলাদেশ (ইজিসিবি) লিমিটেডের অনুকূলে ২০০ টাকার (অফেরতযোগ্য) ব্যাংক ড্রাফট/পে-অর্ডার করে রসিদ আবেদনপত্রের সঙ্গে সংযুক্ত করতে হবে। আবেদনপত্র পাঠানোর ঠিকানা: মহাব্যবস্থাপক (এইচআর), করপোরেট অফিস, ইলেকট্রিসিটি জেনারেশন কোম্পানি অব বাংলাদেশ (ইজিসিবি) লিমিটেড, ইউনিক হাইটস (লেভেল-১৫ ও ১৬), ১১৭ কাজী নজরুল ইসলাম অ্যাভিনিউ, ইস্কাটন গার্ডেন, ঢাকা-১২১৭। আবেদনের শেষ সময়: ২৮ মার্চ ২০২৪, বিকেল ৪টা পর্যন্ত।
২৫ মার্চ ২০২৪, ১৫:৫৪

বিদ্যুৎ বিভ্রাটে অতিষ্ঠ নোবিপ্রবি শিক্ষার্থীরা
ঘন ঘন বিদ্যুৎ বিভ্রাটে ভোগান্তিতে পড়েছেন নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) আবাসিক শিক্ষার্থীরা। এতে করে পড়াশোনায় ব্যাঘাত, ঘুমে সমস্যা ও পানি সংকটসহ নানান সমস্যায় অতিষ্ঠ হয়ে দিন পার করছেন বলে শিক্ষার্থীদের অভিযোগ। ভোগান্তি হতে মুক্তি পেতে ২৪ ঘণ্টা জেনারেটর সুবিধা দাবি করেছে শিক্ষার্থীরা।  জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছেলেদের দুটি ও মেয়েদের তিনটি হলে বিদ্যুৎ বিভ্রাট নিত্য সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বন্ধের দিনে এ ভোগান্তি চরম আকার ধারণ করে। রমজান মাসে প্রায় সবগুলো বিভাগে ক্লাস ও কিছু কিছু বিভাগে সেমিস্টার চলায় এই দুর্ভোগের মাত্রা আরও বেড়েছে। শিক্ষার্থীরা তাদের নির্বিঘ্নে পড়ালেখা চালিয়ে যেতে হিমশিম খাচ্ছে। হলগুলো ছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবনগুলোতেও একই সমস্যা দেখা দিচ্ছে। ফলে একাডেমিক কার্যক্রমেও প্রভাব পড়ছে বলে জানা যায়। এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিপিডি দফতর সূত্রে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসিয়াল অর্ডারের একটি নির্দিষ্ট সময় জুড়ে জেনারেটর সুবিধা চালু রাখা হয়। অফিসিয়াল অর্ডারের চেয়ে বেশি সময় জেনারেটর চালু রাখতে হলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অনুমতি লাগবে এবং অনুমতি পেলে পরবর্তীতে সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নিবেন তারা। দুর্ভোগের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু হলের এক আবাসিক ছাত্রী আরটিভিকে বলেন, পরীক্ষা দিয়ে এসে দেখি কারেন্ট নাই। রুমমেট এর থেকে শুনলাম আরও ঘণ্টা খানেক আগে কারেন্ট গিয়েছে। গরমের মধ্যে শরীর অনেক খারাপ করে। সন্ধ্যার সময় কারেন্ট আসে। মাঝখানে ১০ মিনিটের জন্য এমনি এসে আবার চলে যায়। পরদিন নেক্সট এক্সিমের প্রিপারেশন এর জন্য ল্যাপটপ অন করে বসি। কারেন্ট আবার চলে যায়। ওয়াইফাই  না থাকলে মোবাইল ডাটা দিয়ে তো এতক্ষণ চলা সম্ভব না। অনেককিছু সার্চ করা লাগে। ল্যাপটপ এর চার্জ শেষ হয়ে বন্ধ ও হয়ে যায়। সব মিলিয়ে প্রচুর বিরক্তি কাজ করে। বীর মুক্তিযোদ্ধা সাবেক স্পিকার আবদুল মালেক উকিল হলের একজন আবাসিক শিক্ষার্থী জানান, গতবছর পরীক্ষার সময় আমরা পড়াশোনা করেছি তখন লোডশেডিং ছিল না যেটা এই বছর দেখা যাচ্ছে। পাঁচ মিনিট পরপর বিদ্যুৎ আসে আর যায়, যার কারণে আমরা পড়াশোনায় মনোযোগী হতে পারছি না। পরীক্ষা থাকায় উপায় না পেয়ে মোমবাতি জ্বালিয়ে আমাদের পড়তে হচ্ছে যা একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হিসেবে আমাদের জন্য দুঃখজনক। বঙ্গমাতা হলের এক আবাসিক ছাত্রী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, প্রথমত তাপমাত্রা বৃদ্ধির ফলে বিদ্যুৎ না থাকলে অসহ্য গরম লাগে, হিট স্ট্রোকের সম্ভাবনা থাকে। পানি সরবরাহের সমস্যা হয়, ফলে পানি সংকট দেখা দেয়। এছাড়া ও ইলেকট্রনিক ডিভাইসগুলোতে চার্জ থাকে না, ফলে রমজানের মধ্যে অনলাইনে ক্লাস করতে অসুবিধা হয়। ওয়াইফাই সুবিধা ও থাকে না। বিদ্যুৎ বিভ্রাটের ফলে পানির সমস্যাতেও ভোগান্তি হচ্ছে উল্লেখ করে বিবি খাদিজা হলের এক আবাসিক শিক্ষার্থী বলেন, খাদিজা হলের পানির লাইনগুলো এমনভাবে করা যে পানি আগে সামনের ব্লকে যায় এরপর পিছনের ব্লকে আসে। দেখা যায় সকালে ক্লাসে যাওয়ার সময় পানি নাই আবার দুপুরে এসেও পানি নাই। মাঝে যেই সময় হঠাৎ অল্প একটু আসে তখন যারা থাকে তারা পায় বা অনেক সময় দেখা যায় জানেও না। গতবছর পুরো গ্রীষ্মকাল এইভাবেই গেছে। সব হলে পানি থাকলেও খাদিজা হলের পিছনের ব্লকে দেখা যায় নাই। এই বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ জামাল হোসাইন বলেন, বিদ্যুৎ তো সরকারের হাতে, তারা কতক্ষণ দিবে না দিবে এটার ওপর আমাদের হাত নেই। বিদ্যুৎ সরকারের হাতে থাকলেও জেনারেটর সুবিধাতো বিশ্ববিদ্যালয়ের হাতে। তবে কেন এ সুবিধা বিদ্যুৎ বিভ্রাটের সময় দেয়া হচ্ছে না। এ প্রশ্নের জবাবে প্রধান প্রকৌশলী বলেন, আমাদের অফিসিয়াল একটা অর্ডার আছে কয়টা থেকে কয়টা জেনারেটর চালু রাখবো বা কতক্ষণ চালু থাকবে। আর এর চেয়ে বেশি সময় জেনারেটর চালু রাখতে হলে অর্থের ব্যাপার আছে। ভিসি স্যার বা ট্রেজারার স্যার হচ্ছেন এটার অথোরিটি। উনারা যদি অনুমতি দেয় অতিরিক্ত সময় চালানোর তাহলে আমাদের কোনো সমস্যা নেই। আমরা সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নিবো। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর বলেন, আমাদের একটা জেনারেটর নষ্ট। ঐটা ঠিক করার ব্যবস্থা করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড.দিদার-উল-আলম বলেন, আমরা অফডেতে হল এবং আবাসিক এলাকায় দিনের বেলায় জেনারেটর এর ব্যবস্থা করছি। দিনের বেলায় জেনারেটর থাকবে। ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে বলে দেওয়া হয়েছে।
১৯ মার্চ ২০২৪, ১৯:২৮

সংশোধিত এডিপি অনুমোদন / বিদ্যুৎ খাতে বরাদ্দ ৩৭ হাজার ৮৯৬ কোটি টাকা
বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) সংশোধনী হয়েছে আজ। মঙ্গলবার (১২ মার্চ) শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) সভায় সংশোধিত এই এডিপি (আরএডিপি) অনুমোদন দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।  সংশোধিত এডিপিতে সর্বোচ্চ ২৫ দশমিক ৮২ শতাংশ বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে পরিবহন ও যোগাযোগ খাতে। টাকার অঙ্কে যা ৬৩ হাজার ২৬৩ কোটি ৩১ লাখ টাকা। এরপরই দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে বিদ্যুৎ খাতে ১৫ দশমিক ৪৭ শতাংশ। যা টাকার অঙ্কে ৩৭ হাজার ৮৯৬ কোটি টাকা।  প্রতিবারের মতো এবারও মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দ পাওয়া অর্থ ব্যয় করতে না পারায় কাটছাঁট করতে হয় সংশোধিত এডিপি। এতে আরএডিপির আকার দাঁড়ালো ২ লাখ ৪৫ হাজার কোটি টাকা। মূল এডিপির আকার ছিল ২ লাখ ৬৩ হাজার কোটি টাকা। সার্বিকভাবে এডিপির আকার কমেছে ১৮ হাজার কোটি টাকা। পরিকল্পনা কমিশন এ ব্যাপারে জানায়, সব মন্ত্রণালয় সময় মতো বরাদ্দ করা অর্থ খরচ করতে পারছে না। ফলে এডিপির বাস্তবায়নে প্রত্যেকবারই ব্যয় কমানো হচ্ছে। চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের সংশোধিত এডিপিতে নিজস্ব অর্থায়ন কমছে সাড়ে ৭ হাজার কোটি টাকা। এডিপিতে নিজস্ব অর্থায়ন ছিল ১ লাখ ৬৯ হাজার কোটি টাকা। যা কমে হচ্ছে ১ লাখ ৬১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। এ ছাড়া বিদেশি সহায়তা থেকে বরাদ্দ কমছে সাড়ে ১০ হাজার কোটি টাকা। এতে সংশোধিত এডিপিতে বিদেশি সহায়তার পরিমাণ দাঁড়াবে ৮৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকা।   
১২ মার্চ ২০২৪, ১৫:০৩

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে এআইআইবি’র কাছে তিন বিলিয়ন ডলার চেয়েছে বাংলাদেশ
বিশ্ব ব্যাংক, আইএমএফ ও এডিবির বিকল্প হিসেবে গড়ে উঠছে এশীয় অবকাঠামো বিনিয়োগ ব্যাংকের (এআইআইবি)। এ পর্যন্ত বাংলাদেশের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে প্রায় এক বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করেছে সংস্থাটি। এই প্রেক্ষিতে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের বিশাল উন্নয়নযজ্ঞ বাস্তবায়নে এআইআইবিকে বড় অংশীদার হিসেবে পাওয়ার প্রত্যাশা করছে বাংলাদেশ। সেইসঙ্গে আরও তিন বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের জন্য প্রস্তাব করা হয়েছে সংস্থাটির কাছে।  মঙ্গলবার (৫ মার্চ) সংস্থাটির ভাইস চেয়ারম্যান রজত মিশ্রের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। বৈঠকে বিদ্যুৎ সঞ্চালন ব্যবস্থার বেসরকারিকরণ, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, বিদ্যুৎ আমদানি-রপ্তানিসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রণালয়ের উপপ্রধান তথ্য কর্মকর্তা মীর মোহাম্মদ আসলাম উদ্দিন। এ ছাড়া একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিও পাঠানো হয়েছে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে।  বৈঠককালে এআইআইবির ভাইস চেয়ারম্যানকে স্বাগত জানিয়ে এশিয়ান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংককে বাংলাদেশে আরও বড় আকারে দেখার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন প্রতিমন্ত্রী। নসরুল হামিদ বলেন, বর্তমানে মাথাপিছু বিদ্যুৎ উৎপাদন ৬০২ কিলোওয়াট ঘণ্টা হলেও আমরা দ্রুত ১৫০০ কিলোওয়াট ঘণ্টা করতে চাই। বিশাল কর্মযজ্ঞ। গ্যাস পাইপলাইন প্রকল্প, ভূগর্ভস্থ সঞ্চালন লাইন, বিতরণ লাইনে আধুনিকায়ন, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, গ্যাস মিটার, স্টোরেজ সিস্টেম, বায়ু ফুয়েল ইত্যাদি খাত ও উপখাতে বিনিয়োগের বিশাল সুযোগ রয়েছে। এই অগ্রযাত্রায় এআইআইবিকে আমাদের অংশীদার হিসেবে পেতে চাই। এ সময় এআইআইবির ভাইস চেয়ারম্যানও তাকে বলেন, এশীয় অবকাঠামো বিনিয়োগ ব্যাংকের অন্যতম অংশীদার বাংলাদেশ। জ্বালানি মহাপরিকল্পনা ও রূপপুর সঞ্চালন ব্যবস্থার বিষয়ে তিনি বলেন, এআইআইবি বাংলাদেশে বিতরণ ব্যবস্থার উন্নয়নে কাজ করছে। এআইআইবির অর্থায়নে ৯৫ কোটি ৬৪ লাখ কোটি ডলারের চারটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ (পিজিসিবি)। আরও ৬টি প্রকল্পের জন্য ৩০৬ কোটি ডলারের প্রস্তাব দিয়েছে বিদ্যুৎ বিভাগ। এদিনের বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন এআইআইবির জ্বালানি বিশেষজ্ঞ হ্যারিভাসকার রাঙারাজন ও জ্যেষ্ঠ পরিবহণ বিশেষজ্ঞ ফরহাদ আহমেদ। এ ছাড়া জ্বালানি বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. হুমায়ুন কবীর ও বিদ্যুৎ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব তানিয়া খান বৈঠকে অংশ নেন। 
০৫ মার্চ ২০২৪, ১৯:৪২

নেপাল থেকে কমে বিদ্যুৎ চায় বাংলাদেশ, চলছে দর কষাকষি
নেপালের সঙ্গে সাশ্রয়ী মূল্যে বিদ্যুৎ কিনতে দর প্রস্তাব করেছে বাংলাদেশের। কিন্তু বাংলাদেশের প্রস্তাবিত দর অনেক কম বলে তাতে সায় দিতে এখন পর্যন্ত সম্মত হয়নি দেশটি। ফলে, দর কষাকষি চলছে দুদেশের।  নেপালের বিদ্যুৎ উৎপাদন ও বিপণন সংক্রান্ত কর্তৃপক্ষ নেপাল ইলেকট্রিসিটি অথরিটির (এনইএ) কর্মকর্তারা সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন নেপালের জাতীয় দৈনিক দ্য কাঠমন্ডু পোস্টকে।  এনইএ’র এক কর্মকর্তা কাঠমন্ডু পোস্টকে বলেন, ‘আমরা যে দাম চেয়েছি, তা আমরা যৌক্তিক মনে করেই চেয়েছি। বাংলাদেশ যে দাম প্রস্তাব করেছে, এখনও আমরা তাতে সায় দিইনি। বাংলাদেশ কর্মকর্তারা বলেছে, এ ব্যাপারে তাদের উচ্চতর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত জানাবে আমাদের।’ প্রসঙ্গত, গত বছর মে মাসে নেপাল ইলেকট্রিসিটি অথরিটি এবং ভারতের তাপ বিদ্যুৎ উৎপাদন ও বিপণন সংস্থা এনটিপিসি ও এনভিভিএন এর সঙ্গে ৫ বছর মেয়াদী চুক্তি করে বাংলাদেশের সরকার। সেই চুক্তির শর্ত অনুসারে, ভারতীয় সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে প্রতি বছর ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাঠাবে নেপাল। ভারত-নেপাল সীমান্তের ধালকেবার-মুজাফফরপুর থেকে লাইন বা তারের মাধ্যমে কুষ্টিয়া জেলার ভেড়ামারা দিয়ে বাংলাদেশে পৌঁছাবে এ বিদ্যুৎ। চুক্তিতে প্রতি ইউনিটের দাম ধরা হয়েছে ৯ দশমিক ৩০ নেপালি রুপি, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৭ দশমিক ৬৮ টাকা। আগামী জুন থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু হওয়ার কথা। এর মধ্যেই বাংলাদেশ সরকার প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম ৫ নেপালি রুপি ধার্য করার প্রস্তাব করেছে বলে জানিয়েছেন এনইএ’র একজন কর্মকর্তা। এতেই খানিকটা বেঁকে বসেছে নেপালের বিদ্যুৎ নিয়ন্ত্রক সংস্থা। এনইএ’র একজন কর্মকর্তা বলছেন, ‘চুক্তির শর্ত অনুযায়ী, বিদ্যুৎ পাঠানো সংক্রান্ত সার্ভিস চার্জ, হুইল চার্জ আমাদের বহন করতে হবে না। এনভিভিএন এই খরচ বহন করবে। বিদ্যুতের দাম যদি ইউনিট প্রতি ৯ দশমিক ৩০ নেপালি রুপি ধরা হয়, তাহলে সেখান থেকে নেপাল পাবে ৫ দশমিক ২৫ রুপি। বাকিটা পাবে ভারতীয় সংস্থা। কিন্তু, বাংলাদেশ যে দাম প্রস্তাব করেছে, তা কার্যকর হলে আমাদের ভাগে প্রায় কিছুই থাকে না।’ এনইএ’র নির্বাহী পরিচালক কুল মান ঘিসিংয়ের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল গত সপ্তাহে ঢাকা এসেছিল। সে সময় বাংলাদেশি কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক বৈঠকে বিদ্যুতের দাম নিয়ে দর কষাকষি হয় বলে জানা গেছে। তবে, এ বিষয়ে চুড়ান্ত কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। বাংলাদেশের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বিদ্যুতের দাম নির্ধারণ নিয়ে উচ্চতর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করেই চুড়ান্ত মত জানাবেন তারা। এনইএ’র নির্বাহী পরিচালক প্রদীপ কুমার ঠিকে অবশ্য ত্রিদেশীয় বিদ্যুৎ চুক্তি নিয়ে এখনও আশাবাদী। কাঠমন্ডু পোস্টকে তিনি বলেছেন, ‘বাংলাদেশ বিদ্যুৎ ক্রয় করার জন্য প্রস্তুত, আর আমরা বিক্রির জন্য প্রস্তুত। আমাদের সর্বশেষ বৈঠক ইতিবাচক ছিল এবং আমরা আশাবাদী যে পরবর্তী বৈঠকে আমরা এ ব্যাপারে মীমাংসায় পৌঁছাতে পারব।’
২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২০:৫০

সমগ্র গ্রামবাংলার ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়েছি : প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ২০০৮-এ ঘোষণা দিয়েছিলাম ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলব, সারা দেশে ডিজিটাল সেন্টার গড়ে তুলেছি। প্রথমে তথ্যকেন্দ্র পরে ডিজিটাল সেন্টার করি। আজ সারা দেশে প্রায় ৮ হাজারের মতো ডিজিটাল সেন্টার আছে। যেখান থেকে মানুষকে বিভিন্ন ধরনের সেবা দিয়ে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, সমগ্র গ্রামবাংলার ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়েছি।ওয়াইফাই কানেকশনের মাধ্যমে সারা বিশ্বের সঙ্গে যোগাযোগের সুযোগটাও আমরা করে দিয়েছি। রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় স্থানীয় সরকার দিবস-২০২৪ উদযাপন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।  সরকারপ্রধান বলেন, আওয়ামী লীগ যখন বিরোধী দলে ছিল তখন একটি কমিশন গঠন করি। ৯৬ সালে যখন সরকারে আসি তখনই ওয়ার্ড থেকে নিয়ে ইউনিয়ন পর্যায়ে, উপজেলা, জেলা পর্যন্ত আইন পাস করি। জেলা পরিষদ আইন সেসময় করে দেই। জনপ্রতিনিধির মাধ্যমে উন্নয়নের সার্বিক কাজ হয়, সে ব্যবস্থাটাও আমরা নিয়েছিলাম। সরকারপ্রধান আরও বলেন, মানুষের আত্মসামাজিক উন্নয়ন এবং শোষণ থেকে রক্ষা করার জন্য জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশ স্বাধীন করেন। একটা যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশের দায়িত্বভার তিনি হাতে নেন। তার স্বপ্ন ছিল বাংলাদেশের মানুষের অন্য, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসা ব্যবস্থা করা। সেই স্বপ্ন নিয়ে তিনি স্বাধীনতা পর একটি সংবিধান দেন। মাত্র ১০ মাসের মধ্যে সংবিধান প্রণয়ন করা হয়। শেখ হাসিনা বলেন, ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর আমরা ইউনিয়ন, উপজেলা, জেলা, পৌরসভা, সিটি কর্পোরেশনকে শক্তিশালী করি। জনপ্রতিনিধিদের নেতৃত্বে যেন এগুলো গড়ে ওঠে সেই ব্যবস্থাটা আমরা নিয়েছি। আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে দেশের সার্বিক উন্নয়ন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।   এসময় আরো বক্তব্য রাখেন- ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম, বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ, শরীয়তপুর জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ছাবেদুর রহমান খোকা সিকদার, পঞ্চগড় পৌরসভা মেয়র জাকিয়া খাতুন, জগদল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হুমায়ুন রশিদ লাভলু ও বাঘা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাড. মো. লায়েব উদ্দিন লাভলু প্রমুখ।
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৬:২৭
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়