• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১
logo
উপজেলা নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত বিএনপির
আগামী ৮ মে থেকে শুরু হতে যাওয়া ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের কোনো ধাপেই অংশ নেবে না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি।  মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এর আগে গতকাল সোমবার (১৫ এপ্রিল) রাতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির ভার্চুয়াল বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সোমবার রাত ১০টায় শুরু করে গভীর রাতে শেষ হয় বৈঠকটি। এতে সভাপতিত্ব করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।   প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বর্তমানে বাংলাদেশে এক বিকট স্বৈরাচারের অভ্যুদয় হয়েছে। আওয়ামী দখলদার শাসকগোষ্ঠী ক্ষমতাসীন হয়ে দেড় দশক ধরে অবাধ, সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও সবার অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন বাংলাদেশ থেকে উচ্ছেদ করেছে। এদের আমলে কখনোই জাতীয় ও স্থানীয় সরকার কোনো নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়নি। জনগণের ভোটের তোয়াক্কা না করে ক্ষমতাসীন দলের মনোনীত প্রার্থীদেরই আজ্ঞাবাহী নির্বাচন কমিশন বিজয়ী ঘোষণা করে। প্রতিটি নির্বাচনের আগে জনগণকে প্রতারিত করার জন্য নতুন নতুন রণকৌশল গ্রহণ করে দখলদার শাসকগোষ্ঠী। এতে আরও বলা হয়, প্রাণবন্ত গণতন্ত্রে নিরপেক্ষ নির্বাচনের সংস্কৃতি আওয়ামী লীগ কখনোই রপ্ত করেনি। তাদের অধীনে সব জাতীয় সংসদ ও স্থানীয় সরকার নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী বিরোধী দলের প্রার্থীদের বিভিন্নভাবে হামলা, মামলা ও হয়রানির শিকার হতে হয়েছে। মনোনয়নপত্র তোলা ও জমা দেওয়া এবং নির্বাচনি প্রচারণায় হামলা ও শারীরিক আক্রমণসহ পথে পথে বাধা দেওয়া হয়েছে। অনেককে মনোনয়নপত্র জমা দিতেও দেওয়া হয়নি। আওয়ামী লীগ একতরফা নির্বাচন করতে গিয়ে বিএনপির হাজার হাজার নেতাকর্মীকে কারাগারে ভরে রাখে দাবি করে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ৭ জানুয়ারির ডামি নির্বাচনে বিএনপির শীর্ষ নেতৃবৃন্দসহ প্রায় ২৫ হাজারেরও বেশি নেতাকর্মীকে কারান্তরীণ করা হয়, এদের অনেকেই এখনও কারাগারে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। গুম-খুন অব্যাহত থাকে। এমতাবস্থায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল— বিএনপি শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার ও তার সাজানো নির্বাচন কমিশনের অধীনে এবং প্রশাসন ও পুলিশের প্রকাশ্য একপেশে ভূমিকার জন্য ইতোপূর্বে অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ ও স্থানীয় সরকার নির্বাচন বর্জন করেছে। এখনও সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি হয়নি এবং বিদ্যমান অরাজক পরিস্থিতি আরও অবনতিশীল হওয়ায় আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার যৌক্তিক কারণ রয়েছে। এ ব্যাপারে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, দলীয় সরকারের অধীনে বিএনপি নির্বাচনে যাবে না, আগের সিদ্ধান্তই বহাল আছে। দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে কেউ নির্বাচনে অংশ নিলে আগের মতোই সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 
১৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৪:৩৩

পিটার হাসকে নিয়ে বিএনপির বোধোদয় 
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে বিএনপির জন্য ‘অবতার’ হিসেবে আবির্ভূত হয়েছিলেন ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস। বিএনপির পক্ষ থেকে দাবি নিয়ে সরব ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন তিনি। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে বহুভাবে সরকারের ওপর চাপ তৈরির জন্য তৎপরতা চালিয়েছেন তিনি। তবে বিএনপির ২৮ অক্টোবরের তাণ্ডবের পর অনেকটা পথ পাল্টে ফেলেন পিটার হাস। নির্বাচনের পর পিটার হাসের অবস্থান পরিবর্তন হয় আর বিএনপির বোধোদয় হয় যে, কেউ ক্ষমতায় এসে বসিয়ে দেবে না।  ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রুহিয়া থানা বিএনপি আয়োজিত সদ্য প্রয়াত জেলা বিএনপির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা তৈমুর রহমানের স্মরণসভায় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নেতা কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, কারো ওপর নির্ভর করে আপনারা গণতন্ত্র আনতে পারবেন না। নিজের পায়ের ওপর নির্ভর করতে হবে, নিজের শক্তির ওপর নির্ভর করতে হবে এটা হচ্ছে সবচেয়ে বড় কথা। আমাদের নিজেকেই আন্দোলনের মধ্য দিয়ে চাপ সৃষ্টি করে জনগণকে সঙ্গে দিয়ে এই সরকারকে বাধ্য করতে হবে, একটা সত্যিকার অর্থে নিরপেক্ষ নির্বাচন দেওয়া।  মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এই বক্তব্য থেকেই বোঝা যায় যে, বিএনপির ঘুম ভেঙেছে এবং বোধোদয় হয়েছে।  জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের গতিবিধি ছিল অন্যরকম। অনেকটা বিএনপির পক্ষ নিয়ে দরকষাকষির ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন তিনি। যার কারণে বিএনপি নেতারা নেতাকর্মীদের আশ্বাস দিয়েছিলেন যে, তাদের সঙ্গে পশ্চিমারা আছেন ‘গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে’। গত বছরের ১৬ অক্টোবর রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত ‘বাংলাদেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে দেশীয়-আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ভূমিকা’ শীর্ষক সেমিনারে বিএনপি নেতারা পিটার হাসকে তাদের ‘অবতার’ হিসেবে আখ্যায়িত করেন। এ নিয়ে নানা আলোচ-সমালোচনার জন্ম নেয় রাজনৈতিক অঙ্গনে। বাংলাদেশের অন্যতম এ রাজনৈতিক দলটি জনগণের শক্তির ওপর কেন তাদের আস্থা হারিয়ে বিদেশি দূতদের কাঁধে ভর করেছে, তখন সেই প্রশ্ন সবার মনে। গত বছরের ২৮ অক্টোবর বিএনপির ডাকা ‘শান্তিপূর্ণ’ সমাবেশ রূপ নেয় তাণ্ডবে। বিএনপি কর্মীদের হামলায় সেদিন অনেক যানবাহন ভাঙচুর করা হয়। শুধু তাই নয় বিএনপি কর্মীরা হামলা করে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে। সেদিন নির্দয়ভাবে একজন পুলিশ সদস্যকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। তাদের তাণ্ডবের খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে আহত হয়েছে অন্তত ২৫ সাংবাদিক।  এই ঘটনার পর পশ্চিমাদের অবস্থান অন্যদিকে মোড় নেয়। অথচ, এ ঘটনার দুইদিন আগেও বিএনপি নেতাদের সঙ্গে নৈশভোজে অংশ নিয়েছিলেন পিটার হাস। সংঘাতের পর মার্কিন রাষ্ট্রদূত শান্তিপূর্ণ সংলাপের আহ্বান জানান। অথচ ২৮ অক্টোবরের আগে আওয়ামী লীগ সংলাপে রাজি থাকলেও বিএনপি সংলাপে বসতে রাজি হয়নি। বরং তারা সরকারের পদত্যাগ দাবি করে আসছিল।  এ রকম ডামাডোলের মধ্যেই বিএনপিকে রেখে হঠাৎ পরিবারসহ দেশের বাইরে চলে যান পিটার হাস। তার এই চলে যাওয়া নিয়েও ব্যাপক আলোচনা তৈরি হয়েছিল। তবে অভিযোগ আছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ঢাকায় মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস ভারতের চাপে আত্মগোপন করেছিলেন। তবে এই অভিযোগ নাকচ করেছে স্টেট ডিপার্টমেন্ট।  দিল্লির থিংক ট্যাংক ‘অবজার্ভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনে’ (ওআরএফ) নিজের বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে ভারতের সাবেক শীর্ষস্থানীয় কূটনীতিক ও ঢাকায় সাবেক ভারতীয় হাইকমিশনার পিনাক রঞ্জন চক্রবর্তী বলেছিলেন, বাংলাদেশের নির্বাচন ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের হস্তক্ষেপ ভারত যে মোটেই পছন্দ করছে না, বাইডেন প্রশাসনের কাছে দিল্লি এটা স্পষ্ট করে দেয়ার পরেই ঢাকায় মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসকে অনেকটা আত্মগোপনে চলে যেতে হয়েছিল।  ছুটি থেকে ফেরত এসে পিটার হাস নিয়মিত কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। তবে নির্বাচনের আগে তাকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে আয়োজিত কূটনীতিকদের ব্রিফিংয়ে অংশ নিতে দেখা যায়। ব্রিফিং শুরুর আগে ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত সারা কুকসহ বিভিন্ন দেশের কূটনৈতিকদের সঙ্গে সৌজন্য বিনিময় করেন পিটার হাস। অনুষ্ঠানস্থলে প্রবেশ করেই গণমাধ্যমের পরিচিত সাংবাদিকদের সঙ্গেও আলাপ করেন তিনি। এ ছাড়া সরকারি কর্মকর্তা ও বিশিষ্টজনদের সঙ্গে নানা প্রসঙ্গে কথা বলতে দেখা যায় তাকে। অনুষ্ঠানের একপর্যায়ে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে বসে আলাপ করেন। এ সময় দুজনই হাস্যোজ্জ্বল ভঙ্গিতে মশগুল ছিলেন।  তবে কখনও দুয়েকজন কূটনৈতিকের সঙ্গে গুরুগম্ভীরভাবে আলাপ করতেও দেখা যায় পিটারকে। নির্বাচন নিয়ে ব্রিফিং মনোযোগ দিয়ে শুনতে দেখা যায় মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে। মিট অ্যান্ড গ্রিট শীর্ষক এই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথিদের নানা রকম খাবার দিয়ে আপ্যায়ন করা হয়। কিন্তু পিটার হাস এতে অংশ না নিয়ে দ্রুত অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ করেন, যা অনেকেরই নজরে এসেছে। আর এ নিয়ে নানা কানাঘুষাও চলতে থাকে ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমির চত্বরে।  দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের পর বিদেশি পর্যবেক্ষকরা ইতিবাচক মন্তব্য করলেও যুক্তরাষ্ট্র বলছে ভিন্ন কথা। পিটার হাস বলেছেন, নির্বাচন সুষ্ঠু না হলেও বাংলাদেশের নতুন সরকারের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী যুক্তরাষ্ট্র। নির্বাচনের পর মন্ত্রীসভার শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত হন পিটার হাস। অন্যান্য অতিথির সঙ্গে বঙ্গভবনের দরবার হলে আসন গ্রহণ করেন। এ সময় তিনি ছিলেন হাস্যোজ্জ্বল। মন্ত্রিপরিষদের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান শেষে পিটার হাস প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পাওয়ায় ড. হাছান মাহমুদকেও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন পিটার হাস।  নির্বাচনের পর মার্কিন রাষ্ট্রদুত পিটার হাসের সঙ্গে অত্যন্ত নীরবে দেখা করেছেন ড.মঈন খান। সেটিই ছিল দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের পর প্রথম কোন বিএনপি নেতার সঙ্গে পিটার হাসের সাক্ষাৎ। সেখানে কি আলাপ হয়েছে তা না জানালেও পিটার হাস জানিয়েছিলেন, বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খানের সঙ্গে দেখা করে আমি আনন্দিত।  অন্যদিকে ঢাকায় এসেছিল যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর গুলশানের হোটেল ওয়েস্টিনে দেড় ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক হয় বিএনপি’র সঙ্গে প্রতিনিধি দলের। বৈঠকে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়ার ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি আফরিন আক্তারের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলে ছিলেন পররাষ্ট্র দপ্তর এবং এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্টের (ইউএসএআইডি) এশিয়া বিষয়ক ব্যুরোর অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাডমিনিস্ট্রেটর মাইকেল শিফার, ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের (এনএসসি) দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক সিনিয়র ডিরেক্টর এইলিন লাউবেখার ও ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস। রাজনৈতিক বিশ্লেষক মহিউদ্দিন আহমদের মতে, আন্তর্জাতিক তৎপরতা ও দেশের এত মানুষের সমর্থন নিয়ে বিএনপি যে জনপ্রিয় দল তা প্রমাণে নির্বাচন ছাড়া অন্য তো কোনো পথ খোলা ছিল না। তাহলে বর্জন করে আন্দোলন করলে লাভ কী? ভোটে অংশগ্রহণ না করলে কেউ তো কোনো দলকে ক্ষমতায় বসাতে পারে না। এখন তা হাড়ে হাড়ে বুঝতে পারছে বিএনপি।
১৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৮:০০

‘স্বাধীনতার চেতনা ধ্বংস করার জন্য বিএনপির জন্ম’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার চেতনাকে ধ্বংস করার জন্য বিএনপির জন্ম। তারা বাংলাদেশের অস্তিত্বের মূলে আঘাত করতে চায়। ৭১ এ তাদের যে ভূমিকা, হঠাৎ করে বাঁশিতে ফুঁ দিলে অমনিই তিনি ঘোষক হয়ে গেলেন। ২৪ বছরের যে আন্দোলন এসবের কোন দাম নেই? সোমবার (১৫ এপ্রিল) দুপুরে আওয়ামী লীগের সভাপতির ধানমন্ডিস্থ রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক বিফ্রিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, ১৭ এপ্রিল মুজিব নগর দিবস। স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সরকারের শপথ দিবস, সেই দিনটিকে তারা (বিএনপি) অস্বীকার করে। ১০ এপ্রিল প্রথম স্বাধীন বাংলাদেশের সরকার গঠন হয়, সেটা অস্বীকার করে। স্বাধিকার আন্দোলনের মাইলফলক ৭ জুনকে অস্বীকার করে। বিএনপি বাঙালি সংস্কৃতির চেতনা নিয়ে ইতিবাচক রাজনীতি করবে এটা আমি বিশ্বাস করি না। তিনি আরও বলেন, মির্জা ফখরুল দাবি করেছেন বিএনপির ৬০ লাখ নেতাকর্মী জেলে। আমরা বিএনপির এই ৬০ লাখ লোকের তালিকা চাই। ছিল ২০ হাজার এখন সেটা ৬০ লাখ হলো কি করে? ৬০ লাখ বন্দির তালিকা অবিলম্বে প্রকাশ করুক। না হয় মিথ্যাচারের জন্য জাতির কাছে মির্জা ফখরুলকে ক্ষমা চাইতে হবে। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, বি এম মোজাম্মেল হক, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন ।
১৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৬:৫৭

দুর্নীতি আছে, তবে বিএনপির মুখে এ অভিযোগ মানায় না : হানিফ
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ বলেছেন, দুর্নীতি সব দেশেই আছে। এখানে যে নেই তা বলব না। তবে বিএনপির মুখে অন্য কারও বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ মানায় না। কারণ, তাদের আমলে পরপর পাঁচবার দুর্নীতিতে ১ নাম্বার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল বাংলাদেশ।  রোববার (১৪ এপ্রিল) দুপুর ১২টায় কুষ্টিয়া সরকারি কলেজে বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে বৈশাখী আড্ডা অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।  দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক বাজার অস্থিতিশীল। এর ঢেউ এখানেও আছে। অসাধু ব্যবসায়ীরা সুযোগ পেলেই বাজার অস্থির করে ফেলেন। তবে সরকার এ ব্যাপারে কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছে বলে আশ্বস্ত করেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় এ নেতা।  সিন্ডিকেট প্রসঙ্গে মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, ব্যবসায়ীরা রাজনীতি করতে পারেন, এতে কোনো বাধা নেই। ব্যবসায়ী হলেই যে সিন্ডিকেটে যুক্ত থাকবেন এ অভিযোগ সঠিক না।
১৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:৩৭

কারাগারেই ঈদ বিএনপির যেসব নেতার
গ্রেনেড হামলায় ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম পিন্টু ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর বছরের পর কারাগারে ঈদ করছেন। গত বছরের ২৮ অক্টোবরের আগে-পরে বিএনপির শীর্ষ পর্যায়ের নেতা থেকে শুরু করে তৃণমূলের কয়েক হাজার নেতাকর্মী গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে যান। গত জাতীয় নির্বাচনের পর কেন্দ্রীয় নেতাদের পাশাপাশি তৃণমূলের অসংখ্য কর্মীও জামিনে মুক্তি পেয়ে কারাগার থেকে বেরিয়ে আসেন। তবে এখনও দলটির কেন্দ্রীয় কমিটির প্রায় ১২ জন নেতা কারাগারে রয়েছেন। বাবাকে ছাড়া ঈদ করা নিয়ে আক্ষেপের কথা জানিয়ে সম্প্রতি কারাগারে যাওয়া বিএনপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেলের মেয়ে জান্নাতুল ইলমী সূচনা বলেছেন, ৪৯০টিরও বেশি মামলায় কেরানীগঞ্জের কারাগারে আছেন বাবা। বছরের ছয় মাস জেল কিংবা ছয় মাস পলাতক থাকেন, ফলে কোনো উৎসব আয়োজনে বাবাকে পাওয়া যায় না। সন্তান হিসেবে বাবার দেখা মেলে না। বিএনপির মিডিয়া সেলের অন্যতম সদস্য শায়রুল কবির খান বলেন, কেন্দ্রীয় কমিটি এবং অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী এখনও কারাগারে রয়েছেন। এবারের ঈদে এসব নেতাকর্মীদের পাশে পাবে না পরিবার। তিনি জানান, এ মুহূর্তে কারাগারে আছেন বিএনপি ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম পিন্টু, চেয়ারপারসন উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, আসলাম চৌধুরী, হাবিব উন নবী খান সোহেল, প্রকাশনা সম্পাদক হাবিবুল ইসলাম হাবিব, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, নির্বাহী সদস্য লুৎফুজ্জামান বাবর, নির্বাহী সদস্য ও যুবদল সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম নীরব, সদস্য ও স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক রাজীব আহসান, সদস্য ও ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আকরামুল হাসান, স্বেচ্ছাসেবক দলের দপ্তর সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন, ঢাকা মহানগর উত্তর স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সভাপতি মোস্তফা কামাল হৃদয়, সাংগঠনিক সম্পাদক এস এ খোকন, উত্তরা থানার ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক আনোয়ার, সাবেক কমিশনার হারুন অর রশীদ, স্বেচ্ছাসেবক দলের আজিজুর রহমান মুসাব্বির, ছাত্রদলের সাবেক সহ সভাপতি ইখতিয়ার রহমান কবির, ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক কাজী জিয়াউদ্দিন বাসিত প্রমুখ। বিএনপির মিডিয়া সেলের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এর আগে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি দুর্নীতির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে কারাগারে চারটি ঈদ কেটেছে বিএনপির চেয়ারপারসনখালেদা জিয়ার। এরপর ২০২০ সালের পর থেকে গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় ঈদ করে আসছেন দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। মাঝে ২০২৩ সালের ২টি ঈদ কেটেছে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে। এবার তিনি ঈদ করবেন গুলশানের বাসভবনে। 
১০ এপ্রিল ২০২৪, ১৬:৫০

মুসলিম উম্মাহকে বিএনপির ঈদ শুভেচ্ছা
ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বের মুসলমানদের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে তাদের সুখ ও সমৃদ্ধি কামনা করেছে বিএনপি। বুধবার (১০ এপ্রিল) গণমাধ্যমে পাঠানো শুভেচ্ছা বাণীতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, মাসব্যাপী কঠোর সিয়াম সাধনার পর ঈদুল ফিতর উৎসবটি সারাবিশ্বে অনেক উৎসাহ ও আনন্দের সঙ্গে উদযাপিত হয়। বিশ্ব মুসলিম একে অন্যকে শুভেচ্ছা জানায়। বিএনপি মহাসচিব বলেন, দিনটি পবিত্র রমজান মাসের সমাপ্তি চিহ্নিত করে, যেখানে মুসলমানরা ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সিয়াম বা রোজা পালন করে। মাসব্যাপী রমজানের আত্মশুদ্ধির মহান দীক্ষার মধ্য দিয়ে আসে ঈদুল ফিতরের আনন্দঘন মুহূর্ত। ঈদ আমাদের মাঝে আনন্দের বার্তা নিয়ে আসে, নিয়ে আসে আল্লাহর সন্তুষ্টি ও নৈকট্য লাভের মহা সুযোগ। মির্জা ফখরুল বলেন, ঈদুল ফিতরের উৎসব আমাদের পারস্পরিক শুভেচ্ছা ও ভ্রাতৃত্ববোধকে জাগরিত করে। তাই ঈদুল ফিতরের শিক্ষা থেকে আমাদের অঙ্গীকার হোক- সব হিংসা, বিদ্বেষ ও হানাহানি থেকে মুক্ত হয়ে ন্যায়, সাম্য, ঐক্য, ভ্রাতৃত্ব, দয়া, সহানুভূতি, মানবতা ও মহামিলনের এক ঐক্যবদ্ধ ও ভালোবাসাপূর্ণ সমাজ এবং দেশ গঠনের জন্য একযোগে কাজ করা। তিনি বলেন, কোনো অসহায় ও দুস্থ মানুষ যেন অভুক্ত না থাকে সেজন্য সচ্ছল ব্যক্তিরা যেন তাদের পাশে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন। যেন নিরন্ন মানুষরাও ঈদ আনন্দের অংশীদার হতে পারে। ঈদের দিনে বাংলাদেশের প্রতিটি ঘরে প্রবাহিত হোক শান্তির অমিয় ধারা, এ কামনাই করি।
১০ এপ্রিল ২০২৪, ১৪:৪০

বিএনপির ইফতার মাহফিলে আওয়ামী লীগ নেতা 
ঝিনাইদহে জেলা বিএনপির উদ্যোগে ইফতার ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।  শুক্রবার (৫ এপ্রিল) বিকেলে শহরের প্রান্তিক শিশু পার্কে এ ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু।    এদিকে ইফতার অনুষ্ঠান শুরুর কিছুক্ষণ পর বিকেল ৫টা ৫০ মিনিটের দিকে সেখানে যান ঝিনাইদহ সদর পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি ও ঠিকাদার মিজানুর রহমান মাসুম। এতে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয় উপস্থিত বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে। এ সময় নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিএনপির কয়েকজন নেতাকর্মী অভিযোগ করেন ইফতার মাহফিলে অর্থায়নও করেছেন তিনি। তবে বিএনপির ইফতার মাহফিলে তার উপস্থিতিতে ক্ষুব্ধ পৌর আওয়ামী লীগের নেতারা।   ইফতার মাহফিলে বিএনপির খুলনা বিভাগীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক বাবু জয়ন্ত কুমার কুন্ডু, জেলা বিএনপির সভাপতি এম এ মজিদ, সাধারণ সম্পাদক জাহিদুজ্জামান মনাসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।  বিএনপির ইফতার মাহফিলে যোগ দেয়ার বিষয়ে পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি মিজানুর রহমান মাসুম জানান, এটা কোনো জনসভা না, শুধুই ইফতার মাহফিল। এখানে বিএনপি, আওয়ামী লীগ, জামায়াত সবাই যায়। এটা দোষের কী? আমি সামনে উপজেলা নির্বাচনে ভোট করবো, তাই ইফতারে গিয়েছি। এ বিষয়ে পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি জীবন কুমার বিশ্বাস বলেন, আওয়ামী লীগের নেতা হিসেবে মিজানুর রহমান মাসুম বিএনপির মাহফিলে যেতে পারে না। হয়ত তার ব্যক্তি স্বার্থের কারণে সেখানে উপস্থিত হয়েছেন। এদিকে জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট এম এ মজিদ বলেন, দলীয় পরিচয়ে না, একজন সুশীল সমাজের মানুষ ও ব্যবসায়ী হিসেবে আমাদের ইফতার মাহফিলে এসেছিল মিজানুর রহমান মাসুম। তাকে দাওয়াত দেয়া হয়েছিল। তবে ইফতার মাহফিলে তার অর্থায়নের অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, এই অভিযোগ সঠিক না। তবে বড় রাজনৈতিক দলগুলো বিভিন্ন ব্যবসায়ী, রাজনৈতিক ও ব্যক্তিগত ভাবে অর্থ সহযোগিতা পেয়ে থাকে। এতে কেউ অর্থায়ন করলে করতে পারে।   অপর দিকে জেলা বিএনপির যুগ্মসাধারণ সম্পাদক আব্দুল মজিদ বিশ্বাস জানান, ঝিনাইদহ পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি মিজানুর রহমান মাসুমের অর্থায়নে এই ইফতারের আয়োজন করা হয়েছে। তাই জানতে পেরে ইফতার প্রত্যাখান করেছি। আমিও ইফতার করিনি।
০৬ এপ্রিল ২০২৪, ২২:০৮

কালীগঞ্জে পুলিশি বাধার পরও বিএনপির ইফতার মাহফিল 
পুলিশি বাধা উপেক্ষা করে ইফতার মহফিল করেছে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলা বিএনপি।  শনিবার (৩০ মার্চ) উপজেলা শহরের নলডাঙ্গা সড়কে বিএনপি এ মাহফিলের নির্ধারিত দিন ছিল।  ইফতার মাহফিল সফল করতে আয়োজকদের পক্ষ থেকে সব কার্যক্রম শেষ পর্যায়ে ছিল। তার আগেই কালীগঞ্জ থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মাহফিল বন্ধের নির্দেশ দেন। মোড়ে মোড়ে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়।  তবে পুলিশের নির্দেশ দেওয়ার পরও সেখানে তিন শতাধিক নেতাকর্মী অবস্থান নেন। এরপর সেখানে নতুন করে আর কোন নেতাকর্মী প্রবেশ করতে দেয়নি পুলিশ। শেষ পর্যন্ত বিএনপির নেতাকর্মীরা সেখানে ইফতার মাহফিল করেন।  ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসাবে যোগ দেন খুলনা বিভাগীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ ইসলাম অমিত, ঝিনাইদহ জেরা বিএনপির সভাপতি এমএ মজিদ, খুলনা বিভাগীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুমান কুণ্ডু, কেন্দ্রী ড্যাব নেতা ইব্রাহিম রহমান বাবু, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক-দলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম ফিরোজ ও উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক হামিদুল ইসলাম হামিদসহ জেলা উপজেলা নেতাকর্মীরা।  এ ঘটনায় বিকালে বিএনপির দপ্তর সম্পাদক রুহুল কবির রিজভী এক ভিডিও বার্তায় তীব্র নিন্দা জানিয়ে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলেন, পুলিশ সেখানে অবস্থান নিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। বর্তমান ডামি সরকারের পুলিশ বাহিনী ইফতার মাহফিল দোয়া অনুষ্ঠানের বাধা সৃষ্টি করে। শহরের মোড়ে মোড়ে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। যেন নেতাকর্মীরা সেখানে উপস্থিত হতে না পারে। তারা ধর্মীয় কর্মসূচীতে বাধা দিয়ে বর্তমান সরকার স্বৈরাচার সরকার তা আবারো প্রমাণ করেছে। তিনি সেখান থেকে ইফতারের আগেই পুলিশ বাহিনীকে সরিয়ে নেওয়ার জন্য স্থানীয় প্রস্বানের প্রতি আহ্বান জানান।  তবে, পুলিশের দাবি ইফতার মাহফিল আয়োজনের জন্য পুলিশের কাছ থেকে কোনো অনুমতি নেওয়া হয়নি। ফলে আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটার আশংকায় মাহফিল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। যদিও বিএনপির দায়িত্বশীল নেতারা বলছেন আমরা মাহফিল আয়োজনের এক সপ্তাহ আগেই জেলা পুলিশের বিশেষ শাখায় অনুমতির জন্য আবেদন করেছিলাম। কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক-দলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম ফিরোজ ও উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক হাদিুল ইসলাম হামিদ জানান, আমরা মাহফিল আয়োজনের এক সপ্তাহ আগেই জেলা পুলিশের বিশেষ শাখায় অনুমতির জন্য আবেদন করেছিলাম। কিন্তু পুলিশের পক্ষ থেকে কোন উত্তর দেওয়া হয়নি। আমাদের নির্ধারিত দিন শনিবার আয়োজন প্রায় শেষ পর্যায়ে ছিল তখন কালীগঞ্জ থানার পুলিশ এসে বন্ধ করে দেন। তারপরও আমরা সেখানে ইফতার করবো বলে যোগ করেন তারা।  কালীগঞ্জ থানার ওসি আবু আজিফ জানান, বড় পরিসরে দলীয় কোনো আয়োজন করতে হলে জেলা প্রশাসক এবং পুলিশ সুপারের অনুমতি নিতে হয়। কিন্তু তারা কোনো অনুমতি নেননি। অনুমতি না নিয়েই তারা ওপেন প্লেসে বড় পরিসরে আয়োজন করেছেন। তবে তারা সেখানে পুলিশি নিরাপত্তায় ইফতার মাহফিল সম্পন্ন করেছে।  
৩০ মার্চ ২০২৪, ১৮:৫৮

বিএনপির ভারত বর্জন কর্মসূচির কারণ জানালেন নাছিম
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেছেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম যাতে আরও বেড়ে যায়, সেজন্যই ভারতীয় পণ্য বর্জনের কর্মসূচি পালন করছে বিএনপি। বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে দুপুরে রাজধানীর কাকরাইলের ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স এ আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এই মন্তব্য করেন। বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, বিএনপি কখনোই দেশের মানুষের ভালো চায় না। মানুষ শান্তিতে থাকুক তারা এটা চায় না। তারা শেখ হাসিনার সরকারের বিরোধিতার নামে দেশের মানুষের কষ্ট বাড়িয়ে তুলছে। তারই নতুন সংস্কার ভারত বিরোধিতা। নিত্যপণ্যের দাম যাতে আরও বৃদ্ধি পায়, সেজন্যই তারা ভারতীয় পণ্য বর্জনের কর্মসূচি শুরু করেছে। আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, জন্মলগ্ন থেকেই তারা দেশের স্বার্থবিরোধী কর্মকাণ্ড করছে, মানুষের স্বার্থে আঘাত লাগে এমন কাজ করছে আর ভারত বিরোধিতা তাদের তেমনই কর্মসূচি। স্বেচ্ছাসেবক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ম. আব্দুর রাজ্জাকের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবুর সঞ্চলনায় আলোচনা সভায় অন্যান্যর মধ্যে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন এবং কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নির্মল চ্যাটার্জী।
২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭:২২

জাতির কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়া উচিত বিএনপির : কাদের 
অগণতান্ত্রিক কর্মকাণ্ডের জন্য বিএনপি নেতাদের জাতির কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। বুধবার (২৭ মার্চ) বিকেলে আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ মন্তব্য করেন তিনি। গণতন্ত্র ও মানবাধিকার নিয়ে বিএনপি নেতাদের বক্তব্য দুরভিসন্ধিমূলক দাবি করে মন্ত্রী এ সময় বলেন, বিএনপি নেতাদের উচিত তাদের অগণতান্ত্রিক কর্মকাণ্ডের জন্য জাতির কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করা। অথচ তারা সেটা না করে বরাবরের মতো দুরভিসন্ধিমূলক বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছে। গণতন্ত্রের হত্যাকারীরা আজ যখন গণতন্ত্র নিয়ে কথা বলে তখন বুঝতে হবে, তাদের ভিন্ন উদ্দেশ্য আছে। এটা গণতন্ত্রের জন্য তাদের মায়াকান্না ছাড়া আর কিছু নয়।  গণতন্ত্রের প্রতি বিএনপির কোনো দায়বদ্ধতা নেই উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, গণতন্ত্রের জন্য তাদের এই আহাজারি মূলত একুশে আগস্টের গ্রেনেড হামলার মাস্টারমাইন্ড, হাওয়া ভবন-খোয়াব ভবনের অধিপতি, দুর্নীতি-সন্ত্রাস ও দুর্বৃত্তায়নের বরপুত্র তারেক রহমানের দুঃশাসনের যুগে দেশকে ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য। কিন্তু, এ দেশের গণতন্ত্রকামী দেশপ্রেমিক নাগরিক সমাজ এই অন্ধকারের অপশক্তির বিরুদ্ধে আজ ঐক্যবদ্ধ। তিনি আরও বলেন, পঁচাত্তরের নৃশংসতম হত্যাকাণ্ডের পর খুনি জিয়ার হাতে জন্ম নেওয়া বিএনপি যখন গণতন্ত্রের কথা বলে, মানবাধিকারের কথা বলে, ইতিহাস তখন বিদ্রূপের হাসি হাসে। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ইতিহাসের নিষ্ঠুর সামরিক স্বৈরশাসক জিয়াউর রহমান অবৈধভাবে অসাংবিধানিক পন্থায় বন্দুকের নলের মুখে জাতিকে জিম্মি করে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করেছিল। বিচারপতি সায়েমকে জোরপূর্বক অস্ত্রের মুখে সরিয়ে দিয়ে রাষ্ট্রপতির পদ দখল করেছিল সে। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভ করে। স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধুর হাত ধরেই বাংলাদেশ স্বপ্নের পথে যাত্রা শুরু করে। কিন্তু ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালো রাতে মানবসভ্যতার ইতিহাসে নৃশংসতম হত্যাকাণ্ডের মধ্য দিয়ে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করা হয়েছিল। পাশাপাশি মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং গণতন্ত্রকে নস্যাৎ করা হয়েছিল। একইভাবে হস্তবকের দল ৩ নভেম্বর জেলখানায় জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করেছিল। সেদিন ঘাতকচক্র অসহায় নারী, শিশুকে নির্বিচারে হত্যা করেছিল। সেদিন কোথায় ছিল গণতন্ত্র? কোথায় ছিল মানবাধিকার? তিনি বলেন, ১৯৭৭ সালে হ্যাঁ-না ভোটের প্রহসনের নির্বাচনের নামে দেশের গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ও নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছিল স্বৈরাচার জিয়াউর রহমান। জিয়ার তথাকথিত গণতন্ত্র ছিল কারফিউ মার্কা গণতন্ত্র। লাগাতার সামরিক শাসন বলবৎ রেখে জনগণের ওপর দুঃশাসনের স্টিমরোলার চালানো হয়েছিল। ১৯৭৮ সালের ৩ জুন সেনাপ্রধানের দায়িত্বে থেকে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন আয়োজন করে গণতন্ত্রকামী জনগণের সঙ্গে নির্মম তামাশা করেছিল স্বৈরাচার জিয়া। অবৈধভাবে একইসঙ্গে সেনাপ্রধান, প্রধান সামরিক আইন কর্মকর্তা ও রাষ্ট্রপতির পদ দখল করে ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করেছিল সে। পরিকল্পিতভাবে গলা টিপে হত্যা করেছিল গণতন্ত্রকে, নির্বাসিত করেছিল মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও আদর্শকে।  সেই স্বৈরাচার জিয়ার হাতে প্রতিষ্ঠিত বিএনপি এখনও সুপরিকল্পিতভাবে এদেশের গণতন্ত্রকে নস্যাৎ করতে অপতৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে দাবি করে ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, জিয়ার পদাঙ্ক অনুসরণ করে ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি প্রহসনের নির্বাচন করেছিল বেগম খালেদা জিয়া। জাতিকে উপহার দিয়েছিল মিরপুর ও মাগুরা মার্কা উপ-নির্বাচন। নির্বাচনে কারচুপি করে ক্ষমতা দখলের পাঁয়তারায় আজিজ মার্কা নির্বাচন কমিশন গঠন এবং ১ কোটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোটার সৃষ্টি করেছিল বিএনপি। অপারেশন ক্লিন হার্টের নামে তখন বিরোধীদলের নেতাকর্মীদের ওপর অত্যাচার-নির্যাতনের ভয়াবহ নজির স্থাপন করা হয়েছিল। ২০০১ পরবর্তী সময়কালে বিএনপি-জামায়াত জোট শাসনামলে ২১ হাজার আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়েছিল। স্বৈরাচারের গর্ভে জন্ম নেওয়া বিএনপি সুপরিকল্পিতভাবে মহান মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ ও মূল্যবোধ এবং গণতন্ত্রকে নস্যাৎ করতে এখনও অপতৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। বিএনপিই এ দেশে গণতান্ত্রিক আদর্শ বাস্তবায়নের প্রধান প্রতিবন্ধক।
২৭ মার্চ ২০২৪, ২১:৫৫
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়