• ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo
‘রূপান্তর’ বিতর্ক নিয়ে ভিডিও বার্তায় যা বললেন জোভান
প্রতিবছরই ঈদের নাটকে নজর কাড়েন অভিনেতা ফারহান আহমেদ জোভান। তবে এবার ঈদে তার অভিনীত নাটক ‘রূপান্তর’র কারণে নেটিজেনদের তোপের মুখে পড়েছেন তিনি। নাটকটি নিয়ে রীতিমতো সমালোচনার ঝড় উঠেছে নেটদুনিয়ায়।  এমনকি অভিনেতাকে নিয়ে বয়কটের ডাক দেওয়া হয়েছে সামাজিকমাধ্যমে। বলা যায়, বিষয়টি এখন টক অব দ্য টাউনে পরিণত হয়েছে। এবার ‘রূপান্তর’ বিতর্ক নিয়ে ভিডিও বার্তায় মুখ খুলেছেন জোভান।    শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক থেকে ‘রূপান্তর’ নিয়ে ভিডও বার্তায় আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেন জোভান। সেখানে অভিনেতা বলেন, আশা করি সবাই ভালো আছেন এবং নিজের পরিবার নিয়ে সুন্দর করে ঈদ কাটিয়েছেন। এই ঈদে আমার বেশ কিছু নাটক প্রকাশ পেয়েছে এবং প্রথম দিন থেকেই ভালো সাড়া পাচ্ছিলাম। ঈদটা আমারও সুন্দরভাবে কাটতে পারত, কিন্তু সেটি হয়নি। একটি অনাকাঙ্ক্ষিত বিষয়ে আপনারা যেমন কষ্ট পেয়েছেন তেমনই আমিও কিন্তু কষ্ট পাচ্ছি।  আমি একদমই ভালো নেই। আপনারা বুঝতেই পারছেন। কারণ, আমাকে আমার শুভাকাঙ্ক্ষীরা সাপোর্ট দেওয়ার চেষ্টা করছেন। হয়তো আমার মানসিক অবস্থা তারা বুঝতে পারছেন। এ কারণেই মনে হয়েছে আপনাদের কাছে কিছু কথা বলা দরকার।  জোভান বলেন, আমার অভিনীত ‘রূপান্তর’নাটক ঘিরে যে বিতর্ক তৈরি হয়েছে তা একেবারেই অপ্রত্যাশিত। এই নাটকের মাধ্যমে কারও ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করার কোনো উদ্দেশ্য ছিল না। আমি নিজেও মুসলিম পরিবারের ছেলে। আমি ধর্মকে কতটা বিশ্বাস করি, আল্লাহকে কতটা শ্রদ্ধা করি সেটা শুধু আমিই জানি।  এই নাটকের মাধ্যমে কোনোকিছু প্রমোট বা প্রতিষ্ঠিত করার উদ্দেশ্য ছিল না। শুধু একটি চরিত্র প্লে করার চেষ্টা করেছি এবং সেটার মাধ্যমে এতগুলো মানুষকে কষ্ট দিয়েছি। সেজন্য আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত। আমি মনে-প্রাণে আপনাদের সবার কাছে আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি। তিনি আরও বলেন, আমি ১১ বছর ধরে নাটক করছি। আজ আমার যে অবস্থান এর জন্য আমার একার অবদান নেই। দর্শকের ভালোবাসা ও সমর্থন ছিল বলেই এই অবস্থানে আসতে পেরেছি। আমার কাজ করার মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে দর্শকে একটু বিনোদন দেওয়া, তাদের খুশি করা। এজন্যই এত কষ্ট করি আমি। সবশেষে জোভান বলেন, ভবিষ্যতে চরিত্র বাছাইয়ের ক্ষেত্রে আরেকটু বেশি সচেতন থাকব আমি। যেন ভক্তরা কোনোভাবেই মনঃক্ষুণ্ন না হন। কষ্ট না পান। আমি আপনাদের কথা দিচ্ছি, আমার যে কাজগুলো আপনাদের এতদিন ভালো লেগেছে তার থেকেও ভালো কাজ উপহার দেব। শুধু একটাই অনুরোধ আমার ওপর কোনো কষ্ট রাখবেন না। আমার জন্য দোয়া করবেন এবং সবাই ভালো থাকবেন।  এর আগে নাটকটি নিয়ে গণমাধ্যমে জোভান বলেছিলেন, আমি বুঝতে পারছি না, নাটকটি নিয়ে কেন এত সমালোচনা! নাটকটির ভিউ নব্বই হাজার হয়েছিল। কিন্তু বাকি মানুষ তো দেখেনি। আমার কাছে মনে হয় তারা নাটকটি না দেখেই সমালোচনা করছে। এ নিয়ে ঘোরের মধ্যে আছি আমি। বুঝতে পারছি না, ঠিক কী হচ্ছে। প্রসঙ্গত, ১৫ এপ্রিল সন্ধ্যা ৭টায় উন্মুক্ত করা হয় ইউটিউবে প্রকাশ করা হয় ‘রূপান্তর’। মূলত ট্রান্সজেন্ডার ইস্যু নিয়ে বানানো হয়েছে নাটকটি। হরমোনজনিত কারণে একজন মানুষের একা হয়ে যাওয়ার গল্প মেলে ধরা হয়েছে এই নাটকে। এটি নির্মাণ করেছেন রাফাত মজুমদার রিংকু। তবে সমালোচনার কারণে গত ১৬ এপ্রিল ইউটিউব থেকে সরিয়ে নেওয়া হয় নাটকটি।
১০ ঘণ্টা আগে

ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির বিতর্ক প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন কুবি
জাতীয় দুর্যোগ প্রস্তুতি দিবস উপলক্ষে ‘ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি’ আয়োজিত এক ছায়া সংসদ বিতর্ক প্রতিযোগিতায় গ্রিন ইউনিভার্সিটিকে হারিয়ে বিজয়ী হয়েছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়। শনিবার (৯ মার্চ) ঢাকার এফডিসিতে এ ছায়া সংসদ বিতর্ক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।  ‘দুর্যোগজনিত ক্ষয়ক্ষতি কমাতে সরকারের ঘাটতি নেই’ এ শীর্ষক বিতর্কে সরকারি দল হিসেবে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় ও বিরোধী দল হিসেবে ছিল গ্রিন ইউনিভাসিটি। বিতর্কে সরকারি দল অর্থাৎ কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে সাদিয়া আফরিন, শাকিল আহমেদ সবুজ, সাদিয়া আফরিন মোহনা, আরাফাত হোসাইন ও এনায়েত হোসাইন অংশগ্রহণ করেন। প্রতিযোগিতায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মোঃ মহিববুর রহমান, এমপি। সভাপতিত্ব করেন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ। আরও বক্তব্য রাখেন দুর্যোগ সচিব মো. কামরুল হাসান এনডিসি, স্টাট বাংলাদেশ নেটওয়ার্কের কান্ট্রি ম্যানেজার, সার্ভিস রায়হান প্রমুখ। প্রতিযোগিতায় বিচারক ছিলেন ড. এস এম মোর্শেদ, যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ তানজিনা শারমিন, সাংবাদিক ড. শাকিলা জেসমিন, সাংবাদিক অনিমেষ কর ও সাংবাদিক শফিকুল ইসলাম সবুজ। সভাপতির বক্তব্যে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান জনাব হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসে বাংলাদেশ বিশ্বে রোল মডেল হিসেবে প্রশংসিত হলেও এখনো আমাদের উপকূলীয় অঞ্চলে অনেক মানুষ দুর্যোগ ঝুঁকিতে বসবাস করছে। দুর্যোগের কারণে বাস্তচ্যুত মানুষের সংখ্যা প্রায় ১ কোটি। দুর্যোগজনিত কারণে বাস্তুচ্যুত হয়ে অনেক মানুষ শহরে এসে ভীড় করছে। যারা পেশাহীন হয়ে নগদ দারিদ্র তৈরিসহ ভিক্ষাবৃত্তিতে জড়িয়ে পড়ছে। বাস্তচ্যুত গৃহহীন এসব মানুষকে এখনও পুরোপুরি সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করা সম্ভব হয়নি। গবেষণায় দেখা গেছে, গত তিন দশকে বাংলাদেশে ২০০ টি প্রাকৃতিক দুর্যোগ সংঘটিত হয়েছে, এতে আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ১৫ বিলিয়ন ডলার। মোট ক্ষয়ক্ষতির ৮৫ শতাংশই হচ্ছে বন্যা, নদীভাঙ্গন ও ঘূর্ণিঝড়ের কারণে।  এ সময় তিনি দুর্যোগের ঝুঁকি হ্রাসে ১০ দফা সুপারিশ পেশ করেন।
০৯ মার্চ ২০২৪, ১৯:১২

জাবিতে নবীনবরণ ও বিতর্ক কর্মশালা সোমবার
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নবীন শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিতর্ক ও পাবলিক স্পিকিং সম্পর্কে ধারণা তৈরি এবং বিতর্কের মাধ্যমে চিন্তাশীল ও যুক্তিবাদী নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে কর্মশালার আয়োজন করতে যাচ্ছে বিতর্ক সংগঠন ‘জাহাঙ্গীরনগর ইউনিভার্সিটি ডিবেট অর্গানাইজেশন’। সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জহির রায়হান অডিটোরিয়ামে কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হবে। এর আগে রোববার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের কনফারেন্স কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির নেতৃবৃন্দ এ তথ্য জানান। ‘নবকুঁড়ি তব প্রাঙ্গণে, প্রাণোচ্ছল প্রভাত সায়াহ্নে’ স্লোগানে এবারের ‘নবীনবরণ ও বিতর্ক কর্মশালা’ অনুষ্ঠিত হবে। সংবাদ সম্মেলনে নেতৃবৃন্দ জানান, জাহাঙ্গীরনগর ইউনিভার্সিটি ডিবেট অর্গানাইজেশন প্রতিষ্ঠার শুরু থেকেই যুক্তিবাদী ও মননশীল মানুষ গঠনে বদ্ধপরিকর। বিতর্কের মাধ্যমে একটি যুক্তিবাদী সমাজ তৈরি করার লক্ষ্যে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে এ সংগঠনটি। নবীন শিক্ষার্থীদের দক্ষ ও জনপ্রিয় প্রশিক্ষকদের মাধ্যমে বিতর্ক ও পাবলিক স্পিকিং সম্পর্কে ধারণা, বিতর্ক করার প্রয়োজনীয়তা, বিতর্কের মাধ্যমে চিন্তাশীল ও যুক্তিবাদী নাগরিক হয়ে ওঠা নিয়ে সেশন আয়োজন করাই এই কর্মশালাটির মূল উদ্দেশ্য। এ ছাড়া এবারের আয়োজনে প্রদর্শনী হিসেবে থাকবে একটি ছাত্র-শিক্ষক বিতর্ক এবং কনসার্ট।’ নেতৃবৃন্দ আরও জানান, নবীন বিতর্ক কর্মশালায় প্রশিক্ষক হিসেবে থাকবেন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের সহ-সমন্বয়ক এবং সময় টেলিভিশনের জ্যেষ্ঠ সংবাদ উপস্থাপক জাফর সাদিক এবং টেন মিনিট স্কুলের সহকারী ব্যবস্থাপক ফারহান সাকিব। এ ছাড়াও অতিথি বক্তা হিসেবে থাকবেন স্থপতি, অভিনেত্রী এবং আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের শিক্ষক অপি করিম এবং গায়িকা ও অভিনেত্রী শম্পা রেজা। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির সভাপতি তাপসী দে প্রাপ্তি, সহ-সভাপতি জাহিদুল ইসলাম নাবিল, সাধারণ সম্পাদক আহনাফ তাহমিদ খান রাইয়ান, কর্মশালার আহ্বায়ক ইবনে মোহাম্মদ আল বিরুনী রাজন, প্রেস ও মিডিয়া সম্পাদক জান্নাতুন্নেছা বিনতে জামান এমিলি।
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২২:২৬

নারী শিক্ষার্থীর অভিযোগ নিয়ে ববিতে নানা বিতর্ক 
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) এক নারী শিক্ষার্থীর করা অভিযোগ নিয়ে একের পর এক বিতর্ক শুরু হয়েছে। রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী মো. শফিকুর রহমান ওরফে শফিক মুন্সীর বিরুদ্ধে করা অভিযোগ নিয়ে সরগরম সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম। ইতোমধ্যে অর্থনীতি বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের ওই নারী শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের নামে পরিচালিত ফেসবুক গ্রুপে অভিযোগ সংক্রান্ত বিষয়ে পোস্ট করেছেন এবং নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে দাবি করেছেন। তবে অনুসন্ধানে তার করা অভিযোগ নিয়ে বেরিয়ে এসেছে নানা অসংগতি।  অভিযোগকারী লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেছেন, শফিক মুন্সী তাকে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশের হুমকি দিয়ে এবং প্রশাসনকে ব্যবহার করে সম্পর্ক স্থাপনে চাপ দিচ্ছেন। মোবাইল ফোনে অভিযোগকারীর সঙ্গে যোগাযোগ করে এসব অভিযোগের কোনো সুনির্দিষ্ট প্রমাণ আছে কিনা এমন প্রশ্ন করলে তিনি এড়িয়ে যান এবং এই মুহূর্তে আর কিছু বলতে চাচ্ছেন না বলে এ প্রতিবেদককে জানান।  এ দিকে লিংকারস ইন বিইউ নামক একটি ফেসবুক গ্রুপে তিনি শফিক মুন্সীর সঙ্গে কথোপকথনের দাবি করা কিছু স্ক্রিনশট পোস্ট করেছেন। যেগুলো বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, কোথাও হাতের আঙুলের; কোথাও বা আঁকা কোনো ছবির প্রশংসা করা হয়েছে। কিন্তু সরাসরি প্রেম বা বিয়ের প্রস্তাব সংক্রান্ত কোনো কথোপকথন তাদের মধ্যে পাওয়া যায়নি। এমনকি কোনো হুমকি বা জবরদস্তিমূলক কথোপকথনের প্রমাণ অভিযোগকারী দেখাতে পারেননি। গত ২৩ জানুয়ারি লিখিত অভিযোগে ওই নারী শিক্ষার্থী উল্লেখ করেন, শফিক মুন্সী অবৈধভাবে হলে অবস্থান করছেন। পরে কয়েকটি অনলাইন মাধ্যমে দাবি করা হয়েছে, শেরে বাংলা হলের ৪০২১ ও ৪০১৮ নম্বর কক্ষ দুটি তিনি দখল করে রেখেছেন। এ ব্যাপারে সেই সময়ে দায়িত্বে থাকা হল প্রভোস্ট আবু জাফর মিয়া জানান, শফিক মুন্সী কখনো হলে থাকেননি। তাই কক্ষ দখলে রাখার প্রশ্নই আসে না।  ২০১৪ থেকে ২০২২ শিক্ষাবর্ষ পর্যন্ত শফিক মুন্সী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী থাকাকালীন প্রক্টর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন ড. সুব্রত কুমার দাস এবং ড. মো. খোরশেদ আলম। তারা নিশ্চিত করেছেন, ব্যক্তি শফিক মুন্সীর বিরুদ্ধে কোনো ধরনের অভিযোগ প্রক্টর অফিসে কখনো আসেনি এবং কোনো অপরাধে তাকে কখনো মুচলেকাও দিতে হয়নি।  এসব অভিযোগের ব্যাপারে শফিক মুন্সীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আমি সাংবাদিকতা করতে গিয়ে যত ধরনের অপরাধীর চক্ষুশূল হয়েছি, তারা সবাই একত্রিত হয়ে এ অভিযোগকারীকে সামনে এনেছেন। ষড়যন্ত্র করে বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন। তবে এগুলোকে আমি বিন্দুমাত্র পাত্তা দেই না। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সবকিছুই পরিষ্কার হয়ে যাবে।  পেছন থেকে শফিক মুন্সীর একটি ছবি তুলে সেটি ফেসবুকে পোস্ট করে অভিযোগকারী দাবি করেন, ক্যাম্পাসে তাকে উত্ত্যক্ত করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত শফিক মুন্সী বলেন, আমার পুরো জীবনে মাত্র একবার ওই নারীর সঙ্গে দেখা হয়েছে। সেটাও একটা ছাত্র সংগঠন কর্তৃক আয়োজিত কার্যক্রমে অন্য অনেকের উপস্থিতিতে। দূর থেকে আমার একটা ছবি তুলে সেটাকে ভিন্নভাবে উপস্থাপন করার চেষ্টা করছেন ওই নারী। যদি কোথাও আমার উপস্থিতি তার কষ্টের কারণ হতো তবে সঙ্গে সঙ্গে সে বিষয়টি প্রশাসনকে জানাতে পারতো। 
১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২৩:৩৩

'শরীফার গল্প' নিয়ে শিক্ষাবিদদের ভাবনা / বিতর্ক না বাড়িয়ে ধারণাগত ত্রুটির দিকে নজর দিতে পরামর্শ
পাঠ্যপুস্তক ছেড়ে মানববন্ধন ও ধর্মঘটের মতো কর্মসূচি এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেশের অন্যতম আলোচনার বিষয়বস্তু হয়ে দাঁড়িয়েছে ‘শরীফ থেকে শরীফা’ হওয়ার গল্প। তৃতীয় লিঙ্গ নাকি রূপান্তরিত- কোন শ্রণির প্রতিনিধিত্ব করছে গল্পটি, একরকম ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে তা নিয়ে। দুই মেরুতে অবস্থানরতদের মধ্যে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া প্রকাশের পাশাপাশি চলছে পাল্টাপাল্টি যুক্তিতর্ক। তবে, নেতিবাচক বিতর্ক না বাড়িয়ে গল্পটিতে ধারণাগত ত্রুটির দিকে নজর দেওয়ার পরামর্শ শিক্ষাবিদদের। শিক্ষা গবেষকদের মতে, ‘শরীফ থেকে শরীফা’ গল্পে হিজড়া বা তৃতীয় লিঙ্গকে পরিচয় করাতে গিয়ে ট্রান্সজেন্ডারের অবতারণা করাটা ধারণাগত ত্রুটি। আর সমাজকল্যাণ গবেষকরা মনে করছেন, বিষয়টি উচ্চশ্রেণির পাঠ্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত করা হলে তা কার্যকরী হতে পারতো হয়তো। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক হাফিজউদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, ক্লাসের পাঠ্যসূচিতে যদি অন্তর্ভুক্ত করতে তা হলে আমাদের হিজড়া সম্প্রদায়কে ফোকাস করা জরুরি এবং এটা প্রয়োজনে সপ্তম শ্রেণি থেকে আরও ওপরের ক্লাসে নেওয়া যেতে পারে, যাতে করে তারা বিষয়টি বুঝতে সক্ষম হয়।  বিশ্ববিদ্যালয়ের আইইআর অধ্যাপক ড. মো. আবদুস সালাম বলেন, ‘শরীফ থেকে শরীফা’ গল্পে মানসিক পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে কেন্দ্রীয় চরিত্রের যে শারীরিক পরিবর্তন দেখানো হয়েছে সেটা ট্রান্সজেন্ডারের ধারণা দেয়। আবার একইসঙ্গে পরবর্তীতে ফোকাস করা হয়েছে হিজড়ার বিষয়ে। সুতরাং এটা তথ্যগত ভ্রান্তি, যেটা সংশোধন করা যেতে পারে। শিক্ষা গবেষকদের মতে, যেকোনো বিষয়ে ভিন্নমত থাকাটা অস্বাভাবিক নয়। তবে যে উপায়ে প্রতিবাদ জানানো হয়েছে তা কাঙ্খিত নয়। এ বিষয়ে প্রতিবাদের ভাষা এমন হওয়া উচিত নয়। পাঠ্যপুস্তকের এই একটি গল্প আবারও বিভেদের রেখা টেনেছে ধর্মীয় চিন্তাবিদ ও প্রগতিশীলদের মাঝে। ট্রান্সজেন্ডার ইস্যুতে সম্পূর্ণ বিপরীত মেরুতেই অবস্থান ধর্মীয় চিন্তাবিদ ও প্রগতিশীলদের। এ বিষয়ে ইসলামি চিন্তাবিদ শায়খ আহমাদুল্লাহ বলেন, ইসলামি দৃষ্টিকোণ থেকে আল্লাহর সৃষ্টিতে কোনো প্রকার পরিবর্তন বা পরিবর্ধন করা চলবে না। অর্থাৎ মৌলিক কোনো পরিবর্তন করার সুযোগ নেই। মানবাধিকার কর্মী খুশি কবীর জানান, সংবিধান সব নাগরিককে সমান অধিকার দিয়েছে। তাই ভিন্নতা আমাদের মেনে নিতে হবে। তিনি মনে করেন, এ বিষয়টা সরকারকে আরও স্পষ্ট করা উচিত। থার্ডজেন্ডার রাখি শেখ জানান, চাইলেই তো আর মেয়ে হওয়া যায় না। আমি নিজেকে মেয়ে দাবি করলাম আর মেয়ে হয়ে গেলাম, এমন হয় না। থার্ডজেন্ডার আর ট্রান্সজেন্ডার এক না। প্রসঙ্গত, সপ্তম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে সংযোজিত ‘শরীফার গল্পে’র সমাধান টানতে ইতোমধ্যে কমিটি গঠন করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। 
২৬ জানুয়ারি ২০২৪, ১৫:৫৫

শরীফার গল্প নিয়ে বিতর্ক : ৫ সদস্যের কমিটি
নতুন শিক্ষাক্রমে সপ্তম শ্রেণির ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান বইয়ে মানুষে মানুষে সাদৃশ্য ও ভিন্নতা অধ্যায়ের ‘শরীফার গল্প’ শিরোনামে গল্প নিয়ে বিতর্ক খতিয়ে দেখতে পাঁচ সদস্যের উচ্চপর্যায়ের বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। একই সঙ্গে এ কমিটি বিষয়টি গভীরভাবে পর্যালোচনা করে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডকে (এনিসিটিবি) সহায়তা করবে। বুধবার (২৪ জানুয়ারি) বিকেলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবুল খায়ের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানান। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, নতুন কারিকুলামে সপ্তম শ্রেণির ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান বইয়ে মানুষে মানুষে সাদৃশ্য ও ভিন্নতা অধ্যায়ের শরিফা শিরোনামে গল্প নিয়ে উদ্ভূত আলোচনার প্রেক্ষিতে উক্ত বিষয়ে আরও গভীরভাবে পর্যালোচনা করে এনসিটিবিকে সহায়তা করার  জন্যে ৫ সদস্যের উচ্চপর্যায়ের বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. আব্দুর রশীদকে এই কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- ইসলামিক ফাউন্ডেশনের গভর্নর মুফতি মাওলানা কফিল উদ্দীন সরকার, এনসিটিবির সদস্য মশিউজ্জামান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইইআর বিভাগের পরিচালক এবং ঢাকা আলিয়া মাদরাসার অধ্যক্ষ অধ্যাপক মোহাম্মদ আব্দুর রশিদ প্রমুখ।
২৪ জানুয়ারি ২০২৪, ১৬:২৪

দুই সুপার ওভারে রোহিতের ব্যাটিং নিয়ে বিতর্ক
অবিশ্বাস্য রোমাঞ্চ ছড়িয়ে শেষ হয়েছে ভারত-আফগানিস্তানের মধ্যকার টি-টোয়েন্টি সিরিজের তৃতীয় এবং শেষ ম্যাচ। এদিন আগে ব্যাট করতে নেমে রোহিত শর্মার দুর্দান্ত শতক আর রিঙ্কু সিংয়ের ৬৯ রানের মারকাটারি ইনিংসে ৪ উইকেটে ২১২ রানের পুঁজি পায় ভারত। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৬ উইকেটে আফগানরাও ২১২ রান করলে সুপার ওভারে গড়ায় ম্যাচ। এরপর সুপার ওভারে আগে ব্যাট করে আফগানিস্তানের ১৬ রানের জবাবে ভারতও করে ১৬ রান। এতে সুপার ওভারও টাই হলে আবারও ম্যাচ গড়ায় সুপার ওভারে। দ্বিতীয় সুপার ওভারে জয় পায় ভারত। এদিকে টানটান উত্তেজনা ছড়ানো এই ম্যাচে বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন ভারতীয় অধিনায়ক রোহিত। প্রথম সুপার ওভারে আউট হওয়ার পর দ্বিতীয় সুপার ওভারেও ব্যাট করেছেন তিনি; যা আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী বৈধ নয়। প্রথম সুপার ওভারে আফগানদের ছুঁড়ে দেওয়া ১৭ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে পাঁচ বলে ১৫ রান তুলে ভারত। শেষ বলে লক্ষ্য দাঁড়ায় ২ রান। এ সময়ে নন-স্ট্রাইক প্রান্তে ছিলেন রোহিত। পরে মাঠ থেকে উঠে গিয়ে রিঙ্কু সিংকে ব্যাটিংয়ে পাঠান ভারতীয় অধিনায়ক। রিঙ্কু তার চেয়ে দ্রুত দৌড়াতে পারবেন, এমনটাই ভেবে রিটায়ার্ড আউট হয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি। কিন্তু শেষ বলে ১ রান আসলে আবারও সুপার ওভারে গড়ায় ম্যাচ।  দ্বিতীয় সুপার ওভারে আগে ব্যাট করতে নেমে ফরিদ আহমেদের প্রথম ৩ বলে ১১ রান তুলেন রোহিত। অন্যদিকে ১২ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে মাত্র ১ রানেই গুটিয়ে যায় আফগান। আইসিসির প্লেয়িং কন্ডিশনের ২২ ধারা অনুযায়ী, প্রথম সুপার ওভারে আউট হওয়া ব্যাটার পরের সুপার ওভারে ব্যাট করতে পারবেন না। যে কারণে প্রথম সুপার ওভারে রিটায়ার্ড আউট হওয়ায় দ্বিতীয় সুপার ওভারে তার (রোহিত) ব্যাট করতে পারার কথা নয়। আর এ নিয়ে ম্যাচ শেষে উঠেছে নানান বিতর্ক। তবে অনেকের দাবি, রিটায়ার্ড আউট নয়, বরং রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে প্রথম সুপার ওভারে মাঠ ছেড়েছিলেন রোহিত। তাই ফের ব্যাটিং করেছেন তিনি।
১৮ জানুয়ারি ২০২৪, ১১:০৮

বিপিএল শুরুর আগেই বিতর্ক
বিপিএল মানে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ নাকি বিতর্কিত প্রিমিয়ার লিগ! এটা নিয়ে ক্রীড়াপ্রেমীদের নানান কৌতূহল-তর্ক নতুন কিছুই না। তর্ক-সাপেক্ষে কেউ যদি বিতর্কিত প্রিমিয়ার লিগও বেছে নেয়, তাতে অবাক হওয়ার মতো কিছুই নেই। গেলবার আসর শুরুর দুইদিনের মধ্যেই দাবানলের মতো ছড়ায় নানান বিতর্ক। সাকিব-বিপিএলের গভর্নিং বডির কথার লড়াই, নাসিরের অপেশাদার আচরণ, আচমকা খেলার সময়সূচি এগিয়ে আনা, এডিআরএস বিতর্ক ও সৌম্য সরকারের আউট ঘিরে নাটক, আম্পায়ারিং নিয়ে সাকিব-তামিমের ক্ষোভ কেবল উদাহরণ মাত্র। এদিকে বিভিন্ন সময়ে আসরজুড়েই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিকদের কাছে খেলোয়াড়দের পাওনা। নানান সময়ে এই অভিযোগের তীরে বিদ্ধ হয়েছে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো। এই অভিযোগ-অপরাধের জেরে হারিয়ে গেছে অনেক ফ্র্যাঞ্চাইজি। এবার দেশের বহুল প্রতীক্ষিত এই টুর্নামেন্টের দশম আসর মাঠে গড়ানোর ঠিক এক সপ্তাহ আগে ঘুরে-ফিরে আলোচনায় চিরচেনা সেই পাওনা বিতর্ক। আর মাত্র পাঁচদিন পর মাঠে গড়াবে বিপিএল। সময়ের হিসেবে দরজায় কড়া নাড়ছে এই টুর্নামেন্ট। এবার বকেয়া নিয়ে অভিযোগ তুলেছেন ওপেনার অভিষেক মিত্র। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ক্ষোভও ঝেড়েছেন ৩১ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার। গেল আসরে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের হয়ে বিপিএল মাতান অভিষেক। এবার নতুন আসর মাঠে গড়ানোর আগেই ফ্র্যাঞ্চাইজিটির বিরুদ্ধে অভিযোগ সামনে এনেছেন তিনি। শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) রাত ৯টা ২০ মিনিটে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্ট করেন তিনি। যেখানে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিরুদ্ধে পাওনা টাকা না দেওয়ার অভিযোগ করেন তিনি। তার ভাষ্যমতে, আমার গত বছরের বিপিএলের বকেয়া পরিশোধ করেনি চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। আমরা আমাদের ভবিষ্যৎ এবং অর্থের জন্য খেলি। কিন্তু তাদের মতো দল খেলোয়াড়দের টাকা দেয় না এবং দিনের পর দিন সেটি নিয়ে সময় পার করে।
১৩ জানুয়ারি ২০২৪, ১০:৪০
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়