• ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo
মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনায় আমদানিতে বিকল্প ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে : বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যকার সংঘাতময় পরিস্থিতিতে মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে যে উত্তেজনা বিরাজ করছে, তার জেরে দেশে বিভিন্ন পণ্যের দাম যেন না বাড়ে, সেজন্য বিকল্প দেশ থেকে আমদানি এবং সরবরাহ নিশ্চিতের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে মিট দ্য প্রেসে এ তথ্য জানিয়েছেন তিনি। বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, ইরান ও ইসরায়েল হঠাৎ করে সংঘাতে জড়িয়ে পড়েছে। এটা আমাদের জানা ছিল না। মধ্যপ্রাচ্য থেকে জ্বালানি তেলসহ অন্যান্য পণ্য আসে। এখন ইসরায়েল ইরানে পাল্টা হামলা চালাবে কি না, জানি না। তারপর সব বিষয় মাথায় রেখে পণ্যের দাম যেন না বাড়ে, সেজন্য আমরা বিকল্পভাবে পণ্য আনার চেষ্টা করছি। তিনি বলেন, টিসিবির পণ্যকে দোকানের মধ্যে নিয়ে আসার পরিকল্পনা রয়েছে। এ ছাড়া, টিসিবি কার্ড পাওয়া ব্যক্তিদের তালিকা হালনাগাদ করা হবে।
১৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩:৪০

দ্রব্যমূল্য নিয়ে জনসাধারণের মধ্যে স্বস্তি দেখতে পেয়েছি : বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
দ্রব্যমূল্য নিয়ে জনসাধারণের মধ্যে স্বস্তি দেখতে পেয়েছেন বলে দাবি করেছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু। তার মতে, দ্রব্যমূল্য নিয়ে যেসব সমালোচনা এখন হচ্ছে তার সবই রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য করা হচ্ছে।   সোমবার (১৫ এপ্রিল) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় শেষে সাংবাদিকদের সামনে এসব দাবি করেন তিনি। আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, এই ঈদে আমি পাঁচ দিনের জন্য গ্রামের বাড়িতে ছিলাম। মাঠে-ঘাটে ঘুরেছি, মানুষের সঙ্গে মিশেছি। সেখানে সকলের মধ্যে একটা স্বস্তি আমি দেখতে পেয়েছি। ঈদের পর ঢাকাসহ সারাদেশে বৈশাখী মেলা উদযাপন হয়েছে। মেলা থেকে মানুষ বিভিন্নসামগ্রী কিনেছে। সেখানে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা দেখেছি। এ সময় দ্রব্যমূল্য নিয়ে সমালোচনা প্রসঙ্গে প্রতিমন্ত্রী বলেন, রাজনৈতিক কারণে কেউ দ্রব্যমূল্য নিয়ে অসন্তুষ্টি দেখালে সেটা নিয়ে উত্তর না দেওয়াটাই ভালো। উত্তর দেওয়ার কিছু নেই। জনগণই বুঝবে যে তারা ভালো আছে কি না। চ্যালেঞ্জ কাটিয়ে রমজান মাস ভালোভাবে পার করতে পেরেছেন দাবি করে তিনি এরপর বলেন, কেবল রোজার মাস নয়, সারা বছর নিরবচ্ছিন্নভাবে নিত্যপণ্য সরবরাহের জন্য কাজ করে যাব। আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য ও স্থানীয় সরবরাহ ব্যবস্থা আরও শক্তিশালী করব। এদিকে চালের বস্তায় দাম লিখে দেওয়ার বিষয়ে কতদূর কী করলেন? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, এ বিষয়ে খাদ্য মন্ত্রণালয় সঠিক উত্তর দিতে পারবে। কৃষি মন্ত্রণালয় আরো ভালো উত্তর দিতে পারবে। আমাদের মন্ত্রণালয়ের কোনো কিছু থাকলে আমরা সমন্বয় করব। প্রত্যেকটি মন্ত্রণালয় যার যার কাজ করে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কাজ হলো বাজার ব্যবস্থাপনা ও পণ্যের সরবরাহ নিরবিচ্ছিন্ন রাখা; বিশেষ করে, আমদানি করে যেসব জিনিস আনা হয় সেসব তদারকি করা। আর স্থানীয় কৃষিপণ্য ও খাদ্য, এসব বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বললে ভালো হবে। মন্ত্রিসভায় দুটি গুরুত্বপূর্ণ নীতিমালা পাস হওয়ার কথা উল্লেখ করে আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, আমাদের অনেক চাওয়া এই নীতিমালায় স্থান পেয়েছে। আমদানি-রপ্তানি নীতিমালা, জাতীয় লজিস্টিকস নীতিমালা পাস হয়েছে মন্ত্রিসভায়। এই নীতিমালা নিয়ে ব্যক্তিগতভাবে আমি খুবই আশাবাদী।
১৫ এপ্রিল ২০২৪, ২০:০০

ব্রাজিলে বাণিজ্য মানে দক্ষিণ আমেরিকার বাজারে ঢোকার সুযোগ
তৈরি পোশাক ও পাট রপ্তানির জন্য ব্রাজিলে ডিউটি ফ্রি অ্যাকসেস অর্থাৎ শুল্কমুক্ত সুবিধা চেয়েছে বাংলাদেশ। এখন ৩০-৩৫ শতাংশ শুল্ক দিয়ে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক ব্রাজিলের বাজারে যেতে হয়। তবে বিশ্লেষক, কর্মকর্তা ও অর্থনীতিবিদরা মনে করেন, এই দুটি বিষয়ে বাংলাদেশের বাণিজ্য সম্ভাবনা অনেক বেশি। তারা বলছেন, ব্রাজিলের মার্কেটে ঢোকা মানে দক্ষিণ আমেরিকার অন্য বাজারে ঢোকার সুযোগ তৈরি হওয়া। গত অর্থবছরে বাংলাদেশ ব্রাজিল থেকে ২ দশমিক ৩৫ বিলিয়ন ডলারের পণ্য আমদানি করেছে। আর রফতানি করেছে মাত্র ১৭৮ মিলিয়ন ডলারের পণ্য। এর মধ্যে ব্রাজিল থেকে তুলা আমদানিতে বাংলাদেশের অবস্থান চতুর্থ।  রোববার (৭ এপ্রিল) সন্ধ্যায় ব্রাজিলের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ  জানিয়েছেন, বৈঠকে তিনি তুলা আমদানি বাড়ানো ছাড়াও ব্রাজিলে বাংলাদেশি পণ্যের ওপর শুল্ক কমানোর কথা বলেছেন। এছাড়া স্পেশাল ইকনোমিক জোনে ব্রাজিলের বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগ করতে আহবান জানিয়েছেন। প্রসঙ্গত, এখন ৩০-৩৫ শতাংশ শুল্ক দিয়ে বাংলাদেশের তৈরি পোশাককে ব্রাজিলের বাজারে যেতে হয়। ঢাকা সফররত ব্রাজিলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাউরো ভিয়েরোর সাথে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটুর বৈঠকে হয়েছে। ব্রাজিল বাংলাদেশে গরুর মাংস রপ্তানিতে আগ্রহী হলেও বাংলাদেশ চাইছে জীবন্ত গরু আমদানির সুযোগ। পাশাপাশি ব্রাজিল যেন তাদের বাজারে তৈরি পোশাক ও পাটের শুল্কমুক্ত রপ্তানি সুবিধা দেয়, বাংলাদেশ সেই দাবিও জানিয়েছে। ব্রাজিল আগে থেকেই বাংলাদেশে স্বল্পমূল্যে মাংসজাত পণ্য, বিশেষ করে গরুর মাংস রপ্তানির জন্য আগ্রহ প্রকাশ করে আসছিল। বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেছেন, ‌‘ব্রাজিল কম দামে মাংস উৎপাদন ও রপ্তানি করতে পারে। সে বিষয়ে তারা বলেছে। কোরবানি সামনে রেখে আমি বলেছি সস্তা হলে লাইভ ক্যাটল (জীবন্ত গরু) আনার ব্যবস্থা করা যায় কি না। তারা দেখবে বলেছে।’ ব্রাজিলের সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ক জোরদার করা গেলে দক্ষিণ আমেরিকার গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি দেশের বাজারে বাংলাদেশ প্রবেশের সুযোগ পাবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। ব্রাজিলে বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রদূত জুলফিকার রহমান বলেন,  ‘ব্রাজিল অনেক বড় অর্থনীতির দেশ এবং এর বিশাল বাজারে ঢোকার সুযোগ পেলে বাংলাদেশ লাভবানই হবে। এটি এতদিন উপেক্ষিতই ছিলো।’ আর অর্থনীতিবিদ ড. মোস্তাফিজুর রহমান বলছেন, ‘দূরত্বজনিত কারণে বাণিজ্যে খরচ বৃদ্ধিসহ কিছু চ্যালেঞ্জ থাকা সত্ত্বেও ব্রাজিলের বাজারের মাধ্যমে দক্ষিণ আমেরিকার অন্য বাজারগুলোতেও যেতে পারবে বাংলাদেশ। এছাড়া বাংলাদেশে সরকার যে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল করছে সেখানে ব্রাজিল বিনিয়োগ করলে দূরত্ব জনিত পরিবহন খরচ অনেকাংশ কমিয়ে আনা সম্ভব হবে।’ ব্রাজিল-সহ দক্ষিণ আমেরিকার আরও কয়েকটি দেশের সাথে বাংলাদেশ মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি সম্পাদন করতে আগ্রহী এবং এটি হলে বাংলাদেশের জন্য ভালো হবে বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদ মোস্তাফিজুর রহমান। তিনি বলেন, ‘ব্রাজিলে কিছু পণ্যের ওপর ট্যারিফ বিধিনিষেধ আছে। প্রেফারেন্সিয়াল ট্রেড এগ্রিমেন্ট করা গেলে শুল্ক সমস্যার সমাধান হবে। আর মনে রাখতে হবে যে ব্রাজিলের মার্কেটে ঢোকা মানে দক্ষিণ আমেরিকার অন্য বাজারে ঢোকার সুযোগ তৈরি হওয়া।’
০৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৩:৪৯

পেঁয়াজ আমদানিতে আমাদের ঝুঁকি নিতে হয়েছে : বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেছেন, আমাদের এ পেঁয়াজ আনার মধ্যে অনেক ঝুঁকি ছিল। ফাইনালি আমরা যখন ভারতের অনুমতি পেলাম তখনও অনেক দ্বিধাদ্বন্দ্বে ছিলাম। কারণ, দেশে পেঁয়াজের দাম কমে যায় কি না। আবার রোজা শেষ হওয়ার আগে আসবে কি না। তারপরও আমারা এ ঝুঁকি নিয়েছি। আমি মনে করি ঝুঁকিটা সাধারণ মানুষের জন্য সুফল বয়ে আনবে। মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) সকালে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে টিসিবি ভবনের সামনে ভারত থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, ভারত সরকার আবুধাবিতে ১২০০ ডলারে এই পেঁয়াজ বিক্রি করছে। আমরা সেখানে ৮০০ ডলারে নিয়ে এসেছি। আমরা অনেক নেগোশিয়েট করেছি। কারণ, তারা যে দাম ধরিয়ে দিয়েছিল সেই দামে আমরা ভর্তুকি দিয়ে বাজারে পেঁয়াজ ছাড়তে পারব না। আমাদের সিনিয়র বাণিজ্য সচিব অনেক পরিশ্রম করেছেন। সঙ্গে ছিলেন টিসিবির টিম।  পেঁয়াজের মান নিয়ে সন্তুষ্ট প্রকাশ করে তিনি বলেন, এই পেঁয়াজ অন্তত ১৫ দিন সংরক্ষণ করে বাজারে বিক্রি করা যায়। আমরা এই পেঁয়াজের দাম ৪০ টাকা নির্ধারণ করেছি। এখন আমাদের একটা অভিজ্ঞতা হলো। বাকি পেঁয়াজগুলো আনতে আমাদের কোনো সমস্যা হবে না। এর মাধ্যমে আমরা জানতে পেরেছি কত সময়ে আমরা পেঁয়াজগুলো ভারত থেকে আনতে পারব। তিনি আরও বলেন, এখন ১৬৫০ টন পেঁয়াজ এসেছে। বাকি পেঁয়াজগুলো ধীরে ধীরে চলে আসবে। আমরা চাই না আমাদের কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হোক। ভারতের বাইরে আমাদের পেঁয়াজের জায়গা হচ্ছে মিশর ও তুর্কি। সেখান থেকে জাহাজে পেঁয়াজে আনতে হয় এবং এটা আনতে অনেক সময় লাগে। ভারতে নির্বাচন চলছে। তাদের ওখানে কৃষক আন্দোলন চলছে। এরপরও কিন্তু তারা তাদের কমিটমেন্ট রেখেছে। বন্ধুপ্রতিম রাষ্ট্র হিসেবে তারা তাদের কথা রেখেছে। তাদের ট্রেন আমাদের সিরাজগঞ্জ পর্যন্ত এসে পেঁয়াজ দিয়ে গেছে। এ সময় আরও বক্তব্য দেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ, ভোক্তা অধিদপ্তর মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান, ২৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর শামীম হাসান প্রমুখ।
০২ এপ্রিল ২০২৪, ১৩:৩৮

৩ দিনের মধ্যে ভারতের পেঁয়াজ আসবে : বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
ভারতের পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধের প্রভাব বাংলাদেশে পড়বে না জানিয়ে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেছেন, আগামী তিন দিনের মধ্যে ভারত থেকে ট্রেনে করে পেঁয়াজ আসবে। শনিবার (২৩ মার্চ) বিকেলে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। প্রতিমন্ত্রী বলেন, ভারত থেকে পেঁয়াজ আজ কিংবা আগামীকাল (রোববার) ট্রেনে উঠবে। আগামী তিন দিনের মধ্যে বাংলাদেশে পেঁয়াজ প্রবেশ করবে। তিনি বলেন, ভারত থেকে পেঁয়াজ আসা নিয়ে কোনো সমস্যা আছে বলে আমার জানা নেই। ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করেছে কি না  আমি জানি না। আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, বাজার তার আপন গতিতেই চলবে। পাঁচ থেকে ১০ টাকা বাড়লে সেটা নিয়ে কিছু না করা হলেও মজুতদারির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি বলেন, স্বাভাবিক বাজারে বেচাকেনায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কোনোরকম পুলিশি তৎপরতা বা ম্যাজিস্ট্রেসি তৎপরতার প্রয়োজন নেই। বাজারে যথেষ্ট পরিমাণ পণ্যের সরবরাহ আছে এবং দামও যৌক্তিক পর্যায়ে আছে। চালের দাম বৃদ্ধির বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, চাল খাদ্য মন্ত্রণালয়ের বিষয়। এ কারণে আরেক মন্ত্রণালয়ের বিষয়ে কোনো কিছু বলা ঠিক হবে না। এসময় জেলা প্রশাসক কায়ছারুল ইসলাম, পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার, টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সভাপতি জাফর আহমেদসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।
২৩ মার্চ ২০২৪, ২২:৪৮

ইমামদের টিসিবি’র কার্ডের আওতায় আনা হবে : বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
টিসিবির পণ্য বিক্রি কার্যক্রম আরও গতিশীল করার পরিকল্পনার কথা জানিয়ে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেছেন, মসজিদের ইমামদেরকেও পর্যায়ক্রমে টিসিবি’র কার্ডের আওতায় আনা হবে। শনিবার (২৩ মার্চ) তার পিতার নামে প্রতিষ্ঠিত আলহাজ্ব মকবুল হোসেন ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার সকল মসজিদের ইমামদের সঙ্গে পবিত্র মাহে রমজান ও পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন। নাগরপুর উপজেলা মিলনায়তনে উপজেলা ইমাম সমিতি এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। আলহাজ্ব মকবুল হোসেন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মজিবুল ইসলাম পান্নার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রেজা মোহাম্মদ গোলাম মাসুম প্রধান, নাগরপুর থানার ওসি জসিম উদ্দিন, ইসলামিক ফাউন্ডেশেনের সাবেক উপপরিচালক মোহাম্মদ আলী। অনুষ্ঠানে উপজেলার সকল মসজিদের ইমামদের মাঝে ঈদ উপলক্ষে আর্থিক সম্মাননা প্রদান করা হয়।  
২৩ মার্চ ২০২৪, ১৭:৩৯

প্রধানমন্ত্রীর কারণে দেশে কোনো খাদ্য সংকট নেই : বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারণে দেশের কোনো মানুষ খাদ্য সংকটে নেই। সরকার টিসিবির মাধ্যমে সারাদেশে নিম্ন আয়ের মানুষের মাঝে সল্প মূল্যে খাদ্য পণ্য বিক্রি করছে। এ ছাড়াও সরকারের খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির আওতায় খাদ্য পণ্য সরবরাহ করা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজেলার সৈয়দ আব্দুল জব্বার সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের ছয়তলা বিশিষ্ট একাডেমিক ভবন নির্মাণ প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন। এ সময় সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ, শিক্ষকসহ বিভিন্ন পর্যায়ের লোকজন উপস্থিত ছিলেন। বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী পরে দেলদুয়ার উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয় সমূহে ক্লাব স্কাউটিং সম্প্রসারণ (৪র্থ) প্রকল্প এর অর্থায়নে ৭০টি বিদ্যালয়ে ড্রামসেট এবং নিম্ন আয়ের মানুষের মাঝে টিসিবির ফ্যামিলি কার্ড বিতরণ করেন।
২১ মার্চ ২০২৪, ১৭:৪৬

মজুতদারি বন্ধে বাজার পরিদর্শন চলবে : বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেছেন, বাজারে নিত্যপণ্যের পর্যাপ্ত সরবরাহ আছে। অযৌক্তিকভাবে মজুতদারি বন্ধে বাজার পরিদর্শন চলবে, কেউ যাতে কোনো কারসাজি করতে না পারে। মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) টাঙ্গাইলের পার্ক বাজার পরিদর্শন শেষে তিনি এসব কথা বলেন। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। প্রতিমন্ত্রী বলেন, উৎপাদক, পাইকার ও খুচরা ব্যবসায়ী সবাই নিয়মের মধ্যে এলে পণ্যের দাম ধীরে ধীরে কমে যাবে। অযৌক্তিকভাবে মজুতদারি বন্ধে বাজার পরিদর্শন চলবে, কেউ যাতে কোনো কারসাজি করতে না পারে। খুচরা ব্যবসায়ীদের সাবধানতার জন্য পণ্য কেনার রসিদ থাকতে হবে।  এর আগে, টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে এক মতবিনিময় সভায় প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, সামনে প্রতি মাসের টিসিবি পণ্য আগের মাসে পৌঁছে যাবে। উপযুক্ত টিসিবি’র সুবিধাভোগীদের অন্তর্ভুক্ত করতে জনপ্রতিনিধিদের দিয়ে তালিকা হালনাগাদ হচ্ছে। সারাদেশে হস্তশিল্প উন্নয়নে উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার। টাঙ্গাইলের অনেক সম্ভাবনাময় শিল্প আছে যা দেশে-বিদেশে বাণিজ্য বাড়াতে পারে। হস্তশিল্প উন্নয়নে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় প্রশিক্ষণ ও অর্থায়নসহ সকল সুবিধার ব্যবস্থা করতে কাজ করছে। এক্ষেত্রে জেলা প্রশাসনকে মুখ্য ভূমিকা রাখতে হবে। সভায় টাঙ্গাইল জেলার সমস্যা-সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা হয়। জেলার সার্বিক উন্নয়নে নানা সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেন টাঙ্গাইল-৬ আসনের সংসদ সদস্য আহসানুল ইসলাম টিটু।  টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসক কায়ছারুল ইসলামের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন- শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বেগম শামসুন্নাহার, সংসদ সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক (টাঙ্গাইল-১), সংসদ সদস্য ছোট মনির (টাঙ্গাইল-২), সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানা (টাঙ্গাইল-৩), সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী (টাঙ্গাইল-৪), সংসদ সদস্য খান আহমেদ শুভ (টাঙ্গাইল-৭), জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি (একুশে পদকপ্রাপ্ত) ফজলুর রহমান খান ফারুক, পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার, জেলা-উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানরা, পৌরসভার মেয়ররা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক জিয়াউল ইসলাম চৌধুরী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শরফুদ্দীন, উপজেলা নির্বাহী অফিসাররা, জ্যেষ্ঠ তথ্য অফিসার তাহলিমা জান্নাত, জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি জাফর আহমেদ ও জেলা পর্যায়ের কর্মকর্তারা প্রমুখ। 
১৯ মার্চ ২০২৪, ১৯:০৫

পণ্যের দাম যৌক্তিক পর্যায়ে চলে আসবে : বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেছেন, বাজারে নিত্যপণ্যের দাম যৌক্তিক পর্যায়ে চলে আসবে। এজন্য সমন্বিতভাবে কৃষি বিপণন অধিদপ্তর, ভোক্তা অধিদপ্তর, জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী অফিসার সবাই মিলে সমন্বয় করবে।   রোববার (১৭ মার্চ) দুপুর ১২টায় রাজধানীর টিসিবি ভবনে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় আয়োজিত বঙ্গবন্ধুর ১০৪তম জন্মবার্ষিকীর আলোচনা অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের একথা বলেন তিনি। বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, কৃষি বিপণন অধিদপ্তর পণ্যের একটা দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে। কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের নিজস্ব জেলা, উপজেলা এবং কেন্দ্রীয় পর্যায়ে কমিটি আছে। আমরা সমন্বয় করে মনিটরিং শুরু করবো। প্রাইস ডিসকভারিটা হুট করে হয় না। আমাদের দায়িত্ব হবে উৎপাদক পর্যায়ে থেকে পাইকারি এবং পরে খুচরা পর্যায় পর্যন্ত বাজার মনিটরিং করা এবং এটাকে এস্টাব্লিশ করা। তিনি বলেন, একটা জিনিস আপনি যখন যৌক্তিক পর্যায়ে নির্ধারণ করবেন, সঙ্গে সঙ্গে এটি বাস্তবায়ন করতে পারবেন না। আগে এটা নির্ধারণ করা জরুরি ছিল। অনেকদিন ধরে আইনটা ছিল কিন্তু করা হয় নাই। এখন সমন্বিতভাবে কৃষি বিপণন অধিদপ্তর, ভোক্তা অধিদপ্তর, ইউএনও, ডিসি সবাই মিলে সমন্বয় করবে। আশা করি এটা একটা যৌক্তিক পর্যায়ে চলে আসবে। তিনি আরও বলেন, আমরা যেখানে যাচ্ছি বাজার কমিটিকে নিয়ে বসছি, ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বসছি, তাদের উৎসাহিত করছি। তাদের সমস্যার সমাধান করে এটা (সঠিক দামে পণ্য বিক্রি) আমরা বাস্তবায়ন করছি। আমরা কোনো জায়গায় কোনো দোকান বন্ধ করে দিচ্ছি না বা তালাবদ্ধ করে দিচ্ছি না। যারা একেবারেই আইন মানছেন না যেমন পাইকারি থেকে খুচরা পর্যায়ে যখন বিক্রি করতে হবে তখন আপনাকে রিসিটটা রাখতে হবে। আপনি যখন পাইকারি চালান করবেন তখন আপনাকেও রিসিট দিতে হবে। এই জিনিসগুলোকে বলে একেবারে মিনিমাম কমপ্লায়েন্স। এই জিনিসগুলো না করলে আমরা শাস্তির আওতায় আনবো। এসময় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষসহ মন্ত্রণালয় এবং এর অধীনস্ত বিভিন্ন দপ্তরের প্রধান কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
১৭ মার্চ ২০২৪, ১৫:১৯

পেঁয়াজ নিয়ে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রীর সুখবর!
ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি নিয়ে সুখবর দিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু। তিনি বলেছেন, আগামী সপ্তাহে ভারত থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ দেশে আসবে। শুক্রবার (১৫ মার্চ) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বিশ্ব ভোক্তা অধিকার দিবস ২০২৪ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এই কথা বলেন। আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, বাজার পরিচালনা কমিটির সহোযোগিতা না থাকলে সুষ্ঠু বাজার ব্যবস্থাপনা সম্ভব নয়। শিগগিরই বাজারের সকল ব্যবসায়ীকে নিয়ে স্মার্ট বাজার ব্যবস্থাপনা তৈরি করা হবে। বাজারে যথেষ্ট পরিমাণে ছোলা ও চিনির সরবরাহ আছে। কৃষিপণ্য বাজারে আসার আগে হাতবদলসহ সর্বক্ষেত্রে তদারকি বাড়িয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। তিনি বলেন, নিত্যপণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণে সাপ্লাই চেইন মজবুত ও শক্তিশালী করতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কাজ করছে। সাপ্লাই চেইনের কোথাও যেন কোনো ঘাটতি না থাকে, সেদিকে নজর রাখা হচ্ছে। আগামী সপ্তাহেই ভারত থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ দেশে আসবে। প্রতিমন্ত্রী বলেন, যৌক্তিক কর ব্যবস্থাপনা না থাকলে ভোক্তা স্বার্থ রক্ষা করা যাবে না। নিত্যপণ্যের যৌক্তিক কর নির্ধারণ করা গেলে ভোক্তারা উপকৃত হবেন। তাছাড়া ভোক্তা স্বার্থ রক্ষায় শুধুমাত্র রমজান মাসে নয়, সারা বছরই অভিযান চলমান থাকবে। সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ. এইচ. এম. সফিকুজ্জামান, কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি গোলাম রহমান প্রমুখ।
১৫ মার্চ ২০২৪, ১৫:৫১
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়