• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo
শেষ সময়ে প্রাণবন্ত বইমেলা
বিদায়ের সুর বাজছে আমর একুশে বইমেলায়। শেষবেলায় দর্শনার্থী ছিল কম। তবে পাঠকদের সমাগম ছিল বেশি। মেলায় যারা আসছেন অধিকাংশের হাতে ছিল বই। শেষ সময়ে পাঠকদের পদচারণায় প্রাণবন্ত ছিল বইমেলা। শনিবার (২ মার্চ) সরেজমিনে দেখা গেছে, তেমন ভিড় ছিলনা মেলায়। দর্শনার্থীদের সংখ্যা কম দেখা গেছে। শেষবেলা বইপ্রেমীরা খুঁজে খুঁজে বই কিনছেন। তবে অধিকাংশ পাঠককে হাতে বই নিয়ে ঘুরতে দেখা গেছে। খালি হাতে মেলা প্রাঙ্গণ থেকে বের হচ্ছে না পাঠকরা। এদিকে মেলার শেষ দিন হওয়ায় বই গোছাচ্ছেন কর্মীরা। বইগুলো প্যাকেজিং করে বিদায়ের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। বিক্রয়কর্মীরা জানান, মেলায় দর্শনার্থী কম হলেও বেচাকেনা ভালো। যারা স্টলে আসছেন তাদের বেশির ভাগই বই কিনছেন। ঘুরতে আসা মানুষের সংখ্যা ছিল কম। তারা আরও বলেন, সময় বাড়ানোর কারণে কাল থেকে ভালো বিক্রি হয়েছে। শেষ সময়ে প্রবন্ধ, ইতিহাস, মুক্তিযুদ্ধ, স্বাস্থ্যবিষয়ক ও বাচ্চাদের নৈতিকতার বই বেশি বেচাকেনা হয়েছে। দর্শনার্থী আলমগীর হোসেন বলেন, শেষ সময়ে কিছু প্রয়োজনীয় বই সংগ্রহ করেছি। যা অন্যসময় পাওয়া যায় না। ভালেই লাগছে। এরপর অপেক্ষা করতে হবে আরও একবছর। প্রসঙ্গত, মেলা শেষ হওয়ার কথা ছিল ২৯ ফেব্রুয়ারি। তবে প্রকাশকদের আবেদনের পর প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার নির্দেশে মেলার সময় বাড়ানো হয় দুদিন।
০২ মার্চ ২০২৪, ১৯:৫৬

শবেবরাতের ছুটিতে জমজমাট বইমেলা
শেষ প্রান্তে এসে দাঁড়িয়েছে অমর একুশে বইমেলা । আর তিনদিন পরই পর্দা নামবে প্রাণের বইমেলার। বইপ্রেমীদের মনে বিদায়ের সুর বাজতে শুরু করেছে এরই মধ্যে। তবে শেষ সময়ে এসে লোকসমাগমে জমজমাট হয়ে উঠেছে মেলা । তার উপর শবে বরাতের ছুটি। সপ্তাহে বাড়তি একটা ছুটি পেয়ে মেলায় ছুটে আসছেন বইপ্রেমীরা। বিক্রি বাড়ায় খুশি বইয়ের দোকানিরাও। রাজধানীর বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ১ ফেব্রুয়ারি শুরু হয়েছে ঐতিহ্যবাহী অমর একুশে বইমেলা। তবে বইয়ের দোকান বেশি হওয়ায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশেই বেশি ভিড় হয়। সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে সেখানে গিয়ে দেখা যায়, লোকে লোকারণ্য হয়ে উঠেছে মেলা প্রাঙ্গন। ছেলে থেকে বুড়ো বিভিন্ন মানুষ আসছেন মেলায়। বেশির ভাগের হাতেই ছিল বইয়ের ব্যাগ। অন্যান্য দিনের মতো বেশি ভিড় দেখা যায় মেলার শিশু কর্নার ও স্টলগুলোতে। মিরপুর থেকে এসেছেন শাহলিনা বেগম ও জামির আহমেদ। প্রতি বছরই বইমেলায় আসেন এ দম্পতি। কিন্তু, দুজনই চাকরিজীবী হওয়ায় ঘোরাঘুরির সময়-সুযোগ বের করা কঠিন। এবারের মেলায় এটাই তাদের প্রথম আসা জানিয়ে এ দম্পতি বলেন, চাকরি-সংসার মিলিয়ে বেশ ব্যস্ত থাকতে হয়। এদিকে মেলাও শেষ হয়ে যাচ্ছে। বইমেলায় আসতে না পারায় মনের মধ্যে কেমন যেন যেন হাহাকার জেগে উঠেছিল। তাই ভাবলাম, শবে বরাতের এ ছুটিই এবার শেষ সুযোগ। শেষমেশ আসা হলো।' এই প্রথম বইমেলায় এসেছেন লুবনা। মেলার গেটে যখন প্রবেশ করছিলেন বারবার সেই মুহূর্তকে নিজের মোবাইলে ধারণ করছিলেন। এ সময় কথা হয় তার সঙ্গে। তিনি বলেন, টিভিতে অনেক দেখেছি। পত্রিকায় বইমেলার ফিচার পড়েছি। কিন্তু আজ বাস্তবে সরাসরি এলাম। অনুভূতিটাই অন্যরকম। পুরো মেলায় ঘুরবো, বইও কিনবো। লুবনার প্রিয় লেখক কে জানতে চাইলে কোনও কিছু না ভেবেই উত্তর দিয়ে দেন, হুমায়ূন আহমেদ।  ছুটির দিন হওয়ায় সকাল থেকে দর্শনার্থীরা আসতে শুরু করেছে। দুপুর ১২টা নাগাদ গেট খুলে দেওয়া হলে প্রবেশ করতে শুরু করেন বইপ্রেমীরা। ক্রেতা সমাগমে খুশি বই বিক্রেতারাও। শেষ দিকে একে জমে উঠেছে বেচাবিক্রি। ঘুরতে আসা বেশিরভাগ দর্শনার্থীরাই কিনছেন বই।   আগামী প্রকাশনীর স্টলে গিয়ে কথা হয় দায়িত্বরত কর্মকর্তা আমিরুল ইসলামের সঙ্গে। তিনি বলেন, কমবেশি সবাই বই কিনছেন। প্রথমা প্রকাশনের জ্যেষ্ঠ বিক্রয় প্রতিনিধি মোহাম্মদ সোহেলের কথাতেও বোঝা গেল শেষ দিকে এসে তুলনামূলক বেশি বই বিক্রি হচ্ছে। তিনি বলেন, যারা আসছেন, তারাই কমবেশি বই কিনছেন। বাছাই করা তালিকা ধরে বই কিনছেন অনেকে।
২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৯:৩৯

শবেবরাতের ছুটি উপলক্ষে বইমেলা শুরুর সময়ে পরিবর্তন
আজ সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) অমর একুশে বইমেলা দুপুর ১২টায় শুরু হয়ে চলবে রাত ৯টা পর্যন্ত। পবিত্র শবেবরাতের ছুটি উপলক্ষে মেলায় শুরুর সময়ে এই পরিবর্তন আনা হয়েছে।  বাংলা একাডেমির জনসংযোগ, তথ্যপ্রযুক্তি ও প্রশিক্ষণ বিভাগ থেকে বিষয়টি জানানো হয়। আজ মেলার ২৬তম দিনে বিকেল ৪টায় বইমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হবে ‘স্মরণ : আবুবকর সিদ্দিক’ এবং ‘স্মরণ: আজিজুর রহমান আজিজ’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে কবি আসাদ মান্নানের সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশ নেবেন মামুন মুস্তাফা, মো. মনজুরুর রহমান, তৌহিদুল ইসলাম ও আনিস মুহম্মদ। প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন ফরিদ আহমদ দুলাল এবং কামরুল ইসলাম। বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের প্রায় সাড়ে ১১ লাখ বর্গফুট জায়গায় ১ ফেব্রুয়ারি থেকে চলছে অমর একুশে বইমেলা। বাংলা একাডেমি আয়োজিত এবারের বইমেলার প্রতিপাদ্য ‘পড়ো বই, গড়ো দেশ: বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ’। বইমেলায় ৬৩৫টি প্রতিষ্ঠানকে মোট ৯৩৭টি স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। বাংলা একাডেমি মাঠে ১২০টি প্রতিষ্ঠানকে ১৭৩টি এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ৫১৫টি প্রতিষ্ঠানকে ৭৬৪টি স্টল বরাদ্দ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এ বছর মোট ৩৭টি প্যাভিলিয়নও বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। গত বছর ৬০১টি প্রতিষ্ঠানের পক্ষে মোট ৯০১টি স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল।
২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:০৫

ছুটির দিনে জমজমাট বইমেলা
বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে চলছে অমর একুশে বইমেলা। সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়া বিপুল ক্রেতা-দর্শনার্থীর উপস্থিতিতে জমে উঠেছে বাঙালির এই প্রাণের মেলা। শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টায় মেলার প্রবেশদ্বার সর্বসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হয়। মেলা চলবে রাত ৯টা পর্যন্ত। বইমেলায় ছুটির দিন মানেই শিশু-কিশোরদের জন্য থাকে শিশুপ্রহর। এদিন বেলা ১১টায় শুরু হয় শিশুপ্রহর। চলে দুপুর ১টা পর্যন্ত। শিশুপ্রহরে সিসিমপুরের ইকরি, হালুম, টুকটুকি আর সিকুর সঙ্গে নেচে-গেয়ে ব্যাস্ত সময় পার করে তারা। পাশাপাশি স্টলে ঘুরে ঘুরে পছন্দের বই সংগ্রহ করে ক্ষুদে পাঠকরা। শিশুদের ট্রাফিক সচেতনতা বাড়াতে ডিএমপি ও জাইকার আয়োজনে শিশুদেরকে বিভিন্ন ট্রাফিক সিগন্যালসহ সড়কে চলাচলের নিয়মকানুন শেখানো হয়। অভিভাবকরা বলেন, শিশুদের জন্য সুন্দর আয়োজন শিশুপ্রহর। উপভোগের পাশাপাশি অন্য শিশুদের সঙ্গেও খেলাধুলার সুযোগ পাওয়া যায় এ সময়। এদিকে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মেলায় ক্রেতা-দর্শনার্থীর উপস্থিতিও বাড়তে থাকে। এদিন বইমেলার শেষ শুক্রবার হওয়ায় বিকেলের দিকে মেলায় বইপ্রেমীদের চাপ একটু বেশিই লক্ষ্য করা গেছে। বইমেলার প্রতিটি স্টলেই ক্রেতা-দর্শনার্থীদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। কেউ বই উল্টে-পাল্টে দেখছেন, কেউ পছন্দের লেখকের সঙ্গে ছবি তুলছেন, অটোগ্রাফ নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন। বিভিন্ন স্টলের বিক্রেতারা বলেন, বইমেলার আজ শেষ শুক্রবার হওয়ায় অন্য যেকোনো শুক্রবার থেকে ক্রেতা-দর্শনার্থীর সংখ্যা বেশি। তাই বিক্রিও ভালো হচ্ছে। সন্ধ্যায় মেলায় বইপ্রেমীদের উপস্থিতি আরও বাড়বে বলে মনে করছেন তারা।
২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২০:১৪

বইমেলা থেকে বিতাড়িত হয়ে ডিবিতে হিরো আলম
দুয়োধ্বনি দিয়ে বইমেলা থেকে বিতাড়িত করা হয়েছে এমন অভিযোগ নিয়ে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) কার্যালয়ে গেছেন কনটেন্ট ক্রিয়েটর আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম। বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টায় ডিবি অফিসে উপস্থিত হন তিনি। এ সময় সংবাদমাধ্যমকে আলম বলেন, একজন মানুষকে শুধু বইমেলা থেকে নয়, যে কেউ যে কোনো স্থান থেকে বের করে দিতে পারে না। সেখানে বইমেলায় আমাকে দুয়োধ্বনি দেওয়া হয়েছে, যেটা আমার কাছে উত্ত্যক্তের পর্যায়ে মনে হয়েছে। তাই ডিবি কার্যালয়ে এসেছি। বিষয়টি ডিবি প্রধান হারুন ভাইকে লিখিতভাবে অবহিত করব। বিষয়টির একটা সুরাহা করা উচিত। বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) বিকেল চারটার দিকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত বইমেলায় নিজের লেখা বইয়ের প্রচারণা চালাচ্ছিলেন আলম। হঠাৎ একদল দর্শনার্থী তার উদ্দেশে ভুয়া ভুয়া, ছিঃ ছিঃ দুয়োধ্বনি দিতে থাকেন। অবস্থা বেগতিক দেখে পুলিশ সদস্যরা নিরাপত্তা বেষ্টনী দিয়ে টিএসসি গেট দিয়ে মেলা প্রাঙ্গণ থেকে হিরো আলমকে বেরিয়ে যেতে সাহায্য করেন।  হিরো আলমের বইয়ের নাম ‘দৃষ্টিভঙ্গি বদলান, আমরা সমাজকে বদলে দিব’। বইটি কয়েক বছর আগে প্রকাশ পেয়েছে। মেলার ২১তম দিনে ওই বইয়ের প্রচারণা চালাতে গিয়ে ভুয়া ভুয়া, ছি: ছি: দুয়োধ্বনি শুনে বইমেলা ছাড়তে হয় এই কনটেন্ট ক্রিয়েটরকে।
২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৬:৫৩

এবার ভুয়া ভুয়া ধ্বনিতে বইমেলা থেকে বিতাড়িত হিরো আলম
মুশতাক-তিশা দম্পতি ও ড. সাবরিনার পর এবার অমর একুশে বইমেলা প্রাঙ্গণ থেকে আলোচিত ইউটিউবর আশরাফুল হোসেন আলমকে (হিরো আলম) বিতাড়িত করা হয়েছে। বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৪টার দিকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান থেকে তাকে ‘ভুয়া ভুয়া’, ‘ছিঃছিঃ’ ধ্বনি দিয়ে মেলা প্রাঙ্গণ থেকে বের হয়ে যেতে বাধ্য করে মেলার দর্শনার্থীরা। জানা গেছে, বইমেলার একুশতম দিনে ‘দৃষ্টিভঙ্গি বদলান, আমরা সমাজকে বদলে দিব’ বইয়ের লেখক হিরো আলম মেলায় আসেন। যখন বইটি হাতে নিয়ে পাঠকদের বই কিনতে উৎসাহিত করছিলেন হিরো আলম, তখন একদল দর্শনার্থী তাদের দুয়োধ্বনি দিয়ে তাড়া করেন। এ সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহয়তায় তিনি মেলা প্রাঙ্গণ থেকে বের হয়ে যান। প্রসঙ্গত, গত কয়েক দিন আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচিত মুস্তাক-তিশা, সাবরিনাকে একইভাবে বের করে দেয় সাধারণ দর্শনার্থী ও পাঠকেরা।  
২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৭:৪৫

সকাল ৮টায় খুলল বইমেলা
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়েছে বইমেলা। চলবে রাত ৯টা পর্যন্ত। বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) প্রথম প্রহরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বাংলা একাডেমির পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করে দিনের কর্মসূচি শুরু করা হয়। শ্রদ্ধা নিবেদন করেন প্রতিষ্ঠানটির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা। এরপর সকাল ৮টায় বইমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় স্বরচিত কবিতা পাঠের আসর। এতে সভাপতিত্ব করেন কবি শামীম আজাদ।  এদিকে বিকেল ৪টায় বইমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হবে অমর একুশে বক্তৃতা-২০২৪। এতে সভাপতিত্ব করবেন বাংলা একাডেমির সভাপতি কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন। এ ছাড়া স্বাগত বক্তব্য রাখবেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা। আর অমর একুশে বক্তৃতা দেবেন বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক আনোয়ারা সৈয়দ হক।
২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৯:৫৭

ভাষা দিবসে বইমেলা শুরু হবে সকাল ৮টায়
আজ অমর একুশে ফেব্রুয়ারি। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। প্রতিদিন নিয়মিত বইমেলা বিকাল ৩টায় শুরু হলেও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ও শহীদ দিবসে বইমেলা শুরু হবে সকাল ৮টায়। চলবে রাত ৯টা পর্যন্ত। মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) অমর একুশে ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে বাংলা একাডেমি ঘোষিত কর্মসূচিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে। অমর একুশে ফেব্রুয়ারি বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে রাত সাড়ে বারোটায় একুশের প্রথম প্রহরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বাংলা একাডেমির পক্ষ থেকে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করে দিনের কর্মসূচি শুরু হবে। বইমেলা শুরু হবে সকাল ৮টায় এবং চলবে রাত ৯টা পর্যন্ত। সকাল ৮টায় বইমেলার মূল মঞ্চে অনুষ্ঠিত হবে স্বরচিত কবিতা পাঠের আসর। সভাপতিত্ব করবেন কবি শামীম আজাদ। বিকাল ৪টায় বইমেলার মূল মঞ্চে অমর একুশে বক্তৃতা হবে বলেও জানানো হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন বাংলা একাডেমির সভাপতি কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন। এ সময় স্বাগত বক্তব্য রাখবেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা। অমর একুশে বক্তব্য রাখবেন বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক আনোয়ারা সৈয়দ হক।
২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:৪৬

জমে উঠেছে বইমেলা
সাপ্তাহিক ছুটির দিনে লোকারণ্য অমর একুশে বইমেলা প্রাঙ্গণে। স্টলে স্টলে ভিড় বই প্রেমীদের। শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে মেলার দুয়ার খোলার আগেই মানুষের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে লোকারণ্যে কোথাও তিল ধারণের ঠাঁই ছিল না। মেলায় কেউ সপরিবারে, কেউ বন্ধু-বান্ধবীদের সঙ্গে এসেছেন। অধিকাংশ নারীকে হলুদ শাড়ি, খোঁপায় ফুল ও মাথায় ফুলের মালা পরতে দেখা গেছে। ছেলেদের অনেকেই পাঞ্জাবি-পায়জামা পরে এসেছেন। তারা বইয়ের স্টলগুলোতে ভিড় করছেন। পছন্দের লেখকের বই কিনছেন। তবে, বই কেনার চেয়ে অধিকাংশ যুবক-যুবতী ঘুরতে এসেছেন। যাত্রাবাড়ী থেকে আসা তোফায়েল জানান, এ বছর আজই মেলায় এসেছি। বন্ধুরা মিলে আগেই পরিকল্পনা করেছিলাম আজকে মেলায় ঘুরতে যাবো।  চাকরিজীবী মেশকাত বলেন, ছুুটির দিনে পরিবার নিয়ে মেলায় এসেছি। আমার তেমন একটা বই পড়া হয় না। আমার স্ত্রী ও সন্তানদের বই পড়ার নেশায় আমাকে মেলায় নিয়ে এসেছে। তারা তাদের পছন্দের লেখকের বই দেখছে এবং কিনছে।    স্টল মালিক ও বিক্রয় প্রতিনিধিরা জানান, পহেলা ফাল্গুন ও ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে মেলায় মানুষের ভিড় ছিল। মেলা জমে উঠলেও বিক্রি কম ছিল। অধিকাংশই ঘুরতে আসছেন। তবে, ২১ ফেব্রুয়ারি থেকে মানুষের আরও ভিড় হবে। তখন বিক্রিও বাড়বে বলে আশা করছি। তখন ঘুরতে আসা মানুষের সংখ্যা কমে যাবে। যারা বই কিনবে তারাই মূলত মেলায় আসবে। এদিকে, বইমেলার প্রবেশ ও বাহিরপথে পর্যাপ্ত সংখ্যক আর্চওয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। মেলার সার্বিক নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছেন পুলিশ, র‍্যাব, আনসার ও বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা। নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার জন্য মেলায় এলাকাজুড়ে ৩০০ ক্লোজসার্কিট ক্যামেরার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ছুটির দিন ছাড়া প্রতিদিন বিকেল ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত খোলা থাকবে মেলা। রাত সাড়ে ৮টার পর নতুন করে কেউ মেলা প্রাঙ্গণে প্রবেশ করতে পারবেন না। আর ছুটির দিন বইমেলা চলবে বেলা ১১টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত। তবে ২১ ফেব্রুয়ারি মহান শহীদ দিবস এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের দিন মেলা সকাল ৮টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত চলবে।  
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২১:৩৭

আজ জমবে বইমেলা
ছুটির দিন আসলেই নতুন করে প্রাণ ফিরে পায় বইমেলা। বিশেষ করে শুক্রবার মেলায় মানুষের সমাগম বেশি হয়। শুক্রবার তাই কেন যেন মনে হয় বিশেষ দিন। এদিন লেখক, পাঠকদের আড্ডাটা বেশ ভালো জমে। শিশুপ্রহরে কোমলমতি শিশুদের পদচারণায় অন্যরকম আবেশ সৃষ্টি করে। বাবা-মায়ের হাত ধরে ছোট সোনামনি আসে প্রাণের প্রিয় অমর একুশে বইমেলায়। বাংলার সাহিত্য-সংস্কৃতি, কৃষ্টি কালচার আর আবহমান বাংলার মাটির সঙ্গে তারা পরিচিত হয়। নতুন নতুন ভাবনা আসে তাদের মাথায়। নিজেকে তৈরির, দেশ ও বাঙালি জাতিকে জানার সুযোগ পায় তারা।  এদিন বই বিক্রি ভাল না হলেও বিক্রেতাদের, আয়োজকদের মন ভাল থাকে। স্টলে স্টলে মানুষের ভিড় তাদের মনে আশার সঞ্চার করে। বিক্রি ভাল হবে, মেলা ঘুরে বই দেখতে দেখতে এক সময় দর্শনার্থীরা পছন্দের বইটি কিনবেই- এমন আশায় থাকেন বিক্রেতা কিংবা প্রকাশকরা। লেখকরাও নতুন স্বপ্ন বুনেন। পাঠকদের খুব কাছাকাছি যান। পাঠকের ভিড়ে স্বকীয়তা হারিয়ে লেখক পাঠক মিলে হয়ে যান একাকার। মেলায় পাঠকের ভিড় থাকলে লেখকদেরও মন ভাল থাকে। অন্যদের চেয়ে আলাদা, অন্যরকম কিছু একটা ভাবেন তারা, নিজেদের লেখক ভাবেন। নিজেদের মুল্য বোঝার সুযোগ পান। শুক্র, শনি করে অবশেষে তৃতীয় শুক্রবারে পৌঁছে গেল অমর একুশে বইমেলা। বইমেলা সতিকারভাবেই এ সময় থেকে জমে উঠতে শুরু করে। তবে প্রাণের বইমেলা লেখক-পাঠকের প্রাণে স্পর্শ করে প্রকৃতভাবে ২১ ফেব্রুয়ারির পর। এ দিনের পর থেকে শুরু করে বাকি দিনগুলোতে জমে উঠে বই মেলা। ২১ ফেব্রুয়ারির পর বইমেলা হয়ে ওঠে পুরোপুরি বইয়ের প্রকৃত ক্রেতা অর্থাৎ পাঠকদের। পাঠক তার তিন সপ্তাহের চিন্তা ভাবনা আর মেলায় পদচারণার পর প্রয়োজনীয় পছন্দের বইটি কিনে নেন। আজ শুক্রবার বইমেলা শুরু হবে সকাল ১১টায়। চলবে রাত ৯টা পর্যন্ত। মেলায় আজ থাকবে মানুষের ভিড়। আজ জমবে বইমেলা। ‘অমর একুশে বইমেলা ২০২৪’-এ প্রকাশিত হয়েছে জনপ্রিয় কবি পলিয়ার ওয়াহিদের নতুন কবিতার বই ‘আলিফ লাম মীম ও মহুয়ার মরমী গম।’ কবি পলিয়ার ওয়াহিদ নিজের বই সম্পর্কে আরটিভি নিউজকে বলেন, ‘আলিফ লাম মীম’ মূলত সংস্কৃতি ও বিশ্বাসের দ্বন্দ্বের লড়াই। অজানা বিষয়কে জানার চেষ্টা। সভ্যতার শিরা-উপশিরা, ভাষার ডিজাইন ও কৃষি উপমায় আধুনিক মননের সরল কিন্তু গভীর ডায়ালগে সুমিষ্ট পরিবেশন। পাঠক বইটি সংগ্রহ করলে বিস্মিত হবে, চমকে যাবে। তিনি আরও বলেন, পহেলা ফাল্গুন ও ভালোবাসা দিবস উপলক্ষ্যে মেলায় জনস্রোত ছিল। অনেক মানুষ এসেছিল মেলায়, অনেকে পরিবার নিয়ে ঘুরতে বেড়িয়েছে। মেলায় মানুষের প্রচুর ভিড় ছিল। কিন্তু সে তুলনায় বই বিক্রি ছিল বেশ কম। তবে শুক্রবার পাঠকদের ভিড় বাড়বে। পছন্দের বইও কিনবেন পাঠকরা। মেলা মুলত জমতে শুরু করেছে। বাকি দিনগুলোতে মেলায় ঘুরতে আসা মানুষের সংখ্যা কমে যাবে। যারা বই কিনবে তারাই মূলত মেলায় আসবে।  
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৭:৩৫
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়