• ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo
প্রাথমিকে ফেল ওসির ফাঁদে ৭ শতাধিক নারী
পঞ্চম শ্রেণি ফেল মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন (৩০) ‘প্রিন্টিং প্রেস’ নামের একটি প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী। সামান্য কর্মচারী হলেও এলাকার বিভিন্ন মানুষের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক আইডি ঠিক করে ‘ফেসবুক মাস্টার’ উপাধি পেয়েছেন তিনি। আর এ দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে শত শত নারীর সঙ্গে অভিনব কায়দায় প্রতারণা করেছেন আনোয়ার।  ফেসবুক ও হোয়াটসঅ্যাপে পুলিশ কর্মকর্তা, রাজনৈতিক নেতা, মন্ত্রীসহ বিভিন্ন জনপ্রিয় ব্যক্তিদের নামে আইডি খুলে বিভিন্ন নারীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়েছেন আনোয়ার। অবশেষে ভুক্তভোগীদের বরাত দিয়ে বিষয়টি পুলিশ জানতে পারায় ধরা পড়েছেন তিনি। জানা গেছে,  রাজধানীর তেজগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীনের নামে ফেসবুক আইডি ও হোয়াটসঅ্যাপ খুলে ৭৭১ নারীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন আনোয়ার। আপত্তিকর ছবি আদান-প্রদানের ঘটনায় বেশ কয়েকজন ভুক্তভোগী নারী থানায় এসে হাজির হলে ওসি মহসীন নিজেই বাদী হয়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা করেন। পুলিশ তদন্তে নেমে শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) গাইবান্ধার স্টেশন রোডের দাশ বেকারি মোড়ের ইসলাম প্রিন্টিং প্রেস নামের একটি প্রতিষ্ঠান থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে। শনিবার (২৭ জানুয়ারি) দুপুরে ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার (ক্রাইম) লিটন কুমার সাহা ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান । লিটন কুমার সাহা বলেন, পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করা আনোয়ার ইন্টারনেট ঘেঁটে ফেসবুকসহ প্রযুক্তির বিভিন্ন বিষয়ে অভিজ্ঞ হয়ে ওঠেন। তার এ দক্ষতা ব্যবহার করে দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি, মন্ত্রী, পুলিশ কর্মকর্তা, জনপ্রিয় ব্যক্তিদের ছবি ব্যবহার করে তাদের নামে ফেসবুক আইডি খুলতো। এসব আইডি ব্যবহার করে বিভিন্ন নারীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তাদের আপত্তিকর ছবিসহ অর্থ হাতিয়ে নিত আনোয়ার। তিনি বলেন, আনোয়ারকে গ্রেপ্তারের পর তার ব্যবহৃত মোবাইল ও কম্পিউটার থেকে রাষ্ট্রপতি, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, তেজগাঁও থানার ওসি মোহাম্মদ মহসীন, চিত্রনায়ক শান্ত খান, অভিনেতা ও মডেল আব্দুন নুর সজলের নামের ফেসবুক আইডি পাওয়া গেছে। কিছু আইডি ডিজেবল অবস্থায় পেলেও বেশিরভাগই সচল ছিল। তিনি আরও বলেন, আনোয়ার কখনো জনপ্রতিনিধি, কখনো অভিনেতা সেজে এ পর্যন্ত তিনি সাত শতাধিক বেশি নারীর সঙ্গে কথা বলেছেন। তার এ তালিকায় শিক্ষার্থী, গৃহিণী, প্রবাসী, মডেল সবাই আছেন। ম্যাসেঞ্জারের পাশাপাশি হোয়াটসঅ্যাপেও তাদের সঙ্গে কথা বলতেন তিনি। তবে কখনো ভিডিও কলে আসেনি তিনি। কেউ তাকে দেখতে চাইলে কিংবা সন্দেহ করলে সঙ্গে সঙ্গে ব্লক দিতেন আনোয়ার। মেয়েদের সঙ্গে আপত্তিকর কথাবার্তা ও আপত্তিকর ছবিও আদান-প্রদান করতেন তিনি। এসব আপত্তিকর ছবির কথা বলে কারো কারো কাছে টাকাও দাবি করেন আনোয়ার। তেজগাঁও থানার ওসি মোহাম্মদ মহসীন বলেন, আমার পরিচয় ব্যবহার করে আনোয়ার ৭৭১ নারীর সঙ্গে চ্যাটিং করেছেন। এটি আমি এবং পুলিশের জন্য খুবই মানহানিকর। ভুক্তভোগী নারীরা আমাকে ভেবে সহযোগিতার জন্য তাকে নক করেছিলেন। প্রথমে ভালোভাবে কথা বললেও ধীরে ধীরে অশ্লীলভাবে চ্যাটিং করেন আনোয়ার। অনেক নারী সন্দেহ হলে লিখেছেন, ‘আপনি ওসি মহসীন তো’। অনেকে তার কথার প্রতিবাদও করেছেন।  
২৭ জানুয়ারি ২০২৪, ১৮:০৮

‌‘সবকিছুতেই ফেল করে বিএনপি দ্বারে দ্বারে ঘুরছে’
আন্দোলনসহ সবকিছুতেই ফেল করে বিএনপি এখন বিদেশিদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছে বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) বিকালে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মার সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আন্দোলনসহ সবকিছুতে ফেল করে বিএনপি এখন আবার উল্টো সুরে কথা বলছে। তারা বিদেশিদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন। আমাদের নিয়ে কত কিছু করার জন্য কত দেশের হাতে-পায়ে ধরলো! ‘অনেকের ধারণা ছিল নির্বাচনের পর বিদেশিদের সঙ্গে সরকারের সম্পর্কে ভাটা পড়বে’- এ প্রশ্নের জবাবে আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, আমদের দেশ স্বাধীন এবং জাতির পিতার নীতি ‘সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে শত্রুতা নয়’ আমরা তা অনুসরণ করছি। আমরা মনে করি, সবাই আমাদের বন্ধু, তবে কেউ যদি অন্য কিছু মনে করেন তবে আমাদের কিছু বলার নেই। ‘সরকার কী কোন চাপে আছে, আগামীতে কী কোন চাপ আসতে পারে?’- এর জবাবে তিনি বলেন, সরকার কূটনৈতিকভাবে কোনও চাপে নেই। আশা করি, আগামীতেও কোন চাপ আসবে না। ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মার সঙ্গে সাক্ষাতের বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিএসএফ ও বিজিবির সম্পর্ক আরও ভালো করার বিষয়ে আলাপ হয়েছে। আমারা তাদের সাইবার সিকিউরিটি, সাইবার ফরেনসিক নিয়ে আরও ট্রেনিং দেওয়ার জন্য বলেছি। তারা সহযোগিতা করতে রাজি হয়েছেন। তিনি বলেন, বৈঠকে দুদেশের মানুষের মধ্যকার সম্পর্ককে আরও বন্ধুত্বপূর্ণ করার বিষয় ও দুদেশের নিরাপত্তা বিষয়েও আলোচনা হয়েছে। ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম, বর্ডার ক্রাইম, অরগানাইজড ক্রাইম যত কমানো যায়, যত ইন্টেলিজেন্স শেয়ারিং করা যায়, সেগুলো নিয়ে কথা হয়েছে। এসব বিষয়ে আমরা সবসময়ই ভারতের সাপোর্ট পেয়ে থাকি। ভিসা জটিলতা নিয়ে আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, স্টাফ-অফিসার কম থাকায় তারা অ্যাপয়েন্টমেন্টটা একটু দেরিতে দিচ্ছেন।  তিনি জানান, বাংলাদেশের মানুষের বৈষয়িক সামর্থ্য বেড়েছে। সেজন্য তারা অ্যাফোর্ড করতে পারে, বিদেশে যায়। আমাদের দেশের মানুষ ভারতে যায় বেড়াতে, চিকিৎসা নিতে ও পড়াশোনা করতে। গত বছর ১৬ লাখের বেশি লোককে তারা নতুন ভিসা দিয়েছেন। একদিনে সর্বোচ্চ সাত হাজার পর্যন্ত ভিসা দিয়েছে দেশটি। ভবিষ্যতে তারা এটাকে আরও সহজ করার কথা চিন্তাভাবনা করছে বলে জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
১৬ জানুয়ারি ২০২৪, ১৯:৪৯
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়