• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo
প্রান্তিক গ্রাহক পর্যায়ে বাড়ছে না গ্যাসের দাম
বরাবরের মতোই আরও একবার গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধি নিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্ট হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও কিছু গণমাধ্যমের শিরোনামকে কেন্দ্র করে। কিন্তু দেশের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে গৃহস্থালি কাজে ব্যবহৃত বা সার উৎপাদন ও সিএনজির স্টেশনের জন্য ব্যবহৃত গ্যাসের মূল্য বাড়ানো হচ্ছে না। শুধু মাত্র বিদ্যুৎ উৎপাদন ও ক্যাপটিভ বিদ্যুৎ উৎপাদনে গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধি করা হচ্ছে। অর্থাৎ সরাসরি প্রান্তিক গ্রাহক পর্যায়ে বাড়ছে না গ্যাসের দাম। বাংলাদেশে গ্যাস ব্যবহারকারী বা গ্রাহকদের মোট আট শ্রেণিতে ভাগ করা যায়। এর মধ্যে বিদ্যুৎ উৎপাদনে ৩৭%, শিল্পে ২৩%, ক্যাপটিভ বিদ্যুতে ১৮%, গৃহস্থালিতে ১০%, সার উৎপাদনে ৭%, সিএনজিতে ৪% এবং বাণিজ্যিক ও চা শিল্পে ১% গ্যাস ব্যবহৃত হয়। তবে যেই গ্রাহক শ্রেণীর কাছাই গ্যাস সরবরাহ করা হোক না কেনো, প্রাকৃতিক গ্যাসের উৎপাদন, আমদানি এবং সরবরাহের মোট ব্যয়ের সঙ্গে বিক্রয়মূল্যের পার্থক্যের কারণে সরকারকে এ খাতে বিপুল পরিমাণ ভর্তুকি প্রদান করতে হয়। এই গ্রাহক শ্রেণীগুলোর মধ্যে বিদ্যুৎ উৎপাদন এবং ক্যাপটিভ বিদ্যুতে বাড়ানো হচ্ছে গ্যাসের মূল্য। জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের তথ্যানুসারে, দেশের স্থানীয় উৎপাদন গড়ে প্রায় ২ হাজার ৫১ এমএমসিএফডি (মিলিয়ন ঘনফুট দৈনিক) ও দীর্ঘমেয়াদি চুক্তির আওতায় ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে কাতার ও ওমান থেকে বাৎসরিক ৫৬টি কার্গো ও স্পট হতে ২৫টিসহ মোট ৮১টি কার্গো হিসেবে আমদানিকৃত এলএনজি হতে গড়ে ৬৮৫ এমএমসিএফডি রিগ্যাসিফাইড এলএনজিসহ দৈনিক গড়ে ২ হাজার ৭৩৬ এমএমসিএফ (মিলিয়ন ঘনফুট) গ্যাস সরবরাহ করা সম্ভব হয়। ফলে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে আর্থিক ক্ষতি/ ভর্তুকির পরিমাণ দাঁড়াবে ৬ হাজার ৫৭০ কোটি টাকার বেশি। কৃষি সেচ মৌসুমে, রমজান মাসে ও গ্রীষ্মকালে বিদ্যুৎ উৎপাদনে গ্যাসের বর্ধিত চাহিদা থাকে। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের তথ্যানুসারে, গ্যাস-ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের চাহিদা অনুযায়ী চলতি বছরের এপ্রিল মাস হতে বিদ্যুৎ সরবরাহ নিরবচ্ছিন্ন রাখার জন্য গড়ে ১৩০০ এমএমসিএফডি গ্যাস সরবরাহের জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে, যেখানে বর্তমানে গ্যাস ভিত্তিক গ্রিড-কানেক্টেড বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য গড়ে ৮৫০ এমএমসিএফডি গ্যাস সরবরাহ করা হচ্ছে। চলতি বছরে বিদ্যুৎ শ্রেণিতে এই বাড়তি গ্যাসের চাহিদা মেটাতে পেট্রোবাংলা দেশের অভ্যন্তরীণ গ্যাসের সরবরাহের পাশাপাশি স্পট মার্কেট হতে বর্ধিত সংখ্যক কার্গো আমদানি ও এর জন্য প্রয়োজনীয় অর্থের সংস্থানের জন্য অনুরোধ করেছে। কৃষি সেচ মৌসুম, আসন্ন রমজান মাস ও গ্রীষ্মকালে বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যবস্থায় সরবরাহ চ্যানেল ঠিক রাখতে আগামী ১ এপ্রিল থেকে দুটি ফ্লোটিং স্টোরেজ এবং রিগ্যাসিফিকেশন ইউনিট (এফএসআরইউ) এর সর্বোচ্চ রিগ্যাসিফিকেশন ক্ষমতা ব্যবহার করে দৈনিক ১০০০-১১০০ এমএমসিএফ গ্যাস সরবরাহ করতে হলেও এ বছর জানুয়ারি থেকে জুন মাসের মধ্যে অতিরিক্ত ১০টি স্পট কার্গো আমদানি করার প্রয়োজন হবে। কিন্তু কেনো গ্যাসের প্রতি নির্ভরশীলতা? অন্যান্য জ্বালানির দিকে কেনো ঝুঁকছে না বিদ্যুৎ বিভাগ? এর মূল কারণ বিকল্প জ্বালানিগুলোর মূল্য আরও অনেক বেশি। গ্যাসের বিকল্প হিসেবে ব্যবহৃত হয় ডিজেল ও ফার্নেস ওয়েল। উভয়ের দাম গ্যাসের তুলনায় বেশি। এ ছাড়াও ফার্নেস ওয়েল ক্রয়ের ক্ষেত্রে বাড়তি ডলার খরচ করতে হয়, যার অভাব বর্তমানে বিশ্বের প্রতিটি দেশকেই কমবেশি ভোগাচ্ছে। আর এ কারণেই অন্য জ্বালানির বদলে গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিতের অনুরোধ জানায় বিদ্যুৎ বিভাগ। তবে গ্যাস ব্যবহারকারীদের পর্যায়ে মূল্য বৃদ্ধি না হলেও অতিরিক্ত ভর্তুকি হ্রাসের জন্য এবং রাজস্বে চাপ কমাতে ফেব্রুয়ারি মাস থেকে সার্বিক বিবেচনায় বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহৃত গ্যাসের বিক্রয়মূল্য প্রতি ঘনমিটার ১৪.৭৫ টাকা (বৃদ্ধির হার ৫.৩৬%) এবং ক্যাপটিভ বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহৃত গ্যাসের মূল্য প্রতি ঘনমিটার ৩০ টাকা হতে ৩০.৭৫ টাকা (বৃদ্ধির হার ২.৫০%) নির্ধারণ করা হয়েছে। এই অতিরিক্ত মূল্যের কারণে প্রতি মাসে প্রায় ৮৬.২৫ কোটি টাকা আয় বাড়বে যেটি বাড়তি এলএনজি ক্রয়ে সহায়ক হবে বলে জানায় মন্ত্রণালয়।
২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২২:০৩

‘ইউনূসের ক্ষুদ্র ঋণে দারিদ্র্যের দুষ্ট চক্রে আটকে গেছে প্রান্তিক জীবন’
দেশে ক্ষুদ্র ঋণ ব্যবস্থায় প্রান্তিক মানুষের জীবনমানে কোনো উন্নয়ন আসেনি। দারিদ্র‌ থেকে মেলেনি মুক্তিও। চড়া সুদে ঋণ নিতে নারীদের হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করা হচ্ছে। ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মতো ব্যক্তিরা নিজেদেরকে বিশ্ব দরবারে চেনাতে এ ক্ষুদ্র ঋণকে হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করে পশ্চিমা বিশ্বকে সুযোগ করে দিচ্ছে। শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীতে এডিটরস গিল্ডের ‘ক্ষুদ্র ঋণ বির্তক’ শীর্ষক এক গোলটেবিল আলোচনায় এমনটাই দাবি করেছেন বিশিষ্টজনরা। গোলটেবিল আলোচনা সঞ্চালনা করেন এডিটরস গিল্ডের সভাপতি মোজাম্মেল বাবু। এ সময় বক্তারা বলেন, দেশের টেকসই উন্নয়নে ক্ষুদ্র ঋণ নিয়ে বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, গড়ে ১০ শতাংশ মানুষও তাদের ভাগ্য পরিবর্তন করতে পারেনি বরং দারিদ্র্যের দুষ্ট চক্রে আটকে গেছে। গোষ্ঠীভিত্তিক ঋণ জামানত, চড়া সুদ, স্বল্প অর্থ এসব দিয়ে এদেশের মানুষকে মানসিকভাবে আরও বেশি ক্ষুদ্র করে তুলছে। বক্তাদের পরামর্শ, ক্ষুদ্র ঋণে আদায় মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত নয় বরং এ ব্যবস্থাকে আরও ঢেলে সাজানো উচিত। এটিকে টাকা ছড়ানোর কোনো মডেল না বানিয়ে বরং স্থিতিশীল প্রকল্প বানানো উচিত।  অর্থনীতিবিদ কাজী খলিকুজ্জমান বলেন, দারিদ্র্য বিমোচনের মডেল কতোটা কাজ করে? সুদের হার, ঋণ দিয়ে পরের সপ্তাহে কিস্তির চাপ। সুদের হার চক্রাকারে বাড়তে থাকে। ৯০ দশকে এটি রীতিমতো ব্যবসা হয়ে গেল। তিনি বলেন, গ্রামীন ব্যাংকের সুদ হার ২০-২২ শতাংশের কম নয়, অনেক জায়গায় ৩৫ থেকে ৫০ শতাংশ। এসব কখনো সামনে আনা হয় না, মানুষ জানে না। মানুষের জীবনমান উন্নয়ন হয় না, শুধু প্রতিষ্ঠানগুলোর উন্নতি হয়। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সমাজবিজ্ঞানী সাদেকা হালিম বলেন, ক্ষুদ্র ঋণে নারীদের কেন টার্গেট করা হয়? পুরুষরা ঋণের অর্থ নিলে সেটি নিয়ে চলে যায়, কিন্তু নারীরা নিলে তা কাজে লাগায়। নারী পালাতে পারবে না, নারীদের টার্গেট করা সহজ। নারীরা ঋণ নিলে ক্ষমতায়ন হয়েছে এটি একেবারে সত্য নয়। এই পিতৃতান্ত্রিক সমাজে নারীরা ঋণ নেওয়ার ঢাল হয়েছে।  নারীদের ব্যবহার করা হচ্ছে। একেকজন চারটা বিয়ে করে, একজনকে ব্র্যাক, একজনকে আশা আরেকজনকে অন্যখানে পাঠায়। তবে এখন সে অবস্থা কিছুটা পরিবর্তন হলেও মোটাদাগে যায়নি। তিনি বলেন, সরকারের অনেক প্রকল্প আছে, সেগুলো কেন জনপ্রিয় হতে পারল না সেটি নিয়ে প্রশ্ন করা উচিত। কেন রুট লেভেলে গ্রামীন ব্যাংকের মতো এনজিওগুলো সফলতা পেলো। ক্ষুদ্র ঋণ সামাজিক সম্পর্ক ও পরিবেশ নষ্ট করছে। গোলটেবিল আলোচনার সঞ্চালক মোজাম্মেল বাবু বলেন, ক্ষুদ্র ঋণ বিতর্ক বিষয়টি এমন যে, এটি অনেক আগে থেকে প্রচলন আছে। রবীন্দ্রনাথের সময় থেকে যেটি শুরু। ড. ইউনূস এটি বাংলাদেশে প্রচলন করেছে। এটি নিয়ে বির্তক আছে, আসলে এটি দারিদ্রতা ঠিক কতোটা কমাতে পেরেছে? ক্ষুদ্র ঋণকে কি পশ্চিমারা ব্যবহার করছে নাকি নারী ক্ষমতায়নের নামে পণ্য হিসাবে ব্যবহার করছেন সেটি নিয়েই আলোচনা।
০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৫:৩৪

যে কেউ হোক অনিয়ম করলেই ব্যবস্থা : স্বাস্থ্যমন্ত্রী
যেকোনো অনিয়মের বিরুদ্ধে এবং সে যে কেউ হোক তার বিরুদ্ধে যথাযথ প্রমাণ পেলে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামান্ত লাল সেন। শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) সকালে সোনারগাঁয়ের বারদী এলাকায় শ্রী শ্রী লোকনাথ ব্রম্মচারী আশ্রমে আশীর্বাদপুষ্ট হতে এসে এ কথা বলেন তিনি। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, যেসব হাসপাতালের লাইসেন্স নেই, অনুমতি নেই এবং যেগুলোর অবকাঠামো নেই, সেসব হাসপাতালগুলো বন্ধ করতে হবে। যেকোনো অনিয়মের বিরুদ্ধে এবং সে যে কেউ হোক তার বিরুদ্ধে যথাযথ প্রমাণ পেলে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আরও পড়ুন : এখনও নির্বাচনকে বিতর্কিত করতে পাঁয়তারা চলছে : ওবায়দুল কাদের   ডা. সামান্ত লাল সেন বলেন, নারায়ণগঞ্জে একটি শিল্প ঘন এলাকা, এখানে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে। আগুনে পোড়া অনেক রোগী ঢাকায় যায়। তাই নারায়ণগঞ্জের কোনো একটি হাসপাতালে বার্ন ইউনিট খোলা যায় কিনা- সেটি নিয়ে আমরা চিন্তা করছি। যে হাসপাতালে বার্ন ইউনিটি খোলা হবে সেই হাসপাতালের চিকিৎসকদের ঢাকায় বার্ন চিকিৎসা সম্পর্কে ট্রেনিং দেওয়া হবে। তারপরই ইউনিটি খোলা হবে। এ ছাড়া সরকারের সারাদেশের প্রতিটি জেলায় বার্ন ইউনিট কেন্দ্র করার পরিকল্পনা রয়েছে। ডা. সামান্ত লাল সেন আরও বলেন, দেশে প্রান্তিক পর্যায়ে সেবার মান বৃদ্ধি পেলে শহরে রোগীর চাপ কমবে। আমি নতুন দায়িত্ব গ্রহণ করেছি, একদিনেই সব সমস্যার সমাধান করা সম্ভব নয়। বাংলাদেশ থেকে এখনো প্রান্তিক পর্যায়ে করোনা যায়নি। যারা বয়স্ক আছেন তারা লোকসমাগম এড়িয়ে চলবেন এবং মাস্ক ব্যবহার করবেন। আরও পড়ুন : ফের নয়াপল্টনে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন   এ সময় উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ-৩ (সোনারগাঁ)আসনের সংসদ সদস্য আব্দুল্লাহ আল কায়সার হাসনাত, জেলা সিভিল সার্জন এ এফ এম মশিউর রহমান, উপজেলা চেয়ারম্যান সামসুল ইসলাম ভূঁইয়া, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দীপন দেবনাথ, ডা. সাবরিনা, উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মাসুদুর রহমান মাসুম, বারদী চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান বাবুসহ হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতারা।
১৯ জানুয়ারি ২০২৪, ১৫:১৮
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়