• ঢাকা মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo
আ.লীগ এখন সম্পূর্ণ দেউলিয়া হয়ে গেছে : মির্জা ফখরুল
আওয়ামী লীগ এখন আওয়ামী লীগ নাই সম্পূর্ণ দেউলিয়া হয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।  রোববার (১৪ এপ্রিল) বিকেলে ঠাকুরগাঁওয়ে এক স্মরণ সভায় তিনি এ কথা বলেন। ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগের রাষ্ট্র পরিচালনা দেখেই বুঝা যায় তারা দেউলিয়া হয়ে গেছে। তারা রাষ্ট্রযন্ত্র ছাড়া কোনো কাজই করতে পারে না। পুলিশ দিয়ে তাদের দেশ পরিচালনা করতে হচ্ছে। তিনি বলেন, ২০১৪ সালে সাধারণ মানুষ নির্বাচন থেকে মুখ ফিরিয়ে নিলেও তারা জয়ী হয়, আবার ১৮ এর নির্বাচন তারা আগের রাতেই করে ফেলে। এবার ডামি প্রার্থী দিয়ে ডামি নির্বাচন করেছে। আওয়ামী লীগ আজ পুরো দেউলিয়া হয়ে গেছে।  বিএনপির এই নেতা বলেন, এই দেশ অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, আমদানি রপ্তানি কমে গেছে, দেশের ব্যাংকগুলো সরকার শেষ করে দিয়েছে। মেগা প্রজেক্টের নামে মেগা দুর্নীতি বন্ধ না হলে একদিন বাংলাদেশ ধ্বংস হয়ে যাবে।  ফখরুল বলেন, আমার নামে ১১১টি মামলা রয়েছে। জেলে যেতে হয়েছে প্রায় ১১ বার। এ বৃদ্ধ বয়সেও আমাকে এমন হাস্যকর মামলা দিয়ে হেনস্থা করছে তারা। শুধু তাই নয়, খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নিয়েও সরকার নানা টালবাহানা করছে।
১৪ এপ্রিল ২০২৪, ২১:২১

দেশবাসীকে নববর্ষের শুভেচ্ছা ফখরুলের
দেশবাসীকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। শনিবার (১৩ এপ্রিল) দলটির সহদপ্তর সম্পাদক মুহাম্মদ মুনির হোসেনের পাঠানো বাণীতে তিনি এ শুভেচ্ছা জানান। ফখরুল বলেন, ১৪ এপ্রিল পহেলা বৈশাখ ১৪৩১। বাংলা সনের প্রথম দিন। নববর্ষের ঊষালগ্নে আমাদের অগণিত সমর্থক, শুভানুধ্যায়ী ও দেশবাসীকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। তিনি বলেন, বাংলা নববর্ষ আমাদের জাতীয় জীবনের এক আলোকিত আনন্দময় উৎসব। এ উৎসব সুপ্রাচীন ঐতিহ্যের তরঙ্গায়িত রূপ। পহেলা বৈশাখ থেকেই শুরু হয় নতুন বছরকে বরণ করে নেওয়ার আকুলতা। নতুন বছর মানেই অতীতের সব ব্যর্থতা পেছনে ফেলে নতুন উদ্দীপনা ও উৎসাহে গতিশীল কর্মপ্রবাহে সুন্দর, সমৃদ্ধ আগামী নির্মাণ করা। বিএনপির এই নেতা বলেন, প্রতিটি উৎসবের অন্তস্থল থাকে ধনী-নির্ধন নির্বিশেষে সব মানুষের মিলন, পরোক্ষে একটি জাতির নানা সম্প্রদায়, ধর্ম-গোষ্ঠীকে সংযুক্ত করে নানাভাবে। ১৪৩১ বাংলা সনের প্রথমদিনের নতুন আলোতে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের কাছে কায়মনোবাক্যে দেশের সব মানুষের সুখ ও শান্তির জন্য প্রার্থনা করছি। মির্জা ফখরুল বলেন, নববর্ষের এ নতুন সকালে মহান আল্লাহর কাছে সকলের ব্যক্তিগত, পারিবারিক তথা জাতীয় সব পর্যায়ে সুখ ও শান্তি কামনা করি। ১৪৩১ বাংলা সনের প্রত্যুষের প্রথম আলোয় আমি দেশবাসীকে আবারও জানাই শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।
১৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:৩৮

এ সরকারকে আমরা কখনও মেনে নেব না : ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আওয়ামী লীগ আর আওয়ামী লীগ নাই, তারা এখন পুলিশ লীগে পরিণত হয়েছে। তাদের এ সরকার বার বার ক্ষমতা দখল করে নিচ্ছে। দখলদারের সরকার আমরা কোনোদিন মেনে নেইনি, আমরা এখনও মেনে নেব না। শুক্রবার (১২ এপ্রিল) বিকেলে ঠাকুরগাঁও জেলার হরিপুর উপজেলার হাটপুকুর গ্রামের যুবদল নেতা আকরাম হোসেনের শোকসভায় এসব কথা বলেন তিনি। তিনি বলেন, পুলিশ বাহিনী অন্যায়ভাবে দলের ছেলেদের হত্যা করছে। অত্যাচার নির্যাতন করে আজ তারা দেশ শাসন করছে। আমরা স্বাধীনভাবে বাঁচতে চাই, আর স্বাধীনতার জন্যই লড়াই সংগ্রাম করে যাচ্ছি। সবাইকে এ লড়াই সংগ্রামে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, জনগণকে বোকা বানিয়ে, জনগণের পয়সা লুটে নিয়ে তারা ব্যাংক বীমা সব লুট করছে, শুধু তাই নয় তারা বিদেশে টাকা পাচার করছে।
১২ এপ্রিল ২০২৪, ২১:০৯

খালেদা জিয়ার সঙ্গে রাজনৈতিক আলাপ হয়নি : মির্জা ফখরুল
ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময়কালে চেয়ারপাসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে বিএনপি নেতাদের কোনো রাজনৈতিক আলোচনা হয়নি বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, উনি (খালেদা জিয়া) অসুস্থ, বন্দি অবস্থায় আছেন। আমরা এখানে উনার সঙ্গে দেখা করেছি। এটি পুরোপুরি সৌজন্যমূলক একটি সাক্ষাৎ ছিল। আমরা কোনো রাজনেতিক আলোচনা করিনি। ফখরুল আরও বলেন, তিনি একজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন। তিনবার প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। এখনো রাজনৈতিক কারণেই বন্দি হয়ে আছেন। আমরা যেটা মনে করি, আমরা যেটা সবসময় বলে আসছি তাকে অবিলম্বে মুক্তি দেওয়া উচিত এবং উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানো উচিত। তিনি বলেন, খালেদা জিয়া আপনাদের (গণমাধ্যমকর্মী) মাধ্যমে সারা জাতিকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন, ঈদ মোবারক জানিয়েছেন। একই সঙ্গে তিনি নিজের সুস্থতার জন্য দোয়া চেয়েছেন। বিএনপি মহাসচিব বলেন, তিনি (খালেদা জিয়া) এটাও বলেছেন, তিনি জনগণের কল্যাণের জন্য রাজনীতি করেছেন, রাষ্ট্রের কল্যাণের জন্য রাজনীতি করেছেন। ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা জানাতে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বাসভবনে গিয়েছেন দলটির জ্যেষ্ঠ নেতারা। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) রাত সোয়া ৮টার দিকে বিএনপি নেতারা খালেদা জিয়ার গুলশানের বাসভবন ফিরোজা’য় প্রবেশ করেন। খালেদা জিয়ার সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করতে যাওয়া নেতাদের মধ্যে ছিলেন, দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমদ এবং লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি-এলডিপির সভাপতি অলি আহমেদ। প্রসঙ্গত, দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত হয়ে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি কারাগারে যান সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর ২০২০ সালের ২৫ মার্চ সরকারের নির্বাহী আদেশে শর্তসাপেক্ষে সাজা স্থগিত করে তাকে সাময়িকভাবে মুক্তি দেওয়া হয়। এরপর  গুলশানের ওই বাসায় থাকছেন ৭৯ বয়সী  বিএনপি চেয়ারপাসন বেগম খালেদা জিয়া।
১২ এপ্রিল ২০২৪, ০২:২৪

পুরো দেশ দুঃসময় পার করছে : ফখরুল
বিএনপিসহ পুরো দেশ একটা দুঃসময় পার করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) রাজধানীতে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এ কথা বলেন। মির্জা ফখরুল বলেন, সাধারণ মানুষ ভালো কাপড় ও খাবার কিনতে পারছে না। মানুষের মনে আনন্দ নেই। বিএনপিসহ পুরো দেশ একটা দুঃসময় পার করছে।  তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ দেউলিয়া রাজনৈতিক দলে পরিণত হয়েছে। তারা দেশকে পরনির্ভরশীল করে রাখতে চায়। সুপরিকল্পিতভাবে দেশের অর্থনীতি ধ্বংস করেছে। খালেদা জিয়া সরকারের রোষানলের শিকার বলে দাবি করে বিএনপির এই নেতা বলেন, বেগম জিয়াকে বন্দি করে রাখা হয়েছে। কঠিন দুঃসময় পার করছে বিএনপি। মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর অসংখ্য নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়েছে। এরপরও মানুষ গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করছে। জনগণের এই আন্দোলন কখনই বৃথা যাবে না।  
১১ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৫৫

সরকার রক্তের হোলি খেলায় মেতেছে : ফখরুল
সারাদেশে যখন দুর্ভিক্ষাবস্থা বিরাজ করছে তখন জনগণের দৃষ্টি অন্য দিকে সরাতে সরকার রক্তের হোলি খেলায় মেতে উঠেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সোমবার (৮ এপ্রিল) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন। মির্জা ফখরুল বলেন, মানুষের জানমালের নিরাপত্তা এখন চরম হুমকির মুখে। পবিত্র সিয়াম সাধনার মাস রমজানেও আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী রক্ত ঝরানোর নিষ্ঠুর কাজ থেকে সরে আসছে না। তিনি বলেন, দেশে আওয়ামী শাসন কায়েমের জন্যই আইনের শাসনকে নির্বাসনে পাঠানো হয়েছে। আওয়ামী সরকারের এই ভয়াবহ দুঃশাসনের অবসান না হওয়া পর্যন্ত জনগণ রাজপথের আন্দোলনে থাকবে। পুলিশি নির্যাতনে ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব আক্রাম হোসেনের মৃত্যু হয়েছে উল্লেখ করে এসময় এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানান মির্জা ফখরুল। বিএনপি মহাসচিব বলেন, আক্রাম হোসেনকে হত্যার মাধ্যমে আবারও প্রমাণিত হলো-আওয়ামী লীগ ঐতিহ্যগতভাবেই হত্যায় উৎসাহী একটি রাজনৈতিক দল। তারা শুধু গণতন্ত্রকেই হত্যা করেনি, গণতন্ত্রকামী মানুষকে এখন বেছে বেছে হত্যা করছে।
০৮ এপ্রিল ২০২৪, ২৩:২৫

সরকারের অত্যাচার-নির্মমতা চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে : মির্জা ফখরুল
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সরকারের অত্যাচার-নির্মমতা চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে। দুর্ভাগ্য ১৫ বছরের বেশি সময় ধরে আওয়ামী লীগ সরকার জোর করে ক্ষমতা দখলে রেখেছে। তারা গণতন্ত্র ধ্বংস করেছে। অনেক গণতন্ত্রকামী যুবককে হত্যা করেছে। রোববার (৭ এপ্রিল) বিকেলে রাজধানীর গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপি মহাসচিব বলেন, পুলিশ অনেকের বাড়িতে হামলা চালিয়েছে। কাউকে না পেয়ে অনেকের স্ত্রী, বোন, মা কিংবা সন্তানকে নিয়ে গেছে। তাদের ওপর নির্যাতন করেছে। আজকে কারও মনে কিন্তু হাসি নেই। এভাবে একে একে বর্ণনা দেওয়া সম্ভব নয়। অনেককে সাজা দিয়ে সর্বস্বান্ত করেছে। মির্জা ফখরুল বলেন, যেসব ভাই, সহযোদ্ধা আন্দোলনে প্রাণ হারিয়েছেন, তাদের গৌরবের জায়গায় প্রতিষ্ঠিত করতে পারিনি, যে জায়গায় তারা ন্যায়বিচার পাবেন। আজকে কত শিশু তার বাবাকে ভিক্ষা চায়। তবে মজলুমের অশ্রুধারা কখনো বৃথা যেতে পারে না। ফখরুল আরও বলেন, সীমান্ত অরক্ষিত। বান্দরবানে অস্ত্র ও ব্যাংক লুট হয়েছে। সরকার স্পষ্ট করে বলতে পারছে না কারা এটার সঙ্গে জড়িত। যখন কোনো দোষ চাপাতে হয় তখন জঙ্গি খুঁজে বের করে। এতে প্রমাণিত হয়, দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা কতটা ভঙ্গুর। আজকে দেশের পানি সমস্যা, সীমান্ত সমস্যা নিরসন করতে পারেনি। দেশের বিচারব্যবস্থাকে দলীয়করণ করেছে। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নেই। বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি, কারা নির্যাতিত নেতাকর্মীদের জন্য দোয়া এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনে নিহতদের রুহের মাগফিরাত কামনা, তাদের পরিবারে ঈদ উপহার বিতরণ ও ইফতার মাহফিলের আয়োজন করে অ্যাসোসিয়েশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (অ্যাব)। অনুষ্ঠানে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের ৪০ জনকে সহায়তা দেওয়া হয়। অ্যাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আশরাফ উদ্দিন বকুলের সভাপতিত্বে ও সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব আসাদুজ্জামান চুন্নুর সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বেগম সেলিমা রহমান, ভাইস-চেয়ারম্যান হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আ ন হ আক্তার হোসেন, অ্যাবের মহাসচিব আলমগীর হাসিন আহমেদ ও সহ-সভাপতি মোস্তাফা জামান সেলিম প্রমুখ।
০৭ এপ্রিল ২০২৪, ২০:৪০

খালেদা জিয়ার হাতে তার জীবনীগ্রন্থ তুলে দিলেন ফখরুল
‘বেগম খালেদা জিয়া : হার লাইফ, হার স্টোরি’ নামে ইংরেজি বই লিখেছেন সিনিয়র সাংবাদিক মাহফুজউল্লাহ। বইটির বাংলা অনুবাদ করেছেন অধ্যাপক মাহবুব উল্লাহ। বইটির বাংলা নামকরণ করা হয়েছে ‘বেগম খালেদা জিয়ার জীবন ও সংগ্রাম’। বইটি  বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার হাতে তুলে দিয়েছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। শনিবার (৬ এপ্রিল) রাত ৮টায় রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের বাসভবন ফিরোজায় সাক্ষাৎ করে বইটি উপহার হিসেবে বেগম জিয়ার হাতে তুলে দেন ফখরুল। বিএনপির মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, খালেদা জিয়াকে নিয়ে সিনিয়র সাংবাদিক মাহফুজউল্লাহর লেখা ইংরেজি বইটি বাংলায় অনুবাদ করেছেন অধ্যাপক মাহবুব উল্লাহ। বইটির একটি সংখ্যা রাতে চেয়ারপারসনের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এসময় উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক মাহবুব উল্লাহ ও তার স্ত্রী, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিল সদস্য আফরোজা খানম রিতা প্রমুখ।
০৬ এপ্রিল ২০২৪, ২৩:১৯

রাষ্ট্রের সব স্তম্ভ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে : মির্জা ফখরুল
বিএনপির ওপর ভয়ংকর দানবের আক্রমণ চলছে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ফখরুল বলেন, সরকার ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছে। নেতাকর্মীদের গুম, পঙ্গু ও খুন করা হচ্ছে। বিচার বিভাগসহ রাষ্ট্রের সব স্তম্ভ আজ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। শনিবার (৬ এপ্রিল) রাজধানীর ইস্কাটন লেডিস ক্লাবে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপি আয়োজিত দোয়া ও ইফতার মাহফিলে এ কথা বলেন তিনি। খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনা এবং সরকার বিরোধী আন্দোলনে নিহত ও নিখোঁজ হওয়া নেতাকর্মীদের পরিবারের সম্মানে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। মির্জা ফখরুল বলেন, এই মাস পবিত্র মাস। আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ করছি,ক্ষমা করে দিন। দানব সরকার আমাদের বুকে চেপে বসেছে তা থেকে মুক্তি দিন। এ সরকারকে সরাতে না পারলে দেশ ধ্বংস হয়ে যাবে । এদের বিতাড়িত করে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। ফখরুল আরও বলেন, নবীজীও একদিনে ইসলাম প্রতিষ্ঠা করতে পারেননি। আমাদের অত্যাচারিত নিপীড়িত নেতাকর্মীরাও হতাশ নয়। তারা বলছে আপনারা যদি সঠিক দিকনির্দেশনা দেন, আন্দোলনের ডাক দেন, আমরা রাজপথে প্রাণ দিয়ে হলেও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করবো। প্রতিটি বড় বিজয়ের জন্য ত্যাগ স্বীকার করতে হয়। বিএনপি মহাসচিব বলেন, কারাগারের ভেতর ঢাকা মহানগরের হাজারো নেতাকর্মী আমি দেখেছি। পবিত্র রমজানেও তারা বিনাদোষে বন্দি জীবনযাপন করছে। প্রাণপ্রিয় নেত্রী খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে প্রতিনিয়ত মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। বিএনপির ৬০ লাখ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ২৮ ও ২৯ অক্টোবর দুইদিনেই ৩৭ হাজার নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি বলেন, কর্তৃত্ববাদী শাসক তাদের ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী করতে চায়। এর আগে তারা এই চেষ্টা করেছিলো। সফল হয়নি, এবারও সফল হবে না। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালামের সভাপতিত্বে ও দক্ষিণের সদস্য রফিকুল আলম মজন এবং উত্তরের সদস্য সচিব আমিনুল হকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, ঢাকা মহানগর উত্তরের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার প্রমুখ।  
০৬ এপ্রিল ২০২৪, ২০:২৯

আন্দোলন থামবে না : ফখরুল
বিএনপির আন্দোলন কখনই নস্যাৎ হয়নি জানিয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ধীরে ধীরে ইটের ওপর ইট গেঁথে সফলতার দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। আন্দোলন থামবে না। শুক্রবার (৫ এপ্রিল) রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে এক ইফতার মাহফিলে তিনি এ কথা বলেন।  মির্জা ফখরুল বলেন, বিএনপি ডান-বাম সবগুলো দলকে এক করে আন্দোলন করছে। অনেকেই ভাবছেন বিএনপির আন্দোলনে ২৮ অক্টোবরের পর নস্যাৎ হয়ে গেছে, কখনই না। আন্দোলন আরও শক্তিশালী হয়েছে। তিনি বলেন, গোটা দেশ ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যে যাচ্ছে। সরকার সবকিছু তছনছ করে দিচ্ছে। বর্তমান সরকারের হাত থেকে গণমাধ্যমও রেহাই পায়নি। মনে হয় না এটা স্বাধীন রাষ্ট্র, মনে হয় ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্র। বিএনপির এই নেতা বলেন, আমাদের জাতীয় ঐক্য আরও সুদৃঢ়ভাবে গড়ে তুলতে হবে। জাতীয় ঐক্য ও জনগণের শক্তির মধ্য দিয়ে এই ভয়াবহ দানবকে পরাজিত করতে হবে। ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (একাংশ) ও বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (একাংশ) যৌথভাবে এই ইফতার মাহফিলের আয়োজন করে।  ইফতারে বিএনপির নেতাদের মধ্যে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী প্রমুখ অংশ নেন।
০৫ এপ্রিল ২০২৪, ২০:২৯
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়