• ঢাকা বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
logo
বিদেশি শ্রমিকদের জন্য সুখবর দিল কুয়েত
বিদেশ থেকে শ্রমিক নিয়োগে সব বিধিনিষেধ তুলে দিল মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কুয়েত। দেশটিতে বিদ্যমান পদ্ধতিতে পরিবর্তন এনেছে দেশটির সরকার। শ্রমিক সংকট দূরীকরণ এবং শ্রমিক নিয়োগের খরচ কমাতে বিধিনিষেধ তুলে দিয়েছে দেশটি। এতে সব ধরনের বাধা কাটলো।  কুয়েতের সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, কুয়েতের শ্রম বিভাগ সর্বসম্মতিক্রমে আগের পদ্ধতি বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আগামী ১ জুন থেকে নতুন নিয়ম কার্যকর হবে। আগের নিয়ম অনুযায়ী, যেসব প্রতিষ্ঠান শ্রমিক নিয়োগ দিত, তারা যদি বিদেশ থেকে কোনো শ্রমিক আনতে চাইত তাহলে কুয়েতে থাকা শ্রমিকদের মধ্য থেকেই শ্রমিক নেওয়ার বাধ্যবাধকতা ছিল। এছাড়া চাহিদার একটি নির্দিষ্ট অংশে শুধু নতুন বিদেশি শ্রমিক নিতে পারত। এতে দেশটিতে শ্রম ব্যয় অনেক বেড়ে যায়। যার প্রভাব পড়ে ভোক্তা পর্যায়েও। এমন পরিস্থিতিতে শ্রম ব্যয় ও শ্রমিক সংকট কমাতে এমন উদ্যোগ নিয়েছে দেশটির সরকার।   
২০ এপ্রিল ২০২৪, ০১:০৬

নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়ক বিভাজকে জিপের ধাক্কা, বিদেশি শিক্ষার্থীর মৃত্যু
চট্টগ্রাম নগরের পতেঙ্গা এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় ফুতফাফোনে জায়ডালা (২৩) নামে এক বিদেশি শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছে আরও দুই বাংলাদেশি শিক্ষার্থী।  মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) পতেঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবিরুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেন। সোমবার দিবাগত রাত একটার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। ফুতফাফোনে জায়ডালা লাউসের নাগরিক। তিনি চট্টগ্রামের এশিয়ান ওমেন ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী ছিলেন। দুর্ঘটনায় আহত দুই বাংলাদেশি সম্পর্কে ভাই-বোন। তাদের নাম পরিচয় জানা যায়নি। তাদের বেসরকারি একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তারা ঈদ উপলক্ষে সোমবার সন্ধ্যায় পতেঙ্গা সমুদ্রসৈকতে বেড়াতে গিয়েছিল। পতেঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবিরুল ইসলাম জানান, সোমবার রাত ১টার দিকে তাদের পাজেরো জিপের সামনের চাকা ফেটে যাওয়ায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়ক বিভাজকে ধাক্কা লেগে উল্টে যায়। এতে ওই বিদেশি নারী শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হয়। পরে তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। মরদেহ চমেকের মর্গে রাখা আছে। এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
১৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:৫৬

শাকিবের বিদেশি নায়িকার প্রশংসায় পঞ্চমুখ অপু
ঈদে মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে ডজনখানেক সিনেমা। ঈদ মানেই হলগুলোতে উপচে পড়া ভিড়। আসন্ন ঈদে মুক্তি পেতে যাচ্ছে শাকিব খান এবং মার্কিন অভিনেত্রী কোটর্নি কফি অভিনীত সিনেমা ‘রাজকুমার’।  ইতিমধ্যে সিনেমাটির দুটি গান মুক্তি পেয়েছে। গান দুটিতে শাকিব-কোটর্নির পারফরম্যান্সে মুগ্ধ হয়েছেন নেটিজেনরাও। শুধু ভক্তরাই নন, শাকিবের বিদেশি নায়িকার প্রশংসায় পঞ্চমুখ চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাসও।  ‘রাজকুমার’সিনেমার ‘বরবাদ’শিরোনামের গানের একটি দৃশ্যে কোটর্নি কফির দিকে মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে থাকার দৃশ্য দেখা গেছে। নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে ছবিটি শেয়ার করে কোর্টনির রূপের প্রশংসা করেছেন অপু।  ক্যাপশনে তিনি লিখেছেন, ‘মিষ্টি দেখতে।’     ‘বরবাদ’ গানের দৃশ্যে যেমন নিউ ইয়র্ক দেখা গেছে, তেমনি উঠে এসেছে বাংলাদেশের হলুদ সরিষা ক্ষেত, রেলওয়ে স্টেশনের সৌন্দর্য। ঢাকা, পাবনা, কুষ্টিয়া, মানিকগঞ্জ, টাঙ্গাইল, গাজীপুর, বান্দরবান, ভারত ও নিউ ইয়র্কে শুটিং হয়েছে রাজকুমার সিনেমাটির। পাশাপাশি কোটর্নির সঙ্গে শাকিবের প্রেমের রসায়নও সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। তেমনি রয়েছে বিরহের আঁচও। কারণ এই গানের মূল বাণীতে রয়েছে বিরহের বন্দনা।    মূলত পারিবারিক সম্পর্ক এবং একজন স্বপ্নবাজ তরুণের বাংলাদেশ থেকে আমেরিকায় যাত্রার গল্প নিয়ে সাজানো হয়েছে ‘রাজকুমার’। প্রসঙ্গত, ‘রাজকুমার’ নির্মাণ করেছেন হিমেল আশরাফ। সিনেমায় শাকিব-কোর্টনি ছাড়া আরও অভিনয় করেছেন— তারিক আনাম খান, এরফান মৃধা শিবলু, ডা. এজাজ প্রমুখ।  
০৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৬:৫৮

বাংলাদেশকে টার্গেট করে বিদেশি গণমাধ্যমের নকল ইউটিউব চ্যানেল  
বাংলাদেশকে লক্ষ্য করে কিছু ইউটিউব চ্যানেল তাদের নিজস্ব উপায়ে তৈরি খবর প্রচার করে আসছে। বিদেশি এবং বাংলাদেশি বেশ কিছু গণমাধ্যমের নকল ইউটিউব চ্যানেল এগুলো। সেখানে ভুয়া খবর বানিয়ে নিজেদের ভিউ বাড়িয়ে আয় করে এসব চ্যানেল। গবেষণা প্রতিষ্ঠান ডিজিটালি রাইট লিমিটেডের (ডিআরএল) তথ্য যাচাইয়ের উদ্যোগ ডিসমিসল্যাব এমন ৫৮টি ইউটিউব চ্যানেল খুঁজে বের করেছে। মুলত বাংলাদেশকে নিয়ে বিভ্রান্তিকর এবং অসত্য তথ্য প্রচার করে আয় করা হয় বলে জানায় ডিসমিসল্যাব।  প্রতিষ্ঠানটির প্রতিবেদন বলছে, সাত দিন আগে ‘বিবিসি ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলা’ নামে একটি ইউটিউব চ্যানেলে দেখা গেছে জনপ্রিয় উপস্থাপক হিউ এডওয়ার্ডস বাংলায় সংবাদ পাঠ করছেন। মুলত তার ছবি ব্যবহার করে অন্য একজনের কণ্ঠ বসিয়ে সংবাদ তৈরি করা হয়েছে। এই চ্যানেল বিবিসির লোগোর আদলে তৈরি।  ডিসমিসল্যাব এমন ৫৮টি ইউটিউব চ্যানেলের খোঁজ পেয়েছে যেগুলো বিদেশি ও বাংলাদেশি সুপরিচিত সংবাদমাধ্যমের কার্যত নকল। চ্যানেলগুলো বাংলাদেশের দর্শকদের লক্ষ্য করে খবর প্রচার করে। কেউ সুপরিচিত সংবাদমাধ্যমের নামের আদলে নিজেদের নাম দিয়েছে, কেউ লোগো নকল করেছে, কেউ কেউ সংশ্লিষ্ট সংবাদমাধ্যমের সুপরিচিত উপস্থাপকের ছবি ব্যবহার করে ভিডিও ছাড়ছে। ডিসমিসল্যাবের প্রতিবেদন বলছে, নকল ইউটিউব চ্যানেলগুলোর মূল কাজ হচ্ছে নিজেদের ভিউ বাড়ানো এবং আয় করা। তবে তারা মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ায়। ভিডিও প্রচারের ক্ষেত্রে তারা বেছে নেয় সংবেদনশীল বিষয়গুলো। যেমন বিবিসি-নিউজ বিডি নামের একটি চ্যানেলে গত ৩ জানুয়ারি খবর (ভিডিওর থাম্বনেইলে) দেওয়া হয় যে, ‘নির্বাচনে সেনাবাহিনীর থাবা, ৭ জানুয়ারির নির্বাচন বাতিল ঘোষণা’। যদিও খবরটি ভুয়া।  ডিসমিসল্যাব বলছে, যেহেতু তারা সুপরিচিত সংবাদমাধ্যমের নকল, সেহেতু পাঠক বিভ্রান্ত হয়। আবার এসব চ্যানেলে প্রচারিত ভুয়া ও চটকদার খবরের কারণে সুপরিচিত সংবাদমাধ্যমগুলো দর্শক থেকে বঞ্চিত হয়। গবেষকেরা সংবাদসংশ্লিষ্ট কিছু শব্দ দিয়ে ইউটিউবে খোঁজ (সার্চ) করে দেখেছেন, যেসব প্রতিবেদন সামনে আসে, তার অর্ধেকই এসব নকল চ্যানেলের। ডিসমিসল্যাবের প্রতিবেদনে বাংলাদেশি সংবাদমাধ্যম চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের নির্বাহী পরিচালক তালাত মামুনের মতামত নেওয়া হয়। তিনি বলেন, সংবেদনশীল সময়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের লোগো ব্যবহার করে ভুয়া খবর ছড়িয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটে। এটা খুবই উদ্বেগজনক।  তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষের গড় গণমাধ্যম-জ্ঞান (মিডিয়া লিটারেসি) ততটা বেশি নয়। আমরা যা দেখি, যাকে দেখি, তা যাচাই করি না। এরপর এমন হতে পারে যে মানুষ একপর্যায়ে বিশ্বাস করতে শুরু করে অপতথ্যগুলো সত্য। ডিসমিসল্যাব জানাচ্ছে, যে ৫৮টি চ্যানেল তারা খুঁজে পেয়েছে, তার মধ্যে ৩৭টিই বিবিসিকে নকল করেছে। নকলের শিকার হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সিএনএন ও এবিসি, যুক্তরাজ্যভিত্তিক রয়টার্স, কাতারভিত্তিক আল-জাজিরা এবং বাংলাদেশের সময় টেলিভিশন, একাত্তর টেলিভিশন, যমুনা টেলিভিশনের মতো সংবাদমাধ্যমগুলো। যেমন একটি চ্যানেলের নাম আল-জাজিরা বাংলা। ডিসমিসল্যাব বলছে, এই নামে আল-জাজিরার কোনো চ্যানেল নেই। এটি আসলে আল-জাজিরার লোগো নকল করে তৈরি করা চ্যানেল। বিবিসিকে নকল করা ১২টি চ্যানেলের ১৬৮টি ভিডিও বিশ্লেষণ করে গবেষকেরা দেখেছেন, একটিরও শিরোনামের (থাম্বনেইল) সঙ্গে ভেতরের কোনও মিল নেই। ডিসমিসল্যাবের পক্ষ থেকে বিবিসির কাছে বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে জবাবে বিবিসির প্রেস অফিস থেকে বলা হয়, অতীতে তাদের আইন শাখা থেকে ভুয়া ইউটিউব চ্যানেল ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ‘অ্যাকাউন্টে’র বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এই প্রবণতা বন্ধ হয়নি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভুয়া সংবাদ বা ফেক ওয়েবসাইটের মাধ্যমে সবচেয়ে ক্ষতির শিকার হবেন এর পাঠক নিজেরা। সুতরাং যেকোনো সংবাদ দেখে বিশ্বাস করার আগে বা পরিচিতদের সঙ্গে শেয়ার করার আগে সেটির উৎস ভালো করে যাচাই করে নেয়া উচিত।    
০৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:৪৩

সন্দ্বীপে বিদেশি মদসহ অটোরিকশাচালক গ্রেপ্তার 
চট্টগ্রামের সন্দ্বীপে বিদেশি মদসহ আবু তাহের (৩৮) নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।  সোমবার দিবাগত রাত ১টার দিকে থানা পুলিশের বিশেষ অভিযানে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাহের হারামিয়া ৮ নম্বর ওয়ার্ডের রুহুল আমিনের ছেলে। সে পেশায় একজন অটোরিকশাচালক।  সন্দ্বীপ থানার অফিসার ইনচার্জ মো. কবির হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, থানা পুলিশের বিশেষ অভিযানে এনাম নাহার মোড়ের পাশে এক বাড়ি থেকে ২৩ বোতল ভারতীয় মদ উদ্ধার করা হয়। এ সময় আবু তাহের নামে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ঘটনায় সন্দ্বীপ থানায় মাদকদ্রব্য আইনে মামলা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, গ্রেপ্তারকৃত আসামির স্বীকারোক্তিতে মো. ফয়সাল নামে আরও একজনকে আসামি করা হয়েছে। আসামি ফয়সাল হারামিয়া ৮ নম্বর ওয়ার্ডস্থ সেলিমের নতুন বাড়ির সেলিমের পুত্র। অভিযান পরিচালনা করেন এসআই রমজান আলী।
০২ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:৫০

বিদেশি কোনো প্রভুর ইন্ধনে ভারত বিরোধিতা করছে বিএনপি : শেখ পরশ
বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় যেই ভারত আমাদের শরণার্থীদের আশ্রয় দিয়েছে, আমাদের অস্ত্র দিয়ে, প্রশিক্ষণ দিয়ে আমাদের সাহায্য করেছে, তাদের এখন বিরুদ্ধাচারণ করছে বিএনপি। নিশ্চয়ই অন্য কোনো বিদেশি শক্তির উসকানি এবং প্রতিশ্রুতিতে এই অবস্থান নিয়েছে তারা। বুধবার (২৭ মার্চ) ঈদ উপলক্ষে যুবলীগ ঢাকা মহানগর উত্তরের উদ্যোগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার (খাদ্য ও বস্ত্র) বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। এ দিন দুপুর ২টায় উত্তরা-১২নং সেক্টর কল্যাণ সমিতি মাঠে এসব উপহারসামগ্রী তুলে দেওয়া হয়। উপহার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ। বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকা-১৮ আসনের সংসদ সদস্য খসরু চৌধুরী। সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগের সহসভাপতি মুজিবুর রহমান বাবুল। প্রধান অতিথির বক্তব্যে যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সৃষ্টি হয়েছিল জনগণের অধিকার আদায়ের সংগ্রামের মধ্য দিয়ে। বাংলাদেশের জনগণের সাথে আওয়ামী লীগের নাড়ির সম্পর্ক। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর মুজিবুর রহমান দীর্ঘ ২৪ বছর জেল-জুলুম, অত্যাচার-নির্যাতন সহ্য করে বাংলাদেশ স্বাধীন করেছে এ দেশের মেহনতি মানুষের মুক্তির জন্য। সে কারণে এদেশের জনগণকে আমরা সবসময় আমাদের সাথে পাই। এ দেশের জনগণ চরম বিপদের সময় আওয়ামী লীগের পাশে ছিল এবং থেকে আসছে। ২০০১ সালের পর শত অত্যাচার, নির্যাতন ও হত্যার রাজনীতি করেও ওরা নৌকার ভোটারদের টলাতে পারেনি। এই সংগঠনের ভিত্তি অনেক শক্ত।  তিনি বলেন, জনগণ থাকে সেই সকল রাজনৈতিক দলের সাথে যারা দেশকে নিয়ে স্বপ্ন দেখে, দেশকে গড়ার স্বপ্ন দেখায়। আমাদের নেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা এই দেশকে গড়ার স্বপ্ন বুকে ধারণ করে, তাই আওয়ামী লীগের সাথে এই দেশের মানুষ আছে। আওয়ামী লীগ সভাপতি মানুষকে স্বপ্ন দেখিয়ে স্বপ্ন বাস্তবায়ন করার যোগ্যতা রাখে। তাই জননেত্রী শেখ হাসিনা একনাগাড়ে চারবার রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব পালন করছে। এই যোগ্যতা অর্জন করতে হলে মানুষকে ভালবাসতে হয়, দেশের মানুষের প্রতি সহমর্মী হতে হয়, দুর্নীতি পরিহার করতে হয়, এই যোগ্যতা অর্জন করতে হলে রাষ্ট্র পরিচালনার দক্ষতা প্রদর্শন করতে হয়। দক্ষতা নেই বলে নেতিবাচক রাজনীতির দিকে বিএনপি ধাবমান। তাই ওরা দেশকে ধ্বংস করার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে।  এই স্বাধীনতার মাসে ওরা ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক দিয়েছে, কিন্তু অন্যদিকে খোঁজ নিয়ে দেখবেন তাদের বেগম সাহেবরা ভারত যাচ্ছে ঈদের শপিং করতে। মুক্তিযুদ্ধের সময় যেই ভারত আমাদের শরণার্থীদের আশ্রয় দিয়েছে, আমাদের অস্ত্র দিয়ে, প্রশিক্ষণ দিয়ে আমাদের সাহায্য করেছে তাদের এখন বিরুদ্ধাচারণ করছে। নিশ্চয়ই অন্য কোন বিদেশি শক্তির উসকানি এবং প্রতিশ্রুতিতে এই অবস্থান নিয়েছে বিএনপি। কিন্তু লাভ হবে না, বেঈমানদের কেউই বিশ্বাস করে না, ইতিহাসও ক্ষমা করে না। স্বার্থ হাসিল করে ছুড়ে ফেলে দেবে, ক্ষমতায় বসাতে পারবে না যতদিন জনগণ শেখ হাসিনার সাথে আছে।       তিনি যুবলীগের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আমাদের সামনে অনেক কাজ। আমাদের প্রধান কাজ, জনগণের পাশে থাকা। শেখ হাসিনা যেই রাজনৈতিক মানদণ্ড স্থাপন করেছেন সেটা অনুসরণ করতে হবে। সততা এবং নিষ্ঠার সাথে গণমানুষের অধিকার আদায়ের জন্য কাজ করে যেতে হবে। আমাদের আগামীতে এই দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে হবে। কোন জনবিচ্ছিন্ন সুশীল সমাজের পূর্বনির্ধারিত সুশাসনের সংজ্ঞা দ্বারা আমাদের পরিচালিত হতে হবে না। আমাদের সুশাসনের সংজ্ঞা জননেত্রী শেখ হাসিনা রচিত করেছেন ইতোমধ্যে, সেটা হচ্ছে মানবিকতা, ন্যায়পরায়ণতা ও স্বচ্ছতা। আজকে ওরা হত্যা, জেল-জুলুমের কথা বলে, আওয়ামী লীগ ২১ বছর সব ধরণের নির্যাতন সহ্য করেছে। হত্যার শিকার হয়েছে, বাড়ি-ঘর আগুন দিয়েছিল, জেলা-জুলুম কোনো কিছুই বাদ ছিল না। ২১ বছর পর ১৯৯৬-তে আওয়ামী লীগ রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব পেয়ে বিজয় মিছিলও করেনি যাতে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে। এই সংযমের প্রতিদান কি পেয়েছি আমরা? ২৫ হাজার আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী সমর্থকদের হত্যা করেছিল ওরা ২০০১ সালে ক্ষমতায় এসে। সংখ্যালঘু সম্প্রদায় ও নারী-শিশু নির্যাতন করেছিল পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর আদলে।  বিএনপি-জামায়াত সরকার এ দেশে জঙ্গিবাদের উত্থান ঘটিয়েছিল, আর শেখ হাসিনা সরকার জঙ্গিবাদ এ দেশ থেকে নির্মূল করে দিয়েছে। জিয়াউর রহমানের আমলে প্রতি রাতে সেনা কর্মকর্তাদের বিনা বিচারে ফাঁসি দেওয়া হতো। এ ভাবে আড়াই হাজার সেনা কর্মকর্তাকে ফাঁসি দেওয়া হয়েছিল। আজকে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারীদের হাতে গঠিত সংগঠনের নেতারা গণতন্ত্র চাচ্ছে। যাদের জন্মের মধ্যেই গণতন্ত্র নাই, তারা গণতন্ত্রের কথা বলছে। ওদের জন্মই হয়েছে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করার মাধ্যমে। একজন স্বৈরাশাসকের পকেট থেকে যে দলের সৃষ্টি তারা গণতন্ত্র চাচ্ছে। তাদের জন্মটা কোথায় এবং কীভাবে হয়েছে, তারা কি ভুলে গেছে? এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের প্রচার সম্পাদক জয়দেব নন্দী, দপ্তর সম্পাদক মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ, আন্তর্জাতিক সম্পাদক কাজী সারোয়ার হোসেন, কৃষি ও সমবায় সম্পাদক অ্যাড. হেমায়েত উদ্দিন মোল্লা, উপদপ্তর সম্পাদক মো. দেলোয়ার হোসেন শাহজাদা, উপ-তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সম্পাদক এন আই আহমেদ সৈকতসহ কেন্দ্রীয় মহানগর ও বিভিন্ন ওয়ার্ড যুবলীগের নেতৃবৃন্দ।
২৭ মার্চ ২০২৪, ২০:২৬

৮ মাসেই ২০৩ কোটি ডলার বিদেশি ঋণ পরিশোধ
চলতি অর্থবছরের (২০২৩-২৪) প্রথম আট মাসে সরকার সুদ ও আসলসহ বিদেশি ঋণ পরিশোধ করেছে ২০৩ কোটি ডলার। এর মধ্যে সুদ ৮০ দশমিক ৫৯ মার্কিন ডলার এবং আসল ১২২ দশমিক ৪০ কোটি ডলার। অথচ গত বছরের একই সময় অর্থাৎ প্রথম আট মাসে বাংলাদেশ বিদেশি ঋণ পরিশাধ করেছিল ১৪২ দশমিক ৪১ কোটি ডলার। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে ৮ মাসে বৈদেশিক ঋণ পরিশোধের পরিমাণ বেড়েছে ৬১ কোটি ডলার। সোমবার (২৫ মার্চ) অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) প্রকাশিত হালনাগাদ তথ্যে এই চিত্র দেখা গেছে। ইআরডি সূত্রে জানা গেছে, ঋণ পরিশোধের ব্যয় এতটা বাড়ার পেছনে সুদ পরিশোধই মূলত ভূমিকা রাখছে, আট মাসে সুদ পরিশোধ করা হয়েছে ৮০ কোটি ৬০ লাখ ডলার (৮০৬ মিলিয়ন)। আগের অর্থবছরের একই সময়ে ৪০ কোটি ৩০ লাখ ডলার সুদ বাবদ পরিশোধ করা হয়, যার তুলনায় এটি দ্বিগুণ হয়েছে। ইআরডি জানায়, চলতি অর্থবছরের প্রথম আট মাসে উন্নয়ন সহযোগীদের ঋণ প্রতিশ্রুতি বেড়েছে। উন্নয়ন সহযোগীরা এ সময়ে ৭২০ কোটি ডলারের ঋণ প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। যা গত অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ১৭৮ কোটি ডলার। চলতি অর্থবছরে বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার কাছ থেকে ৯৯২ কোটি ডলারের প্রতিশ্রুতি আদায়ের লক্ষ্য রয়েছে বলেও জানান তারা। ইআরডির তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের প্রথম আট মাসে সবচেয়ে বেশি প্রতিশ্রুতি পাওয়া গেছে এডিবির কাছ থেকে। এ সংস্থার কাছ থেকে পাওয়া গেছে ২৬২ কোটি ডলারের প্রতিশ্রুতি। এ ছাড়া জাপানের কাছ থেকে ২০২ কোটি ডলার, বিশ্বব্যাংকের কাছ থেকে ১৪১ কোটি ডলারের ঋণ প্রতিশ্রুতি পাওয়া গেছে। ইআরডির তথ্যমতে, চলতি অর্থবছরের প্রথম আট মাসে বৈদেশিক অর্থছাড় হয়েছে ৪৯৯ দশমিক ৭ কোটি ডলার। এর আগের অর্থবছরের একই সময়ে অর্থছাড়ের পরিমাণ ছিল ৪৮৭ কোটি ডলার। এ সময়ে সবচেয়ে বেশি অর্থছাড় করেছে এডিবি। এ সংস্থা অর্থছাড় করেছে ১৩০ কোটি ডলার। জাপান ছাড় করেছে ১০৪ কোটি ডলার। এরপরে বিশ্বব্যাংক ছাড় করেছে ৮৭ কোটি ৭৮ লাখ ডলার। এ ছাড়া রাশিয়া ৮০ কোটি ৫০ লাখ ডলার এবং চীন ৩৬ কোটি ১৭ লাখ ডলার ছাড় করেছে। গত অর্থবছরে (জুলাই-জুন) বাংলাদেশ উন্নয়ন সহযোগীদের পরিশোধ করেছে ২৬৭ কোটি ডলার। এর মধ্যে সুদ হিসেবে পরিশোধ করেছে ৯৩ কোটি ৫৬ লাখ, আর আসল পরিশোধ করেছে ১৭৩ কোটি ডলার। চলতি অর্থবছরে পরিশোধ বেড়ে হবে ৩৫৬ কোটি ডলার। আগামী দুই অর্থবছরে তা আরও বেড়ে হবে যথাক্রমে ৪২১ কোটি এবং ৪৭২ কোটি ডলার।
২৫ মার্চ ২০২৪, ২৩:৫০

বিদেশি কূটনীতিকদের সম্মানে বিএনপির ইফতার
বিদেশি কূটনীতিকদের সম্মানে ইফতার ও দোয়া কর্মসূচি পালন করেছে বিএনপি। যেখানে ঢাকাস্থ বিভিন্ন দেশের  রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনের কর্মকর্তারা অংশ নেন। রোববার (২৪ মার্চ) গুলশানের হোটেল ওয়েস্টিনে এ ইফতার ও দোয়া কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। এদিকে ২৮ অক্টোবর ঢাকায় মহাসমাবেশের পর প্রথম দলীয় কোন প্রকাশ্য কর্মসূচিতে অংশ নিলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ইফতারপূর্ব বক্তব্যে মির্জা ফখরুল বলেন, বাংলাদেশ গভীর অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিক সংকটে রয়েছে। এমন অবস্থায় গত ৭ জানুয়ারি বাংলাদেশে এক তরফা নির্বাচন হয়েছে। যেখানে বিরোধী দলগুলো অংশ নেয়নি। এসব সরকারের পদত্যাগ ও নতুন নির্বাচনের দাবি জানান ফখরুল। ফখরুল বলেন, নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চালিয়ে যাবেন। এ সময় চলমান সংকট নিরসনে গণতান্ত্রিক বিশ্বকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান ফখরুল। পাশাপাশি ফিলিস্তিনে গণহত্যা বন্ধে ভূমিকা রাখতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতিও আহ্বান জানান বিএনপি মহাসচিব।
২৪ মার্চ ২০২৪, ২০:০৩

বিদেশি ঋণ এখন ১০০ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি
বাংলাদেশের বিদেশি ঋণ প্রথমবারের মতো ১০০ বিলিয়ন বা দশ হাজার কোটি মার্কিন ডলার ছাড়িয়েছে। গত ডিসেম্বর শেষে বিদেশি বিভিন্ন উৎস থেকে নেওয়া ঋণের স্থিতি ছিল ১০০ দশমিক ৬৪ বিলিয়ন (১০ হাজার ৬৪ কোটি) ডলার। যা দেশীয় মুদ্রায় (প্রতি ডলার ১১০ টাকা ধরে) এ ঋণের পরিমাণ ১১ লাখ ৭ হাজার ৪০ কোটি টাকা। দেশের মোট বিদেশি ঋণের ৭৯ শতাংশই নিয়েছে সরকার। বাকি ২১ শতাংশ ঋণ নিয়েছে বেসরকারি খাত। ২০২২ সালের ডিসেম্বরে বিদেশি ঋণের স্থিতি ছিল ৯ হাজার ৬৫২ কোটি ডলার। সেই হিসেবে এক বছরের ব্যবধানে বিদেশি ঋণের স্থিতি বেড়েছে ৪১২ কোটি ডলার। বৃহস্পতিবার (২২ মার্চ) বাংলাদেশ ব্যাংকের এক প্রতিবেদনে এমনই তথ্য উঠে এসেছে। এতে দেখা যায়, ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরের শেষে বিদেশি ঋণের স্থিতি ছিল ৯ হাজার ৬৫৫ কোটি ডলার। তার মানে পরের তিন মাসে ৪ বিলিয়ন বা ৪০৯ কোটি ডলারের বিদেশি ঋণ বেড়েছে। সরকারের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) তথ্য অনুযায়ী, ২০১০ সালে সরকারের বিদেশি ঋণের স্থিতি ছিল ২০ দশমিক ৩৩ বিলিয়ন ডলার। ওই সময় বিদেশি উৎস থেকে দেশের বেসরকারি খাতের ঋণ নেয়ার সুযোগ ছিল না। অন্যদিকে সরকারি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানগুলোর ঋণও ছিল খুবই কম। কিন্তু এর পর থেকে সরকারের বিদেশি ঋণ দ্রুতগতিতে বেড়েছে। একই সঙ্গে বিদেশি ঋণ বেড়েছে বেসরকারি খাতেরও। সরকারি-বেসরকারি খাতের বিদেশি ঋণের স্থিতি গত ডিসেম্বর শেষে ১০০ দশমিক ৬৪ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয় বলে বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যে উঠে এসেছে। সে হিসাবে গত ১৩ বছরে বিদেশি ঋণ বেড়েছে ৩৯৫ শতাংশ। বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবায়ন অনুযায়ী, দেশের সরকারি-বেসরকারি বিদেশি ঋণ স্থিতি মোট জিডিপির প্রায় ২৩ শতাংশ। ঋণের এ অনুপাতকে অর্থনীতির জন্য মোটেই উদ্বেগজনক নয় বলে মনে করে সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংক।  এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মো. মেজবাউল হক বলেন, ‌বিদেশি ঋণ ১০০ বিলিয়ন ডলার ছাড়ালেও দেশের জিডিপির আকারের তুলনায় এটি খুব বেশি নয়। এখনও অনেক বিদেশি ঋণ নেওয়ার সক্ষমতা আমাদের রয়েছে। বিশ্ববাজারে সুদহার বাড়ায় দেশের বেসরকারি খাতের স্বল্পমেয়াদি প্রায় ৬ বিলিয়ন ডলার ঋণ কমে গেছে। এটি না হলে বিদেশি ঋণের স্থিতি অনেক আগেই ১০০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যেত। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত ২০১৫-১৬ অর্থবছর শেষে বিদেশি ঋণের স্থিতি ছিল ৪ হাজার ১১৭ কোটি ডলার। আর গত ২০২২–২৩ অর্থবছর শেষে তা ৯ হাজার ৮১১ কোটি ডলারে দাঁড়ায়। অর্থাৎ গত আট বছরে বাংলাদেশের বিদেশি ঋণ বেড়েছে দ্বিগুণের বেশি। গত ডিসেম্বর শেষে সেটি আরও বেড়েছে। জনশুমারি ও গৃহগণনা শুমারির চূড়ান্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী, দেশের জনসংখ্যা ১৬ কোটি ৯৮ লাখ। সেই হিসাবে গত ডিসেম্বরের শেষে মাথাপিছু বিদেশি ঋণ দাঁড়িয়েছে ৫৯২ ডলার (প্রায় ৬৫ হাজার টাকা)। যদিও গত জুনের হিসাবে মাথাপিছু বিদেশি ঋণ ছিল ৫৭৪ ডলার। আট বছর আগে এটা ছিল ২৫৭ ডলারের কিছু বেশি। মোট বিদেশি ঋণের মধ্যে সরকারি খাতে ৭৯ শতাংশ আর বেসরকারি খাতে ২১ শতাংশ। গত ডিসেম্বর শেষে সরকারি খাতে বিদেশি ঋণের স্থিতি ছিল ৭ হাজার ৯৬৯ কোটি ডলার। তার আগের তিন মাসে বিদেশি ঋণের স্থিতি ছিল ৭ হাজার ৫২৭ কোটি ডলার। অর্থাৎ গত বছরের শেষ তিন মাসে সরকারি খাতে বিদেশি ঋণের স্থিতি বেড়েছে ৫ দশমিক ৮৭ শতাংশ। অন্যদিকে গত ডিসেম্বর শেষে বেসরকারি খাতের ঋণের স্থিতি দাঁড়ায় ২ হাজার ৯৫ কোটি ডলার। যা গত সেপ্টেম্বরে ছিল ২ হাজার ১২৮ কোটি ডলার। সরকার বিশ্বব্যাংক ও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) মতো সংস্থা এবং জাপান, চীন, রাশিয়া ও ভারতের মতো দেশের কাছ থেকে সবচেয়ে বেশি বিদেশি ঋণ নেয়। এই সব ঋণ নেওয়া হয় মূলত প্রকল্প বাস্তবায়ন ও বাজেট সহায়তা হিসেবে। অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) গত ডিসেম্বরের হিসাবে, ২০২২-২৩ অর্থবছরে ঋণদানে শীর্ষ দেশ ও সংস্থার মধ্যে ছিল বিশ্বব্যাংক, জাপান, এডিবি ও চীন। সাম্প্রতিককালে চীনা ঋণ উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। সরকারি বিভিন্ন মেগা প্রকল্পের পাশাপাশি গত এক দশকে বিদ্যুৎ খাতেও বিপুল পরিমাণ বিদেশি ঋণ এসেছে। এর মধ্যে সর্বোচ্চ এসেছে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পে। বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি নির্মাণের জন্য ১১ দশমিক ৩৮ বিলিয়ন ডলার ঋণ দিয়েছে রাশিয়া। পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে ২ দশমিক ৪৮ বিলিয়ন ডলার ঋণ নেয়া হয়েছে চীন থেকে। আর রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে ১ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলার ঋণসহায়তা দিয়েছে ভারত। এ ছাড়া মাতারবাড়ী বিদ্যুৎ কেন্দ্রসহ অন্যান্য প্রকল্প ঘিরে জাপান থেকে ৪৩ হাজার ৯২১ কোটি টাকার সমপরিমাণ ঋণসহায়তা নেওয়া হচ্ছে। সরকারের পাশাপাশি সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোও বিদেশি বিভিন্ন উৎস থেকে ঋণ নিচ্ছে। সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর বিদেশি ঋণের স্থিতি এখন ১১ দশমিক ৭৮ বিলিয়ন ডলার। এর মধ্যে স্বল্পমেয়াদি বিদেশি ঋণ রয়েছে ২ দশমিক ৪৪ বিলিয়ন ডলার।  সংশ্লিষ্টরা বলছেন, চলতি বছর থেকে অনেক মেগা প্রকল্পের ঋণের কিস্তি পরিশোধ শুরু হচ্ছে। এতে বিদেশি ঋণ পরিশোধের চাপ বাড়বে। এমনিতেই দেশে ডলারের তীব্র সংকট চলছে। বিদেশি ঋণ পরিশোধের চাপ বাড়ায় আরও বেশি পরিমাণে ডলারের প্রয়োজন হবে। কিন্তু প্রত্যাশা অনুযায়ী রেমিট্যান্স, রপ্তানি আয়সহ দেশের ডলার সংস্থান বাড়ানো যাচ্ছে না। বিপরীতে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের ক্ষয় ক্রমাগত বাড়ছে।  
২২ মার্চ ২০২৪, ১৬:৪৮

২০ বিদেশি পর্যটক নিয়ে পিরোজপুরে ভারতের ‘গঙ্গা বিলাস’
ভারতের পর্যটকবাহী প্রমোদতরি গঙ্গা বিলাস২০ বিদেশি পর্যটক নিয়ে পিরোজপুরের কাউখালীতে এসে পৌঁছেছে। মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) বিকেলে কাউখালী সন্ধ্যা নদী নদীসংলগ্ন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিটএ) এর লঞ্চ ঘাটে নোঙর করে ‘গঙ্গা বিলাস’। সুত্র জানায়, ঢাকা থেকে ভারতের বেনারস উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসা ভারতের পর্যটকবাহী প্রমোদতরি গঙ্গা বিলাস এ ১৫জন সুইডিশ ও ৫জন জার্মানি নাগরিক রয়েছে। গত রোববার ঢাকা থেকে ছেড়ে চাদঁপুর, বরিশাল হয়ে মঙ্গলবার বিকেলে তারা কাউখালী আসেন। পরে উপজেলার বিভিন্ন স্থান পরিদর্শন করেন। মঙ্গলবার কাউখালীতে রাত্রী যাপন শেষে বুধবার সকালে তারা সুন্দরবনের উদ্দেশ্যে কাউখালী ছেড়ে যাবেন। পরে তারা মংলা বন্দর হয়ে ভারতের বেনারস যাবেন। উল্লেখ্য, গত বছর ১১ জানুয়ারী উত্তর প্রদেশের বারানসী’তে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ‘এমভি গঙ্গা বিলাস’এর প্রমোদ ভ্রমনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। প্রায় ২শ ফুট দৈর্ঘ ও ৪০ ফুট প্রস্থ তিনতলা এ নৌযানটিতে ২৮টি বিলাসবহুল কেবিন রয়েছে।
২০ মার্চ ২০২৪, ০২:১৫
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়