• ঢাকা বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
logo
বেক্সিমকোর ২৬২৫ কোটি টাকার জিরো কুপন বন্ড অনুমোদন
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি বেক্সিমকো লিমিটেড এর দুই হাজার ৬২৫ কোটি টাকার জিরো কুপন বন্ড অনুমোদন করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। রোববার (৩১ মার্চ) অনুষ্ঠিত বিএসইসির কমিশন সভায় এই অনুমোদন দেওয়া হয়। বিএসইসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামের সভাপতিত্বে কমিশন সভা অনুষ্ঠিত হয়। বন্ডটির বৈশিষ্ট্য হলো- এটি অনিরাপদ, নন-কনভার্টিবল, রিডিমেবল জিরো কুপন বন্ড। বন্ডটির ডিসকাউন্ট রেট ১৫ শতাংশ। প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী এবং উচ্চ সম্পদশালী একক ব্যক্তিদের কাছে বন্ডটি বিক্রি করা হবে।  বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম জানান, বেক্সিমকোর দুই হাজার ৬২৫ কোটি টাকার বন্ডের প্রস্তাব অনুমোদন করেছে কমিশন। বন্ডটি প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে বিক্রি করা হবে। এ বন্ড ইস্যুর মাধ্যমে উত্তোলন করা অর্থ দিয়ে কোম্পানিটি ব্যাংক ঋণ পরিশোধ করবে এবং মায়ানগর প্রকল্পের উন্নয়নের জন্য ডেভেলপারকে ঋণ দেবে। প্রতিটি বন্ডের ইস্যু মূল্য ৫০ হাজার টাকা। এর ট্রাস্টি হিসেবে রয়েছে সন্ধানী লাইফ ইন্স্যুরেন্স এবং অ্যারেঞ্জার হিসেবে কাজ করছে আইএফআইসি ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড। এদিকে, কমিশন সভায় ‘রিয়েল এস্টেট ইনভেস্টমেন্ট ট্রাস্ট ফান্ড’ বিধিমালা অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে বিএসইসির মুখপাত্র জানান, পুঁজিবাজারের মাধ্যমে রিয়েল এস্টেট সেক্টরে অর্থায়নের সুযোগ সৃষ্টি এবং বিনিয়োগের নতুন ক্ষেত্র উন্মোচনের লক্ষ্যে ‘রিয়েল এস্টেট ইনভেস্টমেন্ট ট্রাস্ট ফান্ড’ রুল ২০২৪ অনুমোদন দিয়েছে কমিশন। এ বিধিমালা বাংলাদেশ গেজেটে প্রকাশের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
৩১ মার্চ ২০২৪, ২০:৩৭

১৫০০ কোটি টাকার বন্ড ইস্যু করছে বেক্সিমকো
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বেক্সিমকো লিমিটেড জিরো কুপন বন্ড ইস্যু করার মাধ্যমে ১৫০০ কোটি টাকা সংগ্রহ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ইস্যুর পর এটিই হতে যাচ্ছে কোম্পানিটির প্রথম জিরো কুপন বন্ড। এর নাম হবে বেক্সিমকো ফার্স্ট জিরো কুপন বন্ড।  সোমবার (১১ মার্চ) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে। ডিএসই বলছে, বেক্সিমকো ফার্স্ট জিরো কুপন বন্ডে ডিসকাউন্টের হার হবে ১৫ শতাংশ। এই বন্ড মেয়াদ শেষে সম্পূর্ণ অবসায়িত হবে। এর কোনো অংশ শেয়ারে রূপান্তরিত হবে না। তাছাড়া বন্ডটি স্টক মার্কেটে লেনদেনযোগ্যও নয়। আলোচিত জিরো কুপন বন্ডের মাধ্যমে সংগ্রহকৃত অর্থ শ্রীপুর টাউনশিপ কোম্পানির সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে ‘মায়ানগর’ নামে একটি আবাসন প্রকল্পে বিনিয়োগ করা হবে। এ বিষয়ে ১০ মার্চ কোম্পানিটির পর্ষদ সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) অনুমোদন সাপেক্ষে বন্ড ইস্যু করার এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে।  
১২ মার্চ ২০২৪, ১১:৫৪

বন্ড দিয়ে ৯ ব্যাংক থেকে ২২৫৩ কোটি টাকা সংগ্রহ সরকারের
নয় ব্যাংক থেকে ২২ শত ৫৩ কোটি টাকা সংগ্রহ করছে সরকার। এ জন্য তাদের দেওয়া হবে বন্ড। সারের ভর্তুকির টাকা দিতে না পেরে পাওনাদার কোম্পানিকে এ বিশেষ বন্ড দেওয়া হচ্ছে। এ নিয়ে বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে অর্থ বিভাগ, ব্যাংক ও পাওনাদার কোম্পানির সঙ্গে সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) হয়।   গত বছরের শেষদিকে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকার বন্ড ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। এর মধ্যে দুই সরকারি-অগ্রণী ব্যাংককে ৪৪৭ কোটি এবং বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংককে ২৮২ কোটি দেবে। অপর দিকে আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংককে ৪৭৩ কোটি, সিটি ব্যাংককে ৩৯৭ কোটি, ঢাকা ব্যাংককে ৩৯২ কোটি, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংককে ৯০ কোটি, সোশ্যাল ইসলামি ব্যাংককে ৬৯ কোটি, এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংককে ৫৬ কোটি এবং এক্সিম ব্যাংককে ৪৭ কোটি টাকার বন্ড দেওয়া হবে। গত ৪ জানুয়ারি বন্ড দেয়া শুরু করে সরকার। ওই দিন সোনালী ব্যাংকের অনুকূলে ২ হাজার ৫৫৭ কোটি এবং আইএফআইসি ব্যাংকের অনুকূলে ৪৫৯ কোটি টাকা দেয়া হয়। পরে ইসলামী ব্যাংককে ২ হাজার ৪০০ কোটি টাকা এবং জনতা ব্যাংককে ১ হাজার ৮৯৬ কোটি টাকার বন্ড দেয়া হয়। বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশন (বিসিআইসি) সার আমদানি করতে ব্যাংকের মাধ্যমে ঋণপত্র খুলে। বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনসহ (বিএডিসি) কয়েকটি প্রতিষ্ঠান এ ঋণের অন্তর্ভুক্ত হয়। কিন্তু ভর্তুকির অর্থ পরিশোধ করতে পারছে না সরকার। ফলে দায় পরিশোধে বিশেষ বন্ড ছাড়া হচ্ছে। সারের ভর্তুকির পাওনা শোধে ১ মাস ১০ দিনে ৯ হাজার ৫৬৫ কোটি টাকা দিয়েছে সরকার। এখন পর্যন্ত সরকারি-বেসরকারি মিলে ১৩টি ব্যাংক তা পেয়েছে। ব্যাংক এশিয়ার অনুকূলে প্রায় ২৫০ কোটি টাকার বন্ড ছাড়ার মধ্য দিয়ে সারের ভর্তুকি পরিশোধের কাজ শেষ করা হবে।  এর আগে নভেম্বরের শেষদিকে নিরবচ্ছিন্ন সার আমদানিতে সোনালী ব্যাংকের সহযোগিতা চায় বিসিআইসি। সে সময় শুধু ইউরিয়া সারের ভর্তুকি বাবদ ৮ হাজার ৪০০ কোটি টাকা পাবে সরকারের কাছে।  
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৮:৪২

সুপ্রিম কোর্টের রায়ে নির্বাচনের আগে বড় ধাক্কা খেলেন মোদি
চলতি বছরের এপ্রিল-মে মাসে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ভারতের লোকসভা নির্বাচন। তার আগে চলমান কৃষক অসন্তোষের ফলে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে ভারতের ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকার। এর মধ্যেই মোদি সরকারের জন্য আরেকটি বড় ধাক্কা এসেছে সুপ্রিম কোর্টের পক্ষ থেকে। ইলেক্টোরাল বন্ড বা নির্বাচনী বন্ড ব্যবস্থা অসাংবিধানিক বলে রায় দিয়েছেন ভারতের সর্বোচ্চ আদালত। বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চ সর্বসম্মতভাবে এ রায় দিয়ে জানান, বেনামি নির্বাচনী বন্ডের ফলে নাগরিকদের তথ্য জানার অধিকার হরণ হচ্ছে। ফলে সংবিধানের ১৯ (১) (ক) ধারা ভঙ্গ হচ্ছে। তাই অবিলম্বে এ প্রকল্প প্রত্যাহার করতে হবে। ২০১৮ সালে নির্বাচনী বন্ড ব্যবস্থা চালু করেছিল নরেন্দ্র মোদি সরকার। সরকারের দাবি ছিল, এর ফলে নির্বাচনে কালো টাকার ব্যবহার বন্ধ হবে। নির্বাচনী তহবিলে স্বচ্ছতা আসবে। তবে, মামলার বিরোধিতা করে সরকার সর্বোচ্চ আদালতকে জানিয়েছিল, রাজনৈতিক দল কে, কার কাছ থেকে কত টাকা পাচ্ছে, তা জানার অধিকার ভোটারদের থাকতে পারে না। আর মামলাকারীদের বক্তব্য, অস্বচ্ছতা থেকেই যাচ্ছে। পৃথিবীতে এমন কোনো ব্যবস্থা চালু নেই। কোন করপোরেট সংস্থা কোন দলকে অর্থ সাহায্যের বিনিময়ে কী সুবিধা আদায় করছে, তা জানার উপায় থাকছে না। এ ছাড়া, স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া যেহেতু কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রণালয়ের অধীন, তাই সরকার সব তথ্য জানার অধিকারী। সে ক্ষেত্রে ইচ্ছামতো দাতাদের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে পারে সরকার। সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছেন, স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়াকে অবিলম্বে এ ব্যবস্থায় অর্থ সংগ্রহ বন্ধ করে দিতে হবে। এতদিন ধরে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক বন্ড মারফত কার কাছ থেকে কত টাকা সংগ্রহ করেছে, কোন দল কার কাছ থেকে কত অর্থ পেয়েছে, সব জানাতে হবে। চালুর পর থেকে এ পর্যন্ত বন্ড মারফত রাজনৈতিক দলগুলো যত অর্থ সংগ্রহ করেছে তা বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, সিংহভাগই (প্রায় ৯০ শতাংশ) পেয়েছে শাসক দল বিজেপি। অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্রেটিক রিফমর্সের (এডিআর) সাম্প্রতিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২২–২৩ অর্থবছরে ভারতের জাতীয় দলগুলো বিভিন্ন ব্যবসায়ী ও করপোরেট সংস্থা থেকে ৮৫০ কোটি টাকার বেশি অর্থিক অনুদান পেয়েছে। এর শীর্ষে রয়েছে বিজেপি। এই অর্থের মধ্যে শুধু তাদেরই প্রাপ্তি হয়েছে ৭১৯ কোটি ৮০ লাখ রুপি। পক্ষান্তরে কংগ্রেস পেয়েছে মাত্র ৮০ কোটি রুপির মতো। রায়ে সুপ্রিম কোর্ট আরও বলেন, দুটি কারণে রাজনৈতিক দলকে অর্থ দেয় দাতারা। একটি কারণ সমর্থনের জন্য। আবার ওই সাহায্যের মধ্য দিয়ে পারস্পরিক দেওয়া–নেওয়াও হতে পারে। বিচারপতিরা বলেন, কালো টাকা বন্ধের দাবি গ্রহণযোগ্য নয়। দাতাদের স্বার্থ রক্ষার দাবিও সমর্থনযোগ্য নয়। রায়ে বলা হয়েছে, স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়াকে দাতা ও গ্রহীতাদের সব তথ্য অবিলম্বে নির্বাচন কমিশনকে জানাতে হবে। নির্বাচন কমিশনকে সেসব তথ্য ৩১ মার্চের মধ্যে তাদের ওয়েবসাইটে তুলে দিতে হবে, যাতে সবাই সব জানতে পারে।  
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৫:৩৪

৩০ ব্যাংকে ১১ হাজার কোটি টাকার বন্ড ছাড়ছে সরকার
সংকটের কারণে বিদ্যুৎ কোম্পানিগুলোর পাওনা প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকার ভর্তুকি পরিশোধ করতে পারছিল না সরকার। শেষ পর্যন্ত বিশেষ বন্ড ছেড়ে সেই পাওনা পরিশোধ করা হচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে গত তিন সপ্তাহে চার দফায় মোট ১১ হাজার ২৫৯ কোটি টাকার বিশেষ বন্ড ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। বিদ্যুৎ কোম্পানিগুলোর পাওনা পরিশোধে গতকাল বুধবার ঢাকার বিদ্যুৎ ভবনে ২৪টি ব্যাংকের অনুকূলে ৫ হাজার ৬৬৫ কোটি টাকার বন্ড ছাড়ার জন্য সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই হয়েছে। ব্যাংক, পাওনাদার বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী কোম্পানি, বিদ্যুৎ বিভাগ এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের মধ্যে এই এমওইউ সই হয়। এর আগে গত মাসে ৬ ব্যাংকের অনুকূলে একই রকম এমওইউর পর তিন দফায় ছাড়া হয় ৫ হাজার ৫৯৪ কোটি ৫০ লাখ টাকার বন্ড। সব মিলিয়ে ৩০টি ব্যাংকের পাওনা পরিশোধে এমওইউ সই করা হলো। জানা গেছে, আগে ছাড়া বন্ডের বিপরীতে ইসলামী ব্যাংকসহ কয়েকটি ব্যাংক টাকা ঋণও নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে। গতকালের এমওইউর পর অর্থ বিভাগ এখন বাংলাদেশ ব্যাংকে চিঠি পাঠাবে। সে অনুযায়ী বাংলাদেশ ব্যাংক পরে ব্যাংকগুলোর অনুকূলে বন্ড ছাড়বে। সূত্র জানায়, বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোকে ভর্তুকির টাকা দিতে পারছিল না সরকার। আর কেন্দ্রগুলোও ব্যাংকের পাওনা শোধ করতে পারছিল না। কোনো কোনো বিদ্যুৎকেন্দ্র ঋণখেলাপিও হয়ে পড়ছিল। তাদের পক্ষেই এখন দায়িত্ব নিয়েছে সরকার। পুরো পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্যই বিশেষ বন্ড ছাড়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বন্ডের কুপন রেট বা সুদহার হচ্ছে ৮ শতাংশ। এ হার বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্ধারণ করা রেপো রেটের সমান। তবে ভবিষ্যতে রেপো রেট বাড়লে এই বন্ডের সুদের হারও বাড়বে, আর রেপো রেট কমলে বন্ডের সুদও কমবে।  বন্ড ছাড়ার ফলে কোনো ব্যাংক আর সংশ্লিষ্ট দেনাদার বিদ্যুৎ কোম্পানির কাছে টাকা চাইতে পারবে না। প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যাংকের দায় এখন সমন্বয় হয়ে যাবে। আর ব্যাংক সুদ পাবে ছয় মাস পরপর। মেয়াদ শেষে সুদসহ ব্যাংকের পাওনা সরকার পরিশোধ করবে। তখন বন্ডগুলোও সরকার ফেরত নেবে। সাধারণত বন্ডের মেয়াদ ১৫ থেকে ২০ বছর হলেও বিশেষ বন্ডের ক্ষেত্রে তা সর্বোচ্চ ১০ বছর হয়ে থাকে। নগদ টাকার বদলে বিশেষ বন্ড ছেড়ে সংকট মোকাবিলার উদ্যোগের ফলে কোম্পানিগুলোর কী লাভ হবে, আর ব্যাংকগুলোই–বা কীভাবে সুবিধাভোগী হবে, এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থ বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, এখন এটা সবার জন্য লাভজনক হয়েছে। কোম্পানিগুলোর লাভ, তাদের দায়টা সমন্বয় হয়ে যাচ্ছে এবং ব্যবসা করতে অসুবিধার সম্মুখীন হতে হবে না। আর ব্যাংকের সুবিধা হচ্ছে, তারা বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে বন্ড রেখে টাকা নিতে পারবে এবং অন্য ব্যাংকের কাছে এগুলো বিক্রিও করতে পারবে। এই বন্ডের মাধ্যমে ব্যাংকগুলো কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে তাদের নগদ জমা (সিআরআর) ও বিধিবদ্ধ জমা (এসএলআর) রাখার বাধ্যবাধকতা পূরণ করতে পারবে। অন্যদিকে সরকারের সুবিধা হচ্ছে, আপাতত নগদ টাকা পরিশোধ করতে হলো না। বিদ্যুৎ খাতের বাইরে এর আগে গত ৪ জানুয়ারি সোনালী ব্যাংকের অনুকূলে ২ হাজার ৫৫৭ কোটি টাকা এবং আইএফআইসি ব্যাংকের অনুকূলে ৪৫৯ কোটি টাকার বন্ড ছাড়ার ব্যাপারে বহুপক্ষীয় চুক্তি হয়।  
০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৪:২৭

‘অনেকেই আমাকে বাংলার জেমস বন্ড বলছে’
দেশ বরেণ্য লেখক প্রয়াত কাজী আনোয়ার হোসেনের ‘মাসুদ রানা’ সিরিজের ‘অপারেশন চিতা’ উপন্যাস থেকে নির্মিত হচ্ছে ‘চিতা’ নামের সিনেমা। যেখানে মাসুদ রানা হচ্ছেন চিত্রনায়ক অনন্ত জলিল। বুধবার (৩১ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় রাজধানীর ঢাকা ক্লাবে এক মহরতের মাধ্যমে এই ঘোষণা দেওয়া হয়। ‘মাসুদ রানা’ চরিত্রে কাজ করা নিয়ে অনন্ত বলেন, মাসুদ রানা সিরিজে কাজ করা আমার স্বপ্ন ছিল। দেশে যখন থেকে কাজ করি, অনেকেই আমাকে বলত বাংলার জেমস বন্ড। এই যে ‘চিতা’ ছবিতে আমি কাজ করছি, এটা কিন্তু সাংবাদিকরাও জানতেন না। অথচ জাজের ঘোষণার পর থেকে ফেসবুকে অনেকেই কমেন্ট করেছে, বাংলার জেমস বন্ড অনন্ত জলিল। এজন্য আমি নিজেকে ধন্য মনে করি। প্রায় নাইন্টি ফাইভ পারসেন্ট কমেন্ট আমাকে নিয়ে করেছে। এই নায়ক আরও বলেন, এর আগে মাসুদ রানার গল্পে ‘এমআর-৯ : ডু অর ডাই’ নির্মাণ করেছিল জাজ মাল্টিমিডিয়া। সিনেমাটিতে হলিউড-বলিউডের তারকারা অভিনয় করেছিল। এবার দেশের তারকারাও থাকবে। সিনেমাটি শুরুর আগে আজিজ ভাইয়ের কাছে তিনটি জিনিস চেয়েছিলাম- প্রেম থাকবে, কমেডি থাকবে আর মাসুদ রানার গল্প অ্যাকশন তো থাকবেই। সবকিছু মিলে যাওয়ায় সিনেমাটি করছি। আর নির্মাতা রাজীব বিশ্বাসের নির্মাণে অপারেশন জ্যাকপটে কাজ করছি, তাই মনে হচ্ছে এই সিনেমাটিও মানসম্পন্ন একটি সিনেমা হবে। অনন্ত জলিলের সঙ্গে এই সিনেমায় থাকছেন তার স্ত্রী চিত্রনায়িকা বর্ষা। তিনি বলেন, ২০১২ সালে ‘খোঁজ দ্য সার্চ’ সিনেমার মহরতে বুঝতে পারছিলাম না কী বলব? আজও সেই একই অনুভূতি হচ্ছে। সবাই বলছে, চিতা সিনেমার জন্য অনেক কষ্ট করতে হবে আমাকে। যেহেতু জাজ মাল্টিমিডিয়ার সিনেমা, তো ভালো সিনেমাই হবে। ভালো হতেই হবে। কারণ, এটা মাসুদ রানার গল্প, যাকে বলা হয় বাংলার জেমস বন্ড। যখন শুনলাম চিতা সিনেমাটি আমি করতে যাচ্ছি তখন নীলক্ষেত থেকে ‘চিতা’ বইটি এনে পড়েছি। পাশাপাশি এই সিরিজের ‘হ্যালো সুহানা’ গল্পটিও আমার ভালো লেগেছে। আশা করব, এই সিনেমাটিও আমাকে নিয়ে নির্মাণ করবে। জানা যায়, সিনেমাটির শুটিং শুরু হবে আগামী মে মাসে। শুটিংয়ের জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে বাংলাদেশ, থাইল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া ও ভিয়েতনামকে। সিনেমায় আরও দেখা যাবে নাদের চৌধুরী, সাঞ্জু জন, মিস্টার রবার্টসহ অনেককেই। প্রসঙ্গত, কাজী আনোয়ার হোসেনের সৃষ্ট গোয়েন্দা চরিত্র মাসুদ রানা সিরিজের ‘ধ্বংস পাহাড়’ অবলম্বনে নির্মিত হয়েছিল বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের যৌথ প্রযোজনায় ‘এমআর-৯ : ডু অর ডাই’ সিনেমাটি। গেল বছর ২৫ আগস্ট মুক্তি পায় ‘এমআর-৯ : ডু অর ডাই’। এতে মাসুদ রানা চরিত্রে দেখা যায় এ বি এম সুমনকে। এ ছাড়াও হলিউড ও বলিউডের বেশ কয়েকজন তারকা অভিনয় করেছিলেন। ৮৩ কোটি বাজেটে নির্মিত এই সিনেমাটি ব্যবসায়িকভাবে সাফল্য পায়নি।
০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৮:৪১

বন্ডের সুদহার বৃদ্ধি, ১০ বছরে রেকর্ড
সরকারি-বেসরকারি খাতের সুদহার দ্রুত বাড়ছে। গত মঙ্গলবার ট্রেজারি বন্ডের সুদ বেড়ে সর্বোচ্চ ১২ দশমিক ১৭ শতাংশে উঠেছে। ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারির পর যা সর্বোচ্চ। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, মঙ্গলবার ২০ বছর মেয়াদি বন্ডে সুদহার বেড়ে ১২ দশমিক ১৭ শতাংশে উঠেছে। এ রকম সুদে ৫৩০ কোটি টাকা নিয়েছে সরকার। গত মাসে ২০ বছর মেয়াদি বন্ডে সুদ ওঠে ১১ দশমিক ১৬ শতাংশে। আর মঙ্গলবার ১৫ বছর মেয়াদি বন্ডে সুদ উঠেছে ১২ দশমিক শূন্য ৭ শতাংশ। এ পরিমাণ সুদে সরকার নিয়েছে ৩৬২ কোটি টাকা। গত মাসে এ ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সুদ ছিল ১১ দশমিক শূন্য ৬ শতাংশ। সাম্প্রতিক সময়ে বন্ডে সর্বোচ্চ সুদ ওঠে ৯ জানুয়ারি। ওই দিন পাঁচ বছর মেয়াদি বন্ডে সরকার ১১ দশমিক ৭৫ শতাংশ সুদে টাকা নেয়। গত মাসে বিল ও বন্ড মিলে সর্বোচ্চ সাড়ে ১১ শতাংশ সুদে উঠেছিল ৩৬৪ দিন মেয়াদি বিলে। এ সময়ে বাজারে তারল্য কমাতে চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে সরকারের ঋণ কমানো হয়েছে ৩৪ হাজার ৭০৩ কোটি টাকা। একই সময়ে বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকে ৩১ হাজার ৬৯২ কোটি টাকা নিয়েছে সরকার। এ হিসেবে প্রথম ছয় মাসে ব্যাংক থেকে সরকারের ঋণ ৩ হাজার ১১ কোটি টাকা কমেছে।  সঞ্চয়পত্রেও গত নভেম্বর পর্যন্ত সরকারের ঋণ কমেছে ৩ হাজার ৮৫৯ কোটি টাকা। গত অর্থবছরও কমেছিল ৩ হাজার ২৯৬ কোটি টাকা। গত অর্থবছর সঞ্চয়পত্রে কমলেও ব্যাংক থেকে সরকার রেকর্ড ১ লাখ ২২ হাজার ৯৮০ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছিল। এর মধ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংক সরাসরি দিয়েছিল ৯৭ হাজার ৬৮৪ কোটি টাকা। আর বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকে নেয় ২৫ হাজার ২৯৬ কোটি টাক।
২৫ জানুয়ারি ২০২৪, ১৩:০৬

বিদ্যুতের দেনা মেটাতে সরকারের ২ হাজার কোটি টাকার বন্ড
বেসরকারি বিদ্যুৎ কোম্পানিগুলোর (আইপিপি) বকেয়া পরিশোধ শুরু করেছে সরকার। এ জন্য দুই হাজার কোটি টাকার বন্ড ছাড়া হয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে।  বুধবার (২৪ জানুয়ারি) পূবালী ব্যাংক এবং দ্য সিটি ব্যাংক পিএলসিকে এই দুই হাজার কোটি টাকার বন্ড ইস্যু করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়। এর মাধ্যমে সামিট, কনফিডেন্স, আনলিমা, ইউনাইটেড, লাখধানাভী, বাংলা ট্র্যাক, বারাকা এবং এনার্জিপ্যাক পাওয়ারের দেনা শোধ করা হয়েছে ইতোমধ্যে।  অর্থ বিভাগের ট্রেজারি অ্যান্ড ডেট ম্যানেজমেন্ট অনুবিভাগের কর্মকর্তারা জানান, পর্যায়ক্রমে সব পাওনা পরিশোধ করা হবে। এ জন্য প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকার বন্ড ইস্যু করতে হবে সরকারকে। ইতোমধ্যে সিটি ব্যাংকের অনুকূলে ১ হাজার ৯৮৫ কোটি টাকা এবং পূবালী ব্যাংকের অনুকূলে ৭৮ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। উভয় বন্ডের মেয়াদ ১০ বছর এবং সুদহার বাংলাদেশ ব্যাংকের রেপো রেটের সমান। বর্তমানে যা ৮ শতাংশ। বাংলাদেশ ইন্ডিপেনডেন্ট পাওয়ার প্রডিউসারস অ্যাসোসিয়েশনের (বিপ্পা) সভাপতি এবং সামিট গ্রুপের পরিচালক ফয়সাল খান বলেন, কিছু স্থানীয় বাণিজ্যিক ব্যাংকে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি) থেকে প্রাপ্যের বিপরীতে কার্যকরী মূলধন রয়েছে। সেসব ব্যাংকে অর্থ মন্ত্রণালইয় সমর্থিত বন্ড ইস্যু শুরু করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।  তিনি বলেন, অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে যে পরিমাণ ভর্তুকি বিপিডিবি পায়নি, সেই সমপরিমাণ বন্ড ছাড়া হবে। ২০২৩ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আইপিপিগুলোর পাওনা এভাবে পরিশোধ করা হবে। দীর্ঘদিনের বকেয়া পেতে শুরু করায় বেসরকারি বিদ্যুৎ কোম্পানিগুলো সন্তুষ্ট। মাসিক বিল নিইয়মিত করবে বিপিডিবি। চুক্তি অনুযায়ী, ৩০ দিনের মধ্যে বিল পরিশোধ শুরু করবে তারা। যাতে আইপিপিগুলো চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারে। গত সপ্তাহে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ জানান, বেসরকারি বিদ্যুৎ কোম্পানিগুলোর বকেয়া এক সপ্তাহের মধ্যে শোধ করা হবে। এজন্য অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি। অবশেষে সেটাই বাস্তবায়িত হচ্ছে।
২৫ জানুয়ারি ২০২৪, ১১:৪৯
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়