• ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo
ছেলের মুক্তির খবর শুনে আবেগাপ্লুত বাবা-মা
‘ছেলেকে ছাড়া ঈদের দিন আমরা আনন্দ করতে পারি নাই। ছেলে কখন খুশির সংবাদ দেবে সে অপেক্ষায় থাকতাম। আজ টিভিতে দেখতে পেলাম আমার ছেলেসহ সবাই মুক্তি পেয়েছে। এ কাথাটা টিভিতে শোনার পর আজ মনে হচ্ছে, আজকে আমাদের ঈদের দিন। তারপর ছেলে সকালের দিকে কল দিয়ে বলে বাবা ভালো আছি চিন্তা করো না। যেদিন আমার ছেলে আমার বুকে আসবে, সেদিন আরও বেশি আনন্দ হবো। মনটা ভরে যাবে আনন্দে।’  আবেগে আপ্লুত হয়ে এ কথাগুলো বলছিলেন নাবিক সাব্বিরের বাবা হারুন অর রশীদ।   নাবিক সাব্বিরের মুক্তির খবর শুনে তার পরিবারে খুশির বন্যা বইছে। সাব্বিরের বাসায় যেন আজ ঈদের আনন্দ লেগেছে।  পরিবার সূত্রে জানা যায়, সোমালিয়ার জলদস্যুদের কবল থেকে মুক্তি পাওয়া নাবিক সাব্বির হোসনের টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার সহবতপুর ইউনিয়নের ডাঙা ধলাপাড়া গ্রামে। নাগরপুরের সহবতপুর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২০১৪ সালে থেকে এসএসসি পাস করে। টাঙ্গাইল শহরের কাগমারি এম এম আলী কলেজ থেকে ২০১৬ সালে এইচএসসি পাস করে ভর্তি হন চট্টগ্রাম মেরিন একাডেমিতে। সেখান থেকে কৃতিত্বের সঙ্গে পাস করে ২০২২ সালের জুন মাসে এমভি আব্দুল্লাহ নামের পণ্য বহনকারী একটি জাহাজে মার্চেন্ট কর্মকর্তা হিসেবে চাকরি নেন।  সাব্বিরের মা সালেহা বেগম বলেন, ‘সাব্বিবের সঙ্গে একটু কথা হয়েছে। বলেছে মা চিন্তা করো না আমরা মুক্তি পেয়েছি, সবাই ভালো আছি। এ কথা শোনার পর যেন মনটা ভরে গেল। ঈদের দিন আনন্দ করতে পারি নাই, ছেলের চিন্তায়। একটা মাস কিভাবে কেটেছে তা বলতে পারবো না। আজ যখন ছেলে কল দিয়ে বললো, মুক্তি পেয়েছি, ভালো আছি। কথাটা শোনার পর থেকে আজ যেন ঈদ মনে হচ্ছে। ছেলেকে কাছে পেলে আনন্দটা আরও বেশি বেড়ে যাবে, খুশি হবো।’  সাব্বিবের বোন মিতু আক্তার বলেন, ‘ভাইয়ের জন্য দুশ্চিন্তায় এক মাস আমাদের বিষাদের দিন কেটেছে। সকালে এক-দুই মিনিটের মতো আমার ভাইয়ের সঙ্গে আমি ও বাবা-মা কথা বলেছি। আমার ভাই বলেছে, আমরা সবাই ভালো আছি ও সুস্থ আছি। এ কথা শোনার পর আমাদের খুব ভালো লাগছে। খুব খুশি লাগছে। তবে আনন্দটা আরও বেড়ে যাবে আমার ভাই আমাদের কাছে আসলে। কবে দেশে আসবে তা এখনও বলতে পারছি না। আল্লাহর কাছে হাজার শুকরিয়া, সুস্থভাবে মুক্তি পেয়েছে। ঈদের দিন আমাদের আনন্দ ছিল না, আজ আমাদের ঈদের দিনের মতো লাগছে।’  নাগরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রেজা মো. গোলাম মাসুম প্রধান বলেন, এখনও সাব্বিরের পরিবারের সঙ্গে কথা হয়নি।  উল্লেখ, এমভি আবদুল্লাহ জাহাজটি গত ১২ মার্চ ভারত মহাসাগরে সোমালিয়ান জলদস্যুদের কবলে পড়ে। ওই জাহাজের ২৩ নাবিককে জিম্মি করা হয়। জাহাজটি কয়লা নিয়ে আফ্রিকার দেশ মোজাম্বিকের মাপুতো বন্দর থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতের আল হারামিয়া বন্দরের দিকে যাচ্ছিল। 
১৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:৫৯

একমাত্র ছেলেকে হারিয়ে বাকরুদ্ধ বাবা-মা
রাজধানী বেইলি রোডে ভবনে অগ্নিকাণ্ডে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী তুষার হালদার নিহত হয়েছেন। নিহত তুষার হালদার ‘স্টার টেক’ নামের একটি আইটি কোম্পানিতে কর্মরত ছিলেন। আগে তিনি ‘দ্য রিপোর্ট’ অনলাইন পত্রিকাতে ভিডিও এডিটর হিসেবে কাজ করতেন। শনিবার (২ মার্চ) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, তুষারের গ্রামে বাড়ি ঝালকাঠির কাঠালিয়ার তালগাছিয়াতে চলছে মাতম। মা অঞ্জনা রানী হাওলাদার ও বাবা দিনেশ হাওলাদার তাদের একমাত্র ছেলে তুষারকে হারিয়ে বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন। ছোট বোন অদিতিও কান্নায় ভেঙে পড়েছেন।  শুক্রবার বিকেলে তুষারের বাবা দীনেশ হালদার অ্যাম্বুলেন্সে করে একমাত্র ছেলের মরদেহ বাড়িতে নিয়ে আসতে না আসতেই এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। মরদেহ এক নজর দেখার জন্য গ্রামের শত শত লোক বাড়িতে ভিড় জমান। এ সময় হৃদয় বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়।  তুষারের বাবা দীনেশ হালদার ঢাকা বারডেম হাসপাতালে চাকরি করেন। তারা সপরিবারে ঢাকায় বসবাস করত। দীনেশের ২ সন্তানের মধ্যে তুষার বড় ও অদিতি ছোট। তুষার ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি থেকে সাংবাদিকতা বিভাগে সদ্য অনার্স সম্পন্ন করেছেন। কিছু দিন সাংবাদিকতাও করেছেন। আমাগী ১০ মার্চ ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সমর্বতন অনুষ্ঠানে ছেলের সঙ্গে যাওয়ার কথা ছিল মা ও বাবার।   কিন্তু অগ্নিকাণ্ডে সব স্বপ্ন ভেঙে চুরমার হয়ে যায়। বৃহস্পতিবার রাতে তুষার ওই রেস্টুরেন্টে খেতে গিয়েছিলো। শুক্রবার রাতে তালগাছিয়া গ্রামের পারিবারিক সমাধিতে তুষারের শেষকৃত্য সম্পন্ন হন। তার এ অকাল মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
০২ মার্চ ২০২৪, ১৬:৪৮

নবজাতক হাসপাতালে ফেলে উধাও বাবা-মা
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে এক নবজাতককে ফেলে রেখে পালিয়ে গেছেন বাবা-মা। শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে নবজাতকটিকে ২৬ নম্বর শিশু ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রেখে ইমার্জেন্সি থেকে ভর্তির কাগজ আনার কথা বলে বাবা-মা পরিচয় দেয়া দুজন আর ফিরে আসেননি। শিশুটিকে বর্তমানে ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে হাসপাতালের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন রয়েছে। ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের নার্স ও আনসার সদস্যরা জানান, প্রায় ৩০ বছর বয়সী দুজন ছেলে মেয়ে নবজাতকটি ওয়ার্ডে নিয়ে আসে। চিকিৎসা চলা অবস্থায় গেট থেকে ভর্তির কাগজ নিয়ে আসার নাম করে তারা চলে যায়। তারপর আর ফিরে আসেনি।  হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, বিকেলে হাসপাতালের ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে একটি সদ্য ভূমিষ্ঠ ছেলে বাচ্চাকে দুজন তরুণ তরুণী শ্বাস কষ্টের কথা বলে ভর্তি করাতে নিয়ে আসে। নার্সরা নবজাতককে ভর্তির কাগজ আনার কথা বললে তারা ভর্তির কাগজ আনার কথা বলে নার্সের তত্ত্বাবধানে বাচ্চাটিকে রেখে চলে গিয়ে আর ফিরে আসেনি। এখন পর্যন্ত শিশুটি হাসপাতালের তত্ত্বাবধানে আছে। আজ রোববারও কেউ শিশুটির খোঁজ নিতে আসেনি। তাই আমরা বিষয়টি সমাজসেবা অধিদপ্তরকে অবগত করেছি। ইতিমধ্যে নগরীর রাজপাড়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। নবজাতককের বাবা-মাকে খুঁজে না পেলে আদালতের মাধ্যমে শিশুটিকে সমাজসেবা অধিদপ্তরের ছোটমনি নিবাসে হস্তান্তর করা হবে। এ বিষয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (ইএমও) ডা. শংকর কে বিশ্বাস জানান, শিশুটি এখন সুস্থ আছে, এরইমধ্যে হাসপাতালে রেখে যাওয়া সেই নবজাতকটির বিষয়ে সব জয়াগায় জানানো হয়েছে। কিন্তু এখনো তার প্রকৃত অভিভাবক খুঁজে পাওয়া যায়নি। তাই আদালতের মাধ্যমে শিশুটিকে সমাজসেবা অধিদপ্তরের ছোটমনি নিবাসে হস্তান্তর করা হতে পারে। 
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৯:২০

বাবা-মা বাড়ি ফিরে দেখলেন মেয়ে আড়ায় ঝুলছে
মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে অনামিকা মন্ডল (১৫) নামে এক স্কুলছাত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার শেখরনগর ইউনিয়নের শেখরনগর দক্ষিণহাটী গ্রাম থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। অনামিকা শেখরনগর দক্ষিণহাটী গ্রামের অটোরিকশাচালক নারায়ণ মন্ডলের মেয়ে ও রায় বাহাদুর শ্রীনাথ ইনস্টিটিউশনের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী। শেখরনগর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান দেবব্রত সরকার টুটুল বলেন, ঘটনার সময় অনামিকার বাবা-মা বাড়িতে ছিল না। তারা এক এনজিওতে গিয়েছিল। রাতে বাড়ি ফিরে মেয়ের ঘরে গিয়ে দেখে ওড়না প্যাঁচানো মরদেহ আড়ায় ঝুলছে। সিরাজদিখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মুজাহিদুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, মরদেহ রাতেই উদ্ধার করে থানায় নেওয়া হয়েছে।  মঙ্গলবার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে মামলা প্রক্রিয়াধীন।
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২১:৩৮

বাবা-মা ও মেয়েকে গলা কেটে হত্যার ঘটনায় মামলা
সিরাজগঞ্জের তাড়াশ পৌর এলাকায় এক দম্পতি ও তাদের মেয়েকে হত্যার ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় পূর্বশত্রুতার জেরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) সন্ধ্যার পর নিহত বিকাশ সরকারের স্ত্রীর বড় ভাই সুকমল চন্দ্র দাস বাদী হয়ে অজ্ঞাতদের আসামি করে মামলাটি করেন। তাড়াশ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নজরুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।  ওসি বলেন, মামলার বাদী সুকমলের বাড়ি বগুড়ার নন্দীগ্রামে। মামলার এজাহারে পূর্বশত্রুতার জেরে বোন জামাই, বোন ও ভাগনিকে হত্যা করা হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেছেন। তবে রাত ৯টা পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি বলে জানান। প্রসঙ্গত, সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার পৌর এলাকার বারোয়ারি বটতলা মহল্লায় তিনতলা নিজ বাসায় থাকতেন ব্যবসায়ী বিকাশ সরকার, তার স্ত্রী স্বর্ণা সরকার ও তাদের দশম শ্রেণি পড়ুয়া মেয়ে পারমিতা সরকার তুষি। গেল শনিবার সন্ধ্যা থেকে তাদের বারবার কল দিলেও ফোন না ধরায় দুশ্চিন্তায় পড়েন স্বজনেরা। পরে স্থানীয় প্রতিবেশীদের মাধ্যমে খোঁজ নিলে জানতে পারেন বাসা তালাবদ্ধ। এদিন মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) ভোরে তাড়াশ থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে বাসার তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করলে বিকাশ ও তার স্ত্রী কন্যার গলাকাটা মরদেহ দেখতে পায়। এ ঘটনায় হতবাক স্বজনেরা। খবর পেয়ে র‌্যাব, পুলিশ, সিআইডি ও পিবিআইয়ের একাধিক টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আলামত সংগ্রহ করেন। মরদেহগুলো উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ। নিহতরা হলেন- ওই এলাকার কালিচরণ সরকারের ছোট ছেলে বিকাশ সরকার (৪৫), তার স্ত্রী স্বর্ণা রানী সরকার (৪০) ও তাদের একমাত্র সন্তান তাড়াশ সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী পারমিতা সরকার তুষি (১৫)।
৩০ জানুয়ারি ২০২৪, ২৩:৪৫
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়