• ঢাকা বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
logo
পাবনায় সাড়া ফেলেছে রঙিন ফুলকপি
রঙিন ফুলকপি চাষ করে পাবনায় আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন ঈশ্বরদী উপজেলার কৃষক সফিকুল ইসলাম ও ফিরোজা খাতুন দম্পতি। রঙ্গিন এ ফুলকপি সাড়া ফেলছে এলকার সাধারণ মানুষ ও কৃষকদের মাঝে। তাদের উৎপাদিত রঙিন ফুলকপিতে পাবনা-ঈশ্বরদী শহর এমনকি জেলার বিভিন্ন হাটবাজারে সবজির দোকান ছেয়ে গেছে। জানা যায়, বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা জাগরণী চক্র ফাউন্ডেশনের কৃষিবিদদের সহযোগিতায় পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার দাশুড়িয়ার চরমিরকামারী মাথালপাড়া গ্রামের কৃষক সফিকুল ইসলাম ও তার স্ত্রী ফিরোজা খাতুন রঙিন ফুলকপি চাষ করেন। সংস্থার কৃষি অফিসারদের সহযোগিতায় ঢাকার বীজ ভান্ডারে থেকে বীজ সংগ্রহ করেন।   কৃষক সফিকুল জানান, রঙিন ফুলকপি আবাদে বিঘা প্রতি খরচ হয় ৫০ হাজার টাকা। তবে ফুলকপি পাওয়া যায় প্রায় দুই থেকে আড়াই লাখ টাকার। স্বল্প সময়ে, কম খরচে লাভের পরিমাণ খুব বেশি। এই রঙিন ফুলকপির স্বাদ সাদা কপির চাইতে ভালো। বাজারে চাহিদা ও দামও অনেক বেশি। খুচরা বাজারে প্রতি কেজি সাদা ফুলকপি ৩০ টাকা দরে বিক্রি হলেও রঙিন ফুল কপি বিক্রি হচ্ছে ৮০-১০০ টাকা কেজি দরে। কৃষক সফিকুল আরও জানান, তারা স্বামী স্ত্রী মিলে এবারই প্রথম এই নতুন জাতের রঙিন ফুলকপি আবাদ করে তিনি বেশ লাভবান হচ্ছেন। তাছাড়া প্রচুর মানুষ বিভিন্ন জায়গা থেকে এসে কপি দেখার জন্য ভিঁড় করেন। বেশ ভালোই লাগে। জাগরণী চক্র ফাউন্ডেশনের কৃষিবিদ আব্দুল মজিদ সম্রাট জানান, তাদের সংস্থার পক্ষ থেকে কৃষক সফিকুল ইসলামকে সব সময়ই পরামর্শ ও টেকনিক্যাল সাপোর্ট দিয়ে আসছেন। এতে একদিকে তার আর্থিক অবস্থার উন্নতি হচ্ছে। সেই সাথে তার পরিবারের পুষ্টি চাহিদাও পূরণ হচ্ছে। ভবিষ্যতে তার যে কোনো সহযোগিতা লাগলে পাশে থাকবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি আরও বলেন, এগুলো জাপানি জাতের ফুল কপি। আমাদের দেশে মাত্র দুই বছর আগে আবাদ শুরু হয়। পাবনাতে সাধারণ সাদা কপিই চাষ হয়, এবারই প্রথম এই রঙিন কপি চাষ করা হয়েছে। আগামীতে কৃষি বিভাগের সহযোগিতায় এমন রঙিন কপি আবাদ করে এখানকার কৃষক আরো বেশি লাভবান হবেন বলে আশা করছেন তারা। এদিকে জেলার সবজির বাজারে ক্রেতারা আসার সঙ্গে সঙ্গেই আকৃষ্ট হচ্ছেন রঙিন এই ফুলকপি দেখে। প্রথমবার এমন ফুলকপি কিনে হাসিমুখে বাড়ি ফিরছেন ক্রেতারা।
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:১৯

পুষ্টিগুণে ভরপুর রঙিন ফুলকপি : বাকৃবি অধ্যাপক
কেবল দেখতেই সুন্দর নয়, পুষ্টিগুণেও ভরপুর রঙিন ফুলকপি। এমনকি ক্যানসার সৃষ্টিকারী কোষ ধ্বংস করতেও সক্ষম  জানিয়েছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) উদ্যানতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. হারুন অর রশিদ। অধ্যাপক ড. মো. হারুন অর রশিদ বলেন, রঙিন ফুলকপি চাষের বড় সুবিধা হচ্ছে কোনো প্রকার কীটনাশক ব্যবহার না করে শুধু জৈবসার প্রয়োগ করেই সর্বোচ্চ ফলন পাওয়া যায়। তাই মারাত্মক ক্ষতিকর ভারী ধাতুর প্রভাব এতে নেই বললেই চলে। তিনি বলেন, বাজারে সাদা, হলুদ, বেগুনি ও সবুজ রঙয়ের ফুলকপি পাওয়া যায়। প্রচলিত সাদা ফুলকপির চেয়ে এসব রঙিন ফুলকপিতে পুষ্টিগুণ অনেক বেশি থাকে। হলুদ ফুলকপিতে ভিটামিন ‘এ’ এর বিকল্প হিসেবে ক্যারোটিনয়েড থাকে। এমনকী কচুতে যে পরিমাণ ভিটামিন ‘এ’ থাকে তার চেয়ে বেশি পরিমাণ থাকে হলুদ ফুলকপিতে। বাহ্যিক আবরণের কোষ, ত্বক, দাঁত, ও অস্থির গঠনের জন্য ভিটামিন ‘এ’ জরুরি। বেগুনি রঙের ফুলকপিতে থাকে অ্যান্থোসায়ানিন। ক্যারোটিনয়েড ও অ্যান্থোসায়ানিনে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে, যা মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কয়েকগুণ বাড়িয়ে দেয়। তাছাড়া ক্যানসার সৃষ্টিকারী কোষ ধ্বংস করে, উচ্চ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়, উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে ও হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। ‘শাকজাতীয় সবজি ও ফুলকপি ছাড়া অন্যান্য সবজিতে তেমন ফাইবার বা আঁশ থাকে না। ফাইবার কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে ও হজম শক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। রঙিন ফুলকপিতে প্রচলিত সাদা ফুলকপির চেয়ে ফাইবারের পরিমাণ অনেক বেশি পরিমাণে থাকে’, যোগ করেন অধ্যাপক হারুন অর রশিদ। রঙিন ফুলকপির আরেকটি বিশেষত্ব হলো অন্যান্য সবজির তুলনায় আয়রন ও ক্যালসিয়ামের পরিমাণ অনেক বেশি থাকে, যা মানুষের রক্ত ও হাড় গঠন করে। রঙিন ফুলকপিতে ভিটামিন বি কমপ্লেক্স (ভিটামিন বি১, বি২, বি৩, বি৫, বি৬ এবং বি১২) থাকে। ভিটামিন বি২ বা রিবোফ্লাভিন মুখ বা ঠোঁটের ঘা প্রতিরোধের জন্য খুবই উপকারী। তাছাড়া সবুজ ফুলকপি ভিটামিন ‘সি’ এর একটি ভালো উৎস। ফুলকপি পুষ্টিগুণসম্পন্ন একটি খাবার। তাই এটি সব বয়সী মানুষের জন্য বিশেষ করে শিশু, গর্ভবতী নারী ও বৃদ্ধদের জন্য আদর্শ একটি খাবার। এ প্রসঙ্গে অধ্যাপক হারুন বলেন, বাইরের দেশে রঙিন ফুলকপি সালাদ হিসেবে কাঁচা খাওয়া হয়। তবে আমাদের দেশের মানুষ কাঁচা ফুলকপি খাওয়াতে অভ্যস্ত না হওয়ায় হালকা সিদ্ধ করে খেতে পারেন। হালকা সিদ্ধ করে খেলে এর পুষ্টিগুণ পুরোটাই বজায় থাকে। এরইমধ্যে দেশের বিভিন্ন জেলার কৃষকরা রঙিন ফুলকপি পরীক্ষামূলকভাবে চাষ করে সফলতা পেয়েছেন। সাদা ফুলকপির চেয়ে দ্বিগুণ দাম পাওয়ায় দিন দিন রঙিন ফুলকপি চাষে আগ্রহী হচ্ছেন তারা।  
১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৭:১১

ইউটিউব দেখে রঙিন ফুলকপি চাষ করে সফল আসলাম আলী
ইউটিউব দেখে রঙিন ফুলকপি চাষ করে আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন পাবনা সদর উপজেলার বিল ভাদুরিয়া গ্রামের কৃষক আসলাম আলী। তার রঙিন ফুলকপিতে পাবনা শহরের এমনকি জেলার অন্যান্য হাটবাজারগুলোর সবজির দোকান ছেয়ে গেছে। লাভও পাচ্ছেন ভালো।  রঙিন ফুলকপি আবাদ করে তিনি বেশ লাভবান হচ্ছেন। তাছাড়া প্রচুর মানুষ বিভিন্ন জায়গা থেকে এসে কপি দেখার জন্য ভিঁড় করেন। বেশ ভালোই লাগে। পাবনা সদর উপজেলা কৃষি অফিসার শাহানা পারভীন লাবনী বলেন, উপজেলা কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে তারা কৃষক আসলামকে সব সময়ই পরামর্শ ও টেকনিক্যাল সাপোর্ট দিয়ে আসছেন।  আগামীতে কৃষি বিভাগের সহযোগিতায় এমন রঙিন কপি আবাদ করে এখানকার কৃষক আরও বেশি লাভবান হবেন এমনটাই প্রত্যাশা স্থানীয়দের। 
০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৪:১১
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়