• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১
logo
বাড়িতে একা পেয়ে গৃহবধূকে গলা কেটে হত্যা, প্রেমিক উধাও
পঞ্চগড়ে ঈদের দিন পরকীয়ার জেরে শাহনাজ পারভীন (২৪) নামে এক গৃহবধূ খুন হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকালে দেবীগঞ্জ উপজেলার চিলাহাটি ইউনিয়নের মতিয়ারপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। গৃহবধূ শাহনাজ ওই এলাকার আবদুল মজিদের স্ত্রী। ঘটনাস্থল থেকে মরদেহের সঙ্গে একটি ছুরি ও রক্তমাখা প্যান্ট জব্দ করেছে পুলিশ। তবে খুনের সঙ্গে জড়িত বা অভিযুক্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি। এদিকে সকাল থেকেই পরকীয়া প্রেমিক রাজু পালিয়ে গেছেন। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, আব্দুল মজিদ ঢাকায় গার্মেন্টসে কাজের সুযোগে প্রতিবেশী রাজু (২৭) নামে এক যুবকের সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন ওই গৃহবধূ। ৮-৯ মাস আগে কিছুদিন নিখোঁজও ছিলেন তিনি। এ ঘটনায় থানায় সাধারণ ডায়েরিও করা হয়। তবে বাড়ি ফিরলে প্রথমে তার স্বামী তার তাকে গ্রহণ করতে রাজি হননি। একপর্যায়ে দুজনে সমঝোতায় আবারও সংসার শুরু হয়। এরপর গত চার মাস আগে স্বামীর সাথে ঢাকায় চলে যান তিনি। তাদের সংসাদের ৭ বছরের একটি কন্যা সন্তান ও তিন মাসের একটি ছেলে রয়েছে। মঙ্গলবার ঈদের জন্য বাড়ি ফেরেন তারা। পরিবারের অভিযোগ, বৃহস্পতিবার সকালে তার স্বামীসহ পরিবারের লোকজন ঈদের নামাজে গেলে পরকীয়া প্রেমিক রাজু শাহনাজের ঘরে ঢুকে ছুরি নিয়ে তার ওপর আক্রমণ করে এবং গলা কেটে তাকে হত্যা করে। এ সময় শাহনাজের মেয়ে মাইশা আক্তার চিৎকার করলে পালিয়ে যায় রাজু। প্রতিবেশীরা ছুটে এসে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ এসে সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। নিহত গৃহবধূর মেয়ে মাইশা আক্তার বলেন, মাকে ছুরি দিয়ে মারে। আমি চিল্লাচিল্লি করলে দৌড়ে পালিয়ে যায় রাজু। গৃহবধূর স্বামী আব্দুল মজিদ বলেন, রাজুর সাথে আমার স্ত্রী মোবাইলে কথা বলত। চলেও গেছিল তার সাথে। তাকে একটি মোবাইল ফোনও দিয়েছিল সে। পরে আমার নামে মামলা করে। আমি সন্তানদের দিকে চেয়ে তাকে নিয়ে ঢাকায় চলে যাই। রাজু দীর্ঘদিন ধরেই আমাকে হুমকি দিয়ে আসছিল যে, আমাকে শাহনাজের সাথে সংসার করতে দেবে না।   দেবীগঞ্জ থানা পুলিশের ওসি সরকার ইফতেখারুল মোকাদ্দেম বলেন, গৃহবধূকে গলাকেটে হত্যা করা হয়েছে। আমরা একটি ছুরি ও রক্তমাখা আলামত জব্দ করেছি। পরিবারের পক্ষ থেকে মামলার প্রক্রিয়া চলছে। অভিযুক্ত রাজুকে গ্রেপ্তারে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।  
১১ এপ্রিল ২০২৪, ২০:১৪

অবশেষে সেই অভিযুক্ত প্রেমিক সেলিম গ্রেপ্তার
পাবনার ঈশ্বরদীতে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে অনশন করা তরুণীর দায়ের করা মামলায় অবশেষে সেই অভিযুক্ত প্রেমিক সেলিম রেজাকে (২৯) গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব।  বুধবার (২৭ মার্চ) দুপুরে পাবনা শহর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। বিকেলে র‌্যাব-১২ পাবনা ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার মেজর এহতেশামুল হক খান সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।  গ্রেপ্তার সেলিম পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার মশুরিয়াপাড়া এলাকার আবদুল গফুরের ছেলে।  সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে মেজর এহতেশামুল হক খান জানান, এক বছর আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক তরুণীর (১৮) সঙ্গে পরিচয় ও প্রেমের সম্পর্ক হয় সেলিম রেজার। এরপর তাকে বিয়ে করার প্রলোভন দেখিয়ে ঢাকার শহরে বাসা ভাড়া নিয়ে তারা স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে বসবাস করতেন। এরপর বিয়ে করার জন্য চাপ দিলে বিয়ে না করে সেখান থেকে পালিয়ে নিজ গ্রামে চলে যান অভিযুক্ত সেলিম। শুধু তাই নয়, বাড়িতে গিয়ে অন্য মেয়ের সঙ্গে গত ২২ মার্চ বিয়ে করেন তিনি। এ ঘটনা শুনে ভুক্তভোগী  ওিই তরুণী গত ২৩ মার্চ অভিযুক্ত সেলিম রেজার বাড়িতে যান। তাদের সম্পর্কের কথা পরিবারের সদস্যদের জানালে তারা তরুণীকে জানিয়ে দেয় সেলিম রেজারকে অন্য জায়গায় বিয়ে দেওয়া হয়েছে। এখন আর তার সঙ্গে বিয়ে দেওয়া সম্ভব নয়। এ কথা শোনার পর বিয়ের দাবিতে সেলিমের বাড়ির সামনে অনশন শুরু করেন ওই তরুণী। তখন তিনি সাংবাদিকদের বলেন, তাকে বিয়ে না করলে তিনি এই বাড়ি থেকে যাবেন না। প্রয়োজনে তিনি বিষপানে আত্মহত্যা করবেন বলে হুমকি দেন। বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। সেলিমের পরিবার থেকে সমাধান না পেয়ে পরবর্তীতে ভুক্তভোগী তরুণী থানায় ধর্ষণ মামলা করেন। এরপর প্রতারক সেলিম রেজাকে গ্রেপ্তারে অভিযানে নামে পাবনা র‌্যাবের একটি দল। কোম্পানি কমান্ডার মেজর এহতেশামুল হক খানের নেতৃত্বে দলটি ২৪ ঘণ্টাব্যাপী দীর্ঘ অভিযান পরিচালনা করে পাবনা শহরের আব্দুল হামিদ সড়কে মর্ডান ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সামনে থেকে বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সেলিম রেজাকে গ্রেপ্তার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্ত সেলিম ধর্ষণের ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করেছেন। পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য তাকে ঈশ্বরদী থানায় হস্তান্তর কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। 
২৭ মার্চ ২০২৪, ২৩:৩৪

প্রেমিককে বেঁধে প্রেমিকাকে দলবদ্ধ ধর্ষণ, আ.লীগ নেতা পলাতক
সুনামগঞ্জের প্রেমিককে বেঁধে ১৬ বছরের এক কিশোরীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ করেছে আওয়ামী লীগ নেতা ও তার বন্ধুরা। শুক্রবার (৯ মার্চ) রাতে দোয়ারাবাজার উপজেলার মান্নারগাঁও ইউনিয়নের জালালপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত আওয়ামী লীগ নেতা ও তার বন্ধুরা ফেরারি রয়েছেন। ভুক্তভোগী প্রেমিক-প্রেমিকার বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, মেয়েটির বাড়ি হবিগঞ্জের মাধবপুরে আর ছেলেটির বাড়ি বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার পলাশ গ্রাম। কয়েকমাস আগে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। শুক্রবার তাড়া বাড়ি থেকে পালিয়ে কামারগাঁওয়ে ছেলেটির বন্ধু আফাজ উদ্দিনের বাড়িতে যাওয়ার জন্য রওনা হয়। সন্ধায় এক সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালক আবদুল করিম তাদের আফাজ উদ্দিনের বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে গাড়িতে তোলে। রাতে জালালপুর গ্রামের ভেতর গিয়ে আবদুল করিম অটোরিকশায় গ্যাস নেই জানিয়ে তাদের নামিয়ে দেয় এবং মান্নারগাঁও ৪ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সম্পাদক আফছর উদ্দিনকে ডেকে আনে। এরপর ওই নেতা তাদের মারধর ও পুলিশে দেওয়ার ভয়ভীতি দেখায়। ভয়ে ওই তরুণ বন্ধুর বাবা মিয়াজান আলীকে ফোন দেয়। মিয়াজান আলী ঘটনাস্থলে এলে তাকেও ওই নেতা ভয় দেখিয়ে তাড়িয়ে দেয়। পরে রাত ১টার দিকে দু’জনকে একটি ঘরে নিয়ে আটকে রাখে। এক পর্যায়ে ছেলেটিকে গাছের সঙ্গে বেঁধে রেখে আফছর ও তার বন্ধু ফয়জুল বারী, কামারগাঁওয়ের আবদুল করিম ও জালালপুরের ছয়ফুল ইসলাম মিলে ওই তরুণীকে ধর্ষণ করে। শনিবার (৯ মার্চ) ভোরে অসুস্থ কিশোরী ও তার প্রেমিককে আবার করিমের অটোরিকশায় তুলে সুনামগঞ্জের উদ্দেশে পাঠায় আফসার। ভোর সাড়ে ৪টার দিকে কাটাখালী বাজারের কাছে এসে তাদেরকে অটোরিকশা থেকে নামিয়ে দেয় করিম। সকালে স্থানীয় অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্য সিকান্দার আলীর সহযোগিতা চায় তারা। ওই পুলিশ সদস্য শনিবার দুপুরে ইউপি সদস্যকে বিষয়টি জানালে তারা পুলিশে খবর দেন। বিকেলে পুলিশ এসে নির্যাতিতা ও তার প্রেমিককে তাদের হেফাজতে নেয়। সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) রাজন কুমার দাস জানান, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তারা নির্যাতিতা ও তার প্রেমিকের বক্তব্যও শুনছেন। রাতেই নির্যাতিতা কিশোরী আফসরসহ চারজনকে আসামি করে মামলা করেছে। এ বিষয়ে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
১০ মার্চ ২০২৪, ১৫:৫৯

মৃত সন্তান প্রসবের পর প্রেমিকার মৃত্যু, প্রেমিক গ্রেপ্তার
চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে শিউলী আকতার (১৮) নামে এক তরুণী মৃত সন্তান প্রসবের পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। মঙ্গলবার (৬ জানুয়ারি) বিকেল ৩টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিউলী মার যান। এদিকে শিউলীর স্বজনদের কাছ থেকে জানা গেছে, গত ৩০ জানুয়ারি পৌরসভা ২নং ওয়ার্ডের তালুকদার মার্কেট এলাকায় নিজ বাড়িতে বেলা ১১টার দিকে শিউলী মৃত সন্তান জন্ম দেন। এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, পাশের ঘরের যুবক মাহামুদ ওরফে কালুর (২২) সঙ্গে শিউলী প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন। বিয়ের আশ্বাসে মেয়ে ও তার পরিবার বিষয়টি গোপন রাখে। একপর্যায়ে প্রসবের সময় ঘনিয়ে আসলে ছেলে ও তার পরিবার মেয়েটিকে মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানায়। এতে লোকলজ্জার ভয়ে মেয়েটির পরিবার স্থানীয় এক পল্লী চিকিৎসকের কাছে তথ্য গোপন রেখে ওষুধ খাইয়ে বাচ্চাকে মেরে ফেলে। সরেজমিনে আরও জানা যায়, প্রসবের দিন রাতেই  সালিসি বৈঠকের মাধ্যমে অভিযুক্ত মাহমুদ ওরফে কালু নামের ওই যুবককে ২৫ হাজার টাকা ও  ডাক্তারকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করে মেয়েটির চিকিৎসাবাবদ দেওয়া হয়। এরপরই মৃত শিশুকে অজ্ঞাত স্থানে জানাজা ছাড়া কবর দেওয়া হয়। এ বিষয়ে মাহামুদ কালুর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তার মা নাছিমা বেগম আরটিভিকে বলেন, মেয়েটির চরিত্র ভালো না। সে বিভিন্ন ছেলেদের সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়েছিল। কমপ্লেক্স এলাকার এক সওদাগরের সঙ্গে তার অবৈধ সম্পর্ক ছিল। এখন আমার ছেলের ঘাড়ে দোষ চাপাচ্ছে। শিউলীর মা বিবি ফাতেমা বাদী হয়ে সন্দ্বীপ থানায় মামলা করেন। তিনি আরটিভিকে বলেন, বাবা হারানো ২ মেয়েকে নিয়ে অন্যের বাড়িতে কাজ করে খেয়ে না খেয়ে আমাদের দিন চলছিল। মাহামুদ কালু আমার পাশের বাড়ির ছেলে। দীর্ঘদিন আমার মেয়েকে বিরক্ত করছিল। আমি তার মা-বাবাকে জানিয়েও সুরাহা পায়নি। আমি একদিন অন্যের বাড়িতে কাজ করতে গেলে মাহামুদ আমার ঘরে ঢুকে জোরপূর্বক মেয়েকে ধর্ষণ করে। আমার মেয়ে গর্ভবতী হলে মাহামুদ তাকে গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানায়। আমার মেয়ে অসুস্থ হলে আমি মাহামুদের পরিবারকে জানালেও তারা সহযোগিতা করেনি। আমার মেয়েকে টাকা-পয়সার অভাবে চিকিৎসা করাতে পারিনি। আমার মেয়েকে হত্যা করা হয়েছে। আমি এর বিচার চাই। এ বিষয়ে জানতে চাইলে সন্দ্বীপ থানার অফিসার ইনচার্জ মো. কবির হোসেন আরটিভিকে বলেন, মেয়েটির মৃত্যুর বিষয় জেনেছি। ৫ জানুয়ারি সোমবার মেয়েটির মায়ের অভিযোগ আমলে নিয়ে মামলা হয়েছে। আসামি মাহামুদ ওরফে কালুকে রাতে গ্রেপ্তার করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। মামলার আয়ু সন্দ্বীপ থানার সাব ইন্সপেক্টর (নিরস্ত্র) মো. মাঈন উদ্দিন ভূঁইয়া আরটিভিকে বলেন, আসামি মাহামুদ গতকাল রাতে নদী পার হয়ে সন্দ্বীপ থেকে পালিয়ে যাওয়ার সময় কুমিরা ঘাট থেকে সীতাকুণ্ড পুলিশের সহায়তায় রাত ২টায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ভিকটিমের ডিএনএ সংরক্ষণের জন্য সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। আসামিকে ৫ দিনের রিমান্ডের আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত তাকে ৩ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার নির্দেশ দেন। তিনি আরও বলেন, মামলটি খুবই চাঞ্চল্যকর। আমরা গভীরভাবে তদন্ত করছি, এ ঘটনার সঙ্গে আরও কেউ জড়িত থাকলে তাদেরও ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 
০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৫:৪৫

আমার কোনো প্রেমিক নেই, বিয়ে নিয়েও ভাবছি না
এ প্রজন্মের জনপ্রিয় মডেল ও অভিনেত্রী আশনা হাবিব ভাবনা। শুধু ছোট পর্দা নয়, বড় পর্দাতেও সরব উপস্থিতি রয়েছে লাস্যময়ী এই অভিনেত্রীর। পাশাপাশি লেখালেখি, ছবি আঁকা এবং নাচেও বেশ পারদর্শী তিনি। বহু গুণে গুণান্বিত ভাবনা জীবন নিয়ে খুব একটা চিন্তিত নন। নিজের আপন গতিতেই চলছেন তিনি। এদিকে সমসাময়িক সময়ের অনেক তারকাই বিয়ে করে সংসারে মনোনিবেশ করেছেন। কিন্তু সিঙ্গেলই রয়ে গেছেন এই অভিনেত্রী। এমনকি কোনো প্রেমিকও নেই বলে জানিয়েছেন তিনি। কয়েকবছর আগে এক নির্মাতার সঙ্গে নিজের প্রেমের খবর জানালেও বর্তমানে নাকি কারও সঙ্গেই প্রেম করছেন না ভাবনা। সম্প্রতি দেশের এক গণমাধ্যমের সাক্ষাৎকারে এমনটাই জানিয়েছেন তিনি।   কারও সঙ্গে এখন প্রেম করছেন কি না প্রশ্নের জবাবে ভাবনা বলেন, প্রেমের সময় কোথায়? আমার কোনো প্রেমিক নেই। কারণ, বর্তমানে সিনেমা নিয়ে ব্যস্ত। নতুন বছরে দুটি চলচ্চিত্রে চুক্তিবদ্ধ হয়েছি, মুক্তির অপেক্ষায় আরও চারটি সিনেমা। এখন থেকে সিনেমা নিয়েই ব্যস্ত থাকব। বিয়ের প্রসঙ্গে অভিনেত্রী বলেন, ভাগ্যে যেদিন লেখা থাকবে, সেদিনেই বিয়ে হবে। বিয়ে তো করতেই হবে, তবে আপাতত নয়। তাছাড়া পরিবার থেকেও এখন বিয়ে নিয়ে কোনো চাপ নেই। প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালে ‘ভয়ংকর সুন্দর’ সিনেমার মাধ্যমে চলচ্চিত্রে পা রাখেন ভাবনা। সম্প্রতি অভিনেত্রী যুক্ত হয়েছেন ‘চারুলতা’ নামে নতুন একটি সিনেমায়। পাশাপাশি ‘পায়েল’ সিনেমার শুটিং শেষ করেছেন তিনি। এ ছাড়া মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে সরকারি অনুদানের সিনেমা ‘যাপিত জীবন’। 
২৪ জানুয়ারি ২০২৪, ১৯:১৯

প্রাক্তন প্রেমিক পরমকে নিয়ে মুখ খুললেন স্বস্তিকা
স্বস্তিকার সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন পরমব্রত। গেল বছর পিয়া চক্রবর্তীকে বিয়ে করেও আলোচনার শীর্ষে ছিলেন এই অভিনেতা। তবে পরমের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ালেও গাঁটছড়া বাঁধা হয়নি স্বস্তিকার। এবার প্রাক্তন প্রেমিককে নিয়ে মুখ খুললেন এই নায়িকা।       পিয়াকে বিয়ে করার পর দুই বাংলায় চর্চার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছিলেন পরম। তাদের বিয়ের প্রসঙ্গে মুখ খুলেছেন বহু তারকা। বলা যায়, সবাই এই জুটির নতুন জীবনকে সমর্থন করেছেন। সেই দলে ছিলেন অভিনেত্রী স্বস্তিকা।  সম্প্রতি ফের ভারতীয় গণমাধ্যমের একটি সাক্ষাৎকারে পরম-পিয়ার বিষয়ে কথা বলেন স্বস্তিকা। এসময় অভিনেত্রী জানান, তিক্ততা জিইয়ে রাখার অভ্যাস তার নেই।  স্বস্তিকা বলেন, পরমের কথা ভাবলে, ওর সঙ্গে কাটানো ভাল সময়টাই মনে পড়ে। সেই জন্য হয়তো সে দিন বাড়ি ফেরার সময় ওকে জড়িয়ে ধরে বলতে পারলাম যে, ভালো থাকিস। ও বলল, বাড়িতে ডাকবে। পিয়াকে আমি দীর্ঘদিন ধরেই চিনি। ভীষণ ভালো লাগে মেয়েটাকে। পরমকে বললাম, ডাকিস, তোর জন্য না হলেও পিয়ার জন্য তোর বাড়িতে যাব।    কারণ, পিয়ার স্বামী কে, সেটা আমার কাছে জরুরি নয়। আমি আসলে তেমন মানুষই নই যে, কাউকে জড়িয়ে ধরে ভালো থাকিস বলতে পারব না। আর তাছাড়া কারও ভালো চাইতে পারব না কেন বলুন তো? কারও সঙ্গে তো আমার যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়নি। আমাদের যে পেশা, সেখানে সেটা সম্ভবও নয়। কত জনের সঙ্গে এমন হলে কাজ করব না বলুন?  পরমের সঙ্গে নিজের পুরনো সম্পর্কের কথা স্মরণ করে স্বস্তিকা বলেন, বিয়ের পাঁচ-ছয় বছর পরে তো স্বামী-স্ত্রীও ভাই-বোন হয়ে যায়। আর ১৫ বছরে প্রাক্তন কি প্রাক্তনই থেকে যাবে? একই ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করি সবাই। তাদের ভালোমন্দের সঙ্গে আমিও মিশে আছি। অনেক বছর হয়ে গেলে কোনো ব্যক্তির মন্দগুলো আর মনে থাকে না। পরম বা সৃজিত যেই হোক, তাদের কথা যখন ভাবি, আমার কিন্তু ভালোগুলোই মনে পড়ে। খারাপ মনে রাখলে আমাদেরই ক্ষতি। তবে তিক্ততা জিইয়ে রেখে লাভ কি!     প্রসঙ্গত, ‘ব্রেক ফেল’ সিনেমার সেটে একে অপরের প্রেমে পড়েন পরমব্রত-স্বস্তিকা। সম্পর্কের পুরো সময়টায় ব্যাপক চর্চায় ছিল এই তারকা জুটি। যদিও ২০১০ সালেই সেই সম্পর্ক শেষ হয়ে যায়। তবে এখনও ভালো বন্ধু হিসেবে রয়েছেন দুজন। পাশাপাশি কাজও করছেন একসঙ্গে।      সূত্র : আনন্দবাজার    
১৮ জানুয়ারি ২০২৪, ১৩:৪২
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়