• ঢাকা বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
logo
সেনবাগে খালে বাঁধ দিয়ে রাস্তা নির্মাণের অভিযোগ
নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার ছাতারপাইয়া ইউনিয়নের পাঁচতুফা এলাকায় প্রবাহমান একটি খালে মাটি ফেলে বাঁধ দিয়ে রাস্তা নির্মাণ করা হয়েছে। এতে খালের এক পাশে কৃষিজমিতে আগামী বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতা দেখা দিতে পারে।  এ প্রসঙ্গে ক্ষোভ ঝেড়ে এলাকাবাসী বলেন, স্থানীয় মফিজ মিয়া এই বাঁধটি নির্মাণ করেছেন। গত বেশ কিছু দিন যাবৎ কৃষি জমি থেকে বেকু দিয়ে মাটি কেটে ট্রাক্টর দিয়ে অন্যত্র ভরাট করছে। শুষ্ক মৌসুম ছাড়া বছরের সাত-আট মাস খালে পানি থাকে। বর্ষাকালে এই খাল হয়ে চিলাদী, পাঁচতুপা, ছাতারপাইয়াসহ বেশ কয়েকটি গ্রামের ফসলি জমিতে পানি প্রবেশ করে। কিন্তু পাঁচতুফার সাইদুল হকের দোকানের সামনে বাঁধের কারণে চলতি বর্ষায় খালে পানিপ্রবাহ বন্ধ হয়ে যেতে পারে। বুধবার (২৪ এপ্রিল) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পানিপ্রবাহের ব্যবস্থা না রেখে খালে বাঁধ দেওয়া হয়েছে। ট্রাক্ট্রর দিয়ে বাঁধের ওপর দিয়ে  কৃষি জমি থেকে মাটি বহন করে ভরাটের কাজ চলছে। মফিজ মিয়া বলেন, অল্প কিছু দিনের জন্য খালে বাঁধ দেওয়া হয়েছে। মাটি ভরাটের কাজ শেষে আমার দায়িত্বে খালে বাঁধ অপসারণ করে দেব, যাতে পানিপ্রবাহে কোনো সমস্যা না হয়। উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, এলাকাবাসী থেকে অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্থানীয় ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা তহশিলদারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দু’এক দিনের মধ্যে বাঁধ অপসারণ হয়ে যাবে।
২১ মিনিট আগে

সুনামগঞ্জে ইউএনওসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা 
সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলায় হাওরের ফসলরক্ষা বাঁধের কাজে নির্ধারিত বরাদ্দের চেয়ে দ্বিগুণ বানিয়ে অনিয়ম ও দুর্নীতির দায়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাহমুদুর রহমান খোন্দকারসহ ৪ জনের বিরুদ্ধের আদালতে মামলা করেছে হাওর বাঁচাও আন্দোলন।  মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) সকালে জেলার সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন ‘হাওর বাঁচাও আন্দোলন’ এর সদস্য জেবেল মিয়া।  এ মামলায় অন্যান্য আসামিরা হলেন দিরাই উপজেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপসহকারী প্রকৌশলী এটিএম মোনায়েম হোসেন, উপজেলার বাঁধের কাজের ২৭নং পিআইসির সভাপতি মো. জগলু মিয়া ও ২৮নং পিআইসির সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন।  মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, হাওরের বোরো ধান রক্ষায় সরকার প্রতিবছর অস্থায়ী বাঁধ নির্মাণ ও সংস্কারের জন্য কোটি কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়। এ বছরও দিরাই উপজেলার টাঙ্গুয়ার হাওরের জলডোপ বাঁধের কাজের জন্য ২৭নং পিআইসিতে ১৫ লাখ ১৮ হাজার ৩৪৪ টাকা ও ২৮ নং পিআইসিতে ১৪ লাখ ৮ হাজার ৭৯৬ টাকা বরাদ্দ দেয় পানি উন্নয়ন বোর্ড। তবে ক্ষমতার অপব্যবহার করে দিরাই উপজেলা কর্মকর্তা মো. মাহমুদুর রহমান খোন্দকার ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী এটিএম মোনায়েম হোসেন এ দুটি বাঁধের মধ্যে ২৭নং পিআইসির বরাদ্দের টাকা ৩১ লাখ ৭১ হাজার টাকা ও ২৮নং পিআইসির বরাদ্দের টাকা ৩৭ লাখ ৯৬ হাজার টাকা করে দেন। এ নিয়ে প্রতিবাদ করলে মামলা হামলাসহ প্রাণনাশেরও হুমকি প্রদর্শন করে আসছেন সংশ্লিষ্টরা। এ ছাড়া পিআইসির নীতিমালা না মেনেই যাদের বাঁধের পাশে জমি নেইতাদের দিয়ে বাঁধের কাজ করানোসহ এখন পর্যন্ত বাঁধের কাজ শেষ না করার বিষয়টিও মামলায় উল্লেখ করেন বাদী।  এ ঘটনায় মামলার বাদী জেবেল মিয়া বলেন, দিরাইয়ে দুটি ফসলরক্ষা বাঁধের কাজে টাকা ইউএনও, পাউবোর এসও মিলে বরাদ্দ দ্বিগুণ বাড়িয়ে দিয়েছেন কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। যেখানে ১৫ লাখ টাকা বরাদ্দ প্রথমে দেওয়া হয়েছিলো সেখানে তারা ৩১ লাখ ৭১ হাজার এবং আরেকটিতে ১৪ লাখের জায়গায় ৩৭ লাখ টাকা করে টাকা আত্মসাতের পাঁয়তারা করেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও পিআইসির লোকেরা। এ নিয়ে প্রতিবাদ করলে প্রাণনাশের পর্যন্ত হুমকি প্রদর্শন করছেন সংশ্লিষ্টরা। আমি আজকে মামলা করেছি আশা করি ন্যায় বিচার পাব। আমরা কৃষকের স্বার্থে কাজ করা সংগঠন কৃষকের ওপর নির্যাতন জুলুম এবং তার স্বপ্নে ফসল নিয়ে কাউকে খেলার সুযোগ দেব না।  এ ব্যাপারে জানতে দিরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাহমুদুর রহমান খোন্দকারকে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
০৩ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:১৬
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়