• ঢাকা বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
logo
২৭ বছর পর বাড়ি ফিরলেন হারিয়ে যাওয়া শাহীদা
ঢাকার উত্তরায় ৭ বছর বয়সে হারিয়ে ২৭ বছর পর নিজ বাড়ি জামালপুরের বকশীগঞ্জে ফিরলেন শাহীদা বেগম নামে পোশাককর্মী। নানা সংগ্রামের মধ্যদিয়ে জীবন পার করা শাহীদা বাড়িতে ফিরলেও দেখা পাননি বাবা-মার। ৪ বছর আগে বাবা-মা মারা গেলেও শাহীদার সঙ্গে দেখা মিলেছে তার বড় বোন খালেদা বেগমের। দুই বোনের সাক্ষাৎ হওয়ায় যেন নতুন পৃথিবীর সন্ধান পায় বাবা-মা হারা শাহীদা বেগম। ২৭ বছর পর স্বজনদের সঙ্গে দেখা হওয়ায় আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েছেন শাহীদা বেগম। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জামালপুর জেলার বকশীগঞ্জ উপজেলার নিলাখিয়া ইউনিয়নের দিকপাড়া গ্রামের ইব্রাহিম খলিল ১৯৯৭ সালে জীবিকার তাগিদে স্ত্রী, তিন কন্যা ও এক ছেলেকে নিয়ে পাড়ি জমায় রাজধানী ঢাকায়। ঠাঁই হয় ঢাকার উত্তরার ৩ নম্বর সেক্টরে। সেখানে তার সেজো মেয়ে শাহীদা বেগমও জীবিকার তাগিদে লাকড়ি সংগ্রহের কাজ করতেন। একদিন সকালে লাকড়ি সংগ্রহ করতে গিয়ে হারিয়ে যান সাত বছরের শাহীদা। এরপর অনেক খোঁজাখুঁজি করেও পাওয়া যায়নি শাহীদাকে।  এরই মধ্যে ঘটে গেছে শাহীদার জীবনে নানান ঘটনা। প্রথমে কুমিল্লা পরে নারায়ণগঞ্জে এক ফায়ার কর্মীর বাসায় গৃহকর্মীর কাজ পান ছোট্ট শাহীদা। সেই থেকে নানা সংগ্রামের মধ্য দিয়ে চলছে তার জীবন। এরমধ্যেই গাজীপুরের কালীগঞ্জের রাজমিস্ত্রি সেলিম মিয়ার সঙ্গে বিয়ে হয় শাহীদার। এই অবস্থায় কেটে গেছে শাহীদার জীবনের ২৭টি বছর। শাহীদা বেগম বারবার তার নিজ ভূমিতে ফেরার চেষ্টা করলেও ঠিকানা ও কারও পরিচয় না-জানার কারণে ফেরা সম্ভব হয়নি। তবে নিজ গ্রাম দিকপাড়া ও থানার নাম বকশীগঞ্জ মুখস্থ থাকায় সেই ভরসা নিয়েই ১৪ এপ্রিল ঢাকা থেকে স্বামী ও একমাত্র কন্যা সন্তানকে নিয়ে রওনা দেন বকশীগঞ্জের উদ্দেশে।   অবশেষে বকশীগঞ্জ শহরে পৌঁছে বিভিন্ন মানুষের সাহায্য নিয়ে খুঁজে বের করেন দিকপাড়া গ্রাম। অবশেষে বাড়ি ফিরলেও বাবা-মার সঙ্গে দেখা হয়নি তার। বাবা ইব্রাহিম খলিল ও মা ছাবেদা বেগম পরপারে চলে গেছেন আরও ৪ বছর আগে। বিষয়টি জানাজানি হলে পাশের গ্রাম বোলাকী পাড়া থেকে হারিয়ে যাওয়া বোনকে দেখতে ছুটে আসেন বড় বোন খালেদা বেগম। নিজ বাড়িতে কেউ না থাকায় খালেদার বাড়িতে অবস্থান নেন ২৭ বছর আগে হারিয়ে যাওয়া শাহীদা। এ দিকে বাড়ির সন্ধান পাওয়া ও বড় বোন, দুলাভাই ও ভাগ্নেদের সঙ্গে সাক্ষাৎ পেয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন তিনি। ২৭ বছর পর বাড়ি ফেরায় স্থানীয় এলাকাবাসীর মধ্যেও খুশির আমেজ বিরাজ করছে। তারাও শাহীদাকে এক নজর দেখার জন্য ভিড় করছেন তার বোনের বাড়ি বোলাকী পাড়ায়।   শাহীদার বড় বোন খালেদা বেগম বলেন, আমরা আমার এই বোনের আশা ছেড়েই দিয়েছিলাম। আবার তার সঙ্গে দেখা হবে, কথা হবে, তার হাত দুটো ধরতে পারব, তা ছিল কল্পনার অতীত। বাড়ি ফেরা শাহীদা বেগম বলেন, জীবনে কল্পনা করিনি আমি নতুন করে আমার বাড়ি ও আত্মীয় স্বজনদের খুঁজে পাব। ২৭ বছর পর ভাই, বোন, আত্মীয়স্বজনদের কাছে পেয়ে নতুন করে আশার আলো দেখতে পাচ্ছি। মরার পর কবর দেওয়ার মতো মানুষ খুঁজে পেয়েছি এটাই জীবনের বড় পাওয়া। তবে আফসোস থেকে গেল বাবা-মাকে জীবিত দেখতে পারলাম না, এ জন্য।  
১৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:৫৬

‘ঈদে রেল যাত্রীরা নিরাপদে বাড়ি ফিরেছেন’
এবার ঈদ যাত্রায় মানুষ নিরাপদে বাড়ি ফিরেছেন বলে দাবি করেছেন রেলমন্ত্রী মো. জিল্লুল হাকিম। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সদিচ্ছার কারণে ঈদে যাত্রীরা ট্রেনে নির্বিঘ্নে ও নিরাপদে বাড়ি ফিরতে পেরেছেন। ঈদে যেমন তারা নির্বিঘ্নে বাড়ি ফিরেছেন। ঠিক ঈদ শেষেও তারা একইভাবে কর্মস্থলে ফিরতে পারবেন বলে আশা পোষণ করেন রেলমন্ত্রী। বুধবার (১০ এপ্রিল) দুপুরে রাজবাড়ীর পাংশায় নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ এসব কথা বলেন তিনি। রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সবার চেষ্টায় এই পথ এবার নিরাপদ হয়েছে বলে দাবি করে রেলমন্ত্রী মো. জিল্লুল হাকিম বলেন, আমরা যাত্রীদের ফিরতি টিকিট দিয়েছি। যাতে তারা আসার মত যাওয়ার সময়ও নিরাপদ বোধ করেন। এ সময় মন্ত্রী রেলের যাত্রী ও দেশবাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা জানান।
১১ এপ্রিল ২০২৪, ০০:০২

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে স্বাচ্ছন্দ্যে বাড়ি ফিরছেন মানুষ
পবিত্র ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে নাড়ির টানে বাড়ি ছুটছে মানুষ। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে মেঘনা সেতুর টোলপ্লাজা থেকে কাচপুর সেতু পর্যন্ত ১৪ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে যাত্রীর চাপ যেমন বেড়েছে পাশাপাশি বেড়েছে যানবাহনের চাপ। তবে মহাসড়কের কোথাও কোনো যানজটের সৃষ্টি হয়নি। ধীরগতি পরিলক্ষিত হয়েছে কোথাও কোথাও, যাত্রীরা নির্বিঘ্নে গন্তব্যে যেতে পারছেন।  বুধবার (১০ এপ্রিল) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা চট্টগ্রামগামী পরিবহনগুলো বিরতিহীন চলাচলের কারণে কোনো ভোগান্তি বা যানজট ছাড়াই অনায়াসে মেঘনা সেতু পার হচ্ছে। একইভাবে চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী পরিবহনগুলোও স্বাভাবিক গতিতে চলাচল করছে।  জেলা প্রশাসন ও হাইওয়ে পুলিশের সমন্বিত উদ্যোগের কারণে এবার স্বস্তি নিয়ে বাড়ি ফিরছে দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের মানুষ, এমনটি বলছেন বিশ্লেষকরা। হাইওয়ে পুলিশ বলছে, এবারের ঈদযাত্রা উপলক্ষে মহাসড়কের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে ও যত্রতত্র যাত্রী ওঠানামা, সড়ক দখল করে যানবাহন পার্কিংসহ বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে ডিভাইডার দিয়ে আলাদা লেন করা হয়েছে। এ ছাড়া যেসব স্থানে যানজটের শঙ্কা রয়েছে সেখানে ইউটার্ন দেওয়া হয়েছে। এতে যানজট অনেক কমে গেছে। তাছাড়া এবারের ঈদকে আরও স্বস্তির করতে মেঘনা টোল প্লাজায় নতুন করে ছয়টি কাউন্টার বাড়ানো হয়েছে। এসব কারণে এবার মহাসড়কে আগের মতো যানবাহনের চাপ নেই। এ প্রসঙ্গে কাঁচপুর হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রেজাউল হক জানান, স্বাভাবিক গতিতেই গাড়ি চলছে। যেসব পয়েন্টে যানজটের শঙ্কা আছে, সেখানে বাড়তি পুলিশ নিয়োজিত আছে।
১০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:৩৯

মহাখালী টার্মিনালে বাস সংকটে ম্লান বাড়ি ফেরার খুশি
বাস সংকটের কারণে রাজধানীর মহাখালী বাস টার্মিনালে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন ঈদে ঘরমুখো যাত্রীরা। টিকিট কেটেও ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে বাসের অপেক্ষায়। যথাসময়ে টার্মিনালে ঢুকছে না দূরপাল্লার কোনো বাসই। ঈদে বাড়ি ফেরার আনন্দ মিইয়ে যাত্রীদের চোখে-মুখে বিরক্তির ছাপ স্পষ্ট।     মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) দুপুরে মহাখালী বাস টার্মিনালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ঈদে বাড়ি ফেরার উদ্দেশে অসংখ্য মানুষ জড়ো হয়েছেন টার্মিনালে। কিন্তু বাস কম থাকায় ভোগান্তির মুখে পড়েছেন তারা।  পরিবহন সংশ্লিষ্টরা বলছেন, যে গাড়িগুলো ঢাকা ছেড়ে গিয়েছিল মহাসড়কে যানজটের কারণে সেগুলো যথাসময়ে ফিরতে পারছে না। তাই বাস সংকট দেখা দিয়েছে। অনন্যা পরিবহনের কাউন্টার ম্যানেজার সেলিম আহমেদ বলেন, রাতে যে বাসগুলো ছেড়ে গিয়েছিল, সেগুলো জ্যামের কারণে যথাসময়ে ফেরত আসতে পারছে না। তাই বাসের সংকট দেখা দিয়েছে। এছাড়া আজ যাত্রীর চাপও অনেক। তাই বাস ছাড়তে কিছুটা বিলম্ব হচ্ছে।  এ সময় কথা হয় তুহিন নামে অপেক্ষারত এক যাত্রী সঙ্গে। তিনি বলেন, নির্ঝঞ্জাট বাড়ি ফেরার জন্য সকাল সকাল কাউন্টারে এসে টিকিট কেটেছি। কিন্তু এখন দেখছি বাসই নেই। কাউন্টার থেকে বলছে বাস আসতে সময় লাগবে। এভাবে আর কতক্ষণ অপেক্ষা করতে হবে কে জানে। রেজা নামে আরেক যাত্রী বলেন, সকালে এসে টিকিট কেটেছি কিন্তু বাসের দেখা পাচ্ছি না। কখন বাস ছাড়বে, কখন বাড়ি ফিরব, কিছুই জানি না।  
০৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬:১৩

বাড়ি ফিরছেন ঘরমুখো মানুষ, পদ্মা সেতুর টোল প্লাজায় চাপ
ঈদের ঘরমুখো যাত্রীদের চাপে পদ্মা সেতুর টোল প্লাজায় যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।  মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) সকাল থেকে সেতুর টোল প্লাজায় ৭টি বুথের মাধ্যমে টোল আদায় করা হলেও ব্যক্তিগত প্রাইভেটকার ও মোটরসাইকেলের চাপে যানবাহনের দীর্ঘ সারি দেখা যায়। সেই সঙ্গে দূরপাল্লার পরিবহনের সংখ্যাও ছিল চোখে পড়ার মতো। এ বিষয়ে মাওয়া ট্রাফিক পুলিশের টিআই মো. জিয়া বলেন, ঈদের বাকি আর একদিন। প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করতে নাড়ির টানে বাড়ি ফিরছেন মানুষ। তাই এ সময়ে যানবাহনের চাপ একটু বেশি হবেই। পদ্মা সেতু এলাকায় ভোরে বাসের চেয়েও মোটরসাইকেলের চাপ বেশি ছিল। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মোটরসাইকেলের চাপ কিছুটা কমেছে। টোল প্লাজার সামনে দীর্ঘ গাড়ির সারি রয়েছে। আজ গাড়ির চাপ অন্যান্য দিনের তুলনায় অনেকটা বেশি। এদিকে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সড়কে বিশৃঙ্খলা এড়াতে মহাসড়কের ৬টি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে চেকপোস্ট বসিয়ে ঈদে বাড়ি ফেরা মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিতে কাজ করছে পুলিশ। পদ্মা সেতুর টোল প্লাজায় অপেক্ষমাণ যানবাহনের দীর্ঘ সারি দেখা গেলেও মহাসড়কে যানবাহন চলাচল নির্বিঘ্ন রয়েছে। তবে বেপরোয়া মোটরসাইকেল যেকোনো সময় দুর্ঘটনার শিকার হতে পারে। এ বিষয়ে প্রশাসনের কঠোর নজরদারি রয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। জানা যায়, ঢাকা মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনায় এড়াতে ও ওভার ট্রেকিং বন্ধে স্পিড গানের মাধ্যমে যানবাহনের গতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে হাইওয়ে পুলিশ। এ দিকে পদ্মা সেতু কর্তৃপক্ষ বলছে, এবার ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে সেতুর মাওয়া প্রান্তের টোল প্লাজায় ৭টি টোল বুথের মাধ্যমে যানবাহন থেকে টোল আদায় করা হচ্ছে। প্রতি পাঁচ সেকেন্ডে একটি করে যানবাহনে টোল আদায় করা হচ্ছে। এতে দ্রুত সময়ের মধ্যে ভোগান্তি ছাড়াই পদ্মা সেতু পাড়ি দিয়ে গন্তব্যের উদ্দেশ্যে যাত্রা করছেন যাত্রীরা। এ প্রসঙ্গে হাঁসাড়া হাইওয়ে থানার ওসি কাঞ্চন কুমার সিংহ বলেন, ভোরে মহাসড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে অনেকটা কমছে। আমরা সকাল থেকে মহাসড়কে টহল দিচ্ছি। ওসি কাঞ্চন কুমার আরও বলেন, হাইওয়ে পুলিশ যানজট নিরসনে এবার বেশ কয়েকটি ভাগে বিভক্ত হয়ে মহাসড়কে কাজ করছে। অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা ও অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে যাত্রীদের নিরাপত্তা স্বার্থে বিভিন্নভাবে নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়েছে। সিসিটিভির মাধ্যমে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।
০৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:৫০

ঈদের ছুটিতে বাড়ি যাওয়ার আগে যা যা করবেন
সারা মাস রোজার পর ঈদুল ফিতর পরিবারের সঙ্গে উদযাপন করতে নাড়ির টানে বাড়ি ফিরেন সবাই। জীবনের শৈশব, কৈশোর যেখানে কেটেছে, সেই আপনজনদের সঙ্গেই ঈদ উদযাপনের জন্য ছুটে যায়। তখন ফাঁকা পড়ে থাকে বাসা। তাই বাড়ি যাওয়ার আগে কিছু কাজ গুছিয়ে নিলেই ঈদের ছুটি কাটাতে পারবেন নিরাপদ ও নির্বিঘ্নে। কারণ, আপনি যে বাসায় থাকেন সে বাসার নিরাপত্তার দিকটাও খেয়াল রাখতে হবে। এই নিরাপত্তা ঈদযাত্রার প্রস্তুতিপর্বের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।  জেনে নিন, ঈদযাত্রায় যাওয়ার আগে বাসার নিরাপত্তায় আপনার কী কী করে যেতে হবে- কাজের একটি তালিকা করুন: সবার আগে একটি তালিকা তৈরি করুন। কার জন্য কী নিতে চান, ব্যাগে কী নিতে হবে, কোন কাজগুলো আগে সারতে হবে, ঈদে কোথায় কোথায় যেতে চান, সবকিছু একটি নোটে লিখে নিন। এখন সব স্মার্টফোনেই নোট করার সুবিধা থাকে। সেটি ব্যবহার করতে পারেন। এতে আপনার কাজগুলো করা সহজ হবে। কোনোকিছু ভুলে গেলেও তালিকা দেখে মনে করে নেওয়া যাবে। ব্যাগ গুছিয়ে নিন : বাড়িতে যাওয়ার আগে সময় করে ব্যাগ গুছিয়ে রাখুন। নয়তো শেষ মুহূর্তে এসে গোছাতে গেলে তাড়াহুড়োয় অনেক কিছুই ভুলে ফেলে যেতে পারেন। অতিরিক্ত জিনিসপত্র টানবেন না। যতটুকু দরকার, ততটুকুই নিন। ফোনের চার্জার, প্রয়োজনীয় ওষুধ ও কাগজপত্র ইত্যাদি গুছিয়ে সঙ্গে রাখুন। প্রয়োজনের সময় যেন হাতের কাছেই পাওয়া যায়। গ্যাসের চুলা বন্ধ করুন : অনেক সময় রান্না শেষে চুলা বন্ধ করার কথা আমরা ভুলে যাই। অথবা বন্ধ করলেও সেটি ভালোভাবে বন্ধ হয় না। তাই বাড়ি থেকে বের হওয়ার আগে আরেকবার ভালোভাবে দেখে নিন। কারণ কোনো কারণে গ্যাস লিক হলে বদ্ধ করে বিস্ফোরণের সম্ভাবনা থাকে। তাই সম্ভাব্য বিপদ এড়াতে সতর্ক থাকুন। পানির কল বন্ধ করুন : অনেক সময় কল চালু রাখা অবস্থায় পানি চলে গেলে পরে আর বন্ধ করতে মনে থাকে না। এ ক্ষেত্রে পরবর্তী সময়ে পানি চলে এলে তা অপচয়ের ভয় থাকে, যদি বাড়িতে কেউ না থাকে। তাই সবগুলো পানির কল ভালোভাবে বন্ধ করুন। এতে আপনি বাসায় না থাকলেও পানির অপচয় হবে না। সুইচ বন্ধ রাখুন : বাড়ির ইলেকট্রিক বাতি, ফ্যান, কম্পিউটার, মাইক্রোওয়েভ ওভেন, ওয়াশিং মেশিন ইত্যাদির সুইচ বন্ধ করে বের হবেন। সবগুলো প্লাগ খুলে রাখার চেষ্টা করবেন। যদি ফ্রিজ খালি থাকে তবে সেটিও পরিষ্কার করে বন্ধ করে রেখে যান। আর যদি খালি না থাকে তবে চালু অবস্থায়ই রাখতে হবে, নয়তো ভেতরে থাকা খাবার নষ্ট হবে। ঘরের একটি ছবি তুলে নিন : সবকিছু শেষে বাড়ির সবগুলো কক্ষের একটি করে ছবি তুলে নিন। এতে কোনো ধরনের অসঙ্গতি থাকলে তা চোখে পড়বে এবং সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া যাবে। তাই সতর্কতার অংশ হিসেবে বাড়ি থেকে বের হওয়ার আগে ছবি তুলে রাখুন। ঘর ভালোভাবে তালাবদ্ধ করুন : শুধু বাড়ির প্রধান দরজায়ই নয়, সবগুলো দরজা ও জানালায় ভালোভাবে লক করুন। লক করা হলে আরেকটার টেনে দেখবেন ভালোভাবে লক হয়েছে কি না। সবগুলো তালার চাবি সঙ্গে রাখুন। খেয়াল রাখবেন যেন বেড়াতে গিয়ে চাবি হারিয়ে না যায়। নয়তো ফিরে এসে বিপদে পড়তে হতে পারেন। পথের খাবার : একেবারে খালি পেটে ভ্রমণ করবেন না। আবার খুব ভরা পেটেও নয়। খেয়ে ভ্রমণের সময় তেল-মসলাযুক্ত না খেয়ে হালকা খাবার খান। পথে খাওয়ার জন্য (ইফতার বা সেহরি) রাস্তার খোলা খাবার কিনে না খেয়ে সঙ্গে রাখুন পানি, ফল ও হালকা বিস্কুট বা ক্র্যাকার্স।
০৮ এপ্রিল ২০২৪, ১০:৫৯

ঈদের দাওয়াত দিয়ে বাড়ি ফেরা হলো না বাবার, হাসপাতালে মেয়ে
গাজীপুরের কাপাসিয়ায় মেয়েকে নিয়ে শ্বশুর বাড়িতে ইদের দাওয়াত দিয়ে ফেরার পথে অটোরিকশা দুর্ঘটনায় বাবা নিহত ও শিশু মেয়ে আহত হয়েছে।  রোববার (৭ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার আমরাইদ-বারিষাব সড়কের আমারাইদ ব্রিজ সংলগ্ন স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে। কাপাসিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) বাহার আলম দুর্ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। নিহত রফিকুল ইসলাম (৪২) কাপাসিয়া উপজেলার টোক নয়ন গ্রামের নজিবুল্লাহর ছেলে। গুরুতর আহত নিহতের শিশু মেয়ের (০৪) নাম পাওয়া যায়নি।  স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে গুরুতর আহত অবস্থায় কাপাসিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পাঠিয়েছে। দুর্ঘটনার পর চালক অটোরিকশা ফেলে পালিয়ে গেছে। কাপাসিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) বাহার আলম স্থানীয়দের বরাত দিয়ে জানান, উপজেলার আমরাইদ-বারিষাব সড়কের আমারাইদ ব্রিজের কাছে অটোরিকশা পৌছলে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ব্রিজের রেলিংয়ে গিয়ে ধাক্কা লাগে। এতে অটোরিকশা দুমড়ে মুচড়ে যায়। এ সময় রফিকুল ইসলাম নিহত ও তার শিশু মেয়ে গুরুতর আহত হয়। স্থানীয়রা শিশুকে কাপাসিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পাঠিয়েছে।  তিনি আরও জানান, নিহতের মরদেহ আমরাইদ জেনারেল হাসপাতালের রয়েছে। স্থানীয় আমরাইদ জেনারেল হাসপাতালের স্টাফ এখলাস মিয়া বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় আহত রফিকুল ইসলামকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে। আহত শিশুকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে কাপাসিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পাঠানো হয়েছে। জানায় ।  
০৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:১৭

নাড়ির টানে বাড়ি ফিরছে মানুষ, ফাঁকা হচ্ছে ঢাকা
ঈদুল ফিতরের আর মাত্র কয়েকদিন বাকি। ঈদ সামনে রেখে গত কয়েকদিন ধরে বাস, ট্রেন ও লঞ্চসহ নানানভাবে ঢাকা ছাড়ছে লাখ লাখ মানুষ। ফলে ধীরে ধীরে ফাঁকা হতে শুরু করেছে রাজধানী। শনিবার (৬ এপ্রিল) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশন, গাবতলী, সায়েদাবাদ ও মহাখালী বাস টার্মিনাল এবং সদরঘাট লঞ্চঘাট ঘুরে দেখা গেছে, সব জায়গায় যাত্রীদের ভিড় বেড়েছে। কমলাপুরের ঢাকা রেলওয়ে স্টেশনে প্রথম দিকে কয়েকটি ট্রেন ছাড়তে দেরি হলেও পরেরগুলো যথাসময়ে ছেড়ে গেছে। তবে বিভিন্ন গন্তব্যের বাসগুলো নির্ধারিত সময়েই ছেড়ে যাচ্ছে। এবার ঈদের আগে ও পরে ছুটি থাকায় অনেকেই বাড়ি যাচ্ছেন। ঈদের ছুটি শুরু হলে স্বাভাবিকভাবেই বাস-ট্রেনসহ সবখানেই যাত্রীদের চাপ বাড়বে। এজন্য অনেকে আগেভাগেই পরিবারের সদস্যদের বাড়ি পাঠাচ্ছেন। শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটির দিনে অনেকেই ঢাকা ছেড়েছেন। শনিবারও অনেকে বাড়ি ফিরছেন। খুলনাগামী বাসযাত্রী মৌসুমী বলেন, আমার স্বামী ঢাকায় চাকরি করেন। তাকে রেখেই আগেভাগে ছেলেমেয়ে নিয়ে বাড়িতে যাচ্ছি। কারণ পরে যাত্রীর চাপ আরও বাড়বে। ঈদের ছুটি শুরু হলে তখন আমার স্বামী বাড়ি যাবে। ট্রাফিক ওয়ারী বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মোহাম্মদ আশরাফ ইমাম বলেন, শুক্রবার সকাল থেকেই সড়কে ঘরমুখো মানুষ ও যানবাহনের চাপ বেড়েছে। সড়কের শৃঙ্খলা রক্ষায় আমরা রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছি। এদিকে সদরঘাট টার্মিনালে পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়ার যাত্রী আমিনুল ইসলামের সঙ্গে কথা হয়। পরিবার নিয়ে তিনি পুরান ঢাকায় থাকেন। তিনি বলেন, ঈদের ছুটি বেশি থাকায় আগেভাগেই স্ত্রী ও দুই সন্তানকে গ্রামের বাড়িতে রেখে আসতে যাচ্ছি। প্রতিবছর ঈদ এলেই ঢাকা থেকে বিপুল সংখ্যক মানুষ গ্রামের বাড়িতে যায়। নাড়ির টানে বাড়ি ফেরা এসব মানুষের প্রকৃত সংখ্যা বলা কঠিন। তবে ধারণা করা হচ্ছে এবার প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদ করতে বৃহত্তর ঢাকার প্রায় দেড় কোটি মানুষ ঢাকা ছাড়বে। বিপুলসংখ্যক ঈদ যাত্রীর মধ্যে ৬০ শতাংশ অর্থাৎ ৯০ লাখ মানুষ সড়ক পথে যাবে। অবশিষ্ট ৪০ শতাংশ মানুষ নৌ ও রেলপথে ঢাকা ছাড়বে। নৌ, সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
০৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:১৯

ঈদে মোটরসাইকেলে বাড়ি ফেরার পথে স্বামী-স্ত্রী নিহত
ঈদের ছুটিতে মোটরসাকেলে বাড়ি ফেরার পথে বিদ্যুতের খুঁটির সঙ্গে ধাক্কা লেগে স্বামী-স্ত্রীর মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (৫ এপ্রিল) সকাল ৮টার দিকে ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটের লক্ষ্মীকুড়া বাজার এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন- কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার সাইদুর রহমান (২৮) তার স্ত্রী সোনিয়া আক্তার (২২)। পুলিশ ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সাইদুর রহমান ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে চাকরি করতেন। ঈদের ছুটিতে স্ত্রী সোনিয়া আক্তারকে নিয়ে তিনি মোটরসাইকেলে করে নিজ বাড়ি কুড়িগ্রামের রৌমারী যাচ্ছিলেন। পথে লক্ষ্মীকুড়া বাজার এলাকায় পৌঁছাতেই একটি বিদ্যুতের খুঁটির সঙ্গে তাদের মোটরসাকেলের ধাক্কা লাগে। এতে এতে ঘটনাস্থলেই সাইদুরের মৃত্যু হয়। আর স্থানীয়রা তার স্ত্রীকে উদ্ধার করে হালুয়াঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। হালুয়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহবুবুল হক বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে থানায় রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
০৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৬:৪০

ঈদে সবাইকে বাড়ি পাঠানো সম্ভব নয় : রেলমন্ত্রী
রেলমন্ত্রী মো. জিল্লুল হাকিম বলেছেন, ঈদে যত লোক বাড়িতে যাবে, তাদের সবাইকে তো আমাদের পক্ষে পাঠানো সম্ভব নয়। তবে যারা আসন পাবেন না তারা যেন অন্তত দাঁড়িয়ে যেতে পারেন, সেজন্য আলাদা টিকিটের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এবার যাত্রীরা যেন নিরাপদে বাড়িতে গিয়ে ঈদ করতে পারে সেজন্য আমাদের রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সার্বিক প্রস্তুতি নিয়েছে। ঈদে ট্রেনের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। একই সঙ্গে বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। যাত্রী পরিবহন স্বার্থে আগামী এক বছরের মধ্যে ৮০০টি কোচ ও লোকমোটিভ রেলওয়ে বহরে যুক্ত করতে চান জানিয়ে তিনি বলেন, রেলের সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য কোচ আমদানি করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে ২০০টি বগি আমদানির অনুমতি পেয়েছি। বুধবার (৩ এপ্রিল) ঢাকা রেলস্টেশনে ট্রেনে ঈদযাত্রা পরিদর্শন করতে এসে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। টিকিট কালোবাজারি বন্ধে মো. জিল্লুল হাকিম বলেন, আমরা আমাদের চেষ্টার ত্রুটি রাখি নাই। এবার ঈদে কালোবাজারি যেন টিকিট নিতে না পারে সেজন্য আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি। এসব ব্যবস্থা কিন্তু যাত্রীদের কল্যাণের জন্য। নিরাপত্তা রক্ষার জন্য আমাদের নিজস্ব নিরাপত্তা বাহিনী আছে, র‌্যাব, পুলিশসহ সরকারি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আমাদের সহযোগিতা করছে। সাধ্যমতো আমরা আমাদের প্রস্তুতি নিয়েছি। দুর্নীতি প্রসঙ্গে জিল্লুল হাকিম বলেন, কেনাকাটায় সব জায়গাতেই কিছু না কিছু দুর্নীতি থাকে। অনেক বড় বড় জায়গায়ও হয়ে থাকে। অনেক নামীদামি জায়গাতেও ক্রয়ের ক্ষেত্রে কিছুটা দুর্নীতি থাকে। সেক্ষেত্রে রেল অনেক ছোট জায়গা। তারপরও আমরা চেষ্টা করছি যেন আমাদের রেলে কোনো ধরনের এরকম কিছু না থাকে। আমরা চেষ্টা করব সবরকম দুর্নীতি বন্ধ করতে। কোনো সংস্থাই চায় না সেই সংস্থার মধ্যে দুর্নীতি থাকুক। আমরাও চাই না রেলের মধ্যে দুর্নীতি থাকুক।
০৩ এপ্রিল ২০২৪, ২০:০০
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়