• ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo
বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিমের মায়ের দাফন সম্পন্ন
বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ট সহচর, মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, সংবিধান প্রণয়ন কমিটির সদস্য, স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত সাবেক সংসদ সদস্য মরহুম অ্যাডভোকেট এম আব্দুর রহিমের সহধর্মিনী, ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিমের ‘স্বপ্নজয়ী’ মা নাজমা রহিমের জানাজা ও দাফন সম্পন্ন হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) বেলা ১১টায় দিনাজপুর গোর এ শহীদ ঈদগাহ ময়দানে এবং পরে দুপুর ২টায় মরহুমার গ্রামের বাড়ি সদর উপজেলার শংকরপুর ইউনিয়নের পাঁচকুড় উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে তার নামাজে জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজা শেষে পারিবারিক করস্থানে তাকে দাফন করা হয়। মায়ের জানাজায় প্রধান বিচারপতি (ভারপ্রাপ্ত) এম. ইনায়েতুর রহিম নিজে ইমামতি করেন। এর আগে তিনি তার মায়ের জন্য সকলের কাছে দোয়া প্রার্থনা করেন।  এর আগে বুধবার বিকেল ৩টায় ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। মৃত্যুকালে তিনি ছেলে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম, হুইপ ইকবালুর রহিম এমপি, কন্যা ডা. নাদিরা সুলতানা, ডা. নাসিমা সুলতানা, নাফিসা সুলতানা ও নাজিলা সুলতানাসহ অসংখ্য গুনগ্রাহী, আত্মীয় স্বজন, নাতী-নাতনী, শুভাকাঙ্খী রেখে গেছেন। উল্লেখ্য, মরহুমা নাজমা রহিম ২০১৮ সালের ১৩ মে জাতীয়ভাবে ‘স্বপ্নজয়ী মা’ হিসেবে সম্মাননায় ভূষিত হন।
২৮ মার্চ ২০২৪, ১৯:৩৯

ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির দায়িত্বে এম ইনায়েতুর রহিম
যুক্তরাষ্ট্র সফরে গেছেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান। শুক্রবার (২২ মার্চ) দিনগত রাত ৩টার দিকে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশে দেশত্যাগ করেন তিনি। দেশে ফিরবেন আগামী ৩১ মার্চ। এ সময় পর্যন্ত প্রধান বিচারপতির কার্যভার পালন করবেন আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম। শনিবার (২৩ মার্চ) সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের রেজিস্টার মোহাম্মদ সাইফুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান শুক্রবার দিনগত রাত ৩টা ১০ মিনিটের ফ্লাইটে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশে যাত্রা করেছেন। আগামী ২৭ মার্চ যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান বিচারপতির সঙ্গে তার সাক্ষাৎ হবে। বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের অবর্তমানে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠতম বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম প্রধান বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। 
২৩ মার্চ ২০২৪, ১১:২৯

যুক্তরাষ্ট্র সফরে গেলেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান
যুক্তরাষ্ট্রে সফরে গেছেন বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান। শুক্রবার (২২ মার্চ) দিবাগত রাতে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশ্যে ঢাকা ছাড়েন তিনি। বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান শনিবার (২২ মার্চ) রাত ৩টা ১০ মিনিটের ফ্লাইটে যুক্তরাষ্ট্র যাত্রা করেন। প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান আগামী ২৭ মার্চ যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান বিচারপতির সঙ্গে বৈঠক করবেন। সফর শেষে প্রধান বিচারপতি আগামী ৩১ মার্চ দেশে ফিরবেন। এদিকে প্রধান বিচারপতির অবর্তমানে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠতম বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম প্রধান বিচারপতির কার্যভার পালনরত বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। 
২৩ মার্চ ২০২৪, ১১:২০

‘জিয়া-সায়েম-মোশতাকের ক্ষমতা দখল ছিল অবৈধ’
প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেছেন, আমরা পঞ্চম সংশোধনী মামলায় বলেছি, জিয়াউর রহমান, রাষ্ট্রপতি সায়েম সাহেব, খন্দকার মোশতাক তারা যে কাজটি করেছিলেন তা ছিল বেআইনি। পঞ্চম সংশোধনী মামলায় তখন বিচারপতিরা বলেছেন, অবৈধ এবং পঞ্চম সংশোধনী মামলায় যতগুলো কাজ হয়েছে সেগুলোও ছিল অবৈধ। শুক্রবার (১ মার্চ) ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া দক্ষিণ ইউনিয়নের ধলেশ্বর গ্রামে রাবিয়া খাতুন স্মৃতি পাঠাগার চত্বরে বীরমুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। প্রধান বিচারপতি বলেন, আপনারা যারা মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন এবং মুক্তিযুদ্ধের মধ্যদিয়ে দেশ স্বাধীন করেছেন। আপনারা যে কাজটি করেছেন এই কাজটি বাংলাদেশে আমরা বা আমাদের পরবর্তী প্রজন্মের পক্ষে করা সম্ভব হবে না। এই কারণে আপনারা হলেন শ্রেষ্ঠ সন্তান।  প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘আমি যখন ট্রাইব্যুনালের বিচারক ছিলাম চেয়ারম্যান হিসেবে তখন আমার মনে পড়তো আমার সামনে মুক্তিযোদ্ধারা সাক্ষ্য দিচ্ছেন। আমার কোর্টে বিচার হয়েছে আলী আহসান মুজাহিদ, মীর কাশেম আলী, এইচ এম কামরুজ্জামান, মাওলানা ইউসুফ। ওই সময়ে মুক্তিযোদ্ধাদের একটা জিনিস আমি লক্ষ্য করেছি, তারা কখনো সাক্ষ্য দিতে গিয়ে বাড়িয়ে কথা বলতেন না। তারা বলেছেন, আমি এটুকু করেছি।’ প্রধান বিচারপতি বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পরে আবেগের তাড়নায় হোক বা বঙ্গবন্ধুর মায়ার কারণেই হোক; যারা অস্ত্র হাতে নিয়ে এ বেআইনি কাজের প্রতিবাদ করেছেন, একটি গণতান্ত্রিক সরকারকে অস্ত্র দিয়ে ছড়িয়ে দিয়ে একটি অগণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থাকে জারি করেছিল; তাদের বিরোধে যারা অস্ত্র ধরে ছিল, তাদের সেইদিনের অ্যাকশন আর আমাদের পঞ্চম সংশোধনী মামলায় সুপ্রিম কোর্ট যে কথা বলেছেন, কাজ তো একটায়। আমরা কলমে করেছি আর তারা অস্ত্র হাতে নিয়ে চেষ্টা করেছে। ওবায়দুল হাসান আরও বলেন, জিয়াউর রহমান ও খন্দকার মোশতাকের ক্ষমতা দখল বেআইনি ছিল। এ বেআইনি কাজটি তারা জাজমেন্ট দিয়ে বলেছেন, বেআইনি। একটা গণতান্ত্রিক সরকারকে উৎখাত করে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখল করে সামরিক বাহিনীর সাহায্যে করেছে, এটাও ছিল বেআইনি। উল্লেখ্য, রাবিয়া খাতুন স্মৃতি পাঠাগার ও আকছির চৌধুরী চ্যারিটি ট্রাস্ট স্কুলের সভাপতি আকছির এম চৌধুরীর সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন রেজিস্ট্রার জেনারেল গোলাম রব্বানী, আপিল বিভাগের রেজিস্ট্রার সাইফুর রহমান, হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার মুন্সী মো. মশিউর রহমান, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ শারমিন নিগার প্রমুখ।
০২ মার্চ ২০২৪, ০০:০০

ট্রাইব্যুনালের নতুন চেয়ারম্যান বিচারপতি আবু আহমেদ
মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচারে গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচারপতি মো. আবু আহমেদ জমাদারকে চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে সরকার। মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) তাকে ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান নিয়োগ দিয়ে রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে আইন মন্ত্রণালয়। এদিকে ট্রাইব্যুনালে বিচারকাজ করতে না চাওয়ায় চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামকে হাইকোর্ট বিভাগে ফেরত আনা হয়েছে। আইন সচিব মো. গোলাম সারওয়ার স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলাম ট্রাইব্যুনাল হতে হাইকোর্ট বিভাগে প্রত্যাবর্তন করার বিষয়ে প্রধান বিচারপতি অভিপ্রায় ব্যক্ত করায় দ্য ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইমস (ট্রাইব্যুনাল) অ্যাক্ট, ১৯৭৩ এর ধারা ৬ (৪) এর বিধান মোতাবেক ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান পদটি শূন্য ঘোষণাক্রমে ট্রাইব্যুনালের বর্তমান সদস্য বিচারপতি মো. আবু আহমেদ জমাদারকে চেয়ারম্যান এবং তার শূন্য পদে এ এইচ এম হাবিবুর রহমান ভূঁইয়া, জেলা ও দায়রা জজকে (পিআরএল ভোগরত) তার পিআরএল বাতিলক্রমে ট্রাইব্যুনালের সদস্য হিসেবে নিয়োগ প্রদান করা হলো। ট্রাইব্যুনালের অপর সদস্য বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমকে তার পদে বহাল রাখা হলো। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলাম আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল হতে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট, হাইকোর্ট বিভাগে প্রত্যাবর্তন করবেন। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে কর্মরত থাকাকালে তাকে প্রদত্ত সব নিরাপত্তা সুবিধাসহ আনুষঙ্গিক অন্যান্য সুবিধাদি বিধি মোতাবেক অব্যাহত থাকবে। উক্ত ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান এবং সদস্যগণ বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে কর্মরত একজন বিচারপতির সমমর্যাদার বেতন-ভাতাদি ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধাদি প্রাপ্ত হবেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচারে ২০১০ সালের ২৫ মার্চ গঠন করা হয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:৫১

সাংবাদিকদের বিপদে ফেলতে পারে সাইবার আইনের ৫টি ধারা : বিচারপতি শেখ আরিফ
সাইবার নিরাপত্তা আইনের পাঁচটি ধারা সাংবাদিকদের বিপদে ফেলতে পারে বলে জানিয়েছেন হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ। সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতিতে ল' রিপোর্টার্স ফোরাম আয়োজিত এক কর্মশালায় এ কথা জানান তিনি। বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ বলেন, 'সাইবার নিরাপত্তা আইনের পাঁচটি ধারা মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে সাংবাদিকতায়। এগুলো হলো ধারা ২২, ২৩, ২৫, ২৭ ও ২৮।' তিনি বলেন, '১৯৯১ সাল থেকেই দুই রাজনৈতিক দলের মধ্যে প্রচণ্ড ইনটলারেন্স দেখেছি আমরা। কোনও ধরনের সমালোচনা হলেই গ্রেপ্তার-নির্যাতন ছাড়া আর কোনো পন্থা তাদের হাতে আছে বলে তারা মনে করেন না। এক্ষেত্রে বিরোধী রাজনৈতিক দলকে দমন করতে গিয়ে দেখা যায় সাংবাদিকরাও এর ভিকটিম হয়ে যেতে পারেন।' তবে, সাইবার নিরাপত্তা আইন নিয়ে চিন্তার কোনো কারণ নেই বলে মন্তব্য করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। সাংবাদিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, 'আপনারা সঠিকভাবে সংবাদ লিখেন, কারও কিছু করার থাকবে না। করলে আদালত তো আছেই।' কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম।
২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২১:৪২

বাংলাদেশের বিচারকাজ পর্যবেক্ষণ করলেন ভারতের প্রধান বিচারপতি
এজলাসে বসে বাংলাদেশের বিচারকাজ পর্যবেক্ষণ করলেন ভারতের সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ধনঞ্জয় যশবন্ত চন্দ্রচূড়। রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টা ২০ মিনিটে ভারতের সুপ্রিম কোর্টের অন্য দুই বিচারপতিসহ বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি এজলাসে ওঠেন। এ সময় ভারতের প্রধান বিচারপতিকে ধন্যবাদ জানান অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও সুপ্রিম কোর্ট বারের সভাপতি মমতাজ উদ্দিন ফকির। পরে বিচারকাজ শুরু হয়। এর আগে গত ২২ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতির আমন্ত্রণে প্রথমবারের মতো ঢাকায় আসেন ভারতের সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ধনঞ্জয় যশবন্ত চন্দ্রচূড়। ধনঞ্জয় যশবন্ত চন্দ্রচূড় ভারতের ৫০তম প্রধান বিচারপতি। ২০২২ সালের ৯ নভেম্বর শপথ নেয়া বিচারপতি চন্দ্রচূড়ের প্রধান বিচারপতি হিসেবে মেয়াদ ২০২৪ সালের ১০ নভেম্বর পর্যন্ত।
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৩:৫০

ঢাকায় ভারতের প্রধান বিচারপতি
প্রথমবারের মতো ঢাকায় এসেছেন ভারতের সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ধনঞ্জয় যশবন্ত চন্দ্রচূড়। বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতির আমন্ত্রণে বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি)ঢাকায় এসেছেন তিনি। শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যোগ দেবেন তিনি।এই আনুষঠানে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। ভারত-বাংলাদেশের অভিজ্ঞতা : দক্ষিণ এশিয়ার একবিংশ শতাব্দীর সাংবিধানিক আদালত শীর্ষক ওই আন্তর্জাতিক সম্মেলনে ভারতের সুপ্রিম কোর্টের আরও দুজন বিচারপতি বাংলাদেশে এসেছেন। এসেছেন কলকাতা হাইকোর্টের অন্য দুই বিচারপতিও।   আগামীকাল শনিবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানেও বিশেষ অতিথি হিসেবে যোগ দেবেন ভারতের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়।   ভারতের ৫০তম প্রধান বিচারপতি ধনঞ্জয় যশবন্ত চন্দ্রচূড়। বিচারপতি হিসেবে ২০২২ সালের ৯ নভেম্বর শপথ নেন তিনি।  প্রধান বিচারপতি হিসেবে তার মেয়াদ শেষ হবে ২০২৪ সালের ১০ নভেম্বর।
২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৪:২২

৪০ লাখ মামলার ভারে বিচার বিভাগ ন্যুব্জ : প্রধান বিচারপতি
প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেছেন, প্রায় ৪০ লাখ মামলার ভারে বিচার বিভাগ আজ ন্যুব্জ। এ ছাড়া বিচারক স্বল্পতা, প্রয়োজনীয় অবকাঠামোর অভাব, বাজেট স্বল্পতাসহ প্রতিনিয়ত বিভিন্ন ধরনের সমস্যা মোকাবিলা করতে হচ্ছে। সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) ২০২৩ সালে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতিতে তালিকাভুক্ত নবীন আইনজীবীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। আইনজীবীদের উদ্দেশে প্রধান বিচারপতি বলেন, মৌলিক অধিকার লঙ্ঘিত হলে সংশ্লিষ্ট ভুক্তভোগী সুপ্রিম কোর্টের দারস্থ হন। তাদের মৌলিক অধিকার পুনরুদ্ধারের অন্যতম অনুঘটক সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সমিতির সদস্যরা। কেননা ভুক্তভোগী সবার আগে আপনার কাছেই আসেন।  বার ও বেঞ্চ উভয়ের সমন্বয়েই বিচার বিভাগ। তাই আপনাদের অংশগ্রহণ ছাড়া দেশে ন্যায় বিচার ও সুশাসন প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়। প্রধান বিচারপতি আরও বলেন, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় দৃঢ় প্রত্যয়, আপসহীন দৃষ্টিভঙ্গি, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধচর্চার সংগ্রামে যুগে যুগে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছেন আইনজীবীরা। অতীতে সংবিধানকে ভূলুণ্ঠিত করে দেশে যখনই বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিয়ে ষড়যন্ত্র হয়েছে, তখনই আইনজীবীরা রাজপথে নেমেছেন। স্বৈরতন্ত্রের সঙ্গে আপস না করে আইনজীবীরা হাসিমুখে কারাবরণ করেছেন। প্রধান বিচারপতি বলেন, প্রায় ৪০ লাখ মামলার ভারে বিচার বিভাগ আজ ন্যুব্জ। এ ছাড়া বিচারক স্বল্পতা, প্রয়োজনীয় অবকাঠামোর অভাব, বাজেট স্বল্পতাসহ বিভিন্ন সমস্যা প্রতিনিয়ত মোকাবিলা করতে হচ্ছে। অধস্তন আদালতের কার্যকর তত্ত্বাবধানের মাধ্যমে মামলার দীর্ঘসূত্রতা হ্রাস করতে পূর্বসূরি প্রধান বিচারপতি দেশের আট বিভাগের জন্য হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতির সমন্বয়ে আটটি মনিটরিং কমিটি গঠন করেছিলেন। তিনি আরও বলেন, ইতোমধ্যে মনিটরিংয়ের সুফল পেতে শুরু করেছি। কিন্তু একজন বিচারপতির পক্ষে বিভাগের সব জেলার কার্যক্রম তত্ত্বাবধান করা দুরূহ। মনিটরিং প্রক্রিয়াকে আরও জোরদার করতে দেশের বৃহত্তর বিভাগগুলোর জন্য হাইকোর্ট বিভাগের একাধিক বিচারপতিকে দায়িত্ব দিয়েছি। বর্তমানে দেশের আটটি বিভাগের জন্য মোট ১৩ জন বিচারপতি সার্বক্ষণিক তত্ত্বাবধান করছেন বলেও জানান তিনি। সমিতির সভাপতি মো. মোমতাজউদ্দিন ফকিরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০১:২০
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়