• ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo
১০০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাবে রপ্তানি : বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
আগামীতে দেশের রপ্তানি ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়িয়ে যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু।  মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর পূর্বাচলে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে ‘২৮তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা ২০২৪’ এর সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। প্রতিমন্ত্রী বলেছেন, আমাদের লক্ষ্য একটাই, বিশ্ববাজারে বহুমুখী পণ্য প্রমোট করা। সহজ ভাষায় বলতে, বিদেশে যদি একটি শপিংমল থাকে, সেখানে যেমন বাংলাদেশের গার্মেন্টস পণ্য থাকতে পারে, তেমনিভাবে আমাদের প্রস্তুতকৃত চামড়াজাত ও ফার্মাসিউটিক্যাল পণ্যও থাকতে পারে। তিনি বলেন, বর্তমানে আমাদের দেশে ভালো একটা সাপ্লাই চেইন তৈরি হয়েছে। এখানে আমরা যদি বাকি পন্যগুলো আনি, তাহলে রপ্তানির ক্ষেত্রে আমাদের লক্ষ্যমাত্রা ১০০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাবে। বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, বাণিজ্যমেলার উদ্বোধনী দিনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজে মেলাপ্রাঙ্গণ ঘুরে দেখেছেন এবং বিভিন্ন পণ্য কিনেছেন, যা আমাদের অনেক বেশি অনুপ্রাণিত করে। প্রধানমন্ত্রী বর্ষপণ্য হিসেবে হস্তশিল্পকে প্রাধান্য দিয়েছেন। প্রথম মন্ত্রিসভায় বাণিজ্য কূটনীতি বাড়ানোর তাগিদ দিয়েছেন তিনি। সামনের দিনে হস্তশিল্পকে নিয়ে বিশেষ পরিকল্পনা নেওয়া হবে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আগামী বাণিজ্যমেলায় হস্তশিল্পের জন্য বিশাল আকৃতির প্যাভিলিয়ন করা হবে। আগামী বছর দ্বিতল মেলার আয়োজন করা হবে জানিয়ে আহসানুল ইসলাম টিটু আরও বলেন, মেলা প্রাঙ্গণের নিচতলায় স্টলগুলো থাকবে। আর দোতলায় কনফারেন্স হলে ব্যবসায়ীদের আরও বেশি দক্ষ করে গড়ে তুলতে বিভিন্ন রকমের কনফারেন্স বা সেমিনারের ব্যবস্থা করা হবে। এর মাধ্যমে বাণিজ্যে আমরা এক প্রকার বহুমুখীকরণের ব্যবস্থা করব। সমাপনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ। তিনি বলেন, আমরা বৈদেশিক মুদ্রার চাপে আছি। আমাদের ব্যবসায়ীরা যদি রপ্তানির পরিমাণ বাড়াতে পারেন তাহলে বৈদেশিক মুদ্রার সংকট কাটিয়ে উঠতে পারব।
২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২১:১১

৩৯১ কোটি টাকার রপ্তানি আদেশ মিলেছে এবারের বাণিজ্যমেলায় 
পর্দা নেমেছে ২৮তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা ২০২৪ এর। মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর পূর্বাচলে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে সমাপনী অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে এ বছরের মতো সাঙ্গ হলো মেলার আয়োজন। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো এ সমাপনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। ক্রেতা সংকটে লোকসানের অজুহাত দেখিয়ে বাণিজ্যমেলার সময়সীমা বাড়ানোর জন্য বেশ কিছুদিন ধরে ব্যবসায়ীরা দাবি জানিয়ে এলেও হিসাব শেষে দেখা গেছে, গত বছরের তুলনায় এবারের আয়োজনে লাভ হয়েছে বেশ ভালোই।      সমাপনী অনুষ্ঠানে দেওয়া বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, প্রায় ৩৫ দশমিক ৬২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, অর্থাৎ ৩৯১ দশমিক ৮২ কোটি টাকার রপ্তানি আদেশ পাওয়া গেছে এবারের বাণিজ্যমেলায়। গত বছরের তুলনায় যা ১৭ দশমিক ২৫ শতাংশ বেশি। এবারের মেলায় পণ্য বেচাকেনাও হয়েছে গতবারের তুলনায় ১৫ শতাংশ বেশি। আনুমানিক প্রায় ৪০০ কোটি টাকার পণ্য বিক্রি হয়েছে এ বছরের আয়োজনে। উল্লেখ্য, দেশীয় পণ্যের প্রচার, প্রসার, বিপণন, উৎপাদনে সহায়তার লক্ষ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও ইপিবির যৌথ উদ্যোগে ১৯৯৫ থেকে এই ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা আয়োজিত হয়ে আসছে। স্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কারণে এ বছর কিছুটা বিলম্বে শুরু হয় বাণিজ্যমেলা। ২১ জানুয়ারি মেলার উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শিডিউল অনুযায়ী আজ মঙ্গলবার ছিল আয়োজনের শেষদিন।   মেলার শেষ দিনে বিভিন্ন স্টল-প্যাভিলিয়নে বিভিন্ন অফার চললেও ক্রেতাদের চাপ তুলনামূলক অনেক কম লক্ষ্য করা গেছে। ব্যবসায়ীদের প্রত্যাশা ছিল, শেষ দিনে সকাল থেকেই ক্রেতা-দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড় থাকবে। তবে তার বিপরীত চিত্র লক্ষ করা গেছে মেলা প্রাঙ্গণে। ক্রেতাদের চাপ কম থাকায় অধিকাংশ ব্যবসায়ীকে অলস সময় পার করতে দেখা গেছে। মেলার শেষদিন উপলক্ষে বিকেলে আয়োজিত হয় সমাপনী অনুষ্ঠান। সেখানে সভাপতিত্ব করেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো ভাইস চেয়ারম্যান এ এইচ এম আহসান। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম। ইপিবি’র (রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো) পক্ষ থেকে জানানো হয়, মেলায় এবার মোট ৩০৪টি দেশি-বিদেশি প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করেছে। বাংলাদেশ ছাড়াও ৫টি দেশের ৯টি প্রতিষ্ঠান অংশ নেয় এবারের বাণিজ্যমেলায়। দেশগুলো হলো- ভারত, হংকং, তুরস্ক, ইন্দোনেশিয়া ও সিঙ্গাপুর।  এবারের বাণিজ্যমেলায় বিভিন্ন ক্যাটাগরির প্যাভিলিয়ন, রেস্তোরাঁ ও স্টলের মোট সংখ্যা ছিল ৩৫১টি; যা বিগত বছরে ছিল ৩৩১টি। অত্যাধুনিক সুযোগ-সুবিধা সংবলিত শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত এক্সিবিশন সেন্টারের ১ লাখ ৬৬ হাজার ৩০০ বর্গফুট আয়তনের দুইটি হলে (এ ও বি) বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল ১৭৪টি স্টল। সেন্টারের প্রধান ফটকের পূর্বপাশে বিভিন্ন ক্যাটাগরির প্যাভিলিয়নসহ প্রিমিয়ার ও সংরক্ষিত ক্যাটাগরির স্টল ছিল ৬২টি। হলের পেছনে ফরেন ক্যাটাগরির প্যাভিলিয়ন এবং প্রিমিয়ার ক্যাটাগরির প্যাভিলিয়নসহ প্রিমিয়ার ও সংরক্ষিত ক্যাটাগরির স্টল ছিল ৫৩টি। এছাড়া সেন্টারের মূল কম্পাউন্ডের বাইরে ৬ একর জমির একাংশে ফুড জোনে ৩২টি রেস্তোরাঁ ও মিনি রেস্তোরাঁ এবং সাধারণ ও সংরক্ষিত ক্যাটাগরির স্টল ছিল ৬২টি।
২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২০:২৫

ছুটির দিনে জমে উঠেছে বাণিজ্যমেলা
ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলার ২৮তম আসরের পর্দা নামবে আর মাত্র তিনদিন পর। তাই আজ সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় মেলায় দর্শনার্থীদের ব্যাপক উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। মেলার শেষ সময়ে এসে ক্রেতার সংখ্যা বেড়েছে। তাই হাসি ফুটেছে বিক্রেতাদের মুখে। সব মিলিয়ে শেষ সময়ে এসে জমে উঠেছে বাণিজ্যমেলা। শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সরেজমিনে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলায় এমন চিত্র দেখা যায়। সরেজমিনে দেখা গেছে, শনিবার সকাল থেকেই মেলায় আসতে থাকেন ক্রেতা-দর্শনার্থীরা। স্টল-প্যাভিলিয়নগুলোতে ক্রেতাদের সংখ্যা বেড়েছে। সকাল থেকেই মেলায় ক্রেতা-দর্শনার্থীরা আসতে থাকলেও বিকেল হতেই তা কয়েক গুণ বেড়ে যায়। এতে খুশি মেলার আয়োজক ও ব্যবসায়ীরা। দর্শনার্থী কাওসার খান বলেন, গত মাসে মেলা শুরু হলেও আসার সময় হয়নি। আজ সময় করে পরিবার নিয়ে চলে এসেছি। ঘুরাঘুরির পাশাপাশি কিছু কেনাকাটাও করব। সাকিব বেপারি নামের এক বিক্রেতা বলেন, সকাল থেকেই মেলায় দর্শনার্থীরা আসতে শুরু করেছেন। সকাল থেকে মোটামুটি বেচাকেনা ভালো। মেলার শেষ সময়ে এসে বিক্রি ভালো হবে বলে মনে হচ্ছে। মেলার পরিচালক বিবেক সরকার বলেন, গতবারের তুলনায় এবারের মেলায় ক্রেতা-দর্শনার্থীর বেশি ভিড় রয়েছে। মেলায় আগত ক্রেতা-দর্শনার্থীর জন্য আমাদের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। আশা করছি, শেষ কয়েকদিন মেলায় আরও মানুষের সমাগম ঘটবে। ২০ ফেব্রুয়ারি মেলা শেষ হবে। মেলার সময় বাড়ানো হবে না। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইবিপি) সূত্রে জানা গেছে, এ বছর দোকান বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে মোট ৩৩০টি, যা গত বছর ছিল ৩৩১টি। এবারের মেলায় ভারত, পাকিস্তান, হংকং, তুর্কিসহ অন্তত ১৮ থেকে ২০টি দেশ থেকে ব্যবসায়ীরা মেলায় অংশগ্রহণ করেছেন। এ আসরে মেলার প্রধান ফটকটি করা হয়েছে বঙ্গবন্ধু টানেলের আদলে। গত আসরে মেলার বড়দের প্রবেশ ফি ৪০ টাকা থাকলেও এবার তা ৫০ টাকা করা হয়েছে। আর শিশুদের প্রবেশ ফি ২০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২৫ টাকা ধরা হয়েছে। শারীরিক প্রতিবন্ধী ও মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য প্রবেশ ফ্রি করা হয়েছে। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত আর ছুটির দিন রাত ১০টা পর্যন্ত মেলা চলছে। রাজধানীর ফার্মগেট ও কুড়িল বিশ্বরোড থেকে মেলায় দর্শনার্থীদের যাতায়াতের জন্য আলাদা বাস ছাড়বে। এ জন্য ফার্মগেট থেকে ৭০ টাকা ও কুড়িল থেকে ৩৫ টাকা মূল্যের টিকিট কাটতে হবে দর্শনার্থীদের।
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৮:২৯

ছুটির দিনে জমে উঠেছে বাণিজ্যমেলা
শুরুর প্রথম ছুটির দিনে জমে উঠেছে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের পূর্বাচলে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী প্রদর্শনীকেন্দ্রে শুরু হওয়া ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার ২৮তম আসর। শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) সকাল থেকেই মেলায় ক্রেতা-দর্শনার্থীদের ভিড় থাকলেও বিকেল হতেই তা কয়েক গুণ বেড়ে যায়। এতে খুশি মেলার আয়োজক ও ব্যবসায়ীরা। তাদের ভাষ্য, মাসের শেষ শুক্রবার না হলে ক্রেতাদের চাপ আরও বাড়তো। সরেজমিনে দেখা গেছে, বিগত দিনগুলোর তুলনায় শুক্রবার সকাল থেকেই ক্রেতা-দর্শনার্থীদের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। স্টল-প্যাভিলিয়নগুলোতে ক্রেতাদের সংখ্যা কম হলেও প্রাঙ্গণজুড়ে তাদের পদচারণা বেশি। অ্যালুমিনিয়ামের বিশাল পণ্যের সমাহার নিয়ে বসা দিল্লি অ্যালুমিনিয়ামের বিক্রেতা আমির হোসেন বলেন, গত শনিবার মেলা শুরুর পর থেকে আজ ক্রেতা সবচেয়ে বেশি। তবে মাসের শেষের দিকে অনেকের হাত খালি। আমরা আশা করছি, আগামী মাসের শুরু থেকে বেচাকেনা খুব ভালো হবে। একাধিক স্টলে কথা বলে জানা গেছে, শুরুর পর থেকে আজকের মত এতো ক্রেতা-দর্শনার্থী দেখা যায়নি। দর্শনার্থী অনেক বেশি বলে বিক্রিও বেড়েছে। তার আশা করছেন আগামী মাসের শুরু থেকে মেলা জমে উঠবে। মেলায় দেশি-বিদেশি প্যাভিলিয়নগুলোতে ভিড় ছিল লক্ষণীয়। মেলা উপলক্ষে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান দিচ্ছে নানা ধরনের ছাড় ও উপহার। বিভিন্ন কোম্পানির বিক্রয় কর্মীরা বলছেন, প্রতিবছরই মেলা উপলক্ষে সব ধরনের পণ্যে বিশেষ ছাড় দেওয়া হয়। ফলে স্টল-প্যাভিলিয়নে ছুটে আসেন গ্রাহকরা। প্রতিবার মেলায় বেচা-বিক্রি বাড়ানোর জন্য বিক্রেতারা নানা অফার দিয়ে থাকেন। কোনো কোনো বিক্রেতা একটি পণ্যের সঙ্গে একটি পণ্য ফ্রি দিচ্ছেন। অনেকে তাদের পণ্য প্যাকেজ (১টির সঙ্গে ৫/১০ গিফট) আকারে বিক্রি করছেন। আবার কেউ কেউ পণ্যের মূল্যের উপর সরাসরি ১০ থেকে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় দিচ্ছেন। মেলায় ঘুরতে আসা আতিকুর রহমান জানান,  মেলায় পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ঘুরতে এসেছি। আজ অফিস ছুটি ছিল। মেলা ঘুরে দেখছি, কয়েকটা জিনিস কিনবো। পছন্দ হলেই কিনে ফেলবো। রূপগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছালাউদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, এবার মেলায় যাতায়াতে চারদিক থেকে বিআরটিসি বাসসহ গণপরিবহন রয়েছে। ফলে খুব সহজে মেলা ঘুরে যেতে পারেন যে কেউ। ফলে গত বছরের চেয়ে ভালো সাড়া পাওয়া যাবে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এ এইচ এম আহসান বলেন, বর্তমানে ২৬ একর জায়গার ওপর আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আরও ৯ একর জায়গা সম্প্রসারণের কাজ চলছে। বাণিজ্যমেলায় নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে র‌্যাব, পুলিশ ও আনসার সদস্যরা নজরদারি চালাচ্ছেন। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যু‌রোর সচিব বিবেক সরকার বলেন, প্রতিবছরের মতো এবারও ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলার পরিবেশ সুষ্ঠু, নিরাপদ ও পরিচ্ছন্ন রাখতে সর্বাত্মক সহযোগিতা করছি। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইবিপি) সূত্রে জানা গেছে, এ বছর দোকান বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে মোট ৩৩০টি, যা গত বছর ছিল ৩৩১টি। এবারের মেলায় ভারত, পাকিস্তান, হংকং, তুর্কিসহ অন্তত ১৮ থেকে ২০টি দেশ থেকে ব্যবসায়ীরা মেলায় অংশগ্রহণ করেছেন। এ আসরে মেলার প্রধান ফটকটি করা হয়েছে বঙ্গবন্ধু টানেলের আদলে। গত আসরে মেলার বড়দের প্রবেশ ফি ৪০ টাকা থাকলেও এবার তা ৫০ টাকা করা হয়েছে। আর শিশুদের প্রবেশ ফি ২০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২৫ টাকা ধরা হয়েছে। শারীরিক প্রতিবন্ধী ও মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য প্রবেশ ফ্রি করা হয়েছে। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত আর ছুটির দিন রাত ১০টা পর্যন্ত মেলা চলছে। রাজধানীর ফার্মগেট ও কুড়িল বিশ্বরোড থেকে মেলায় দর্শনার্থীদের যাতায়াতের জন্য আলাদা বাস ছাড়বে। এ জন্য ফার্মগেট থেকে ৭০ টাকা ও কুড়িল থেকে ৩৫ টাকা মূল্যের টিকিট কাটতে হবে দর্শনার্থীদের।
২৬ জানুয়ারি ২০২৪, ১৯:৪০

বাণিজ্যমেলা কবে থেকে শুরু, চূড়ান্ত তারিখ জানালেন সচিব
দেশের পণ্য প্রদর্শনীর সব থেকে বড় আয়োজন ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা। চলতি বছর রাজধানীর পূর্বাচলে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী প্রদর্শনী কেন্দ্রে এই মেলা শুরু হবে। দেশের পণ্য প্রদর্শনীর সব থেকে বড় আয়োজন এই মেলা। দেশীয় পণ্যের পাশাপাশি বিভিন্ন দেশের পণ্য শোভা পায় এ মেলায়। প্রতি বছর মেলা ১ জানুয়ারি শুরু হলেও এবার জাতীয় নির্বাচনের কারণে পিছিয়ে যায়। তবে, ইতোদিন মেলা শুরুর নির্দিষ্ট তারিখ নির্ধারণ করা হয়নি। অবশেষে চূড়ান্ত তারিখ জানিয়েছেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব তপন কান্তি ঘোষ। সোমবার (১৫ জানুয়ারি) রাতে গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, চলতি বছর ২১ জানুয়ারি থেকে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা শুরু হবে। মাসব্যাপী এই মেলার উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এদিকে, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) মহাপরিচালক-১ মাহবুবুর রহমান জানান, ২১ জানুয়ারি থেকে বাণিজ্যমেলা শুরু হয়ে ২০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে। এবারের মেলায় ১৫ থেকে ১৮টি দেশ অংশ নেবে। মেলায় স্টল সংখ্যা ৩০০টি। ইতোমধ্যে মেলা মাঠের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। ১৯৯৫ সাল থেকে ঢাকায় এ মেলা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। রীতি অনুযায়ী, নতুন বছরের প্রথম দিন অর্থাৎ ১ জানুয়ারি মেলা শুরু হয়। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর যৌথ উদ্যোগে ২০২১ সাল পর্যন্ত ঢাকার শেরে বাংলা নগরে এ মেলা অনুষ্ঠিত হয়। অবশ্য মহামারি করোনার কারণে ২০২১ সালে এ মেলা হয়নি। ২০২২ সালে মেলার ভেন্যু পরিবর্তন হয়ে পূর্বাচলে চলে যায়। মেলার স্থায়ী ঠিকানা পূর্বাচলের বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টার (বিবিসিএফইসি)। রাজধানীর কুড়িল ফ্লাইওভার এলাকা থেকে ১৪ কিলোমিটার পূর্বদিকে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলায় অবস্থিত। এখানেই ২০২৩ সালেও ১ জানুয়ারি বাণিজ্যমেলা শুরু হয়।
১৬ জানুয়ারি ২০২৪, ০৯:০৮

যেদিন থেকে বাণিজ্যমেলা শুরু
পূর্বাচলের বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে (বিবিসিএফইসি) আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলার এবারের আসর আগামী ২১ জানুয়ারি থেকে শুরু হবে। সোমবার (১৫ জানুয়ারি) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা হায়দার আলী এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাণিজ্যমেলার উদ্বোধন করবেন। পূর্বাচলে বিবিসিএফইসিতে মাসব্যাপী চলবে এ মেলা। ১৯৯৫ সাল থেকে ঢাকায় এ মেলা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। রীতি অনুযায়ী, নতুন বছরের প্রথম দিন অর্থাৎ ১ জানুয়ারি মেলা শুরু হয়। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর যৌথ উদ্যোগে ২০২১ সাল পর্যন্ত ঢাকার শেরে বাংলা নগরে এ মেলা অনুষ্ঠিত হয়। অবশ্য মহামারি করোনার কারণে ২০২১ সালে এ মেলা হয়নি। ২০২২ সালে মেলার ভেন্যু পরিবর্তন হয়ে পূর্বাচলে চলে যায়। মেলার স্থায়ী ঠিকানা পূর্বাচলের বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টার (বিবিসিএফইসি)। রাজধানীর কুড়িল ফ্লাইওভার এলাকা থেকে ১৪ কিলোমিটার পূর্বদিকে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলায় অবস্থিত। এখানেই ২০২৩ সালেও ১ জানুয়ারি বাণিজ্যমেলা শুরু হয়। তবে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কারণে ২০২৪ সালের বাণিজ্যমেলা ১ জানুয়ারি আয়োজন করা সম্ভব হয়নি। ইপিবি বলছে, এবারের বাণিজ্য মেলায় দেশীয় পণ্যের পাশাপাশি ভারত, পাকিস্তান, থাইল্যান্ড, তুরস্ক, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, হংকং, সিঙ্গাপুর, নেপালসহ বিভিন্ন দেশ অংশ নেবে। পণ্য প্রদর্শনের পাশাপাশি দেশীয় পণ্য রপ্তানির বড় বাজার খোঁজার লক্ষ্য রয়েছে।
১৫ জানুয়ারি ২০২৪, ১৭:৫৯

যে দিন থেকে শুরু হচ্ছে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা
দেশের পণ্য প্রদর্শনীর সব থেকে বড় আয়োজন আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা। দেশীয় পণ্যের পাশাপাশি প্রতিবছর ভারত, পাকিস্তান, থাইল্যান্ড, তুরস্ক, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, হংকং, সিঙ্গাপুর, নেপালসহ বিভিন্ন দেশের পণ্য শোভা পায় এ মেলায়। ২০২৪ সালের ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা শুরু করার পরিকল্পনা নিয়েছে মেলার আয়োজক রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) আগামী ২০ অথবা ২১ জানুয়ারি । এ লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে একটি সারসংক্ষেপ পাঠানো হয়েছে। শনিবার (১৩ জানুয়ারি) গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন ইপিবির সচিব বিবেক সরকার। ১৯৯৫ সাল থেকে ঢাকায় এ মেলা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। রীতি অনুযায়ী, নতুন বছরের প্রথম দিন অর্থাৎ ১ জানুয়ারি মেলা শুরু হয়। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর যৌথ উদ্যোগে ২০২১ সাল পর্যন্ত ঢাকার শেরে বাংলা নগরে এ মেলা অনুষ্ঠিত হয়। অবশ্য মহামারি করোনার কারণে ২০২১ সালে এ মেলা হয়নি। ২০২২ সালে মেলার ভেন্যু পরিবর্তন হয়ে পূর্বাচলে চলে যায়। মেলার স্থায়ী ঠিকানা পূর্বাচলের বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টার (বিবিসিএফইসি)। রাজধানীর কুড়িল ফ্লাইওভার এলাকা থেকে ১৪ কিলোমিটার পূর্বদিকে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলায় অবস্থিত। এখানেই ২০২৩ সালেও ১ জানুয়ারি বাণিজ্যমেলা শুরু হয়। তবে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কারণে ২০২৪ সালের বাণিজ্যমেলা ১ জানুয়ারি আয়োজন করা সম্ভব হয়নি। গত ৭ জানুয়ারি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এ নির্বাচনে আওয়ামী নিরঙ্কুশ জয়লাভ করেছে। এরই মধ্যে নতুন সরকারের মন্ত্রিসভাও গঠিত হয়েছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে এসেছেন নতুন প্রতিমন্ত্রী। এ পরিস্থিতিতে এবারের বাণিজ্যমেলা কবে শুরু হতে পারে জানতে চাইলে ইপিবির সচিব বিবেক সরকার বলেন, আমরা ২০ অথবা ২১ জানুয়ারি বাণিজ্যমেলা শুরু করতে চাচ্ছি। এরই মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে একটি সামারি পাঠিয়েছি। এখন ডেট পেলেই মেলা শুরু করতে পারবো। তিনি বলেন, নতুন মন্ত্রিসভা গঠিত হয়েছে। এখন আশা করছি, অল্পসময়ের ভেতরে হয় তো ডেট নিতে পারবো। ২০ বা ২১ জানুয়ারি মেলা শুরু হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। তবে, এটি নির্ভর করছে সরকারপ্রধানের ওপর।
১৩ জানুয়ারি ২০২৪, ২০:৫২
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়