• ঢাকা মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo
বঙ্গবন্ধু সেতুতে ৯ হাজার ৩২৪ মোটরসাইকেল পারাপার
ঈদযাত্রায় ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে বাস, ট্রাক, প্রাইভেটকার ও মাইক্রোবাস চলাচলের পাশাপাশি মোটরসাইকেল চলাচল সংখ্যাও কয়েকগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।  ফলে টাঙ্গাইলের যমুনা নদীর ওপর নির্মিত উত্তরবঙ্গের ঘরমুখো মানুষের একমাত্র যাতায়াতের প্রবেশদ্বার বঙ্গবন্ধু সেতু দিয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় ৯ হাজার ৩২৪টি মোটরসাইকেল পারাপার হয়েছে। বুধবার (১০ এপ্রিল) সকালে বঙ্গবন্ধু সেতু সাইট অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আহসানুল কবীর পাভেল এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।  মো. আহসানুল কবীর পাভেল জানান, বঙ্গবন্ধু সেতু দিয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় ৯ হাজার ৩২৪টি মোটরসাইকেল পারাপার হয়েছে। তারমধ্যে উত্তরবঙ্গগামী মোটরসাইকেল চলাচলের সংখ্যা বেশি ছিল। এতে টোল আদায় হয়েছে মোট ৪ লাখ ৬৬ হাজার ২০০ টাকা। তিনি আরও জানান, মোটরসাইকেল পারাপারে দুর্ভোগ লাঘবে সেতু পূর্ব ও পশ্চিমে পাড়ে পৃথক ৪টি টোল বুথ বসানো হয়েছে। এতে মোটরসাইকেল আরোহীদের এবার কোনো ধরণের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে না।
১০ এপ্রিল ২০২৪, ১৩:৩০

বঙ্গবন্ধু সেতুতে ২৪ ঘণ্টায় ৩ কোটি ৩০ টাকার টোল আদায়
বঙ্গবন্ধু সেতুতে গত ২৪ ঘণ্টায় ৩ কোটি ৩০ টাকার টোল আদায় হয়েছে। বুধবার (১০ এপ্রিল) সকালে বঙ্গবন্ধু সেতু সাইট অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আহসানুল কবীর পাভেল এ তথ্য জানান।  তিনি বলেন, সোমবার রাত ১২টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় বঙ্গবন্ধু সেতুতে ৪৭ হাজার ৭৫৫টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এতে টোল আদায় হয়েছে ৩ কোটি ৩০ লাখ ৯৯ হাজার ৪০০ টাকা। এরমধ্যে টাঙ্গাইলের সেতু অংশে ৩৩ হাজার ১৩১টি যানবাহন উত্তরবঙ্গে প্রবেশ করেছে। এতে টোল আদায় হয়েছে ২ কোটি ১৬ লাখ ৭৮ হাজার ৫৫০ টাকা। এ ছাড়া সিরাজগঞ্জের সেতু পশ্চিম অংশে ১৪ হাজার ৬২৪টি যানবাহন ঢাকার দিকে প্রবেশ করেছে। এতে টোল আদায় হয়েছে ১ কোটি ১৪ লাখ ২০ হাজার ৮৫০ টাকা। যানবাহন পারাপারের মধ্যে বাস ১২ হাজার ৯২৬টি, ট্রাক ৭ হাজার ৯২০টি, মোটরসাইকেল ৯ হাজার ৩২৪টি, প্রাইভেটকার ও মাইক্রোবাসসহ অন্যান্য যানবাহন রয়েছে ১৭ হাজার ৫৮৫টি।  আহসানুল কবীর পাভেল আরও বলেন, ঢাকা ও উত্তরবঙ্গের ঘরমুখো মানুষ এবং যানবাহনগুলো নির্বিঘ্নে সেতু পারাপার হচ্ছে এবং স্বাভাবিক গতিতে যান চলাচল করছে।  
১০ এপ্রিল ২০২৪, ১২:১৪

বঙ্গবন্ধু সেতুতে একদিনে সাড়ে ৪৩ হাজার গাড়ি পার
পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ফাঁকা হচ্ছে ঢাকা। নাড়ির টানে বাড়ির পথে মানুষ। উত্তরবঙ্গসহ কয়েকটি রুটের ঘরমুখো এসব যাত্রীদের বহন করা বাস এসে ভিড়ছে বঙ্গবন্ধু সেতুতে। একে একে পার হচ্ছে গাড়ি। ঈদ যত ঘনিয়ে আসছে ততই বাড়ছে এ সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় এ সেতুর ওপর দিয়ে স্বাভাবিকের চেয়ে দিগুণেরও বেশি গাড়ি চলাচল করেছে। আজকেও প্রচুর গাড়ি পার হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধু সেতু কর্তৃপক্ষের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল হক পাভেল। তিনি বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় স্বাভাবিকের তুলনায় দিগুণেরও বেশি গাড়ি পারাপার হয়েছে। এতে টোল আদায় হয়েছে তিন কোটি টাকারও বেশি। মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) সকালে বঙ্গবন্ধু সেতু কর্তৃপক্ষ সূত্র জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় সেতু পার হয়েছে ৪৩ হাজার ৪২৭টি যানবাহন। এরমধ্যে ঢাকা থেকে উত্তরবঙ্গগামী লেনে ২৭ হাজার ২৩২ ও উত্তরবঙ্গ থেকে ঢাকামুখী লেনে ১৬ হাজার ১৯৫ গাড়ি চলাচল করেছে। একদিনে টোল আদায় হয়েছে তিন কোটি তিন লাখ ৬৬ হাজার ৮৫০ টাকা। এর মধ্যে পূর্ব টোলপ্লাজায় এক কোটি ৭১ লাখ ৪ হাজার ৯৫০ টাকা ও পশ্চিম টোলপ্লাজায় আদায় হয়েছে এক কোটি ৩২ লাখ ৬১ হাজার ৯০০ টাকা। এদিকে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে থেমে থেমে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। যাত্রীদের পাশাপাশি সড়কে বাসের সংখ্যাও বেড়েছে, এতে যানজটও বাড়ছে। এতে চরম দুর্ভো‌গে পড়েছেন ঈদে ঘরে ফেরা মানুষ। গভীর রাতে শুরু হওয়া এ যানজট ২৫ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে। মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) সকালে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতুপূর্ব মহাস‌ড়কের টাঙ্গাইল সদরের আশেকপুর বাইপাস থেকে সেতু টোলপ্লাজা পর্যন্ত ২৫ কিলোমিটার সড়কে এ যানজটের সৃ‌ষ্টি হয়েছে। এর আগে ভোরে সেতুর উপর ২২ নম্বর পিলারের কাছে এক‌টি ডাবল ডেকার বাস বিকল হয়ে যাওয়ার পর সে‌টি উদ্ধারে ৫‌ মি‌নিট টোল আদায় বন্ধ ছিল। এতে মহাসড়কে প‌রিবহনের চাপ আরও বেড়ে যায়। বঙ্গবন্ধু সেতু কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, সোমবার (৮ এপ্রিল) সেতুর ওপর বাস বিকল ও সেতুতে টোল আদায় বন্ধ থাকার কারণে যানজট সৃষ্টি হয়। পরে রাত যত গভীর হয়েছে যানজটের আকার তত বেড়েছে। এ ছাড়াও সেতুর ওপর প‌রিবহনের দীর্ঘ সারি তৈ‌রি হয়েছে। এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (ওসি) মীর মো. সাজেদুর রহমান জানান, মহাসড়কে প‌রিবহনের খুব চাপ রয়েছে। এতে পরিবহনগুলো খুবই ধীরগ‌তিতে চলাচল করছে। এ ছাড়া সেতুর ওপর এক‌টি বাস নষ্ট হওয়ায় ৫‌ মি‌নিট বন্ধ ছিল প‌রিবহন চলাচল। পরিবহনগুলো রাস্তায় দাঁড়িয়ে যাত্রী তোলার কারণেও অন‌্য প‌রিবহনগুলোতে ধীরগ‌তির সৃ‌ষ্টি হয়েছে। এদিকে হাইওয়ে পুলিশের গাজীপুর রিজিওনের পুলিশ সুপার মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আমরা এক দেড় সপ্তাহ আগে পরিকল্পনা নিয়েছি মহাসড়কের ওপর যত্রতত্র কোনো গাড়ি দাঁড়িয়ে যাত্রী তুলতে পারবে না। এখন তার বাস্তবায়ন করছি। গাজীপুর চৌরাস্তা থেকে ময়মনসিংহ পর্যন্ত আমাদের হাইওয়ে পুলিশ তারা বিভিন্ন জায়গায় কাজ করছে। বিভিন্ন জায়গায় অ্যাম্বুলেন্স আছে। সিসিটিভি ও ড্রোনের মাধ্যমে মনিটরিং করতেছি, যেখানেই অসঙ্গতি পাওয়া যাচ্ছে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। আজকে ৬০ শতাংশের বেশি পোশাক কারখানা ছুটি হয়েছে। শ্রমিকদের একটি বড় চাপ আছে, এ কারণেই গাড়ির সংখ্যা বেশি। কোথাও গাড়ি থেমে নেই, চলছে। বিশেষ করে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে গাড়ি চলছে, কোথাও থেমে নেই।
০৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৪:৩৪

বঙ্গবন্ধু সেতুতে ২৪ ঘণ্টায় যত টাকা টোল আদায়
ঈদযাত্রাকে কেন্দ্র করে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের বিভিন্ন জায়গা ঘুরে দেখা যায়, উত্তরের যাত্রায় বেড়েছে যানবাহনের চাপ। দূরপাল্লার গণপরিবহনের পাশাপাশি মোটরসাইকেল ও ব্যক্তিগত যানবাহনও বেড়েছে। ফলে বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে বেড়েই চলছে যানবাহনের চাপ। বঙ্গবন্ধু সেতু‌তে ২৪ ঘণ্টায় প্রায় আড়াই কোটি টাকা টোল আদায় হয়েছে। সোমবার (৮ এপ্রিল) বঙ্গবন্ধু সেতু সাইট অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল কবীর পাভেল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, যানজট নিরসনে সেতুর উভয় অংশে ৯টি করে ১৮ টোল বুথ স্থাপনসহ মোটরসাইকেলের জন্য চারটি বুথ স্থাপন করা হয়েছে। যানবাহনের চাপ বেড়েছে। বঙ্গবন্ধু সেতু সাইট অফিস সূত্র জানায়,  রোববার (৭ এপ্রিল) সকাল ৬টা থেকে সোমবার (৮ এপ্রিল) সকাল ৬টা পর্যন্ত (২৪ ঘণ্টায়) বঙ্গবন্ধু সেতু দিয়ে ২৯ হাজার ৭৮০ যানবাহন পারাপার হয়েছে এবং টোল আদায় হয়েছে দুই কোটি ৫০ লাখ ৮৯ হাজার ২০০ টাকা। এরমধ্যে টাঙ্গাইলের বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব অংশে ১৫ হাজার ৮৫ যানবাহন পারাপার হয়। এতে টোল আদায় হয়েছে এক কোটি ৮৫ লাখ ৪০ হাজার ৫০ এবং সিরাজগঞ্জের সেতু পশ্চিম অংশে ১৪ হাজার ৬৯৪ যানবাহন পারাপার হয়। এতে টোল আদায় হয়েছে এক কোটি ৩২ লাখ ৩৫ হাজার ১৫০ টাকা। সেতু দিয়ে মোটরসাইকেল পারাপার হয়েছে দুই হাজার ৭১০। এদিকে আজ সকাল‌ থে‌কে মহাসড়‌কের কোথাও কোনো প‌রিবহ‌নের ধীরগ‌তি দেখা যায়‌নি। এলেঙ্গা হ‌তে বঙ্গবন্ধু সেতু পর্যন্ত ১৩ কি‌লো‌মিটারের দুইলে‌নের সড়‌কটুকু নি‌য়ে দু‌শ্চিন্তা থাক‌লেও সে‌খানে যানচলাচ‌লে এখন পর্যন্ত কোনো সমস্যা হয়‌নি। ওই সড়ক ব্যবহার করে শুধুমাত্র ঢাকা থে‌কে ছেড়ে আসা প‌রিবহনগু‌লো উত্তরব‌ঙ্গের দি‌কে চলাচল কর‌ছে। আর উত্তরবঙ্গ থে‌কে ছে‌ড়ে আসা ঢাকাগামী প‌রিবহনগু‌লো এলেঙ্গা-বঙ্গবন্ধু সেতুর ১৩ কি‌লো‌মিটার সড়‌কে প্রবেশ কর‌তে দেওয়া হয়‌নি। ঢাকাগামী ওইসব প‌রিবহনগু‌লো ভূঞাপুর-এলেঙ্গা আঞ্চ‌লিক বিকল্প সড়ক ব্যবহার ক‌রে ঢাকার দি‌কে চলাচল কর‌ছে। এতে প‌রিবহনগু‌লো‌কে বাড়‌তি ১৫ কি‌লো‌মিটার সড়ক ঘু‌রে যে‌তে হ‌চ্ছে।  যাত্রীরা জানান, টাঙ্গাইল অং‌শের মহাসড়‌কে কোথাও কোনো যানজট পায়নি।
০৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৩:৩০

বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম মহাসড়কে যানবাহনের চাপ বাড়ছে
ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ঘরমুখী মানুষের চাপে বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম সংযোগ মহাসড়কে যানবাহনের চাপ বাড়ছে।  রোববার (৭ এপ্রিল) ভোরে সরেজমিন দেখা গেছে, পরিবারের সঙ্গে ঈদ আনন্দ উপভোগ করতে গণপরিবহনের পাশাপাশি ট্রাক, পিকআপভ্যান, মোটরসাইকেলসহ ব্যাক্তিগত যানবাহনে বাড়ি ফিরছে উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ। বিষয়টি নিশ্চিত করে বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল কাদের জিলানি জানান, রাত থেকেই বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম সংযোগ মহাসড়কে যানবাহনের চাপ বাড়ছে। তবে যানচলাচলের গতি স্বাভাবিক রয়েছে। মহাসড়কের কোথাও যানজটেন সৃষ্টি হয়নি।  তিনি আরও বলেন, যানজট এড়াতে ও ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। এদিকে, ঈদ উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু সেতুতে যানবাহন পারাপার ও টোল আদায় বেড়েছে। শুক্রবার (৫ এপ্রিল) সকাল ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় ২৮ হাজার ৭১০টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এ থেকে দুই কোটি ৩৫ লাখ ৪৯ হাজার ৮০০ টাকা টোল আদায় হয়েছে। এরমধ্যে টাঙ্গাইলের বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব অংশে ১৬ হাজার ৪৭৪ যানবাহন পারাপার হয়েছে। এতে টোল আদায় হয় এক কোটি ২৪ লাখ ১৮ হাজার ৮০০ টাকা। এ ছাড়া সিরাজগঞ্জের সেতু পশ্চিম অংশে ১২ হাজার ২৩৬ যানবাহন পারাপার হয়েছে। এতে এক কোটি ১১ লাখ ৩১ হাজার টাকা টোল আদায় হয়েছে। এর আগে, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় ২৪ হাজার ১৮ যানবাহন পারাপার হয়েছিল। এ থেকে টোল আদায় হয়েছিল ২ কোটি ১১ লাখ ১১ হাজার ৫৫০ টাকা। বঙ্গবন্ধু সেতু সাইট অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আহসানুল কবীর পাভেল জানান, ঈদের ছুটিতে যানজট নিরসনে সেতুর উভয় অংশে ৯টি করে ১৮টি টোল বুথ স্থাপনসহ মোটরসাইকেলের জন্য চারটি বুথ স্থাপন করা হয়েছে।  
০৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:৩৭

বঙ্গবন্ধু সেতুতে ২৪ ঘণ্টায় যত টাকা টোল আদায়
ঈদ উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু সেতুতে যানবাহন পারাপার ও টোল আদায় বেড়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দুই কোটি ৩৫ লাখের বেশি টোল আদায় হয়েছে। শনিবার (৬ এপ্রিল) বঙ্গবন্ধু সেতু সাইট অফিসের দেওয়া তথ্যমতে, শুক্রবার (৫ এপ্রিল) সকাল ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় বঙ্গবন্ধু সেতু দিয়ে ২৮ হাজার ৭১০টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এ থেকে দুই কোটি ৩৫ লাখ ৪৯ হাজার ৮০০ টাকা টোল আদায় হয়েছে। এরমধ্যে টাঙ্গাইলের বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব অংশে ১৬ হাজার ৪৭৪ যানবাহন পারাপার হয়েছে। এতে টোল আদায় হয় এক কোটি ২৪ লাখ ১৮ হাজার ৮০০ টাকা। এ ছাড়া সিরাজগঞ্জের সেতু পশ্চিম অংশে ১২ হাজার ২৩৬ যানবাহন পারাপার হয়েছে। এতে এক কোটি ১১ লাখ ৩১ হাজার টাকা টোল আদায় হয়েছে। এর আগে, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় ২৪ হাজার ১৮ যানবাহন পারাপার হয়েছিল। এ থেকে টোল আদায় হয়েছিল ২ কোটি ১১ লাখ ১১ হাজার ৫৫০ টাকা। বঙ্গবন্ধু সেতু সাইট অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আহসানুল কবীর পাভেল জানান, ঈদের ছুটিতে যানজট নিরসনে সেতুর উভয় অংশে ৯টি করে ১৮টি টোল বুথ স্থাপনসহ মোটরসাইকেলের জন্য চারটি বুথ স্থাপন করা হয়েছে।
০৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:৩৭

ফরিদপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেলে আগুন 
ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নতুন ভবনের ছয় তলার ছাদে পরিত্যক্ত আসবাবপত্র ও ময়লার স্তূপে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে ফায়ার সার্ভিস। রোববার (৩১ মার্চ) দুপুর আড়াইটার দিকে নয়তলা ভবনের ছয়তলার ছাদের কোনায় ময়লা-আবর্জনা থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। ফরিদপুর ফায়ার সার্ভিসের ওয়্যার হাউজ ইন্সপেক্টর মো. রুবেল শেখ বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।  তিনি জানান, পুরোনো বেডসিট, ফোম, কাগজ, কৌটা ও ময়লা-আবর্জনার স্তূপ থেকে আগুন লাগে। দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রণে আনায় আগুন ছড়াতে পারেনি। কী কারণে আগুনের সূত্রপাত তা তদন্ত করে জানানো যাবে। হাসপাতালের পরিচালক ডা. এনামুল হক বলেন, এ ঘটনায় কোনো রোগী বা স্বজন হতাহত হননি। বাইরে ফেলে রাখা কিছু আসবাবপত্র ও ময়লা-আবর্জনায় আগুন লাগে। ফায়ার সার্ভিস এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
৩১ মার্চ ২০২৪, ২০:০২

বঙ্গবন্ধু রেল সেতুর পৌনে ৪ কিলোমিটার দৃশ্যমান
প্রমত্তা যমুনার বুকে দেশের অন্যতম মেগা প্রকল্প দীর্ঘতম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতু নির্মাণের কাজ ৮০ শতাংশ শেষ হয়েছে। এরমধ্যে টাঙ্গাইল অংশে ৯২ শতাংশ ও সিরাজগঞ্জ অংশে ৮০ শতাংশের কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। ফলে ৪ দশমিক ৮ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেল সেতুর ৩ দশমিক ৭ কিলোমিটার এখন দৃশ্যমান। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে এ মেগা প্রকল্পের কাজ শেষ হলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এটি উদ্বোধন করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।  সেতুটি চালু হলে উত্তরবঙ্গের সঙ্গে সারাদেশের যোগাযোগ ও পরিবহন ব্যবস্থায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসবে। অভ্যন্তরীণ রেল যোগাযোগ বৃদ্ধির পাশাপাশি ট্রান্সএশিয়ান রেলপথে যুক্ত হওয়ার ক্ষেত্রে সক্ষমতা অর্জন করবে বাংলাদেশ। একই সঙ্গে দেশের উত্তরাঞ্চলের অর্থনীতি বেগবান হবে। যমুনার ওপর নির্মিত বঙ্গবন্ধু সেতুর ৩০০ মিটার উজানে দেশের দীর্ঘতম ডুয়েল গেজ ডাবল ট্র্যাকের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতু নির্মাণ করা হচ্ছে। ডুয়েলগেজের এ সেতুতে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ২৫০ কিলোমিটার গতিতে ট্রেন চালানো যাবে। তবে শুরুতে (উদ্বোধনের ১ বছর) সেতুর ওপর দিয়ে দুইটি ব্রডগেজ ও মিটারগেজ ট্রেন ঘণ্টায় ১০০ থেকে ১২০ কিলোমিটার গতিতে চলাচল করতে পারবে। প্রায় ৭ হাজার দেশি-বিদেশি প্রকৌশলী ও শ্রমিকের দিনরাত পরিশ্রমে দ্রুত এগিয়ে চলেছে রেল সেতুর নির্মাণকাজ।  টাঙ্গাইল ও সিরাজগঞ্জ অংশে দুইটি প্যাকেজের আওতায় ৫০টি পিলার ও ৪৯টি স্প্যানের সমন্বয়ে এ রেল সেতু নির্মাণ করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে ৪৯টি পিলারের কাজ শেষ হয়েছে। ভিয়েতনাম থেকে আমদানি করা ৩৭টি স্টিলের স্প্যান পিলারের ওপর বসানো হয়েছে। বাকি ১৬টি স্প্যান বসানোর কাজ চলছে। রেল সেতুতে ব্রডগেজ ও মিটারগেজ দুই ধরনের ট্রেনই সেতুর সঙ্গে রেল সংযোগ তৈরি করতে দুই প্রান্তে ভায়া ডাক ও ৩০ কিলোমিটার ডাবল লাইনের রেলপথের কাজও দ্রুতগতিতে চলছে। সেতুর স্প্যানে স্লিপারবিহীন রেললাইন বসানো হচ্ছে। দেশের রেললাইনে জাপানি এ প্রযুক্তির ব্যবহার এটাই প্রথম। এ প্রযুক্তিতে স্টিল স্ট্রাকচারের গার্ডারের সঙ্গে রেললাইনের সংযোগ প্রযুক্তিতে কোনো স্লিপার থাকবে না। সরেজমিনে দেখা যায়, যমুনার বুকে ভারি ভারি যন্ত্র বসিয়ে সারিবদ্ধভাবে নদীতে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে ৪৯টি পিলার। উত্তাল যমুনার ওপর দেশের এ মেগা প্রকল্পকে ঘিরে নদীর টাঙ্গাইল ও সিরাজগঞ্জের দুই প্রান্তে দিন-রাত দেশি-বিদেশি প্রকৌশলী ও নির্মাণ শ্রমিকরা বিরতহীনভাবে কাজ করছেন। কেউ পাইলিং করছেন, কেউ স্প্যানের কাজ করছেন। আবার কাউকে ঢালাইয়ের কাজ করতে দেখা গেছে। বঙ্গবন্ধু রেলওয়ে সেতুর ৫০টি পিলারের মধ্যে ৪৯টি পিলারের কাজ শেষ হয়েছে এবং মাত্র একটি পিলার বসানো বাকি রয়েছে। ডিসেম্বরের মধ্যে স্টিলের অবকাঠামোর সেতুটি চালু করা হবে। মেগা প্রকল্পের এ সেতুর অর্থনৈতিক আয়ুষ্কাল হবে ১০০ বছর। বাংলাদেশ রেলওয়ে সূত্র জানায়, দেশের সবচেয়ে বড় এ রেলসেতুতে মোট পিলার (খুঁটি) রয়েছে ৫০টি। ক্রেনের সাহায্যে হ্যামার দিয়ে বসানো হচ্ছে পাইলিং পাইপ। রেলসেতুতে কংক্রিটের পিলার বসানো হচ্ছে। ওপরের সুপার স্ট্রাকচার হচ্ছে স্টিলের। অপরদিকে, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) নিবিড় পরিবীক্ষণ প্রতিবেদনে প্রকল্প বাস্তবায়নে নির্মাণকালীন কিছু ঝুঁকির কথা বলা হয়েছে।  প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অনুমোদিত ইএমপি অনুযায়ী সড়কের ধুলাবালি নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ না নেওয়ায় প্রকল্প এলাকার জনগণ ও সংশ্লিষ্ট শ্রমিকরা স্বাস্থ্যঝুঁকি ও পরিবেশগত ঝুঁকিতে রয়েছে। আইএমএডি প্রতিবেদনে প্রকল্পের কিছু দুর্বল দিকও প্রকাশ করা হয়েছে। এরমধ্যে রেলওয়ে সড়কবাঁধ নির্মাণে যথাযথ এবং অনুমোদিত পদ্ধতি অনুসরণ না করা, প্রকল্পের কার্যক্রম সুনির্দিষ্টভাবে চিহ্নিত না করা, চুক্তি মোতাবেক প্যাকেজ ডব্লিউডি-২-এর ল্যাবরেটরিতে মেশিনারি ও জনবল মোবালাইজ না করা, প্রকল্পের ম্যানেজমেন্ট সাপোর্ট কনসালট্যান্ট নিয়োগ না করা, অনুমোদিত ইলেক্ট্রো ম্যাগনেটিক পালস (ইএমপি) অনুযায়ী নির্মাণকালীন সড়কের ধুলাবালি নিয়ন্ত্রণে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা করা হয়নি ও প্যাকেজে ডব্লিউডি২ সম্পূর্ণ ল্যাবরেটরি টেস্টিং ইক্যুইপমেন্ট শ্রেণি বিন্যাস করা হয়নি ইত্যাদি। এক্সিট প্ল্যান হিসেবে প্রকল্প বাস্তবায়নের পরে প্রকল্পের কাজে নিয়োজিত ঠিকাদার প্যাকেজ ভিত্তিক এক বছর সেতু রক্ষণাবেক্ষণ করবে। পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশ রেলওয়ের কাছে প্রকল্পের আওতায় নির্মিত সেতু ও যাবতীয় ভৌত অবকাঠামো হস্তান্তর করার কথা রয়েছে। নিয়মিত ও প্রয়োজনীয় রক্ষণাবেক্ষণের জন্য বাংলাদেশ রেলওয়ের দক্ষ জনবল, যন্ত্রপাতি ও প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ করে এই সেতু এবং ভৌত অবকাঠামোর ডিজাইন লাইফ ১০০ বছর সচল রাখার বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে প্রকল্পের প্রধান প্রকৌশলী তানবিরুল ইসলাম জানান, সেতুর পিলারগুলোর ফাউন্ডেশন জাপানি এসপিএসপি ফাউন্ডেশন পদ্ধতিতে দেওয়া হয়েছে। আগামি মে মাসের মধ্যে পুরো স্প্যান বসানো সম্ভব হবে। এ সেতুর ফলে রেলের মাধ্যমে প্রতিবেশি দেশের সঙ্গে পণ্য পরিবহনে নিজেদের সক্ষমতা তৈরি হচ্ছে। সেতুটি চালু হলে উত্তরাঞ্চলের রেল যোগাযোগে যেমন গতি বাড়বে, তেমনি প্রতিবেশি দেশগুলোর সঙ্গে রেলে পণ্য পরিবহনে সক্ষমতা তৈরি হবে। তিনি আরও জানান, বর্তমানে বঙ্গবন্ধু সেতু দিয়ে ৩৮টি রেল চলাচল করতে পারে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতু চালু হলে প্রতিদিন ৬৮টি রেল চলাচল করতে পারবে। একই সঙ্গে আন্তর্জাতিক রুট হিসেবে ভারতের সঙ্গে রেল সংযোগ স্থাপনের লক্ষ্যে নীলফামারীর চিলাহাটি এবং চিলাহাটি বর্ডারের মধ্যে ব্রডগেজ রেলপথ নির্মাণ প্রকল্পের কাজও চলছে। ভারতের ফুলবাড়ী অংশে শিলিগুড়ি পর্যন্ত সেখানকার রেল বিভাগ রেলপথ নির্মাণ করছে। পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের জিএম অসীম কুমার তালুকদার জানান, বর্তমানে বঙ্গবন্ধু সেতুর ওপর দিয়ে ট্রেন চলাচলের গতি সর্বোচ্চ ২০ কিলোমিটার। এ ছাড়া সেতুর ওপর দিয়ে একই সময়ে একটির বেশি ট্রেন চলাচল করতে পারেনা। নতুন রেলসেতু চালু হলে একদিকে যেমন ট্রেনে গতি ফিরবে তেমনি যাত্রী ও পণ্য পরিবহনের নতুন দ্বার উন্মোচিত হবে। সংশ্লিষ্টরা জানান, সেতু থেকে রাজশাহী স্টেশন পর্যন্ত রেললাইন সংস্কার ও ডাবল লাইন না করা গেলে এই রেলসেতু পুরোপুরি কাজে আসবে না। তা ছাড়া ট্রেনে লাগেজ বগিও যুক্ত করতে হবে। স্টেশনগুলোতে পণ্য পরিবহনে বিশেষ করে কাঁচামাল পরিবহনের উপযোগী অবকাঠামো নির্মাণ করতে হবে। রাজশাহীতে উৎপাদিত আম, সবজি ও মাছের মতো কাঁচামালের ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। একইভাবে চট্টগ্রাম বন্দরের মাধ্যমে আমদানি করা শিল্প কলকারখানার জন্য কাঁচামাল রেলযোগে সরাসরি উত্তরবঙ্গে আনার সুব্যবস্থাও করতে হবে। তবেই এই রেলসেতুর পুরোপুরি সুফল আসবে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে প্রকল্পের পরিচালক আল ফাত্তাহ মো. মাসুদুর রহমান জানান, চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ হলে ট্রেন চলাচলের উপযোগী হবে। ইতোমধ্যে মোট প্রকল্পের ৮০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এরমধ্যে টাঙ্গাইল অংশে ৯২ শতাংশ ও সিরাজগঞ্জ অংশে ৮০ শতাংশ রয়েছে। এটি রেলের জন্য যুগান্তকারী একটি প্রকল্প। সেতুর ওপর দিয়ে ১২০ কিলোমিটার বেগে একত্রে চলচল করতে পারবে দুটি ট্রেন। উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের সঙ্গে রেল যোগাযোগ ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন আসবে। উল্লেখ্য, অভ্যন্তরীণ, ক্রস বর্ডার এবং ট্রান্স এশিয়ান রেলওয়ে ট্রাফিকের বর্ধিত চাহিদা বিবেচনায় রেখে নির্বিঘ্নে নিরবচ্ছিন্ন রেল চলাচল নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ রেলওয়ে বিদ্যমান সড়ক সেতুর ৩০০ মিটার উজানে যমুনা নদীর ওপর আরেকটি ডুয়েল গেজ ডাবল ট্র্যাক সম্পন্ন ৪ দশমিক ৮০ কিমি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতু ও প্রায় ৭ দশমিক ৬ কিলোমিটার ডাবল লাইন সমন্বিত রেলওয়ে অ্যাপ্রোচ অ্যামবাঞ্চমেন্ট নির্মাণ করা হচ্ছে। প্রথমে ৯ হাজার ৭৩৪ কোটি টাকা ব্যয়ে রেলসেতুটি নির্মাণ করার কথা থাকলেও প্রথম সংশোধনীর পর সেতু প্রকল্পের ব্যয় দাঁড়িয়েছে ১৬ হাজার ৭০০ কোটি টাকা। এর মধ্যে দেশীয় অর্থায়ন থাকছে ২৭ দশমিক ৬০ শতাংশ বা চার হাজার ৬৩১ কোটি টাকা এবং জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা) ঋণ দিচ্ছে ১২ হাজার ১৪৯ কোটি টাকা। যা পুরো প্রকল্পের ৭২ দশমিক ৪০ শতাংশ।
২৯ মার্চ ২০২৪, ১২:৫২

‘দেশকে ভালোবাসতে হলে বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে জানতে হবে’ 
বাংলাদেশকে ভালোবাসতে হলে দেশের ইতিহাস ও বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে জানতে হবে বলে জানিয়েছে বঙ্গবন্ধু পরিষদ।  মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক এবং সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আ ব ম ফারুকের এক যৌথ বিবৃতিতে তারা এ কথা বলেন। এতে বলা হয়, বঙ্গবন্ধু পরিষদের পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী সারাদেশে এবং বিদেশের কোনো কোনো কমিটির উদ্যোগে যথাযোগ্য মর্যাদায় বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবস উদযাপন করার সংবাদ ইতোমধ্যে আমাদের হাতে এসে পৌঁছেছে এবং আরও আসবে। কর্মসূচিগুলো সুশৃঙ্খলভাবে পালনের জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে সংগঠনের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।  বিবৃতিতে তারা আরও বলেন, সুনাগরিক হতে হলে দেশকে ভালোবাসতে হবে। আর তা করতে হলে বিকৃত ইতিহাসের বদলে বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের প্রকৃত ইতিহাস এবং বঙ্গব্ন্ধর আজীবনের সংগ্রাম ও অবদানের কথা সবাইকে জানতে হবে। আসুন আমরা সবাই দেশটির প্রকৃত ইতিহাস জানি এবং বিশেষ করে নতুন প্রজন্মকে জানাই।  
২৭ মার্চ ২০২৪, ১৩:১৮

অধ্যাপক জিয়া রহমানের মৃত্যুতে বঙ্গবন্ধু পরিষদের শোক প্রকাশ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ও বঙ্গবন্ধু পরিষদের প্রেসিডিয়ামের অন্যতম সদস্য অধ্যাপক জিয়া রহমানের আকস্মিক মৃত্যুতে ‘বঙ্গবন্ধু পরিষদ’ গভীর দুঃখ ও শোক প্রকাশ করেছেন। পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আ ব ম ফারুক শোক প্রকাশ করে বলেন, অধ্যাপক জিয়া রহমান ছিলেন একজন ছাত্রবান্ধব শিক্ষক ও নিবেদিতপ্রাণ গবেষক। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাধ বিজ্ঞান বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান এবং অপরাধ বিশেষজ্ঞ হিসেবে দেশ-বিদেশে পরিচিত ছিলেন। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ এই শিক্ষক ছিলেন উদার, অসাম্প্রদায়িক ও মানবিক মূল্যবোধসম্পন্ন মানুষ। তিনি কেন্দ্রীয় বঙ্গবন্ধু পরিষদের প্রেসিডিয়ামের অন্যতম সদস্য ছাড়াও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডীন, হল প্রাধ্যক্ষ, শিক্ষক সমিতি, একাডেমিক কাউন্সিলসহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে অত্যন্ত দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন। আমরা তার আত্মার মাগফেরাত কামনা করি এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সহানুভূতি জানাই।  উল্লেখ্য, অধ্যাপক জিয়া রহমান শনিবার (২৩ মার্চ) ভোরে রাজধানীর একটি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। তার বয়স হয়েছিল ৫৮ বছর।
২৪ মার্চ ২০২৪, ১১:৪৩
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়