• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১
logo
অবশেষে নিজেদের গোপন সম্পর্কের কথা ফাঁস করলেন মাহি-জয়
ঢাকাই চলচ্চিত্রের বর্তমান প্রজন্মের নায়িকা মাহিয়া মাহি। বিচ্ছেদের পর সন্তানকে নিয়ে ফুরফুরেই মেজাজে আছেন এই নায়িকা। বন্ধু-বান্ধবীদের সঙ্গে বেশ সুন্দর সময় কাটাচ্ছেন তিনি। শুধু তাই নয় নতুন উদ্যমে কাজেও ফিরেছেন তিনি। এবার ঈদে মুক্তি পাওয়া শাকিবের ‘রাজকুমার’ ছবিতে ক্যামিও চরিত্রে অভিনয় করে দর্শকদের প্রশংসা পাচ্ছেন। এদিকে ঢাকাই সিনেমার বর্তমান প্রজন্মের নায়ক জয় চোধুরী। ভালোবেসে নায়িকা নীড়কে বিয়ে করেছেন। তাদের ঘরে একটি পুত্রসন্তানও আছে। যদি বিয়ে-সন্তানের বিষয়টি দীর্ঘ আড়ালেই রেখেছিলেন তারা।  জয় চোধুরীর সঙ্গে মাহির প্রায় সময়ই নানান ছবি দেখা যায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। এই নায়কের বাসায় অন্য নায়ক-নায়িকাদের সঙ্গে বেশ ফুরুফুরে মেজাজেই আড্ডায় মাততে দেখা যায় মাহিকে। জয়ের সঙ্গে সিনেমা না করেও এতট ভালো সম্পর্ক কীভাবে হলো সেটিই এবার একটি অনুষ্ঠানে এসে ফাঁস করলেন তারা।   মাহি বলেন, অল্প সময়েই জয়ের সঙ্গে আমার বেশ ভালো বন্ধুত্ব হয়ে গিয়েছে। ও আমার সঙ্গে কোন সিনেমায় কাজ করেনি। আর আমার সঙ্গে যেই নায়করা কাজ করেন তাদের আমি শত্রু ভাবি। যার কারণে তাদের সঙ্গে আমার সম্পর্কটা ভালো হয় না। জয়ের সঙ্গে আমার ২০১৯ থেকেই ভালো সম্পর্ক কিন্তু গোপন রেখে ছিলাম কারণ যে কোন জিনিস  গোপন রাখলে সেটা সুন্দর থাকে।  এদিকে মাহির সঙ্গে সম্পর্কের ব্যাপারে জয় বলেন, খোলামেলা বিষয়টা আসলে সবাই ভালভাবে নেন না। গোপন থাকলে বিষয়টার মাঝে একটা পবিত্রতা থাকে। মাহির সঙ্গে আমার বন্ধুত্ব অল্প দিনের হলেও আমাদের সম্পর্কের মাঝে গভীরতা অনেক।     
১৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:২০

আইফোন ১৬ সিরিজের নতুন ফিচার ফাঁস
আইফোন মানেই মোবাইল ফোন গ্রাহকদের কাছে আকর্ষণীয় বস্তু। এর পেছনে অবশ্য কারণও রয়েছে। আধুনিক সময়ে কম্পিউটারে করা যায় এমন প্রায় সব কাজই সহজেই হাতে থাকা আইফোনে করা সম্ভব হয়। আবার বিশেষ করে ছবি ও ভিডিওর মানেরও বিষয় রয়েছে। কোম্পানিটি প্রতি বছর নতুন সিরিজের ফোন ছাড়ে বাজারে। নতুন নতুন ফিচার ও সুবিধা যুক্ত করে গ্রাহকদের জন্য এসব ফোন রিলিজ করে আইফোন। কিন্তু সম্প্রতি আইফোন ১৬ প্রোর ডিজাইনের একটি সিএডি (কম্পিউটার এইডেড ডিজাইন) ফাইল অনলাইনে ফাঁস হয়েছে। যা থেকে অ্যাপলের আসন্ন ফ্ল্যাগশিপ মডেলটিতে কী থাকতে পারে তার একটি আভাস পাওয়া যাচ্ছে। ফাঁস হওয়া ডিজাইন বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, কিছু ছোটখাটো পরিবর্তন বাদ দিলে আইফোন ১৬'র ডিজাইন অনেকটা আইফোন ১৫'র মতো একই থাকবে। এর আগে, পেছনের ক্যামেরা প্ল্যাটফর্মের ডিজাইনের একটি ত্রিভুজাকার বিন্যাসে পরিবর্তন আনার গুজব উঠলেও ফাঁস হওয়া ফাইলগুলো থেকে দেখা যায় আইফোন ১৫ প্রোতে দেখা সেই পরিচিত থ্রি-লেন্স ডিজাইনটিই অক্ষুণ্ণ রাখা হয়েছে। তবে ফাঁস হওয়া ফাইলগুলোতে একটি উল্লেখযোগ্য নতুন সংযোজন দেখা যায়। ১৬'র ডিজাইনে ডানদিকে পাওয়ার বাটনের নীচে যুক্ত করা হয়েছে নতুন একটি ক্যাপচার বাটন। এর মাধ্যমে ছবি ক্যাপচার করতে আর স্ক্রীনে ট্যাপ করার প্রয়োজন পড়বে না। এটি ফটোগ্রাফির অভিজ্ঞতাকে আরও সহজ করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। যদিও ক্যাপচার বাটনের সম্পূর্ণ ফাংশন বা ক্ষমতা এখনও রহস্যে আবৃত, তবুও ধারণা করা হচ্ছে, বাটনটি হালকাভাবে ট্যাপ করলে ফোকাস ট্রিগার হবে এবং সম্পূর্ন চাপলে ফটো ক্যাপচার হবে। অনেকটা প্রথাগত ক্যামেরার শাটার বাটনের মতোই। প্রযুক্তি বিষয়ক গণমাধ্যম ৯১মোবাইলসের তথ্য অনুযায়ী, আইফোন ১৬ প্রোর সঙ্গে আইফোন ১৫ প্রোর বেশ কিছু সাদৃশ্য থাকবে। পার্থক্যের মধ্যে আইফোন ১৬ প্রো এর পূর্বসূরীর চেয়ে আকারে সামান্য বড় হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এর দৈর্ঘ্য ১৪৯ দশমিক ৬, প্রস্থ ৭১ দশমিক ৪ এবং পুরুত্ব ৮ দশমিক ৪ মিলিমিটার হতে পারে। অপরদিকে, এর ডিসপ্লের আকার ৬ দশমিক ১ ইঞ্চি নাকি ৬ দশমিক ৩ ইঞ্চি হবে তা নিয়ে এখনও বিতর্ক চলছে। ৯১মোবাইলসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, নতুনভাবে প্রকাশিত ডাইমেনশন এবং কাচের চারপাশে পাতলা বেজেল প্রদর্শনের কারণে তারা মনে করছেন এটি ৬ দশমিক ৩ ইঞ্চি হবে। এছাড়া আইফোন ১৬ প্রো একটি ৫এক্স টেট্রা প্রিজম টেলিফোটো ক্যামেরা নিয়ে আসতে পারে। যা ফোনটির জুম করার ক্ষমতা আরও বাড়াবে। এর বাইরে, স্মার্টফোনটিতে ৪৮ মেগাপিক্সেলের একটি আল্ট্রা-ওয়াইড ক্যামেরা এবং একটি ৩ হাজার ৩৫৫ এমএএইচ ব্যাটারি থাকারও গুঞ্জন উঠেছে। তবে এর অপটিক্যাল ইমেজ স্ট্যাবিলাইজেশন সম্পর্কিত কোনো তথ্য এখনও জানা যায়নি। অ্যাপল সাধারণত সেপ্টেম্বরে একটি বড় অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তাদের নতুন আইফোন মডেলগুলো উন্মোচন করে থাকে। আশা করা হচ্ছে, এবারের ইভেন্টে আইফোন ১৬ প্রোর পাশাপাশি চতুর্থ প্রজন্মের আইফোন এসই এবং অ্যাপল ওয়াচ এক্স-ও উন্মোচন করবে অ্যাপল।
০৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৬:১০

মোবাইল ভেঙে ফেললেন বাবা, ফাঁস নিল মেয়ে
জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে প্রেমিকের সঙ্গে কথা বলায় মেয়ের মোবাইল ভেঙে দেন বাবা। এতে রাগে-অভিমানে আম গাছে ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বর্ষা আক্তার (১৭) নামে এক কলেজছাত্রী। শনিবার (৬ এপ্রিল) বিকেল ৫টার দিকে উপজেলার ডোয়াইল ইউনিয়নের লোকনাথপুর এলাকা থেকে তার মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। সে একই এলাকার সাবেক ইউপি সদস্য মো. রঞ্জু মিয়ার মেয়ে ও ধনবাড়ি উপজেলার মুশুদ্দি রেজিয়া কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী ছিল।  পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, প্রতিবেশী সুরুজ মিয়ার ছেলের সঙ্গে বর্ষার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। প্রেমিকের সঙ্গে মোবাইলের মাধ্যমে কথা বলতো বর্ষা। পরিবারের সদস্যরা তাকে   ওই ছেলের সঙ্গে কথা বলতে নিষেধ করেন বাবা-মা। শুক্রবার (৫ এপ্রিল) রাতে মোবাইলে বর্ষা ওই ছেলের সঙ্গে কথা বলছিল, এটি তার বাবা দেখে ফেলে তাকে বকাবকি করেন। শনিবার সকালে মেয়েকে মারধরের পাশাপাশি মোবাইল ফোন ভেঙে ফেলেন রঞ্জু মিয়া। এতে রাগে-অভিমানে বাড়ির পাশের আমগাছের গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করে বর্ষা। পরে পুলিশ এসে তার মরদেহ উদ্ধার করে। সরিষাবাড়ী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুশফিকুর রহমান বলেন, পরিবারের সঙ্গে অভিমান করে বাড়ির পাশে আম গাছের সঙ্গে ঝুলে বর্ষা আত্মহত্যা করেছে। এ ঘটনায় পরিবারের কোনো অভিযোগ নেই।
০৬ এপ্রিল ২০২৪, ২২:৫২

তাপসী পান্নুর ভিডিও ফাঁস
বলিউড অভিনেত্রী তাপসী পান্নু এখনও বিয়ে নিয়ে টুঁ শব্দটি করেননি। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের দাবি, গত ২৩ মার্চই নাকি উদয়পুরে বিয়ে করেছেন তিনি। বর প্রেমিক ব্যাডমিন্টন তারকা ম্যাথিয়াস বো। কিছুদিন ধরেই তাপসীর বিয়ে নিয়ে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল। বিয়ে প্রসঙ্গে কোনো প্রশ্ন করা হলে হয় এড়িয়ে গেছেন, নয়তো বিরক্তি প্রকাশ করেছেন তিনি। বেশ কিছুদিন পেরিয়ে গেলেও বিয়ে নিয়ে এখনও মুখ খোলেননি তিনি। অবশেষে বিয়ের ভিডিও ফাঁস হতেই তা ভাইরাল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। অন্য বলিউড তারকাদের মতো স্বামীর সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো ছবিও দেননি তিনি। এর মাঝেই ফাঁস হয়ে গেল তাপসী পান্নুর বিয়ের ভিডিও। বলিউডের অন্য নায়িকাদের মতো শাড়ি কিংবা লেহেঙ্গা নয়, বরং লাল রঙের জমকালো সালোয়ার কামিজ পরেই বিয়ে সারলেন তিনি। হাতে চূড়া, চুলে বেণী, চোখে ছিল সানগ্লাস। তাপসীদের বিদেশি বরকে দেখা গেছে শেরওয়ানিতে। ফাঁস ভিডিওতে দেখা গেছে, শেরওয়ানি পরে দাঁড়িয়ে তাপসীর বিদেশি বর। উল্টোদিকে ফুল দিয়ে ঢাকা চাঁদুরের নীচে নাচতে নাচতে আসছেন তাপসী। এসে বর ম্যাথিয়াসকে জড়িয়ে ধরেন অভিনেত্রী। এরপর হয় মালাবদল। তারপরই একে অপরের গালে চুম্বন এঁকে দেন তারা। খুব বেশি আয়োজন নেই, বরং খানিকটা সাদামাঠা ভাবেই বিয়েটা সেরেছেন তারা।
০৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:২৮

ভিকারুননিসায় আরও ৩৬ ছাত্রীর ভর্তি জালিয়াতির তথ্য ফাঁস
সম্প্রতি অবৈধভাবে ১৬৯ জন ছাত্রীর ভর্তির ঘটনায় বেশ সমালোচনার মুখে পড়ে রাজধানীর ঐতিহ্যবাহী ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ। বিষয়টি নিষ্পত্তির অপেক্ষায় এখনও ঝুলে আছে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে। এরই মধ্যে ফাঁস হয়েছে আরও ৩৬ ছাত্রীর ভর্তি জালিয়াতির তথ্য। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করছে ঢাকার বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়।  তদন্তে ইতোমধ্যে ভর্তি জালিয়াতির প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছে কমিটি। এর প্রেক্ষিতে ভর্তি সংশ্লিষ্টদের কাছে গত ২৫ মার্চ একটি চিঠি পাঠিয়েছেন তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক ও ঢাকা অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) মোহাম্মদ মমিনুর রহমান।  জানা গেছে, ছয় সদস্যের ভর্তি কমিটির আহ্বায়ক ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ কেকা রায়। ভর্তি কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন, প্রতিষ্ঠানটির ধানমন্ডি প্রভাতি শাখার প্রধান মাহমুদ আহমদ, মূল দিবা শাখার প্রধান শাহ আলম, বসুন্ধরা দিবা শাখার প্রধান জগদীষ চন্দ্র পাল, মূল দিবা শাখার সিনিয়র শিক্ষক চাঁদ সুলতানা ও আজিমপুর প্রভাতি শাখার সিনিয়র শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাক আকন্দ।   জালিয়াতির মাধ্যমে ৩৬ শিক্ষার্থীর ভর্তির বিষয়ে জানতে চাইলে প্রতিষ্ঠানটির ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ কেকা রায় চৌধুরী বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে, তদন্ত শেষ হোক, তখন জানা যাবে।’ এদিকে ঘটনা ফাঁস হওয়ার পর বরখাস্ত করা হয় মূল ক্যাম্পাসের দিবা শাখা (বাংলা ভার্সন) প্রধান মো. শাহ আলম খানকে। ছাত্রী ভর্তিতে তাকে দায়ী করা হলে ভর্তি কমিটির অনিয়মের বিষয়টি গভর্নিং বডির সভাপতি ও ঢাকার বিভাগীয় কমিশনারের কাছে লিখিতভাবে তুলে ধরেন তিনি। গত ১৮ ফেব্রুয়ারির লিখিত অভিযোগে মো. শাহ আলম খান জানান, মূল প্রভাতি বাংলা ভার্সনে ৯ জন, মূল দিবা বাংলা ভার্সনে ২ জন, মূল প্রভাতি ইংরেজি ভার্সনে ২ জন, মূল দিবা ইংরেজি ভার্সনে ৪ জন, ধানমন্ডি দিবা শাখায় ৩ জন, বসুন্ধরা প্রভাতি শাখায় ২ জন, বসুন্ধরা দিবা শাখায় ৩ জনসহ মোট ৩৬ জনকে ভর্তি করা হয়। এসব শিক্ষার্থীদের ভর্তিতে মিথ্যা তথ্যের মাধ্যমে জাল সনদ ব্যবহার করা হয়। ভর্তির ফরম বাছাইয়ে নীতিমালার ৪ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী তাদের ভর্তি বাতিলযোগ্য। লিখিত অভিযোগে অনিয়মের তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধও জানান শাহ আলম।   এরপর তদন্ত শুরু করে ঢাকার বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়। তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক ঢাকা অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) মোহাম্মদ মমিনুর রহমান প্রথম শ্রেণিতে ৩৬ জন ছাত্রী ভর্তির বিষয়ে পরবর্তী চার কর্মদিবসের মধ্যে চিঠির মাধ্যমে জবাব দাখিলের নির্দেশ দেন ভর্তি সংশ্লিষ্টদের। জবাব পাওয়া না গেলে ‘এ বিষয়ে কোনও বক্তব্য নেই’ মর্মে গণ্য হবে বলে জানানো হয় ওই চিঠিতে।   এর আগে একই প্রতিষ্ঠানে প্রথম থেকে নবম শ্রেণিতে ১৬৯ জন ছাত্রীকে অবৈধভাবে ভর্তি করানোর ঘটনা সামনে আসে। এই ঘটনায় ভর্তি বঞ্চিত অভিভাবকদের পক্ষে হাইকোর্টে রিট দাখিল করা হয়। রিটের রায়ে ভর্তির বিষয়টি নিষ্পত্তি করতে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে নির্দেশ দেন আদালত। হাইকোর্টের রায়ের পর মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষকে ওই ১৬৯ জন ছাত্রীর ভর্তি বাতিল করতে নির্দেশ দেয়। পরে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে অভিভাবকরা আপিল করলে হাইকোর্টের রায়ের স্থিতাবস্থা জারি করেন আপিল বিভাগ।
২৯ মার্চ ২০২৪, ১০:৪৯

ড. ইউনূসের গোমর ফাঁস করেছিলেন বিএনপির অর্থমন্ত্রী সাইফুর রহমান
বিএনপির অর্থমন্ত্রী সাইফুর রহমান গ্রামীন ব্যাংক ও ড. ইউনূসের কৌশলী অবস্থান বেশ স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন। তিনি ঋণগ্রহীতাদের সঙ্গে গ্রামীণ ব্যাংকের আচরণ, বিদেশিদের কাছে উপস্থাপনার ক্ষেত্রে ড. ইউনূসের নানাবিধ কৌশলী অবস্থান ও জিয়াউর রহমানসহ পরবর্তী কয়েকটি সরকারের সময়ও তিনি যে সুবিধাগুলো নিয়েও উল্লেখ করেন না সেসব নিয়ে কথা বলে গেছেন। তার আত্মজীবনীতে স্পষ্টভাবে এসবের উল্লেখ পাওয়া যায়। তিনি লিখেছেন, ‘গ্রামীণ ব্যাংকের ঋণ গ্রহণকারীদের ওপর যদি গবেষণা করা হয়, তাহলে দেখা যাবে, গ্রামের অনেক ঋণ গ্রহণকারী একেবারে নিঃস্ব হয়ে গিয়েছে। তারা তাদের ভিটেমাটি থেকে উচ্ছেদ হয়ে গিয়েছে। এ ধরনের অনেক ঘটনার কথা মাঝে মাঝে পত্রিকায় প্রকাশিত হয় এবং এ বিষয়ে পার্লামেন্টারি স্ট্যান্ডিং কমিটিতেও প্রশ্ন উত্থাপন করা হয়েছে। ড. ইউনূস বলেছেন যে, গ্রামীণ ব্যাংকের ঋণ আদায়ের জন্য মামলা-মকদ্দমা করতে হয় না। একথা ঠিক। কারণ এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটলে রাতারাতি তারা সমস্যার সমাধান করতে পারেন। কিন্তু ব্যাংক তা পারে না। অনাদায়ী ঋণ আদায় করতে ব্যাংককে মামলা করতে হয়, নিষ্পত্তির জন্য বছরের পর বছর অপেক্ষা করতে হয়।’ ড. ইউনূসের মাইক্রো ক্রেডিটের ফলে বাংলাদেশের দলিলে আর্থিক অবস্থার বিরাট পরিবর্তন হয়ে গেছে, এ কথাটা সর্বাংশে সত্য নয় উল্লেখ করে তিনি তার বইতে লিখেছেন, ‘পরিবর্তন অনেকের কাছেই দৃশ্যমান নয়। দু'হাজার বা পাঁচ হাজার টাকা ধার নিয়ে এবং শতকরা আঠাশ ভাগ পর্যন্ত বা তারও বেশি সুদ দিয়ে কোনো লোকের পক্ষে স্বাবলম্বী হওয়া সম্ভব নয়। একটা নির্দিষ্ট সময় বা স্তর পর্যন্ত সমাজে মাইক্রোক্রেডিট একটা ইতিবাচক ভূমিকা পালন করতে পারে। সামান্য টাকা ধার নিয়ে কেউ ধানকে চাউল করে বিক্রি করে কিছু বাড়তি আয় করে; অথবা অন্যভাবে কেউ বাড়তি আয় করে। এ কাজের মধ্য দিয়ে সামগ্রিকভাবে দারিদ্র বিমোচন সম্ভব নয়। এ ধরনের কর্মসূচি সরকার বহু আগেই নিয়েছিলো।’   গ্রামীণ ব্যাংক এর শুরুর ইতিহাস টেনে তিনি লিখেছেন, ‘সরকার গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করে তিন বছর চালিয়েছিলো। এই গ্রামীণ ব্যাংক ছিলো বাংলাদেশ ব্যাংকের একটা প্রজেক্ট এবং ড. ইউনুস ছিলেন ওই প্রজেক্টের প্রকল্প পরিচালক। পরে তিনি চেয়ারম্যান হন ১৯৮৩ সালে। পূর্বে গ্রামীণ ব্যাংকের চেয়ারম্যান ছিলেন পদাধিকার বলে অর্থসচিব। এছাড়া ছিলো বোর্ড অব ডাইরেক্টরস। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রোজেক্ট হিসেবে গ্রামীণ ব্যাংক কাজ শুরু করে ১৯৭৯ সালে প্রেসিডেন্ট জিয়ার আমলে।’ ড. মুহাম্মদ ইউনূস বরাবর নানাভাবে নিজের জন্য কিছু অর্জন করতে চেয়েছেন উল্লেখ করে রাজনৈতিক বিশ্লেষক সুভাষ সিংহ রায় বলেন, ‘উনি ভীষণ রকমের ক্ষমতার আকাঙ্ক্ষী মানুষ এবং ভীষণ কৌশলী বটে। ফলে মিথ্যেটাও কীভাবে সত্যর মতো শোনাবে সেইটা তিনি বেশ ভালো করে রপ্ত করেছেন। এবং সাধারণ মানুষ তার কথা শুনে বিভ্রান্ত হওয়ার বহু নজির আছে।’
২৭ মার্চ ২০২৪, ১৪:২২

অনেক কিছু রেকর্ড আছে ফাঁস করে দেব, বিএনপিকে হাছান মাহমুদ 
বিএনপি নেতাদের উদ্দেশ্য করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, নির্বাচনের আগে যারা সরকারের সঙ্গে লাইন দিয়েছিল, কিন্তু হিসাবে মেলে নাই এখন তারা মিডিয়ার সামনে এসে নানান কথা বলা শুরু করেছে। বেশি কথা বললে আপনাদের অনেক কিছু রেকর্ড করা আছে, সব ফাঁস করে দেব।    শুক্রবার (২২ মার্চ)  জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্যোগে আয়োজিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া ও আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে মূলত বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়েছে। যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা চায়নি, যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরুদ্ধাচারণ করেছে, তারাই বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে। তিনি বলেন, বিএনপি এবং জামায়াত নির্বাচনকে ভণ্ডুল করার চেষ্টা করেছে। কিন্তু তাদের (বিএনপি-জামায়াত) সেই অপচেষ্টা ভেস্তে গেছে। দেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু  এবং আন্তর্জাতিক মানের উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সে কারণে পৃথিবীর ৮০টি রাষ্ট্রপ্রধান শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও শেখ হাসিনাকে চিঠি লিখে অভিনন্দন জানিয়েছে। পৃথিবীর ৩২টি আন্তর্জাতিক সংস্থা শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছে। আজকে দেশ যখন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এগিয়ে যাচ্ছে, সমগ্র পৃথিবী যখন শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশংসা করছে, তখনই বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সেই রাজনৈতিক অপশক্তি আবারও দেশের উন্নয়ন, অগ্রগতিকে ভেস্তে দেওয়ার চেষ্টা করছে। দেশকে পেছনে নিয়ে যাওয়ার জন্য ষড়যন্ত্র করছে। এ জন্য তারা (বিএনপি) ‘টেক ব্যাক বাংলাদেশ’ বলে স্লোগান দেয়। অর্থাৎ তারা (বিএনপি) বাংলাদেশকে পেছনে নিয়ে যেতে চাচ্ছে। ড. ইউনূসকে উদ্দেশ্য করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিএনপি দেশের গণতন্ত্রকে বারবার ধ্বংস করতে চেয়েছে। গত নির্বাচনের আগেও তারা দেশের গণতন্ত্রকে বারবার ধ্বংস করার উদ্দেশ্যে নির্বাচন প্রতিহত করার ডাক দিয়েছে। কিন্তু তারা (বিএনপি) নির্বাচন প্রতিহত করতে পারেনি। সেই রাজনৈতিক অপশক্তির (বিএনপি) সঙ্গে কিছু ব্যক্তিবিশেষও যুক্ত হয়েছেন—যিনি (ড. ইউনূস) দেশের মানুষের দুঃখ-দুর্দশা নিয়ে চিন্তিত নয়, যিনি (ড. ইউনূস) দেশকে পৃথিবীর সামনে একটি দরিদ্র দেশ এবং পিছিয়ে পড়া দেশ হিসেবে উপস্থাপন করে পুরস্কার গ্রহণ করেন। পৃথিবীতে যত ধরনের পুরস্কার আছে সব জায়গায় তার লবিস্টরা যোগাযোগ করে পুরস্কার নিয়ে আসে। যাকে (ড. ইউনূস) দেশের কোনো কাজে পাওয়া যায় না, তাকে যে এরকম পুরস্কার দিয়ে বেড়ায় এটি অত্যন্ত হাস্যকর। সবুজবাগ থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক চিত্ত রঞ্জন দাসের সভাপতিত্বে এবং বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. শাহাদাত হোসেন টয়েলের সঞ্চালনায় আলোচনাসভায় আরও উপস্থিত ছিলেন সাংস্কৃতিক প্রতিমন্ত্রী নাহিদ ইজাহার খান, আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট বলরাম পোদ্দার প্রমুখ।
২২ মার্চ ২০২৪, ১৭:৪৯

ফাঁস হওয়া ফোনালাপ, তামিমের লাইভের পর নেটিজেনদের ক্ষোভ
নানা বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের কারণে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে (বিসিবি) সার্কাস বোর্ড নামে পরিচিতি দিয়েছিল সমর্থকরা। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশ ক্রিকেটটাকেই সার্কাসে পরিণত করেছে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া কয়েকটি ঘটনা। যার মূল কেন্দ্রে ছিলেন তামিমের বিশ্বকাপ দল থেকে বাদ পড়া এবং বিশ্বকাপের আগে সাকিবের দেওয়া সাক্ষাৎকার। এবার নতুন করে সার্কাসে যোগ দিয়েছেন মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও মেহেদী হাসান। যেখানে সার্কাসটির ম্যানেজমেন্টের দায়িত্ব পালন করেছে দেশের একটি মোবাইল আর্থিক লেনদেনকারী প্রতিষ্ঠান। বাংলাদেশের জাতীয় দলের গুরুত্বপূর্ণ দুই তারকা ক্রিকেটার তামিম ইকবাল এবং মেহেদী হাসান মিরাজের ফোনালাপ ফাঁস নিয়ে হৈচৈ পড়েছিলো দেশের ক্রিকেটাঙ্গনে। মূলত একটি মোবাইল আর্থিক লেনদেন প্রতিষ্ঠানের প্রচারকে কেন্দ্র করেই এই ফোনালাপ ফাঁস করা হয়। মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) দেশের বেসরকারি একটি টিভি চ্যানেলে প্রকাশ করা আলোচিত সেই ফোনালাপ। যেখানে তামিমকে বলতে শোনা যায়, মুশফিক এটা কোনো কাজ করছে রে মিরাজ? ফাইনালের পরে আমাদের মিটিংয়ে কী কথা হইছে? আমি তোরে ওই সময় একটা কথা বলছিলাম না যে আমরা চেষ্টা করব যে ৭০ থেকে ৮০ পারসেন্ট আমরা যেন সেইম টিম থাকতে পারি। ঠিক আছে? আর এই কথায় আমার বেইসই ছিল তুই মুশফিক সবাই–সহ। ঠিক না? এখান থেকে দেশের ক্রিকেট ভক্তরা ভাবতে শুরু করে আসন্ন বিপিএলের জন্য নতুন দল গড়ছেন মুশফিক। তাই তামিম হয়তো মুশফিকের উপর মেজাজ হারিয়েছেন। মূলত সাকিব-তামিমের দ্বন্দ্বের পর মুশফিক কেন্দ্রিক এমন ফোনালাপ সকলের আগ্রহ বাড়ায়।  তবে বুধবার (২০ মার্চ) ফেসবুক লাইভে এই ফোন আলাপকে নগদের বিজ্ঞাপন কেন্দ্রিক বলে দাবি করেছেন তামিম ইকবাল। লাইভে তামিম জানান, ঈদ উপলক্ষে ওই প্রতিষ্ঠানের একটি ক্যাম্পেইন শুরু হয়েছে। যেখানে ২৪ জন গ্রাহককে জমি উপহার দেওয়া হবে।  ‘সেই ক্যাম্পেইনে জয়ের জন্য দুইজন বা তিনজন করে দল গঠন করে লেনদেন করতে হবে। যেই দলেই মুশফিককে রেখেছিলেন তামিম। তবে মুশফিক বের হয়ে গেছেন।’ এ সময় তার সঙ্গে লাইভে যুক্ত ছিলেন মুশফিকুর রহিম, মেহেদী হাসান মিরাজ এবং সবশেষ যুক্ত হন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ এবং ওই প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক।  তবে এই লাইভের পর তামিম-মুশফিকদের নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে নতুন সমালোচনা। আপাত দৃষ্টিতে কোনো ক্রিকেটার বিজ্ঞাপনের সঙ্গে যুক্ত হতেই পারেন। তবে ভক্তদের ক্রিকেটের প্রতি ভালোবাসা এবং আবেগকে ব্যবহার করে কোনো প্রচার করা কতটুকু যৌক্তিক তা নিয়ে ঝড় উঠেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে। ফাঁস হওয়া ফোনালাপটি প্রথম দিকে বিজ্ঞাপন কেন্দ্রিক মনে হলেও পরের তামিমের বেশ কয়েকটি মন্তব্য মানুষকে বিশ্বাস করতে উৎসাহিত করে এটি সম্পূর্ণ ক্রিকেট কেন্দ্রিক আলোচনা। তামিম অভিমান বলেন, তিনি জাতীয় দলে থাকলে বা অধিনায়ক হিসেবে থাকলে তার সঙ্গে কেউ এরকম ব্যবহার করতো না। আজ সবাই সুযোগ নিচ্ছে, যদি ক্যাপ্টেন থাকতাম তাহলে তো তোরা এটা করতে পারতি না। এখন আমার দাম নাই, তাই তোরা এসব করছো। ‘অসুবিধা নাই মিরাজ, সময় আমারও তো আসবে। একটা কথা শোন পৃথিবীটা গোল তুই ওই সাইডে আমি এই সাইডে, কালকে আমি ওই সাইডে বসবো তুই এই সাইডে আসবি। বিষয়টা ভুলে যাইস না, তোর বড়ভাইকেও বলে দিস।’ তামিম ইকবালের লাইভ শেষে বাংলাদেশের ক্রিকেট ভক্তদের মধ্যে ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া দেখা যায় সামাজিক যোগাযোগ ফেসবুকে। যেমন তানজিল আহমেদ নামের একটি ভেরিফাইড ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে একটি পোস্টে লেখা হয়েছে, আমাদের ক্রিকেট নিয়ে কোন আশা নেই। এই জিনিস মরে গেছে। যে কতটুকু বেঁচে আছে সেটা আপনাদের আবেগ বিক্রি করে।  ‘এই আবেগ বিক্রি করে সাকিব-মাশরাফিরা তাদের আখের গুছিয়ে নিয়েছে৷ এই আবেগ পুঁজি করে তামিম-মুশফিকরা বিজ্ঞাপনের জন্য নিজেদের বিক্রি করে দিতে দ্বিধা করে না। এটা এখন আর খেলা না, স্রেফ একটা ব্যবসা।’ অন্যদিকে তামিমের ইকবালের লাইভ চলাকালীন সময়ে আব্দুল্লাহ আল মেহেদী নামের আরেক একটি ভেরিফাইড ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে বাংলাদেশে ক্রিকেটে নেতিবাচক মার্কেটিংও প্রশ্ন তুলেছেন। মন্তব্যর ঘরে তিনি লিখেছেন, আর কোন দেশের ক্রিকেটারদের এইসব নেগেটিভ মার্কেটিং করতে দেখলাম না আপনাদের ছাড়া। একবার সাকিব, একবার আপনারা।  বাংলাদেশ ক্রিকেটকে বয়কটের ট্যাগ দিয়ে তিনি আরও লিখেছেন, জনগণ যেইদিন থুথু দেয়া শুরু করবে ওইদিন মার্কেটিং কি জিনিস টের পাবেন। জনগণকে নিয়ে ফাইজলামি করার ফলাফল টের পাবেন ওইদিন। ফাইজলামির একটা লিমিট থাকা দরকার। প্রফেশনালি ক্রিকেট বাদ দিয়ে ফুল টাইম অভিনেতা হইতে পারতেন। আপনারা সন্দেহাতীতভাবেই ওইটা ভালোই পারেন। #ripbdcricket
২১ মার্চ ২০২৪, ১২:২৭

‘পুষ্পা টু’র শুটিংয়ের ভিডিও ফাঁস
আল্লু অর্জুন ও রাশমিকা মান্দানা অভিনীত দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রির বহুল আলোচিত সিনেমা ‘পুষ্পা: দ্য রাইজ’। মুক্তির পর রীতিমতো আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল সিনেমাটি। বক্স অফিস মাতানোর পাশাপাশি ভূয়সী প্রশংসাও কুড়িয়েছে সিনেমাপ্রেমীদের। চলতি বছরের ১৫ আগস্ট মুক্তি পাবে সিনেমাটির দ্বিতীয় কিস্তি ‘পুষ্পা: দ্য রুল’। বর্তমানে সিনেমার শুটিং নিয়ে ব্যস্ত এর কলাকুশলী ও নির্মাতারা। কিন্তু এর মধ্যেই হঠাৎ ফাঁস হয়েছে ‘পুষ্পা টু’র শুটিংয়ের ভিডিও।  নেটদুনিয়ায় ভাইরাল হওয়া ওই ভিডিওতে দেখা যায়, রাশমিকার পরনে লাল রঙের শাড়ি। খোঁপায় গোঁজা ফুল। সঙ্গে ভারী গয়নাও পরেছেন তিনি। চারপাশে উৎসুক জনতার উল্লাস। সেটের লোক ও পুলিশ তাকে পাহারা দিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। জানা গেছে, ‘পুষ্পা টু’ সিনেমায় আল্লু অর্জুনের সঙ্গে রাশমিকার বিয়ে হওয়ার কথা রয়েছে। তাই ধারণা করা হচ্ছে— হয়তো রাশমিকার এই লুকটি সিনেমার বিয়ের দৃশ্যের। যদিও বিষয়টি নিয়ে কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি সিনেমা সংশ্লিষ্টদের। এদিকে নেটিজেনদের একাংশের দাবি, ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশের জগন্তী উমা মহেশ্বরা মন্দিরে ‘পুষ্পা টু’ সিনেমার দৃশ্যধারণের কাজ হয়েছে। আর সেখান থেকেই শুটিংয়ের এই ভিডিও ক্লিপ ফাঁস হয়েছে।   ‘পুষ্পা’র চেয়ে ‘পুষ্পা টু’ সিনেমা আরও বেশি চমকপ্রদ হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন নির্মাতারা। শুধু তাই নয়, প্রথম সিনেমার তুলনায় দ্বিতীয় কিস্তির বাজেটও থাকছে দ্বিগুণ। ‘পুষ্পা: দ্য রাইজ’ সিনেমার বাজেট ছিল ১৯৩ কোটি রুপি। ‘পুষ্পা টু’ সিনেমার বাজেট ধরা হয়েছে ৪০০ কোটি রুপি। প্রসঙ্গত, আল্লু অর্জুন ও রাশমিকা ছাড়াও সুকুমার পরিচালিত ‘পুষ্পা টু’ সিনেমায় আরও অভিনয় করছেন— ফাহাদ ফসিল, প্রকাশ রাজ, সুনীল, রাও রমেশ প্রমুখ। ভিডিওটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন    
২০ মার্চ ২০২৪, ১৩:০০

ফাঁস হওয়া ফোনালাপে কী বলেছেন তামিম-মিরাজ?
গেল কয়েক মাস ধরেই সংবাদের শিরোনামে সাকিব আল হাসান ও তামিম ইকবালের মধ্যকার বৈরী সম্পর্ক। গত এক বছরে মাঠের সাফল্য-ব্যর্থতার গল্প ছাড়িয়ে ক্রীড়াপ্রেমীদের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে সাকিব-তামিম ইস্যু। রহস্যময় ইনজুরি, অবসর-অবসরে ভেঙে জাতীয় দলে ফেরার নাটকীয় আভাস, বিশ্বকাপ স্কোয়াড থেকে ছিটকে যাওয়াসহ নানান কারণে আলোচনায় ছিলেন তামিম। এ ছাড়া নানানভাবে ড্যাশিং এই ওপেনারকে জাতীয় দলে ফেরানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছে দেশের ক্রিকেটের নিয়ন্তা সংস্থা-বিসিবি। এরই মধ্যে দেশের একটি বেসরকারি টেলিভিশন দাবি করেছে, তামিম ইকবাল ও মেহেদী হাসান মিরাজের মধ্যকার ফোনালাপ ফাঁস হয়েছে এবং সেটা পেয়েছে তারা। সেই ফোনালাপে তামিমকে সতীর্থ মিরাজের সঙ্গে কথা বলছে দেখা যায়। ফোনালাপে তামিমকে বিপিএল শিরোপাজয়ী ফরচুন বরিশালের এই সতীর্থের কাছে দলটির আরেক গুরুত্বপূর্ণ সদস্য মুশফিকুর রহিমের নামে বিষোদগার করতে দেখা গেছে।  তবে কী আছে, সেই ফোনালাপে! ক্রীড়াপ্রেমীদের মাঝেও সেই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে। আর এর নেপথ্য কারণ-ই বা কি হতে পারে। পাঠকের সুবিধার্থে ফোনালাপটি তুলে ধরা হলো : তামিম: ‘হ্যালো, মিরাজ?’ মিরাজ: ‘হ্যাঁ, তামিম (ভাই)। আসসালামু আলাইকুম।’ তামিম: ‘কী অবস্থা রে, কেমন আছিস?’ মিরাজ: ‘এই তো আলহামদুলিল্লাহ (ভাই)। আপনি কেমন আছেন?’ তামিম: ‘কেমন থাকি রে? মুশফিক এটা কোনো কাজ করছেরে মিরাজ?’ মিরাজ: ‘(ভাই), শুনলাম আমিও। সে জিনিসটা…  ঠিক আছে… এখন কী করবেন।’ তামিম: ‘না, এটা তো একটা... লাস্টে আমাদের… ফাইনালের পরে আমাদের মিটিংয়ে কী কথা হইছে? আমি তোরে ওই সময় একটা কথা বলছিলাম না যে আমরা চেষ্টা করব যে ৭০ থেকে ৮০ পারসেন্ট আমরা যেন সেইম টিম থাকতে পারি। ঠিক আছে? আর এই কথার আমার বেইসই ছিল তুই মুশফিক সবসহ। ঠিক না?’ তামিম: ‘মুশফিক আমার জন্য ইম্পরট্যান্ট একজন ছিল। সে করছেটা কী শোন। সে আমার সাথে তো কথা বলেই নাই, সে বলে এখন আলাদা একটা টিম বানাচ্ছে। শুনছস এটা?’ মিরাজ: ‘আমি একটু হালকা একটু শুনেছিলাম বাট হান্ড্রেড পারসেন্ট কনফার্ম ছিলাম না। বাট আপনি এখন যেটা বললেন আমি তো এখন হান্ড্রেড পারসেন্ট শিওর হলাম যে (ভাই) মনে হয় আলাদা টিম বানাচ্ছে।’ তামিম: ‘না, (ভাই) মিরাজ, তুই দেখছস… আমি ওরে কী ধরনের ফ্রিডম দিছি পুরা টিমে, হ্যাঁ? আমি ওরে দায়িত্ব দিছি পুরা টিম চালানোর। খেলা শেষ হইছে, খেলা শেষে আমি সবচেয়ে বেশি ওরে প্রেইজ করছি। আমি এখন পর্যন্ত ওরে প্রেইজ করি যে সে পুরা টিমটা হ্যান্ডেল করছে, তার কন্ট্রিবিউশনটা কত বেশি। সে এই মুহূর্তে আমাকে এই রকম মাঝপথে ছেড়ে যাওয়াটা কি উচিত ছিল?’ মিরাজ: ‘এখন কী করবেন (ভাই)? এখন (ভাই) গেছে। এখন সে তো আপনারই ফ্রেন্ড।’ তামিম: ‘আরে না। এখন তোদের সাথে নাই, খেলি না তো ন্যাশনাল টিমে, এখন অনেকের অনেক ভাবটাব বেড়ে গেছে। এটা হলো সমস্যা। ঠিক আছে।’ মিরাজ: ‘ভাই?’ তামিম: ‘কারণ হলো, যখন তোদের সাথে খেলতাম, ক্যাপ্টেন থাকলে তো আর এরকম তোরা করতে পারতি না। এখন আমার দাম নাকি, দাম কমে যাচ্ছে দেখে তোরা এসব করতেছস।’ মিরাজ: ‘(ভাই) শোনেন… রাগ কইরেন না। প্লিজ। কারণ, কী (ভাই), আপনি তো জানেন মুশফিক (ভাই) সম্পর্কে। সে তো একটু ইমোশনাল। হতো ইমোশনাল হয়ে…’ তামিম: ‘ছোটবেলা থেকে ও আমার ফ্রেন্ড। ও একবার আমাকে অ্যাটলিস্ট বলত চলে যাওয়ার আগে। অ্যাটলিস্ট তখন তো আমার একটু শান্তি হইতো যে, না অ্যাটলিস্ট বলে গেছে। অসুবিধা নাই মিরাজ। সময় আমারও তো আসবে। পৃথিবী গোল কিন্তু… শুনে রাখ মিরাজ। একটা কথা শোন… পৃথিবী গোল… আজকে তুই ওই সাইড, আমি এই সাইড। কালকে আমি ওই সাইডে বসব, তুই ওই সাইডে আসবি। ভুলে যাইস না। আর তোর বড় ভাইরেও বলে দিস।’ মিরাজ: ‘(ভাই) আপনি রাগ কইরেন না, ঠান্ডা হন। আমি দরকার হলে তার (ভাইয়ের) সাথে…’ তামিম: ‘তুই দেখ আমি কী করি। আমি কথা কবনে তোর সাথে। এ ব্যাপারে কথা কব। জিনিসটা, কাজটা ও কোনোভাবেই ঠিক করে নাই।’ মিরাজ: ‘না (ভাই), কিছু করার দরকার নাই। কিছু করার দরকার নাই।’ এই পর্যায়ে কলটি কেটে যাওয়ার আওয়াজ পাওয়া যায়। তবে কীভাবে এমন ফোনালাপ ফাঁস হয়, সেটা নিয়েও নানান প্রশ্ন রয়েছে। এদিকে ফোনালাপ কাটা থেকে ধারণা করা হচ্ছে, বিষয়টি ফাঁস হয়ে থাকলে তা মিরাজের প্রান্ত থেকে হয়েছে। অন্যদিকে সূত্র বলছে, কথিত এই ফোনালাপটি মূলত একটি ডিজিটাল আর্থিক সেবা প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপনের অংশ।  এর আগেও, তামিম ও সাকিবের মধ্যকার দ্বন্দ্বের চূড়ান্ত পর্যায়ে বিশ্বকাপের আগে তাদের নিয়ে একটি বিজ্ঞাপন বানিয়েছিল ওই প্রতিষ্ঠানটি। যেখানে দেশসেরা এই দুই ক্রিকেটারের মধ্যে সৌহার্দ্য দেখানো হয়েছিল।
২০ মার্চ ২০২৪, ১২:৪৫
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়