• ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo
এবার জেলখানার অভিজ্ঞতা নিয়ে বই লিখছেন পরীমণি
ঢালিউডের আলোচিত নায়িকা পরীমণি। নানান বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের কারণে ক্যারিয়ারজুড়েই সমালোচনার মুখে পড়েছেন তিনি। কখন বিয়ে-বিচ্ছেদ কাণ্ডে কখনও বা আবার জেলে গিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি করেছেন। এবার জেলের সেই অভিজ্ঞতা নিয়ে বই লিখছেন পরীমণি।    একুশে বইমেলায় ইতোমধ্যে বেশ কয়েকজন তারকার বই এসেছে। এদের মধ্যে রয়েছেন— আশনা হাবিব ভাবনা, পুতুল, বিদ্যা সিনহা মিম, শানারেই দেবী শানুসহ আরও অনেকেই। অন্যদিকে জেল জীবনের অভিজ্ঞতা নিয়ে বই লিখেছেন ডা: সাবরিনা। চলতি বছর বইমেলায় এসেছে তার গ্রন্থটি। এবার লেখক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে যাচ্ছেন পরীমণি।  সম্প্রতি দেশের এক গণমাধ্যমের সাক্ষাৎকারে জেলখানার নানান বিষয় নিয়ে কথা বলেন পরীমণি। অভিনেত্রী বলেন, কেন জেলে গিয়েছিলেন সে বিষয়টি এখনও স্পষ্ট নয় তার কাছে। তবুও জেলজীবনের অভিজ্ঞতা কেমন ছিল, সেটা নিয়ে বই লিখবেন। যেখানে কারাবাসের দিনগুলোর গল্প তুলে ধরবেন এই চিত্রনায়িকা।   তিনি আরও বলেন, আমি কাউকে খুন করিনি, জঙ্গি হামলা করিনি, আমার বাসায় কোনো বোমা ছিল না। আমি আসলে কী করেছি এটাই জানি না। ভালো বিষয় হলো, এখান থেকে অনেক কিছু শিক্ষা নিয়েছি। জেলখানার অভিজ্ঞতা নিয়ে বই লিখছি। পরীমণির ভাষ্য, একটু স্ট্রেট ফরোয়ার্ড বলে হয়তো আমার সঙ্গে এমনটা হচ্ছে। তবে এখন আমি জানি মানুষ কী পছন্দ করে আর কী পছন্দ করে না। মানুষ চায় নিজের গলাবাজির নিচে সবার গলাবাজি থাকুক। সবাই চায় আমি আস্তে কথা বলি, অন্যেরা যা চায় সেটা করি। সমাজের চাপানো কিছু নিয়ম আছে, সেগুলো মেনে চললেই তুমি লক্ষ্মী মেয়ে। নেটদুনিয়ায় সমালোচনা প্রসঙ্গে অভিনেত্রী বলেন, আমাকে নিয়ে যত নেগেটিভ কথা হয়েছে, ঠিক ততটুকু পজিটিভ কথাও হয়েছে। আমি যখন জেল থেকে বের হওয়ার পর মানুষজন আমাকে অনেক সাপোর্ট করেছে। তাদের সঙ্গে আমার রক্তের কোনো সম্পর্ক না থাকলেও তারা আমার কাজের জন্যই পাশে দাঁড়িয়েছিল।   
১২ মার্চ ২০২৪, ১৬:১২

বই বিক্রি করে মসজিদ নির্মাণে টাকা দিলেন সংগীতশিল্পী তাশরিফ
বর্তমান সময়ের অন্যতম দর্শকপ্রিয় গায়ক তাশরিফ খান। গানের পাশাপাশি প্রায়ই নানা ধরনের সামাজিক কর্মকাণ্ডে অংশ নিতে দেখা যায় তাকে। সেই ধারাবাহিকটায় এবার  সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে মসজিদ নির্মাণে অর্থ সহায়তা দিয়েছেন গায়ক তাশরিফ খান। তবে সেখানে তিনি গানের টাকা নয়, বই বিক্রি করে প্রাপ্ত অর্থ দিয়েছেন। একটি ভিডিও বার্তা পোস্ট করে এই গায়ক লিখেছেন, আল্লাহর ঘর নির্মাণে সামান্য অবদান আমারও থাকুক। এখানে গানের কোনো টাকা জমা হবে না, আমার বই বিক্রির উপার্জন থেকে জমানো অর্থ দিয়ে অংশগ্রহণ করছি। নেটিজেনরা বলছেন তাশরিফ খান বিশ্বাস করেন গানের টাকা দেওয়া যাবে না, সেটা হারাম। তাই তিনি বইয়ের টাকা দিয়েছেন। আরেকজন বলছেন, তিনি হারাম জেনেও গান গেয়ে টাকা ইনকাম করে যাচ্ছেন। এসব নিয়ে সামাজিকমাধ্যমে তর্ক বিতর্ক চলছে। যদিও এক শ্রেণির সামাজিকমাধ্যম ব্যবহারকারীরা তাশরিফকে প্রশংসায় ভাসাচ্ছেন। অন্যদিকে সংগীত সংশ্লিষ্টরা তাশরিফের এই বিষয়টি নিয়ে তাকে ‘ভণ্ড’ আখ্যা দিচ্ছেন।
১০ মার্চ ২০২৪, ২০:৩২

বইমেলায় ৬০ কোটি টাকার বই বিক্রি
দুই দিন বর্ধিত বইমেলার আজ শেষ দিন। সে হিসেবে শুরু হয় সমাপনী অনুষ্ঠান। এবারের একুশে বইমেলার ৩১ দিন শেষে মেলায় নতুন বই এসেছে ৩৭৫১টি। এ বছর মেলায় আনুমানিক ৬০ কোটি টাকার বই বিক্রি হয়েছে। ১ মার্চ পর্যন্ত মেলায় এসেছেন প্রায় ৫৯ লাখ দর্শনার্থী। শনিবার (২ মার্চ) মেলার ৩১তম ও শেষ দিনে সমাপনী বক্তব্য দেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক (ডিজি) কবি মুহম্মদ নুরুল হুদা। তিনি বলেন, এ বছর তিন হাজার ৭৫১টি বই প্রকাশিত হয়েছে। আগামী বছর আরও সফল মেলা আয়োজন করা হবে।’ জানা গেছে, গত দুই বছরের তুলনায় অমর একুশে বইমেলায় বইয়ের বিক্রি বেড়েছে। গত বছরের তুলনায় এই বিক্রি ১৩ কোটি টাকা বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ৬০ কোটিতে, যা ২০২২ সালের তুলনায় বেড়েছে সাড়ে সাত কোটি। যদিও দেশে করোনা অতিমারির শুরুর আগের মাসের বিক্রির তুলনায় এই বৃদ্ধিকে বলা চলে নগণ্য। কারণ, সে বছর অর্থাৎ ২০২০ সালে বিক্রি হয়েছিল ৮২ কোটি টাকার বই। এবারের অমর একুশে বইমেলাতে প্রায় ৬০ কোটি টাকার মতো বিক্রি হয়েছে। এছাড়া প্রায় ৬০ লাখ মানুষ মেলাতে প্রবেশ করেছে। শনিবার (২ মার্চ) বইমেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে অমর একুশে বইমেলা ২০২৪-এর সদস্য-সচিব ডা. কে এম মুজাহিদুল ইসলামের পক্ষে একাডেমির প্রশাসন উপবিভাগের উপ-পরিচালক ড. সাহেদ মন্তাজ এ তথ্য জানান। সমাপনি অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন বাংলা একাডেমির সভাপতি কথা সাহিত্যিক সেলিনা হোসেন। এতে প্রধান অতিথি প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী, বিশেষ অতিথি সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব খলিল আহমদ। প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের অমর একুশে বইমেলায় ৪৭ কোটি টাকার বই বিক্রি হয়।
০৩ মার্চ ২০২৪, ০৩:০৮

বইমেলায় ৬০ কোটি টাকার বই বিক্রি
রাজধানীতে আয়োজিত চলতি বছরের (২০২৪) অমর একুশে বইমেলায় ৬০ কোটির বেশি টাকার বই বিক্রি হয়েছে, যা ২০২৩ সালের তুলনায় অন্তত ১৩ কোটি টাকা বেশি। গত বছর মেলায় ৪৭ কোটি টাকার বই বিক্রি হয়েছিল । শনিবার (২ মার্চ) বিকেলে অমর একুশে বইমেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানান বাংলা একাডেমির উপ-পরিচালক শাহেদ মমতাজ। অমর একুশে বইমেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী। সম্মানিত অতিথি ছিলেন নবনিযুক্ত সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী নাহিদ ইজাহার খান। বিশেষ অতিথি ছিলেন সংস্কৃতি সচিব খলিল আহমদ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলা একাডেমির সভাপতি কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন। এতে স্বাগত বক্তব্য দেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা। নবনিযুক্ত সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী নাহিদ ইজাহার খান রাজধানীর বেইলি রোডে নিহতদের স্মরণ করে তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন। এ সময় তিনি বলেন, গত ১ ফেব্রুয়ারি বইমেলার উদ্বোধনী আয়োজনে এসেছিলাম। জীবনে চিন্তাও করিনি বইমেলার সমাপনী আয়োজনে আমি সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী হিসেবে হাজির হবো। তিনি বলেন, আমি কোনো প্রতিশ্রুতি দিতে চাই না। কোনো প্রমিজে বিশ্বাস করি না, কাজ দিয়ে নিজেকে প্রমাণ করতে চাই। প্রতিশ্রুতি তো ভঙ্গ হয়ে যায়। আমরা সবাই মিলে যদি একটি টিমওয়ার্ক করতে পারি, তাহলে কাজটি ভালো হবে।’ তিনি আরও বলেন, বাংলা একাডেমি ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের বইমেলা এখন ঐতিহ্য হয়ে গেছে। এই বইমেলা সরানোর বিষয়ে কথা উঠেছে। আমরা কোনো না কোনো ব্যবস্থা করে বইমেলা এখানে রাখার ব্যবস্থা করবো। প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী বলেন, সারা পৃথিবী ঘুরে এসেও এমন একটি বইমেলা খুঁজে পাবেন না। এ বইমেলা আমাদের আবেগের মেলা, জাতিসত্তার মেলা। এই বইমেলা জাতি হয়ে ওঠার বইমেলা, আমাদের মাটি ও মানুষকে ভালোবাসার বইমেলা। চলতি বছরের (২০২৪) অমর একুশে বইমেলায় বই প্রকাশিত হয়েছে ৩ হাজার ৭৫১টি। গত বছর প্রকাশিত হয় ৩ হাজার ৭৩০টি বই।  
০২ মার্চ ২০২৪, ২৩:১৫

মনের দরজা-জানালা খুলতে বই পড়তে হবে : সমাজকল্যাণমন্ত্রী
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সমাজকল্যাণমন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, কারিগরি শিক্ষাকে এগিয়ে নিলে মানবসম্পদ উন্নত হবে। একই সঙ্গে দেশের উন্নয়ন হবে। আমাদের দক্ষতা অর্জন করতে হবে। আমাদের ক্লাসের বই শুধু পড়ার জন্য নয়, এর বাইরেও অনেক বই পড়ার আছে। আমি অনেক রাজনৈতিক ব্যক্তিকে দেখেছি, ব্যস্ততার মধ্যেও তারা অনেক বই পড়তেন। মনের দরজা- জানালা খুলতে বই পড়তে হবে। শুক্রবার (১ মার্চ) দুপুরে চাঁদপুর সদর উপজেলা অডিটোরিয়ামে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পাঠাভ্যাস উন্নয়ন কর্মসূচির আওতাধীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কর্মসূচির বই হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, বই ভালোবাসতে শিখুন। আমরা চাই, শিক্ষার্থীরা প্রচুর বই পড়ুক। বর্তমানে শিক্ষার্থীরা প্রযুক্তির মাধ্যমেও দেশ বিদেশের নামি-দামি ব্যক্তির বই পড়ছে। শিক্ষার্থীরা অনেক বেশি সমাজ সচেতন। বই পড়ার মাধ্যমে তারা যোগ্য, মানবিক ও সৃজনশীল হবে। দীপু মনি বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু বই পড়তে ভালোবাসতেন। আমরা চাই, প্রতিটি শিক্ষার্থী তাদের জ্ঞানকে কাজ লাগাক। প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের লাইব্রেরিকে কাজে লাগাতে হবে। শিক্ষার্থীদের বই পড়ার সুযোগ করে দিতে হবে। এতে চাঁদপুরের ২৫ লাখ শিক্ষার্থী উপকারভোগী হবে। তাদের মনের জানালা খুলবে। আগের দিন নেই। হেলাফেলা করে হলেও শিক্ষার্থীদের শিখতে হবে। শিক্ষকদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, যেসব শিক্ষক যৌন হয়রানি করেন, তারা সমাজের বিকৃত মানুষ। কেউ অপরাধ করলে কোনো শিক্ষক তার পক্ষ নেবেন না। আপনাদের মধ্যে কেউ বিকৃত মনের মানুষ থাকলে প্রতিষ্ঠানের প্রধান বা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে জানাবেন। যৌন হয়রানির শিকার একটি শিক্ষার্থীকে সারা জীবন এ কষ্ট বয়ে বেড়াতে হয়। তাই সবাইকে সচেতন হতে হবে। সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাখাওয়াত জামিল সৈকতের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন-সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম নাজিম দেওয়ান ও জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা প্রাণকৃষ্ণ দেবনাথ। বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের উপপরিচালক উজ্জ্বল হোসেনের সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য দেন-স্ট্রেনদেনিং রিডিং হ্যাবিট অ্যান্ড রিডিং স্কিলস অ্যামং সেকেন্ডারি স্টুডেন্টস স্কিমের সহকারী পরিচালক সাদেক আহমেদ খান। শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন পাঠাভ্যাস উন্নয়ন কর্মসূচির কো-টিম লিডার এবং বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের পরিচালক শামীম আল মামুন। অনুষ্ঠানে চাঁদপুর সদর ও হাইমচর উপজেলার ১০০ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বই বিতরণ করা হয়।  
০১ মার্চ ২০২৪, ১৫:৫৩

২০০ বই নিয়ে শ্বশুরবাড়ি গেলেন নববধূ
লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে এক নববধূ শ্বশুরবাড়িতে প্রায় দুই শত বই নিয়ে গেছেন। স্বপ্ন দেখছেন শ্বশুর বাড়ির একটি কক্ষে ‘বউ-শাশুড়ির বই ঘর’ নামে একটি লাইব্রেরি গড়বেন। ওই লাইব্রেরিতে এলাকার বউ শ্বাশুড়িসহ স্কুল-কলেজের ছাত্রীরা এসে বই পড়বে।  সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে নববধূ মেহেরুন নেছা মুমু বাবার বাড়ি থেকে বই নিয়ে উপজেলার চর ফলকন গ্রামের শ্বশুর বাড়িতে আসেন। বই ছাড়াও বাহারি পদের দেশীয় পিঠাও নিয়ে আসেন। ওইসব পিঠা প্রতিবেশী ও আত্নীয়-স্বজনদের বাড়ি বাড়ি পাঠিয়েছেন মুমুর শ্বাশুড়ি কামরুন নাহার। মুমু চর ফলকন গ্রামের ডা. অবাদুল হক চেয়ারম্যান বাড়ির মহিউদ্দিনের মেয়ে। একই গ্রামের রমজান আলী মৌলভী বাড়ির মাকছুদুর রহমানের ছেলে তরুণ আইনজীবী অ্যাডভোকেট এমরান হোসেন নিখিলের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। সে ঢাকার ইডেন কলেজের ইংরেজি তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী। শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) মুমুর বউভাতের আয়োজন হয়। বউভাত অনুষ্ঠানের একদিন পরেই শ্বশুর বাড়িতে বই নিয়ে আসেন এ নববধূ।  মুমুর পরিবার ও স্বজনরা জানায়, বই পড়তে তার ভালো লাগে। বই সংগ্রহ ও পড়া তার প্রিয় শখ। শ্বশুর বাড়িতে নিয়ে আসা সব বই তার পড়া হয়েছে। এসব বইয়ের বেশির ভাগই তার বিভিন্ন সময়ের জমানো টাকায় কেনা। অল্প কিছু বই জন্মদিনসহ বিভিন্ন দিবসের উপহার, ৮-১০টি বই তার স্কুল-কলেজের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে পুরস্কার হিসাবে পাওয়া।  মুমুর মা ছালেহা বেগম জানান, তার মেয়ের প্রিয় শখ বই পড়া। শাড়ি-চুড়ি, কসমেটিকসে আগ্রহ নেই। ছোট বেলা থেকেই টাকা জমিয়ে বই কেনা ছিল তার অভ্যাস। বিয়ের পর শ্বশুর বাড়িতে যাওয়ার সময় মেয়ের সংগ্রহে থাকা সকল বই নিয়ে যায়।   নববধূর শ্বাশুড়ি কামরুন নাহার বলেন, আমার মেয়ে নেই, দুই ছেলে। ছোট ছেলে বুয়েটে পড়ে, বাড়িতে আমি একা। বড় ছেলের সুবাদে একটা মেয়ে পেয়েছি। এই লক্ষ্মী মেয়ে আসার সময় অনেক বই নিয়ে আসে। এতে আমি খুবই খুশি হয়েছি। এখন থেকে আমিও টাকা জমিয়ে বউকে বই কিনে দেবো। নববধূ মেহেরুন নেছা মুমু বলেন, বই কেনা, বই পড়া আমার শখ। বই উপহার পেতে আমার খুব ভালো লাগে। অনেক দিন থেকে জমানো বইগুলো বাবার বাড়িতে রেখে আসতে মন চাইছিল না; সঙ্গে করে নিয়ে আসলাম। স্বপ্ন দেখছি শ্বশুর বাড়িতে ‘বউ-শাশুড়ির বই ঘর’ নামে একটি লাইব্রেরি গড়বো। এলাকার সকল বউ-শাশুড়ি বই পড়বে। শ্বশুর মাকছুদুর রহমান বলেন, ছেলের বউ বাবার বাড়ি থেকে আসতে বই নিয়ে আসছে; বিষয়টি খুবই দারুণ। এমন ছেলের বউ পাওয়া সৌভাগ্য।
০২ মার্চ ২০২৪, ১০:৫৮

বইমেলায় কলি বড়ালের 'চিতা'
একুশে বইমেলায় এলো তরুণ লেখক কলি বড়ালের প্রথম উপন্যাস ‘চিতা’। ভিন্নচোখ প্রকাশনী থেকে বের হওয়া বইটি পাওয়া যাচ্ছে ১৮৫ নম্বর স্টলে।  দুটি সুখী পরিবারের জীবনগাঁথা অধ্যায়ের রোমাঞ্চ, প্রেম, সুখ, বিরহের সন্নিবেশ ‘চিতা’। পাঠক পড়া মাত্র বুঝতে পারবেন চিরচেনা নিজের ঘর সংসার। বহু প্রতিক্ষার পর এক জুটির শুভ পরিনয়, দাম্পত্য সুখ তলিয়ে যায় নিয়তির কালো আঁধারে। আট বছর বয়সী শিশুকন্যা ঘুণাক্ষরে টের পেল না কোন সমুদ্দুর টেনে নিয়ে যাচ্ছে ওর ভবিষ্যৎ। এমন ঘটনার ঘটঘটা  ধরে এগিয়ে গেছে উপন্যাসটি। ১৯৯৪ সালে বরগুনা জেলার পাথরঘাটা থানার চরদুয়ানী গ্রামে এক সাংস্কৃতিকমনা পরিবারে জন্ম কলি বড়ালের। গান শেখার হাতে খড়ি মায়ের কাছে।মায়ের ইচ্ছে ছিলো মেয়ে গান করুক। কিন্তু মেয়ে হলো লেখক। আবৃত্তি এবং ছবি আঁকায়ওপ্রচুর আগ্রহ কলির। ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিষয় নিয়ে স্নাতকোত্তর (এম বি এ) শেষ করে বর্তমানে তিঁনি শিক্ষকতা পেশায় আছেন। লেখক বলেন, বই পড়ার প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি করেছেন তাঁর বাবা । ছোট বেলায় বাবার বইয়ের আলমারির তাকের বইগুলোর প্রতি প্রগাঢ় নেশা তৈরি হয়। মাত্র তেরো বছর বয়সে বাবা বিয়োগের পর অনেক চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে জীবনের এই পর্যায় এসে নিজের সবচেয়ে ভালোলাগা ভালোবাসার কাজে লেখালেখিতে সুখ খুঁজছেন।  তাঁর প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘জলনীলী’ প্রকাশিত হয়েছিলো ২০২৩ সালের অমর একুশে বইমেলায়। জলনীলীতে মানুষের জীবনে বিভিন্ন সময়ের উত্থান পতনকে নিখুঁতভাবে তুলে ধরেছেন। লেখকের লেখনি থেকে চিন্তা ভাবনারা বাস্তবতার রস চুঁইয়ে চুঁইয়ে নিভৃতে কথামালায় রূপ নিয়েছে কবিতাগুলোতে৷ কখনো অভিজ্ঞতা, কখনো বাস্তবতাকে পুঁজি করে ছন্দ রসে নৈবেদ্য সাজিয়েছি। গত বছর জলনীলীতে প্রচুর সারা পেয়েছিলেন। সেই উৎসাহ থেকেই নতুন উপন্যাস চিতার জন্ম। কলি বড়াল নিয়মিত বিভিন্ন পত্রিকায় লেখেন গল্প, কবিতা এবং শিশু সাহিত্য নিয়ে। এ বছরের মাঝামাঝি দেশি-বিদেশি পাঠকদের জন্য নতুন চমক নিয়ে আসছেন তিনি।
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:৩৪

টাঙ্গাইলে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মাঝে বিনামূল্যে বই বিতরণ
টাঙ্গাইল সদরে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মাঝে বিনামূল্যে বই বিতরণ করা হয়েছে।  শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে উপজেলার চৌরাকররা গ্রামে বাতিঘর আদর্শ পাঠাগারের উদ্যোগে শিশু শ্রেণি থেকে ৮ম শ্রেণি পড়ুয়া দুই শতাধিক শিশুর মধ্যে বিনামূল্যে বিভিন্ন ধরণের চার শতাধিক শিশুদের মাঝে বই বিতরণ করা হয়। বই বিতরণ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন বাতিঘর আদর্শ পাঠাগারের সভাপতি শাহজাহান মিয়া।  বিতরণকালে পাঠাগারের প্রতিষ্ঠাতা কামরুজ্জামান, সদস্য শাকিল আহমেদ, সুমন চৌধুরী, রিপন মিয়া, সাজ্জাদ হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। বই পেয়ে শিশুদের চোখে ছিল আনন্দ আর মুখে ছিল উচ্ছ্বাস। পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী খাদিজা আক্তার বলেন, আমার গল্পের বই পড়তে ভালো লাগে। আমি মাঝে মাঝে পাঠাগারে এসে বই পড়ি। আজ বই উপহার পেয়ে আমি আনন্দিত। বাতিঘর আদর্শ পাঠাগারের প্রতিষ্ঠাতা কামরুজ্জামান বলেন, বই শিশুর বুদ্ধিমত্তা বৃদ্ধি ও মনের সুপ্ত ভাবনার বিকাশ ঘটাতে সহায়তা করে। শিশু বয়স থেকেই শিক্ষামূলক বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তোলা প্রয়োজন। তাই গ্রামের সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের বই পড়ার সুযোগ করে দিতে আমরা বিনামূল্যে বই বিতরণ করে থাকি।  প্রসঙ্গত, এসো বই পড়ি, নিজেকে আলোকিত করি স্লোগানকে সামনে রেখে টাঙ্গাইলের সদর উপজেলার চৌরাকররা গ্রামে ২০১০ সালে গড়ে ওঠে বাতিঘর আদর্শ পাঠাগার। প্রতিষ্ঠার পর থেকে পাঠাগারটি গ্রামের মানুষের মধ্যে পাঠাভ্যাস তৈরি ও জ্ঞানভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণে সেলুন, বাসস্ট্যান্ড ও স্টেশন অণুপাঠাগার স্থাপনসহ শিক্ষামূলক কর্মকান্ডের পাশাপাশি আর্তমানবতার সেবায় বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে।
২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২৩:০৫

চাঁদপুরে শেষ হলো তিনদিনব্যাপী বই মেলা
মহান একুশে ফেব্রুয়ারি ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে হাজীগঞ্জ ফোরামের আয়োজনে তিনদিনব্যাপী বই মেলার সমাপনী অনুষ্ঠিত হয়েছে।  বুধবার দুপুরে হাজীগঞ্জ বাজারস্থ ফুড লাভারস পার্টি সেন্টারে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর-৫ আসনের সংসদ সদস্য মেজর রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম।  এদিকে তিনদিন ব্যাপী বইমেলায় এবারের শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষের মাঝে ফিরে এসেছিল প্রাণের স্পন্দন। পাঠক, দর্শক ও লেখকদের আনাগোনায় মুখরিত ছিল এই মেলা। হাজীগঞ্জ ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ব্যারিস্টার শাহরিয়ার আহমেদের সভাপতিত্বে বই মেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন হাজীগঞ্জ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা তাফস শীল, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পঙ্কজ কুমার দে, চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি শাহাদাত হোসেন শান্ত, হাজিগঞ্জ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল রশিদ প্রমুখ। পরে মেজর রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম বই মেলার বিভিন্ন বইয়ের স্টল পরির্দশন করেন। 
২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২০:৪১

স্বাস্থ্য বিষয়ক বই ‘রেড এলার্ট’র মোড়ক উন্মোচন
কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ এবং ইউনিভার্সিটি অব ম্যানিটোবা-এর যৌথ গবেষণার ফল ’রেড এলার্ট’। স্বাস্থ্য সচেতনদের জন্য লেখা নন-কমিউনিকেবল ডিজিস-এর উপর রচিত বাংলাদেশে প্রকাশিত প্রথম বই এটি। সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) ওয়েস্টিন বলরুমে নন-কমিউনিকেবল ডিজিস, ডায়েটারি হেবিটস ও লাইফস্টাইল ইন বাংলাদেশ-এর উপর  লিখিত ‘রেড এলার্ট’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী আরাফাত। তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী তার বক্তব্যে বলেন 'রেড এলার্ট' গ্রন্থ থেকে দুই ধরনের উপকার পাওয়া যাবে, এক স্বাস্থ্য বিষয়ে উপকারিতা ও দুই বাজারে অলিভ ওয়েলের মত থাকা প্রোডাক্ট গুলি সম্পর্কে সঠিক ধারণা পাবে। আমি বিশ্বাস করি 'রেড এলার্ট' বইটি ব্র্যান্ড বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করবে।  পরে তিনি গ্রন্থ প্রকাশের সাথে সংশ্লিষ্টদের প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন এবং ভবিষ্যতে এই ধরনের গবেষণামূলক কাজে সরকারের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ সহায়তা প্রদানের আশ্বাস প্রদান করেন। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন কানাডিয়ান বিশ্ববিদ্যালয় অব বাংলাদেশ- এর প্রতিষ্ঠাতা ও বোর্ড অব ট্রাস্টিজ-এর চেয়ারম্যান ড. চৌধুরী নাফিজ সরাফাত। তথ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, এই প্রকাশনাটি কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ (সিইউবি)-এর গবেষণার ইতিহাসে এক অনন্য মাইলফলক হয়ে থাকবে। কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ বিশ্বব্যাপি শিক্ষা গবেষণায় সেতুবন্ধন তৈরিতে বিশ্বাসী। এই উদ্দেশ্যে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় এ বছরের শেষের দিকে তাদের শিক্ষাকার্যক্রম কানাডার অন্টরিও ক্যাম্পাসে শুরু করতে যাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের ম্যারিল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. রিতা কলওয়েল অনুষ্ঠানে গেস্ট অব অনার হিসেবে বক্তব্য রাখেন। এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহেদ মালেক স্বপন বক্তব্য রাখেন। বিশেষ অতিথি হিসেব কানাডিয়ান হাইকমিশনের সিনিয়র ট্রেড কমিশনার মিসেস দেবরা বয়েছ ও বাংলাদেশ এক্রিডিটেশন কাউন্সিল এর চেয়ারম্যান ড. মেসবাহ উদ্দিন আহমেদসহ  দেশ বরেণ্য অনেক ব্যাক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। বইটি সম্পাদনার মূল ভূমিকায় ছিলেন কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ এর ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক গিয়াস ইউ আহসান। এছাড়াও সম্পাদক হিসেবে ছিলেন ইউনিভার্সিটি অব ম্যানিটোবা, কানাডা এর অধ্যাপক ড. সি এমদাদ হক এবং নর্থসাউথ ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক এম আনিসুল ইসলাম। বইটির সম্পাদক কীনোট স্পিকার সিইউবি উপাচার্য (ভারপ্রাপ্ত) ড. গিয়াস ইউ আহসান বলেন, স্বাস্থ্য সচেতন মানুষের কাছে বইটি সহসাই ব্যাপক গ্রহণযোগ্যতা পাবে। গুরুত্ব পূর্ণ বই হিসেবে অভাবনীয় জনপ্রিয় হয়ে ওঠবে বলে আশা ব্যক্ত করেন তিনি। মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানটি কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ, ইউনিভার্সিটি অব ম্যানিটোবা এবং  সিএনআরআস এর যৌথ উদ্যেগে আয়োজন করা হয়। মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) থেকে রেড এলার্ট বইটি বই মেলায় কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ’র ৮৯৫ স্টলে পাওয়া যাবে।
২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০২:৩৩
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়