• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo
কঙ্গনাকে ‘যৌনকর্মী’ বলে সম্বোধন, বিপাকে কংগ্রেস নেত্রী
বলিউড অভিনেত্রী কঙ্গনা রানৌত। কাজের পাশাপাশি নানান বিতর্কিত মন্তব্যের কারণেই খবরের শিরোনামে থাকেন তিনি। বলিপাড়ায় ঠোঁটকাটা হিসেবেও বেশ পরিচিতি রয়েছে এই অভিনেত্রীর। ভারতের বড় বড় ব্যক্তিত্বদের নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েন না। এবার তাকে-ই যৌনকর্মী বলে কটাক্ষ করলেন দেশটির রাজনৈতিক দল কংগ্রেসের নেত্রী সুপ্রিয়া শ্রীনাথ। তবে সুবিধা করতে পারলেন না। উল্টো নিজেই পড়লেন বেকায়দায়।  ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে  রোববার (২৫ মার্চ) কঙ্গনার বিকিনি পরা একটি ছবি নিজের ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করেন সুপ্রিয়া। সেখানে অভিনেত্রীকে যৌনকর্মীর সঙ্গে তুলনা করে তিনি লেখেন, 'মান্ডিতে কী দাম চলছে এখন একটু বলবেন?' তিনি তার পোস্টে স্পষ্টতই কঙ্গনাকে যৌনকর্মীর সঙ্গে তুলনা করেছেন। এরপরই সরব হয়েছেন কঙ্গনা। সোশ্যাল হ্যান্ডেলে প্রতিবাদ জানিয়ে লিখেছেন, সম্মানীত সুপ্রিয়া দেবী, আমার গত ২০ বছরের ক্যারিয়ারে বিভিন্ন ধরনের নারীর চরিত্রে অভিনয় করেছি। কুইনে সাধারণ গ্রাম্য মেয়ে থেকে ধকড়ে দুর্দান্ত দেখতে চর, মণিকর্নিকায় ঈশ্বর থেকে চন্দ্রমুখীতে ভূতের চরিত্রে অভিনয় করেছি। রাজ্জোতে বেশ্যার চরিত্রে অভিনয় করেছি, আবার থালাইভিতে নেত্রীর চরিত্রে। এরপরও কঙ্গনা লেখেন, মহিলাদের শরীরের বিভিন্ন অংশের বিষয়ে অকারণ কৌতূহলের বাইরে যাওয়া উচিত আমাদের। সব থেকে বড় কথা গালিগালাজ করার জন্য যৌনকর্মীদের কথা না টানাই ভালো। প্রতিটা নারীর মর্যাদা প্রাপ্য। এদিকে কঙ্গনাকে নিয়ে এই কটাক্ষ ভালো চোখে দেখেনি দেশটির ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল বিজেপি। বিজেপি নেতা অমিত মালব্য সুপ্রিয়া শ্রীনাথের এই পোস্টের বিরোধিতা করেন। তিনি দাবি করেন সুপ্রিয়ার বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিতে হবে কংগ্রেসকে।  নিজের এক্স হ্যান্ডেলে অমিত লেখেন, কংগ্রেসের সুপ্রিয়া শ্রীনাথ কঙ্গনাকে নিয়ে ইনস্টাগ্রামে অত্যন্ত কুরুচিপূর্ণ পোস্ট করেছেন। অত্যন্ত নিম্নমানের এই মন্তব্যটি, কংগ্রেস কী করে এমন লোকজনকে তাদের দলে রাখেন? খারগে (মল্লিকাজুর্ন খারগে)- এর যদি নিজের দলের উপর কোনও নিয়ন্ত্রণ থেকে থাকে তাহলে তার উচিত সুপ্রিয়াকে দল থেকে বহিষ্কার করে দেওয়া। এদিকে বিষয়টি নিয়ে হইচই পড়াতেই টনক নড়েছে সুপ্রিয়ার। নিজেকে নিয়ে সাফাই গেয়ে তিনি লিখেছেন, যার কাছে আমার মেটা অ্যাকাউন্টের অ্যাকসেস আছে তেমন কেউ এই আপত্তিজনক পোস্টটি করেছে। সেই পোস্ট ডিলিট করা হয়েছে। যারা আমাযকে চেনেন তারা জানেন আমি এসব পোস্ট করতে পারি না।
২৬ মার্চ ২০২৪, ১৩:৩৫

স্বাস্থ্যখাতে কথা কম বলে কাজ বেশি করতে চাই : স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্যখাতে এখন থেকে কথা কম বলে কাজ বেশি করতে চান বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।  মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) বেলা ১১টায় রাজধানীর শাহবাগে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব কনভেনশন হলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি। ডা. সামন্ত লাল সেন বলেছেন, স্বাস্থ্যখাতে এখন থেকে কথা কম বলে কাজ বেশি করতে চাই। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানও তাই করতেন। আমরা সেটি করতে পারলেই জাতির পিতার প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর পাশাপাশি তার ইচ্ছাগুলোও পূরণ করতে পারব। বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিচারণ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এ সময় বলেন, এই মার্চ মাসে আমরা থাকতাম ইস্কাটনে। তখন হাতিরপুলে গেলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান লুঙ্গি পরে নিচে আসতেন, আমাদের সঙ্গে কথা বলতেন। আমরা যারা কাছ থেকে দেখেছি তারা জানি তার দেশের প্রতি কতটুকু ভালোবাসা ছিল। তিনি সবচেয়ে বেশি চিন্তা করতেন সাধারণ মানুষকে চিকিৎসা সেবা পৌঁছে দেওয়া নিয়ে। সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে সেই সময়ে কয়েকবারই গিয়েছিলেন তিনি। তখন ডাক্তার-নার্সদের উদ্দেশে বলতেন, ‘তোমরা হচ্ছো ডাক্তার, নার্স। তোমরা যদি সময়মতো আসো, সময়মতো সেবাদান করো তাহলে আমি সন্তুষ্ট। আমি বুঝবো, আমার সারাজীবনের কষ্ট আর দেশ স্বাধীন করা সার্থক’। তিনি বলেন, আমি চাই, এখানে যারা বিভিন্ন হাসপাতালের চিকিৎসাসেবায় জড়িত আছেন তারা এখান থেকে গিয়ে দ্রুত কাজে যোগ দেবেন। তাই সময়ের মাঝেই অনুষ্ঠান শেষ করব। আগত চিকিৎসক, কর্মকর্তা ও স্বাস্থ্যসেবা সংশ্লিষ্টদের উদ্দেশে ডা. সামন্ত লাল সেন আরও বলেন, আসুন, আজকে আমরা সবাই মিলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্ত করি। স্বাস্থ্যসেবাকে এমন একটি পর্যায়ে নিয়ে যাই, যাতে সারাবিশ্বের মানুষ তালি মারে। তারা যাতে বলে বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবা অনেক দূর এগিয়ে গেছে। আমি এবং প্রতিমন্ত্রীর একটাই চাওয়া স্বাস্থ্যসেবাকে মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়া। আর এটার সবচেয়ে বড় কারিগর আপনারা। অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. রোকেয়া সুলতানা, স্বাস্থ্য সচিব মো. আজিজুর রহমান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ বি এম খুরশিদ আলম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।  
১৯ মার্চ ২০২৪, ১৫:২৫

ড. ইউনূসকে হয়রানির জন্য আইনের অপব্যবহার হতে পারে বলে আশঙ্কা যুক্তরাষ্ট্রের
নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে হয়রানি ও ভয় দেখানোর জন্য বাংলাদেশের আইনের বড় রকমের অপব্যবহার করা হতে পারে বলে আশঙ্কা করছে যুক্তরাষ্ট্র। সোমবার (১১ মার্চ) মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার। ওই ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, রাষ্ট্রদূত পিটার হাসকে নিয়ে বাংলাদেশ দুর্নীতি দমন কমিশনের আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়েও সচেতন তারা। ব্রিফিংয়ে মিলারের সামনে এক সাংবাদিক প্রশ্ন রাখেন, ড. মুহাম্মদ ইউনূসের পক্ষে যায় এমন মন্তব্যের জন্য বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাসকে অভিযুক্ত করে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ দুর্নীতি দমন কমিশন। আপনি যেমনটা জানেন, প্রফেসর ইউনূসকে রাজনৈতিক উপায়ে হয়রানি করছে ক্ষমতাসীন শাসকগোষ্ঠী। তাদের এই কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে বিশ্বজুড়ে সমালোচনা তীব্র হচ্ছে। এর প্রেক্ষিতে আপনার ভাবনা যদি আমাদের সঙ্গে শেয়ার করেন।  জবাবে মিলার বলেন, আমরা এই প্রশ্নের মন্তব্যের বিষয়ে সচেতন। এর আগেও মুহাম্মদ ইউনূসের মামলাকে ঘিরে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের উদ্বেগের বিষয়ে আমাকে কথা বলতে শুনেছেন।    
১২ মার্চ ২০২৪, ১৩:৩৪

আমাকে এখন সবাই ট্রাক বলে ডাকে : মাহি
দ্বিতীয় স্বামী রকিব সকারের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর বর্তমানে ছেলে ফারিশকে নিয়ে একাই থাকছেন চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি। পাশাপাশি কাজও করছেন তিনি। বর্তমানে বেশ কিছু কাজ নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন এই নায়িকা। নির্বাচনে হেরে যাওয়া, স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদ— বলা যায়, এসব নিয়ে বেশ ভেঙেই পড়েছিলেন মাহি। তবে সবকিছু সামাল দিয়ে কাজে মনোযোগী হয়েছেন তিনি।  সম্প্রতি ভালুকাতে একটি সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে হাজির হয়েছিলেন মাহি। সেখানে স্টেজ পারফর্ম করেন তিনি। অনুষ্ঠানে মাহি বলেন, ট্রাকের নির্বাচন করতে করতে নিজের নামই ভুলে গেছি। আমাকে এখন সবাই ট্রাক বলে ডাকে। মঞ্চে পারফর্ম করার আগে উপস্থিত সবাইকে মাহি প্রশ্ন করেন— আপনারা সবাই কি আমাকে চেনেন? কী নাম আমার? জবাবে কেউ কেউ মাহিয়া মাহি বলে চিৎকার করেন। আবার অনেকেই তাকে ট্রাক ট্রাক বলে চিৎকার করতে থাকেন। এমন পরিস্থিতিতে মাহি বলেন, ট্রাকের নির্বাচন করতে করতে নিজের নামই ভুলে গেছি। এখন আমার নামও ট্রাক হয়ে গেছে। আজকে এখানে এসেছি শুধু ট্রাক মার্কার জন্য।  প্রসঙ্গত, চলতি বছরের দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে রাজশাহী-১ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ট্রাক মার্কায় নির্বাচনে দাঁড়িয়েছিলেন মাহি। তবে জয়ের মুখ দেখেননি এই নায়িয়া। বিপক্ষ দলের কাছে বিপুল ভোটে হেরে যান মাহি।   
১২ মার্চ ২০২৪, ১২:০৪

গরু চুরি করে জবাই, হরিণের মাংস বলে বিক্রি
বাগেরহাটের মোংলায় চুরি করা গরু জঙ্গলে জবাই করে হরিণের মাংস বলে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে।  রোববার (১০ মার্চ) মোংলা উপজেলার চিলা ইউনিয়নের বৌদ্ধমারী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় মামলা করা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। এ ঘটনায় করা মামলার বাদী চিলা ইউনিয়নের বৌদ্ধমারী গ্রামের সফর জমাদ্দারের ছেলে নজরুল জমাদ্দার।  মামলায় নজরুল জমাদ্দার উল্লেখ করেন, সুন্দরবনের পাশে তার বসবাস। তার আয়ের উৎস গাভিটি। রোববার সকালে গরুটি মাঠে ঘাস খাওয়ানোর জন্য ছেড়ে দেন। দুপুরে মাঠে গিয়ে আর গরুটি খুঁজে পাননি। তিনি আরও উল্লেখ করেন, অনেক খোঁজাখুঁজির পর জানতে পারেন গাভিটি পার্শ্ববর্তী সুন্দরবন ইউনিয়নের শাহজাহান শেখের ছেলে মুকুল শেখ (৩৬), হামেদ শেখের ছেলে বাবুল শেখ (৩৭) ও আফজাল ব্যাপারীর ছেলে সাজ্জাক ব্যাপারী চুরি করেছেন। পরে সুন্দরবনের ভেতরে নিয়ে জবাই করে হরিণের মাংস বলে বিক্রি করে দিয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেন মোংলা থানার ওসি কে এম আজিজুল ইসলাম। তিনি বলেন, গরু চুরির অভিযোগে থানায় একটি মামলা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
১১ মার্চ ২০২৪, ১৮:৪৬

মেসির নাম বলে অপহরণকারীর হাত থেকে রক্ষা পেলেন বৃদ্ধা
গত অক্টোবরে ইসরাইলে হামলা চালিয়েছিল ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস। হামলার পাশাপাশি দুই শতাধিক ব্যক্তিকে অপহরণও করে তারা। এ সময় মেসির নাম বলে অপহরণকারীদের হাত থেকে রক্ষা পান ৯০ বছর বয়সী বৃদ্ধা ইস্টার কুনিও। সম্প্রতি এই ঘটনা নিয়ে কথা বলেছেন কুনিও। জানা গেছে, সেদিন কিব্বুতজ শহরে নিজের বাসায় ছিলেন কুনিও। হঠাৎ করে তার বাসায় হামলা চালায় হামাসের সদস্যরা। তারা কুনিও ও তার পরিবারের সদস্যদের অপহরণ করে ফিলিস্তিনে নিয়ে যাওয়ার চিন্তা করেছিল। তখন মেসির নাম বলায় বেঁচে যান ৯০ বছরের ওই বৃদ্ধা। ফুয়েন্তে ল্যাটিনাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে কুনিও বলেন, আমি তাকে বললাম আমার সাথে কথা না বলতে কারণ আমি তাদের ভাষা বুঝি না। আমি তখন স্প্যানিশ ভাষায় কথা বলি, যা আর্জেন্টিনারও ভাষা। তখন সে আমাকে জিজ্ঞেস করে আর্জেন্টিনা কি? তখন আমি বলি, তুমি কি ফুটবল দেখো? ‘সে জানায় ফুটবল দেখতে পছন্দ করে, তখন আমি তাকে বলেছিলাম যে আমি মেসির দেশ থেকে এসেছি। এটা শুনে সে  অবাক হলো কিছুটা, আমাকে বলে সে মেসিকে ভালোবাসে।  এরপর সে অস্ত্রটা আমাদের কাঁধে রাখে এবং তার বন্দুক আমাকে দেয়। এরপর আমাকে শান্তির চিহ্ন দেখাতে বলে এবং আমার সঙ্গে ছবি তোলে।’  যুদ্ধের মাঝে কুনিওর পরিবারের কয়েকজন ছাড়া পেলেও এখনও আটকে আছে তার নাতিরা । নাতিদের উদ্ধারে মেসির কাছে সাহায্যের আবেদনও জানিয়েছেন ইস্টার, এখন আমার আকুতি, মেসি এটা যদি দেখে এবং কোনোভাবে সে যদি জানে যে তার কারণে আমার জীবন বেঁচেছে।  ‘আমি তাকে বলবো, সে যেন আমার নাতিদের উদ্ধারে সাহায্য করে, তারা এখনো অপহৃত। তারা ভালো ছেলে। তাদের নাম ডেভিড ও এরিয়েল।’
০৯ মার্চ ২০২৪, ১২:৪১

‘ওকে বলে দিন ক্রিকেট ছেড়ে অভিনয়ে যোগ দিতে’ 
অস্ট্রেলিয়া সিরিজে চারটি ক্যাচ মিস করেছিলেন আব্দুল্লাহ শফিক। তবে চলমান পিএসএলে ইমাদ ওয়াসিমের সাধারণ এক ক্যাচ নিয়ে বেশ উদযাপন করতে দেখা তাকে। গ্যালারির দিকে তাকিয়ে মুখে আঙুল দিয়ে সবাইকে চুপ থাকতে বলেছিলেন তিনি। কিন্তু শফিকের এমন উদযাপনে চটেছেন ওয়াসিম আকরাম। পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক ওয়াসিম আকরামের কাছে শফিকের এমন উদযাপন মোটেও ভালো লাগেনি। তা আকরামের কাছে অভিনয় মনে হয়েছে। সর্বকালের অন্যতম সেরা এই পেসার তাই শফিককে ক্রিকেট ছেড়ে নাটকে নাম লেখাতে বলেছেন।  তা ছাড়া কড়া সমালোচনা করে সর্বশেষ অস্ট্রেলিয়া সফরে শফিকের বাজে ফিল্ডিংয়ের কথাও মনে করিয়ে দিয়েছেন ওয়াসিম।পাকিস্তানের এ স্পোর্টস এর ‘দ্য প্যাভিলিয়ন’ অনুষ্ঠানে ওয়াসিম আকরাম বলেন, সন্দেহ নেই ক্যাচটা দারুণ।  ‘কিন্তু ও যে অস্ট্রেলিয়ায় ৩৬টি ক্যাচ (আসলে ৪টি) ফেলল, সেগুলোর ব্যাপারে কী বলবে। এক ক্যাচ ধরেই সে চুপ থাকতে বলে দিল! ওকে কেউ বলে দিন, ওর আসলে ক্রিকেট ছেড়ে নাটকে নাম লেখানো উচিত।’ গত ডিসেম্বর-জানুয়ারিতে ৩ ম্যাচের টেস্ট সিরিজে অস্ট্রেলিয়ার কাছে ধবলধোলাই হয়েছে পাকিস্তান। বিব্রতকর সেই হারের অনেকটা দায় দেওয়া হয় শফিককে। সিরিজে চার-চারটি ক্যাচ ফেলেছিলেন তিনি। এর মধ্যে স্লিপে ডেভিড ওয়ার্নার ও মিচেল মার্শের যে দুটি ক্যাচ ছাড়েন, সেগুলো ছিল তুলনামূলক সহজ।
০৯ মার্চ ২০২৪, ০৯:৪৯

ভাবনাকে কাজের মেয়ে বলে কটাক্ষ!
ছোট ও বড় পর্দার পরিচিত মুখ অভিনেত্রী আশনা হাবীব ভাবনা। তিন বছর আগে সিনেমায় অভিনয় শুরু করেন তিনি। সেই সময়ে ভাবনা ও তার মাকে কটাক্ষ করে এক জনপ্রিয় অভিনেত্রী বলেছিলেন তাদের দেখতে অনেকটাই কাজের মেয়ের মতো। সম্প্রতি সহকর্মীর সেই কটাক্ষ নিয়ে স্মৃতিচারণ করেছেন অভিনেত্রী।  এ ব্যাপারে দেশের একটি সংবাদমাধ্যমকে ভাবনা বলেন, শোবিজ অঙ্গনের কাছের একজন মানুষ আমাকে নিয়ে এমন কথা বলবে, সেটি কখনো কল্পনাই করিনি আমি। তার উদ্দেশ্য ছিল আমাকে সরাসরি অপমান বা ছোট করা। তবে তার ওই অপমান, ছোট করার চেষ্টাগুলোই শক্তি জুগিয়েছে আমায়। এমন অনেকেই আছে যারা সহ্য করতে পারে না যে কেনো একের পর এক নায়িকা হচ্ছি। কিন্তু যতই ছোট করা হোক না কেন আমায়, আমি কখনোই পেছনে ফিরে তাকাইনি। নিজের যোগ্যতার মাধ্যমে সামনে এগিয়ে যাওয়ার জন্য চিন্তা করেছি সবসময়।  ‘ভয়ংকর সুন্দর’ সিনেমার এ নায়িকা জানান, তাকে ও তার মায়ের সম্পর্কে ওই অভিনেত্রী বলেছিলেন, ভাবনা কী করে নায়িকা হয়? ওর চেহারা তো ওর মায়ের মতো। আর ওর মা তো দেখতে আমাদের বাসার কাজের মেয়ে রহিমার মতো। ভাবনা বলেন, আমাকে নিয়ে কেউ একটা মন্তব্য করতেই পারে। কিন্ত আমার মাকে টেনে এনে কেন অপমান করা। আমি চাইলে সেদিন তাকে ওই কথার জবাব দিতে পারতাম; দেইনি। আমার মা-বাবা সেই শিক্ষা দেননি আমাকে। কাউকে ছোট করে কখনো বড় হওয়া যায় না। আমাদের সহকর্মীদের মধ্যেই অনেকে আছেন, যারা অন্যদের টেনে নিচে নামাতে চান। তবে ভাবনা সেই অভিনেত্রীর নাম জানাননি। নাম প্রকাশ করে তাকে ছোট করতে চাননি। ওই অভিনেত্রী একজন শিক্ষিত সংস্কৃতিমনা সহকর্মী। তাকে কখনোই ছোট করতে চান না ভাবনা। ভাবনা বলেন, এখনও কিন্তু আমরা কথা বলি, কখনো আবার আড্ডা দেই। তার নাম প্রকাশ করে ছোট করার কী প্রয়োজন। সে তার নিজের মতো থাক। আমাকে ও মাকে যারা ছোট করেছিলেন, আমি তাদের অন্যভাবে জবাব দেওয়ার চেষ্টা করেছি। আমাকে যেদিন অপমান করা হয়, ওই দিনই মাথায় আসে ‘কাজের মেয়ে’ নামে একটি বই লিখব আমি। যে মেয়েটি অনেক কাজের ও পরিশ্রমী। সেই বইটি এবার প্রকাশ হয়েছে বইমেলায়। আর শেষ দিন মনে হলো পেছনের ঘটনা সবাইকে জানানো দরকার। 
০৪ মার্চ ২০২৪, ১৬:৪৭

আল্লাহকে রাজি করাতে মানত, কী বলে ইসলাম? 
মানত, খুবই পরিচিত একটি শব্দ আমাদের দৈনন্দিন জীবনে। কোনও কিছু প্রাপ্তির জন্য, উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য মহান সৃষ্টিকর্তাকে রাজি করানোর উদ্দেশে হরহামেশাই ছোট-বড় বিভিন্ন কিছু মানত করে থাকি আমরা। বিশেষ করে কোনও মূল্যবান কিছু হারিয়ে গেলে তা ফিরে পেতে কিংবা আরাধ্য কোনও কিছু প্রাপ্তির আশায় তার বিনিময়ে দান-সাদকাসহ বিভিন্ন ধরনের মানত করে থাকি আমরা। কিন্তু, কোনও কিছু প্রাপ্তির বিনিময় শর্তে মানত কি জায়েজ? মানতে সত্যিই কি আরাধ্য বস্তু ধরা দেয় জীবনে; পরিবর্তন হয় ভাগ্যের? এ নিয়ে ইসলামই বা কী বলে?    মানত হলো নিজের ওপর কোনও ভালো কাজ আবশ্যক করে নেওয়া। ইসলামপূর্ব আরব সমাজে মানতের প্রচলন ছিল; এখনও এই প্রচলন কমেনি খুব একটা। পৃথিবীর প্রায় সব প্রাচীন ধর্মেই মানতের অস্তিত্ব পাওয়া যায়। ইসলামিক শরিয়তেও মানতকে নাজায়েজ বা অবৈধ বলা হয়নি। তবে, প্রাপ্তির শর্তে মানত করাকে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে; অনেকটা ভিক্ষাবৃত্তির মতো। আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) মানত করতে নিষেধ করেছেন। কেননা তা মানুষের কোনও কল্যাণ করতে পারে না। এর মাধ্যমে কেবল কৃপণ ব্যক্তির কাছ থেকে সম্পদ বের হয়। (সুনানে নাসায়ি, হাদিস : ৩৮০১) তিরমিজি শরিফের ১৫৮৩ নং হাদিসেও এসেছে একই কথা। আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেন, ‘তোমরা মানত করো না। কারণ, মানত ভাগ্য পরিবর্তন করতে অক্ষম। এর দ্বারা কৃপণ লোকের কিছু আর্থিক খরচ হয় মাত্র।’ পূর্ববর্তী আসমানি ধর্মে মানতের প্রচলন ছিল। পবিত্র কোরআনেও মানতের দৃষ্টান্ত আছে। যেমন—ইরশাদ হয়েছে, ‘স্মরণ করো, যখন ইমরানের স্ত্রী বলেছিল, হে আমার প্রতিপালক! আমার গর্ভে যা আছে তা একান্ত আপনার জন্য আমি উৎসর্গ করলাম। সুতরাং আপনি আমার থেকে তা কবুল করুন। নিশ্চয়ই আপনি সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ।’ (সুরা : আলে ইমরান, আয়াত : ৩৫) অন্যত্র ইরশাদ হয়েছে, ‘মানুষের মধ্যে কাউকে যদি তুমি দেখো, তখন বোলো, আমি দয়াময়ের উদ্দেশে মৌনতা অবলম্বনের মানত করেছি। সুতরাং আজ আমি কিছুতেই কোনো মানুষের সঙ্গে বাক্যালাপ করব না। ’ (সুরা : মারিয়াম, আয়াত : ২৬)  শরিয়তের পরিভাষায় মানত বলতে বোঝানো হয়, ‘কোনো মুকাল্লাফ (শরিয়তের বিধান প্রযোজ্য) ব্যক্তির নিজের ওপর এমন কোনও কাজ আবশ্যক করা, যা শরিয়ত প্রণেতা আবশ্যক করেননি। ’ (আল-ফিকহু আলা মাজাহিবিল আরবায়া : ২/৭৭৯) সুতরাং দেখা যাচ্ছে, শরিয়ত মোতাবেক মানত করা বৈধ। তবে, তার দ্বারা আদতে ভাগ্যের কোনও পরিবর্তন হয় না। এছাড়া, কোনও ভালো কাজের মানত করে থাকলে তা আবশ্যক হয়ে পড়ে মানতকারীর ওপর। এক্ষেত্রেও আছে কিছু বিধিবিধান।    মানতের শর্ত কোনো ব্যক্তির ওপর মানত আবশ্যক হওয়ার শর্ত  হলো সাবালক হওয়া, জ্ঞান-বুদ্ধিসম্পন্ন হওয়া এবং এখতিয়ার বা ইচ্ছাধিকার থাকা। (আল-ফিকহু আলা মাজাহিবিল আরবায়া : ২/৭৭৯) মানত শুদ্ধ হওয়ার জন্য ইসলামী আইনজ্ঞরা আরো কিছু শর্তারোপ করেন। যেমন—নেক কাজের মানত করা, বান্দার সাধ্যের ভেতর হওয়া, নিজের মালিকানাধীন হওয়া, তা পাপের কারণ বা উপলক্ষ না হওয়া ইত্যাদি। মানতের বিধান মানত করলে তা পূরণ করা আবশ্যক। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘অতঃপর তারা যেন তাদের অপরিচ্ছন্নতা দূর করে, তাদের মানত পূর্ণ করে এবং তাওয়াফ করে প্রাচীন ঘরের। ’ (সুরা : হজ, আয়াত : ২৯) অন্য আয়াতে মুমিনের বৈশিষ্ট্য তুলে ধরে বলা হয়েছে, ‘তারা মানত পূর্ণ করে এবং সেদিনের ভয় করে, যেদিনের বিপত্তি হবে ব্যাপক।’ (সুরা : দাহর, আয়াত : ৭) মৃত ব্যক্তির মানত কোনো ব্যক্তি মানত করার পর যদি তা পূরণ করার আগেই মারা যায়, তবে তার আত্মীয়-স্বজনের দায়িত্ব হলো তা পূরণ করা। আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, নবী (সা.)-এর কাছে এক লোক এসে বলল যে, আমার বোন হজের মানত করেছিল, কিন্তু সে মারা গেছে। তখন নবী (সা.) বললেন, তার ওপর কোনো ঋণ থাকলে তবে কি তুমি তা আদায় করতে না? লোকটি বলল, হ্যাঁ। নবীজি (সা.) এরপর বললেন, কাজেই আল্লাহর হককে আদায় করে দাও। কেননা আল্লাহর হক আদায় করা আরও বড় কর্তব্য। (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৬৬৯৯) তবে, কোনও কোনো ব্যক্তি অন্যায় মানত করলে তা পূরণ করা মানতকারী বা তার উত্তরসূরি কারও জন্যই আবশ্যক নয়। আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, যে ব্যক্তি আল্লাহর আনুগত্যের মানত করে সে যেন তাঁর আনুগত্য করে। আর যে ব্যক্তি আল্লাহর অবাধ্য হওয়ার মানত করে, সে যেন তাঁর অবাধ্য না হয়। (সুনানে আবি দাউদ, হাদিস : ৩২৮৯) বহুদিন আগের মানত মানত করার পর দীর্ঘদিন অতিবাহিত হলে গেলেও তা পূরণ করা আবশ্যক। আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) থেকে বর্ণিত, ওমর (রা.) বলেন, হে আল্লাহর রাসুল! আমি জাহেলি যুগে মসজিদুল হারামের ভেতর এক রাত ইতেকাফ করার মানত করেছিলাম। রাসুলুল্লাহ (সা.) বললেন, তোমার মানত পূরণ কোরো। (সহিহ বুখারি, হাদিস : ২০৩২) শরিয়তের সীমার মধ্যে থাকা মানত পূরণের জন্য ব্যক্তি কখনও শরিয়তের সীমা অতিক্রম করতে পারবে না। ইমাম নববী (রহ.) বলেন, ‘কোনো ব্যক্তি যদি সোমবার রোজা রাখার মানত করে এবং সেদিন ঈদ হয়, তবে সে সর্বসম্মতিক্রমে রোজা রাখবে না। ’ (শরহুন নববী : ৮/১৬) নিজের ওপর কষ্ট চাপিয়ে মানত নয় মানতের মাধ্যমে ব্যক্তি নিজের ওপর কোনও কষ্ট চাপিয়ে নেবে না। কেননা নিজেকে কষ্ট দেওয়া ইসলাম সমর্থন করে না। আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী (সা.) এক বৃদ্ধ ব্যক্তিকে তার দুই ছেলের ওপর ভর করে হেঁটে যেতে দেখে বললেন, তার কী হয়েছে? তারা বলল, তিনি পায়ে হেঁটে হজ করার মানত করেছেন। আল্লাহর রাসুল (সা.) তখন বললেন, লোকটি নিজেকে কষ্ট দিক, আল্লাহ তা'আলার এর কোনও দরকার নেই। অতঃপর তিনি তাকে সওয়ার হয়ে চলার জন্য আদেশ করলেন। (সহিহ বুখারি, হাদিস : ১৮৬৫) বিকল্প জিনিস দ্বারা মানত পূরণ যদি কোনও ব্যক্তি এমন কোনও বিষয়ের ওপর মানত করে, যা সেই ব্যক্তির জন্য কষ্টসাধ্য, তবে বিকল্প জিনিস দ্বারা মানত পূরণ করা বৈধ। বিশেষত বিকল্প যখন মূলের চেয়ে উত্তম হয়। যেমন— জাবির বিন আবদুল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণিত, মক্কা বিজয়ের দিন এক ব্যক্তি দাঁড়িয়ে বলল, নিশ্চয়ই আমি আল্লাহর জন্য মানত করেছি যে, আল্লাহ যদি আপনাকে মক্কায় বিজয়ী করেন, তবে বায়তুল মুকাদ্দাসে দুই রাকাত নামাজ আদায় করব। নবী (সা.) বলেন, তুমি এখানেই নামাজ আদায় করো। লোকটি তার কথার পুনরাবৃত্তি করল। রাসুল (সা.) বললেন, তুমি এখানে নামাজ আদায় করো। লোকটি আবারও তার কথার পুনরাবৃত্তি করল। নবী (সা.) তখন বললেন, এই ব্যাপারে তোমার স্বাধীনতা আছে। (সুনানে আবি দাউদ,    হাদিস : ৩৩০৫) মানতের কাফফারা মানত পূরণ না করলে ব্যক্তি কাফফারা দেবে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, মানতের কাফফারা কসমের কাফফারার মতো। (সুনানে নাসায়ি, হাদিস : ৩৮৩৪) কসমের কাফফারা সম্পর্কে ইরশাদ হয়েছে, ‘অতঃপর এর কাফফারা ১০ জন দরিদ্রকে মধ্যম ধরনের খাবার দান করা—যা তোমরা তোমাদের পরিবারকে খেতে দাও, অথবা তাদেরকে কাপড় দান করা কিংবা একজন দাসকে মুক্ত করা। যার সামর্থ্য নেই তার জন্য তিন দিন রোজা পালন করা। ’ (সুরা : মায়িদা, আয়াত : ৮৯) আল্লাহ সবাইকে সঠিক বুঝ দান করুন। আমিন।
০৪ মার্চ ২০২৪, ০৬:৩৩

বিয়ে দেওয়ার কথা বলে বোনকে দিয়ে অনৈতিক কাজ, অতঃপর...
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় সৎ ভাই-ভাবির বিরুদ্ধে ১২ বছরের বোনকে দিয়ে জোরপূর্বক দেহ ব্যবসায় বাধ্য করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ওই শিশুর পিতা মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) রাতে বাদী হয়ে কসবা থানায় ছেলে ও ছেলের বউসহ পাঁচজনকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করেন। পরে ছেলে সোলেমান মিয়া (৪০) ও ছেলের বউ সেলিনা আক্তারকে (৩০) গ্রেপ্তার করে পুলিশ।  বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠিয়েছে পুলিশ। বিষয়টি নিয়ে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। কসবা থানায় দায়েরকৃত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, শিশুর পিতা মোশারফ হোসেন দুই বিয়ে করেন। প্রথম স্ত্রীর সন্তান সোলেমান মিয়া এবং দ্বিতীয় স্ত্রীর সন্তান ওই শিশুটি। সোলেমান মিয়া কসবা সুপার মার্কেটের সামনে ফুটপাতে চায়ের দোকান চালান। শহরের শীতল পাড়ায় ভাড়া বাসায় থাকেন। গত দুইমাস আগে ছেলে সোলেমান মিয়া হঠাৎ করে গ্রামের বাড়ি গিয়ে তার সৎ ছোট বোনকে শহরের বাসায় নিয়ে আসেন। সোলেমান মিয়া তাকে জানায়- ছোট বোনকে লেখাপড়া করানোসহ বিয়ে-সাদি দেওয়ার সব ব্যবস্থা করবে। বাবা সরল বিশ্বাসে বড় ছেলের সাথে মেয়েকে তার বাসায় পাঠিয়ে দেয়। গত ২৬ ফেব্রুয়ারি রাত ১০টার সময় শিশু মেয়েটি গ্রামের বাড়ি হরিপুরে বাবার কাছে চলে যায়। এত রাতে মেয়ে একা চলে আসায় বিস্মিত হয়ে কারণ জানতে চাইলে তাকে সে কিছুই বলেনি। পরদিন ২৭ ফেব্রুয়ারি ছেলে সোলায়মান মিয়া আবার তার সৎ বোনকে আনতে গ্রামের বাড়ি গেলে তার সাথে আসতে অস্বীকৃতি জানায়। কেন বড় ভাইয়ের সাথে যাবে না জিজ্ঞাসা করলে তখন সে জানায় গত দু’মাস ধরে ওই বাসায় রাতের বেলায় বিভিন্ন পুরুষের সাথে তাকে খারাপ কাজে বাধ্য করা হয়। সে এসব কাজ করতে অস্বীকার করলে তাকে মারধোর করা হতো। তাই সে রাতের আধারে পালিয়ে বাড়িতে চলে যায়। এ ঘটনা শোনার পর শিশুটিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে তার শরীরে মারধরের চিহ্ন পাওয়া যায়।  পরে মঙ্গলবার বিকেলে থানায় এসে ছেলে ও বউসহ ৫ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন শিশুর বাবা। অন্য আসামিরা হলো, আয়নাল হক (২৬), পিতা অজ্ঞাত, শান্ত মিয়া (২৩) পিতা-অজ্ঞাত ও চাইনিজ (২৪) পিতা-অজ্ঞাত। শিশুর পিতা মোশারফ হোসেন জানান, ভাই ও ভাবি হয়ে ছোট বোনের এমন সর্বনাশ করবে আমি ভাবতেও পারিনি। পরিবারে অভাব-অনটনের কারণে সরল বিশ্বাসে ছেলের বাসায় পাঠিয়েছিলাম। প্রাণ বাঁচাতে আমার শিশু মেয়েটি রাতের আধারে বাড়ি চলে আসে। আমি তাদের কঠিন শাস্তি দাবি করছি। কসবা থানা অফিসার ইনচার্জ রাজু আহাম্মেদ জানান, শিশুর পিতার অভিযোগের ভিত্তিতে দু’জনকে গ্রেপ্তার করে বিজ্ঞ আদালতে পাঠানো হয়েছে। শিশুটির ডাক্তারী পরীক্ষা প্রক্রিয়াধীন। বাকিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২৩:০৯
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়