• ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo
হাসপাতালে ফেলে যাওয়া নবজাতক দত্তক পেলেন সেবিকা
কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এক প্রসূতি কন্যাসন্তান প্রসব করে উধাও হওয়ার পর বিপাকে পড়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। অবশেষে ইউএনওর হস্তক্ষেপে সেই নবজাতকটি দত্তক নিয়েছেন একজন সেবিকা (নার্স)। হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, গত ১৬ এপ্রিল রাত ৮টার দিকে এক গর্ভবতী মহিলা হাসপাতালে ভর্তি হন। ভর্তির ১০-১৫ মিনিটের মধ্যেই ওই মহিলা এক কন্যাসন্তান প্রসব করেন। পরে টয়লেটে যাওয়ার কথা বলে নবজাতক বাচ্চাটি হাসপাতালে রেখেই পালিয়ে যান। এদিকে বাচ্চা ফেলে মা পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় চাঞ্চল্যকর পরিবেশ সৃষ্টি হয় পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। উৎসুক জনতা সে বাচ্চাটিকে দেখতে ভিড় করে সেখানে। অনেকে সে বাচ্চার দায়িত্ব নিতেও আগ্রহ প্রকাশ করেন। বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) সন্ধ‍্যায় পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে উপজেলা শিশু কল্যাণ কমিটির বৈঠকে সর্ব সম্মত সিদ্ধান্তক্রমে নার্স মিনারা দম্পতির কাছে দত্তক প্রদান করেন। ইউএনও মো. সাইফুল ইসলাম জয় নিজেই দায়িত্ব নিয়ে নবজাতককে নার্সের হাতে তুলে দেন। এ সময় পেকুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ ইলিয়াছ ইউএনওকে সহযোগিতা করেন।  এর আগে শিশু কল্যাণ কমিটির সভাপতি বরাবরে নবজাতকটিকে দত্তক নিতে প্রবাসী, ব্যবসায়ী, চাকুরীজীবী, রাজনীতিবিদ ও দিনমজুরসহ ১৫টি আবেদন জমা পড়ে। আবেদনকারীদের সশরীরে সাক্ষাৎকার নিয়ে যাচাই-বাচাই শেষে কমিটির সর্ব সম্মত সিদ্ধান্তক্রমে মিনারা দম্পতিকে উপযুক্ত মনে করে দত্তক প্রদান করেন। নার্স মিনারা খাতুন পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সিনিয়র স্টাফ নার্স। তিনি নিঃসন্তান। এ সময় উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রূম্পা ঘোষ, পেকুয়া থানা অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ ইলিয়াস, বীর মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট কামাল হোসেন, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মুজিবুর রহমান, সমাজ সেবা কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আরিফ, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বাবুল আক্তার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
১৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:১৩

রান্না খারাপ হওয়ায় স্ত্রীকে জানালা দিয়ে ফেলে দিলেন স্বামী
পাকিস্তানের লাহোরে মুরগির মাংস রান্না ভালো না হওয়ায় স্ত্রীকে জানালা দিয়ে ফেলে দিয়েছেন এক স্বামী। গত ৩০ মার্চ ঘটনাটির একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়। এর আগে, গত ৯ মার্চ ঘটনাটি ঘটে।  জানা গেছে, গত ৯ মার্চ পাকিস্তানের লাহোরের নোনারিয়ান চকের শালিমার রোডের কাছে মরিয়ম নামের ওই গৃহবধূর সঙ্গে এ ঘটনা ঘটে।  মুরগির মাংস ঠিকমতো রান্না না করতে পারায় শ্বশুরবাড়ির লোকজন ওই নারীকে মারধর করে, আর জানালা দিয়ে ফেলে দিয়েছিলেন তার স্বামী। পাকিস্তানের পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী মরিয়ম নওয়াজ শরিফ ঘটনার নিন্দা করেছেন। সেই সঙ্গে ভুক্তভোগীর স্বামীকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দিয়েছেন। এ ঘটনায় পুলিশ মামলা করে ঘটনার সঙ্গে জড়িত প্রধান আসামিসহ পরিবারের কয়েকজন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে। ভাইরাল হওয়া সিসি ক্যামেরায় ধরা পড়া ওই ভিডিওতে দেখা যায়, একটি গলি দিয়ে পথচারীদের সামনে হঠাৎই একজন নারী একটি ভবনের ওপর থেকে নিচের রাস্তায় পড়েন। মাটিতে পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই চিৎকার করেন ওই মহিলা। ওই নারী রাস্তায় পড়ে যাওয়ার পর প্রতিবেশীরা তাকে সাহায্য করতে এগিয়ে যান। এ ঘটনায় ওই নারী গুরুতর আহত।  Shocking incident from Lahore Pakistan: A woman was thrown out of a window by her husband Shahbaz, brother-in-law Roman, and mother-in-law Shazia, for not spicing the chicken properly. Incident is from March 9, 2024. One of the main accused was arrested.https://t.co/CyXeOIt1KL pic.twitter.com/YAIvnT3QL1 — Diksha Kandpal (@DikshaKandpal8) March 30, 2024
০৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:৪০

প্রেমের ফাঁদে ফেলে অশ্লীল ছবি-ভিডিও ধারণ করতেন তারা!
প্রেমের ফাঁদে ফেলে অশ্লীল ছবি তুলে ব্ল্যাকমেইল করে টাকা হাতিয়ে নেওয়া চক্রের পাঁচ সদস্যকে আটক করেছে রাজবাড়ী জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এ ব্যাপারে আটক পাঁচজনের বিরুদ্ধে রাজবাড়ী সদর থানায় পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। শুক্রবার (২৯ মার্চ) রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে রাজবাড়ী জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান খান এ তথ্য জানান। আটকরা হলেন- রাজবাড়ী শহরের বিনোদপর গ্রামের মৃত আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে মো. মাসুদুর রহমান (৪৫), সদর উপজেলার বাগমারা গ্রামের হাসান আলীর মেয়ে মোছা. রিমা খাতুন (২৬), ভবানীপুর গ্রামের মৃত বানু মোল্লার ছেলে মো. ফজলুল হক (৫৩), লক্ষীনারায়নপুর গ্রামের মৃত ক্বারী আনোয়ার উল্লাহর ছেলে মো. এমদাদ হোসেন (৫৯) ও কালুখালী উপজেলার মদাপুর গ্রামের আবুল সরদারের ছেলে জামাল সরদার (৫২)। মো. মনিরুজ্জামান খান বলেন, রিমা খাতুন ফেসবুকের মাধ্যমে মাহফুজ নামে এক যুবককে প্রেমের ফাঁদে ফেলে কথা বলার জন্য মাসুদুর রহমানের বাসায় ডেকে আনেন। সেখানে মাসুদুর রহমান, জামাল সরদার ও ফজলুল হক রিমা ও মাহফুজকে উলঙ্গ করে মোবাইলে ভিডিও ধারণ করে। পরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ওই ভিডিও ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে তারা মাহফুজের পরিবারের কাছ থেকে এক লাখ ২০ হাজার টাকা আদায় করে। পরে তারা এমদাদ হোসেনের মাধ্যমে বিয়ের ভুয়া কাবিননামা এবং নোটারি পাবলিকের হলফনামা তৈরি করে মাহফুজের পরিবারের কাছে আরও ১০ লাখ টাকা দাবি করে। এ ঘটনা মাহফুজের বাবা শাহজাহান খান রাজবাড়ী জেলা গোয়েন্দা পুলিশকে জানায়। বৃহস্পতিবার রাতে গোয়েন্দা পুলিশর একটি দল রাজবাড়ী সদর থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে চক্রটিকে আটক করে। এ সময় তাদের কাছ থেকে পর্নোগ্রাফির প্রমাণসহ দুটি অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোন, পাঁচটি মেমোরি কার্ড, ভুয়া কাবিননামার কপি ও বিয়ের হলফনামার কপিসহ প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত অন্যান্য কাগজপত্র জব্দ করা হয়।
৩০ মার্চ ২০২৪, ১৩:০৪

প্রেমের ফাঁদে ফেলে অশ্লীল ভিডিও ধারণ করে প্রতারণা
দিনাজপুরের ধর্ষণ মামলার আসামি রাহমাতুর রাফসান অর্ণব রাজধানী ঢাকায় নতুন করে প্রতারণায় মেতে উঠেছেন। ইতোমধ্যে বিভিন্ন ভাবে প্রেমের ফাঁদে ফেলে তরুণীদের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের পরে ব্ল্যাকমেইল করে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। অর্ণবের প্রেমের ফাঁদে পড়ে উঠতি বয়সী অনেক তরুণী সর্বস্ব হারিয়েন। এসব ঘটনায় দিনাজপুর ও ঢাকায় তার নামে একাধিক মামলা করেছেন ভুক্তভোগীরা। এ ছাড়া মাদক ব্যবসা, চাকরি দেওয়া ও বিদেশ লোক পাঠানোর নামে কয়েক কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে অর্ণবের বিরুদ্ধে। মামলার নথি ও পুলিশ সূত্র জানায়, পুলিশের ডিআইজির ছেলের ভুয়া পরিচয় দিয়ে পুলিশের ভ্যান ব্যবহার ও ডিএমপির স্টিকার লাগিয়ে, হুডার ব্যবহার করে অর্ণব কক্সবাজার থেকে ইয়াবাসহ বিভিন্ন ধরনের মাদকদ্রব্য নিয়ে এসে সারাদেশে ছড়িয়ে দেয়। সেই সাথে পুলিশের বড় কর্মকর্তা পরিচয়ে বিভিন্ন মানুষকে হুমকিও দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এ ছাড়া রাজধানীর বিভিন্ন শিল্পপতি ও ধনাঢ্য ব্যক্তিদের মেয়েদের প্রেমের ফাঁদে ফেলে ধর্ষণ করে সেসব ভিডিও ধারণ করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন তিনি। এসব বিষয়ে জানার জন্য তার বাবা পুলিশ কর্মকর্তা জাহিদের ব্যক্তিগত মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। অভিযুক্ত অর্ণবের সাথে এই বিষয়ে কথা বলতে ফোন করলে সাংবাদিক পরিচয় শুনেই তিনি আর কথা বলতে ইচ্ছুক নয় বলে ফোন কেটে দেন। প্রসঙ্গত, এর আগে দিনাজপুর শহরে লিগেসি নামের একটি চায়নিজ রেস্টুরেন্টের আড়ালে তরুণীদের ব্ল্যাকমেইল করে অর্থ আদায় ও ধর্ষণ মামলায় জেল খেটেছেন অর্ণব।
২৫ মার্চ ২০২৪, ২২:০৮

অভাবের তাড়নায় শিশুকে রাস্তায় ফেলে গেলেন মা, ফিরিয়ে দিল পুলিশ
নীলফামারীর সৈয়দপুরে অভাবের তাড়নায় এক শিশুকে হাসপাতালের পাশের গলির রাস্তায় ফেলে যায় রেহেনা নামে এক গৃহবধূ। পরে যাচাই বাছাই শেষে শিশুটিকে উদ্ধার করে মায়ের কাছে ফিরিয়ে দেয় পুলিশ।   সোমবার (১১ মার্চ) শিশুটিকে মায়ের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন সৈয়দপুর থানার ওসি শাহ আলম। রোববার শিশুটিকে মায়ের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হয় বলে জানান তিনি।  শিশুটির মা রেহেনা বেগম শহরের কামারপুকুর এলাকার ঈদগাহ ময়দান পাড়া গ্রামের বাসিন্দা।   পুলিশের বরাতে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার বিকেলে কাজ শেষ করে বাসায় ফেরার পথে শিশুটিকে হাসপাতালের গলির রাস্তায় কুড়িয়ে পান সেলিনা বেগম। এরপর শিশুটি অসুস্থ থাকায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করেন তিনি। মানুষের মাঝে শিশুটিকে কুড়িয়ে পাওয়ার ঘটনা ছড়িয়ে পড়লে বাচ্চার মা দাবি করে শিশুকে ফেরত নিতে আসেন রেহেনা বেগম। এরপর শিশুটিকে কুড়িয়ে পাওয়ার বিষয়ে থানায় জিডি করেন ওই গৃহবধূ। তাদের দুজনকে শিশুটিকে নিয়ে থানায় ডাকেন পুলিশ। তারপর খোঁজখবর নিয়ে প্রকৃত মায়ের কাছে শিশুকে হস্তান্তর করা হয়।  শিশুর মা রেহেনা বেগম বলেন, আমার বাচ্চাটি হওয়ার পর তার বাবা আমার আর তার কোনো খোঁজখবর নেননি। অভাবের তাড়নায় শিশুটিকে আমি রাস্তায় ফেলে যাই। নিজের সন্তানকে ফেলে দেওয়ায় আমি অনুতপ্ত হই৷ পরে পুলিশকে জানালে তারা আমার শিশুকে আজকে ফেরত দেয়।  শিশুটিকে কুড়িয়ে পাওয়া সেলিনা বেগম জানান, আমি শিশুটিকে কুড়িয়ে পেয়েছিলাম। শিশুটিকে অসুস্থ থাকায় তাকে আমি চিকিৎসা করিয়েছি। শিশুটি ভালো থাকুক তার মায়ের কাছে।  এ বিষয়ে সৈয়দপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ আলম বলেন, একজন মা তার শিশুকে রাস্তায় ফেলে যায় এমন একটি খবর শুনতে পাই। পরে সেই শিশুকে কুড়িয়ে পাওয়ার বিষয়ে সেলিনা বেগম নামে একজন থানায় জিডি করেন। আমরা তদন্ত করে তার প্রকৃত মায়ের কাছে শিশুটিকে ফিরিয়ে দেই।
১১ মার্চ ২০২৪, ১৩:৪৪

অভাবের তাড়নায় শিশুকে রাস্তায় ফেলে গেলেন মা 
নীলফামারীর সৈয়দপুরে অভাবের তাড়নায় নিজের শিশুকে হাসপাতালের পাশের গলির রাস্তায় ফেলে যায় রেহেনা নামে এক মা।  শনিবার (৯ মার্চ) রাতে সৈয়দপুর থানায় শিশুটিকে নিয়ে আসেন কুড়িয়ে পাওয়া সেলিনা বেগম। এর আগে বৃহস্পতিবার শিশুটিকে কুড়িয়ে পায় তিনি। কাজ শেষ করে বাসায় ফেরার পথে এ শিশুটিকে কুড়িয়ে পায় সেলিনা বেগম। তবে শিশুটিকে নিজের সন্তান বলে দাবি করছেন শহরের কামারপুকুর ঈদগাহ এলাকার রেহেনা বেগম। স্বামীর অত্যাচারে আর অভাবে শিশুকে হাসপাতালের পাশের গলির রাস্তায় ফেলে যায় তিনি।  জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার বিকালে কাজ শেষ করে বাসায় ফেরার পথে শিশুটিকে হাসপাতালের গলির রাস্তায় কুড়িয়ে পায় সেলিনা বেগম। এরপর শিশুটি অসুস্থ থাকায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করেন তিনি। এরপর মানুষের মাঝে শিশুটিকে কুড়িয়ে পাওয়ার ঘটনা ছড়িয়ে পড়লে বাচ্চার মা দাবি করে শিশুকে ফেরত নিতে আসেন রেহেনা বেগম। এরপর শিশুটিকে কুড়িয়ে পাওয়ার বিষয়ে থানায় জিডি করেন ওই গৃহবধূ। আজকে তাদের দুজনকে শিশুটিকে নিয়ে থানায় ডাকেন দায়িত্বরত কর্মকর্তা৷  বাচ্চার মা দাবি করা রেহেনা বেগম জানায়, আমার বাচ্চাটি হওয়ার পর তার আর আমার কোন খোজ খবর নেয়না আমার স্বামী। আমার বাচ্চা হওয়ার পর কয়েকদিন না খেয়ে ছিলাম। তারা বলে এটা অন্যের ছেলে এজন্য তারা আমাকে খাবার দেয় না। আমি অভাবের তাড়নায় শিশুকে ফেলে দিয়েছি। এখন আমি আমার শিশুকে ফেরত চাই৷  বাচ্চা কুড়িয়ে পাওয়া সেলিনা জানায়, আমি কাজ শেষ করে বাসায় যাচ্ছিলাম এ সময় শিশুটিকে দেখতে পাই৷ তারপর শিশুটিকে কুড়িয়ে নিয়ে হাসপাতাল যাই। বাচ্চাটি খুব অসুস্থ ছিলো তারপর তার চিকিৎসা করার পর সে কিছুটা সুস্থ হয়েছে। এখন যাকে ফেলে দিয়েছে এটা তার বাচ্চা আমি বুঝব কিভাবে। আমি বাচ্চাটিকে কুড়িয়ে পেয়েছি তাকে আমি রাখতে চাই।  স্থানীয় মহিলা কাউন্সিলার রুবিনা বেগম জানায়, আমি শুনেছি উনি বাচ্চাটিকে কুড়িয়ে পায়। তারপর হাসপাতালে গিয়ে বাচ্চাটিকে কাপড় কিনে দেয়, তারপর থানায় এসে জিডি করি। আজকে থানায় ডেকেছে পুলিশ এখানে এসে সবাই মিলে সিদ্ধান্ত করবে শিশুটি কার। আমি চাই প্রকৃত মালিককে শিশুকে ফেরত দেওয়া হোক।  এ বিষয়ে সৈয়দপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ বলেন, থানায় সবাইকে ডাকা হয়েছে, তদন্ত করে শিশুটিকে তার প্রকৃত মালিক বা মায়ের হাতে তুলে দিব।
১০ মার্চ ২০২৪, ১০:১৯

চলন্ত বাস থেকে যাত্রীকে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ
বরিশালের গৌরনদীতে চলন্ত বাস থেকে এক যাত্রীকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কের কটকস্থল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহত কালু সরদার (৪৬) গৌরনদী উপজেলার পিপড়াকাঠি গ্রামের সেকেন্দার আলী সরদারের ছেলে। ঘটনার সময় সঙ্গে থাকা শ্যালক মো. সাইদুল বলেন, তারা তিনজন বেপারী পরিবহনের বাসে গৌরনদীর উদ্দেশে রওনা দেন। ভাড়া নিয়ে বাসে তাদের সঙ্গে সুপারভাইজার, হেলপার ও চালকের তর্কাতর্কি ও হাতাহাতি হয়। বাসটি কটকস্থলে থাকার সময় ভগ্নিপতি কালু সরদারকে হেলপার ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেন। গৌরনদী মহাসড়ক থানার এসআই মো. কামরুজ্জামান বলেন, বরিশাল নগরীর কেন্দ্রীয় নথুল্লাবাদ বাস টার্মিনাল থেকে ঢাকাগামী একটি বাসে যাত্রীকে ফেলে দেওয়ার খবর পেয়েছি। ঘটনাস্থলে গিয়ে কাউকে পাইনি। শুনেছি আহত যাত্রীকে ঢাকা নিয়ে গেছে। অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি। বরিশাল জেলা বাস মালিক গ্রুপের সভাপতি অসীম দেওয়ান গণমাধ্যমকে বলেন, বিষয়টি আমি জানি না। এ ধরনের ঘটনা যদি ঘটে, তবে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
০১ মার্চ ২০২৪, ১১:১৮

নবজাতক হাসপাতালে ফেলে উধাও বাবা-মা
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে এক নবজাতককে ফেলে রেখে পালিয়ে গেছেন বাবা-মা। শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে নবজাতকটিকে ২৬ নম্বর শিশু ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রেখে ইমার্জেন্সি থেকে ভর্তির কাগজ আনার কথা বলে বাবা-মা পরিচয় দেয়া দুজন আর ফিরে আসেননি। শিশুটিকে বর্তমানে ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে হাসপাতালের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন রয়েছে। ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের নার্স ও আনসার সদস্যরা জানান, প্রায় ৩০ বছর বয়সী দুজন ছেলে মেয়ে নবজাতকটি ওয়ার্ডে নিয়ে আসে। চিকিৎসা চলা অবস্থায় গেট থেকে ভর্তির কাগজ নিয়ে আসার নাম করে তারা চলে যায়। তারপর আর ফিরে আসেনি।  হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, বিকেলে হাসপাতালের ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে একটি সদ্য ভূমিষ্ঠ ছেলে বাচ্চাকে দুজন তরুণ তরুণী শ্বাস কষ্টের কথা বলে ভর্তি করাতে নিয়ে আসে। নার্সরা নবজাতককে ভর্তির কাগজ আনার কথা বললে তারা ভর্তির কাগজ আনার কথা বলে নার্সের তত্ত্বাবধানে বাচ্চাটিকে রেখে চলে গিয়ে আর ফিরে আসেনি। এখন পর্যন্ত শিশুটি হাসপাতালের তত্ত্বাবধানে আছে। আজ রোববারও কেউ শিশুটির খোঁজ নিতে আসেনি। তাই আমরা বিষয়টি সমাজসেবা অধিদপ্তরকে অবগত করেছি। ইতিমধ্যে নগরীর রাজপাড়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। নবজাতককের বাবা-মাকে খুঁজে না পেলে আদালতের মাধ্যমে শিশুটিকে সমাজসেবা অধিদপ্তরের ছোটমনি নিবাসে হস্তান্তর করা হবে। এ বিষয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (ইএমও) ডা. শংকর কে বিশ্বাস জানান, শিশুটি এখন সুস্থ আছে, এরইমধ্যে হাসপাতালে রেখে যাওয়া সেই নবজাতকটির বিষয়ে সব জয়াগায় জানানো হয়েছে। কিন্তু এখনো তার প্রকৃত অভিভাবক খুঁজে পাওয়া যায়নি। তাই আদালতের মাধ্যমে শিশুটিকে সমাজসেবা অধিদপ্তরের ছোটমনি নিবাসে হস্তান্তর করা হতে পারে। 
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৯:২০

সব কেড়ে নিয়ে চলন্ত বাস থেকে ফেলে দেয় ছিনতাইকারীরা
ঢাকায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন স্বজনকে দেখতে ঢাকা যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয়ে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের শ্রীপুর উপজেলার জৈনাবাজারে এসে বাসের জন্য অপেক্ষা করেন কৃষক আলম মিয়া। কিছুক্ষণ পর ময়মনসিংহ থেকে একটি যাত্রীবাহী বাস আসলে কয়েকজন যাত্রীকে বাসে দেখে তিনিও ওই বাসে ওঠে বসেন। বাসটি জৈনাবাজার ছেড়ে কিছু দূর যাওয়ার পর বাসে থাকা কয়েকজন যাত্রীবেশি ছিনতাইকারী তার গলায় গামছা পেঁচিয়ে হত্যার চেষ্টা করে। এক পর্যায়ে তাকে মারধর করে তার কাছে থাকা নগদ টাকা ও মুঠোফোন ছিনিয়ে নেয় বাসে থাকা ছিনতাইকারীরা। সম্প্রতি রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) ভোরে ছিনতাইকারীরা এ কৃষকের কাছ থেকে সব কেড়ে নেয়। ঘটনার শিকার আলম মিয়া শ্রীপুর উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের নগর হাওলা গ্রামের মৃত আলফাজ উদ্দিনের ছেলে। ওই দিন ভোর সাড়ে ৪টা থেকে পৌনে ৫টার মধ্যে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের জৈনাবাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। মধ্যরাতে বা ভোরের আলো ফোটার আগে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে পথচারী ও বাসযাত্রীদের আতঙ্ক হলো এসব যাত্রীবেশি ছিনতাইকারী। প্রায়ই ভোররাতে খালি বাস নিয়ে ছিনতাই করেন তারা। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের কোনো স্থান থেকে যাত্রীকে বাসে তুলে মারধর ও ছুরিকাঘাত করে নগদ টাকাসহ মুঠোফোন ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনা ঘটেছে একাধিকবার। গত ১৬ ফেব্রুয়ারি (শুক্রবার) ভোর সাড়ে ৫টা। মুদি ও মুনিহারী ব্যবসায়ী সিরাজ মিয়া (৫৫) দোকানের মালামাল কেনার জন্য জৈনাবাজার থেকে গাজীপুর যাওয়ার উদ্দেশ্যে ময়মনসিংহ থেকে আসা একটি অজ্ঞাত যাত্রীবাহী বাসে উঠেন। ওই বাসে ৪-৫ জন যাত্রী ছিলেন। বাসটি মাওনা চৌরস্তা উড়াল সেতুর ওপর উঠার সঙ্গে সঙ্গে বাসে বসে থাকা ওই ৪-৫ জন যাত্রী বাসের দরজা বন্ধ করে তার মুখ বেঁধে গলায় গামছা পেঁচিয়ে সিটের সঙ্গে বেঁধে ফেলেন। এ সময় তাকে এলোপাতাড়ি কিল, ঘুষি ও লাথি মেরে শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করা হয়। হামলাকারীরা তার জ্যাকেটের বুক পকেটে থাকা মালামাল কেনার জন্য নগদ ৫০ হাজার টাকা, একটি মোবাইল ছিনিয়ে নেন। পরে তাকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের শ্রীপুর পৌরসভার ২নং সিএন্ডবি বাজারের ১০০ গজ সামনে নিয়ে বাস থেকে ফেলে দিয়ে বাসটি দ্রুতগতিতে চলে যায়। ফেলে দেওয়ার আগে এ ঘটনা কারো সঙ্গে শেয়ার করলে তাকে খুন করে ফেলবে বলেও হুমকি দেয় ওই ছিনতাইকারীরা। ভুক্তভোগী সিরাজ মিয়া গাজীপুর ইউনিয়নের ধনুয়া গ্রামের জন্দর আলীর ছেলে। তিনি জৈনাবাজার আমিন সুপার মার্কেটের মুদি ও মনোহারি ব্যবসায়ী। এ ঘটনায় তিনি নিজে বাদী হয়ে ওইদিন রাতে শ্রীপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। গভীর রাত থেকে ভোর পর্যন্ত ৪-৫ জন একসঙ্গে গাড়িতে থেকে বাসে একা যাত্রী পেলে এভাবে ছিনতাই করে এই ছিনতাইকারী চক্রটি। এ বিষয়ে শ্রীপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সুজন কুমার পণ্ডিক জানান, আমার নিজের এক আত্মীয়ও এ ধরনের ঘটনার শিকার হয়েছেন। বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখা হচ্ছে। এ বিষয়ে মাওনা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মো. মাহবুব মোর্শেদ বলেন, ছিনতাইয়ের বিষয়গুলো লোকাল (শ্রীপুর) থানা পুলিশ দেখবে। আমরা হাইওয়ে থানা পুলিশ এগুলো দেখি না। তিনি ভুক্তভোগীদের শ্রীপুর থানায় অভিযোগ দেওয়ার জন্য এ প্রতিনিধিকে পরামর্শ দেন।
২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:৩১

গেইল-কোহলিকে পেছনে ফেলে বাবরের অনন্য রেকর্ড
চলমান বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) ব্যাট হাতে দুর্দান্ত ছন্দে ছিলেন পাকিস্তানের তারকা ব্যাটসম্যান বাবর আজম। ঘরের মাঠে পিএসএল আসরেও সেই ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছেন তিনি। এখন পর্যন্ত  দুটি ম্যাচেই পঞ্চাশের বেশি রান করেছেন পেশোয়ার জালমির এই অধিনায়ক। এর ফলে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে দ্রুততম ১০ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করেছেন বাবর। বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে করাচি কিংসের মুখোমুখি হয়েছিল বাবরের পেশোয়ার জালমি। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৫১ বরে ৭২ রানের ইনিংস খেলেন এই ডান হাতি ব্যাটার। এতে ২৭১ ইনিংসে দ্রুততম ১০ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করেছেন তিনি।  সেই সঙ্গে দ্রুততম দশ হাজারি ক্লাবে পৌঁছার রেকর্ড গড়া ‘ইউনিভার্স বস’খ্যাত ক্রিস গেইলকে ছাড়িয়ে গেছেন এই পাকিস্তানি ক্রিকেটার। টি-টোয়েন্টি ফেরিওয়ালা খ্যাত এই কিংবদন্তি ক্রিকেটার ওই মাইলফলক ছুঁতে ২৮৫টি টি-টোয়েন্টি ইনিংস খেলেন।  গেইলের পরের অবস্থানেই ছিল ভারতীয় তারকা বিরাট কোহলি। সাবেক এই অধিনায়ক ২৯৯ ইনিংসে দশ হাজারি ক্লাবে প্রবেশ করেন। সবমিলিয়ে ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটটিতে দশ হাজারের এলিট ক্লাবের সদস্য আছেন ১২ জন। যার সর্বশেষ সদস্য বাবর। টি-টোয়েন্টির সর্বোচ্চ রানের তালিকায় সবার ওপরে আছেন সাবেক ক্যারিবীয় ওপেনার গেইল। এরপর যথাক্রমে আছেন শোয়েব মালিক, কাইরন পোলার্ড, অ্যালেক্স হেলস, ডেভিড ওয়ার্নার, বিরাট কোহলি, অ্যারন ফিঞ্চ, রোহিত শর্মা, জস বাটলার, কলিন মানরো, জেমস ভিন্স, ডেভিড মিলার ও বাবর আজম। এর আগে চলতি আসরে পেশোয়ারের প্রথম ম্যাচটিতে বাবর পিএসএলের একমাত্র ক্রিকেটার হিসেবে তিন হাজার রান পূর্ণ করেছিলেন। এ ছাড়া অন্য কোনো ক্রিকেটার আড়াই হাজার রানও পার হতে পারেননি। 
২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২০:৩১
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়