• ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo
‘বিএনপি বিদেশ নির্ভর হলে এসি রুমে সিনেমা দেখতো’
ক্ষমতার জন্য বিএনপি বিদেশিদের কাছে ধরনা দিচ্ছে আওয়ামী লীগের এমন অভিযোগের বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেছেন, সরকারের অভিযোগ সত্যি নয়। বিএনপি যদি বিদেশিদের ওপর নির্ভর করতো তাহলে সারাবছর এসি রুমে বসে সিনেমা দেখতো। কিন্তু বিএনপি রাজপথে আন্দোলন করছে, সভা-সমাবেশ করছে। সারাদেশে পদযাত্রা করেছে। বিএনপিকে নিয়ে সরকার যে অভিযোগ করছে তার পেছনে কোন যুক্তি নেই বলে মন্তব্য করেন তিনি। শনিবার (৩০ মার্চ) রাজধানীর মগবাজারে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবদলের সদস্য সচিব রবিউল ইসলাম নয়নের বাসায় তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গিয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি। সরকার কখনোই ভিন্নমতের সুযোগ দিতে চায় না অভিযোগ করে ড. আব্দুল মঈন খান বলেন, তাহলে আমরা এ দেশে কীভাবে বাস করব। আজকে কেউ আওয়ামী লীগ করবে, কেউ বিএনপি করবে, কেউ অন্য দল করবে। এভাবেই তো সারা দুনিয়া চলে আসছে। যে গণতন্ত্রের জন্য দেশ স্বাধীন হয়েছে, কিন্তু সে গণতন্ত্র নেই। ক্ষমতায় থাকতে হলে জনগণের মৌলিক অধিকার ফিরিয়ে ক্ষমতায় থাকতে হবে। বিদেশি শক্তির উপর নির্ভরতা নয়, জনগণকে সঙ্গে বিএনপি রাজনীতি করে। তিনি আরও বলেন, বর্তমান সরকারের বিগত তিনটি নির্বাচনের ইতিহাস দেখুন। দেশের ১২ কোটি ভোটার এই নির্বাচনকে প্রত্যাখ্যান করেছে। কিন্তু সরকার গায়ের জোরে ক্ষমতায় আছে। সরকারকে মানুষের ভোটের স্বাধীনতা ফিরিয়ে দিতে হবে। আমরা মুক্ত পরিবেশে বসবাস করতে চাই। কথা বলার স্বাধীনতা চাই।
৩০ মার্চ ২০২৪, ১৬:২১

বিদেশ যাওয়ার প্রবণতা বেড়েছে
দেশে এক বছরের ব্যবধানে বিদেশে যাওয়ার প্রবণতা বেড়েছে ২ দশমিক ১৭ শতাংশ। রোববার (২৪ মার্চ) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিবিএস অডিটোরিয়ামে প্রকাশিত ‘বাংলাদেশ স্যাম্পল ভাইটাল স্ট্যাটিসটিক্স ২০২৩’ এর প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৩ সালে বিদেশে যাওয়া অথবা আন্তর্জাতিক অভিগমনের হার ৮ দশমিক ৭৮ শতাংশ। যা ২০২২ সালে ছিল ৬ দশমিক ৬১ শতাংশ। সেই হিসেবে মাত্র এক বছরের ব্যবধানে বিদেশে যাওয়ার প্রবণতা ২ দশমিক ১৭ শতাংশ বেড়েছে।  বিদেশে যাওয়ার এই হার ২০২১ সালে ছিল ৩ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ। আর এই হার ২০২০ সালে এক দশমিক ৫৯ শতাংশ এবং ২০১৯ সালে ২ দশমিক ৯৪ শতাংশ ছিল। এ ছাড়া ২০২৩ সালে পুরুষদের বিদেশ যাওয়ার হার ১৬ দশমিক ৩৯ শতাংশ। আর নারীদের বিদেশে যাওয়ার হার এক দশমিক ৪৪ শতাংশ। পাশাপাশি ২০২৩ সালে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে বাংলাদেশে আগমনের হার শূন্য দশমিক ৬০ শতাংশ কমেছে।
২৪ মার্চ ২০২৪, ২৩:৫৭

বাড়ছে সাজা স্থগিতের মেয়াদ, বিদেশ যেতে পারবেন না খালেদা জিয়া
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের মেয়াদ ৬ মাস বাড়ছে। তবে চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। বুধবার (২০ মার্চ) দুপুরে সচিবালয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান। আইনমন্ত্রী বলেন, ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ ধারায় উপধারা ১ এ যে আবেদন ছিল সেটা নিষ্পত্তি হয়ে গেছে। সেই আবেদনের পরে আর কোনো পদক্ষেপ নেওয়ার নেই শুধু মেয়াদ বাড়ানো ছাড়া। ঠিক সেই কারণেই মেয়াদ বাড়ানোর সুপারিশ করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ফাইল পাঠিয়ে দিচ্ছি। মানবিক কারণে তাকে বিদেশে পাঠানো যাবে কি না, জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী গণমাধ্যমকর্মীদের বলেন বলেন, না, যাই করতে হবে আইনের মাধ্যমে করতে হবে। ‌যে আইনে তাকে বের করা হয়েছে, সে আইনে এ (বিদেশে পাঠানো) সুযোগ নেই। প্রসঙ্গত, করোনা মহামারির ভেতর ২০২০ সালের ২৫ মার্চ সরকার ফৌজদারি কার্যবিধির (সিআরপিসি) ৪০১ (১) ধারা অনুযায়ী কারাদণ্ড স্থগিত করে বিএনপি প্রধানকে মুক্তি দেয়। এরপর দফায় দফায় তার কারাদণ্ড স্থগিত রাখার মেয়াদ বাড়িয়েছে সরকার। এ নিয়ে মুক্তির মেয়াদ নির্বাহী আদেশে আটবারের মতো বাড়ানো হচ্ছে।
২০ মার্চ ২০২৪, ১৪:৪৮

‘খালেদা জিয়ার বিদেশ যাওয়ার বিষয়ে ২৫ মার্চের মধ্যে সিদ্ধান্ত’
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার জন্য যাওয়ার বিষয়ে আগামী ২৫ মার্চের মধ্যে সিদ্ধান্ত জানানো হবে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) গণমাধ্যমকে তিনি এ তথ্য জানান। আইনমন্ত্রী বলেন, আমি খালেদা জিয়ার কারাদণ্ড স্থগিত ও তার বিদেশ যাওয়ার অনুমতি চেয়ে যে আবেদনটি করা হয়েছে তা পড়েছি। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে এখনও আমার মতামত দিইনি। আগামী ২৫ মার্চের মধ্যে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানানো হবে। এর আগে, সোমবার (১৮ মার্চ) আইনমন্ত্রী খালেদা জিয়ার আবেদনের বিষয়ে মঙ্গলবার পর্যন্ত অপেক্ষা করতে বলেন। আবেদন ও সংশ্লিষ্ট ফাইল তার কাছে সোমবার পৌঁছেছে বলে জানান তিনি। গত ৬ মার্চ আবেদনের চিঠিটি পরিবারের পক্ষে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পৌঁছে দেন খালেদা জিয়ার একান্ত সচিব এবিএম সাত্তার। এ বিষয়ে রোববার সন্ধ্যায় তিনি বলেন, আবেদনপত্রে ম্যাডামের স্থায়ী মুক্তি ও বিদেশে চিকিৎসার অনুমতি চাওয়া হয়েছে। ম্যাডামের ছোটভাই (শামীম ইস্কাদার) অসুস্থ থাকায় আমি চিঠিটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পৌঁছে দিয়েছি। আবেদনপত্রে শামীম ইস্কাদার বলেন, বেগম জিয়ার জীবন অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। খালেদা জিয়ার জীবন রক্ষায় দরকার দেশের বাইরে চিকিৎসা। উল্লেখ্য, খালেদা জিয়া হার্টের সমস্যা ও লিভারসিরোসিস ছাড়াও নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছেন। এ ছাড়া আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, দাঁত ও চোখের সমস্যাসহ নানান জটিলতা রয়েছে তার। এরই মধ্যে কয়েক দফা হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেন তিনি। ২০২২ সালের জুনে খালেদা জিয়ার এনজিওগ্রাম করা হলে তার হৃদযন্ত্রে তিনটি ব্লক ধরা পড়ে। এর একটিতে রিং পরানো হয়। এরপর থেকে কয়েক দফায় এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেন তিনি। খালেদা জিয়ার জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি পাঁচ বছরের সাজা হয়। সেদিন থেকে তিনি কারাবন্দি হন। ২০২০ সালের মার্চে করোনার প্রাদুর্ভাব দেখা দিলে পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে সরকার খালেদা জিয়ার দণ্ড ছয় মাসের জন্য স্থগিত করে মুক্তি দেয়। এরপর দফায় দফায় তার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হচ্ছে। সর্বশেষ ২০২৩ সালের ১২ সেপ্টেম্বর খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ ছয় মাস বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ওই মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ২৪ মার্চ।
১৯ মার্চ ২০২৪, ২২:০৯

ইউনূসের সাজা চলবে, বিদেশ যেতে নিতে হবে অনুমতি
শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় নোবেলজয়ী অধ্যাপক ড. ইউনূসসহ চারজনের ছয় মাসের সাজা চলবে। একই সঙ্গে তারা বিদেশ যেতে চাইলে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালকে জানিয়ে যেতে হবে। সোমবার (১৮ মার্চ) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী ইবাদত হোসেনের সমন্বয়ে বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। ড. ইউনূসের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আব্দুল্লাহ আল মামুন। সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার খাজা তানভীর আহমেদ। খুরশীদ আলম খান জানান, এ চারজন বিদেশ যেতে হলে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালকে অবহিত করে যেতে হবে। এ ছাড়া রায়ের কার্যক্রম স্থগিত করে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের দেওয়া আদেশ স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট।  শুনানি চলাকালে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিচার নিয়ে বিদেশি কূটনীতিকদের বক্তব্য দেওয়ার ক্ষেত্রে সচেতন থাকা উচিত বলে মন্তব্য করেন হাইকোর্ট।  এ সময় হাইকোর্ট জানতে চান, কোনো বিদেশি কূটনীতিক যদি বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিচার নিয়ে মন্তব্য করেন এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার উপায় আছে কি না। জবাবে কলকারখানার আইনজীবী অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান বলেন, ভিয়েনা কনভেনশন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া যাবে। উল্লেখ্য, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি ঢাকার শ্রম আদালত-৩ এর বিচারক শেখ মেরিনা সুলতানা তাদের বিরুদ্ধে সাজার রায় দেন। তাদের শ্রম আইনের ৩০৩ (ঙ) ধারায় সর্বোচ্চ ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে ১০ দিনের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। অপরদিকে ৩০৭ ধারায় ২৫ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে ১৫ দিনের কারাদণ্ড দেন আদালত। এরপর আসামিপক্ষ আপিলের শর্তে জামিন আবেদন করেন। আদালত সে আবেদন মঞ্জুর করে পাঁচ হাজার টাকা বন্ডে এক মাসের জন্য জামিন দেন। সেই সময়সীমার মধ্যেই আপিল করেন দণ্ডপ্রাপ্তরা। ড. ইউনূস ছাড়া অন্য তিন বিবাদী গ্রামীণ টেলিকমের এমডি মো. আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুরজাহান বেগম ও মো. শাহজাহান। ২৮ জানুয়ারি শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনকে ৩ মার্চ পর্যন্ত জামিন দেন। আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করে নথি তলব করেন। এ ছাড়া ৩ মার্চ পর্যন্ত ১ জানুয়ারি দেওয়া দণ্ডের রায়ের কার্যক্রম স্থগিত করেন। এ স্থগিতের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আবেদন করে কলকারখানা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর।
১৮ মার্চ ২০২৪, ১৯:১৭

খালেদা জিয়াকে বিদেশ নিতে ফের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার স্থায়ী মুক্তি এবং তাকে বিদেশে নিয়ে চিকিৎসা করাতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবারও আবেদন করেছে তার পরিবার। বিএনপি চেয়ারপারসনের ছোট ভাই শামীম ইস্কাদার গত ৬ মার্চ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এই আবেদন করেন বলে রোববার (১৭ মার্চ) জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইং সদস্য শায়রুল কবির খান। বেগম খালেদা জিয়ার একান্ত সচিব এবিএম সাত্তার আবেদনের চিঠিটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পৌঁছে দেন। তবে আবেদনের ব্যাপারে এখনো কিছু জানায়নি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। আবেদনে শামীম ইস্কাদার বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার জীবন অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। তার জীবন রক্ষায় দেশের বাইরে চিকিৎসা দরকার। এর আগেও খালেদা জিয়াকে দেশের বাইরে নিয়ে চিকিৎসা করাতে কয়েক বার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তার পরিবারের পক্ষ থেকে আবেদন করা হয়। সবশেষ গত বছরের ২৫ সেপ্টেম্বর খালেদা জিয়াকে স্থায়ীভাবে মুক্তি ও চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার অনুমতি চেয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে চিঠি দেন তার ভাই শামীম ইস্কান্দার। তবে প্রতিবারই আইন মন্ত্রণালয়ের মতামতের ভিত্তিতে তা নাকচ করে দেয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় দণ্ডিত হওয়ার পর কারাগারে পাঠানো হয় বিএনপি চেয়ারপারসনকে। করোনা মহামারি শুরুর পর ২০২০ সালের ২৫ মার্চ তাকে সরকারের নির্বাহী আদেশে শর্তসাপেক্ষে সাময়িক মুক্তি দেওয়া হয়। তখন থেকে তিনি গুলশানের বাসভবনে অবস্থান করছেন। ছয় মাস পরপর তার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হচ্ছে। ৭৮ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া লিভার সিরোসিস, আর্থাইটিস, রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, কিডনি, হৃদযন্ত্রে জটিলতা, ফুসফুস, চোখ ও দাঁতের নানা সমস্যায় ভুগছেন। এছাড়াও মেরুদণ্ড, ঘাড়, হাত ও হাঁটুতে বাতের সমস্যাসহ আরও কিছু শারীরিক জটিলতা রয়েছে তার। ২০২১ সালের এপ্রিলে কোভিডে আক্রান্ত হয়েছিলেন তিনি। এরপর থেকে বেশ কয়েক বার নানা অসুস্থতার কারণে তাকে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে হয়েছে। তার চিকিৎসকরা বারবার তাকে বিদেশে নিয়ে উন্নত চিকিৎসার পরামর্শ দিয়ে আসছেন।
১৭ মার্চ ২০২৪, ২১:০২

স্কয়ার গ্রুপে নিয়োগ, থাকছে বিদেশ ভ্রমণের সুবিধা
নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে সম্প্রতি স্কয়ার গ্রুপের অন্যতম প্রতিষ্ঠান স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস পিএলসি। প্রতিষ্ঠানটির অ্যাগ্রোভেট বিভাগ সেলস প্রমোশন অফিসার পদে সারাদেশে লোকবল নিয়োগ দেবে। আগ্রহীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন।  যা যা প্রয়োজন- প্রতিষ্ঠানের নাম: স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস পিএলসি পদের নাম: সেলস প্রমোশন অফিসার  বিভাগ: অ্যাগ্রোভেট পদসংখ্যা: নির্ধারিত নয়  শিক্ষাগত যোগ্যতা: যেকোনো বিষয়ে স্নাতক (এইচএসসি পর্যন্ত বিজ্ঞান) ডিগ্রি  অন্যান্য যোগ্যতা: ইংরেজি ও বাংলা উভয় ভাষায় ভালো যোগাযোগ দক্ষতা, কঠোর পরিশ্রমী।  অভিজ্ঞতা: প্রয়োজন নেই  চাকরির ধরন: ফুলটাইম  কর্মক্ষেত্র: মার্কেটিং  প্রার্থীর ধরন: নারী-পুরুষ (উভয়) বয়সসীমা: সর্বোচ্চ ৩২ বছর  কর্মস্থল: দেশের যেকোনো স্থানে  বেতন: আলোচনা সাপেক্ষে  অন্যান্য সুবিধা: প্রভিডেন্ট ফান্ড, গ্র্যাচুইটি, গ্রুপ ইন্স্যুরেন্স, সেলস ইনসেনটিভ, বিদেশ ট্যুর, বোনাস, লাভ শেয়ারসহ আরো সুবিধা প্রতিষ্ঠানের নীতিমালা অনুযায়ী।  আবেদন যেভাবে: আগ্রহী প্রার্থীরা আবেদন করতে ও বিস্তারিত বিজ্ঞপ্তিটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন। আবেদনের শেষ সময়: ১৫ মার্চ ২০২৪ পর্যন্ত।
১২ মার্চ ২০২৪, ০৯:৫৫

বিদেশ যেতে পারবেন নোবেলজয়ী ড. ইউনূস : আদালত
দেশের বাইরে যাওয়ার অনুমতি পেয়েছেন গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সোমবার (১১ মার্চ) দুপুরে শুনানি শেষে এ আদেশ দেন আদালত।  এর আগে রোববার (১০ মার্চ) শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম এ আউয়ালের আদালতে এই আবেদন করেন ড. ইউনূস। আবেদনে তিনি বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যেতে চান বলে উল্লেখ করেন। এর আগে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর এবং দুর্নীতি দমন কমিশনের পৃথক দুটি মামলায় জামিন পান ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক আস সামছ জগলুল হোসেন তার জামিন মঞ্জুর করেন। কল কারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের করা মামলায় ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয় ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও তার ৩ সহকর্মীকে। শ্রম আদালতের সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে আপিল করেন ড. ইউনূস। আপিল করায় দেওয়া হয় এক মাসের জামিন। জামিনের সময় শেষ হওয়ায় আবারও ট্রাইব্যুনালে হাজির হন ড. ইউনূসসহ অন্যান্যরা। তাদের পক্ষে আপিল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত স্থায়ী জামিন চান আইনজীবী। তবে আপত্তি তোলা হয় রাষ্ট্রপক্ষ থেকে। পরে উভয় পক্ষের যুক্তি তর্ক আমলে নিয়ে আদালত দিন-তারিখ উল্লেখ না করে জামিন মঞ্জুর করে। এদিন দুদকের করা অর্থ আত্মসাতের মামলায়ও আদালতে আত্মসমর্পণ করেন নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মোহাম্মদ ইউনূস। সেখানেও জামিন পান তিনি।
১১ মার্চ ২০২৪, ১৫:৩২

অবসরের তিন দিন আগে 'অভিজ্ঞতা অর্জনে' বিদেশ সফরে সচিব
অবসরে যাওয়ার মাত্র তিন দিন আগে জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা অর্জনের উদ্দেশ্য নিয়ে সরকারি সফরে ফ্রান্স গেছেন গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব কাজী ওয়াছি উদ্দিন।  বুধবার (৬ মার্চ) দিবাগত রাত ২টা ৪০ মিনিটে কুয়েত এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে ফ্রান্সের প্যারিসের উদ্দেশে রওনা দেন তিনি। আগামী ১১ মার্চ দেশে ফেরার কথা তার। অথচ, এর দুই দিন আগে ৯ মার্চ তার চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। অবসরে যাওয়ার মাত্র তিন দিন আগে সচিবের এমন বিদেশ সফর নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে ইতোমধ্যে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, এই সম্মেলনে ওয়াছি উদ্দিন না গিয়ে অন্য কেউ যেতে পারতেন। তা হলে তিনি সম্মেলন থেকে পাওয়া জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা দেশে ফিরে কাজে লাগাতে পারতেন। জানা গেছে, ‘বিল্ডিংস অ্যান্ড ক্লাইমেট গ্লোবাল ফোরাম’ শীর্ষক একটি সম্মেলনে যোগ দিতে ঢাকা থেকে প্যারিসে গেছেন গণপূর্ত সচিব। ফ্রান্স সরকার ও জাতিসংঘের পরিবেশ কর্মসূচির (ইউএনইপি) আয়োজনে ৭ মার্চ থেকে শুরু এ সম্মেলন চলবে ৮ মার্চ পর্যন্ত।  কার্বন নিঃসরণ কমানো এবং ভবন, আবাসন ও নির্মাণ খাতের অভিঘাত সহনশীলতা তৈরিতে বৈশ্বিক পরিসরে সহযোগিতার নতুন উদ্যোগ শুরুর লক্ষ্যে প্রথমবারের মতো বিভিন্ন দেশের মন্ত্রী ও সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিরা সমবেত হবেন এ সম্মেলনে।  গণপূর্তমন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীরও এ সম্মেলনে যোগ দিতে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফ্রান্সে যাওয়ার কথা রয়েছে। এদিকে সচিবের বিদেশ সফর নিয়ে গণপূর্ত মন্ত্রণালয় থেকে আলাদা তিনটি আদেশ জারি হয়। একটিতে তার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জ ব্যবহার প্রসঙ্গে বলা হয়েছে। সেখানে ওয়াছি উদ্দিনের বিদেশে যাতায়াতে বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জ ব্যবহার ও প্রাপ্য আনুষঙ্গিক সুবিধা দিতে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।  আরেক আদেশে বলা হয়, সচিবের বিদেশ সফরকালে সচিবের রুটিন দায়িত্ব পালন করবেন একই মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব হাফিজুর রহমান।  আর অন্য আদেশটিতে বলা হয়, সচিবকে বিমানবন্দরে বিদায় ও অভ্যর্থনা জানাবেন এ মন্ত্রণালয়ে কর্মরত যুগ্ম সচিব আ ন ম নাজিম উদ্দিন। উল্লেখ্য, ওয়াছি উদ্দিনের স্বাভাবিক অবসরে যাওয়ার কথা ছিল গত বছর মার্চে। কিন্তু গত বছর ৯ মার্চ তাকে এক বছরের জন্য গণপূর্ত সচিব হিসেবে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেয় সরকার। তার চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের মেয়াদ আর বাড়ানো হয়নি।  জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব নবীরুল ইসলামকে মঙ্গলবার গণপূর্ত সচিব হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। সেই হিসাবে ৯ মার্চ শনিবার হবে সচিব ওয়াছি উদ্দিনের শেষ কর্মদিবস। অবসরে যাওয়ার তিন দিন আগে সরকারি সফর বিষয়ে বক্তব্যের জন্য গণমাধ্যমের পক্ষ থেকে সচিব ওয়াছি উদ্দিনের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। তবে তাকে পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদার বলেন, 'এখানে অনিয়ম হয়েছে। অবসরে যাওয়ার তিন দিন আগে সচিবকে বিদেশ সফরের অনুমতি দেওয়া ঠিক হয়নি। সম্মেলনে ওয়াছি উদ্দিনের এ  যোগদান কোনও উপকারে আসবে না। তাছাড়া, চাকরির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর তিনি কীভাবে সরকারি কাজে দেশের বাইরে থাকেন?'
০৭ মার্চ ২০২৪, ১৫:৩০

চিকিৎসায় বিদেশ গমন ঠেকাতে উদ্যোগ নেওয়ার প্রস্তাব
চিকিৎসার জন্য নাগরিকদের বিদেশ গমন ঠেকাতে উদ্যোগ গ্রহণের জন্য প্রস্তাব করেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, প্রতিবছর বাংলাদেশ থেকে অসংখ্য রোগী চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে যাচ্ছে। এতে করে দেশের প্রচুর অর্থ চলে যাচ্ছে বিদেশে।  এ অবস্থায় রোগীদের ঠেকাতে দূতাবাসকে পৃথক একটি সেল গঠনের মাধ্যমে উদ্যোগ নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ। সোমবার (৪ মার্চ) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালে সারাহ ইসলাম ক্যাডাভেরিক ট্রান্সপ্লান্ট সেল আয়োজিত এক গোলটেবিল বৈঠকে এই প্রস্তাব করেন তিনি। বিএসএমএমইউ উপাচার্য বলেন, পার্শ্ববর্তী দেশগুলোতে ট্রান্সপ্লান্টের রোগীরা সেবা নিতে যাচ্ছে। এতে দেশের প্রচুর অর্থ বিদেশে চলে যাচ্ছে। যদি পার্শ্ববর্তী দেশে যেতে হয় সেজন্য দূতাবাসে একটি সেল গঠন করে বোর্ডের সুপারিশের মাধ্যমে যেতে হবে। এজন্য দূতাবাসগুলোকে উদ্যোগ নিতে হবে। শারফুদ্দিন আহমেদ এরপর বলেন, বাংলাদেশে প্রতি বছর সাড়ে ৩ হাজার থেকে ৫ হাজার মানুষের কিডনি ট্রান্সপ্লান্টের প্রয়োজন হয়। কিন্তু সে অনুযায়ী আমাদের লোকবল নেই। এজন্য আমরা ক্যাডাভেরিক ট্রান্সপ্লান্ট টিম তৈরি করছি। ট্রান্সপ্লান্ট করার জন্য দক্ষ জনবল তৈরি করছি। তিনি বলেন, আমরা সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালে প্রতি সপ্তাহে তিনটি করে কিডনি ট্রান্সপ্লান্ট করতে পারি। কিডনি ট্রান্সপ্লান্টের জন্য শিশু হাসপাতাল আমাদের সঙ্গে কাজ শুরু করেছে। হার্ট প্রতিস্থাপনের জন্যেও আমরা বিশেষজ্ঞ দল তৈরির উদ্যোগ নিয়েছি। বিএসএমএমইউ উপাচার্য আরও বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন ইসলামি দেশ যেমন ইরান, সৌদি আরব, কুয়েত  ইত্যাদি দেশেও ক্যাডাভেরিক ট্রান্সপ্লান্ট করা হচ্ছে। এতে কোনো ধর্মীয় বাধা নেই। ইসলাম ধর্মসহ হিন্দু ধর্ম, বৌদ্ধ ধর্ম, খ্রিস্টান ধর্মসহ সব ধর্মেই মানবকল্যাণের কথা বলা হয়েছে। মানুষের জীবন বাঁচানোর কথা বলা হয়েছে। তাই এই ধরনের মহৎকাজে অঙ্গদান করলে তাতে কোনো ধর্মীয় বিধি নিষেধ নেই। যাদের মাথায় চুল নেই, আগামীতে আমরণ তাদের জন্য হেয়ার ইমপ্ল্যান্টের ব্যবস্থাও করব।
০৪ মার্চ ২০২৪, ১৮:২৮
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়